আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ র্মুশদি ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক অভূতর্পূব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক-পর্ব-২১

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ র্মুশদি ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক অভূতর্পূব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক-পর্ব-২১

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনারা কত জন। এই বিষয়ে অনেক ইখতিলাফ রয়েছে। কেউ তিন জন বলেছেন, কেউ চার জন আবার কেউ বা এর কম বেশিও বলেছেন। আবার কেউ বা সাত জনও বলেছেন, যা একটা অবান্তর কথা। তবে অধিকাংশের মত ৩ জন ও ৪ জনের পক্ষে। কিন্তু কেউ নির্দিষ্ট কোনো সঠিক ফায়ছালা দিতে পারেন নি। আমরা এখানে সংক্ষেপে বিভিনড়ব মতগুলো তুলে ধরবো। উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষ যেন বুঝতে সক্ষম হয় যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই বিষয়ে কি বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফায়ছালা মুবারক প্রদান করেছেন।

কিতাবে যে মতগুলো উল্লেখ রয়েছে সংক্ষেপে সেগুলো হচ্ছে-





অর্থ: “তৃতীয় অধ্যায়- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা কত জন, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ এবং এই বিষয়ে ঐকমত্য ও ইখতিলাফ প্রসঙ্গে:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা মোট ৬ জন। এই বিষয়ে ঐকমত্য মত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমাস সালাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। আর চার জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত (মেয়ে) আলাইহিন্নাস সালাম। উনারা হচ্ছেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পেয়েছেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত হিজরত মুবারক করেছেন। এছাড়া অন্যদের ব্যাপারে ইখতিলাফ রয়েছে।

অতঃপর কেউ কেউ বলেছেন, উনারা ব্যতীত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আর কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিস সালাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেননি। যা প্রসিদ্ধ মতের খিলাফ।

হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরো দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমাস সালাম উনারা ছিলেন। উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম তিনি।

অতঃপর এই মতের ভিত্তিতে মোট যা দাঁড়ায় তা হলো- ৪ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম এবং ৪ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম।

আর হযরত যুবাইর ইবনে বাক্কার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যা ইমাম ত্ববারনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিক্বাহ রাবী উনাদের মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত আরো দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমাস সালাম উনারা ছিলেন। উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি। আর এটাই অধিকাংশ নসববীদ উনাদের অভিমত।আর হযরত ইমাম দারাকুত্বনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এটাই সর্বাধিক বিশুদ্ধ অভিমত এবং হযরত হাফিয আব্দুল গণী মাক্বদিসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই অভিমতটিকে ছহীহ বলেছেন। আর সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে ত্বইয়্যিব এবং ত্বাহির এই দুই নাম মুবারক-এ ডাকা হতো। কেননা তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীতই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম নামে আরো দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমাস সালাম উনারা ছিলেন।

আর এই মতের ভিত্তিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা দাঁড়ায় সর্বমোট ৫ জন।

আবার কেউ কেউ বলেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত মুত্বইয়্যাব আলাইহিস সালাম নামে দুই জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমাস সালাম একই সাথে (জমজ) বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। অনুরূপভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত মুত্বহ্হার আলাইহিস সালাম নামে দুই জন আবনা’ আলাইহিমাস সালাম উনারাও একই সাথে বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। (যা একেবারে অবান্তর কথা) আর এই মতের ভিত্তিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা দাঁড়ায় সর্বমোট ১১ জন। অর্থাৎ ৭ জন সাইয়্যিদুনা হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম এবং ৪ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাত আলাইহিন্নাস সালাম।

হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্য সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রকাশের পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রকাশের পূর্বে দুধ মুবারক পানরত অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। আর এই কথা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। এই জন্য উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক রাখা হয়েছিলো সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম।

অতএব, বিভিন্ন মত থেকে আমাদের কাছে যা সুস্পষ্ট হলো, তা হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৪ জন। দুই জনের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি। আর ৫ জন উনাদের ব্যাপারে ইখতিলাফ রয়েছে। উনারা হচ্ছেন ১. হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম ২. হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম, ৩. হযরত মুত্বইয়্যাব আলাইহিস সালাম, ৪. হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম, ৫. হযরত মুত্বহহার আলাইহিস সালাম। আর সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত হচ্ছে- জুমহূর উনাদের অভিমত এই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৩ জন সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা হচ্ছেন ৪ জন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা ফাত্বিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি।” {সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ১১ তম খণ্ড ১৬ নং পৃষ্ঠা লেখক: ইমাম হযরত মুহম্মদ ইবনে ইঊসুফ ছালিহী শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৯৪২ হিজরী)}

আর হযরত ইমাম ইবনে আছীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৬০৬ হিজরী) তিনি বলেন-

قَدْ اِخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ فِىْ عَدَدِ اَوْلَدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ

الذُّكُوْرِ دُوْنَ الِْنَثِ فَقَالَ الْمُكْثِرُوْنَ اِنهَُّمْ كَانوُْا ثَمَانِيَةً اَرْبَعَةُ ذكُُوْرٍ

وَاَرْبَعُ اِنَثٍ وَقَالَ الْمُقِلُّوْنَ اِنَّ الِْنَثَ اَرْبَعٌ وَاَمَّا الذُّكُوْرُ فَثَلَثَةٌ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা কত জন- এই বিষয়ে হযরত উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মাঝে ইখতিলাফ রয়েছে। তবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের নিয়ে কোনো ইখতিলাফ নেই। অতঃপর অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অভিমত হচ্ছে- ৮ জন উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৪ জন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা ৪ জন। আর কমসংখ্যক উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অভিমত হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৩ জন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা ৪ জন।” (জামি‘উল উছূল লি ইবনে আছীর)

আর ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘আল ফিক্বহুল আকবর’-এর ইবারতের বরাত দিয়ে অনেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা ৩ জন প্রমাণ করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছেন। আবার অধিকাংশ তাফসীর বিশারদগণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংখ্যা ৪ জন বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন হযরত আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’ উনার মধ্যে সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ উনার ৪০ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে উল্লেখ করেন-

فَاِنَّهٗ وُلِدَ لَهٗ حَضْرَتْ اَلْقَاسِمُ عَلَيْهِ السَّلَمُ وَحَضْرَتْ اَلطَّيِّبُ عَلَيْهِ السَّلَمُ

وَحَضْرَتْ اَلطَّاهِرُ عَلَيْهِ السَّلَمُ مِنْ حَضْرَتْ خَدِيْجَةَ عَلَيْهَا السَّلَمُ

فَمَاتُوْا صِغَارًا وَّوُلِدَ لَهٗ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَمُ مِنْ حَضْرَتْ مَارِيَةَ

الْقِبْطِيَّةِ عَلَيْهَا السَّلَمُ فَمَاتَ اَيْضًا رَضِيْعًا

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (৩ জন) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম- সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং শৈশবকালেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম

তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিইয়াহ ক্বিবত্বিইয়্যাহ আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পানরত অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন।” (তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ ৬/৪২৮)

আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ খাযিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে খাযিন শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,

كَانَ لَهٗ اَبْنَاءٌ حَضْرَتْ اَلْقَاسِمُ عَلَيْهِ السَّلَمُ وَحَضْرَتْ اَلطَّيِّبُ عَلَيْهِ

السَّلَمُ وَحَضْرَتْ اَلطَّاهِرُ عَلَيْهِ السَّلَمُ وَحَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَمُ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ ছিলেন (৪ জন-) সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা ত্বাহির আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি।” (তাফসীরে খাযিন ৩/৪২৯)

তবে মূল কথা হলো- অধিকাংশ ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৩ জন অথবা ৪ জন। তবে উনারা কেউ উনাদের মতের সপক্ষে অকাট্য কোনো দলীল পেশ করেননি এবং দলীলভিত্তিক ব্যাপক কোনো আলোচনাও করেননি। শুধু উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক বলে ইতি টেনেছেন। আর উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কে তো কোনো আলোচনাই করেননি। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মাস, দিন,তারিখ, সময় উল্লেখ করার তো প্রশড়বই উঠে না; এমনকি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার বছর, মাস, দিন, তারিখ, সময়ও উল্লেখ করেননি। (তবে সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত রয়েছে। যা একেবারেই সামান্য।) যার কারণে শত শত বছর ধরে এই ইখতিলাফ চলে আসছে। বর্তমানে যারা রয়েছে তাদের অধিকাংশের মত ৩ জনের পক্ষে।

এরূপ অনেক ইখতিলাফ রয়েছে। বিভিন্ন কারণে সব ইখতিলাফ এখানে তুলে ধরা অসম্ভব। আর এই সকল ইখতিলাফের কারণে বুঝে উঠা মুশকিল যে, প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা কত জন। না‘ঊযুবিল্লাহ! ফলশ্রুতিতে মুসলমানরা শত শত বছর যাবৎ এক বিশাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নি‘য়ামত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে আসছিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অসংখ্য-অগণিত শুকরিয়া যে, উনারা অত্যন্ত দয়া এবং ইহসান মুবারক করে উনাদের আখাছ্ছুল খাছ মনোনীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমাদের মাঝে প্রেরণ মুবারক করেছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযাইল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা দু’জন ব্যতীত সৃষ্টির সবারই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শায়েখ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত তায়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক উনার মাধ্যমে এবং উনাদের নিকট থেকে মহাসম্মানিত বিশেষ ইলিম মুবারক প্রাপ্ত হয়ে এই বিষয়ে এক অভূতপূর্ব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত সর্বোত্তম ফায়ছালা মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন সর্বমোট ৪ জন এবং তিনি উনার মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক উনার পক্ষে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অকাট্য প্রমাণ মুবারকও পেশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের বছর, মাস, দিন, তারিখ ও সময় মুবারক বর্ণনা করার মাধ্যমে এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছূরত মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ত্ববীয়ত মুবারক বর্ণনা করার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! সত্যই তা এক অভূতপূর্ব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক। যা তামাম কায়িনাতবাসীকে এমনকি সমস্ত মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদেরকে এবং সর্বযুগের সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে বিস্ময়াভিভূত করে তুলেছেন। সুবহানাল্লাহ! এভাবে এই বিষয়টি কেউ কখনো চিন্তাও করেননি। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির,আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মোট ৮ জন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনারা ৪ জন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা ৪ জন। এই হলেন মোট ৮ জন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময় মুবারক নিয়ে অনেকের অনেক ইখতিলাফ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা তাহক্বীক্ব করেছি। যমীনে প্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন কে? সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি নাকি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি। এ বিষয়েও অনেকের অনেক ক্বীল-ক্বাল রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন- ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম:

আমরা উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা’ শরীফ সকালে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন সাড়ে ২৭ বছর। তিনি দুনিয়ার যমীনে ২২ মাস অবস্থান মুবারক করেন। অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার) ভোর রাত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক প্রায় ২৯ বছর ৪ মাস। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে তিনিই সর্বাধিক সময় দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম:

আমরা উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের প্রায় ১১ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে জুমাদাল উখরা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ বা’দ ফজর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ২৯ বৎসর পার হয়ে ৩০ বৎসর চলতে ছিলেন আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৪৪ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৯ মাস ২০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার রাত্রে) উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিনা হযরত আবুল ‘আছ ইবনে রবী’ আলাইহিস সালাম) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত বয়স মুবারক ৯ বছর, ১১ মাস ১ দিন অর্থাৎ প্রায় ১০ মাস। আর তিনি ৮ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই মুহাররমুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) ইশরাকের ওয়াক্তে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি ৩০ বছর ৬ মাস ১৭ দিন ২ ঘন্টা দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে তিনিই সর্বাধিক সময় দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম:

আমরা উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম বলে থাকি। সুবহানাল্লাহ! তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল খমীস (বৃহষ্পতিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি দুনিয়ার যমীনে মাত্র ৭ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল আরবিয়া’ শরীফ (বুধবার) বা’দ আছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৩১ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম সময় দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম:

আমরা উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪ঠা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল আরবিয়া’ শরীফ (বুধবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি দুনিয়ার যমীনে মাত্র ৮ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। অতঃপর তিনি সাইয়্যিদু সইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল খমীস শরীফ (বৃহষ্পতিবার) চাশতের সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৩২ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা রুক্বাইয়্যাহ আলাইহাস সালাম:

আমরা উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ৭ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা রবী‘উছ ছানী শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৩৩ বছর আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৪৮ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৯ মাস ২০ দিনি পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই রবী‘উছ ছানী শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ (জুমু‘আহ্বার রাত্রে) উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ১০ বছর, ১৫ দিন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২য় হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই রমাদ্বান শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার) শেষ রাত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি দুনিয়ার যমীনে ২১ বছর ৫ মাস ১৫ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম:

আমরা উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম বলে থাকি।(সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) 

তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৫ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত্রে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৩৫ বছর আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৫০ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) ২য় হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ (জুমু‘আহ্বার রাত্রে) উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর তিনি ৯ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) বা’দ ফজর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি ২৬ বছর ৩ মাস ২৫ দিন দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা ম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ্ আলাইহাস সালাম:

আমরা উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,আন নূরুর রবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম বলে থাকি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

 তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৩ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ সুব্হে ছাদিক্ব শরীফ উনার সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) ২য় হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার রাত্রে) উনার সাথে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ১৭ বছর, ৫ মাস, ১৫ দিন। আর তিনি ১১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) বা’দ আছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনি ২৬ বছর ২ মাস ১৩ দিন ১২ ঘন্টা দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যদিুনা মাওলানা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম:

আমরা উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম বলে থাকি। 

তিনি ৮ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ তথা জুমুয়াবার রাতে দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৬১ বছর। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তিনি দুনিয়ার যমীনে ১৫ মাস ৮ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) অতঃপর তিনি ১০ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছূরত মুবারক সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক:

এই প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার এবং বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের দুজনের মহাসম্মানিত মুশাবাহাহ (সাদৃশ্যতা) মুবারক ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আর ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার এবং বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুর রবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের দুজনের মহাসম্মানিত মুশাবাহাহ মুবারক (সাদৃশ্যতা মুবারক) ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আর ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার এবং বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের চারজনের মহাসম্মানিত মুশাবাহাহ মুবারক (সাদৃশ্যতা মুবারক) ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের সাথে।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

সুতরাং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার এই অভূতপূর্ব বেমেছাল ও বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক প্রকাশ করার মাধ্যমে শত শত বছর ধরে জমে থাকা সমস্ত ইখতিলাফ মিটিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম এবং আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা হচ্ছেন মোট ৮ জন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা হচ্ছেন ৪ জন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা হচ্ছেন ৪ জন। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার এই মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক অনন্তকাল জারি থাকবেন। ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ এই বিষয়ে কোনো চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে পারবে না, টু শব্দ করতে পারবে না। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আমরা এই কথা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলদতী শান মুবারক প্রকাশ করার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার বছর, মাস, তারীখ, সময় উল্লেখ করেছেন এবং উনাদের মহাসম্মানিত ছূরত মুবারক বর্ণনা মুবারক করেছেন, পৃথিবীর কোনো কিতাবে কেউই তা উল্লেখ করেন নি এবং করতে পারেন নি। পৃথিবীর কেউ কখনো কোনো কিতাবে তা দেখাতেও পারবে না।

মূলত, এটা হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা একক মহাসম্মানিত আখাচ্ছুল খাছ খুছূছিয়াত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক। যা উনার বেমেছাল শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এর মাধ্যমেই প্রতিভাত হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক যে, তিনি প্রায় দেড় হাজার বছর পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক এনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার বছর, মাস, তারীখ, সময় উল্লেখ করলেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অথচ এর আগে এই বিষয়েই কেউ কোনো সুস্পষ্ট ও অকাট্য ফায়ছালা দিতেই সক্ষম হননি যে, প্রকৃতপক্ষে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা কত জন। বরং সকলে ইখতিলাফের মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। আর সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী এক আখাচ্ছুল খাছ সর্বশ্রেষ্ঠ ও বিশেষ নি‘য়ামত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে আসছিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! ক্বয়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই সমস্ত ইখতিলাফকে মিটিয়ে দিয়ে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে এক আখাচ্ছুল খাছ সর্বশ্রেষ্ঠ ও বিশেষ নি‘য়ামত মুবারক দানে ধন্য করলেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক, সেটা কি কেউ কখনো চিন্তা-কল্পনা করে মিলাতে পারবে? কস্মিনকালেও না। সুবহানাল্লাহ!

মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে বেমেছাল আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক তা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এক কথায় আমরা এতটুকুই বলতে পারি যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাচ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয়; তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একক ও অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম। তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা দুজন ছাড়া তিনি সবার মহাসম্মানিত শায়েখ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাই আমাদের জন্য ফরয হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনার মহাসম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনার মহাসম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা এবং উনাকে পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে অনুসরণ করে উনার জন্য সমস্ত কিছু কুরবান করে দেয়া। তবেই আমরা হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে পারবো।

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের সবাইকে কবূল করুন। আমীন!


0 Comments: