মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে গভীরতম নিছবত


 
মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে গভীরতম নিছবত

 যামানার মহান মুজাদ্দিদ, নূরে মুকাররম, আওলাদে রসূল ইমাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সদয় অনুমতিক্রমে ১৯৮৯ সনে আমি ও আমার মা যিয়ারত ও হজ্জ করার জন্য পবিত্র মদীনা শরীফ ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে গমন করি। পবিত্র মদীনা শরীফ ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উছীলায় অনেক অলৌকিক ঘটনাই ঘটেছিলো, তার মধ্যে একটি ঘটনা পেশ করছি-

বিদায় নেয়ার সময় হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক নির্দেশ করলেন, “সব অবস্থায় তুমি বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করবে।” হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এই পবিত্র নির্দেশ মুবারক যথাযথভাবে পালন করতে কোশেশে রত ছিলাম। আমার প্রাণের আক্বা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দয়া ও ইহসান রওযা শরীফ যিয়ারতের পর হতে দুরূদ শরীফ পড়ে আমি যা বলতাম তাই হতো। অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় এক বিশেষ আত্মিক সম্পর্কে সৃষ্টি হয়েছিল। যা ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব।

আমি তো হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এক আম মুরীদ। দুনিয়াবী বিভিন্ন কারণে এই বিশেষ নিয়ামতটি বেশি দিন ধরে রাখতে পারিনি। পরে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কাছে নিয়ামত বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা বর্ণনা করা মাত্রই তিনি বলে উঠলেন, “যাও, ঠিক করে দিচ্ছি।” সাথে সাথে আমার অবস্থা আগের মত হয়ে গেল। অর্থাৎ দরূদ শরীফ পড়ে যাই দোয়া করতাম- তাই হওয়া শুরু করলো। সুবহানাল্লাহ। মূলত আমার প্রাণের আকা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গভীর দায়েমী নিছবত থাকায় উনার এক অধম মুরীদের এই অবস্থা হয়েছিল। সুতরাং প্রতীয়মান হয় যে, তিনি খাছ নায়িবে রসূল, আওলাদে রসূল তথা রসূলে নো’মা। সুবহানাল্লাহ!


0 Comments: