আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ত্বহারত-ছমাদি য়াতের মাক্বাম মুবারক উনাদরে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-২৯

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ত্বহারত-ছমাদি য়াতের মাক্বাম মুবারক উনাদরে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-২৯

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৩৯ হিজরী শরীফ উনার ১০ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ মক্ববূল মুনাজাত শরীফ উনার পর ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদেরকে আমি অনেক কিছু বলি; কিন্তু আমার কথা সবকিছু তোমরা বুঝ না। আমার কথাগুলো বুঝতে হবে।

তোমাদেরকে একটা ঘটনা আমি বলছিলাম একবার। এই জুমাদাল উখরা শরীফ-এ ৮/৯ তারীখে।

বুঝতে পারলে ঈমান ঠিক থাকবে। আর বুঝতে না পারলে ঈমান নষ্ট হয়ে মুনাফিক্ব হতে হবে। দুইটার একটা।

আমি দেখতে পেলাম যে, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে অনেকগুলো নি‘য়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এখন এটার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি বললাম যে, আমি কি দুই রাকা‘আত নামায পড়বো মহান আল্লাহ পাক! মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন যে, না। এখন পড়লে রিয়া হবে। আচ্ছা; ঠিক আছে। আমি আর পড়লাম না। আমি জানতে চাইলাম যে, রিয়াটা কী তাহলে? তাহলে কঠিন বিষয়! যাক; অনেকদিন গেলো। এখন রিয়াটা কি তাহলে? সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ উনার ৮ তারীখ। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা আছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলতেছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা নিয়ত নিলেন। একটা বিশুদ্ধ নিয়ত। পানি দিয়ে যেমন ছড়ায় দিয়ে বাছাই করে, ময়লা পরিষ্কার করা হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, বিশুদ্ধ নিয়ত একজনের। এর মধ্যে রেশায় রেশায় কিছু রিয়া। অনেক বিশুদ্ধ নিয়ত। এরপর আমাকে নিয়ে গেলেন এক জায়গায়। এই যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা-

اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نحَْنُ اَهْلُ بيَْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ

مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَةِ وَمُخْتَلِفِ الْمَلَئِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ

وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন। আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিনড়ব ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর লিস সুয়ূত্বী ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হচ্ছে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র রাখা হয়েছে।

এক খানে নিয়ে গেলেন। এখন হুজরা শরীফ বলি, আর একটা স্থান বলা হোক বা একটা মাক্বাম মুবারক। একটা মাক্বাম মুবারক-এ নিয়ে গেলেন আমাকে। আসলে এই মাক্বাম মুবারকখানা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে সরাসরি হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, উনাদের উপরে আছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা, উনাদের উপরে আছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মাক্বাম মুবারকখানা। এই মাক্বাম মুবারকখানা হচ্ছেন ছমাদিয়াতের মাক্বাম মুবারক এবং ত্বহারতের মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যখন সেখানে আমি প্রবেশ করলাম, তখন দেখলাম যে, মনে হলো আসলেই- রিয়া এবং সমস্ত বদ মুহলিকাত সমস্ত কিছু শূন্য এই জায়গাটা, পরিষ্কার। এর বাইরে আসলেই নানান জিনিষ সংযোগ হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, এই মাক্বাম মুবারক-এ প্রবেশ করতে না পারলে, কখনও পরিপূর্ণ শুদ্ধ হবে না। কিন্তু দেখলাম যে, মাক্বাম মুবারক-এ প্রবেশ করার মতো একজনও লোক নাই। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং উনাদের উপরে যাঁরা আছেন, শুধু উনারাই আছেন। তখন এই বিষয়টা আমাকে বুঝানো হলো যে, লাইলাতুল লাবানের যে সংশ্লিষ্ট বিষয়টা, এটা আসলে অনেক কঠিন বিষয়। হাক্বীক্বী ইছলাহের ঐ মাক্বাম মুবারক, যেটা ছমাদিয়াত ও ত্বহারতের মাক্বাম। মুত্বহ্হার, মুত্বহহির যে বলা হয়, ঐ মাক্বাম মুবারক-এ না পৌঁছা পর্যন্ত পরিপূর্ণ ইছলাহ্ কখনও সম্ভব না। সুবহানাল্লাহ! উনারা যে ছমাদ। মহান আল্লাহ পাক তিনি ছমাদ, বেনিয়ায। মহান আল্লাহ পাক উনার তো আছেনই। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আসলে এই মাক্বাম মুবারকখানা। এই মাক্বাম মুবারক উনার মধ্যে ছমাদিয়াতের সাথে ত্বহারতের সংযুক্ততা আছে। এই মাক্বাম মুবারক-এ না পৌঁছা পর্যন্ত রিয়া হোক, কিনা হোক যা কিছু আছে সমস্ত মুহলিকাত থেকে পরিপূর্ণ ইছলাহ্ হাছিল করা কখনও সম্ভব না। সুবহানাল্লাহ!

এটার মূল মালিকই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ! এখন যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তো আছেনই এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা আছেন। এরপর হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আছেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের থেকে নূর মুবারক ঝরতেছেন। দেখা গেলো- পুরো কামরাটা নূরে নূরানী। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত ও পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এ যে বলা হয়েছিলো যে, আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শরাফাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র না’লাইন শরীফ) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ধূলি-বালি মুবারক) দ্বারা আরশে আযীম শরীফ সম্মানিত হবেন, এটা এ রকমই। সুবহানাল্লাহ! উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) অন্য যা কিছু রয়েছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শরাফাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র না’লাইন শরীফ) থেকে সবসময় দায়িমীভাবে সম্মানিত নূর মুবারক ঝরতেছেন। সুবহানাল্লাহ! এই ঘরটা পুরো ঘেরাও করা। এই মাক্বাম মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ না করা পর্যন্ত সমস্ত কিছু থেকে পবিত্রতা হাছিল করা কখনও সম্ভব না। যতই ইছলাহ্ হোক, কিছুটা.. থাকবে। এই মাক্বাম মুবারকখানা উনাদের খাছ মাক্বাম মুবারক। ঐখানে যদি কেউ প্রবেশ করতে পারে, তাহলে মুহলিকাতের আর কোনো কিছু থাকবে না। ছমাদিয়াত এবং ত্বহারত দুইটা একসাথে সংযুক্ত। প্রথমে আমাকে বলা হলো যে, ছমাদিয়াত। পরে জানানো হলো যে, না এটার সাথে ত্বহারতেরও সংযোগ আছে। উনারা যে মুত্বহহার, মুত্বহহির- সমস্ত কিছু থেকে উনারা ছমাদ। এই জিনিষটাই এটা।” সুবহানাল্লাহ!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই বলেছেন উনাদের মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুর্যূগী-সম্মান মুবারক আলোচনা করার জন্য-পর্ব-২৮

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই বলেছেন উনাদের মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুর্যূগী-সম্মান মুবারক আলোচনা করার জন্য-পর্ব-২৮

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ জুমু‘আহ্ শরীফ-এ আলোচনা মুবারক উনার শুরুতে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকের খুৎবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের খুছূছিয়াত-বৈশিষ্ট্য, ফযীলত আমরা অতীতে অনেক আলোচনা করেছি। গত কয়েক সপ্তাহ আলোচনা করা হয়েছে এবং আজকে একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিষয়গুলো একদিক থেকে যাহিরীভাবে, আরেকদিক থেকে বাতিনীভাবে কতগুলো বিষয় রয়েছে, মাসআলা রয়েছে, যেগুলো কোনো যাহিরী কিতাবে পাওয়া কখনও সম্ভব নয়। একমাত্র উনাদের মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক, নিসবত মুবারক হাছিল করার মাধ্যম দিয়ে সেটা হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব। আমরা অতীতে ‘সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহ্রীম শরীফ’ উনার আলোচনা করেছি এবং গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহেও আলোচনা করেছি। তবে একটি বিষয় ফিকিরের জন্য। আম মানুষ বুঝতে নাও পারে। তবে যারা ফিকির করবে, তারা বুঝতে পারবে। গত ১ সপ্তাহ আমি রূহানীভাবে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম) উনাদের সাথে যে (বিশেষ) নিসবত মুবারক, ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছিলাম, এক সেকেন্ডের তরে আমি জুদা হইনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কাজেই, উনাদের তরফ থেকে যেই ইলমে লাদুন্নী মুবারক যাহির হচ্ছেন, সেখান থেকে সে বিষয়টি সংগ্রহ করা।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আলোচনা মুবারক শেষ করার সময় ইরশাদ মুবারক করেন, “আমরা আবার সামনে আলোচনা করবো। এখন উনাদের তরফ থেকে যতটুকু সম্ভব অর্জন করা, সে অনুযায়ী।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত যিলক্বদ শরীফ মাসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহু শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রতি বছর এ সময় আমি জুমু‘আহ্-এর খুৎবা মুবারক-এ সম্মানিত হজ্জ উনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। কিন্তু এ বৎসর আমি এ সময় জুমু‘আর খুৎবা মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা করতেছি। সুবহানাল্লাহ! কারণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারাই আমাকে বলেছেন- আমি যেন সম্মানিত হজ্জ উনার বিষয় আলোচনা না করে, উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা করি। যার কারণে কয়েক সপ্তাহ যাবৎ আমি জুমু‘আর খুৎবা মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা করতেছি।” সুবহানাল্লাহ!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ-পর্ব-২৭

 

প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ-পর্ব-২৭

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ১৭ই রমাদ্বান শরীফ লাইলাতুল খামীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) সম্মানিত তারাবীহ নামায উনার পর সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّ يَسْٰنِىْ فِيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَ نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ

প্রকৃতপক্ষে মানুষ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অর্থ বুঝে না। তারা অর্থ করে থাকে যে, لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ  যিনি খালিক্ব যিনি

মালিক যিনি রব উনার সাথে আমার একটা সময় রয়েছে। এখানে وَقْتٌ বলতে মানুষ মনে করে- একটা সময় রয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

প্রকৃতপক্ষে وَالْعَصْرِ বলতে যেমন সমস্ত সময় বুঝানো হয়, وَقْتٌ দ্বারাও

সমস্ত সময় বুঝানো হয়।

لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّ يَسْعٰنِْ فِيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَ نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ

এমন নিসবত-কুরবত এর মধ্যে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, কোনো নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রবেশ করার কোনো পথ সেখানে নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অর্থাৎ দায়িমী যে নিসবত। এখন এর মধ্যে অনেক ফিকির রয়েছে, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ রয়েছে। যেটা সাধারণভাবে মানুষের পক্ষে উপলব্ধি করা কঠিন। এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মিছদাক্ব মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাও। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা আমি একদিন ফিকির করতেছিলাম। বিষয়টা রূহানীভাবে।

لَ يَسْعٰنِىْ فِيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَ نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ

এখানে সংযোগের কোনো রাস্তা নেই। যখন আমি ফিকির করলাম, এর হাক্বীক্বতে প্রবেশ করার কোশেশ করলাম, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে, ‘ وَقْتٌ (ওয়াক্বতুন) শব্দের আসলে অর্থ

হচ্ছে- অনন্তকাল।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে কারো কোনো প্রবেশ করার সুযোগ নেই। ঠিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ যেমন রয়েছেন, উনার মধ্যে প্রবেশ করার সুযোগ নেই, এখানেও কোনো সুযোগ নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

لَ اِلٰهَ اِلَّ اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

(‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’) এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ উনার মধ্যে কারো প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। ঠিক যিনি খালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক, যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে কারো প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! শুধু এতটুকু নয়; বরং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম, হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের যে বিষয়টা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যে একটা বিশেষ নৈকট্য মুবারক, নিসবত মুবারক এর মধ্যে কারো প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বিষয়টা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ফিকিরের বিষয়। কাজেই উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক মানুষ কতটুকু বর্ণনা করবে? সেজন্যই বলা হচ্ছে,

نَحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّ يقَُاسُ بِنَا اَحَدٌ

অর্থ: “আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত। আমাদের সাথে কারো কোনো ক্বিয়াস করা চলবে না।”

لَيْسَ اَحَدٌ مِّنَ الْخَلَئِقِ يفَْضُلُ اَهْلَ بَيْتِىْ غَيْرِىْ

অর্থ: “সৃষ্টির কোনো সৃষ্টি নেই, যাকে তুলনা করা যেতে পারে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে। কেউ তুল্য নেই একমাত্র মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যতীত।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ফিকির করতে হবে। বিষয়টা অত্যন্ত সূক্ষ্ম, ফিকিরের বিষয়। কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলছেন,

اَنَ وَاَهْلُ بَيْتِىْ مُطَهَّرُوْنَ مِنَ الذُّنوُْبِ

অর্থ: “আমি এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র। অর্থাৎ পবিত্রতা দানকারী।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

এখন উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক মানুষ কতটুকু বর্ণনা করবে? অনেক সূক্ষ্ম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ রয়েছে, এর অনেক হাক্বীক্বত রয়েছে। তবে আপাতত বুঝার জন্য এতটুকু। যে আসলে এমন নিসবত, এমন কুরবত, এমন নৈকট্য এর পরে আর কোনো নৈকট্য নেই।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারসাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলি ল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেমেছাল তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ- পর্ব-২৬

 নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারসাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলি ল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেমেছাল তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ- পর্ব-২৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১লা জুমাদাল উখরা শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার রাত্র) সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,

لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّ يَسْعٰنِىْ فِيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَ نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ

অর্থ: ‘মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আমার এমন একটি সময় রয়েছে, অর্থাৎ দায়েমীভাবে এমন নিছবত মুবারক রয়েছেন যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সিররুল আসরার শরীফ)

ঠিক একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের অনুরূপ সম্মানিত নিসবত মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে

বলেছেন,

لِىْ وَلَنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقْتٌ لَّ يَسْعٰنِىْ فِيْهِ

مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَ نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ

অর্থ: ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার এবং আমাদের এমন একটি সময় রয়েছে, অর্থাৎ দায়েমীভাবে এমন নিছবত মুবারক রয়েছেন যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

সরাসরি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে এটা বলেছেন। এরপর আমি সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের সাথে এই বিষয়টি আলাপ করেছি, উনারাও একই রকম বলেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই বিষয়টি দুনিয়ার কোনো কিতাবে নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ঠিক একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রত্যেকেরই অনুরূপ সম্মানিত নিসবত মুবারক। যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন ,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহি মুস সালাম উনাদের সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ নির্মাণ-পর্ব-২৫


 
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন ,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহি মুস সালাম উনাদের সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ নির্মাণ-পর্ব-২৫

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৩৪ হিজরী শরীফ উনার ২৯শে সফর শরীফ এবং ১৪৩৭ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহপিবিত্র ২রা সাইয়্যিদু সাইয়্যদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একখানা সম্মানিত ঘটনা মুবারক রয়েছে। অনেক দিন আগের কথা। একদিন আমাকে দেখানো হলো- দেখলাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের, হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার, হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর-বাড়ী মুবারকগুলো, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফগুলো কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদ্বীনদের কারণে এবং অন্যান্য কারণে মনে হচ্ছে সব কিছু গায়েব হয়ে গেছে। গায়িব হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। এখন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর-বাড়ী মুবারকগুলো, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ গুলো তৈরী করতে হবে। এখন কারা তৈরী করবে? কে তৈরী করবে? তৈরী করার তো অনেক লোক আছে। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের ফায়ছালা-ইখতিয়ার মুবারক। এখন বিষয়টা তো আমভাবে করা সম্ভব না। এরপর অনেক বিষয় রয়েছে। ঐ জায়গায় করাটা অনেক কঠিন। কিন্তু উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফগুলো, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বাড়ী-ঘরগুলো তৈরী করতে হবে। পরে দেখা গেলো যে, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আমাকে মনোনীত করলেন। সুবহানাল্লাহ! এখন এটা করতে হবে। এখন করতে হবে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুনড়বাতী কায়দা মুবারক-এ করতে হবে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুনড়বাতী কায়দা মুবারক-এ করতে হলে, সম্মানিত ও পবিত্র মাটি মুবারক দিয়ে করতে হবে। আমি বললাম, ঠিক আছে। তারপর আস্তে আস্তে সম্মানিত ও পবিত্র মাটি মুবারক দিয়ে আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের, হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার, হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থাকার জন্য যত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর-বাড়ী মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ মুবারক যা প্রয়োজন উনাদের সকলেরগুলো তৈরী মুবারক করলাম ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ! তৈরী মুবারক করার পর, সব ব্যবস্থা হলো। এখন বাধা ছিলো অনেক দূর। বাধায় কোন কাজ হয় নাই। ইনশাআল্লাহ। তরতীব মত হয়েছে। যা হোক, পরে উনাদেরকে দিলাম। বুঝিয়ে দিলাম। উনারা খুব খুশি হলেন। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা খুব খুশি হলেন।” সুবহানাল্লাহ!

এই মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি নিজেই বলেছেন উনার মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুর্যূগী-সম্মান মুবারক আলোচনা মুবারক করার জন্য-পর্ব-২৪

 উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি নিজেই বলেছেন উনার মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুর্যূগী-সম্মান মুবারক আলোচনা মুবারক করার জন্য-পর্ব-২৪

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জানড়বাহ, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের মধ্যে ঊলা বা প্রথমা, কুবরা বা মূল, বড়।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জানড়বাহ, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রত্যেকের মূল। সুবহানাল্লাহ! আমার নিকট মনে হয় যেন তিনি সম্পূর্ণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণরূপে আঁকড়িয়ে ধরে রেখেছেন। উনার সম্মানার্থেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম টিকে রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা মুবারক করার জন্য বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমি যেন, উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা করি। সুবহানাল্লাহ! তখন আমি বললাম, (বিনয় প্রকাশার্থে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন,) আমার তো আপনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা নেই। তখন তিনি আমাকে বললেন, যতটুকু জানা রয়েছে, ততটুকুই যেন আমি আলোচনা মুবারক করি। সুবহানাল্লাহ! তারপর থেকে আমি একাধারে পাঁচ জুমু‘আহ শরীফ-এ উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা মুবারক করি।” সুবহানাল্লাহ!

মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের পর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সর্বোত্তম ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করেছেন, উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  আহলু বাইতে রসুলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,ক্বায়িম মাক্বামে হবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ র্মুশদি ক্ববিলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক হাদিয়া-পর্ব-২৩


 
আহলু বাইতে রসুলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,ক্বায়িম মাক্বামে হবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ র্মুশদি ক্ববিলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক হাদিয়া-পর্ব-২৩

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত্রে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বামটা কঠিন একটা বিষয়। এই মাক্বামটা তো মানুষ হাছিল করতে পারেনি। এটা অনেক বড় মাক্বাম। এটা আমাকে দেখানো হয়েছে এবং হাদিয়া করা হয়েছে অর্থাৎ দান করা হয়েছে এবং এই আসনের উপর উপবেশন করা হয়েছে অর্থাৎ বসানো হয়েছে অর্থাৎ দেয়া হয়েছে। এটা অনেক বড় মাক্বাম। এটা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। এটা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মধ্যে মাক্বামটা। আসন মুবারকগুলো কাছাকাছি। আমি আদবের জন্য (বিনয় মুবারক প্রকাশার্থে) আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারকখানা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারকখানা) নুইয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু কাছাকাছি সমান। মানুষতো এগুলো বুঝবে না। বিরাট মাক্বাম এটা। এটা তো মানুষের আক্বল-বুদ্ধি সমঝের বাইরে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের সময় দেখা গেছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিনয় মুবারক প্রকাশ করতে করতে উনার নূরুন নি‘য়ামত মুবারক (দাড়ি মুবারক) বাহন মুবারক-এ লেগে গিয়েছিলো। সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বামটা অনেক বড় মাক্বাম। অনেক বড় আসন। কল্পনাতীত বিষয়। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মাঝামাঝি মাক্বামটা। উনারা তো উনাদের শান মুবারক-এ আছেন। এখন আদবের খেলাফ হয় কি না, কোনো কিছু হয় কিনা (বিনয় মুবারক প্রকাশার্থে), সেজন্য আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারকখানা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারকখানা) নুইয়ে রেখেছিলাম।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন! আমীন! আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ বিশেষ বর্ণনা মুবারক-পর্ব-২২

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ বিশেষ বর্ণনা মুবারক-পর্ব-২২

মহা সম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَلْبَرَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ لَمَّا مَاتَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ

عَلَيْهِ السَّلَمُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ لَه مُرْضِعًا فِى  الْجَنَّةِ

অর্থ: “হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই উনার জন্য সম্মানিত জানড়বাত মুবারক-এ একজন সম্মানিতা দুধপানকারিনী রয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ)

অপর বর্ণনায় এসেছেন,

ىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ لَمَّا تُوُفِّ بْنِ عَازِبٍ رَضِىَ عَنْ حَضْرَتْ اَلْبَرَاءِ

حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ ابْنُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى

اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ لَهٗ مُرْضِعًا فِى الْجَنَّةِ تُتِمُّ بقَِيَّةَ رَضَاعِهٖ

অর্থ: “হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই উনার জন্য সম্মানিত জানড়বাত মুবারক-এ একজন সম্মানিতা দুধপানকারিনী রয়েছেন, যিনি উনার অবশিষ্ট দুধ মুবারক পান করার মেয়াদ পূর্ণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল আহাদ ওয়াল মাছানী শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এরূপ আরো অনেক রিওয়ায়েত রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

ছাহিবু ইলমিল আউওয়ালি ওয়াল ইলমিল আখিরি, আহলু বাইতি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যদিও এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফগুলো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারকেই প্রযোজ্য।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মাধ্যমে এই বিষয়টিই স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে যে, সমস্ত কায়িনাতই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাদিম, উনাদের গোলাম। সুবহানাল্লাহ! উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর যখন উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখা হয়েছে, তখন থেকেই মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ সম্মানিত জানড়বাতী দুধমাতাগণ উনারা উনাদেরকে দুধ মুবারক পান করানো থেকে শুরু করে উনাদের যাবতীয় সমস্ত প্রকার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক যখন সম্মানিত দুধ মুবারক পান করার শেষ সীমায় উপনীত হয়েছেন, তখন সম্মানিত জানড়বাতী দুধমাতাগণ উনারা উনাদের সম্মানিত দুধ মুবারক পান করানো থেকে বিরত থেকেছেন। সুবহানাল্লাহ! এছাড়া মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দায়িমীভাবে সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন এবং দিয়ে যাচ্ছেন, গোলামী মুবারক করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! একইভাবে যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়ার বিষয়টি ফায়ছালা মুবারক করেছেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “সম্মানিত জানড়বাত মুবারক-এ সম্মানিত জানড়বাতবাসী পুরুষ উনাদের বয়স মুবারক হবে ৩৩ বছর। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সেই ৩৩ বছর বয়স মুবারক-এ উপনীত হওয়া পর্যন্ত উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক বাড়তে থাকেন। অতঃপর যখন উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩৩ বছর বয়স মুবারক-এ (জান্নাতী বয়স মুবারক-এ) উপনীত হয়েছেন, তখন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক বৃদ্ধি পাওয়া বন্ধ হয়েছেন। উনারা বর্তমানে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩৩ বছর বয়স মুবারকেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করছেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!