পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
لَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتّٰى أُحِبَّهٗ، فَإِذَا أَحْبَبْتُهٗ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِيْ يَسْمَعُ بِهٖ، وَبَصَرَهُ الَّذِيْ يُبْصِرُ بِهٖ، وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا، وَرِجْلَهُ الَّتِيْ يَمْشِيْ بِهَا، وَلَئِنْ سَأَلَنِيْ لَأُعْطِيَنَّهٗ
অর্থ: “বান্দা নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমার নফল ইবাদত করতে করতে এতটুকু নৈকট্য-সান্নিধ্য লাভ করেন যে, স্বয়ং আমি উনার কান হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী কান মুবারকে শোনেন। আমি উনার চক্ষু হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী চক্ষু মুবারকে দেখেন। আমি উনার হাত হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী হাত মুবারকে স্পর্শ করেন। আমি উনার পা হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী পা মুবারকে চলালচল করেন। ওই বান্দা যদি আমার কাছে কোনো নিয়ামত চান, আমি সাথে সাথেই উনাকে তা দিয়ে দিই।” সুবহানাল্লাহ! পাবিত্র হাদীছ শরীফখানা বক্ষমাণ নিবন্ধে পূর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি একনিষ্ঠ ও দায়িমীভাবে যে সম্মানিত শরয়ী পর্দা পালন করেছেন, তা সকলের জন্যই মুবারক দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন। সুবহানাল্লাহ!
আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম এবং ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফখরুল আউলিয়া, ছাহিবে ইসমে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, লিসানুল হক্ব, আওলাদুর রসূল, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল মুত্বহ্হার, আল মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিত সুন্নত এবং সম্মানিত শরয়ী পর্দা পালনের কারণেই কায়িনাতবাসী সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, আন নি’মাতুল উযমা আলাল আলাম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবে কুন ফাইয়াকুন, ইমামুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, আছ ছমাদ, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে, উনার ছাহিবাতুল মুকাররামা, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল মুত্বাহ্হার, আল মুত্বহ্হির, আছছমাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাকে এবং উনাদের মহাসম্মানিত হযরত আহলু পাক আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে লাভ করতে পেরেছেন। সুবহানাল্লাহ!
একই কারণে কায়িনাতবাসী পবিত্র “ফালইয়াফরহূ শরীফ” অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, কোটি কোটি কণ্ঠে মীলাদ শরীফ এবং পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনাদের সীমাহীন নিয়ামত লাভে ধন্য হচ্ছেন। (চলবে)
আবা-২৭৯