আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ র্মুশদি ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক অভূতর্পূব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক-পর্ব-২১

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ র্মুশদি ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক অভূতর্পূব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক-পর্ব-২১

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনারা কত জন। এই বিষয়ে অনেক ইখতিলাফ রয়েছে। কেউ তিন জন বলেছেন, কেউ চার জন আবার কেউ বা এর কম বেশিও বলেছেন। আবার কেউ বা সাত জনও বলেছেন, যা একটা অবান্তর কথা। তবে অধিকাংশের মত ৩ জন ও ৪ জনের পক্ষে। কিন্তু কেউ নির্দিষ্ট কোনো সঠিক ফায়ছালা দিতে পারেন নি। আমরা এখানে সংক্ষেপে বিভিনড়ব মতগুলো তুলে ধরবো। উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষ যেন বুঝতে সক্ষম হয় যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই বিষয়ে কি বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফায়ছালা মুবারক প্রদান করেছেন।

কিতাবে যে মতগুলো উল্লেখ রয়েছে সংক্ষেপে সেগুলো হচ্ছে-





অর্থ: “তৃতীয় অধ্যায়- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা কত জন, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ এবং এই বিষয়ে ঐকমত্য ও ইখতিলাফ প্রসঙ্গে:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা মোট ৬ জন। এই বিষয়ে ঐকমত্য মত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমাস সালাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। আর চার জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত (মেয়ে) আলাইহিন্নাস সালাম। উনারা হচ্ছেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পেয়েছেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত হিজরত মুবারক করেছেন। এছাড়া অন্যদের ব্যাপারে ইখতিলাফ রয়েছে।

অতঃপর কেউ কেউ বলেছেন, উনারা ব্যতীত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আর কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিস সালাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেননি। যা প্রসিদ্ধ মতের খিলাফ।

হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরো দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমাস সালাম উনারা ছিলেন। উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম তিনি।

অতঃপর এই মতের ভিত্তিতে মোট যা দাঁড়ায় তা হলো- ৪ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম এবং ৪ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম।

আর হযরত যুবাইর ইবনে বাক্কার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যা ইমাম ত্ববারনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিক্বাহ রাবী উনাদের মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত আরো দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমাস সালাম উনারা ছিলেন। উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি। আর এটাই অধিকাংশ নসববীদ উনাদের অভিমত।আর হযরত ইমাম দারাকুত্বনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এটাই সর্বাধিক বিশুদ্ধ অভিমত এবং হযরত হাফিয আব্দুল গণী মাক্বদিসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই অভিমতটিকে ছহীহ বলেছেন। আর সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে ত্বইয়্যিব এবং ত্বাহির এই দুই নাম মুবারক-এ ডাকা হতো। কেননা তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীতই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম নামে আরো দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমাস সালাম উনারা ছিলেন।

আর এই মতের ভিত্তিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা দাঁড়ায় সর্বমোট ৫ জন।

আবার কেউ কেউ বলেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত মুত্বইয়্যাব আলাইহিস সালাম নামে দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমাস সালাম একই সাথে (জমজ) বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। অনুরূপভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত মুত্বহ্হার আলাইহিস সালাম নামে দুই জন আবনা’ আলাইহিমাস সালাম উনারাও একই সাথে বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। (যা একেবারে অবান্তর কথা) আর এই মতের ভিত্তিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা দাঁড়ায় সর্বমোট ১১ জন। অর্থাৎ ৭ জন সাইয়্যিদুনা হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম এবং ৪ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাত আলাইহিন্নাস সালাম।

হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্য সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রকাশের পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রকাশের পূর্বে দুধ মুবারক পানরত অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। আর এই কথা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। এই জন্য উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক রাখা হয়েছিলো সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম।

অতএব, বিভিন্ন মত থেকে আমাদের কাছে যা সুস্পষ্ট হলো, তা হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৪ জন। দুই জনের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি। আর ৫ জন উনাদের ব্যাপারে ইখতিলাফ রয়েছে। উনারা হচ্ছেন ১. হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম ২. হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম, ৩. হযরত মুত্বইয়্যাব আলাইহিস সালাম, ৪. হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম, ৫. হযরত মুত্বহহার আলাইহিস সালাম। আর সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত হচ্ছে- জুমহূর উনাদের অভিমত এই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৩ জন সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা হচ্ছেন ৪ জন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা ফাত্বিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি।” {সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ১১ তম খণ্ড ১৬ নং পৃষ্ঠা লেখক: ইমাম হযরত মুহম্মদ ইবনে ইঊসুফ ছালিহী শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৯৪২ হিজরী)}

আর হযরত ইমাম ইবনে আছীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৬০৬ হিজরী) তিনি বলেন-

قَدْ اِخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ فِىْ عَدَدِ اَوْلَدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ

الذُّكُوْرِ دُوْنَ الِْنَثِ فَقَالَ الْمُكْثِرُوْنَ اِنهَُّمْ كَانوُْا ثَمَانِيَةً اَرْبَعَةُ ذكُُوْرٍ

وَاَرْبَعُ اِنَثٍ وَقَالَ الْمُقِلُّوْنَ اِنَّ الِْنَثَ اَرْبَعٌ وَاَمَّا الذُّكُوْرُ فَثَلَثَةٌ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা কত জন- এই বিষয়ে হযরত উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মাঝে ইখতিলাফ রয়েছে। তবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের নিয়ে কোনো ইখতিলাফ নেই। অতঃপর অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অভিমত হচ্ছে- ৮ জন উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৪ জন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা ৪ জন। আর কমসংখ্যক উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অভিমত হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৩ জন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা ৪ জন।” (জামি‘উল উছূল লি ইবনে আছীর)

আর ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘আল ফিক্বহুল আকবর’-এর ইবারতের বরাত দিয়ে অনেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা ৩ জন প্রমাণ করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছেন। আবার অধিকাংশ তাফসীর বিশারদগণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা ৪ জন বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন হযরত আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’ উনার মধ্যে সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ উনার ৪০ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে উল্লেখ করেন-

فَاِنَّهٗ وُلِدَ لَهٗ حَضْرَتْ اَلْقَاسِمُ عَلَيْهِ السَّلَمُ وَحَضْرَتْ اَلطَّيِّبُ عَلَيْهِ السَّلَمُ

وَحَضْرَتْ اَلطَّاهِرُ عَلَيْهِ السَّلَمُ مِنْ حَضْرَتْ خَدِيْجَةَ عَلَيْهَا السَّلَمُ

فَمَاتُوْا صِغَارًا وَّوُلِدَ لَهٗ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَمُ مِنْ حَضْرَتْ مَارِيَةَ

الْقِبْطِيَّةِ عَلَيْهَا السَّلَمُ فَمَاتَ اَيْضًا رَضِيْعًا

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (৩ জন) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম- সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং শৈশবকালেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম

তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিইয়াহ ক্বিবত্বিইয়্যাহ আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পানরত অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন।” (তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ ৬/৪২৮)

আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ খাযিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে খাযিন শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,

كَانَ لَهٗ اَبْنَاءٌ حَضْرَتْ اَلْقَاسِمُ عَلَيْهِ السَّلَمُ وَحَضْرَتْ اَلطَّيِّبُ عَلَيْهِ

السَّلَمُ وَحَضْرَتْ اَلطَّاهِرُ عَلَيْهِ السَّلَمُ وَحَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَمُ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ ছিলেন (৪ জন-) সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা ত্বাহির আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি।” (তাফসীরে খাযিন ৩/৪২৯)

তবে মূল কথা হলো- অধিকাংশ ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৩ জন অথবা ৪ জন। তবে উনারা কেউ উনাদের মতের সপক্ষে অকাট্য কোনো দলীল পেশ করেননি এবং দলীলভিত্তিক ব্যাপক কোনো আলোচনাও করেননি। শুধু উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক বলে ইতি টেনেছেন। আর উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কে তো কোনো আলোচনাই করেননি। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মাস, দিন,তারিখ, সময় উল্লেখ করার তো প্রশড়বই উঠে না; এমনকি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার বছর, মাস, দিন, তারিখ, সময়ও উল্লেখ করেননি। (তবে সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত রয়েছে। যা একেবারেই সামান্য।) যার কারণে শত শত বছর ধরে এই ইখতিলাফ চলে আসছে। বর্তমানে যারা রয়েছে তাদের অধিকাংশের মত ৩ জনের পক্ষে।

এরূপ অনেক ইখতিলাফ রয়েছে। বিভিন্ন কারণে সব ইখতিলাফ এখানে তুলে ধরা অসম্ভব। আর এই সকল ইখতিলাফের কারণে বুঝে উঠা মুশকিল যে, প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা কত জন। না‘ঊযুবিল্লাহ! ফলশ্রুতিতে মুসলমানরা শত শত বছর যাবৎ এক বিশাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নি‘য়ামত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে আসছিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অসংখ্য-অগণিত শুকরিয়া যে, উনারা অত্যন্ত দয়া এবং ইহসান মুবারক করে উনাদের আখাছ্ছুল খাছ মনোনীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমাদের মাঝে প্রেরণ মুবারক করেছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযাইল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা দু’জন ব্যতীত সৃষ্টির সবারই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শায়েখ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত তায়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক উনার মাধ্যমে এবং উনাদের নিকট থেকে মহাসম্মানিত বিশেষ ইলিম মুবারক প্রাপ্ত হয়ে এই বিষয়ে এক অভূতপূর্ব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত সর্বোত্তম ফায়ছালা মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন সর্বমোট ৪ জন এবং তিনি উনার মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক উনার পক্ষে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অকাট্য প্রমাণ মুবারকও পেশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের বছর, মাস, দিন, তারিখ ও সময় মুবারক বর্ণনা করার মাধ্যমে এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছূরত মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ত্ববীয়ত মুবারক বর্ণনা করার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! সত্যই তা এক অভূতপূর্ব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক। যা তামাম কায়িনাতবাসীকে এমনকি সমস্ত মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদেরকে এবং সর্বযুগের সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে বিস্ময়াভিভূত করে তুলেছেন। সুবহানাল্লাহ! এভাবে এই বিষয়টি কেউ কখনো চিন্তাও করেননি। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির,আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মোট ৮ জন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৪ জন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা ৪ জন। এই হলেন মোট ৮ জন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময় মুবারক নিয়ে অনেকের অনেক ইখতিলাফ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা তাহক্বীক্ব করেছি। যমীনে প্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন কে? সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি নাকি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি। এ বিষয়েও অনেকের অনেক ক্বীল-ক্বাল রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন- ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম:

আমরা উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা’ শরীফ সকালে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন সাড়ে ২৭ বছর। তিনি দুনিয়ার যমীনে ২২ মাস অবস্থান মুবারক করেন। অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার) ভোর রাত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক প্রায় ২৯ বছর ৪ মাস। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে তিনিই সর্বাধিক সময় দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম:

আমরা উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের প্রায় ১১ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে জুমাদাল উখরা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ বা’দ ফজর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ২৯ বৎসর পার হয়ে ৩০ বৎসর চলতে ছিলেন আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৪৪ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৯ মাস ২০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার রাত্রে) উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিনা হযরত আবুল ‘আছ ইবনে রবী’ আলাইহিস সালাম) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত বয়স মুবারক ৯ বছর, ১১ মাস ১ দিন অর্থাৎ প্রায় ১০ মাস। আর তিনি ৮ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই মুহাররমুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) ইশরাকের ওয়াক্তে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি ৩০ বছর ৬ মাস ১৭ দিন ২ ঘন্টা দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে তিনিই সর্বাধিক সময় দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম:

আমরা উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম বলে থাকি। সুবহানাল্লাহ! তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল খমীস (বৃহষ্পতিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি দুনিয়ার যমীনে মাত্র ৭ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল আরবিয়া’ শরীফ (বুধবার) বা’দ আছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৩১ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম সময় দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম:

আমরা উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪ঠা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল আরবিয়া’ শরীফ (বুধবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি দুনিয়ার যমীনে মাত্র ৮ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। অতঃপর তিনি সাইয়্যিদু সইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল খমীস শরীফ (বৃহষ্পতিবার) চাশতের সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৩২ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা রুক্বাইয়্যাহ আলাইহাস সালাম:

আমরা উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ৭ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা রবী‘উছ ছানী শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৩৩ বছর আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৪৮ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৯ মাস ২০ দিনি পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই রবী‘উছ ছানী শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ (জুমু‘আহ্বার রাত্রে) উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ১০ বছর, ১৫ দিন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২য় হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই রমাদ্বান শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার) শেষ রাত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি দুনিয়ার যমীনে ২১ বছর ৫ মাস ১৫ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম:

আমরা উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম বলে থাকি।(সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) 

তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৫ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত্রে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৩৫ বছর আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৫০ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) ২য় হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ (জুমু‘আহ্বার রাত্রে) উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর তিনি ৯ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) বা’দ ফজর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি ২৬ বছর ৩ মাস ২৫ দিন দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা ম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ্ আলাইহাস সালাম:

আমরা উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,আন নূরুর রবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

 তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৩ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ সুব্হে ছাদিক্ব শরীফ উনার সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) ২য় হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার রাত্রে) উনার সাথে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ১৭ বছর, ৫ মাস, ১৫ দিন। আর তিনি ১১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) বা’দ আছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনি ২৬ বছর ২ মাস ১৩ দিন ১২ ঘন্টা দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যদিুনা মাওলানা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম:

আমরা উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম বলে থাকি। 

তিনি ৮ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ তথা জুমুয়াবার রাতে দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৬১ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি দুনিয়ার যমীনে ১৫ মাস ৮ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) অতঃপর তিনি ১০ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছূরত মুবারক সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক:

এই প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার এবং বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের দুজনের মহাসম্মানিত মুশাবাহাহ (সাদৃশ্যতা) মুবারক ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আর ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার এবং বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুর রবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের দুজনের মহাসম্মানিত মুশাবাহাহ মুবারক (সাদৃশ্যতা মুবারক) ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আর ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার এবং বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের চারজনের মহাসম্মানিত মুশাবাহাহ মুবারক (সাদৃশ্যতা মুবারক) ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের সাথে।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

সুতরাং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার এই অভূতপূর্ব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক প্রকাশ করার মাধ্যমে শত শত বছর ধরে জমে থাকা সমস্ত ইখতিলাফ মিটিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম এবং আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা হচ্ছেন মোট ৮ জন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা হচ্ছেন ৪ জন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা হচ্ছেন ৪ জন। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার এই মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক অনন্তকাল জারি থাকবেন। ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ এই বিষয়ে কোনো চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে পারবে না, টু শব্দ করতে পারবে না। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আমরা এই কথা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলদতী শান মুবারক প্রকাশ করার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার বছর, মাস, তারীখ, সময় উল্লেখ করেছেন এবং উনাদের মহাসম্মানিত ছূরত মুবারক বর্ণনা মুবারক করেছেন, পৃথিবীর কোনো কিতাবে কেউই তা উল্লেখ করেন নি এবং করতে পারেন নি। পৃথিবীর কেউ কখনো কোনো কিতাবে তা দেখাতেও পারবে না।

মূলত, এটা হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা একক মহাসম্মানিত আখাচ্ছুল খাছ খুছূছিয়াত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক। যা উনার বেমেছাল শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এর মাধ্যমেই প্রতিভাত হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক যে, তিনি প্রায় দেড় হাজার বছর পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক এনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার বছর, মাস, তারীখ, সময় উল্লেখ করলেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অথচ এর আগে এই বিষয়েই কেউ কোনো সুস্পষ্ট ও অকাট্য ফায়ছালা দিতেই সক্ষম হননি যে, প্রকৃতপক্ষে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা কত জন। বরং সকলে ইখতিলাফের মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। আর সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী এক আখাচ্ছুল খাছ সর্বশ্রেষ্ঠ ও বিশেষ নি‘য়ামত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে আসছিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই সমস্ত ইখতিলাফকে মিটিয়ে দিয়ে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে এক আখাচ্ছুল খাছ সর্বশ্রেষ্ঠ ও বিশেষ নি‘য়ামত মুবারক দানে ধন্য করলেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক, সেটা কি কেউ কখনো চিন্তা-কল্পনা করে মিলাতে পারবে? কস্মিনকালেও না। সুবহানাল্লাহ!

মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে বেমেছাল আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক তা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এক কথায় আমরা এতটুকুই বলতে পারি যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয়; তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একক ও অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম। তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা দুজন ছাড়া তিনি সবার মহাসম্মানিত শায়েখ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাই আমাদের জন্য ফরয হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনার মহাসম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনার মহাসম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা এবং উনাকে পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে অনুসরণ করে উনার জন্য সমস্ত কিছু কুরবান করে দেয়া। তবেই আমরা হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে পারবো।

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের সবাইকে কবূল করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুর্যূগী-সম্মান মুবারক আলোচনা করা বা পাঠ করার সম্মানিত ফযীলত মুবারক সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-২০

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুর্যূগী-সম্মান মুবারক আলোচনা করা বা পাঠ করার সম্মানিত ফযীলত মুবারক সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-২০

মাওলানা জালালুদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মছনবী শরীফ’ উনার ফযীলত বর্ণনা করতে যেয়ে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, “যারা ‘মছনবী শরীফ’ পাঠ করবেন, উনারা ওলীউল্লাহ না হলেও ‘মছনবী শরীফ’ পাঠ করা অবস্থায় উনাদের নামগুলো ওলীউল্লাহ উনাদের দফতরে লিখা থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!

আর দ্বিতীয় হাজারের মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মাকতূবাত শরীফ’ উনার ব্যাপারে বলেছেন, “কেউ যদি উনার সম্মানিত ‘মাকতূবাত শরীফ’ পাঠ করেন, ‘মাকতূবাত শরীফ’ পাঠ করা অবস্থায় নবী না হওয়া সত্ত্বেও উনার নাম ‘সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক’ উনার দফতরে লিখা থাকে।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাস উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা করলে, পাঠ করলে, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাওয়ানেহ্ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করলে, পাঠ করলে, বান্দা-বান্দী, উম্মত উনাদের নাম ‘ছমাদিয়াত’ উনার তবক্বায় লিখা থাকবেন।” সুবহানাল্লাহ!

কাজেই বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরয হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাস উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা করা, পাঠ করা, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাওয়ানেহ্ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করা, পাঠ করা। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)   মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কত জন সে বিষয়ে র্বণনা মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানয়িাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে ইতিহাসের একটি কুফরী দিক ও তার খণ্ডন মূলক জবাব-পর্ব-১৯

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কত জন সে বিষয়ে র্বণনা মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানয়িাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে ইতিহাসের একটি কুফরী দিক ও তার খণ্ডন মূলক জবাব-পর্ব-১৯

একটি বিষয় খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করা আবশ্যক যে, শুধু যাহিরী বা কিতাবী বর্ণনার দ্বারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ফায়ছালা দেয়া কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়টি এরূপ ঘটে থাকে যে, যাহিরী বা কিতাবী বর্ণনা এক রকম আর প্রকৃত বিষয়টি পুরো বিপরীত। কেননা, সীরাত, তারীখ, তাফসীর এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহগুলোতে অনেক ইজরাঈলী বর্ণনা ও বাত্বিলপন্থীদের রেওয়াতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যার কারণে শুধু কিতাবী বা যাহিরী বর্ণনা পড়ে ক্ষেত্র বিশেষ বিভ্রান্ত হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। এজন্য প্রয়োজন যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী দায়িমী দীদার ও তায়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

আর এই বিষয়ে সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক-এ অধিষ্ঠিত হচ্ছেন, ছাহিবু ইলমিল আউওয়ালি ওয়াল ইলমিল আখিরি, ক্বইয়ূমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! নিম্নক্তো সম্মানিত ওয়াক্বেয়া মুবারকসমূহ দ্বারা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে-

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার পূর্বে (১৪৩৩ হিজরী শরীফ-এ)। আমাকে দেখানো হচ্ছিলো, দেখলাম সরাসরি সাক্ষাৎ মুবারক হলো যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে। তিনি আমাকে অনেক বড় বড় লেখকদের কতোগুলো আরবী বড় বড় কিতাব দেখালেন। এর মধ্যে অনেক ইবারত, অনেক ভুল। এখন যিনি খ¦ালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখাচ্ছেন, আমি চিন্তা করলাম যে, সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আমাদের তো নিসবত নেই। আমাদের নিসবত তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে। এটা কেমন! তখন সাথে সাথে দেখলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উপস্থিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, হ্যাঁ; তিনি খালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক। এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখাচ্ছেন এবং দেখালেন কতগুলো অনেক বড় বড় কিতাব, আরবী বড় বড় ইবারত। এখানে তারা যে লিখেছে একটাও শুদ্ধ না। একটাও শুদ্ধ না, অধিকাংশগুলোতে ভুল আছে। এরা বুঝতে পারে নাই, হাক্বীক্বতটা বুঝে নাই। আমাকে একখানে নিয়ে গেলেন। ঐ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা-

یٰۤاَیُّہَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَ تُحِلُّوْا شَعَآئِرَ اللهِ وَلَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ وَلَ الْهَدْىَ

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার যে, হাক্বীক্বতটা, মাক্বামটা ওখানে আমাকে নিয়ে গেলেন। সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক বড় কামরা, রুম। এটা ইলিম মুবারক-এ পরিপূর্ণ। এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বত, তা’যীম-তাকরীমের বিষয়টা। এরপর বললেন যে, এই যে, এতো হাদীছ, তাফসীর যে লেখা হয়েছে- সব কিছু রসম-রেওয়ায এবং অধিকাংশ হচ্ছে পুঁথিগত বিদ্যা, কপি করা। এরপর অনেক সম্মানিত ইলিম উনাদের একটা বড় মাক্বাম দেখালেন যে, উনার কোনো কুল-কিনারা নাই। এরপর অপর এক জায়গায় আমাকে আবার নিয়ে আসলেন। একটা জিনিস দেখানো হলো, একটা কোণার মধ্যে, অল্প একটু জায়গার মধ্যে দুনিয়ার সমস্ত কিতাব যা আছে, দুনিয়ার যত কিতাব যা লিখা হয়েছে- সমস্ত কিতাবগুলির হাক্বীক্বতটা এক কোণার মধ্যে, অল্প একটু। আর যিনি খ¦ালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের যে সম্মানিত ইলিম মুবারক অনেক অসীম! সুবহানাল্লাহ! (মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনাদের সেই সম্মানিত অসীম ইলিম মুবারক দেখিয়েছেন এবং সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে উনার পক্ষে ‘মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের যে সম্মানিত ইলিম মুবারকটা অনেক অসীম!’ এ বিষয়টি বর্ণনা করা সহজ এবং সম্ভব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!) কাজেই, এই যে, ইলিম যা প্রকাশ করা হচ্ছে, যা বিন্দু থেকে বিন্দুতম। যেটা আমরা বলি, এটা হলো সেটা। হাক্বীক্বত খুব কম এবং অনেক বইয়ের মধ্যে অনেক ভুল। হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের শান মুবারক-এ লেখা যেগুলো আছে, অনেক গলদ আছে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের সম্পর্কে অনেক অনেক বড় বড় আলিম-উলামা উনারা অনেকে অনেক তাফসীর, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহ লিখেছেন, কিন্তু অনেক গলদ। এ সমস্ত বিষয়গুলো গ্রহণ করা যাবে না।

এরপর কতোগুলো বিষয় জানার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম এবং বললাম তাহলে এ রকম হলো কেন? উনারা বললেন যে, প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা হচ্ছে, এটা যার যার মাক্বামের সাথে সম্পৃক্ত। যিনি যেই স্তরে পৌঁছেছেন, যতটুকু বুঝেছেন, ততটুকুই লিখেছেন। হাক্বীক্বত এই লেখাগুলো কোনোটাই পূর্ণ না। পূর্ণ হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ। এখন বুঝ বা সমঝ পূর্ণ হবে উনারা যদি বুঝান। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যদি বুঝান তাহলে বুঝ বা সমঝ পূর্ণ হবে। তাছাড়া পূর্ণ হবে না।” সুবহানাল্লাহ!

মূলত, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনাদের পরিপূর্ণ অসীম ইলিম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের হাক্বীক্বী ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে যাচ্ছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যেখানে বাত্বিল ফিরক্বার লোকেরা এবং হক্বপন্থী দাবীদাররা অনেক বড় বড় তাফসীরে, বড় বড় কিতাবে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহগ্রন্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক উনার খিলাফ নানা কুফরীমূলক বক্তব্য পেশ করেছে, সেখানে মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের বিষয়টি স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে যাচ্ছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-

اَخْبِرْنِىْ عَنِ الِْحْسَانِ قَالَ اَنْ تَعْبُدَ اللهَ كَاَنَّكَ تَرَاهُ فَاِنْ لّمْ تَكُنْ تَرَاهَُ فَاِنَّهٗ يَرَاكَ

অর্থ: “আমাকে ইহসান সম্পর্কে সংবাদ দিন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তুমি এমনভাবে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ইবাদত মুবারক করো, যেন তুমি উনাকে দেখতে পাচ্ছো। আর যদি তুমি উনাকে দেখতে না পাও, তবে (ধারণা করো যে) তিনি তোমাকে দেখছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)

অর্থাৎ সম্মানিত ইহ্সান মুবারক উনার দুইটি দরজা মুবারক - 

১. যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখে দেখে সম্মানিত ইবাদত বন্দেগী মুবারক করতে হবে। 

২. যদি তা (দেখে দেখে) সম্ভব না হয়, তাহলে ধারণা করতে হবে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে দেখছেন। দায়িমীভাবে এই দুইটি অবস্থার যে কোনো একটি অবস্থা থাকতে হবে। সুবহানাল্লহ!

আর দায়িমী হুযূরী বলতে যেটা বুঝায়- সেটা হচ্ছে, সবসময় যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখে দেখে ইবাদত-বন্দেগী করা। সুবহানাল্লাহ! আর ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে তো হুযূরী থাকবেই, তবে নামায উনার মধ্যে বিশেষ হুযূরী থাকবে। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দায়িমীভাবে দেখে দেখে সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী মুবারক করতে হবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে হুযূরী পূর্ণতায় পৌঁছবে, অন্যথায় কস্মিনকালেও হুযূরী পূর্ণতায় পৌঁছবে না।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৩৯ হিজরী শরীফ উনার ২৩শে রমাদ্বান শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার রাতে) সম্মানিত তারাবীহ নামায এবং মক্ববূল মুনাজাত শরীফ শেষে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজ আমি যখন সম্মানিত ‘ঈশার নামায উনার সম্মানিত নিয়ত মুবারক করলাম, তখন দেখলাম যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম উনার বিশেষ যিয়ারত মুবারক করালেন। সুবহানাল্লাহ! সবসময় তো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের সম্মানিত যিয়ারত মুবারক রয়েছে, তবে এটা বিশেষ যিয়ারত মুবারক। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত রুকু ও সম্মানিত সিজদাহ মুবারক উনার তাসবীহ্ মুবারকগুলো নিয়ন্ত্রণ মুবারক করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

স্বাভাবিকভাবে যদি ধরা হয়, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পুরো বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি। এরপরে হচ্ছেন বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৩৯ হিজরী শরীফ উনার ১৯শে যিহজ্জ শরীফ লাইলাতুল জুমুয়াহ্ শরীফ ইরশাদ মুবারক করেন “গত জুমুয়ায় (১২ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘য়াহ্ শরীফ) আমি যখন জুমুয়ার আলোচনা মুবারক ও খুতবা মুবারক শেষ করে সম্মানিত নামায মুবারক শুরু করবো, সে মুহূর্তে আমি দেখতে পেলাম যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকে। সুবহানাল্লাহ! তিনি সরাসরি যাহির হয়ে আমাকে বললেন, আজকে যে আলোচনা মুবারক হয়েছে, এই আলোচনা মুবারক উনার কারণে আসমানবাসী-যমীনবাসী সকলে খুশি হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মু আবীহা, খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নিসবত মুবারক উনার বিষয়টি এতো সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, এটা কিন্তু আর কখনও করা হয়নি (ইতিপূর্বে আর কেউ করেনি)। সুবহানাল্লাহ! তিনি অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক করে আমাকে ধরে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মালাহাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কপাল মুবারক-এ) একটা বুছা মুবারক দিলেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ জুমু‘আহ্ শরীফ-এ আলোচনা মুবারক উনার শুরুতে ইরশাদ মুবারক করেন, “গত ১ সপ্তাহ আমি রূহানীভাবে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম) উনাদের সাথে যে (বিশেষ) নিসবত মুবারক, ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছিলাম, এক সেকেন্ডের তরে আমি জুদা হয়নি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কাজেই, উনাদের তরফ থেকে যেই ইল্মে লাদুননী মুবারক যাহির হচ্ছেন, সেখান থেকে সে বিষয়টি সংগ্রহ করা।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে, আখাছ্ছুল খাছভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, তা এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! তিনি দায়িমীভাবেই উনাদের হাক্বীক্বী দায়িমী দীদার মুবারক-এ, তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক-এ মশগূল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

এখন বলার বিষয় হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলইহিন্নাস সালাম উনারা মোট কতো জন ছিলেন- এ নিয়ে কিতাবাদিতে অনেক ইখতিলাফ রয়েছে। কেউ বলেছেন- ৯ জন, কেউ বলেছেন- ১০ জন, কেউ বলেছেন- ১১ জন, কেউ বলেছেন- ১৫ জন, কেউ বলেছেন- ১৯ জন। এরকম নানা মত রয়েছে।

শুধু তাই নয়; অতি দুঃখ ও আফসোসের বিষয় হচ্ছে- সীরাত, তারীখ, তাফসীর ও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহগুলোতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বিষয়টি সঠিকভাবে সনিড়ববেশিত হয়নি। না‘ঊযুবিল্লাহ! বর্ণনাকারীরা ইযরাঈলী বর্ণনার দ্বারা বিষয়টিকে এলোমেলো করে ফেলেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত, সে বিষয়টি তারা উপলব্ধি করতে পারেনি। না‘ঊযুবিল্লাহ! উনাকে তারা দাসী হিসেবে সাব্যস্ত করার কোশেশ করেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যার কারণে নাস্তিক ও বাতিল পন্থীরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার খিলাফ নানা কুফরীমূলক বক্তব্য পেশ করে যাচ্ছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

আমরা ধরে নেই যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কতো জন- এ বিষয়ে ৫টি বা ১০টি মত রয়েছে। তাহলে ৫টি বা ১০টি মত কি কখন ও একসাথে শুদ্ধ হতে পারে? না, হতে পারে না। এতোগুলো বর্ণনা কিতাবে বর্ণিত রয়েছে। তাহলে প্রকৃতপক্ষে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা কতো জন- এটা একজন মানুষ কিভাবে ফায়ছালা করবে? যাহিরীভাবে বা কিতাবের বর্ণনা দ্বারা এ বিষয়ে সঠিক ফায়ছালা প্রদান করা ক্বিয়ামত পযর্ন্ত কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। বরং ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। এখন কেউ যদি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের দীদার মুবারক-এ দায়িমীভাবে মশগূল থাকেন, শুধু উনার পক্ষেই প্রকৃত বিষয়টি বর্ণনা করা সহজ এবং সম্ভব। সুবহানাল্লাহ! অন্যথায় কস্মিনকালেও সম্ভব নয়।

আর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু দায়িমীভাবেই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী দায়িমী দীদার মুবারক, তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক-এ মশগূল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে একমাত্র উনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা প্রকৃতপক্ষে কত জন এ বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ ফায়াছালা মুবারক প্রদান করা। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি সমস্ত ইখতিলাফ মিটিয়ে দিয়ে ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা হচ্ছেন- মোট ১৩ জন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়; তিনি উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার বছর, মাস, দিন, বার ও তারীখ মুবারকও বর্ণনা মুবারক করেছেন এবং উনাদের মধ্যে কার পরে কে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন, কে কতো বছর কতো মাস কতো দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার দআনজাম মুবারক দিয়েছেন এবং কে কতো বছর, কতো মাস, কতো দিন দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেছেন প্রত্যেকটি বিষয় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা মুবারক করেছেন। এতো নিখুঁত বর্ণনা মুবারক, যেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, ১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকμম মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়াহ্ ক্বিবত্বিয়াহ্ আলাইহাস সালাম) তিনি হচ্ছেন ‘আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার তথা ১২তম’। এজন্য উনাকে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম’ বলা হয়। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালত মুবারক প্রকাশের ২ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউয়াল শরীফ) সম্মানিত ও পবিত্র ইয়াওমুল জুমু‘য়াহ্ শরীফ-এ মিশরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! ৭ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতু ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ তথা সোমবার রাতে) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ২০ বছর ১১ মাস ১১ দিন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ৪ বছর ১৮ দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর তিনি ১৬ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৬ই মুহররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে মোট ২৯ বছর ১০ মাস ৩ দিন সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই নিখুঁত বর্ণনা মুবারক দ্বারা দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, নি:সন্দেহে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মোট ১৩ জন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের অর্ন্তভুক্ত তো অবশ্যই এবং তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! যারা উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম হিসেবে উল্লেখ করেনি, তারা অবশ্যই অবশ্যই ভুল করেছে। তারা হাক্বীক্বতটা বুঝতে পারেনি; বরং ইজরাঈলী রেওয়ায়েত দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

কাজেই, এতো নিখুঁত ও সুস্পষ্ট বর্ণনা মুবারক এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ ফায়ছালা মুবারক পাওয়ার পরেও যারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে দাসী বলবে, না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক নিয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে, না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী তারা সবচেয়ে বড় কাট্টা কাফির, চিরজাহানড়বামী, চিরমাল‘ঊন, চিরমাল‘ঊন, চিরমাল‘ঊন। তারা যদি মুসলমান বা ঈমানদার দাবি করে, তাহলে তাদের উপর মুরতাদের হুকুম বর্তাবে এবং মুরতাদের শাস্তিও বর্তাবে এবং তাদের প্রাপ্য হলো চির লা’নত ও চির জাহানড়বাম। আর যদি কাফির হয়, তাহলে তারা তাদের কুফরীকে আরো বৃদ্ধি করলো। তাদের শাস্তিও মৃত্যুদ-। তাদেরও প্রাপ্য হলো চির লা’নত ও চির জাহানড়বাম। তারা ইবলীসের ন্যায়; বরং ইবলীসের চেয়েও চরম মাল‘ঊন। তাদের প্রত্যেককেই লা’নাতুল্লাহি আলাইহি বলা ফরয, ফরয এবং ফরয। সুবহানাল্লাহ!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহি মুস সালাম  উনাদরেকে মহাসম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদব মুবারক শিক্ষা দান-পর্ব-১৮

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহি মুস সালাম  উনাদরেকে মহাসম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদব মুবারক শিক্ষা দান-পর্ব-১৮

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَلِِّٰ الَْسْمَاءُ الْحُسْنٰى فَادْعُوْهُ بِهَا

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম তথা লক্বব মুবারক রয়েছে, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম তথা লক্বব মুবারক দ্বারা আহ্বান করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আ’রাফ শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ১৮০)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বা ব্যাখ্যায় বর্ণিত রয়েছে,

وَلِلرَّسُوْلِ الَْسْمَاءُ الْحُسْنٰى فَادْعُوْهُ بِهَا

অর্থ: “এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম তথা লক্বব মুবারক রয়েছে, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম তথা লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করো।” সুবহানাল্লাহ!

