সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭৭

 

 উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কা’বা, ছহিবে নিয়ামত, ছহিবু সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, আলক্বাসিম, মালিকু আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, আছ ছমাদ, মাখদুমুল কায়িনাত, সুলত্বানুন নাছীর, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আখছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইমামুল উমাম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, মাওলানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান-আম্মাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহিমাস সালাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আখছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আছছমাদ, মাখদূমুল কায়িনাত, মুত্বহহার, মুত্বহহির, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম উনারা সকলেই হলেন উপরে বর্ণিত দু’টি গুণ-বৈশিষ্ট্যসহ সকল মর্যাদা- মাক্বামাতের সীমাহীন উর্ধ্বে। বরং এই সম্মানিত মর্যাদা ও মাক্বামাতগুলো উনারাই ব্যক্তির যোগ্যতা অনুসারে বণ্টন করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৮৭

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭৬

 উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

সম্মানিত শরয়ী পর্দাপালনের কারণে আমাদের পক্ষে এবং কায়িনাতবাসী কারো পক্ষেই আখাছছুল খাছ আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু মুর্শিদীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জাওযুম মুকাররাম, আখাছছুল খাছ আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখদূমুল কায়িনাত, আছ ছমাদ, মুত্বহহার, মুত্বহহির, আবূ মুর্শিদীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারক হাছিল করে আমরা যে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছি তা হলো, উনারা (সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম) উভয়েই নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ইরশাদকৃত পবিত্র নিম্নোক্ত হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব:

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন: আমাকে রোব, অর্থাৎ ভীতিপ্রদ সম্মান মুবারক দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার তৃতীয় অংশ হলো:

وَالثِّقَةُ فِي الدِّيْنِ

অর্থ: “সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার মধ্যে উনারা (সম্মানিত সুন্নত পালনকারী) বিশুদ্ধতা, নির্ভরযোগ্যতা/ গ্রহণযোগ্যতায় পরিপূূর্ণতালাভ করবেন। অর্থাৎ উনারা সকলেরই আস্থাভাজন হবেন এবং সকলেরই অনুসরণকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন।” বিশুদ্ধরূপে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনার ক্ষেত্রে ‘ছিক্বাহ রাবী’ হওয়া আবশ্যক। আর ‘ছিক্বাহ রাবী’ হওয়ার অপরিহার্য যোগ্যতা ও শর্ত হলো মূল দু’টি: ১. আদালত (ন্যায়পরায়ণতা) ২. দ্বব্ত্ (চূড়ান্ত পর্যায়ের স্মরণশক্তি) সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৮৬

 

 মুরগির গোশ্ত খাওয়া মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক

 মুরগির গোশ্ত খাওয়া মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক 

 আমরা কম বেশি সবাই প্রতিনিয়ত মুরগির গোশ্ত খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা হয়তো ৯৯% মানুষ-ই জানিনা, মুরগির গোশ্ত যে মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার। যা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গ্রহণ করেছেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত আহার মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! 
 
 মুরগির গোশ্ত খাওয়া যে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
 
عَنْ حَضْرَةْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلٰى حَضْرَةْ أَبِيْ مُوسٰى رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَهُوَ يَأْكُلُ دَجَاجًا فَقَالَ ادْنُ فَكُلْ فَإِنِّيْ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُهٗ. 
 
 অর্থ: হযরত যাহদাম আল-জারমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আবূ মূসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট গেলাম। তিনি তখন মুরগির গোশ্ত খাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আমার সামনে এগিয়ে আসুন এবং খাবারে অংশগ্রহণ করুন। কারণ আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুরগির গোশ্ত খেতে দেখেছি। 
 
 মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
 
عَن حَضْرَةْ اَبِيْ مُوسٰى رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ لَحْمَ الدَّجَاجِ. 
 
 অর্থ: হযরত আবূ মূসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুরগির গোশ্ত খেতে দেখেছি। 
 
উপরোক্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে মুরগির গোশ্ত গ্রহণ করেছেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত আহার মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! 
 
 (দলীল সমূহঃ বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 
 
 মুরগির গোস্তের উপকারিতাঃ- 
 
 মুরগির গোস্তের উপকারিতা প্রচুর। আমরা প্রতিনিয়ত মুরগির গোশ্ত খাচ্ছি। কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানি না। সকলের সুবিধার্থে নিম্নে বর্ণনা করা হলো। 
 
  মুরগির গোশ্ত হার্টের জন্য ভালো এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
 
 মুরগির গোস্তে চর্বির পরিমাণ কম থাকায় এটি খাওয়া নিরাপদ। 
 
 মুরগির গোস্তে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যা আমাদের পেশীকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 
 
 কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন হওয়ায় এটি ওজন কমানোর ভালো উৎস হিসাবে কাজ করে। আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এটির কম। 
 
 মুরগির গোস্তে উচ্চ মাত্রায় ট্রাইফটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। 
 
 মুরগির গোস্তে হোমোকিস্টাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের বিভিন্ন ধরনের কার্ডিওভাস্কুলার রোগের প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে থাকে। 
 
 মুরগির গোশ্ত ফসফরাস সমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁত ও হাড়ের জন্য ভালো। তাছাড়া ফসফরাস আমাদের কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 
 
 মুরগির গোস্তে ভিটামিন (বি)-ই ৬ শরীরে বিপাকের মাত্রা উন্নত করে। 
 
=========================== 
 
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক আল ইহসান শরীফ  
 
০৪ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী