ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান
এমতক্ষেত্রে, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা রহমতুল্লিল আলামীন, সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্পাদিত নিয়ামতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, ফযীলতপূর্ণ সর্বপ্রকার কার্যাবলীর প্রতিদান, অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাদিয়াকৃত লব্ধ রিযামন্দি-সন্তুষ্টিযুক্ত যাবতীয় নিয়ামতরাজির একটি বিশেষ হিস্যা মুবারক কায়িম-মাক্বামে আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম এবং উনার ছহিবাতুল মুকাররামাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনারা দায়িমীভাবে লাভ করছেন এবং লাভ করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:
وَاللهُ وَرَسُوْلُهٗ أَحَقُّ أَنْ يُـرْضُوْهُ إِنْ كَانُـوْا مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: “যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাকো তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, মাহবূব মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা। উনারাই সন্তুষ্টি পাওয়ার সমধিক হক্বদার।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২)
সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যা এই যে, সমগ্র কায়িনাতবাসীর জন্য ফরয-ওয়াজিব হলো, তাদের সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী, রিয়াযত-মাশাক্কাত, যিকির-ফিকির, তাসবীহ-তাহলীল পাঠ ইত্যাদি সকল কিছুই একমাত্র মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্যই নিবেদিত। বান্দা-বান্দি সকলেরই জানা যে, খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে সরাসরি কেউ হাছিল করতে পারবে না। উনাকে হাছিল করার অনিবার্য মুবারক মাধ্যম হলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং তিনি নিজেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক উদ্দেশ্যে পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন:
اَنَا وَ اَنْتَ وَمَا سِوَاكَ خَلَقْتُ لِاَجْلِكَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا رَبِّىْ اَنْتَ وَمَا اَنَا وَمَا سِوَاكَ تَرَكْتُ لِاَجْلِكَ
অর্থ: “হে আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! শুধু আপনি এবং আমি। আপনার সন্তুষ্টি ও গোলামীর লক্ষ্যেই আমি সমগ্র কায়িনাত সৃষ্টি করেছি। বিনীত জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে বারে ইলাহী! শুধু আপনি, আমিও নই। এ ছাড়া কেবল আপনার রিযামন্দি-সন্তুষ্টির জন্যই (আপনার পবিত্র সন্নিধানে দায়িমীভাবে সংযুক্ত থাকার কারণেই) আমি কুল-কায়িনাতের সবকিছুই তরক করেছি।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মর্মার্থ হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয়তম মাশুক। একইসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনিও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয়তম মাশুক। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৯১