“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও
পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও
অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”-
পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র
মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয
কতিপয় শব্দার্থ ও পরিভাষা
পূর্ব প্রকাশিতের পর
৪১. الحرام (আল্ হারাম) :
(১১৫)
الحرام : ضد الحلال قال الراغب الحرام الـممنوع منه.
(التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى
الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۲۶۲)
অর্থাৎ : হারাম : হালালের বিপরীতই হলো হারাম। আল্লামা রাগিব ইস্পাহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: পবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ ও পবিত্র
ছহীহ ক্বিয়াস উনাদের দলীলের ভিত্তিতে যা কিছু নিষেধ করা হয়েছে তা-ই হারাম। (আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ :
মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি
আলাইহি ২৬২ পৃষ্ঠা)
৪২. مكروه تحريـمى(মাকরূহ তাহরীমী) :
(১১৬)
الْمَكْرُوه تَحْرِيمًا : وَ هُوَ مَا كَانَ إلَى الْحَرَامِ
أَقْرَبُ، و يُسَمِّيه مُحَمَّدٌ رحمة الله عليه حَرَامًا ظَنِّيًّا. (حاشية رد
الـمحتار على الدر الـمختار شرح تنوير الابصار الـمؤلف : علامة حضرت ابن عابدين
محمد امين بن عمر الشامى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الـمتوفى : ۱۲۵۲ هـ باب سنن
الوضوء مَطْلَبٌ فِي تَعْرِيفِ الْمَكْرُوهِ)
অর্থ : যে বিধান হারামের কাছাকাছি হুকুম রাখে তথা হারামের মতই হুকুম রাখে তাকে
মাকরূহ তাহরীমী বলা হয়। হযরত ইমাম
মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাকরূহ তাহরীমীকে ‘হারামে যন্নী’ নামে নামকরণ করেছেন। (হাশিয়াতু রদ্দিল মুহতার আলাদ্ দুররিল্ মুখতার শরহে
তানবীরুল আবছার-আল্লামা হযরত ইবনু আবিদীন মুহম্মদ আমীন বিন উমর শামী হানাফী
মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১২৫২ হিজরী পরিচ্ছেদ: উযুর সুন্নাত অনুচ্ছেদ:
মাকরূহ পরিচিতি )
৪৩. مكروه تنزيهى (মাকরূহ তানযীহী) :
(১১৭)
الْمَكْرُوه تَنْزِيهًا : وَ هُوَ مَا كَانَ تَرْكُهُ أَوْلَى
مِنْ فِعْلِهِ، وَ يُرَادِفُ خِلَافَ الْأَوْلَى. (حاشية رد الـمحتار على الدر
الـمختار شرح تنوير الابصار الـمؤلف : علامة حضرت ابن عابدين محمد امين بن عمر
الشامى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الـمتوفى : ۱۲۵۲ هـ باب سنن الوضوء مَطْلَبٌ فِي تَعْرِيفِ الْمَكْرُوهِ)
অর্থ : যে কাজ করার থেকে তরক করাই উত্তম তা-ই মাকরূহ তানযীহী। একই ভাবে যা উত্তমতার বিপরীত তা-ই মাকরূহ তানযীহী। (হাশিয়াতু
রদ্দিল মুহতার আলাদ্ দুররিল্ মুখতার শরহে তানবীরুল আবছার-আল্লামা হযরত ইবনু আবিদীন
মুহম্মদ আমীন বিন উমর শামী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১২৫২ হিজরী
পরিচ্ছেদ: উযুর সুন্নাত অনুচ্ছেদ: মাকরূহ পরিচিতি )
৪৪. النفاق (নিফাক্ব বা মুনাফিক্বী):
(১১৮)
النفاق فى الدين : هو ستر الرجل كفره بقلبه و اظهاره ايمانه
بلسانه فهو منافق. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى
البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۵۳۰)
অর্থ : পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে, কোন ব্যক্তি
কর্তৃক তার অন্তরে কুফরী গোপন রেখে বাহ্যিকভাবে ঈমান প্রকাশ করাকে নিফাক্ব
(মুনাফিক্বী) বলে। আর এমন
ব্যক্তিকে মুনাফিক্ব (কপটচারী) বলা হয়ে থাকে। (আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ
মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৫৩০
পৃষ্ঠা)
৪৫. المرتدّ (মুরতাদ্দ) :
(১১৯)
الـمرتد : هو الراجع عن دين الاسلام او هو الذى كفر بعد
الايـمان. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى
الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۴۷۷)
অর্থ : যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে প্রত্যাবর্তণ করেছে তাকে মুরতাদ্দ বলা হয়, অথবা যে পবিত্র ঈমান গ্রহণ করার পর কুফরী করেছে তাকে মুরতাদ্দ বলা হয়ে
থাকে। (আত্ তা’রীফাতুল
ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী
মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৪৭৭পৃষ্ঠা)
৪৬. الصحابى (ছাহাবী) :
(১২০)
الصحابى : هو من لقى النبى صلى الله عليه و سلم مؤمنا به و
مات على الايمان. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى
البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۳۴۶)
অর্থ : যিনি পবিত্র ঈমানের সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছেন এবং পবিত্র ঈমানের উপর ইন্তিকাল করেছেন, উনাকেই ছাহাবী বলা হয়ে থাকে। (আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী
বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৩৪৬পৃষ্ঠা)
৪৭. التابعى (তাবিয়ী) :
(১২১)
التابعى : هو من لقى الصحابى مؤمنا بالنبى صلى الله عليه وسلم
و مات على الايمان. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى
البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۶۱۳
)
অর্থ : সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি
ঈমান গ্রহণকারী একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাকেও যিনি দেখেছেন এবং
ঈমানের উপর ইন্তিকাল বরণ করেছেন উনাকেই তাবিয়ী বলা হয়ে থাকে। (আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ : মুফতী সাইয়্যিদ
মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৬১৩
পৃষ্ঠা)
৪৮. تابع التابعى (তাবিউত্ তাবিয়ীন) :
(১২২)
تابع التابعى هو من شافه التابعى مؤمنا بالنبى صلى الله عليه
وسلم. (منهج النقد فى علوم الحديث تأليف: نور الدين عتر الناشر: دار الفكر دمشق- سورية)
অর্থ : সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি
পবিত্র ঈমান গ্রহণকারী একজন হযরত তাবিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকেও যিনি দেখেছেন
এবং ঈমানের উপর ইন্তিকাল বরণ করেছেন উনাকেই তাবিউত্ তাবিয়ীন বলা হয়ে থাকে। (মিনহাজুন্ নাক্দ ফী উলূমিল হাদীছ- নূরুদ্দীন আতার
প্রকাশনা: দারুল্ ফিক্র-দামেশক্ব)
(১২৩)
৪৯. মুতাক্বাদ্দিমীন(متقدمين) :
ইমাম আ’যম হযরত আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও
হযরত ছাহিবাঈন (হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ
রহমাতুল্লাহি আলাইহি) উনারা এবং উনাদের সমসাময়িক ফক্বীহগণ হচ্ছেন উলামায়ে
মুতাক্বাদ্দিমীন অগ্রগণ্য উলামায়ে কিরাম। কারো মতে, হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
উনার পর্যন্ত পূর্বের ফক্বীহগণই মুতাক্বাদ্দিমীন।
(১২৪)
৫০. মুতাআখখিরীন(متاخرين) :
হযরত মুতাক্বাদ্দিমীন উনাদের পরবর্তী ফক্বীহগণ হলেন উলামায়ে মুতাআখখিরীন। কারো মতে, হযরত ইমাম মুহম্মদ
রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পর হতে হযরত ইমাম হাফিযুদ্দীন বুখারী রহমাতুল্লাহি
আলাইহি পর্যন্ত সকল ফক্বীহ। আল্লামা
হযরত যাহাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি তৃতীয় হিজরী শতাব্দীর পূর্বের ফক্বীহগণকে
মুতাক্বাদ্দিমীন আর পরবর্তীগণকে মুতাআখখিরীন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
(১২৫)
৫১. আল্ মাযাহিবুল্ আরবায়াহ্ (الـمذاهب الاربعة):
(১) হানাফী মাযহাব (২) মালিকী
মাযহাব (৩) শাফিয়ী মাযহাব (৪) হাম্বালী মাযহাব। এ চার মাযহাব উনাদেরকে একত্রে আল মাযাহিবুল আরবায়া বলে।
(১২৬)
৫২. আল্ আইম্মাতুল্ আরবায়াহ্ (الائمة الاربعة):
মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের প্রতিষ্ঠাতা উনাদেরকে আইম্মাহ আরবায়াহ্ বলা হয়। উনারা হলেন, (১) হানাফী মাযহাব উনার
প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আ’যম হযরত ইমাম নু’মান
বিন ছাবিত বিন যাওতী হযরত আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, (২) মালিকী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম মালিক বিন আনাস রহমাতুল্লাহি
আলাইহি, (৩) শাফিয়ী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম
শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (৪) হাম্বালী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম আহমদ
বিন মুহম্মদ বিন হাম্বাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
(১২৭)
৫৩. আইম্মাতুনাছ্ ছালাছাহ্ (ائمتنا الثلاثة):
হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি,
হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ
রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে একই সাথে আইম্মাতুনাছ্ ছালাছাহ্ বলা হয়।
(১২৮)
৫৪. শায়খাঈন (شيخين):
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে ছিদ্দীকে আকবার
আফদ্বালুন নাস, বা’দাল আম্বিয়া হযরত
আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও ফারূক্বে আ’যম হযরত উমর
ইবনুল্ খত্তাব আলাইহিস সালাম উনাদেরকে শায়খাঈন বলা হয়।
(১২৯)
৫৫. শায়খাঈন (شيخين):
হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও
হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা দু’জন হযরত
ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার শায়েখ বা শিক্ষক ছিলেন বলেই উনাদেরকে
শায়খাঈন বা দু’উস্তায বলা হয়ে থাকে।
(১৩০)
৫৬. শায়খাঈন (شيخين):
হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী ও সংকলনের দৃষ্টিতে হযরত ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি
আলাইহি ও হযরত ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে একই সাথে শায়খাঈন বলা হয়ে
থাকে।
(১৩১)
৫৭. ছাহিবাঈন (صاحبين):
হযরত ইমাম আবূ ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি
আলাইহি উনারা দু’জন হযরত আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি
আলাইহি উনার প্রধান ছাত্র। এ
হিসেবে উভয়ে পরস্পর সাথী।
(১৩২)
৫৮. ত্বরফাঈন (طرفين):
হযরত ইমাম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি
আলাইহি উনাদের দু’জনকে একত্রে ত্বরফাঈন বলা হয়।
(১৩৩)
৫৯. সালাফ (سلف):
হযরত ইমাম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে হযরত ইমাম মুহম্মদ
রহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত ফক্বীহগণ সালাফ বা প্রাচীণ ফক্বীহ।
(১৩৪)
৬০. খালাফ (خلف):
হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পর হতে হযরত ইমাম শামসুল আইম্মাহ
হালওয়ানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত ফক্বীহগণ খালাফ বা তৎপরবর্তী ফক্বীহ।
(১৩৫)
৬১. রিওয়াইয়াতুয্ যাহির (رواية الظاهر):
হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক লিখিত ৬ খানা কিতাবকে
রিওয়াইয়াতুয্ যাহির বা প্রকাশ্য বর্ণনা বলা হয়ে থাকে। সেগুলো হলো: (১) আল্ জামিউছ্ ছগীর (২) আল্ জামিউল্ কবীর (৩) আস্ সিয়ারুছ্ ছগীর
(৪) আস্ সিয়ারুল্ কবীর (৫) আল্ মাব্সূত (৬) আয্ যিয়াদাত।
(১৩৬)
৬২. কুতুবুন্ নাওয়াদির (كتب النوادر):
রিওয়াইয়াতুয্ যাহির ৬ খানা কিতাব ছাড়া হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
রচিত অন্যান্য কিতাবগুলোকে কুতুবুন্ নাওয়াদির বলা হয়।
(১৩৭)
৬৩. খইরুল্ কুরূন (خير القرون):
প্রথম তিন যুগ তথা হযরত ছাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, হযরত তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত তাবিউত্ তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি
আলাইহিম উনাদের যুগকে একই সাথে খইরুল্ কুরূন বা সর্বোত্তম যুগ বলা হয়ে থাকে। এ যুগকে ‘আছ্ ছদরুল আউয়াল’ও বলা হয়।
(১৩৮)
৬৪. শায়েখ (شيخ):
পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষাদাতা রাবীকে উনার ছাত্রের তুলনায় ‘শায়েখ’ বলা হয়ে থাকে।
(১৩৯)
৬৫. মুহাদ্দিছ (محدث):
যিনি হাদীছ শরীফ চর্চা করেন এবং বহুসংখ্যক হাদীছ শরীফ উনার সনদ ও মতন সম্পর্কে
বিশেষ জ্ঞান রাখেন উনাকে ‘মুহাদ্দিছ’ বলে।
(১৪০-১৪১)
৬৬. হাফিযুল্ হাদীছ (حافظ الحديث): হযরত ছাহাবা কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগের পর যিনি
সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক লক্ষ হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে ‘হাফিযুল্ হাদীছ’ বলে। মুফতী আ’যম হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল্ ইহসান
মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘মীযানুল্ আখবার’ কিতাবের বর্ণনা মতে, যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক হাজার হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন
উনাকে ‘হাফিযুল্ হাদীছ’ বলে। তবে, কেউ কেউ হাফিযুল্ হাদীছ
হওয়ার জন্য ইলমে লাদুন্নী শর্ত করেছেন।
(১৪২)
৬৭. হুজ্জাত (حجة): হযরত ছাহাবা কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগের পর যিনি
সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ তিন লক্ষ হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে ‘হুজ্জাত’ বলে। তবে, কেউ কেউ হুজ্জাত হওয়ার জন্য ইলমে লাদুন্নী
শর্ত করেছেন।
(১৪৩)
৬৮. হাকিমুল হাদীছ (حاكم الحديث): হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগের পর যিনি
সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ সমস্ত হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে ‘হাকিমুল্ হাদীছ’ বলে। তবে, কেউ কেউ হাকিমুল্ হাদীছ হওয়ার জন্য ইলমে
লাদুন্নী শর্ত করেছেন।