পুরুষদের জন্য মহিলাদের বেশ ধারণ করা এবং মহিলাদের জন্য
পুরুষদের বেশ ধারন করা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়িয
পবিত্র দ্বীন ইসলাম এমন একটি দ্বীন যার মাঝে রয়েছে ইহকাল পরকালের সকল বিষয়ের সঠিক সমাধান। মুসলমানরা কি খাবেন, কি খাবেন না, কি পরবেন, কি পরবেন না সবই বিশদভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মাঝে বর্ণনা করা হয়েছে।
সকলেরই জানা আছে প্যান্ট -শার্ট হচ্ছে কাফির পুরুষদের পোশাক। এগুলো কোন মুসলমান পুরুষ বা মহিলার পোশাক না।
মুসলমান পুরুষরা পরবেন সুন্নতী কোর্তা,ইযার বা লুঙ্গী, সেলোয়ার, মাথায় সুন্নতী টুপি, পাগড়ী, রুমাল ইত্যাদি।
আর মুসলমান মহিলারা পরবেন ক্বমীছ, সেলোয়ার বা পাজামা, মাথায় বড় ওড়না। আর ঘর থেকে বের হলে পরবেন সুন্নতী বোরকা।
আর পুরুষদের জন্য মহিলাদের বেশ ধারণ করা এবং মহিলাদের জন্য পুরুষদের বেশ ধারণ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়িয।
যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا قَالَ لَعَنَ رسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْـمُتَشَبِّهِيْنَ مِنْ الرِّجالِ بِالنِّسَاءِ وَالْـمُتَشَبِّهَاتِ مِنْ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই সব মহিলাদের উপর অভিশাপ করেছেন যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে এবং সে সকল পুরুষদের উপর অভিশাপ করেছেন যারা মহিলাদের বেশ ধারণ করে। (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّجُلَ يَلْبَسُ لِبْسَةَ الْمَرْأَةِ وَالْمَرْأَةَ تَلْبَسُ لِبْسَةَ الرَّجُلِ.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই সব পুরুষের উপর অভিশাপ করেছেন, যে মহিলার পোশাক পরিধান করে এবং সে মহিলার উপর অভিশাপ করেছেন যে পুরুষের পোশাক পরিধান করে। নাউযুবিল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا قَالَ لَعَنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُخَنَّثِيْنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالْمُتَرَجِّلَاتِ مِنَ النِّسَاءِ .
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিজড়ার বেশ ধারণকারী পুরুষের উপর অভিশাপ করেছেন এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী নারীর উপর অভিশাপ করেছেন। (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَسَارٍ وَعَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلاَثَةٌ لَايَدْخُلُوْنَ الْـجَنَّةَ اَلْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ وَالدَّيُّوْثُ وَرَجُلَةُ النِّسَاءِ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াসার এবং হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না- (১) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (২) বাড়ীতে বেহায়াপনার সুযোগ প্রদানকারী দাইয়্যুস (৩) পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলা । (নাসাঈ শরীফ)
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قِيْلَ لِعَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ إِنَّ امْرَأَةً تَلْبَسُ النَّعْلَ فَقَالَتْ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلرَّجُلَةَ مِنَ النِّسَاءِ
অর্থঃ হযরত আবূ মুলায়কা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, বলেন, একদা হযরত উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনাকে বলা হল- একটি মেয়ে পুরুষের জুতা পড়ে। তখন হযরত উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুরুষের বেশধারী নারীর প্রতি অভিশাপ করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উপরোক্ত অকাট্য দলীল দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো- পুরুষদের জন্য মহিলাদের বেশ ধারণ করা এবং মহিলাদের জন্য পুরুষদের বেশ ধারণ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়িয।
মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আমাদের সবাইকে এ জঘন্য কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখুন এবং সবাইকে সঠিক ইসলামী জ্ঞান দান করুন আমীন!