আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) সবাই উপস্থিত হওয়ার পরে উনি খুব খুশি হলেন , খুব সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন-পর্ব-৮

সবাই উপস্থিত হওয়ার পরে উনি খুব খুশি হলেন , খুব সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন-পর্ব-৮

রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রবীউছ ছানী শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একদিন আমি মুনাজাতের মধ্যে দেখতেছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো আছেন, মহান আল্লাহ পাক উনিও আছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সবাই আছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বললেন যে, আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য। আমি আস্তে আস্তে সবাইকে অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত হাদীউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে এবং হযরত শাহনাওয়াসী আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদেরকে ও হযরত শাহনাওয়াসা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অর্থাৎ উনাদের সবাইকে এনে উপস্থিত করলাম। উপস্থিত করতে করতে মুনাজাতের সময় শেষ। সবাই উপস্থিত হওয়ার পরে উনি খুব খুশি হলেন, খুব সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এই যে বিষয়গুলি- এখন উনাদের খুশি মুবারকই তো আমাদের দরকার। উনি খুশি হলেই তো সব দিয়ে দিবেন। তাহলে খুশিটা কোথায়? উনাকে খুশি করতে হবে না? উনাকে খুশি করতে হবে। সেজন্য বললাম যে, এগুলো বলা ফরয। আরেকটা হচ্ছে-

مَنْ اَحَبَّ شَيْئًا اكَْثَرَ ذِكْرَهٗ

‘যে যাকে মুহব্বত করে, সে তার কথা বেশি বলে।’ আমরা যদি বেশি মুহব্বতের দাবিদার হয়ে থাকি, তাহলে উনার কথা আমাদেরকে বেশি বলতে হবে। এটা ফরযে আইন। আর উনার কথা বেশি বললে, উনার মুহব্বত মুবারক অন্তরে প্রবেশ করবে। সে জন্য আমরা প্রতিদিন বলি। সব সময় বলি। কাজেই এটা বলতেই হবে। এটা ফরযে আইন। উনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে। সেজন্য তোমাদরেকে বলতেছি যে, উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো, উনার জন্য সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল করো। ব্যাপক প্রচার-প্রসার করো। উনার ছানা-ছিফত মুবারক সম্বলিত, বুলন্দী শান মুবারক সম্বলিত রেসালা শরীফগুলি ব্যাপক প্রচার করো। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ছানা-ছিফত মুবারকগুলি প্রচার করো। উনাদেরকে বাদ দিয়ে চলবে না। শুধু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক করলে হবে না, কোনো দিন হবে না; যতক্ষণ পযর্ন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক না করবে। এটা মনে রাখতে হবে। এটা খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে। এটা মনে না রাখলে তো কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে না। উনাদেরসহ ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশি হবেন। আর উনার খুশিটাই আমাদের দরকার।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


0 Comments: