হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মুবারক নির্দেশনা ব্যতীত হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কিছুই বলেন না ও করেন না

হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মুবারক নির্দেশনা ব্যতীত হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কিছুই বলেন না ও করেন না 

হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ রয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন: “উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে কতজন খলীফা খিলাফত পরিচালনা করবেন, এ বিষয়ে আমরা নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি ইরশাদ করেন: “বনী ইসরাইলের বারোজন নক্বীব উনাদের মতো আমার উম্মতের মাঝেও বারোজন খলীফা উনারা খিলাফত পরিচালনা করবেন।” (আহম্মদ, বাযযার, তারীখুল খলীফা) 

সম্মানিত এই উম্মত তথা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মাঝে আলোকবর্তিকা হলেন মহান খলীফাগণ। উনারা উম্মতের রাহবার। হিদায়েতের কেন্দ্রবিন্দু খলীফাগণ মহান বারে ইলাহী এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ লক্ষ্যস্থল এবং নায়িব। উনাদের ফযীলতের আধিক্য এতটায় যে, স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত খলীফাগণ সম্পর্কে দোয়া করেছেন, “হে পরওয়ারদিগার আল্লাহ পাক! আমার খলীফা উনাদের উপর রহম করুন, যাঁরা আমার পরে আসবেন। উনারা আমার হাদীছ শরীফ ও সুন্নতসমূহ মানুষের কাছে বর্ণনা করবেন এবং মানুষদেরকে তা শিক্ষা দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তবারানী, কানজুল উম্মাল) 

প্রিয় পাঠক! সারা বিশ্ববাসী এখন কে নিয়ন্ত্রণ করছেন বা কার উসীলায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে? কার উসীলায় মুসলমানগণ রহমত বরকত সাকীনা হিদায়েত ইত্যাদি লাভ করছেন? কার উসীলায় মুসলমানদের চরম শত্রু ইহুদী-নাছারা-কাফির-মুশরিক অস্পৃশ্য যবন ম্লেচ্ছরা মুসলমানদের প্রতি যুলুম নির্যাতনের শাস্তিস্বরূপ ধ্বংস হচ্ছে? কার উসীলায় মুসলমান দেশসমূহে খাদ্যশস্য ও ফলমূল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হচ্ছে? এ সকল প্রশ্নের উত্তর একটিই অর্থাৎ এ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন বা যাঁর উসীলায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তিনি হলেন- সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। 

বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ উল্লিখিত খলীফাগণের মাঝে তিনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ খলীফা। উনাকে মহান বারে ইলাহী আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা অত্যধিক মুহব্বত করে সমস্ত ইলম, অতুলনীয় মাক্বামাত ও সর্বশীর্ষ পর্যায়ের খিলাফত হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পরিপূর্ণভাবে নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিকৃতি। সিরত মুবারক, ছূরত মুবারক, আদত মুবারক, আখলাক মুবারক সব ক্ষেত্রেই উনারা হুবহু একইরূপ। শুধু তাই নয় নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মুবারক নির্দেশনা ব্যতীত সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একটি শ্বাস-প্রশ্বাসও গ্রহণ-নির্গমন করেন না। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার লক্ষ-কোটি কারামতের মাঝে উপরোল্লিখিত ফযীলতটি একটি খাছ মুবারক কারামত। যা মুহব্বত-মারিফাত প্রত্যাশী মুরীদ-মুহিব্বিনগণকে মাঝে মাঝে প্রত্যক্ষ করানো হয়। এমনই একটি বরকতপূর্ণ কারামত প্রকাশ করা হবে, যাতে উনার প্রতি বিশ্ববাসী জিন-ইনসানের আক্বীদা আরো বিশুদ্ধ হয়, সুধারণা বলিষ্ঠ হয়, মুহব্বত প্রতিষ্ঠিত হয় অনন্তকালের জন্য। 

  আমাদের একজন পীরভাই মুহম্মদ হারুনুর রশীদ। তিনি বাউনিয়া আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর বিশিষ্ট আমিল। মুহম্মদ হারুনুর রশীদ তিনি একবার একটি মুবারক স্বপ্ন অবলোকন করেন। তিনি দেখেন একটি স্থানে চমৎকার একটি মসজিদ। মসজিদের অভ্যন্তরে একটি নূরানী মুবারক মিম্বর শরীফ। মিম্বর শরীফ-এ সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বসে রয়েছেন। তিনি মুবারক মিম্বর শরীফ-এ বসে পবিত্র নছীহত দান করছেন। পাশে একটি পর্দা ঝুলছে। হঠাৎ মৃদু বাতাস আসলো, পর্দাটি সরে গেলো। মুহম্মদ হারুনুর রশীদ তিনি লক্ষ্য করলেন, পর্দার ওই পাশে আরেকটি মুবারক মিম্বর শরীফ, সে মুবারক মিম্বর শরীফ-এ সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হুবহু অনুরূপ সুমহান একজন ব্যক্তিত্ব বসে নছীহত করছেন। আশ্চর্য বিষয়, ওই পাশের সুমহান ব্যক্তিত্ব যা যা বলেন, যেভাবে বলেন, যেমনটি আওয়াজে বলেন তার ঠিক পর মুহূর্তেই সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি তা তা বলেন, তেমনভাবে বলেন এবং তেমন আওয়াজেই বলেন। সুবহানাল্লাহ!

 সার্বিক অবস্থাদর্শনে অতিশয় তাওয়াজ্জুব হওয়া মুহম্মদ হারুনকে লক্ষ্য করে সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, “উনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি যা বলেন আমি তাই বলি, তিনি যেভাবে বলেন আমিও সেভাবেই বলি। তিনি যা বলেননা আমি তা কস্মিনকালেও বলিনা।” 

সুবহানাল্লাহ! কত শান মান ইজ্জত সম্মান প্রাপ্ত আমাদের প্রাণপ্রিয় শায়খ ও মুর্শিদ, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আওলাদে রসূল হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত মারিফাত ও সন্তুষ্টি হাছিল করার তাওফীক দান করুন।


 রাজারবাগ শরীফ উনার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে তারাই মুহব্বত, নিছবত ও সম্পর্ক রাখেন যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি রেযামন্দী তালাশি


 
রাজারবাগ শরীফ উনার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে তারাই মুহব্বত, নিছবত ও সম্পর্ক রাখেন যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি রেযামন্দী তালাশি

 মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছদিক্বীন বা সত্যবাদীগণের ছোহবত ইখতিয়ার করো।” (পবিত্র সূরা তাওবা : আয়াত শরীফ ১১৯)

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আরো ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অনুসরণ করবে, সে বিরাট সফলতা লাভ করবে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭১)

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নায়িবে নবী ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনার মাধ্যমেই আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টি ও রেযামন্দি হাছিল হয়। আর উনার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ পাক ও উনারা হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা অসন্তুষ্টি হন।

কাজেই, সমস্ত জিন ইনসানের জন্য ফরয-ওয়াজিব মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সন্তুষ্টি তালাশ করা, উনার ছোহবত অর্জন করা, উনার হাত মুবারক বাইয়াত হওয়া।


 যামানার সকল বিদয়াত দূরীভূত করার জন্যই রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আগমন

 

যামানার সকল বিদয়াত দূরীভূত করার জন্যই রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আগমন 

আজ বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব গণতন্ত্র করা, ছবি আঁকা ও ছবি তোলা, টেলিভিশন দেখা, পর্দা করা, খেলাধুলা করা নানা রকম ফিতনা-ফাসাদ ও বিদয়াতী কাজে নিমজ্জিত। এ অবস্থায় পবিত্র ঈমান নিয়ে মুসলমানদের বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আশার কথা হলো আমাদের মাঝে যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল, ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আছেন। তিনি লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের ছোহবতে এনে অথবা রূহানী শক্তির মাধ্যমে হিদায়েত লাভের পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন। হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা দৈনিক আল ইহসান শরীফ ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর মাধ্যমে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের আলোকে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমল সম্পর্কে বিশ্বের সব মুসলমানদের অবহিত করছেন এবং পাশাপাশি পৃথিবী থেকে সব বিদয়াত, শিরক ও কুফরী দূরীভূত করার দায়িত্ব পালন করছেন।


 যদি কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে চায়, তবে তারা যেনো আমার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে এক নজর দেখে নেয়

যদি কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে চায়, তবে তারা যেনো আমার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে এক নজর দেখে নেয়

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অন্যতম লক্বব মুবারক হচ্ছে নক্বশায়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। 

অর্থাৎ আমাদের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সিরত-ছুরত, আমল-আখলাক এক কথায় উনার ক্বদম মুবারক হতে মাথা মুবারক পর্যন্ত সব কিছুই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুরূপ। যারা যামানার মহান মুজাদ্দিদ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে দেখেছেন, উনাকে তা’যীম-তাকরীম করেছেন, মুহব্বতের সাথে উনার মুবারক ক্বদম পাকে চুমু দিয়েছেন, তারাই হযরত নবী আলাইহিস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।

 আর যারা নবী পাক ছল্লাল্লাহু আাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারক দেখেছেন কেবল উনারাই বুঝতে পেরেছেন যে, যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নক্বশায়ে নূরে মুজাসসাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাই যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে চায়, তারা যেনো যামানার মহান মুজাদ্দিদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বতের সাথে এক নজর দেখে নেয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেনো পৃথিবীর সকল জ্বিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, সবাইকে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ এসে সৌভাগ্যমান হওয়ার তাওফীক দান করেন। আমীন।


বড় ওলীআল্লাহ হওয়া এবং নাযাত পাওয়ার একমাত্র উছীলা মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম


বড় ওলীআল্লাহ হওয়া এবং নাযাত পাওয়ার একমাত্র উছীলা মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাবধান! মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণের কোনো ভয় নেই, চিন্তা-পেরেশানী নেই।” মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা সকলেই ওলীআল্লাহ হয়ে যাও।” এভাবে অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ আমরা পবিত্র কুরআন শরীফ খুললেই দেখতে পাই। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দিকে দৃষ্ট্পিাত করলেই বুঝতে পারবো, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু বলেছেন যে, “তোমরা সকলেই ওলীআল্লাহ হয়ে যাও।”

আমরা কিভাবে ওলীআল্লাহ হবো তাও সেহেতু তো তিনি বলে দিয়েছেন। তিনি অপর জায়গায় বলেছেন, “আমাকে যে বা যারা পাওয়ার জন্য সর্বাধিক প্রচেষ্টায় রত থাকবে তাকে আমাকে পাওয়ার জন্য সকল পথ বলে দিবোই দিবো।” সুবহানাল্লাহ! সংক্ষেপে বলতে হলে বলতে হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেতে হলে, হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহর নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয।

বর্তমান যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ওলীআল্লাহ, কুতুবুয্ যামান, মুজাদ্দিদে যামান হচ্ছেন রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। মহান আল্লাহ পাক উনার কি দয়া, কি ইহসান যে, এতো বড় মুজাদ্দিদ, এতো বড় মহান মুর্শিদ, মহান শায়খ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজারবাগ শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান করছেন! মহান আল্লাহ পাক উনার, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে এত বড় নিয়ামত পেয়েও যদিও আমরা হেলায় অবহেলায় দূরে পড়ে থাকি তাহলে কাল কিয়ামতের দিনে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে আমরা কি জবাব দিবো? তখন তো কোনো ভাষাই খুঁজে পাওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, প্রতি যামানায় উনারাই সেরা মানুষ যারা ঐ যামানার মুজাদ্দিদের হাতে বাইয়াত হয়েছে, মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করতে পেরেছে। সুতরাং এই যামানায় উনারাই কেবল সর্বোকৃষ্ট মু’মিন হবেন, সফলকামী বান্দা হবেন যারাই মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র হাত মুবারকে বাইয়াত হবে। এ যামানার সকলেরই দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে উনার হাতে বাইয়াত হয়ে বড় বড় ওলীআল্লাহ হওয়া। ইনশাআল্লাহ অনেকেই তো বড় বড় ওলীআল্লাহ হয়েছেন, হবেন। যদি বড় ওলীআল্লাহ নাও হতে পারেন কিন্তু হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সিলসিলায় দাখিল হয়ে দোজাহানে ধন্য হয়ে থাকুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে কবুল করুন। আমীন।


 রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত ইখতিয়ার করা আমাদের সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য

রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত ইখতিয়ার করা আমাদের সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য

 আমাদের আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য তথা মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমত ও ইহসান পাওয়ার জন্য দরকার যিকির-ফিকির করা। আর যিকির-ফিকিরে ফয়েজ লাভ করার জন্য দরকার- কামিল মুর্শিদ বা পীর ছাহেব উনার মুবারক ছোহবত বা সান্নিধ্য ইখতিয়ার করা এবং উনাদেরকে আমাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ধন-সম্পত্তি সবকিছু এমনকি আমাদের জীবনের চেয়ে বেশি মুহব্বত করা। মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার অশেষ নিয়ামত স্বরূপ আমাদের মাঝে আছেন যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। উনি লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের বাইয়াত করে কিভাবে যিকির-আযকার দ্বারা অন্তর পরিশুদ্ধ করা যায় তার তা’লীম দিচ্ছেন। আমাদের প্রত্যেককেই এই মহান মুজাদ্দিদ উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করে হাক্বীক্বী ইখলাছ অর্জন পবিত্র ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।


যামানার উলিল আমর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সন্তুষ্টি অর্জনই আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম

যামানার উলিল আমর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সন্তুষ্টি অর্জনই আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম

 মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তারা যদি মু’মিন হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য হলো, তারা যেন মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করে। উনারাই মুবারক সন্তুষ্টি পাওয়ার সমাধিক হক্বদার।” (সূরা তওবা: আয়াত শরীফ ৬২)

মূলত প্রত্যেক বান্দা ও উম্মতের মকছূদ হচ্ছে, আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি হাছিল করা। আর তা হাসিল করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ইত্তেবায়ে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণই মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবর্তমানে উনার অনুসরণ করার মাধ্যম হচ্ছেন উনার নায়িব তথা উলিল আমরগণ, যারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মত ও পথের পূর্ণ অনুসারী। ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি হচ্ছেন বর্তমান যামানার উলিল আমর।

মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যেন আমাদের সকলকে ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী অনুসরণ করার তাওফীক দান করেন। (আমিন)

 

 হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যদি পৃথিবীতে তাশরীফ না নিতেন, তাহলে পৃথিবী আজ কুফরী, শিরকী, বিদয়াত-বিশরার অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতো

 হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যদি পৃথিবীতে তাশরীফ না নিতেন, তাহলে পৃথিবী আজ কুফরী, শিরকী, বিদয়াত-বিশরার অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতো

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 

وقل جاء الحق وزهق الباطل ان الباطل كان زهوقا.

অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলুন সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত, মিথ্যা বিতাড়িত হওয়ারই যোগ্য।”

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আলোকে বলা যায় যখন সূর্য উদিত হয় তখন রাতের অন্ধকার দূরীভূত হয়ে সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় সারা জাহান। ঠিক তেমনি সারা কায়িনাত যখন ভ্রষ্টতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন, যুলুম, অত্যাচার, চুরি ডাকাতি অবিচার-অনাচার, গান-বাদ্য, টিভি-সিনেমা, ডিস, প্রাণীর ছবি, বেপর্দা, বেহায়া, অশ্লীলতা, নগ্নতা, কলহ-দ্বন্দ্ব, হত্যাকা- মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাস মানবতা, দয়া, দান ইহসান, মায়া, মমতা, করুণা, স্নেহ, সোহাগ, আদর ভু-লুণ্ঠিত জালিমের দৌরাত্ম্য সর্বত্র, মাজলুমের ফরিয়াদ শ্রবণের ব্যক্তির অভাব। সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতির সয়লাব, নামে বেনামে উলামায়ে ‘সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা অলিগলিতে প্রবাহমান ভ- ফকির ও ভ-পীরদের কারিশমা। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে বেনামে ইহুদী-নাছারা কর্তৃক উদ্ভাবিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র বিশ্বময় ব্যাপী। ছহীহ আক্বীদার বিপরীতে কুফরী আক্বীদায় ভরপুর মানুষের মন-মগজ হতে শুরু করে বই-পুস্তক, পত্রিকাসহ গোটা কায়িনাত সত্য কথা বলার মহান ব্যক্তিত্বের চরম অভাব ঠিক সেই মুহূর্তে তমসাচ্ছন্ন পৃথিবীর তিমির আঁধারকে দূরীভূত করে সূর্যের মতো আলো দিয়ে আলোকিত করে পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়েছেন খলীফাতুল্লাহিছ ছফফাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি ধরার বুকে তাশরীফ নিয়েছেন সুমহান ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ-এ।

পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়ে তিনি জ্বীন-ইনসানকে দিচ্ছেন কল্যাণময় পথের সু-দিক-নিদের্শনা, তাওহীদ-রিসালতের শিক্ষা, সত্য-মিথ্যা পার্থক্য নিরূপণের ক্ষমতা, মানবতার আকাশচুম্বী উৎকর্ষ ও মর্যাদাবোধের চেতনা, যিনি দিচ্ছেন ব্যক্তিত্বের অনুভূতি, সচ্চরিত্র, মাধুর্যতা, সততা, ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ ও কর্মপন্থা, উত্তম আদর্শ, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পরম আস্থা ও নির্ভরতার যোগ্যতা, মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, মায়া-মমতা, স্নেহ আদর ও মমত্ববোধ সুদৃঢ় মনোবল ইত্যাদি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তিনি যদি তাশরীফ না নিতেন, তাহলে সারা পৃথিবী নিশ্চিত কুফরী, শিরকী, বিদয়াত, বিশরার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতো।


 দুনিয়াবী ও আখিরাতের ফায়দা হাছিল করার মাধ্যম মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম

 দুনিয়াবী ও আখিরাতের ফায়দা হাছিল করার মাধ্যম মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম

ছোহবত লাভ করার অর্থ হচ্ছে সান্নিধ্য লাভ করা। মহান ওলীআল্লাহ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ছোহবত বা সান্নিধ্যে আসলে মানুষ যেমন মর্যাদাবান এবং হক্কানী হয় তেমনি কাফিরদের ছোহবত বা সান্নিধ্যে আসার কারণে মানুষ কাফির হয়, গুমরাহ হয়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত যারা মুহসিনীন তথা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, উনাদের উপরই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতে খাছ বর্ষিত হয়।” আর এই রহমতে খাছ আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মুবারক ছোহবত ব্যতীত হাছিল হয় না। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা তওবা উনার মধ্যে আদেশ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছদিক্বীন তথা আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও।” পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যতো হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পয়দা হয়েছেন উনারা প্রত্যেকেই ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করার কারণেই এতো বড় ইমাম-মুজতাহিদ হয়েছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের উচিত যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে দুনিয়াবী ও আখিরাতের ফায়দা হাছিল করা।


 মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে গভীরতম নিছবত


 
মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে গভীরতম নিছবত

 যামানার মহান মুজাদ্দিদ, নূরে মুকাররম, আওলাদে রসূল ইমাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সদয় অনুমতিক্রমে ১৯৮৯ সনে আমি ও আমার মা যিয়ারত ও হজ্জ করার জন্য পবিত্র মদীনা শরীফ ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে গমন করি। পবিত্র মদীনা শরীফ ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উছীলায় অনেক অলৌকিক ঘটনাই ঘটেছিলো, তার মধ্যে একটি ঘটনা পেশ করছি-

বিদায় নেয়ার সময় হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক নির্দেশ করলেন, “সব অবস্থায় তুমি বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করবে।” হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এই পবিত্র নির্দেশ মুবারক যথাযথভাবে পালন করতে কোশেশে রত ছিলাম। আমার প্রাণের আক্বা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দয়া ও ইহসান রওযা শরীফ যিয়ারতের পর হতে দুরূদ শরীফ পড়ে আমি যা বলতাম তাই হতো। অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় এক বিশেষ আত্মিক সম্পর্কে সৃষ্টি হয়েছিল। যা ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব।

আমি তো হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এক আম মুরীদ। দুনিয়াবী বিভিন্ন কারণে এই বিশেষ নিয়ামতটি বেশি দিন ধরে রাখতে পারিনি। পরে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কাছে নিয়ামত বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা বর্ণনা করা মাত্রই তিনি বলে উঠলেন, “যাও, ঠিক করে দিচ্ছি।” সাথে সাথে আমার অবস্থা আগের মত হয়ে গেল। অর্থাৎ দরূদ শরীফ পড়ে যাই দোয়া করতাম- তাই হওয়া শুরু করলো। সুবহানাল্লাহ। মূলত আমার প্রাণের আকা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গভীর দায়েমী নিছবত থাকায় উনার এক অধম মুরীদের এই অবস্থা হয়েছিল। সুতরাং প্রতীয়মান হয় যে, তিনি খাছ নায়িবে রসূল, আওলাদে রসূল তথা রসূলে নো’মা। সুবহানাল্লাহ!


 মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মহাসম্মানিত তাজদীদী নামকরণ ‘সাইয়্যিদুল আসইয়াদ’ হাদিয়া করেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি

 

মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মহাসম্মানিত তাজদীদী নামকরণ ‘সাইয়্যিদুল আসইয়াদ’ হাদিয়া করেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি

 সৃষ্টির শুরু থেকে গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা বারোটি। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে অধিক সম্মানিত মাস হচ্ছে- মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস। এই মহাসম্মানিত মাসের মহাসম্মানিত একটি নামকরণ হাদিয়া করেছেন- মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি। আর সেটি হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদুল আসইয়াদ’। সুবহানাল্লাহ! ‘সাইয়্যিদুল আসইয়াদ’ অর্থ হচ্ছে- ‘সাইয়্যিদেরও সাইয়্যিদ।’ সুবহানাল্লাহ!

মূলত, এ সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই যিনি উনার স্থান, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ নিয়েছেন। আবার এই যমীন থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক-এ মিলিত হয়েছেন এ মহাপবিত্র মাসেই। সুবহানাল্লাহ! এছাড়াও আনুষ্ঠানিককভাবে নুবুওওয়াত শরীফ, হিজরত শরীফ এবং আরও বহু মুবারক ঘটনা এই মহাপবিত্র মাসেই সংঘটিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের সম্মানে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সর্বপ্রথম পৃথিবীর বুকে ৫৬ দিনব্যাপী মাহফিলের আয়োজন করেছেন। যার মধ্যে ২৭ দিন প্রতিযোগিতা মাহফিল। ২৭ দিন ওয়াজ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল এবং ৩ দিন সামা শরীফ উনার মাহফিল।

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কাছে বাইয়াত হয়ে, ছোহবত ইখতিয়ার করে মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ সম্পর্কিত বিশুদ্ধ আক্বীদা অর্জন করার তাওফীক দান করুন। (আমীন)।


 আল মুজাদ্দিদুল আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অনুসরণ করলেই মুসলিম জাতি ধ্বংসের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারে

 

আল মুজাদ্দিদুল আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অনুসরণ করলেই মুসলিম জাতি ধ্বংসের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারে

 ধ্বংসের কারাগারে আজ মুসলিম জাতি আবদ্ধ। ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীরা এবং উলামায়ে ‘সূ’রা মিলে মুসলমানগণ উনাদেরকে অতি সুকৌশলে বন্দি করে রেখেছে সেই কারাগারে। মুসলিমরা অনুধাবনই করতেই পারছে না যে, নিজেরা সেই কারাগারে আটক। অথচ অতি শীঘ্রই ফাঁসি দেয়ার জন্য ওঁৎ পেতে আছে বিধর্মী এবং তাদের পা-চাটা গোলাম উলামায়ে ‘সূ’রা। তারা ফাঁসির ফরমান জারি করেছে মুসলিম উম্মাহর উপর, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর, তারা মুসলিম এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ধ্বংস করে, একা রাজত্ব করতে চায় এই দুনিয়ায়। উলামায়ে ‘সূ’রা হতে চায় সেই রাজত্বের রাজাদের পা-চাটা পোষা কুকুর। এটাই তাদের প্ল্যান-প্রোগ্রাম। এটাই তাদের একান্ত বাসনা।

এই উদ্দেশ্যকে লক্ষ্যে করেই নিকৃষ্ট প্রাণী উলামায়ে ‘সূ’ এবং তাদের মুনীবেরা মিলে মুসলিম জাতিকে ধ্বংসের কারাগারে রুদ্ধ করেছে। তাদের উপর ফাঁসির পরওয়ানা জারি করেছে।

ধিক! মুসলিম জাতির জন্য। শত ধিক! আফসুস তারা তাদের শত্রুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে। চিনতে পারছে না তাদেরকে। নিজের অজান্তেই শত্রুদেরই শিকারে পরিণত হয়েছে তারা। ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে। নিজ ঐতিহ্যকে হারিয়েছে। অবশেষে আজ ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলন্ত।

হে মুসলিম! তুমি তোমার বিবেক শানিত কর। যামানার মুজাদ্দিদ, আল মুজাদ্দিদুল আ’যম, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দামানে আশ্রয় চাও। তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিবেন। ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রেহাই দিবেন। ধ্বংসের কারাগার থেকে বের হতে পারবে তুমি। নিতে পারবে তুমি তোমার প্রতিশোধ। পারবে তোমার শত্রুর অন্তরাত্মা বের করে আনতে, উলামায়ে ‘সূ’দেরকে ধরা থেকে উৎখাত করতে। ফিরে পাবে তুমি তোমার পবিত্র ঈমানী জজবা। বাতিলের বুকে হানবে কুঠারাঘাত। বাতিল ধরণী হতে গোরে নিপতিত হবে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নূরে নূরানী হবে জাহান। মর্যাদা বুলন্দ হবে তোমার। পবিত্র দ্বীন ইসলাম এবং মুসলিমের ত্রাণকর্তা তিনিই। কারণ তিনি হাবীবে খোদার নয়নের দুলাল, সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, সুলত্বানিন নাছীর। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দয়া ও ইহসান সব সময় উনার উপর বিরাজমান। তিনি মাহবুব মাওলার। তিনি ইলাহীর মুনাওওয়ার।


 মহান মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য


মহান মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য

 সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পৃথিবীতে তাশরীফ নেয়ার সাথে সাথে শত্রুতা পোষণ করে ছিল সে যুগের ইহুদী-নাছারা কাফির মুশরিকরা। তারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার দুরভিসন্ধিসহ পৃথিবীর সমস্ত কূটকৌশল অবলম্বন করেছিল উনার বিরুদ্ধে। এক সময় তাদের সমস্ত কূটকৌশল ব্যর্থ হয় এবং তারা দুনিয়াতেই কঠিন আযাব-গযবে পড়ে জিহাদের ময়দানে মুসলমানদের তরবারির আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায়। কেউবা আযাব-গযবে, পচে গলে বিকলাঙ্গ হয়ে চির অধিবাসী হয় ভয়ানক শাস্তির কেন্দ্রস্থল জাহান্নামে।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বিরোধিতা করার জন্য আবু জাহিল, আবু লাহাব, ওতবা, শায়বা, মুগীরা প্রমুখের যে অবস্থা হয়েছিল; তদ্রুপ মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে বিরোধিতাকারীদেরও আবু জাহিল, আবু লাহাব, ওতবা, শায়বা, মুগীরার মতো অবস্থা হবে। অর্থাৎ উনার সাথে কেউ যদি শত্রুতা পোষণ করে, উনার বিরোধিতা করে, উনার শান মান-এর উপর অবৈধ হস্তক্ষেপ করে, করার চেষ্টা করে তাহলে সেও নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাবে। তার ধ্বংস অবধারিত। পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার ওলীআল্লাহ উনাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি।” অতএব, যার বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ পাক তিনি জিহাদ ঘোষণা করেন তার বাঁচন নাই, ধ্বংস অবধারিত।

তাই যারা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতা করে তাদের ক্ষণকাল বিলম্ব না করে অচিরেই তওবা করা উচিত। নচেৎ তাদের অবস্থাও আবু জাহিল, আবু লাহাব, ওতবা, শায়বা, মুগীরার মতোই হবে। অতএব, সাবধান!


সকল অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্যই মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আগমন

সকল অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্যই মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আগমন

 বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে মুসলমানগণ সুমহান আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের আমল বাদ দিয়ে আল্লাহদ্রোহী ও রসূলদ্রোহী’র কাজে নিমজ্জিত হচ্ছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পরিবর্তে গণতন্ত্র করছে, ছবি তুলছে, লংমার্চ করছে, কুশপুত্তলিকা তৈরি করে দাহ করছে, হরতাল ও অনশন বা হাঙ্গার স্ট্রাইক করছে, বেপর্দা হচ্ছে, খেলাধুলা করছে। পথভ্রষ্ট এবং লক্ষ্যবিচ্যুত মানুষের অনুভব ও অনুসরণকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নত উনার বিধানে মহান আল্লাহমুখী করে দেবার জন্য এমন ব্যক্তিত্ব পৃথিবীতে সব সময়ই মজুদ থাকেন। এ মহান দায়িত্বের আঞ্জাম দেয়ার জন্য পৃথিবীতে প্রতি শতাব্দীতেই মুজাদ্দিদ বা সংস্কার উনার আবির্ভাব ঘটে। পৃথিবীর এসব অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য মুসলমানগণের জন্য অশেষ নিয়ামতস্বরূপ, সুন্নত জিন্দাকারী, সকল বাতিল মতবাদের মূলোৎপাটনকারী এবং বর্তমান হিজরী শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি।


 মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ বুছা দানকারীগণই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক দীদার লাভে ধন্য হয়ে থাকেন!

মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ বুছা দানকারীগণই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক দীদার লাভে ধন্য হয়ে থাকেন!

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, ইমামে আ’যম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অসংখ্য অগণিত লক্বব মুবারক-এর মধ্যে অন্যতম লক্বব মুবারক হচ্ছে রসূলে নো’মা। মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুরীদানের মধ্য হতে যখন যাকে ইচ্ছা জাগ্রত অবস্থায় অথবা স্বপ্নযোগে রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিয়ারত করিয়ে দিতে পারেন। সুবহানাল্লাহ!

হে দুনিয়ার মুসলমানগণ! যদি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার লাভে ধন্য হতে চান? তাহলে আমার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ চুমা খেয়ে উনার নিকট বাইয়াত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার লাভের সৌভাগ্য অর্জন করুন। 


 সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ই’জায শরীফ


 
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ই’জায শরীফ

সৃষ্টি অঙ্গনের ভিত্তিমূল হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ। উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম হাবীব সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মাহবূব এবং নায়িব।

হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে আ’লা দরজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব হলেন যামানার সম্মানিত মুজাদ্দিদগণ। নিঃসন্দেহে উনারাই স্ব স্ব যামানায় দ্বীনের ধারক-বাহক।

সকলেরই জানা রয়েছে- সম্মানিত মুজাদ্দিদগণ উনাদের ধারাবাহিকতায় শীর্ষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। যিনি সর্বযুগের সকল সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামান্য মুজাদ্দিদ, যিনি সর্বকালজয়ী অসম্ভব ক্ষমতাধর শরীয়ত ও তরীক্বতের রাহবার, যিনি দ্বীন ইসলামের ভিত্তিমূল। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, “ইমাম হবেন কুরাইশ থেকে।” (মুসনাদে আহমদ, ফতহুল বারী)

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মূলত উল্লেখিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত কুরাইশী ইমামই শুধু নন, তিনি একই সাথে সম্মানিত কুরাইশ খান্দানের পবিত্র হাসনাইনি নসব মুবারক উনার শ্রেষ্ঠ ইমাম অর্থাৎ ইমামে আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, সকল ওলীগণ উনাদের ইমাম, সমস্ত মুজাদ্দিদগণ উনাদের ইমাম, দুনিয়া ও জান্নাতের ইমাম, সর্বোপরি তিনি সারা কায়িনাতের ইমাম। সুবহানাল্লাহ!

তাই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার প্রত্যেকটি মর্যাদা-মর্তবা প্রাপ্তি, মুবারক শান-মানের প্রকাশ, তাজদীদ ও যাবতীয় কার্যক্রম মহান বারে ইলাহী উনার কুদরত মুবারকে এবং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযাহ শরীফে সম্পাদিত হয়। আর বিষয়গুলো যে কারামতে বা ই’জায শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার লক্ষ কোটি ই’জায শরীফের মাঝে মুরীদদেরকে ফেরেশতা দ্বারা গায়েবী মদদ করা একটি বিশেষ ই’জায মুবারক। আর বিশেষভাবে তিনি আপন মুরীদ-মুহিব্বিনদেরকে শ্রেষ্ঠ ফেরেশতাদের দিয়ে সাহায্য করে থাকেন। এমনই একটি চমৎকার ই’জায শরীফ বর্ণিত হলো-

আমাদের এক পীরভাই মুহম্মদ ফারুক হুসাইন। যিনি বাণিজ্যিক গ্রুপ হা-মীম গ্রুপের আইটি ম্যানেজার।

অনেক বছর আগে পবিত্র কুরবানী ঈদ উপলক্ষে তিনি নিজ গ্রামের বাড়ি ভোলাতে যান। কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করে লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।

বোরহানউদ্দিন থেকে রওয়ানা শুরু, গঙ্গাপুর হয়ে লঞ্চ ধুলিয়া এসে থামলো। লঞ্চ ঘাটে লোকে লোকারণ্য, লঞ্চ যখনই যে ঘাটে থামে সে ঘাট থেকে বিপুল সংখ্যক লোক লঞ্চে উঠে পড়ে। যাত্রীদের আধিক্যের কারণে মুহম্মদ ফারুক হুসাইনের কেবিনের সামনেও লোকজন চাপাচাপি করে বসে যায়। অবস্থা দর্শনে মনে হয় লঞ্চটা যেন এখনই ডুবে যাবে।

মুহম্মদ ফারুক হুসাইন কেবিনের ভিতরে বসে আছরের নামায শেষে ৪ বৎসর বয়সী শিশু ছেলেটাকে নিয়ে মহান মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে স্মরণ করে মনে মনে বলতে থাকেন যে, ইয়া গাউছুল আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! আমি আমার সপরিবারে ঢাকা রওয়ানা দিয়েছি, আপনিই দেখার ও হিফাযতের মালিক। আপনি আমাদেরকে হিফাযত করুন।

শায়েখ পানে এই আরজু করার পর মুহূর্তেই তিনি দেখেন একজন বুযুর্গ ব্যক্তি মুহম্মদ ফারুক হুসাইনের সামনে উপস্থিত। বুযুর্গ ব্যক্তির পরনে পবিত্র সুন্নতী কোর্তা ও সেলাইবিহীন লুঙ্গি, মাথায় সুন্নতী পাগড়ি ও রুমাল, সুন্নতী চুল ও দাড়ি রয়েছে। আগত বুযুর্গ ব্যক্তিকে মুহম্মদ ফারুক হুসাইন প্রথম দর্শনে পীরভাই মনে করেছিলেন। কারণ এ রকম সুন্নতী পোশাক তো এখন রাজারবাগ শরীফ সিলসিলা ব্যতীত কেউ পরেন না। আগন্তুক মুহম্মদ ফারুক হুসাইনকে সালাম দিলেন এবং নিজ থেকেই পরিচয় দিলেন যে, তিনি একজন শ্রেষ্ঠ হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মুহম্মদ ফারুক হুসাইন সালামের জাওয়াব দেন এবং শিশু ছেলের মাধ্যমে উনাকে কিছু হাদিয়া প্রদান করেন। সেই হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি হাদিয়া গ্রহণ করে অদৃশ্য হয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই লঞ্চের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। কিছু সংখ্যক পুলিশ এসে লঞ্চের কিছু যাত্রী নামিয়ে দেয়, লঞ্চ রওয়ানা শুরু করে। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার গায়েবী মদদে অত্যন্ত নিরাপদে মুহম্মদ ফারুক হুসাইন স্বপরিবারে ঢাকা পৌঁছে যান।

মহান বারে ইলাহী তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার উসীলায় আমাদের সকলকে সার্বক্ষণিক গায়েবী মদদ ও ইহসান করুন। আমীন!


যামানার সকল বিদয়াত দূরীভূত করার জন্যই রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আগমন

যামানার সকল বিদয়াত দূরীভূত করার জন্যই রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আগমন

 আজ বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে গণতন্ত্র করা, ছবি আঁকা ও ছবি তোলা, টেলিভিশন দেখা, খেলাধুলা করা নানা রকম ফিতনা-ফ্যাসাদ ও বিদয়াত কাজে নিমজ্জিত। এ অবস্থায় পবিত্র ঈমান ও আমল নিয়ে মুসলমানদের বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আশার কথা হলো আমাদের মাঝে যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল, ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আছেন। তিনি লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের ছোহবতে এনে অথবা রূহানি শক্তির মাধ্যমে হিদায়েত লাভের পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন। মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি দৈনিক আল ইহসান শরীফ ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মাধ্যমে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের আলোকে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমল সম্পর্কে বিশ্বের সব মুসলমানদের অবহিত করছেন এবং পাশাপাশি পৃথিবী থেকে সব বিদয়াত, শিরক ও কুফরী দূরীভূত করার দায়িত্ব পালন করছেন।


 আল মুজাদ্দিদুল আ’যম আলাইহিস সালাম  তিনিই বিশ্ব মানবের মুক্তির ঠিকানা


 
আল মুজাদ্দিদুল আ’যম আলাইহিস সালাম  তিনিই বিশ্ব মানবের মুক্তির ঠিকানা

 মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাবধান! নিশ্চয়ই যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই, চিন্তা নেই, পেরেশানী নেই। উনাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে রয়েছে সুসংবাদ।”

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “দুনিয়া এবং দুনিয়াতে যা কিছু রয়েছে সবকিছুই মালউন বা লা’নতগ্রস্ত। একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির, যিকিরকারী এবং আলিম ও ত্বলিবে ইলম ব্যতীত।”

এখানে যিকিরকারী ও আলিম দ্বারা উদ্দেশ্য মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী এবং ত্বলিব দ্বারা উদ্দেশ্য মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীদের অনুসারী, মুহব্বতকারী।

কেননা উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিলের পর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হয়েছেন উনাদের তো কোনো ভয় নেই, তা তো আমরা বুঝতে পারলাম। কিন্তু যারা এখনও মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হতে পারেনি, তাদের ফায়ছালা কি? জবাবে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে যাকে মুহব্বত করবে, সে তার অন্তর্ভুক্ত।” সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদেরকে মুহব্বত করবে তারাও ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক সন্তুষ্টি-রেযামন্দি লাভ করতে পারবে। তাদের কোনো ভয় থাকবে না। তাই বিশ্বের সমস্ত মানব জাতির উচিত হবে মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ ও লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, আল মুজাদ্দিদুল আ’যম সাইয়্যিদুনা ইমাম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করে, উনার মুরীদ হয়ে, উনার মুক্তির নিশান তলে আশ্রয়Ñনিয়ে ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক সন্তুষ্টি হাছিল করা। ইহজীবন ও পরজীবনে চরম কামিয়াবী অর্জন করা। উনার মুবারক ছোহবতে এসে ঈমানী কুওওয়াত অর্জন করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানের চিরশত্রু উলামায়ে ‘সূ’ এবং বিধর্মীদের উৎপাত থেকে ধরাকে মুক্ত করা। ধরার বুকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। কারণ উনার নিশান তলেই বিশ্বমানবের মুক্তির ঠিকানা।


 মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার আনুগত্যেই ইস্তিকামতের মূল

 মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার আনুগত্যেই ইস্তিকামতের মূল

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কলামে পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত পবিত্র দ্বীন হলো ইসলাম।” পবিত্র দ্বীন ইসলাম একটি ব্যাপক বিষয়ের নাম। যাকে পবিত্র দ্বীন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আর এই পবিত্র দ্বীন বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ভিত হল পবিত্র ঈমান। পবিত্র ঈমান উনার সাথে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও বিশ্বাসসহ পরম ধর্মীয় আনুগত্যকারী আখ্যায়িত হন মু’মিন নামে। দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তির জন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের পালনযোগ্য করে পবিত্র দ্বীন হিসেবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে মনোনীত করেছেন।

যুগে যুগে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লাখ চব্বিশ হাজার হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর নাযিলকৃত বিধান তথা ধর্ম প্রচারে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকে শহীদও হয়েছেন। অনেকের একজন উম্মতও ছিল না। এরপরেও উনারা দ্বীন প্রচারে দৃঢ় ছিলেন। 

পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার করতে গিয়ে একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন সৃষ্টির মূল, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুতরাং এটা সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র সুন্নত। বাহ্যিক দৃষ্টিতে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের এসব ঘটনা বেদনাদায়ক হলেও এসব ঘটনা পরবর্তী উম্মতের জন্য পবিত্র দ্বীন প্রচারে ইস্তিক্বামত থাকার ক্ষেত্রে নছীহতস্বরূপ।

হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি নাযিলকৃত একমাত্র মনোনীত পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’। এর অনুসারীদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্যের সাথে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিধানাবলী পালনের জন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঘটনাসমূহ বর্ণনা করেছেন। যেন এসব ঘটনা তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ইহসানের নিদর্শনরূপে চরম অনুগত হতে সাহায্য করে।

মূলত, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র দ্বীন প্রচারের সেই বৈরী পরিবেশ পরবর্তী সব যুগেই বিদ্যমান। আর এ জন্যেই উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে যাঁরা ওলী উনাদেরকে পূর্ববর্তী নবীগণের অনুরূপ হাদী হিসেবে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে। আর যাঁরা যুগের লক্ষ্যস্থল ইমাম, মুজাদ্দিদে যামান, মুজাদ্দিদে আ’যম, উনাদেরকে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম বলে অভিহিত করা হয়েছে। কারণ উনারা নবী নন, বরং উম্মতের ওলী হিসেবে উনাদেরকে যে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তিকামত থাকা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং উনার রসূর, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসানের কারণেই সম্ভব হচ্ছে। হাক্বীক্বতে যামানার ইমামের ক্ষেত্রে সে কথাটিই প্রযোজ্য যে, এ যুগে তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল নন, এছাড়া যত মুবারক মর্যাদা-মর্তবা ও মাক্বাম রয়েছে মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছুই উনাকে দান করেছেন।

আমরা যদি গভীরভাবে একটু চিন্তা করি। বিবেককে একটু শানিত করি। বিবেকের জবাব শুনি সেকি বলে? বিবেক এটাই বলে যে, আমাদের চারপাশে শুধু হারাম কাজে ভরপুর। কি ঘরে? কি বাইরে? কি রাস্তায়? কি মাঠে? কি বাজারে? কি শিক্ষাঙ্গনে? কি বাণিজ্যে? কি তথাকথিত রাজনীতিতে? 

বর্তমানে সব জায়গায় ব্যাপক আকারে হারাম কাজ চলছে। সাধারণত মুসলমানগণ যে পোশাক পরিধান করে, তা বিজাতীয়। অনেকের ঘরের পরিবেশও ইসলামী পরিবেশ নয়। অনেকের ঘরে রয়েছে টিভি, ডিভিডি, ভিসিআরসহ বিভিন্ন রকমের বাদ্যযন্ত্র। রাস্তায় বের হলে দেখা যায় শত শত হারাম কাজ। বেপর্দা-বেহায়া, অশ্লীল-অশালীনতায় রাস্তা-ঘাট টইটম্বুর। বিভিন্ন খারাপ অশ্লীল ছবিতে চারপাশ একাকার। সিনেমা হলগুলো হলো গুনাহের আখড়া।

যেখানে শিক্ষাঙ্গন লেখাপড়া শিক্ষা করা হয়, সেখানেও রয়েছে বিভিন্ন হারাম, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নেই কোনো পর্দা। নেই শিক্ষক, মহিলা শিক্ষিকাদের মধ্যেও। কলেজ ইউনিভার্সিটিগুলোতে তো আরো খারাপ পরিবেশ। এমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোতে প্রায় নগ্ন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে ছাত্রীরা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ!

ব্যবসা বাণিজ্য করতে গেলে, মনে হচ্ছে সেখানে শুধু সুদ-ঘুষ, মিথ্যা কপটতা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই। তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির অবস্থা তো এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরেও যদি কেউ পবিত্র ইসলামী মন-মানসিকতা নিয়ে কোনো মাওলানা মুফতীর দ্বারপ্রান্তে হাজির হয়, তাহলে দেখতে পায় তারা হারাম কাজে আমজনতাকে হার মানিয়েছে। কি বেহাল অবস্থা মুসলমানদের? কি বেহাল দেশের? কি বেহাল বর্তমান পৃথিবীর? কিভাবে মুসলমানগণ হক্বে থাকবে? 

মহান আল্লাহ পাক তিনি রব্বুল আলামীন উনার অসংখ্য শুকরিয়া এবং অগণিত দুরূদ ও সালাম আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরে। উনারা দয়া করে ইহসান করে আমাদের উপহার দিয়েছেন পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, আল-মুজাদ্দিদুল আ’যম, জামিউল আওলিয়া, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে। 

তিনি এই কঠিন পরিস্থিতিতেও পরিপূর্ণ পবিত্র সুন্নত উনার পাবন্দ। পবিত্র সুন্নত উনার খিলাফ কোন আমল করেন না। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সম্মত উনার সমস্ত আমল-আখলাক, কথা-বার্তা। 

তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গুণে গুণান্বিত। এই কঠিন ফিতনা-ফাসাদের যুগেও তিনি পরিপূর্ণ হক্বের উপর ইস্তিকামত। পবিত্র কুরআন ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আমলে তিনি চরম-পরম দৃঢ়। তার থেকে তিনি এক চুলও বিচ্যূত হন না। উনার মুবারক ছোহবতে যারা আসে তাদের মাঝেও সেই পবিত্র সুন্নত উনার আমল পরিলক্ষিত হয়। তারা নবী প্রেমে এ পবিত্র সুন্নত উনাকে দৃঢ়তার সাথে আঁকড়ে ধরেন। হক্বের পথে তারা পরিচালিত হন। 

কাজেই এ ফিতনা বেষ্টিত সমাজে আল মুজাদ্দিদুল আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবত পেলেই, উনার মুবারক রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ পেলেই সকলেই হক্ব পথে হক মতে থাকতে পারবে। অন্যথায় তা একেবারেই অসম্ভব।


 বেমেছাল সুন্নতী রঙে রঞ্জিত সুমহান পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ

 

বেমেছাল সুন্নতী রঙে রঞ্জিত  সুমহান পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ

আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী নেই।”

 সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে আর কোনো নবী বা রসূল আসবেন না ঠিকই; তবে অবশ্যই নায়িবে নবী বা নবীর প্রতিনিধি আসবেন। উনাদের প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এই উম্মতের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন মহান মুজাদ্দিদ উনাকে প্রেরণ করবেন, যিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবিষ্ট বিদয়াত বেশরা সংস্কার করবেন। তা দূর করবেন।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে যামানার ইমামকে চিনলো না বা জানলো না সে যেন জাহিলিয়াতের মধ্যে মৃত্যু বরণ করল।”

 কাজেই এ যুগের জ্বিন-ইনসানের জন্য সুখবর। উনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেশুমার ইহসান যে, উনাদের অতিশয় দয়া এবং ইহসানে আপনার আমার সকলের জন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ঘোষিত সেই মহাসম্মানিত ইমাম ও মুজাদ্দিদ, তিনি অবস্থান মুবারক করছেন এই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে রাজারবাগ শরীফ-এ। এটা আপনার আমার জন্য খোশ নসীব এবং সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ তিনি তো অন্য দেশেও আসতে পারতেন। তাহলে আপনার আমার কী অবস্থা হতো? সুতরাং মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রতি যে অগণিত ইহসান করেছেন তার শুকরিয়া প্রকাশ করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।

আর দেরি না করে, চিন্তা-ফিকির না করে অতিসত্বর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ নায়িব প্রতিনিধি এবং নবীজী উনার খাছ আওলাদ তথা বংশধর, যামানার ইমাম ও হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট এসে বাইয়াত গ্রহণ করে যিকির-আযকার ও ছোহবত ইখতিয়ার করে ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করে পরিপূর্ণ ঈমানদার এবং মু’মিনে কামিল তথা খালিছ ওলীআল্লাহ হয়ে পরকালের সৌভাগ্য হাছিল করুন।

 উল্লেখ্য, উনার মুবারক মাথার তালু থেকে মুবারক পায়ের তলা পর্যন্ত, উনার জীবন মুবারকের প্রত্যেকটা মুহূর্ত, প্রত্যেকটা কর্ম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নতে পরিপূর্ণ। উনার মাথা মুবারকে রয়েছে পবিত্র সুন্নতী সাদা রুমাল, সাদা, কালো অথবা সবুজ পাগড়ি মুবারক, সাদা রঙের চার টুকরা বিশিষ্ট সুতি কাপড়ের পবিত্র সুন্নতী টুপি মুবারক, গায়ে সাদা সুতি কাপড়ের পবিত্র সুন্নতী কোর্তা, সুন্নতী জুব্বা, পরনে সিলাই বিহীন সাদা লুঙ্গি, পা মুবারকে চামড়ার তৈরি ক্রস বেল্টের খয়েরী রঙয়ের স্যান্ডেল। শরীর মুবারকে সুন্নতী শাল বা চাদর। শোয়ার ক্ষেত্রে চামড়ার তৈরি বালিশ, যার ভিতরে খেজুর গাছের ছাল-বাকল ও ছোবড়া, পাতা। এক বিঘত উচু কাঠের তৈরি পবিত্র সুন্নতী চারপায়া চকি। যার উপরে পবিত্র সুন্নতী খেজুর পাতার চাটাই, অথবা কম্বল। চামড়ার তৈরি খয়েরী রঙয়ের দস্তরখানা, কাঠের প্লেটে খাদ্য খান, কাঠের পেয়ালায় পানি পান করেন, দুধ, চা ইত্যাদি পান করেন।

 সদা হাসোজ্জ্বল, সদালাপী, মিষ্টভাষী, নূরানী চেহারা মুবারক। যে কোনো মানুষের প্রশ্নের জবাব দেন। উনার নিকট কেউ প্রশ্ন করলে তিনি কখনো বিরক্ত হন না। উনার নিকট কেউ এলে পরম মমতায় তাকে আপন করে নেন। একবার উনার মুবারক সান্নিধ্যে গেলে সে অবশ্যই উনার মুবারক ফায়েজ তাওয়াজ্জুহ হাছিল করে পর্যায়ক্রমে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হয়ে যায়। মাদরাসায় না পড়েও কোনো লোক উনার মুবারক ছোহবতে গেলে উনার বেমেছাল ইলহামী আলোচনা শুনে, উনার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পড়ে বড় আলিম হয়ে যায়।

 আপনি মাদরাসায় পড়েননি, আপনার তেমন ইসলামী শিক্ষা নেই- কোনো সমস্যা নেই, উনার পবিত্র সান্নিধ্যের নূরে, উনার প্রদত্ত মুবারক ওযীফা পালনে অতি অল্প সময়ে আপনি সহীহ দ্বীনি ইলমে পারদর্শী হয়ে উঠবেন, পবিত্র সুন্নত আমলে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। সুতরাং আপনার উপর মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসানের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদে আ’যম উনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে নিজেকে ধন্য করুন।

 উল্লেখ্য, প্রতি জুমুয়াবার সুন্নতী মসজিদে তিনি মহা মূল্যবান বয়ান পেশ করেন। প্রতিদিন খানকা শরীফ-এ তালিম মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। 

 উল্লেখ্য, মহিলাদের জন্যেও রয়েছে সুসংবাদ। সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফযালুন নিসা, আলিমাতুল আলাম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা, আওলাদে রসূল আমাদের সম্মানিতা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম উনার হাক্বীক্বী মিসদাক, উনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে একজন বেপর্দা, বেআমল মহিলাও হতে পারেন আলিমা, হাদী, খাছ পর্দানশীন মুসলিমা, মু’মিনা তথা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী। প্রতিদিন তিনিও মহিলাদেরকে খাছ পর্দার সাথে জ্ঞানগর্ভ তা’লীম-তালকীন হয়। হক্ব পিয়াসী মা-বোনদের প্রতি রইল আমন্ত্রণ। 

 মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে যামানার ইমামের মুবারক সান্নিধ্যে আসার তাওফীক দান করুন। আমীন।


 আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করার এবং উনার সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করার বেমেছাল ফযীলত

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করার এবং উনার সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করার বেমেছাল ফযীলত-

(১)

কিতাবে বর্ণিত রয়েছে ,

اِنَّ رَجُلًا عَصَى اللهَ مِائَتَـىْ سَنَةٍ يَّتَمَرَّدُ وَيَجْتَرِئُ عَلَيْهِ فِيْهَا كُلَّهَا فَلَمَّا مَاتَ اَخَذَ بَنُوْ اِسْرَائِيْلَ بِرِجْلِهٖ وَاَلْقَوْهُ عَلـٰى مَزْبَلَةٍ فَاَوْحَى اللهُ اِلـٰى حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ اَنْ غَسَّلَهٗ وَكَفَّنَهٗ وَصَلَّى عَلَيْهِ فِـىْ جَمْعِ بَنِىْ اِسْرَائِيْلَ فَفَعَلَ مَا اَمَرَهُ اللهُ تَعَالـٰى بِهٖ فَتَعَجَّبَ بَنُوْ اِسْرَائِيْلَ مِنْ ذٰلِكَ فَاَخْبَرُوْهُ اَنَّهٗ لَـمْ يَكُنْ فِـىْ بَنِـىْ اِسْرَائِيْلَ اَعْتٰى مِنْهُ وَلَا اَكْثَرَ مَعَاصِىْ مِنْهُ، فَقَالَ قَدْ عَلِمْتُ وَلٰكِنَّ اللهَ اَمَرَنِـىْ بِذٰلِكَ فَقَالُوْا سَلْ رَبَّكَ فَسَأَلَ حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ رَبَّهٗ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ: يَارَبِّ قَدْ عَلِمْتَ مَا قَالُوْا فَاَوْحَى اللهُ اِلَيْهِ اَنْ صَدَقُوْا مَا قَالُوْا اِنَّهٗ عَصَانِـىْ مِائَتَـىْ سَنَةٍ اِلَّا اَنَّ يَوْمًا مِّنَ الْاَيَّامِ فَتَحَ التَّوْرَاةَ فَنَظَرَ اِلـٰى اِسْمِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكْتُوْبًا فَقَبَّلَهٗ وَوَضَعَهٗ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَفِىْ رِوَايَةٍ اُخْرٰى وَصَلّٰى عَلَيْهِ فَشَكَرْتُ لَهٗ ذٰلِكَ فَغَفَرْتُ لَهٗ ذُنُوْبَ مِائَتَىْ سَنَةٍ وَّزَوَّجْتُهٗ سَبْعِيْنَ حَوْرَاءَ.

   অর্থ: “নিশ্চয়ই (বনী ইসরাঈলে) এক ব্যক্তি (সে দুই শত বছর হায়াত পেয়েছিলো এবং) সে দুই শত বছর মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করেছিলো। সে তার সম্পূর্ণ হায়াতে মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অবাধ্য ও নাফরমানীতে মশগূল ছিলো, বেপরওয়া ছিলো। (যার কারণে কেউ তাকে পছন্দ করতো না এবং সকলে চরম ঘৃণা করতো। ফলে)  সে যখন ইন্তেকাল করে, তখন বনী ইসরাঈলরা তার পায়ে ধরে তাকে টেনে হেঁচড়ে গোবর পূর্ণ স্থানে, গোবরের স্তূপে নিক্ষেপ করে। তারপর যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করেন যে, তিনি যেন বণী ইসরাঈলের সমস্ত লোকজন নিয়ে ঐ ব্যক্তির গোসল, দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেন এবং তার জানাযার নামায পড়েন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যা নির্দেশ মুবারক করলেন, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি তাই করলেন। এই কারণে বনী ইসরাঈলরা আশ্চর্য হলো। তারা বললো, সে এমন ব্যক্তি- যার মতো অত্যধিক সীমালঙ্গনকারী, চরম অবাধ্য, অত্যন্ত কঠিন হৃদয়ের অধিকারী, চরম বেপরওয়া, কর্কশভাষী, বড় যালিম, চরম বেআদব, সেরকাশী (খুনী) এবং অত্যধিক পাপীষ্ঠ, গুণাহগার আর কেউ ছিলো না। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নি:সন্দেহে আমি তা জানি। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এরূপ করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!  তখন তারা সবাই বললো, আপনি (দয়া করে) আপনার রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে (এ বিষয়ে) সুওয়াল করুন (যে এর হাক্বীক্বত কী?)। তারপর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে সুওয়াল করলেন। তিনি বললেন, আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে আপনি অবশ্যই তা জানেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করলেন যে, বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে তা সত্যই বলেছে। নিশ্চয়ই সে দুই শত বছর আমার নাফরমাণী করেছে। তবে সে একদিন সম্মানিত তাওরাত শরীফ খুলে দেখতে পেলো যে, সম্মানিত তাওরাত শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক লেখা। তখন সে মুহব্বতের সাথে খুশি প্রকাশ করে আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক ‘সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার মধ্যে (একবার মাত্র) বুছা দিয়েছিলো এবং মুহব্বতের সাথে খুশি প্রকাশ করে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক তার দুই চোখে লাগিয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! অপর বর্ণনায় রয়েছে, এবং সে উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করেছিলো। সুবহানাল্লাহ! এই কারণে আমি তাকে উত্তম প্রতিদান দান করেছি। সুবহানাল্লাহ! তার দুই শত বছরের (জীবনের) সমস্ত গুণাহখতা গুলো ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তার সাথে সত্তর জন হুরের বিবাহ দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দিয়েছি এবং আপনার মতো একজন জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল উনার জন্য তার গোসল, দাফন-কাফন করা এবং তার জানাযার নামায পড়া ফরয করে দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছুল কুবরা ১/২৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৪১২, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/১৩৬, তাফসীরে দুররে মানছূর৩/৫৭৯, শরহু বুখারী ২/১১৯ ইত্যাদি)

এখন বলার বিষয় হচ্ছে বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি যদি দুই শত বছর হায়াত পেয়ে দুই শত বছরই সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করার পরেও একবার মাত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক-এ বুছা দেয়ার কারণে তার জিন্দেগীর সমস্ত গুনাহখতাগুলো ক্ষমা হয়ে যায়, তার উপর জাহান্নাম হারাম হয়ে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়, জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার জন্য তার গোসল, দাফন-কাফন করা এবং তার জানাযার নামায পড়া ফরয করে দেয়া হয় এবং জান্নাতে তার সাথে সত্তর জন হুরের বিবাহ দেয়া হয়, তাহলে এই উম্মত যদি সরাসরি যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ পাক মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে উনাকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাহ্ মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপত্রি ক্বদম মুবারক-এ) বুছা দেয়, উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়, উনার সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করে, তাহলে এই উম্মত কী নি‘য়ামত মুবারক লাভ করবে, কোন সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান করবে? সুবহানাল্লাহ! মূলত, তা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী তা কস্মিনকালেও চিন্তা-কল্পনা করে মিলাতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করার এবং উনার সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

(২)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 

عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُعْطِيْتُ جَوَامِعَ الْعِلْمِ .

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমাকে সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (সুনানে দারু কুত্বনী ৫/২৫৪, দায়লামী শরীফ ১/৪০০)

আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

أُعْطِيْتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ.

অর্থ: “আমাকে সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম কালাম মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ ২/৪১১, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ১১/৩৭৭, দালাইলুন নুবুওওয়াহ লিল বাইহাক্বী ৫/৪৭২, সুনানে দারু কুত্বনী ১০/১০০, মিশকাত শরীফ ৫১২ ইত্যাদি) 

আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম কালাম মুবারকসহ প্রেরিত হয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, নাসায়ী শরীফ, মুসনাদে আহমদ ২/২৬৪, মুসনাদে বাযযার ১৪/২১৪, দালাইলুন নুবুওওয়াহ ৫/৪৭১, মিশকাত শরীফ ৫১২ ইত্যাদি)

আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ مُوسٰى رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ  قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُوْتِيْتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَفَوَاتِحَه وَخَوَاتِمَه.

অর্থ: “হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমাকে শুরু-শেষসহ সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম কালাম মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (মুছন্নাফে আবী শায়বাহ ১১/৪৮০, মাজমাউয যাওযায়িদ ১/২২৩, ফাতওয়ায়ে হাদীছিয়্যাহ ১/১৬৬, জামিউল আহাদীছ ১২/২৭, মাত্বালিবুল আলিয়াহ ১৫/৬৩৪ ইত্যাদি)

এই সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম কালাম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! আর উনারই সম্মানিত ফযল ও করম মুবারক-এ উনার সর্বশ্রেষ্ঠ ও অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম হিসেবে উনারই সুমহান আওলাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছাহিবু ইলমিল আউওয়ালি ওয়াল ইলমিল আখিরি, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনিও সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! এই প্রসঙ্গে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ ও সম্মানিত আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 

يُؤْتَوْنَ الْعِلْمَ الْأَوَّلَ وَالْعِلْمَ الْاٰخِرَ

অর্থ: “উনাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হবে।” সুবহানাল্লাহ! (দালাইলুন নুবুওওয়াহ লিআবী  না‘ঈম ১ম খণ্ড ৩৮ নং পৃষ্ঠ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১ম খণ্ড ৯৯ নং পৃষ্ঠা, খছাইছুল কুবরা লিস সুয়ূত্বী ১ম খ- ১৮ নং পৃষ্ঠা, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ ২/৪০৩, শরহুয যারক্বনী ৭/৪১২ ইত্যাদি)

এখানে يُؤْتَوْنَ শব্দ মুবারকখানা জমা’ বা বহুবচন নেয়া হয়েছে। এর লক্ষ-কোটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে দুটি বিশেষ কারণ হচ্ছে, এক. মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, ছাহিবু ইলমিল আউওয়ালি ওয়াল ইলমিল আখিরি, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার তা’যীমার্থে এখানে يُؤْتَوْن শব্দ মুবারকখানা জমা’ বা বহুবচন নেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! তা’যীমার্থে যে, জমা’ বা বহুবচন শব্দ মুবারক ব্যবহার করা হয়, এর অনেক মিছাল বা দৃষ্টান্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে রয়েছে। যেমন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّا نَـحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَاِنَّا لَه  لَـحٰفِظُوْنَ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ নাযিল করেছি এবং নিশ্চয়ই আমি উনার হিফাযতকারী।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা হিজর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)

এখানে স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মুবারক শানে তা’যীমার্থে اِنَّا نَـحْنُ نَزَّلْنَا শব্দ মুবারকসমূহ জমা’ বা বহুবচন ব্যবহার করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

দুই. আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নিসবত মুবারক উনার কারণে যেমন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা অর্থাৎ উনারা প্রত্যেকেই সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অধিকারী হয়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনিতো অবশ্যই সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অধিকারী, শুধু তাই নয়, উনার সাথে সম্মানিত নিছবত মুবারক উনার কারণে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, ক্বায়িম মাক্বমে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাতই শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাও সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! তাই এখানে- يُؤْتَوْنَ শব্দ মুবারকখানা জমা’ বা বহুবচন নেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَضَّرَ اللهُ امْرَءًا سَـمِعَ مِنَّا حَدِيْثًا فَبَلَّغَهٗ كَمَا سَـمِعَهٗ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ اَوْعٰى مِنْ سَامِعٍ.

  অর্থ: “ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই ব্যক্তির সম্মানিত চেহারা মুবারক সম্মুজ্জ্বল করুন, (উনাকে সম্মানিত মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক দান করুন,) যিনি আমার থেকে যেরূপ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ শুনবেন ঠিক হুবহু অনুরূপ বর্ণনা করবেন। কেননা (পরবর্তীতে) যেই সকল সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের কাছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছানো হবে, উনারা যাঁদের থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ শুনবেন, উনাদের থেকে অধিক বেশি বুঝবেন, উপলব্ধি করবেন, অনেক বেশি সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অধিকারী হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান শরীফ, মুসনাদে বাযযার শরীফ, ত্ববারনী শরীফ ইত্যাদি)

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার মালিক। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার একখানা সম্মানিত লক্বব মুবারক হচ্ছেন, ‘ছাহিবু ইলমিল আউওয়ালি ওয়াল ইলমিল আখিরি’ তথা সৃষ্টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার মালিক। সুবহানাল্লাহ! তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি বিষয়ে যে বেমেছাল মহাসম্মানিত তাজদীদ মুবারক করে যাচ্ছেন, তা অতুলনীয়, অকল্পনীয়, অভাবনীয় এবং অতি বিস্ময়কর। সুবহানাল্লাহ! বিশেষ করে তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এতো বেমেছালভাবে প্রকাশ করছেন যে, যার দৃষ্টান্ত কায়িনাতের বুকে আর নেই। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম, কোন মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এরূপ সর্বোত্তমভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান আলোচনা মুবারক করেননি। সুবহানাল্লাহ! কেউ কোনো কিতাবে দেখাতেও পারবে না। এটা উনার এক অনন্য বেমেছাল সম্মানিত খুছূছিয়াত মুবারক, এক বেমেছাল বিস্ময়কর মহাসম্মানিত তাজদীদ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যা উনার বেমেছাল শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! এর মাধ্যম দিয়েই প্রতিভাত হয় যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে যত মুজাদ্দিদ, ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এসেছেন এবং ক্বিয়ামত যত মুজাদ্দিদ, ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা আসবেন উনাদের প্রত্যেকের সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত কিছুর অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

আর এ কারণেই আমরা দেখতে পাই যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের পর থেকে ১৪০০ হিজরী শতক পর্যন্ত অর্থাৎ ১৩শ’ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ওলীআল্লাহ, মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরহ্ মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) বায়াত হয়ে মুরীদ হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার পূর্বে (১৪৩৩ হিজরী শরীফ-এ)। আমাকে দেখানো হচ্ছিলো, দেখলাম সরাসরি সাক্ষাৎ হলো যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে। তিনি আমাকে অনেক বড় বড় লেখকদের কতোগুলো আরবী বড় বড় কিতাব দেখালেন। এর মধ্যে অনেক ইবারত, অনেক ভুল। এখন যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখাচ্ছেন, আমি চিন্তা করলাম যে, সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আমাদের তো নিসবত নেই। আমাদের নিসবত তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে। এটা কেমন! তখন সাথে সাথে দেখলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উপস্থিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, হ্যাঁ, তিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক। এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখাচ্ছেন এবং দেখালেন কতগুলো অনেক বড় বড় কিতাব, আরবী বড় বড় ইবারত এখানে তারা যে লিখেছে একটাও শুদ্ধ না। একটাও শুদ্ধ না, অধিকাংশগুলোতে ভুল আছে। এরা বুঝতে পারে নাই, হাক্বীক্বতটা বুঝে নাই। আমাকে একখানে নিয়ে গেলেন। ঐ সম্মানিত আয়াত শরীফখানা

يَاأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا لَا تُـحِلُّوا شَعَائِرَ اللهِ وَلَا الشَّهْرَ الْـحَرَامَ وَلَا الْـهَدْىَ

এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার যে, হাক্বীক্বতটা, মাক্বামটা ওখানে আমাকে নিয়ে গেলেন। সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক বড় কামরা, রুম। এটা ইলম মুবারক-এ পরিপূর্ণ। এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বত, তা’যীম-তাকরীমের বিষয়টা। এরপর বললেন যে, এই যে, এতো হাদীছ, তাফসীর যে লেখা হয়েছে- সব কিছু রসম-রেওয়ায এবং অধিকাংশ হচ্ছে পুঁথিগত বিদ্যা, কপি করা। এরপর অনেক ইলম উনাদের একটা বড় মাক্বাম দেখালেন যে, উনার কোন কুল-কিনারা নাই। এরপর অপর এক জায়গায় আমাকে আবার নিয়ে আসলেন। একটা জিনিস দেখানো হলো, একটা কোণার মধ্যে, অল্প একটু জায়গার মধ্যে দুনিয়ার সমস্ত কিতাব যা আছে, দুনিয়ার যত কিতাব যা লিখা হয়েছে- সমস্ত কিতাবগুলির হাক্বীক্বতটা এক কোণার মধ্যে, অল্প একটু। 

আর যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের যে সম্মানিত ইলম মুবারক অনেক অসীম! সুবহানাল্লাহ! (মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে উনাদের সেই সম্মানিত অসীম ইলম মুবারক দেখিয়েছেন এবং সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে উনার পক্ষে ‘মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের যে সম্মানিত ইলম মুবারকটা অনেক অসীম!’ এই বিষয়টি বর্ণনা করা সহজ এবং সম্ভব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!) কাজেই এই যে, ইলম যা প্রকাশ করা হচ্ছে, যা বিন্দু থেকে বিন্দুতম। যেটা আমরা বলি, এটা হলো সেটা। হাক্বীক্বত খুব কম এবং অনেক বইয়ের মধ্যে অনেক ভুল। হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের শান মুবারক-এ লেখা যেগুলো আছে, অনেক গলদ আছে। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে অনেক অনেক বড় বড় আলিম-উলামা উনারা অনেকে অনেক তাফসীর, হাদীছ শরীফ উনার শরাহ লিখেছেন, কিন্তু অনেক গলদ। এই সমস্ত বিষয়গুলো গ্রহণ করা যাবে না। 

এরপর কতোগুলো বিষয় জানার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম এবং বললাম তাহলে এ রকম হলো কেন? উনারা বললেন যে, প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা হচ্ছে এটা যার যার মাক্বামের সাথে সম্পৃক্ত। যিনি যেই স্তরে পৌঁছেছেন, যতটুকু বুঝেছেন, ততটুকুই লিখেছেন। হাক্বীক্বত এই লেখাগুলো কোনোটাই পূর্ণ না। পূর্ণ হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ। এখন বুঝ বা সমঝ পূর্ণ হবে উনারা যদি বুঝান। যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যদি বুঝান তাহলে বুঝ বা সমঝ পূর্ণ হবে। তাছাড়া পূর্ণ হবে না।” সবুহানাল্লাহ!

মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উনাদের পরিপূর্ণ অসীম ইলম মুবারক মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের  হাক্বীক্বী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ মুবারক করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন হচ্ছে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে  হাক্বীক্বীভাবে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করা, উনার সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করা, উনার সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া এবং দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা। সুবহানাল্লাহ! তবেই তারা ইহকাল ও পরকালে সবচেয়ে বড় হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে। সুবহানাল্লাহ! 

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করার এবং উনার আখাচ্ছুল খাছ সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!


 সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার বেমেছাল সম্মানিত তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার বেমেছাল সম্মানিত তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক

(১)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ১লা মুর্হারমুল হারাম শরীফ ১৪৩৯ হিজরী শরীফ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি কোন স্থান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, সেই সম্মানিত স্থান মুবারকখানা দেখিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ জানতে চাইলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোন সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন? তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে একটি কাটা ওয়ালা ঘড়ি মুবারক দেখালেন। আমি দেখলাম, তখনও উক্ত সম্মানিত ঘড়ি মুবারক-এ ১২:০০ টা বাজেনি। সেকেন্ডের কাটাটি আর ৪৫ সেকেন্ড অতিক্রম করলে ১২:০০ বাজবে। অর্থাৎ ১২:০০ টা বাজতে আর ৪৫ সেকেন্ড বাকি রয়েছে। অর্থাৎ ১১ টা বেজে ৫৯ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক গ্রহণের ছয় বৎসর পর বা আমুল ফিলের ৬ বৎসর পর ৩রা রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছানাইনিল ‘আযীম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! আর তিনি ৩৫ হিজরী সনের ১৮ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ (জুমুয়ার) নামাযের পূর্বে ১১:০০ টা বেজে ৫৯ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!

এই সম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারক উনার মাধ্যমে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার এক অভূতপূর্ব অনন্য বেমেছাল মহাসম্মানিত তাওয়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক উনার বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছেন। সুবহানাল্লাহ! এতো গভীর মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক! সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন তো ঘড়ি ছিলো না। কিন্তু প্রায় দেড় হাজার বছর পরে এসে  আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি এতো নিঁখুতভাবে বর্ণনা করে দিলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি কয়টা বেজে, কতো মিনিটে এবং কতো সেকেন্ডে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! প্রকৃতপক্ষে সন্দেহাতীতভাবে পৃথিবীর ইতিহাসে এটা এক নযীরবিহীন মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারক, যেই মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারক উনার মেছাল আর নেই। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক উনার বিষয়টি উপলব্ধি করার জন্য চিন্তাশীল ও আক্বলমান্দের জন্য এই একটি মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারকই যথেষ্ট। সুবহানাল্লাহ!

(২)

এটা চিরন্তন সত্য কথা যে,

قدر نعمت بعد زوال

অর্থ: “সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক উনার ক্বদর সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হস্তচ্যুত হলে বুঝা যায়।”

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি যে আমাদের জন্য, এই উম্মাহর জন্য, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য কতো বড় মহাসম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক, সেটা সকলের চিন্তা-কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক পেয়ে সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক উনার ক্বদর করা এবং সেই সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে বর্ণনা করা যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক পেয়ে সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক উনার গুরুত্ব উপলব্ধি করা আবশ্যক। অন্যথায় প্রাপ্ত সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক উনার ক্বদর করা সম্ভব নয়। আর প্রাপ্ত সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক উনার গুরুত্ব উপলব্ধি করার জন্য প্রাপ্ত সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে বর্ণনা করা ফরয এবং এটা সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক প্রাপ্তির একটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশও বটে। এই জন্য যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَاَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ

অর্থ: “আপনার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে যেই সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক দিয়েছেন, সেই সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে আপনি বর্ণনা করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা দ্বুহা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)

আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, 

عَنْ حَضْرَتْ اَلنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلتَّحَدُّثُ بِنِعْمَةِ اللهِ شُكْرٌ وَّتَرْكُهَا كُفْرٌ وَّمَنْ لَّا يَشْكُرِ الْقَلِيْلَ لَا يَشْكُرِ الكَثِيْرَ وَمَنْ لَّا يَشْكُرِ النَّاسَ لَا يَشْكُرِ اللهَ.

 অর্থ: “হযরত নু’মান ইবনে বশীর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক সম্পর্কে বর্ণনা করা শুকরিয়া হিসেবে গণ্য এবং বর্ণনা না করা কুফরী। যে ব্যক্তি সামান্য সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে না, সে অধিক সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক পেয়েও শুকরিয়া আদায় করবে না। যে ব্যক্তি মানুষের শুকরিয়া আদায় করে না, সে মহান আল্লাহ পাক উনারও শুকরিয়া আদায় করতে পারবে না।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (শু‘য়াবুল ঈমান শরীফ, মুসনাদে আহমদ, আত ত্ববারনী, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, মুসনাদে বাযযার, কাশফুল খফা, আল ফাতহুল কাবীর ইত্যাদি) 

সেটাই আমরা দেখতে পাই যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখেন, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসীগণ উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বাগত মুবারক জানিয়ে পাঠ করেছিলেন,

طَلَعَ الْبَدْرُ عَلَيْنَا * من ثنيات الوداع 

وَجَبَ الشُّكْرُ عَلَيْنَا * ما دعا لله داع

اَيَّهُا الْـمَبْعُوْثُ فِيْنَا * جئت بالامر المطاع

অর্থ: “ছানিয়াতুল বিদা হতে আমাদের উপর পূর্ণচন্দ্র উদিত হয়েছেন। আমাদের উপর শুকরিয়া আদায় করা ফরয-ওয়াজিব হয়ে গেছে এজন্য যে, দায়ি’ তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য আমাদেরকে সম্মানিত আহ্বান মুবারক করছেন। সুবহানাল্লাহ! হে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে প্রেরিত মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আমাদের মাঝে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন অনুসরণীয় বিষয়বস্তু তথা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে নিয়ে।” সুবহানাল্লাহ! (বিদায়াহ-নিহায়াহ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, রযীন ইত্যাদি)

আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে এবং তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত ও রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের প্রত্যাশায় একখানা বিশেষ মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারক বর্ণনা করবো। যা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের শামিল। সুবহানাল্লাহ! তাওফীক্ব ভিক্ষা চাচ্ছি সহজ-সরল, সুন্দর ও সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করার। আমীন!

তবে উক্ত বিশেষ ওয়াক্বেয়াহ মুবারক বর্ণনা করার পূর্বে তা ভালোভাবে উপলব্ধি করার লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক একখানা ওয়াক্বেয়াহ মুবারক উনার অবতারণা- হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে চিনেন না, এমন কোন আলিম পৃথিবীর বুকে নেই। উনারই সম্মানিত জীবনী মুবারক-এ ঘটে যায় জগতবাসীর জন্য একটি শিক্ষনীয় ঘটনা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার গভীর তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক। হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রতিদিন বা’দ ‘ইশা মুরাকাবায় বসে হিন্দুস্থান থেকে চলে যেতেন সুদূর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ। সুবহানাল্লাহ! নিয়মিতভাবে এই তরতীবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতেন তিনি। এভাবে বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত হলো। একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ তিনি আরজী পেশ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার আরো অধিক সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে চাই। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘যদি তাই হয়, তাহলে আপনি শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট যান, উনার হাত মুবারক-এ বায়াত হন এবং উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করুন।’ সুবহানাল্লাহ! হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি চুপ হয়ে গেলেন। তিনি আর কিছু বললেন না। তিনি প্রতিদিনের মতো আজও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার শেষে উনার বাসগৃহে চলে আসলেন। উনার মাথা চক্কর খেতে লাগলো। কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘যেই শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট যেতে, উনার হাত মুবারক-এ বায়াত হতে এবং উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে’ হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন তিনি তো উলামায়ে সূ’দের কথায় ‘সেই শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি’ উনাকে কাফির ফাতওয়া দিয়ে উনার বিরুদ্ধে একখানা বই লিখেছেন! হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সকালে উঠে তাড়াতাড়ি লিখিত সেই বইখানা স্বহস্তে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে আগুনে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিলেন। রওয়ানা হলেন সিরহিন্দ শরীফ পানে। যদিও তিনি তখন ক্বাদেরীয়া ত্বরীক্বাহ উনার একজন বিশিষ্ট বুযূর্গ এবং খিলাফতপ্রাপ্ত খলীফা। তারপরেও তিনি সিরহিন্দ শরীফ গেলেন এবং হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাত মুবারক-এ বায়াত গ্রহণ করে উনার সম্মানিত  ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার মাধ্যম দিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরো অধিক সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করলেন। সুবহানাল্লাহ!

হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাত মুবারক-এ বায়াত গ্রহণ করে সম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার মাধ্যম দিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরো অধিক তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করলেন। সুবহানাল্লাহ!

হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বলার অপেক্ষাই রাখে না। তিনি হচ্ছেন মুজাদ্দিদে আলফে ছানী তথা দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মুজাদ্দিদ। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, তিনি হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের পর থেকে ১৪শ’ হিজরী পর্যন্ত যত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম এবং যত হযরত মুজাদ্দিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা  অতীত হয়েছেন উনাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ওলীউল্লাহ, সবচেয়ে বড় মুজাদ্দিদ। সুবহানাল্লাহ! তাহলে তিনি কতো সীমাহীন মর্যাদা-মর্তাবা, শান-শুয়ূনাত, মাক্বামত মুবারক উনাদের অধিকারী, সেটা এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! উনার শান মুবারক-এ স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

يُبْعَثُ رَجُلٌ عَلـٰى اَحَدَ عَشَرَ مِائَةِ سَنَةٍ وَهُوَ نُوْرٌ عَظِيْمٌ اِسْـمُه اِسْـمِىْ بَيْنَ السُّلْطَانَيْنِ الْـجَابِرَيْنِ يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِشَفَاعَته رِجَالٌ اُلُوْفًا.

অর্থ: “একাদশ হিজরী সনে একজন মহান ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার আবির্ভাব ঘটবে, তিনি হচ্ছেন ‘নূরুন আযীম তথা মহান নূর’। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত ও পবিত্র নাম মুবারক হবে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক-এ। তিনি দুই যালিম বাদশাহর মাঝে তাশরীফ মুবারক  নিবেন। উনার মুবারক শাফা‘য়াতে (সুপারিশে) হাজার হাজার লোক সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (জামউল জাওয়াম, জামিউদ দুরার)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

يَكُوْنُ فِـىْ اُمَّتِـىْ رَجُلٌ يُقَالُ لَه صِلَةُ يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِشَفَاعَتِه كَذَا وَكَذَا مِنَ النَّاسِ.

অর্থ: “আমার উম্মতের মাঝে একজন মহান ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার আবির্ভাব ঘটবে। উনাকে ‘ছিলাহ’ বলা হবে। উনার মুবারক শাফা‘য়াতে অসংখ্য মানুষ সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (জামউল জাওয়াম, জামিউদ দুরার, জামিউল আহাদীছ, যুহুদ, ইবনে সা’দ, বাইহাক্বী)

মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফ যে কতো হিকমতপূর্ণ তা জিন-ইনসান কখনো চিন্তা-কল্পনা করে মিলাতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! মূলত, উনারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশেষ ওয়াক্বিয়াহ মুবারক দ্বারা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে শিক্ষা মুবারক দিয়ে থাকেন। হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ন্যায় হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্ষেত্রেও একখানা বিশেষ বরকতময় মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারক সংঘটিত হয়। সেই মহাসম্মানিত ওয়াক্বিয়াহ মুবারক উনার মধ্যে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য সীমাহীন বিশেষ ইবরত-নছীহত মুবারক নিহিত রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর সেই মহাসম্মানিত বিশেষ বরকতময় ওয়াক্বেয়াহ মুবারকখানা হচ্ছেন- হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আরজি মুবারক পেশ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার আরো অধিক সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক হাছিল করতে চাই, আরো অধিক নৈকট্য অর্জন করতে চাই। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যদি তাই হয়, তাহলে আপনি আমার আখাচ্ছুল খাছ মাহবূব হাবীব, আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার যিনি মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম রয়েছেন উনার নিকট যান, উনার নিকট যেয়ে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরহ্ মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) বায়াত হন এবং উনার থেকে সম্মানিত বিশেষ নি‘য়ামত মুবারক হাছিল করুন। তবেই আপনি আমার আরো অধিক সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক হাছিল করতে পারবেন, আরো অধিক নৈকট্য মুবারক অর্জন করতে পারবেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ হযরত শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি সম্মানিত রাজারবাগ দরবার শরীফ এসে মুজাদ্দিদে আ’যম, সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বায়াত হওয়ার জন্য বিনতীভাবে আরজি মুবারক পেশ করেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা ইরশাদ মুবারক করেছেন তা ব্যক্ত করেন। তখন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি দয়া করে মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত আরজি মুবারক কবূল করে উনাকে সম্মানিত বায়াত মুবারক করিয়ে স্বীয় মুরীদ হিসেবে কবূল করে নেন। সুবহানাল্লাহ!

এই মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারক মুজাদ্দিদে আ’যম, সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উানর মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ১৪৩৮ হিজরী সনের ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ সম্মানিত বিশেষ মাহফিল মুবারক-এ বর্ণনা মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে এই মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারক থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী কস্মিনকালেও চিন্তা-কল্পনা করে মিলাতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ!

মূলত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাতে যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক-এ এসে সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে সম্মানিত বিশেষ নি‘য়ামত মুবারক হাছিল করেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে  ১৩শ’ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ পৃথিবীর ইতিহাসে এই পর্যন্ত যত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এবং হযরত মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম অতীত হয়েছেন, উনারা প্রত্যেকেই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক-এ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এসে সম্মানিত বিশেষ নি‘য়ামত মুবারক হাছিল করেছেন এবং হাছিল করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উনারা প্রত্যেকেই হচ্ছেন মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানিত মুরীদ উনাদের অন্তর্ভুক্ত, আর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি হচ্ছেন উনাদের প্রত্যেকেরই মহাসম্মানিত শায়েখ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম। সুবহানাল্লাহ! কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের আখাচ্ছুল খাছ সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে চায়, তাহলে তার জন্য ফরযে আইন হচ্ছে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরহ্ মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) বায়াত গ্রহণ করা। সুবহানাল্লাহ! এই দ্বার সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্যই উন্মুক্ত। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

তাহলে ফিক্বির করতে হবে যে, আমরা কতো বড় মহাসম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক লাভ করেছি! আমরা কি কস্মিনকালেও তা চিন্তা-কল্পনা করে মিলাতে পারবো! হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা ব্যতীত পৃথিবীর ইতিহাসে আর কেউ কি এতো বড় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নি‘য়ামতে ‘উযমা মুবারক লাভ করতে পেরেছেন! তাহলে আমাদের কি করা উচিত! আমাদের কতোটুকু সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করা এবং শুকরিয়া আদায় করা উচিত! উনার সম্মানার্থে শুকুরগুযারীর সাথে সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করে কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়ারহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা উচিত!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ দান করুন এবং উনার সম্মানার্থে শুকুরগুযারীর সাথে সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করে হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়ারহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন! আমীন! আমীন!

(৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত শান মুবারক-এ আখাচ্ছুল খাছ বিশেষ তিনখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি প্রায় সময় আলোচনা মুবারক করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

১নং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ:

اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন। আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

২নং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ:

عَنْ حَضْرَتْ عَـلِـىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ شَجَرَةُ النُّبُوَّةِ وَمَعْدِنُ الرِّسَالَـةِ لَيْسَ اَحَدٌ مِّـنَ الْـخَلَائِقِ يَفْضُلُ اَهْلَ بَيْـتِـىْ غَيْرِىْ.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমরা সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার সম্মানিত বৃক্ষ মুবারক এবং সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার সম্মানিত খনি মুবারক। সুবহানাল্লাহ! সমগ্র সৃষ্টি জগতে একমাত্র আমি ব্যতীত দ্বিতীয় আর কেউ নেই, যে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে। অর্থাৎ সমগ্র সৃষ্টি জগতে আমার পরেই আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক, ফযীলত মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! 

৩নং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ:

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ الله تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّايُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো তুলনা করা যাবে না।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী ৪/২৮৩, জামি‘উল আহাদীছ ২২/২১৯, কানজুল উম্মাল ১২/১০৪, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/২৪৯৫০, যাখায়েরুল ‘উক্ববাহ ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭ ইত্যাদি)

ইমামুল মুহাদ্দিছীন মিনাল আউওয়ালিন ইলাল আখিরীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বলেছেন যে, আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে- 

اَهْلُ بَيْتٍ نَـحْنُ

(আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম) বলেন আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে আমার নিজের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ!

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার কতো বেমেছাল সম্মানিত তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক সেটা সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!