আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই বলেছেন উনাদের মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুর্যূগী-সম্মান মুবারক আলোচনা করার জন্য-পর্ব-২৮

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই বলেছেন উনাদের মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুর্যূগী-সম্মান মুবারক আলোচনা করার জন্য-পর্ব-২৮

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ জুমু‘আহ্ শরীফ-এ আলোচনা মুবারক উনার শুরুতে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকের খুৎবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের খুছূছিয়াত-বৈশিষ্ট্য, ফযীলত আমরা অতীতে অনেক আলোচনা করেছি। গত কয়েক সপ্তাহ আলোচনা করা হয়েছে এবং আজকে একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিষয়গুলো একদিক থেকে যাহিরীভাবে, আরেকদিক থেকে বাতিনীভাবে কতগুলো বিষয় রয়েছে, মাসআলা রয়েছে, যেগুলো কোনো যাহিরী কিতাবে পাওয়া কখনও সম্ভব নয়। একমাত্র উনাদের মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক, নিসবত মুবারক হাছিল করার মাধ্যম দিয়ে সেটা হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব। আমরা অতীতে ‘সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহ্রীম শরীফ’ উনার আলোচনা করেছি এবং গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহেও আলোচনা করেছি। তবে একটি বিষয় ফিকিরের জন্য। আম মানুষ বুঝতে নাও পারে। তবে যারা ফিকির করবে, তারা বুঝতে পারবে। গত ১ সপ্তাহ আমি রূহানীভাবে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম) উনাদের সাথে যে (বিশেষ) নিসবত মুবারক, ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছিলাম, এক সেকেন্ডের তরে আমি জুদা হইনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কাজেই, উনাদের তরফ থেকে যেই ইলমে লাদুন্নী মুবারক যাহির হচ্ছেন, সেখান থেকে সে বিষয়টি সংগ্রহ করা।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আলোচনা মুবারক শেষ করার সময় ইরশাদ মুবারক করেন, “আমরা আবার সামনে আলোচনা করবো। এখন উনাদের তরফ থেকে যতটুকু সম্ভব অর্জন করা, সে অনুযায়ী।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত যিলক্বদ শরীফ মাসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহু শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রতি বছর এ সময় আমি জুমু‘আহ্-এর খুৎবা মুবারক-এ সম্মানিত হজ্জ উনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। কিন্তু এ বৎসর আমি এ সময় জুমু‘আর খুৎবা মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা করতেছি। সুবহানাল্লাহ! কারণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারাই আমাকে বলেছেন- আমি যেন সম্মানিত হজ্জ উনার বিষয় আলোচনা না করে, উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা করি। যার কারণে কয়েক সপ্তাহ যাবৎ আমি জুমু‘আর খুৎবা মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা করতেছি।” সুবহানাল্লাহ!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


0 Comments: