সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয ( ৫ নং )

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”-
পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয

কতিপয় শব্দার্থ ও পরিভাষা

পূর্ব প্রকাশিতের পর
৪১. الحرام  (আল্ হারাম) :
(১১৫)
الحرام : ضد الحلال قال الراغب الحرام الـممنوع منه. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۲۶۲)
অর্থাৎ : হারাম : হালালের বিপরীতই হলো হারামআল্লামা রাগিব ইস্পাহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: পবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস উনাদের দলীলের ভিত্তিতে যা কিছু নিষেধ করা হয়েছে তা-ই হারাম। (আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ২৬২ পৃষ্ঠা)
৪২.  مكروه تحريـمى(মাকরূহ তাহরীমী) :
(১১৬)
الْمَكْرُوه تَحْرِيمًا : وَ هُوَ مَا كَانَ إلَى الْحَرَامِ أَقْرَبُ، و يُسَمِّيه مُحَمَّدٌ رحمة الله عليه حَرَامًا ظَنِّيًّا. (حاشية رد الـمحتار على الدر الـمختار شرح تنوير الابصار الـمؤلف : علامة حضرت ابن عابدين محمد امين بن عمر الشامى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الـمتوفى : ۱۲۵۲ هـ باب سنن الوضوء مَطْلَبٌ فِي تَعْرِيفِ الْمَكْرُوهِ)
অর্থ : যে বিধান হারামের কাছাকাছি হুকুম রাখে তথা হারামের মতই হুকুম রাখে তাকে মাকরূহ তাহরীমী বলা হয়হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাকরূহ তাহরীমীকে হারামে যন্নীনামে নামকরণ করেছেন। (হাশিয়াতু রদ্দিল মুহতার আলাদ্ দুররিল্ মুখতার শরহে তানবীরুল আবছার-আল্লামা হযরত ইবনু আবিদীন মুহম্মদ আমীন বিন উমর শামী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১২৫২ হিজরী পরিচ্ছেদ: উযুর সুন্নাত অনুচ্ছেদ: মাকরূহ পরিচিতি )
৪৩. مكروه تنزيهى  (মাকরূহ তানযীহী) :
(১১৭)
الْمَكْرُوه تَنْزِيهًا : وَ هُوَ مَا كَانَ تَرْكُهُ أَوْلَى مِنْ فِعْلِهِ، وَ يُرَادِفُ خِلَافَ الْأَوْلَى. (حاشية رد الـمحتار على الدر الـمختار شرح تنوير الابصار الـمؤلف : علامة حضرت ابن عابدين محمد امين بن عمر الشامى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الـمتوفى : ۱۲۵۲ هـ باب سنن الوضوء مَطْلَبٌ فِي تَعْرِيفِ الْمَكْرُوهِ)
অর্থ : যে কাজ করার থেকে তরক করাই উত্তম তা-ই মাকরূহ তানযীহীএকই ভাবে যা উত্তমতার বিপরীত তা-ই মাকরূহ  তানযীহী। (হাশিয়াতু রদ্দিল মুহতার আলাদ্ দুররিল্ মুখতার শরহে তানবীরুল আবছার-আল্লামা হযরত ইবনু আবিদীন মুহম্মদ আমীন বিন উমর শামী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১২৫২ হিজরী পরিচ্ছেদ: উযুর সুন্নাত অনুচ্ছেদ: মাকরূহ পরিচিতি )
৪৪. النفاق  (নিফাক্ব বা মুনাফিক্বী):
(১১৮)
النفاق فى الدين : هو ستر الرجل كفره بقلبه و اظهاره ايمانه بلسانه فهو منافق. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۵۳۰)
অর্থ : পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার অন্তরে কুফরী গোপন রেখে বাহ্যিকভাবে ঈমান প্রকাশ করাকে নিফাক্ব (মুনাফিক্বী) বলেআর এমন ব্যক্তিকে মুনাফিক্ব (কপটচারী) বলা হয়ে থাকে। (আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৫৩০ পৃষ্ঠা)
৪৫. المرتدّ  (মুরতাদ্দ) :
(১১৯)
الـمرتد : هو الراجع عن دين الاسلام او هو الذى كفر بعد الايـمان. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۷۷)
অর্থ : যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে প্রত্যাবর্তণ করেছে তাকে মুরতাদ্দ বলা হয়, অথবা যে পবিত্র ঈমান গ্রহণ করার পর কুফরী করেছে তাকে মুরতাদ্দ বলা হয়ে থাকে। (আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪৭৭পৃষ্ঠা)
৪৬. الصحابى  (ছাহাবী) :
(১২০)
الصحابى : هو من لقى النبى صلى الله عليه و سلم مؤمنا به و مات على الايمان. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۳۴۶)
অর্থ : যিনি পবিত্র ঈমানের সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছেন এবং পবিত্র ঈমানের উপর ইন্তিকাল করেছেন, উনাকেই ছাহাবী বলা হয়ে থাকে। (আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৩৪৬পৃষ্ঠা)
৪৭. التابعى  (তাবিয়ী) :
(১২১)
التابعى : هو من لقى الصحابى مؤمنا بالنبى صلى الله عليه وسلم و مات على الايمان. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۶۱۳ )
অর্থ : সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান গ্রহণকারী একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাকেও যিনি দেখেছেন এবং ঈমানের উপর ইন্তিকাল বরণ করেছেন উনাকেই তাবিয়ী বলা হয়ে থাকে। (আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৬১৩ পৃষ্ঠা)
৪৮. تابع التابعى  (তাবিউত্ তাবিয়ীন) :
(১২২)
تابع التابعى هو من شافه التابعى مؤمنا بالنبى صلى الله عليه وسلم. (منهج النقد فى علوم الحديث تأليف: نور الدين عتر الناشر: دار الفكر دمشق- سورية)
অর্থ : সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ঈমান গ্রহণকারী একজন হযরত তাবিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকেও যিনি দেখেছেন এবং ঈমানের উপর ইন্তিকাল বরণ করেছেন উনাকেই তাবিউত্ তাবিয়ীন বলা হয়ে থাকে। (মিনহাজুন্ নাক্দ ফী উলূমিল হাদীছ- নূরুদ্দীন আতার প্রকাশনা: দারুল্ ফিক্র-দামেশক্ব)
(১২৩)
 ৪৯. মুতাক্বাদ্দিমীন(متقدمين)  :
ইমাম আযম হযরত আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ছাহিবাঈন (হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি) উনারা এবং উনাদের সমসাময়িক ফক্বীহগণ হচ্ছেন উলামায়ে মুতাক্বাদ্দিমীন অগ্রগণ্য উলামায়ে কিরামকারো মতে, হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পর্যন্ত পূর্বের ফক্বীহগণই মুতাক্বাদ্দিমীন
(১২৪)
৫০. মুতাআখখিরীন(متاخرين)  :
হযরত মুতাক্বাদ্দিমীন উনাদের পরবর্তী ফক্বীহগণ হলেন উলামায়ে মুতাআখখিরীনকারো মতে, হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পর হতে হযরত ইমাম হাফিযুদ্দীন বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত সকল ফক্বীহআল্লামা হযরত যাহাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি তৃতীয় হিজরী শতাব্দীর পূর্বের ফক্বীহগণকে মুতাক্বাদ্দিমীন আর পরবর্তীগণকে মুতাআখখিরীন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন
(১২৫)
৫১. আল্ মাযাহিবুল্ আরবায়াহ্  (الـمذاهب الاربعة):
 (১) হানাফী মাযহাব (২) মালিকী মাযহাব (৩) শাফিয়ী মাযহাব (৪) হাম্বালী মাযহাবএ চার মাযহাব উনাদেরকে একত্রে আল মাযাহিবুল আরবায়া বলে
(১২৬)
৫২. আল্ আইম্মাতুল্ আরবায়াহ্  (الائمة الاربعة):
মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের প্রতিষ্ঠাতা উনাদেরকে আইম্মাহ আরবায়াহ্ বলা হয়উনারা হলেন, (১) হানাফী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আযম হযরত ইমাম নুমান বিন ছাবিত বিন যাওতী হযরত আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, (২) মালিকী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম মালিক বিন আনাস রহমাতুল্লাহি আলাইহি, (৩) শাফিয়ী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (৪) হাম্বালী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম আহমদ বিন মুহম্মদ বিন হাম্বাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
(১২৭)
৫৩. আইম্মাতুনাছ্ ছালাছাহ্  (ائمتنا الثلاثة):
হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে একই সাথে আইম্মাতুনাছ্ ছালাছাহ্ বলা হয়
(১২৮)
৫৪. শায়খাঈন  (شيخين):
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে ছিদ্দীকে আকবার আফদ্বালুন নাস, বাদাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও ফারূক্বে আযম হযরত উমর ইবনুল্ খত্তাব আলাইহিস সালাম উনাদেরকে শায়খাঈন বলা হয় 
(১২৯)
৫৫. শায়খাঈন  (شيخين):
হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা দুজন হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার শায়েখ বা শিক্ষক ছিলেন বলেই উনাদেরকে শায়খাঈন বা দুউস্তায বলা হয়ে থাকে
(১৩০)
৫৬. শায়খাঈন  (شيخين):
হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী ও সংকলনের দৃষ্টিতে হযরত ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে একই সাথে শায়খাঈন বলা হয়ে থাকে
(১৩১)
৫৭. ছাহিবাঈন  (صاحبين):
হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা দুজন হযরত আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রধান ছাত্রএ হিসেবে উভয়ে পরস্পর সাথী
(১৩২)
৫৮. ত্বরফাঈন  (طرفين):
হযরত ইমাম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের দুজনকে একত্রে ত্বরফাঈন বলা হয়
(১৩৩)
৫৯. সালাফ  (سلف):
হযরত ইমাম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত ফক্বীহগণ সালাফ বা প্রাচীণ ফক্বীহ
(১৩৪)
৬০. খালাফ  (خلف):
হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পর হতে হযরত ইমাম শামসুল আইম্মাহ হালওয়ানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত ফক্বীহগণ খালাফ বা তৎপরবর্তী ফক্বীহ
(১৩৫)
৬১. রিওয়াইয়াতুয্ যাহির  (رواية الظاهر):
হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক লিখিত ৬ খানা কিতাবকে রিওয়াইয়াতুয্ যাহির বা প্রকাশ্য বর্ণনা বলা হয়ে থাকেসেগুলো হলো: (১) আল্ জামিউছ্ ছগীর (২) আল্ জামিউল্ কবীর (৩) আস্ সিয়ারুছ্ ছগীর (৪) আস্ সিয়ারুল্ কবীর (৫) আল্ মাব্সূত (৬) আয্ যিয়াদাত
(১৩৬)
৬২. কুতুবুন্ নাওয়াদির  (كتب النوادر):
রিওয়াইয়াতুয্ যাহির ৬ খানা কিতাব ছাড়া হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি রচিত অন্যান্য কিতাবগুলোকে কুতুবুন্ নাওয়াদির বলা হয়
(১৩৭)
৬৩. খইরুল্ কুরূন  (خير القرون):
প্রথম তিন যুগ তথা হযরত ছাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, হযরত তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত তাবিউত্ তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগকে একই সাথে খইরুল্ কুরূন বা সর্বোত্তম যুগ বলা হয়ে থাকেএ যুগকে আছ্ ছদরুল আউয়ালও বলা হয়
(১৩৮)
৬৪. শায়েখ  (شيخ):
পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষাদাতা রাবীকে উনার ছাত্রের তুলনায় শায়েখবলা হয়ে থাকে
(১৩৯)
৬৫. মুহাদ্দিছ  (محدث):
যিনি হাদীছ শরীফ চর্চা করেন এবং বহুসংখ্যক হাদীছ শরীফ উনার সনদ ও মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন উনাকে মুহাদ্দিছবলে
(১৪০-১৪১)
৬৬. হাফিযুল্ হাদীছ  (حافظ الحديث): হযরত ছাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগের পর যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক লক্ষ হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে হাফিযুল্ হাদীছবলেমুফতী আযম হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল্ ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত মীযানুল্ আখবারকিতাবের বর্ণনা মতে, যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক হাজার হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে হাফিযুল্ হাদীছবলেতবে, কেউ কেউ হাফিযুল্ হাদীছ হওয়ার জন্য ইলমে লাদুন্নী শর্ত করেছেন  
(১৪২)
৬৭. হুজ্জাত  (حجة): হযরত ছাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগের পর যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ তিন লক্ষ হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে হুজ্জাতবলেতবে, কেউ কেউ হুজ্জাত হওয়ার জন্য ইলমে লাদুন্নী শর্ত করেছেন 
(১৪৩)
৬৮. হাকিমুল হাদীছ  (حاكم الحديث): হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগের পর যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ সমস্ত হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে হাকিমুল্ হাদীছবলেতবে, কেউ কেউ হাকিমুল্ হাদীছ হওয়ার জন্য ইলমে লাদুন্নী শর্ত করেছেন

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয ( ৪ নং )

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-
পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয

কতিপয় শব্দার্থ ও পরিভাষা

২৯. التوحيد (আত্ তাওহীদ) :
(৯১-৯৩)
(التوحيد) : الايمان بالله تعالى وحده لا شريك له. و التوحيد (فى اصطلاح اهل الحقيقة) : تجريد الذات الالـهية عن كل ما يُتَصَوَّرُ فى الافهام و يُتَخَيَّلُ فى الاوهام والاذهان. (الـمعجم الوسيط بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۱۰۱۶، التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۲۴۰، الـمعجم الوجيز بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۶۶۲(
অর্থ : (তাওহীদ) : মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি এক উনার কোন শরীক নেই, এ কথার প্রতি বিশ্বাস করাকেই তাওহীদ বলা হয়আক্বায়িদ বিশারদ উনাদের পরিভাষায় তাওহীদ হচ্ছে : আফহাম (বুঝসমূহ) উনার কল্পনা এবং চিন্তা চেতনা ও মেধাশক্তি উনার খেয়াল থেকে একমাত্র ইলাহ আল্লাহ তায়ালা উনাকে পবিত্র জানাকেই তাওহীদ বলে। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ১০১৬ পৃষ্ঠা, আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ২৪০ পৃষ্ঠা, আল্ মুজামুল ওয়াজীয : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৬২ পৃষ্ঠা)
৩০. الشرك  (আশ্ র্শিক) :
(৯৪-৯৫)
الشرك : اعتقاد تعدد الالـهة. (الـمعجم الوسيط بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۴۸۰، الـمعجم الوجيز بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۳۴۲(
অর্থ : মহান রব্বুল আলামীন তিনি ব্যতীত আরো এক বা একাধিক ইলাহ বা মাবূদ আছে বলে বিশ্বাস করাকে র্শিক তথা অংশীদারিত্ব বলে। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত ¡ ৪৮০ পৃষ্ঠা ও আল্ মুজামুল ওয়াজীয ৩৪২ পৃষ্ঠা : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর)
৩১. الايمان (আল্ ঈমান) :
(৯৬)
الايمان : بكسر فى اللغة التصديق بالقلب ، و فى الشرع هو الاعتقاد بالقلب والاقرار باللسان، قيل من شهد و عمل و لـم يعتقد فهو منافق و من شهد و لـم يعمل و اعتقد فهو فاسق و من اخل من الشهادة فهو كافر . (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۲۰۰(
অর্থ : ঈমান : শব্দটির শুরুর বর্ণে যের দিয়ে পড়তে হবেআভিধানিক দৃষ্টিতে শুধু অন্তরের বিশ্বাসই ঈমানআর পবিত্র ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- আক্বায়িদের বিষয়সমূহকে অন্তরে বিশ্বাস করা ও তা জবানে স্বীকৃতি দেয়াকে ঈমান বলা হয়ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে যে : যে ব্যক্তি মুখে স্বাক্ষ্য দেয় ও আমল করে কিন্তু অন্তরে কুফ্রী পোষন করে সে মুনাফিক্বযে মৌখিক স্বাক্ষ্য দেয় আমল করেনা কিন্তু অন্তরে বিশ্বাস করে সে ফাসিক্বআর যে অন্তরে ও মৌখিকভাবে স্বাক্ষ্য দেয় না সে ব্যক্তি কাফির। (আত্ তারীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ২০০ পৃষ্ঠা)
৩১. الكفر (আল্ কুফর) :
(৯৭)
الكفر : لغة الستر و يقابله الشكر، و شرعا هو تكذيب النبى صلى الله عليه و سلم (نعوذ بالله) فى شئ مما جاء به من الدين ضرورة. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۴۵(
অর্থ : আল্ কুফ্র : শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো- গোপন করা, ঢেকে ফেলা, অস্বীকার করা ইত্যাদীআর কুফ্র বা অস্বীকৃতির বিপরিত হচ্ছে শুক্র বা কৃতজ্ঞতাপবিত্র ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন হাবীবুল্লাহ হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট থেকে জরুরী যে দীন ইসলাম নিয়ে এসেছেন উনাকে মিথ্যা মনে করাকে কুফ্র বলে। (আত্ তারীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪৪৫ পৃষ্ঠা)
৩২. اَلْفِسْقُ (আল্ ফিস্ক্ব) :
(৯৮)
الفسق : فى اللغة عدم اطاعة امر الله ، و فى الشرع ارتكاب الـمسلم كبيرة قصدا او صغيرة مع الاصرار عليها بلا تأويل. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۱۲(
অর্থ : আল্ ফিসক্ব: আভিধানিক অর্থে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নির্দেশ মুবারক উনার আনুগত্যের বিপরীত কাজ করা ফিস্ক্বআর ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- শরীয়াত উনার মুরতাকিব (শরীয়াত উনার নির্দেশ পালনে বাধ্য) মুসলিম ব্যক্তি কর্তৃক ইচ্ছাকৃত কবীরাহ গুনাহ এবং বারবার ছগীরাহ গুনাহ করাকে ফিস্ক্ব বা ফাসিক্বী বলা হয়। (আত্ তারীফাতুল ফিক্হিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪১২পৃষ্ঠা)
৩৩. اَلْفَرْضُ وَ الْفَرِيْضَةُ (আল্ র্ফাদ্ব ওয়াল ফারীদ্বাহ) :
(৯৯-১০১)
الفرض : ما اوجبه الله عز و جل على عباده . (الـمعجم الوسيط بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۶۸۳، التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۱۰، الـمعجم الوجيز بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۴۶۷(
অর্থ : ফরদ্ব : মহান আল্লাহ আয্যা ওয়া জাল্লা তিনি উনার বান্দাগণের উপর যেসমস্ত ওয়াজিব তথা অবশ্য পালনীয় বিধান জারী করেছেন তাকেই ফরদ্ব বলা হয়। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪১০ পৃষ্ঠা, আল্ মুজামুল ওয়াজীয : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৪৬৭ পৃষ্ঠা)
(১০২)
الفرض و الفريضة : و عند الاصوليين ما ثبت بدليل قطعىّ الثبوت و قطعىّ الدلالة حيث لا شبهة فيه و يكفر جاحده ويعذب تاركه. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۱۰(
অর্থ : আল্ র্ফাদ ওয়াল ফারীদ্বাহ : উছূল বিশারদ গণের মতে- যে সমস্ত বিধান অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণীত তাকেই ফরদ্ব ও ফারীদ্বাহ বলা হয়ক্বিত্য়ী এমন দলীল যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেইএমন বিধানকে অস্বীকার করা কুফরী এবং এমন বিধান তরককারী ব্যক্তি শাস্তির উপযুক্ত। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪১০ পৃষ্ঠা)

(১০৩-১০৪)
الفرض : ما يَفْرِضُهُ الْانسانُ على نفسه. (الـمعجم الوسيط بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۶۸۳، الـمعجم الوجيز بقلم الدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۴۶۷(
অর্থ : মানুষ নিজে নিজের উপর যে আবশ্যিক বিধান নির্দিষ্ট করে নেয় তাকেও ফরদ্ব বলা হয়ে থাকে। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আল্ মুজামুল ওয়াজীয : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৪৬৭ পৃষ্ঠা)
৩৪. الواجب (আল্ ওয়াজিব) :
(১০৫)
الواجب : هو فى عرف الفقهاء عبارة عما ثبت وجوبه بدليل فيه شبهة. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان المجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۵۳۹(
অর্থ : ওয়াজিব : হযরত ফুক্বাহা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পরিভাষায়- যে ইবারত দ্বারা কোন কিছু আবশ্যিকতা প্রমাণিত হয় তাকেই ওয়াজিব বলা হয়যা এমন দলীল দ্বারা প্রমাণিত, যা দলীলে ক্বিত্য়ীর কাছাকাছি। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৫৩৯ পৃষ্ঠা)
৩৫. اَلنَّفْلُ (আন্ নাফ্ল) :
(১০৬-১০৭)
النفل بسكون الفاء ما تفعله مما لـم يجب فهو اسم لـما شُرع زيادة على الفرائض والواجبات وهو الـمسمى بالـمندوب والـمستحب والتطوع . (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۵۳۲(
অর্থ : আন্ নাফ্ল : শব্দটির ফা বর্ণে সাকিন যোগে পড়তে হবেইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- যা অবশ্য পালনীয় নয় এবং যা ফরদ্ব ও ওয়াজিব থেকে অতিরিক্ত তাকেই নাফ্ল বলা হয়ে থাকেনাফ্লকে মানদূব, মুস্তাহাব ও তাত্বাওউও বলা হয়। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৫৩২ পৃষ্ঠা)
৩৬. السنة (আস্ সুন্নাহ) :
(১০৮)
السنة : فى اللغة الطريقة وفى الشريعة هى الطريقة الـمسلوكة فى الدين من غير افتراض ولا وجوب. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۳۲۸(
অর্থ : সুন্নত : আভিধানিক দৃষ্টিতে সুন্নাত অর্থ ত্বরীকাহ তথা পথ ও পন্থাআর ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- ফরদ্ব ও ওয়াজিব নয় দীন ইসলাম উনার এমন নিয়ম-নীতিকে সুন্নত বলা হয়। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি  ৩২৮ পৃষ্ঠা)
৩৭. الـمستحب (আল্ মুস্তাহাব) :

(১০৯)
الـمستحب : اسم لـما شُرع زيادة على الفرائض و الواجبات وقيل الـمستحب ما رغّب فيه الشارع ولـم يوجبه. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۸۳(
অর্থ : পবিত্র ইসলামী শরীয়াত উনার পরিভাষায়- যা অবশ্য পালনীয় নয় এবং যা ফরদ্ব ও ওয়াজিব থেকে অতিরিক্ত তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকেকতক উলামা কিরাম উনাদের মতে- শরীয়াত প্রণেতা যে বিষয় পালন করতে উৎসাহিত করেছেন এবং যা ফরদ্ব-ওয়াজিব নয় তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকে। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪৮৩ পৃষ্ঠা)
৩৮. الـمباح (আল্ মুবাহ) :
(১১০)
الـمباح : هو ما استوى طرفاه يعنى ما ليس بفعله ثواب و لا لتركه عقاب. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۶۰(
অর্থ : যা দুটি হুকুমের মাঝামাঝি অর্থাৎ যে কাজ করলে ছাওয়াব নেই এবং তরক করলে শাস্তিও নেই তাকেই মুবাহ বলা হয়ে থাকে। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি  ৪৬০ পৃষ্ঠা)
(১১১-১১২)
الاباحة عند الاصوليين : حكم يقتضى التخيير بين الفعل و الترك. (الـمعجم الوسيط الصفحة ۷۵ والـمعجم الوجيز الصفحة ۶۶ بقلم الدكتور ابراهيم مدكور(
অর্থ : উছূল বিশারদগণের মতে : যে কাজ সংঘটিত করা ও তরক করার ব্যাপারে ইখতিয়ার বা ইচ্ছা স্বাধীনতা আছে তাকেই ইবাহাত বলা হয়। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত ৭৫ পৃষ্ঠা ও আল্ মুজামুল ওয়াজীয ৬৬ পৃষ্ঠা- ডক্টর ইবরাহীম মাদ্কূর)
৩৯. الجائز (আল্ জায়িয) :
(১১৩)
الجائز ما شرع فعله وتركه على السواء وقد يترك هذا القول ويرادف الجائز الـمباح والحلال. (الحدود الأنيقة والتعريفات الدقيقة الـمؤلف : حضرت ابو يحيى زكريا بن محمد بن زكريا الأنصارى رحمة الله عليه الجزء ۱ الصفحة ۷۵ الناشر : دار الفكر الـمعاصر بيروت لبنان(
অর্থ : যে কাজ সংঘটিত করা ও তরক করা বরাবর তাকেই ইবাহাত বলা হয়জায়িয শব্দটি মুবাহ ও হালাল শব্দের সমার্থবোধক শব্দ। (আল্ হুদূদুল আনীফাহ ওয়াত্ তারীফাতুদ্ দাক্বীক্বাহ- হযরত আবূ ইয়াহইয়া যাকারিয়া বিন্ মুহম্মদ বিন্ যাকারিয়া আনছারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১ম খন্ড ৭৫ পৃষ্ঠা প্রকাশনা : দারুল্ ফিকরিল মুয়াছিরা বাইরূত-লেবনান)
৪০. الحلال (আল্ হালাল) :
(১১৪)
الحلال : فى الشرع ما اباحه الكتاب و السنة اى ما اباحه الله سمى به لانحلال عقدة عنه و ضده الحرام، و يطلق على الخارج من الحرام، قال السيد الحلال كل شئ لا يعاقب عليه باستعماله. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۲۶۷ (
অর্থ : পবিত্র ইসলাম শরীয়াত উনার পরিভাষায়- কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে যা বৈধ হিসেবে বর্ণিত আছে তাকে হালাল বলা হয়অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি যা বৈধ করেছেন এবং যা হারামের বিপরীত তাকেই হালাল নামে নামকরণ করা হয়েছেসাধারণত: যা হারাম নয় তা-ই হালালসাইয়্যিদ বলেছেন যে কাজের চর্চা করলে কোন শাস্তি ধার্য হয় না তাকেই হালাল বলা হয়। (আল্ মুজামুল ওয়াসীত্ব : ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ২৬৭ পৃষ্ঠা)