আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) সবাই উপস্থিত হওয়ার পরে উনি খুব খুশি হলেন , খুব সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন-পর্ব-৮

সবাই উপস্থিত হওয়ার পরে উনি খুব খুশি হলেন , খুব সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন-পর্ব-৮

রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রবীউছ ছানী শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একদিন আমি মুনাজাতের মধ্যে দেখতেছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো আছেন, মহান আল্লাহ পাক উনিও আছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সবাই আছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বললেন যে, আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য। আমি আস্তে আস্তে সবাইকে অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত হাদীউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে এবং হযরত শাহনাওয়াসী আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদেরকে ও হযরত শাহনাওয়াসা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অর্থাৎ উনাদের সবাইকে এনে উপস্থিত করলাম। উপস্থিত করতে করতে মুনাজাতের সময় শেষ। সবাই উপস্থিত হওয়ার পরে উনি খুব খুশি হলেন, খুব সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এই যে বিষয়গুলি- এখন উনাদের খুশি মুবারকই তো আমাদের দরকার। উনি খুশি হলেই তো সব দিয়ে দিবেন। তাহলে খুশিটা কোথায়? উনাকে খুশি করতে হবে না? উনাকে খুশি করতে হবে। সেজন্য বললাম যে, এগুলো বলা ফরয। আরেকটা হচ্ছে-

مَنْ اَحَبَّ شَيْئًا اكَْثَرَ ذِكْرَهٗ

‘যে যাকে মুহব্বত করে, সে তার কথা বেশি বলে।’ আমরা যদি বেশি মুহব্বতের দাবিদার হয়ে থাকি, তাহলে উনার কথা আমাদেরকে বেশি বলতে হবে। এটা ফরযে আইন। আর উনার কথা বেশি বললে, উনার মুহব্বত মুবারক অন্তরে প্রবেশ করবে। সে জন্য আমরা প্রতিদিন বলি। সব সময় বলি। কাজেই এটা বলতেই হবে। এটা ফরযে আইন। উনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে। সেজন্য তোমাদরেকে বলতেছি যে, উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো, উনার জন্য সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল করো। ব্যাপক প্রচার-প্রসার করো। উনার ছানা-ছিফত মুবারক সম্বলিত, বুলন্দী শান মুবারক সম্বলিত রেসালা শরীফগুলি ব্যাপক প্রচার করো। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ছানা-ছিফত মুবারকগুলি প্রচার করো। উনাদেরকে বাদ দিয়ে চলবে না। শুধু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক করলে হবে না, কোনো দিন হবে না; যতক্ষণ পযর্ন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক না করবে। এটা মনে রাখতে হবে। এটা খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে। এটা মনে না রাখলে তো কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে না। উনাদেরসহ ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশি হবেন। আর উনার খুশিটাই আমাদের দরকার।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহল বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ শান মুবারক-পর্ব-৭

সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহল বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ শান মুবারক-পর্ব-৭

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যেমন একটা ঘটনা। এটা আসলে তোমাদের আক্বীদাহ্শু দ্ধ রাখবে। বেশ কিছু দিন আগের কথা। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে এক স্থানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। একটি বড় বিল্ডিং। অনেক বড় বিল্ডিং! সেখানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। ওখানে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দেখি, সেখানে চার মাযহাবের চারজন ইমাম উনারা আছেন। চারজন চারটা বিছানায় শুয়ে আছেন। প্রম ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, দ্বিতীয় হযরত শাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। এরপর উনারা বাকীরা। সবাই তো মনে হয় মৃতপ্রায়। ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিষয়টা একটা বাচ্চা শিশুর মতো। প্রম উনি। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে বাচ্চা শিশুর কাপড়-চোপড় যেভাবে পাল্টায়, ঠিকঠাক করে, তেমন সব ঠিকঠাক করে দিলে উনি যুবক খুব সুন্দর হয়ে গেলেন।

দ্বিতীয় ইমাম শাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি শোয়া আছেন। উনি সেলোয়ার কামীছ পরে শোয়া। গায়ে কোনো চাদর পরা নেই। উনি অনেক শুকনা মনে হলো। স্যালাইনের রোগী যেমন শুকনা থাকে। উনাদের বাকীরাও ওরকম অনেকটা। এরপর উনাদেরকেও ঠিকঠাক করা হলো। মোটামুটি একটা অবস্থায় পৌঁছে দেয়া হলো। এরমধ্যে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। মূল ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি সবচেয়ে শক্তিশালী যুবক হলেন। আর উনারা মোটামুটি একটা অবস্থায় আসলেন। (সুবহানা মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) দেখা গেলো উনাদের কোনো খাদিম- খুদ্দাম কেউ নেই। আর শারীরিক দিক থেকে শরীর অনেক শুকনা ও দূর্বল। স্যালাইনের রোগী না বললেও কাছাকাছি। পরে মোটামুটি একটা অবস্থায় পৌঁছেছেন। এরকম অনেক ঘটনা আছে। একখানা ঘটনা মুবারক বললাম।” (সুবহানা মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে একটা ঘটনা মুবারক ঘটেছেন। তোমরা তো এটা শুনার উপযুক্ত না। (১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে শাওওয়াল শরীফ ইয়ামুল আহাদ অর্থাৎ রোববার) সকালের দিকে, ১০-১১টার দিকে হঠাৎ আমি দেখলাম- হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি এসেছেন। উনি এসে আমাকে বলতেছেন যে, এক জায়গায় যেতে হবে। কোথায় যেতে হবে? ঐ যে আপনি গিয়েছিলেন চার ইমাম উনাদের ওখানে। উনাদের অবস্থা নিক্রিয়। সক্রিয় করতে হবে। কিভাবে করতে হবে? বললেন, ‘ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিতে হবে।’ কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে? বললেন, ‘সেখানে গেলেই চলবে।’ আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে সহ রওনা হলাম। গেলাম সেখানে। দেখলাম যে, বিরান। আগেই বিরান দেখে এসেছি। ঐরকমই দেখেছি। বললেন, আবাদ করতে হবে। কিভাবে আবাদ করতে হবে? তো উনি কিছু ব্রাশ ও রং নিয়ে বললেন, আমরা রং করে দেই। উনিসহ আমরা তিনজন মিলে রং করলাম। আবাদ হলো। উনারা চারজনই একদম পুরো সতেজ হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) গতবার তো ধারাবাহিকতাটা দেখা হয়নি। এবার দেখলাম- ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি এক নাম্বার। তারপর ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই চারজন। উনারা উনাদের কাজ শুরু করলেন। ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন- উনারা তো সক্রিয় নেই, সক্রিয় করতে হবে। তো সক্রিয় হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

তারপর ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি একখানে আমাদের বসার ব্যবস্থা করলেন, খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন। আচ্ছা, ঠিক আছে; বসলাম। কিছু দিলেন, খেলাম। তারপরে উনি বললেন যে, ‘আমাদের কাজ তো আমরা করেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে উনারা কিছু ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিবেন।’ ভালো কথা। আমাকে বললেন, ‘তাহলে আপনার পরিবারের সবাইকে আনেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হবে।’ তোমাদের আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনিসহ সবাইকে এনে আমি বসালাম। সিরিয়াল মতো সবাইকে বসিয়েছি। যারা আছেন সবাইকে বসিয়েছি। নাকীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনারাসহ ছোট-বড় সবাইকে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি অর্থাৎ উনারা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিলেন। যাই হোক, অনেকক্ষণ থাকলাম। এরপরে এসে পড়লাম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল ম’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক-পর্ব-৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল ম’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক-পর্ব-৬

সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের যতো শান-মান, খুছূছিয়াত মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, খুছূছিয়াত মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, খুছূছিয়াত মুবারক বুঝার জন্য স্বাভাবিকভাবে যেই বিষয়টি বলা হয়, তা হচ্ছেন- মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন,

لَيْسَ الذَّكَرُ كَالُْنْثٰى

অর্থ: “তিনি এমন একজন সম্মানিতা মহিলা যে, উনার সমকক্ষ কোনো পুরুষও নেই অর্থাৎ কোনো পুরুষও উনার সমকক্ষ নয়।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)

অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম (হযরত মারইয়াম আলাইহাস সালাম) উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এতো বেমেছাল যে, তিনি পূর্ববর্তী সমস্ত মহিলা উনাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী তো অবশ্যই, শুধু তাই নয়; বরং উনার সমকক্ষ কোনো পুরুষও নেই। সুবহানাল্লাহ! উনার শান মুবারক-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

وَاِذْ قَالَتِ الْمَلٰٓئِكَةُ يٰمَرْيَمُ اِنَّ اللهَ اصْطَفٰىكِ وَطَهَّرَكِ وَاصْطَفٰىكِ عَلٰى نِسَآءِ الْعٰلَمِيْنَ

অর্থ: “আর যখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে মনোনীত করেছেন, আপনাকে পবিত্রা করেছেন। শুধু এতটুকু নয়; বরং সমস্ত আলমের সকল মহিলা উনাদের উপর আপনাকে মনোনীত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪২) অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনি পূর্ববর্তী পুরুষ-মহিলা উনাদের সকলের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

لَسْتُنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ يٰنِسَآءَ النَّبِىّ

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম! আপনারা কোনো পুরুষ-মহিলা অর্থাৎ সৃষ্টির কারো মতো নন। অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকেও শ্রেষ্ঠ।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২) সুতরাং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনি পূর্ববর্তী পুরুষ-মহিলা উনাদের সকলের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন। আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনিসহ সৃষ্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত যতো মহিলা তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যতো মহিলা তাশরীফ মুবারক আনবেন উনাদের সকলের উপরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী সম্মান মুবারক তো অবশ্যই; সাথে সাথে সমস্ত পুরুষ যাঁরা রয়েছেন উনাদের থেকেও উনারা শ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ! যা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সমস্ত সৃষ্টিকে জানিয়ে দিয়েছেন। কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কোনো পুরুষ-মহিলা অর্থাৎ সৃষ্টির কারো মতো নন, সে যেই হোক না কেন। সুবহানাল্লাহ! আর উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম। এই সম্পর্কে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার নিসবত মুবারক সরাসরি সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে। তবে বিশেষভাবে উনার নিসবত মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে এবং সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সাথে।” সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম হওয়ার জন্য যতো ইলিম-কালাম, আক্বল-সমঝ এবং নিসবত মুবারক যা কিছু প্রয়োজন যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল উমাম তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে সমস্ত কিছুই হাদিয়া মুবারক করেছেন।” সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার পবিত্র ৬ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সকালে ছাত্রীদের ক্লাস করিয়ে পবিত্র হুজরা শরীফে এসে বিশ্রাম মুবারক নিচ্ছিলেন। তখন তিনি স্বপড়ব মুবারক-এ দেখেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সাল্লাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা উনাদের পক্ষ থেকে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক হাদিয়া করেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ অর্থাৎ উনারা যে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন, তার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ একটি স্টীলের চাবি মুবারক কুদরতীভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) এসে পৌঁছেছেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!) তিনি বলেন- ‘তখন মনে হচ্ছিল লোকেরা জানতে চাচ্ছে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক যে লাভ করলেন, তার নিদর্শন মুবারক কী?’ তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ চাবিখানা দেখিয়ে বলেন, ‘এই যে দেখ- আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক রয়েছেন।’ এটা বলে তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে রাখা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ সেই চাবিখানা দেখালেন। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! এরপর তিনি বলেন- ‘আমি উক্ত স্বপড়ব মুবারক উনার মধ্যেই দেখতেছি যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে একখানা আসন মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করা হলো এবং আসন মুবারক-এ বসিয়ে দেয়া হলো। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনারা বললেন, আপনি এখন থেকে এই আসন মুবারকে বসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক পরিচালনা করবেন।” সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! (পক্ষিক আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত)

তাহলে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল তা ভাষায় প্রকাশ করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) উম্মু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল নিসবত মুবারক প্রকাশ -পর্ব-৫

উম্মু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল নিসবত মুবারক প্রকাশ -পর্ব-৫

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ১৪ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “কালকে একটা ঘটনা মুবারক ঘটেছেন। বুঝতে পারলে? বললে ঈমান থাকবে তোমাদের? বলো দেখি। হ্যাঁ? ঈমান থাকবে? 

(আরজী: অবশ্যই থাকবে।)

আমি দেখতেছি এটা ১২ তারীখে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই মুহররমুল হারাম শরীফ-এ। একটা দোতালা বাড়ী। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম যিনি উনি আছেন ওখানে। উনি কি একটা কাজ করতেছেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। আমি গেলাম। উনার বাম পাশে একটা বাচ্চা মেয়ে। মেয়েটিকে আমি দেখিনি। আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কে এইটা?’ উনি বললেন, ‘খাদিমা।’ আচ্ছা; ঠিক আছে। উনার ডান দিকে ফকীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি। উনার বয়স সাত-আট বছর। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনি আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন যে, ‘উনি হচ্ছেন ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু।’ আমি খুব খুশি হলাম। ভালো। আমি বললাম, ‘ভালো হয়েছে।’ আমি ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে বললাম, ‘আপনি তো আপনার হাত মুবারক দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্পর্শ করেছেন, তাই আপনার হাত মুবারক-এ বুছা দেয়া দরকার। আপনার হাতটা দেখি।’ উনি বললেন, ‘না।’ হাত মুবারক দিলেন না বুছা দিতে। তারপর আমি বললাম, ‘আপনি তো ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ শিখেছেন। তাহলে এখান থেকে আমাকে কিছু জানান। আমি বুঝতে না বুঝতেই উনি এসে আমার ক্বদম বুছি মুবারক করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনার কাছে একটা কি জিনিস ছিলো। উনি ঐটা রেখে এসে এই কাজ করেছেন। আমি বাধা দিয়েছিলাম। উনি বললেন, ‘না; আমার করতে হবে।’ উনি জোর করেই করলেন। পরে বসলাম। আলাপ করতেছিলাম। আমি বললাম, ‘আপনি তো ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার কাছ থেকে পুরো তফসীর পড়েছেন। আমাকে কিছু তফসীর বলেন।’ উনি বললেন, ‘আচ্ছা; বলবো।’ এমন সময় দেখি আবার হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি আসছেন। উনার বয়স ৯-১০ হবে। উনি একটু দূরে। একটা কল আছে ওখানে হাত পা মুবারক ধুইতেছেন। এই অবস্থাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি হালকা-পাতলাই ছিলেন, হালকা-পাতলা, ৭-৮ বছর বয়স। বললাম- ‘আপনি শিখেছেন ওখান থেকে।’ উনি বললেন- ‘হ্যাঁ; শিখেছি তো।’ আমাদেরকে বলেন কিছু। আমি বললাম- ‘আমরা তো মহাসমস্যায় আছি। কোন সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ কখন নাযিল হয়েছেন, কি নাযিল হয়েছে, কোনো কিতাবে পাওয়া যায় না। তাফসীরটা কি বলেন।’ উনি বললেন- ‘হ্যাঁ; বলবো।’ পরে আর বলার সময় হয়নি। তখন ঘুম ভেঙ্গে গেলো। উনি নিজেই বলেছেন যে, উনি ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার কাছে পুরা তফসীর পড়েছেন। বলেছিলাম- ‘আপনার হাত মুবারকটা একটু দেন, আমি বুছা দেই। যেহেতু এই হাত মুবারক দিয়ে আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্পর্শ মুবারক করেছেন।’ বুছা আর দেওয়া হয়নি পরে। এখন নিসবত-কুরবত ছাড়া তো হয় না। হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনি এবং হযরত ফক্বীহুল উম্মত রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি অর্থাৎ উনারা দুইজন। আর ঐদিকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনি। উনারা এই তিনজন সরাসরি বলেছেন, ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ কোথায়, কখন, কি নাযিল হয়েছেন, সব আমরা জানি।’ উনাদের তিনজনের থেকে এই বক্তব্য মুবারক আছে। অন্যান্যদেরও আছে। উনারা ৩ জন সরাসরি বলেছেন। 

(আরজী: দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বয়স মুবারক তো অনেক ছিলেন। কেমন দেখেছেন?) 

জবাব মুবারক: স্বাভাবিকই দেখেছি। স্বাভাবিক মানে পঞ্চাশ-ষাট বছর এই রকম।

(আরজী: দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনি পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন?)

জবাব মুবারক: হ্যাঁ; পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আমি গেলাম, দেখলাম।

বললাম, ‘কে?’ উনি বললেন যে, ‘উনি ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন  মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু।’ এইভাবে বলেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি দেখলাম, খুশি হলাম। উনিও খুশি হলেন। খুব ভালো। উনার বয়স ৭-৮ বছর হবে।

(আরজী: মেয়েটা তো দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খেদমত করতে এসেছেন। উনি কে?)

জবাব মুবারক: উনি দেখা করতে এসেছেন। ঐ যে বাচ্চা মেয়াটাকে আমি দেখিনি। মহাসম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম উনি বলেছেন, ‘খাদেমা।’

বাড়িটা অনেক বড়। বারান্দাটাও বেশ বড়, খোলামেলা মোটামুটি। সামনে হাত-মুখ ধোওয়ার জন্য জায়গা আছে। মানুষের বাড়ি-ঘরে যেরকম থাকে না?

বেসিন, কল থাকে যেরকম। একটা খোলা বারান্দা। ওখানে কোনো লোকজন নেই। উনি সেখানে দাঁড়ানো। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনি পরিচয় করিয়ে দিলেন, উনি ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু। দেখলাম, উনি আমার দিকে তাকালেন। উনি খুশি হলেন। আমি খুশি হলাম। সব ঠিক আছে। খুব ভলো হয়েছে। উনার কাছে একটা কি জিনিস ছিলো। উনি ঐটা রেখে এসে এই কাজ করেছেন। আমি বাধা দিয়েছিলাম। পরে উনাকে নিয়ে এক জায়গায় বসলাম। বসে আলাপ করতেছিলাম। এর মধ্যে দেখি সামনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি আসছেন। ওখানে সামনে গিয়ে একটা কল আছে। ওখানে উনি হাত-পা ধুইতেছেন। এরপর ঘুম ভেঙ্গে গেছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বয়স ৯-১০ বছর। মূলত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার সম্পর্কে জানা এবং সেই অনুযায়ী উনার তা’যীম-তাকরীম মুবারক, ছানা-ছিফত মুবারক করা এবং গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার প্রতি হাক্বীক্বী বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক পোষণ করার, উনার যথাযথ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার, ছানা-ছিফত মুবারক করার এবং গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!