ইমামু আহলি বাইত আলাইহিমুস সালাম

 

ইমামু আহলি বাইত আলাইহিমুস সালাম

 উনাদের প্রতি সালাম অনন্ত অসীম

পাঠ করছেন স্বয়ং রব্বুল আলামীন,

স্বয়ং রসূল পাক কহিছেন ঘোষণা

আহলে বাইত উনাদের খিদমতে হও ফানা।

‘ তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান চাই না’

খোদ ইলাহী তায়ালা উনার কালাম,

আহলে বাইত উনাদের খিদমত-মুহব্বতই

আল্লাহ পাক ও নবীজি উনাদের মুহব্বত তামাম।


তাই সবে পড়ি সকাল সাঁঝে মুবারক নাম

আহলে বাইত উনাদের বারোজন ইমাম;

উনাদের উসীলায় যেন পাই রেযা

হতে চাই মক্ববুল মাহবুব গোলাম।


আসাদুল্লাহ, বাবুল ইলম, সাইয়্যিদুনা খলীফাতুল মুসলিমীন

হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম

তিনি প্রথম ইমামে আহলে বাইত, আমিরুল মু’মিনীন।

দ্বিতীয় ইমাম, উলা ইমামুল হুমাম,

হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ তিনি

পঞ্চম খলীফায়ে ইসলাম।


তৃতীয় ইমাম, ছানী ইমামুল হুমাম,

হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম

জান্নাতের সাইয়্যিদ তিনি কারবালায় শহীদ

সুউঁচ্চে রাখেন ইসলাম।

চতুর্থ ইমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম

যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম

আবিদগণের সৌন্দর্য ইমাম আলী ইবনু

হুসাইন সাজ্জাদ উনার মুবারক নাম।


পঞ্চম ইমাম, শাকির, হাদী, হযরত ইমাম

মুহম্মদ বাকির আলাইহিস সালাম

শরীয়ত, তরীক্বত, ইলমের খনি উনাদের

ক্বদমে জানাই সালাম।

ষষ্ঠ ইমাম, ইমামুস সাদিস হযরত ইমাম

জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম

আবু আব্দিল্লাহ আ’লামুন নাস, কায়িনাতে বিলালেন ইলম তামাম।

সপ্তম ইমাম, ইমামুস সাবি’,

হযরত ইমাম মুসা কাজিম আলাইহিস সালাম

সামি, সাব্বির, ছলিহ, আমীন, আবুল হাসান, আবু ইবরাহীম উপনাম।

অষ্টম ইমাম, ইমামুছ ছামিন, হযরত ইমাম আলি রিযা আলাইহিস সালাম

যিনি ছিলেন আতক্বান নাস, সাইয়্যিদুনা বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম।


নবম ইমাম, ইমামুত তাসি’ হযরত ইমাম মুহম্মদ তকী আলাইহিস সালাম

ইমাম আল জাওয়াদ তিনি সব থেকে অল্প বয়সে ত্যাগ করেন ইহধাম।

দশম ইমাম, ইমামুল আশির হযরত ইমাম আলী নক্বী আলাইহিস সালাম

যিনি ছিলেন আবুল হাসান, ইমামুল হাদি, সবাই ছিল উনার গোলাম।


একাদশ ইমামে আহলে বাইত হযরত ইমাম মুহম্মদ হাসান আসকারী আলাইহিস সালাম

কখনো গ্রহণ করেননি দুনিয়া যদিও হাতের মুঠোয় সব নাজ-নিয়াম।

এই এগারো জন সকলেই করেছেন পর্দা হয়েছেন সবাই শহীদ

বাতিলের সাথে কখনো করেননি আপোস উনারা আহলে নবী সাইয়্যিদ।


হায়! ইতিহাস কেঁদে ফিরে আজ কেমনে হলেন শহীদ

যাঁহাদের তরে সৃষ্টি জগৎ উনারা কায়িনাতের সাইয়্যিদ।

রাজা-বাদশাহ আমীর উমরা ক্ষমতাসীনের প্রলোভন

কখনো করেননি গ্রহণ তাই বেদ্বীন মুনাফিক হয়েছে দুশমন।


দ্বাদশ ইমাম ইমামুল হাদী ওয়াল মাহদী হযরত ইমাম মুহম্মদ খলীফাতুল্লাহ আলাইহিস সালাম

যামানার শেষে বিলাদত শরীফ লাভ করে ইনছাফ করিবেন কায়িম।

হাল যামানার শ্রেষ্ঠ হাদী মোদের মামদূহ মুজাদ্দিদ আ’যম

যিনি সাইয়্যিদুল আসইয়াদ আহলে বাইত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম।


উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা; সাথে মুবারক আহালী ছামান

উনাদের তরে হই সবে ফানা করি মাল-জান কুরবান।

উনাদের রেযাতেই রেযায়ে নবী, রেযায়ে রব্বুল আলামীন

কামিয়াব হবে জিন-ইনছান যদি উনাদের তরে হয় বিলীন।

 শানে ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম

শানে ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম

জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ

 আহলে বাইত- জিন্দাবাদ

আওলাদে রসূল- জিন্দাবাদ

আলে রসূল- জিন্দাবাদ

মক্ববুল ইমাম- জিন্দাবাদ

ছিদ্দীক্ব, ছাদিক্ব- জিন্দাবাদ।


বেমেছাল শানে শানদার ইমামুস সাদিস

খোদার রাহে জীবন চালনায় হলেন নির্ভিক।

১২ ইমাম উনাদের অন্যতম স্মৃতির সোনালি খাতায়

হলেন তিনি আহলে বাইত রসূলী আওলাদ।


জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ

 আহলে বাইত- জিন্দাবাদ

আওলাদে রসূল- জিন্দাবাদ

আলে রসূল- জিন্দাবাদ

মক্ববুল ইমাম- জিন্দাবাদ

ছিদ্দীক্ব, ছাদিক্ব- জিন্দাবাদ।


ইলিম আমল ইখলাছে হলেন তিনি বেমেছাল

অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন এ ধরায় চিরকাল।

ছদিক্ব লক্ববে তিনি ভূষিত হন জাহানে

আউলিয়াদের গগনে হলেন জ্যোৎস্নার চাঁদ।


জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ

 আহলে বাইত- জিন্দাবাদ

আওলাদে রসূল- জিন্দাবাদ

আলে রসূল- জিন্দাবাদ

মক্ববুল ইমাম- জিন্দাবাদ

ছিদ্দীক্ব, ছাদিক্ব- জিন্দাবাদ।


ওলীয়ে কামিল হন, হন ইমাম উনাদের ইমাম

নূরে হলো মুখরিত এই ধরার তামাম।

যাহির আর বাতিনে হন সবার সেরা

সুনাম খ্যাতিতে তিনি হলেন আসাদ।



জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ

 আহলে বাইত- জিন্দাবাদ

আওলাদে রসূল- জিন্দাবাদ

আলে রসূল- জিন্দাবাদ

মক্ববুল ইমাম- জিন্দাবাদ

ছিদ্দীক্ব, ছাদিক্ব- জিন্দাবাদ।


ইমামে আ’যম উনার হন যে মুর্শিদ

সুলত্বানুল আরিফীনও হন না তা থেকে বায়ীদ।

ইমাম মালিক হলেন উনার একান্ত শিষ্য

সমকালীন আলিমদের হন হৃদী ফুয়াদ।


জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ

 আহলে বাইত- জিন্দাবাদ

আওলাদে রসূল- জিন্দাবাদ

আলে রসূল- জিন্দাবাদ

মক্ববুল ইমাম- জিন্দাবাদ

ছিদ্দীক্ব, ছাদিক্ব- জিন্দাবাদ।


উনার মুহব্বত হলো রসূল উনার মুহব্বত 

উনার বিরোধিতায় ফাটল রসূল উনার নিসবত।

আলে রসূল হলেন জাহানের সেরা নিয়ামত

ক্বদর না করিলে হবে ঈমান আমল বরবাদ।


জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ

 আহলে বাইত- জিন্দাবাদ

আওলাদে রসূল- জিন্দাবাদ

আলে রসূল- জিন্দাবাদ

মক্ববুল ইমাম- জিন্দাবাদ

ছিদ্দীক্ব, ছাদিক্ব- জিন্দাবাদ।

 বিখ্যাত মুহাদ্দিছ, অতি সম্মানিত মুহাক্কিক, হযরতুল আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কিতাবে এক আজীম দুয়া করে লিখেন.


 বিখ্যাত মুহাদ্দিছ, অতি সম্মানিত মুহাক্কিক, হযরতুল আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কিতাবে এক আজীম দুয়া করে লিখেন...


আয় আল্লাহ পাক!
আমার এমন কোন আমল নেই,
যা আমি আপনার মুবারক দরবারে পেশ করার উপযুক্ত মনে করি।
আমার সব আমলেই নিয়তের ত্রুটি রয়ে গেছে।
তবে... তবে একটিমাত্র আমল আছে,
যেটা আমি আপনার পবিত্র জাতের দয়ায়
অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাবান মনে করি।
আর সেটি হলো
আমি পবিত্র মীলাদ শরীফের মজলিসে,
ক্বিয়ামের সময় দাঁড়িয়ে,
মুহব্বতে পূর্ণ হৃদয়ে, ইখলাছ সহকারে,
আপনার হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবারে
ছলাত ও সালাম পেশ করি!
হে আল্লাহ পাক!
এই পৃথিবীতে কি এমন কোনো স্থান আছে
যেখানে মীলাদ মুবারক-এর চেয়ে
বেশি খায়ের বরকত নাযিল হয়?
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এই যে
এই আমল কখনোই বৃথা যেতে পারে না!
না! বরং নিশ্চয়ই,
আপনার পবিত্র দরবারে কবুল হবেই।
আর যে কেউ ছলাত-সালাম পেশ করবে,
এবং উহাকে ওসীলা বানিয়ে দুয়া করবে,
সে কখনোই মাহরূম হতে পারে না!
সে অবশ্যই কবুলযোগ্য।

সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
 কাঁদায় শুধু অন্তরে


 কাঁদায় শুধু অন্তরে

অন্তরে অন্তরে 

কাঁদায় শুধু অন্তরে


ইমামুছ ছালিছ শহীদ হলেন

ঐ কারবালার প্রান্তরে

এই হৃদয় বিদারক ইতিহাস

কাঁদায় শুধু অন্তরে


দেখ বে’ঈমান কুফাবাসী

করলো সব সর্বনাশী

ইমামজীকে আহবান করে

রইলো না ইমামজীর দ্বারে।


নবীজীর নছব করতে উজাড়

চায় ইয়াজিদ সৈন্য বারবার

ইয়াজিদের হুকুমে তারা

আহলে নবীদের শহীদ করে।


পানি পান করতে দেয় বাধা

ওদের কতো স্পর্ধা

চিনলো ওরা সাইয়্যিদজাদা

শিশু আছগর কাঁদেন অঝোরে।


আহলে নবী পানি পিপাসায়

কাতরান আহা কারবালায়

কে পানি দিবে কাফেলায়

কাফেররা রেখেছে ঘিরে।


বিরহ বেদনা সহ্য করে

রইলেন ফোরাতের তীরে

নানাজানের ইসলামী ঝা-া

রাখলেন উচুঁতে ধরে।


তরবারি হাতে ঘোড়ায় চড়ে

যুদ্ধে যান শির উচু করে

খতম করতে কাফিরদেরে

ইমামজী রসূলী নূরে।


ইমামজীকে কাফেররা ঘিরে

বৃষ্টির মত তীর মারে

কারবালা রক্তে রঞ্জিত

আহলে বাইত বন্দী শিবিরে।


আহলে নবী জান্নাতী ফুল

শহীদ হতে হন ব্যাকুল

ইলাহী করলেন কবুল

গেলেন দুনিয়া ছেড়ে।


-মুহম্মদ নূরুজ্জামান।

বেমেছাল স্মৃতিময় শানে কারবালা

বেমেছাল স্মৃতিময় শানে কারবালা

মু’মিনী দিল রয় বিলকুল উজালা

বেমেছাল স্মৃতিময় শানে কারবালা।


ত্যাগী মহিমায় উঠে ফুটে হাক্বীক্বত

খোদায়ী খায়ের হেথা হুরমত

ইনফাক্ব ফি ছাবীলিল্লাহ কেবল

আউওয়াল আখিরে শানে কারবালা।


মাল ছামান ফের জান ও কুরবান

উজার রহে হরদম সম্মান

লিল্লাহিয়াতেই চাহে ইহা কেবল

নূরী রুহু কামিয়াব শানে কারবালা।


ইমামুছ ছালিছ কামালে কামাল

যুগ যুগান্তরে তিনিই উজাল

যবিহুল্লাহ হয়ে রন তিনি কেবল

চমকেন হরদম শানে কারবালা।


ইমামী আহাল ছোহবতে উজার

ইলাহী ইশকে সবেই বেক্বারার

মাক্ববুলুল্লাহ উনারা কেবল

কায়িনাত জুড়ে শানে কারবালা।


হাবীবী লখতে জিগারী দেহেতে

চুমুতে ভরেন সোহাগী মুহব্বতে

মরু লালে লাল রহে যে কেবল

বিজয়ী বেশে শানে কারবালা।


ইমামুছ ছালিছী ক্বায়িম-মাক্বাম

মুজাদ্দিদ আ’যম মামদূহ আকরাম

জুলফিকারী হস্তে খলীফাতুল উমাম

তাগুত পরাস্ত শানে কারবালা।


-বিশ্বকবী মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।



 মুসলিমদের জাগাতে এলেন শহীদে কারবালা বারেবার


 
মুসলিমদের জাগাতে এলেন শহীদে কারবালা বারেবার


মুসলিমদের জাগাতে এলেন, শহীদে কারবালা বারেবার

দশই মুহররম জানায় মোদের 

সত্য পথেই রহিবার ॥


ভয়-ভীতি সব দূর করে, হুসাইনী জজবা বুকে ধরে

কাফির ইয়াজিদদের ধ্বংস করতে

আজীবন যে লড়িবার।ঐ


আহলে বাইতি খুনের বদলা, বলছেন এসে কারবালা

আহলে কারবালা মু’মিনের ঈমান

অবশ্যই করবো উদ্ধার।ঐ


দেখি ইয়াজিদের উত্তরসুরি, ওলামায় ছ’ু রা রাখছে ঘিরি

ইহুদী নাছারা তাদেরে দিয়ে

চাহে মুসলিমদের মারিবার।ঐ


ইমামুছ ছালিছী আওলাদ পেয়েছি, উনার ফায়েজে জজবা নিচ্ছি

তিনি মুজাদ্দিদ মাহদী

মুসলিম এসো লভিবার।ঐ


আহলে বাইতি ছোহবতে, আমরা আছি ঐক্যতে

ভাটা নেই মোদের হিম্মতে

মিটাই জালিমের অত্যাচার।ঐ


সাবধান সাবধান ইয়াজিদী পোষ্যরা, সাইয়্যিদী বীর রহেন খাড়া

কারবালার মুজাহিদ মোরা

ধারিনা তুগুতের ধার।ঐ


জামানার ইমাম মুজাদ্দিদ আ’যম পেয়ে উনারই করম

রাজারবাগ এসে লইছি জনম

কুখ্যাত ইয়াজিদরে মারিবার।ঐ


-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান



 শাহাদাতে কারবালার শান কায়িনাতে মহিয়ান



 শাহাদাতে কারবালার শান কায়িনাতে মহিয়ান


আশুরা ধন্য জাহানে রয় জারী আবাদান

শাহাদাতে কারবালার শান কায়িনাতে মহিয়ান


ইলাহী খাছ নিয়ামত আহলে বাইত সুমহান

বেমেছাল ইলাহী রহমত উনারাই ইনসানী ঈমান

ত্যাগের বিরল আমানত সাইয়্যিদী অনুদান।


আশুরা মিনাল মুহাররমে ওয়াক্বিয়া লাখো ভুবনে

রহে জারী আলমে প্রকাশিত আল কুরআনে

তবে কঠিন শোকের কাহিনী রহে কারবালায় বহমান।


নজির বিহীন ত্যাগের নিতী আহলে বাইত দেন ছবক

নিবো মুসলমান শিক্ষা হতে হলে আহলে হক্ব

দৃষ্টান্ত কেবল উনারাই জান ও মাল করেন কুরবান।


মুনাফিক ইয়াযীদের ভুমিকায় দুনিয়া উঠেছে কেঁদে

নির্দয়ী ঘৃন্য নজির ইতিহাসে রাখলো বেঁধে

মসনদের লোভে পরে তামাম করলো বিরাণ।


কঠিন মরুর ময়দানে তীব্র রোদের উত্তাপে

পানির প্রবল পিপাসায় আত্মা যে উঠে কেঁপে

তবুও আহলে বাইত সুন্নাহ জাগাতে শহীদান।


শুনুন বিশ্ব মুসলমান গড়ি মোরা ঐকতান

হটাতে কাফির গোষ্ঠিকে গ্রহি কারবালারই শান

তবেই বিজয় লভিতে মোরা রই আগুয়ান।


শুকরিয়া পেয়েছি মোরা মকবুল ইমামুল উমাম

খলীফাতুল উমামী ফায়েজে ছাহাবী হিম্মত তামাম

পারবো মোরা ইনশাআল্লাহ খিলাফত কায়িমে জাহান।


-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।



 ময়দানে কারবালারই ইতিহাস শুনি মুসলমান


 

ময়দানে কারবালারই ইতিহাস শুনি মুসলমান

ময়দানে কারবালারই

ইতিহাস শুনি মুসলমান

হুসাইনি মায়ায় মোদের প্রান

দূর্বারে রয় আগুয়ান ॥


ইতিহাস শুনি মুসলমান

ইতিহাস শুনি মুসলমান


হাজারো চিঠিতে কুফিয়ান

ইমামজীকে করে আহবান

জালিম ইয়াজিদ করে ছলনা

জুলুম করতে হটেনা

দেখ মুমিন মুসলমান

ইতিহাসের সত্য লিখন ॥


ইয়াজিদ আহলে নবীকে

কারবালায় রাখে আটকে

হায় পানিরও পিপাসায়

ইমাম পরিবার কাতরায়

পাশেই ফোরাতের পানি

ইয়াজিদ দেয়না করিতে পান ॥


হযরত ক্বাছীম বিন হাসান

জিহাদের মাঠে চলে যান

বীর বাহাদুর যুদ্ধেই গুলজার

বেঈমান নাশেন বেশুমার

কাফিরদের গুপ্ত হামলায়

শহীদী শরাব করিলেন পাণ ॥


ঐ নকশায়ে নবীর আকর

ইমামী আওলাদ আলী আকবার

জিহাদ করে কাফির হটান

ফিরে আসেন পিপাসায়

পানি বিনে হই হয়রান

আব্বু (একটু) পানি করেন দান ॥


শিশু ইমাম আছগর

পিপাসায় কাপছেন থরথর

শিশুর গলা যায় শুখে

আহা পানি নেই মুখে

পাষানদের তিরের আঘাতে

শিশু আজগর হন কুরবান ॥


হযরত ইমাম এবার

কাফিরের সাথে চান লড়িবার

দুশমন করুক বাহানা

যতই জুলুম যাতনা

দ্বীন ইসলাম জিন্দা করতে

যায় গর্দান দিবনা ঈমান ॥


বীর বেশে করেন জিহাদ

করিতে সুন্নাহর আবাদ

ইয়াজিদ বহিনী কুপকাত

হায় পিছন থেকে বজ্জাত

ইমাম পৃষ্ঠে মারে বল¬ম

কাঁপে জমিন ও আসমান ॥

ইমাম জমিনে পড়ে যান

শিমার কেটে নেয় গর্দান

কারবালার বালু লালে লাল

শহীদ রাসূলী দুলাল

করেন না বশ্যতা শিকার

শাহাদাতে চির মহিয়ান ॥


ইমামী বংশধর পেলাম

তিনি এই যামানার ইমাম

রাজারবাগ শরীফ উনার মাকাম

শুনো হে মুসলিম তামাম

তিনি মুযাদ্দিদ মেহমান

উনার ডাকে প্রস্তুত মুরিদান ॥


আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত

আল্লাহর জান্নাতি সওগাত

উলামায়ে ছূ’ ইয়াজিদ মারতে

মোদের আগমন ধরাতে

ইমামী খুনের বদলা নিতে

মামদুর সোহবতে হাজিরান ॥


-বিশ্বকবী মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।



 আশুরা দেয় জানায় শহীদে কারবালা

আশুরা দেয় জানায় শহীদে কারবালা

আশুরা দেয় জানায় শহীদে কারবালা

মু’মিনের অন্তরে ফের শোক যে দেয় দোলা।


সে দিন দেখা দেয় দয়াহীন কঠিন কিয়ামত

বিশাদের তুফান রাখছে যে রক্তের দুয়ার খোলা।


২রা মুহাররম ইমাম এলেন কুফার প্রান্তরে

বিরাশি জন ছফর সঙ্গী ছোহবতে উজ্বালা।


হিংসুক আর লোভি ইয়াজিদ করলো খারাপ ব্যবহার

সৈন্য পাঠায়ে রুখে দিল ইমামী পথ চলা।


হায় ফোরাতের তীর বন্ধ করে দিচ্ছেনা পানি

ঐ পানি বিনে কষ্টে ভোগেন পুরো কাফেলা।


ইয়াজিদ বাহিনী দিচ্ছে হুমকি করিবে গ্রেফতার

জলদি দিন স্বকৃত ইয়াজিদের খিলাফত বেলা।


বাতিল সনে করলেন না আপোষ সাইয়্যিদী ইমাম

জিহাদ করতে হন প্রস্তুত করেন না অবহেলা।


নানা জানের ইসলাম তরে জান সাথী গণ ময়দানে

একে একে হলেন শহীদ কাফেরদের মোকাবেলা।


ভাতিজা ছেলে সহ সকল আত্মীয় যুবক

বীরের ন্যায় করেন জিহাদ গ্রহেন শহীদী পেয়ালা।


ইমামুছ ছালিছ যান জিহাদে দুলদুলে চড়ে

মহাবীর স্থীর নহেন লড়েন উড়ায়ে ধুলা।


হায় পাষান্ত দীল শিমার সহ কুখ্যাত নরাধম

শহীদ করলো ইমামজীকে কাঁদায়ে কারবালা।


ইমামুছ ছালিছী আওলাদ হন মামদূহ মুজাদ্দিদ

খলিফাতুল উমাম স্বয়ং হয়ে উনার মুকাল্লিদ

এুরীদান নিয়ে নিবেন ইমামী খুনের বদলা।


-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান



পাক আশুরা

পাক আশুরা

পাক আশূরা পাক তাবারুক, মুবারক মুবারক,

এলেন প্রহর ঘুরেই বছর পবিত্র বরহক্ব।


খালিক্ব মালিক আল্লাহ তিনি করেই যে ইহসান,

ওই পাক আশূরা করলেন দান, পেলাম মুসলমান।


মহান খোদা দেন ফায়দা ভরপুর আশূরায়,

নাজ নিয়ামত নূরী রহমত দস্তুরে হুসনায়।


এই আশূরায় সৃষ্টি জগৎ কুদরতে সুবহান,

এই আশূরায় পূর্ণ করেন যমীন ও আসমান।


ফের আশূরায় দিলেন জানায় কঠিন ক্বিয়ামত,

ওই সপ্ত যমীন আসমানসহ নিস্তে ইযাফত।


লক্ষ-স্মৃতি লক্ষ প্রীতি পাক আশূরার কোলে,

উজ্জ্বল হয়ে রয় অক্ষয়ে অনন্ত মকবুলে।


প্রথম মানব প্রথম রসূল প্রথম কায়িনাতে,

তাশরীফ আনেন পাক আশূরায় স্মরণীয় হিসসাতে।


হযরত আদম আলাইহিস সালাম পাক আশূরায় তিনি,

হুকুমে ইলাহী এলেন গেলেন নন্দিত রয় বাণী।


মহাপ্লাবন হয়েই গেল আশূরার কোল ঘেঁষে,

আদ সামুদের দম্ভ যে রয় পুরোপুরি নিঃশেষে।


নবী ও রসূলী হাজারো ওয়াকিয়া আশূরা মঞ্চে ঘটে,

আজও ইতিহাস করছে প্রকাশ দীপ্তিতে রয় ফুটে।


কাহিনী আবাদ একটি বিশাদ পৃথিবী বক্ষ পেতে,

চলছে কাঁদায় আজিও ধরায় কষ্টের মুর্ছাতে।


সেই সে কাহিনী কারবালা ধ্বনি জাগ্রত জিন্দাহ,

পুরো কায়িনাত দেয় অভিশাপ উদগারে নিন্দাহ।


ওই ইসলামী রইছ ইমামুছ ছালিছ, কায়িমেই ইনছাফ,

আপন তপ্ত লহু দানিলেন জিয়াইতে আশরাফ।


ওই পৃথিবীবাসী শুনো হে আসি- ইমামুছ ছালিছী ডাক,

রব ও রসূলী কানুন ভুবনে রাখো হে পূর্ণ পাক।


সত্যের তরে করতে জিহাদ, ক্বীল-ক্বাল দাও ছেড়ে,

সত্য আসায় মিথ্যা পালায় বিশ্বাস করো ওরে।


-মুহম্মদ আবূ মুসাদ্দিক হুসাইন।



কারবালা বীর

কারবালা বীর


কোথা খিলাফত, কোথা হযরত ইমামুছ ছালিছী লহু?

কারবালার ওই আশিক দেখছি মেকি কান্নায় বহু।

কাট্টা কাফির ইয়াযীদ আমীর তাহার-ই পঙ্গপাল,

দ্বীন ইসলামী কর্তা সেজেই জুঝিতেছে ক্বীল-ক্বাল।


আহা! ইমামুছ ছালিছী ইশকে মাতাল লাখো জনতার ভীড়,

হায়! হাক্বীক্বী আশিক রহিছে আলীক্ব, সবে আজ অস্থির।

ওই কুফা চরিত্রে চরিত্রবান নামকাওয়াস্তে মুসলমান,

দেখি আহলে বাইতি স্বার্থের তরে মুখে মুখে কুরবান।


হায়! এলেই আঘাত প্রস্থান করে সুবিধাবাদীর দলে,

কাটলে বিপদ হৃদে গদ গদ, কারবালা শোক বলে।

মু’মিনী নিজাম রেখে অবিরাম ইয়াযিদী আস্তাকুঁড়ে,

শিয়ারা সাজছে কারবালা বীর মুজরিমী মন্তরে।


হুঁশিয়ার ওরে মুসলিম আজ চেয়ে দেখ চৌদিক,

তোমায় ঘিরে রাখছেই যারা, তারা হলো মুনাফিক।

কারাবালা শোকে মিছে ক্রন্দন দেখাচ্ছে বেঈমান,

তাহারা শিয়া ওহাবী খারিজী চিনো হে মুসলমান।


হাল যামানার কারবালা বীর খুঁজো হে সমঝদার,

কোথায় নকীব কোথায় আকিব সাকিবী সবিস্তার।

আজকে কঠিন তপ্ত জাহিলে ব্যাথিত যে কায়িনাত,

কাঁদো হে মু’মিন বলে হে আমীন, সুন্নতে মাক্বামাত।


ওই মাক্বামাত রন ইতয়াত মুজাদ্দিদ আ’যম যিনি,

আওলাদে রসূল আল কুরাইশ ইমামুল উমাম তিনি।

উনিই ইমাম শুনো হে আওয়াম, জাহানে তাশরীফান,

দানেন উনার তাছির জিন্দাহ আবির কারবালা ময়দান।


এই পনের শতক হিজরী সনে সোনার বাংলাদেশে,

শ্রেষ্ঠ আবিদ ওই মুজাদ্দিদ ছোহবত লও এসে।

তিনি ইমামুল উমাম দেন পয়গাম শহীদী বদলা নিতে,

ওই কারবালা কাল্ রাখেন উত্তাল মহারোবী মর্জিতে।


ওই নববী নকশা রাজারবাগ, কহি মারকাজে কারবালা,

হক ইতিহাস করি বিন্যাস রহিওনা পথভোলা।

ওরে বিশ্ব মু’মিন এক হয়ে যাই সকল দ্¦ন্দ্ব ত্যাগে,

কারবালা বীর হাক্বীক্বী পেতেই আসো হে রাজারবাগে।


-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।




 যবীহুল্লাহিল আকবর


 
যবীহুল্লাহিল আকবর


হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক মকবুলান,

হন আবু হাবীবী মহা গৌরবী জিন্দেগী সুমহান।


তিনি তো দীপ্ত স্মরণীয় ওই বরণীয় তাওয়ারীখ,

তিনি তো হাসিন বেমিছাল হাল জান্নাতী আখলিক।


যবীহুল্লাহিল আকবর তিনি জাহানে উচ্চে শির,

দ্বীনে হানীফের শাহান শাহ নূর ইছলাহী তাছবীর।


একশত উট হলো কুরবানী উনার বদৌলতে,

জগতী বক্ষে বিরলী লক্ষ্যে লিখা রহে ওয়াকিয়াতে।


পিতার পরম প্রিয় সন্তান খোদ খাজা আনওয়ার,

উনার মুবারক কপালে বিরাজ মাখলুকী সরওয়ার।


কত যে ঘটনা ঘটিছে উনার জিন্দেগী সংসারে,

কত নছীহত কত ইবরত চমকিছে দ্বীনদারে।


আল কালামী মৌসুমী নূর পাক খাজা তকদীরে,

খোদ খোদায়ী খবরে খুলুক কায়িনাতে উদগারে।


সেই নূরী খাজা হয়ে শানদার জাহানে জাহাঙ্গীর,

উনার সকাশে গুণীজন এসে পেয়ে যান স্বস্থির।


সেই সুমহান নূরী ভাগ্যবান মহামতী মেহমান,

দোসরা মুহররম বিছাল গ্রহেন দীদারীতে সুবহান।


মারহাবা ইয়া মারহাবা ইয়া আবু সাইয়্যিদুল মুরসালীন,

ছলাত ও সালাম জানাই কেবল অনন্তকাল মুসলিমীন।


-আল্লামা বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

শানে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম

শানে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম

 রসূলী খলীফা হাবীবে খোদা

খিদমতে ছিলেন সদা-সর্বদা

আহালি নিসবতে বেমেছাল নজির

নিসবত দানে করুন ফানা-বাক্বা

আসসালাম আসসালাম জামালুল আফওয়ান।

আসসালাম আসসালাম হামিলুল ক্বিবলাতাইন।

 

১৮ই যিলহজ্জ মুবারক বিছাল

দোজাহানে ঝরে রহমত বিপুল

ছহিবে সাখাওয়াত শানে মহীয়ান

সাখাওয়াতি হিস্সা দানে গোলাম বানান

আসসালাম আসসালাম সাইয়্যিদুল আছবার

আসসালাম আসসালাম ক্বয়িদুল আকবার।

 

সাইয়্যিদুল খুলাফা মামদূহজী ক্বিবলা

জারি করিলেন ছিফত-ছানা

নকশায়ে যুন নূরাইন শাহদামাদ ছানী

হাক্বীক্বী খিদমতে রাখুন দায়িমী

আসসালাম আসসালাম তাজিরুল আযম

আসসালাম আসসালাম হাদিউল উমাম।

 

-মুহম্মদ জুনায়েদুর রহমান ইবরাহীম।

যুন নূরাইনী খাজিনা


 
যুন নূরাইনী খাজিনা

 ওরে সালিকীন কোথা আশিকীন

শোনো হে মুসলিমীন,

যুন নূরাইনী খাজিনা লভিতে

বুঝে লও সমীচীন।

 

গনীয়ে আযম রহমে আলম

খলীফায়ে ছালিহীন,

তিনি ভাগ্যবান নূরে নূরীয়ান

 বেমিছাল কামিলীন।

 

সেই মুবারক শাহী তাবারুক

যামানার নূর গনী,

রাজারবাগ উদ্যান তিনি তাশরীফান

সুন্নতী মহাধনী।

 

তিনি মুর্শিদ শোনো হে আবিদ

ইয়াক্বীনী কর্ণ খুলে,

সেই মুর্শিদী দর্শনাদিই

হৃদয়ে রাখিও তুলে।

 

যতœ করিও আমলে বাড়িও

অবহেলা দাও ছেড়ে,

রতœ বুঝিও স্মরণে যুঝিও

নইলে রহিবে ফেরে।

 

-মুহম্মদ আবু মুবাশ্শির।

তৃতীয় খলীফা


তৃতীয় খলীফা


হযরত গনী আলাইহিস সালাম

আমীরুল মু’মিনীন,

তৃতীয় খলীফা, খলীফাতুল্লাহ

সহসা মকবুলীন।


তিনি মহামতী ইসলামী বাতি

রসূলী যুন নূরাইন,

তিনি ফক্বীহুদ্দীন ইনছাফে আসীন

ইমামুল মুসলিমীন।


তিনিই প্রথম করেন হিজরত

আন নূরুছ ছানীয়াসহ সুমহান,

করনে প্রচার আবসিনিয়ার প্রতি প্রান্তরে

ইসলামী আহবান।


বন ও পাহাড় গনগাঁও জুড়ে

কালিমার আওয়াজ শুনে,

হলো মুসলিম হাজার হাজার

দাওয়াতের মহাগুণে। 


র্সব জাহান ব্যাপীয়া উনার

মুবারক খিলাফত,

কায়িম রহিলো বারোটি বছর

গৌরবে শরাফত।


-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

 

  শানে কিবতিয়া আম্মাজি


 শানে কিবতিয়া আম্মাজি


আজি ছলাত সালাম ভেজি

শানে কিবতিয়া আম্মাজি।


মিশরের রাজপ্রাসাদ হতে এলেন

হাবীবী হুযরা পাকে

খিদমতে সারা জীবন ব্যয় করেন

ছড়ান নূর চারিদিকে

মহাসম্মানিত দ্বাদশ আম্মাজী।


১৩ই রবীউল আওয়াল শরীফে

ধরার বুকে আগমন 

ছানীয়া আশার উম্মুল মু’মিনীন 

উম্মার তরে মহাধন

কদমে হাজারো নিয়ামতরাজি।


খেদমত মুবারকে গ্রহণ করেছেন

আন নূরুর রবী উনাকে

মুহব্বতের আঁচলে জড়িয়ে নেন

হৃদয়ের বাকে বাকে

আপনার মীলাদে আমরা সাজি।


কাবা শরীফ হেরেম শরীফে হয়

আপনার শাহী বিচরন

আহলু বাইতি সম্মানিত স্তরে-ই

আপনার মাকাম আসন

এমনটাই কহিলেন আকাজি।


আখেরী যামানাতে ধরার বুকে

এসেছেন উম্মুল উমাম

যিনি হলেন কিবতিয়া আম্মাজির

হুবুহু কায়িম মাকাম

মোরা চাই উনার মুহতাজি।


-মুহম্মদ মাসঊদুর রহমান ফাহীম।

মাদানী অধ্যায়ে যাত্রা

 


মাদানী অধ্যায়ে যাত্রা 

ইস! মুসলিম যদি জানতো!

সারা কায়িনাত জুড়ে

ইসলামী ঝান্ডা উড়ে

যখনই ইলাহী আদেশ মানিতো ।।

 

উফ! খলীফাদের সেই স্বর্ণালী যুগ

বীর দর্পে, বাতিল তাড়িয়ে

এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে

বাতিলি আস্ফালন মিটিয়ে

সুন্নাহর আলো দিয়ে জ্বালিয়ে

জান্নাতী সুখ করেছিলেন উপভোগ ।।

 

কিন্তু হায়! মুসলমানের সেই ইতিহাস কোথায়?

হীনম্মন্যতা আর বাতিলি আস্ফালন

কোথায় ইতিহাস আর ঐতিহ্য ধারণ

ধীরে ধীরে যায় হারায় ।।

 

হে মুসলিম! শুন কুরআনী পয়গাম!

সকল বিধর্মীরা তোমাদের জাত শত্রু

ইহাই চির সত্য, অন্তরে গেঁথো

তাহলেই হবে তুমি সফলকাম

 

ইস! হায়! কোথায় সেই কুরআনী আমল

তাইতো বিধর্মীদের তোয়াজে মুসলিম সফল

ফলাফল! পদে পদে পাচ্ছে লাঞ্ছনা

হচ্ছে নির্যাতীত, নিপিড়িত, জুটে গঞ্জনা ।।

 

কিন্তু কাফির! জন্মের পরেই দেয় শিক্ষা

মুসলিম তোমার চির শত্রু নাও দিক্ষা

যেভাবেই হোক খাটিয়ে মেধা, মগজ

করতেই হবে মুসলিমি জান কবজ!

 

ইস! সংস্কৃতির নামে তারা পাতে ফাঁদ!

মুসলিম দিয়ে পা, হচ্ছে কুপকাৎ

কি ঈমান! আর কি আমল!!

কি পোশাক! কি অবয়ব!!

কুফরী রঙ মেখে হলো যে বরবাদ ।।

 

হায়! তাইতো দেখি আজ মুসলিম!

খাচ্ছে মার পৃথিবীর দিকে দিকে

জুলুম-নির্যাতনের ষ্ট্রীম রোলার

চালায় কাফের উদ্যিপনার হাঁকে ।।

 

মা-বোনদের যে করে মান-হানি

ইসলামী তাহযীব নিয়ে করে টানাটানি

তাদের সাহসের জিব বাড় বেড়েছে

টানতে হবে তাদের কুফরীর ঘানী।।

 

হে মুসলিম! কোথায়? এখনো ঘুম!!

উঠো! জাগো! দেখো! শুনো!

আকাশ-বাতাস চিরে, মাদানী কণ্ঠের হাঁক

ফের শান্তির উদ্যান গড়ার ডাক ।।

 

ওই এসেছেন! রাহবারে মুসলিম তামাম

আল মানছুর! তিনি খলীফাতুল উমাম!

 

দুনিয়ার প্রতিটি আনাচে-কানাচে

যত রয়েছে কাফির আর বেইমান

নিশ্চিহ্ন বিলিন করে অস্তিত্ব মিটাতে

বজ্র কণ্ঠে তিনি দিচ্ছেন আযান

 

হে মুসলমান! তোমার ধমনীতে বহমান

আসাদুল্লাহ’ (আলাইহিস সালাম) উনার খুন

খালিদ (রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু) উনার খুন

তারেক বিন যিয়াদ; মুসা বিন নুসাইর, মুহম্মদ বিন কাসীম

(রহমতুল্লাহি আলাইহিম) উনাদের খুন!

 

হে মুসলমান আজি নাও এই পণ!

মুসলিম ভাইয়ের প্রতি ফোটা রক্তের

বদলা নিতে প্রতিটি কাফির মেরে

বানাও তাদের জাহান্নামের ইন্ধন

 

আমীন!

 

-মুহী খান