এবং ঠিক একইভাবে

وَلَِهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَْسْمَاءُ الْحُسْنٰى فَادْعُوْهُ بِهَا

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাঁরা মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম তথা লক্বব মুবারক রয়েছে, তোমরা উনাদেরকে সেই সম্মানিত নাম তথা লক্বব দ্বারা সম্বোধন করো।” সুবহানাল্লাহ!

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদেরকে, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দিয়ে মহাসম্মানিত সম্বোধন করাটাই উত্তম, শ্রেষ্ঠ, আদব এবং ফযীলত লাভের কারণ ও সুনড়বাত মুবারক। তবে মাঝে মাঝে উনাদের নাম মুবারক উচ্চারণ করা যেতে পারে উনাদেরকে স্পষ্ট করে বুঝানোর জন্য। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদেরকে সাধারণ মানুষের মতো সাধারণভাবে সম্বোধন করা চরম বেআদবী, এমনকি তা জাহানড়বামী হওয়ার কারণ হতে পারে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

তাই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদব মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন। যা ইতিহাসে নযীর বিহীন এক অনন্য বেমেছাল অভুতপূর্ব চির বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘটনা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! ইতিপূর্বে কেউ এটা কেউ কখনও চিন্তা-কল্পনাও করেনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার আদব মুবারক-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় মূল ইসম বা নাম মুবারক যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করতে হবে-

* সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,

* সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

* যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হাযির-নাযির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ ‘আলাল গ্বইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি অন্তরের অন্ত:স্থলের খবর রাখেন সেই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

* সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

* নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার আদব মুবারক-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় মূল ইসম বা নাম মুবারক যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করতে হবে 

সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম

 আবূ রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম 

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম 

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু”মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার আদব মুবারক-

ক্রমিক নং-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় মূল নাম বা ইসম মুবারক যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করতে হবে-

১.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদিজাহ আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম

২. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাওদাহ আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম

৩.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ‘আয়িশাহ্ আলাইহাস সালাম - উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দিক্বাহ্ আলাইহাস সালাম

৪.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাফছাহ্ আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবিয়াহ ইবনাতু আবিহা আলাইহাস সালাম

৫.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে খুযায়মাহ্ আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল খমিসাহ্ উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম

৬.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু সালামাহ্ বিনতে আবি উমাইয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম

৭.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহ্শ আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘য়াহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম

৮.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত জুওয়াইরিয়াহ্ বিনতে হারিছ আলাইহাস সালাম -উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছামিনাহ্ আলাইহাস সালাম

৯.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত রায়হানাহ্ বিনতে শামউন আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত তাসি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম

১০.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ্ বিনতে হুইয়াই ইবনে আখত্বব আলাইহাস সালাম - উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম

১১.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ্ বিনতে আবু ছুফিয়ান আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম

১২.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়াহ্ কিবতিয়াহ্ আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম

১৩.উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মাইমূনাহ্ বিনতে হারিছ আলাইহাস সালাম- উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবানউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার আদব মুবারক-

ক্রমিক নং-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় মূল ইসম বা নাম মুবারক যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করতে হবে-

১.সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম

২.সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম

৩.সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম

৪.সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম

৫.সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম

৬.সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম

৭.সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ্ আলাইহাস সালাম

আন নূরুর রবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম

৮.সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাফাদাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত সম্বোধন করার আদব মুবারক-

ক্রমিক নং-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় মূল ইসম বা নাম মুবারক যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করতে হবে-

১.সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমামাহ্ আলাইহাস সালাম

সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যুন নূর আলাইহাস সালাম

২.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আল আউওয়াল আলাইহিস সালাম

৩.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আছ ছানী আলাইহিস সালাম

৪.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম

৫.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

৬.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

৭.সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম

সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতুল ঊলা লি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহাস সালাম

৮.সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম

সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু ছানিয়াহ লি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহাস সালাম

৯.সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম

সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু ছালিছাহ্ লি কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহাস সালাম

১০.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মুহ্সিন আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আছ ছালিছ আলাইহিস সালাম

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার আদব মুবারক-

অপর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হলো:-

ক্রমিক নং-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় মূল ইসম বা নাম মুবারক যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করতে হবে-

১.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী ইবনে আবী ত্বালিব আলাইহিস সালাম

ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম

২.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

৩.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

৪.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী আওসাত্ব (যাইনুল আবিদীন) আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

৫.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম বাক্বির আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

৬.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

৭.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

৮.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী রেযা আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

৯.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মুহম্মদ তক্বী আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

১০.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী নক্বী আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল ‘আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

১১.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আসকারী আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল হাদী ‘আশার মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

১২.সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী ‘আশার মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে এরূপ সর্বোচ্চ আদব মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন। যা ইতিপূর্বে কেউ কখনো চিন্তা-কল্পনাও করেনি। তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!