' গুলে মুবিনা, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন,ছিদ্দীকায়ে কুবরা ,
আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম, মাশুকায়ে ইলাহী ,
কায়মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ্, মুতহিরাহ,
হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহামূল্যবান নসিহত
মুবারক থেকে সংগৃহীত
شاهد النبي صلى الله عليه وسلم
পর্ব-১
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতাহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি
বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন -
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অর্থ মুবারক- “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সম্মানিত ফেরেশতা
আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে ছলাত তথা দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকেন। হে
ঈমানদারগণ! তােমরাও উনার শান মুবারকে ছলাত মুবারক পাঠ করাে ও সালাম মুবারক
পেশ করা পেশ করার মত।" (সূরা আহযাব শরীফ, আয়াত শরীফ: ৫৬)
এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র নাম মুবারক উল্লেখ না করে يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ তথা উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বােধন করেছেন। (সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া
মুরশিদিনাল আযীম আলাইহিস সালাম)
আর আদব প্রদর্শন করার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা নূর শরীফ উনার ৬৩
নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন -
لَا تَجْعَلُوا دُعَاء الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاء بَعْضِكُم بَعْضًا
অর্থ মুবারক:- “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করে থাক সেভাবে নূরে
মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বােধন করো না ।
*
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতাহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি
বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সুরা ফাতহ শরীফ উনার ৮,৯ নং আয়াত শরীফ উনার।
মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন -
-إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
لِتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ وَتُسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
অর্থ মুবারক- “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে
প্রত্যক্ষদর্শী তথা হাজির-নাজির, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে প্রেরণ করেছি। যেন
তােমরা যিনি খলিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে
মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি ঈমান
আনতে পারো। এবং তোমরা উনার তাজিম-তাকরীম মুবারক করাে, উনার গােলামীর আঞ্জাম দাও এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক করাে
সকাল-সন্ধ্যা দায়েমীভাবে।
"(সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া মুরশিদিনাল আযীম আলাইহিস সালাম)
এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যে تُعَزِّرُوهُ ও تُوَقِّرُوهُ উভয় শব্দ মুবারকই সম্মান প্রদর্শন করার
অর্থে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত লুগাতে تُعَزِّرُوهُ শব্দের অর্থ সাহায্য করা, সহযােগিতা করা, ।
শ্রদ্ধা করা, শক্তি বাড়ানাে এবং সম্মান করার অর্থে ব্যবহৃত হয়। এখন উম্মত তাে উনার
সাহায্য-সহযােগিতা করতে পারবে না। তাই উম্মতের ক্ষেত্রে এটা বেমানান। সুতরাং,
এখানে تُعَزِّرُوهُ শব্দের দ্বারা গােলামী করা বুঝায়। আর সর্বক্ষেত্রে تُوَقِّرُوه শব্দের অর্থ
সম্মান করা বুঝায়।
সুতরাং এই আয়াত শরীফ উনার দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তা'যীম-তাকরীম তথা সম্মান প্রদর্শন করার
বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তাই উনার সম্মানিত নাম মুবারক না নেওয়াটাই হবে সম্মান প্রদর্শন বা আদব।।
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি।
আরো বলেন,
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে খাছ করে নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানাের জন্য নির্দিষ্ট কিছু
স্থান ব্যতীত সব জায়গায় উনার নাম মুবারক সরাসরি নেননি বরং লক্বব মুবারক দিয়ে
সম্বোধন করেছেন।
(সুবহানাল্লাহি ওয়া রাসুলিহি ওয়া মুরশিদিনাল আযীম আলাইহিস সালাম)।
আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু উনার প্রিয় হাবীব নুরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি নাম মুবারক
নেননি। তাই বান্দা-বান্দি কারাে জন্যই সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম
মুবারক নেয়া জায়েয হবে না।
কাজেই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক না নিয়ে মহাসম্মানিত ও