সীমাহীন রহমত, রবকত, মাগফিরাত ও নাজাতে ভরপুর। নববী স্নিগ্ধধারা, কুল-কায়িনাতের মহান অভিভাবক, দুনিয়া ও আখিরাতের নাজাতের কাণ্ডরী, পবিত্র জান্নাতী নূরী ফুল, নকশায়ে নবী, আওলাদে রসূল, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ। যা কুল কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা খুশির দিন
জলীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা মুবারক ধরে বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, “হে কায়িনাতবাসী, সাবধান! আমার পবিত্রতম হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার নৌকার মতো। যে ব্যক্তি উনার মধ্যে আরোহণ করবে, সে নাজাত পাবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে উনার থেকে দূরে থাকবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে।” নাউযুবিল্লাহ!
এই পবিত্রতম হাদীছ শরীফ থেকে সুস্পষ্ট হচ্ছে যে, হযরত আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম বিলাদত শরীফই হচ্ছেন সকল জিন-ইনসানসহ সমগ্র কায়িনাতবাসীর জন্য নাজাতের একমাত্র উপায়-অবলম্বন তথা নাজাতের প্রধানতম উসীলা। সুবহানাল্লাহ!
এ কারণেই ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ সমস্ত মাখলুকাতের মধ্যে বিশেষ করে জিন-ইনসান উনাদের জন্য সীমাহীন রহমত বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাতে পরিপূর্ণ। সুবহানাল্লাহ! কেননা এই পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ-এ মুবারক তাশরীফ নিয়ে অফুরন্ত রহমত-বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত দানে সমগ্র কায়িনাতবাসীকে যিনি ধন্য করেেেছন তিনিই হচ্ছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকাত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, রাহবারে আ’যম, আল গাউছুল আ’যম, নূরে আ’যম, নূরে মুকাররম, নূরে মদীনা, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া, ইরাদাতুর রব্বি ওয়ার রসূল, ইমামুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরা, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, সমগ্র কায়িনাতের মহান অভিভাবক দুনিয়া ও আখিরাতের নাজাতের কা-ারী, জান্নাতী নূরী মেহমান, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, জামিউন নিয়ামত, জামিউল আলক্বাব, নকশায়ে রসূল, পবিত্রতম লখতে জিগারে রসূল, নববী খুশবু ও স্নিগ্ধধারা, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা। উনার মুবারক তাশরীফে পবিত্র জান্নাতী সুশীতল সমীরণ শিরশির করে বইছে। পবিত্র জান্নাতী হুর গেলমান ঈদের আনন্দে আজ মাতোয়ারা। খোদ ইলাহী তায়ালা তিনি উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেসহ সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়ে ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করছেন। ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করছেন খাতুনে জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালামসহ সকল হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। তাই সমস্ত কায়িনাতে উচ্চ আওয়াজে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!!
লক্ষ-কোটি কারণে পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর তথা কুল-মাখলুকাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ! যা পালন করা পবিত্র ফরয উনার অন্তর্ভুক্ত। যেমন, এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, قل بفضل الله و برحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مما يجمعون- অর্থাৎ “আয় আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কুল-কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন- হে কায়িনাতবাসী! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবচেয়ে বড় ফযল তথা মহান অনুগ্রহ ও রহমত তথা সবচেয়ে বড় নিয়ামত হিসেবে পাওয়ার কারণেই তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করো। আর এই ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করাই হবে তোমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বত্তোম পাথেয়।” সুবহানাল্লাহ!
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম আগমন শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ‘ফরযকরণের’ মাধ্যমেও পবিত্রতম আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করা ফরয করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ হেতুতেও পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ মুসলিম উম্মাহ উনাদের ঈমান উনার সাথে ওতপ্রোতভাবে সংশ্লিষ্ট। কেননা এই পবিত্রতম দিনে এমন এক মহান অযুদ পাক তাশরীফ নিয়েছেন, যাঁর পবিত্রতম শিরা-উপশিরা ও ধমনী মুবারক-এ সঞ্চারিত ও সঞ্চিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম নূর মুবারক ও খুন মুবারক। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম নূর মুবারক উনার সাথেই উনার মহান সম্পৃক্ততা। উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, কুল-কায়িনাতের মহান ধারক-বাহক ও অভিভাবক, দুনিয়া ও আখিরাতের নাজাতের মূল উসীলা, যিনি যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আল গাউছুল আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, নকশায়ে নবী, নববী নূর, নূরে মদীনা, নূরে মুকাররাম, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম কিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, উম্মুল খাইর, ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, ছহিবাতুল কাশফ ওয়াল কারামাত, কুল-কায়িনাতের রহমত, বিশেষ করে নারী জাতির মুক্তির একমাত্র সোপান, নূরে মুকাররাম, নূরে মদীনা, গুলে মদীনা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আখাচ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা। সুবহানাল্লাহ! কাজেই মহা সম্মানিত আব্বাজান ও আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনাদের উভয় দিক থেকে আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, অর্থাৎ তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খুন মুবারক ও নূর মুবারক উনার সাথে মিশে একাকার হয়ে আছেন। সুবহানাল্লাহ!
তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে গভীর থেকে গভীরতম তায়াল্লুক, নিসবত, মুহব্বত, মা’রিফাত, খাছ রেযামন্দি, সন্তুষ্টিসহ সীমাহীন রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত লাভ করতে হলে উনার পবিত্রতম আখাছ্ছুল খাছ আওলাদ, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার প্রকৃত মুহব্বত মা’রিফাত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি, তায়াল্লুক, নিসবত, সাকীনা, মাগফিরাত, ইতায়াত লাভ করা সর্বপ্রথম ঈমানী দায়িত্ব-কর্তব্য তথা প্রধানতম ফরয কাজ। তাছাড়া কসি¥নকালেও খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত ও তায়াল্লুক-নিসবত হাছিল করা সম্ভব নয়। কেননা তিনি মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্রতম ‘ইরাদা মুবারক’ উনার হাক্বীক্বী নকশা। তিনি ক্বায়িম-মাক্বামে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম। তিনি পবিত্রতম সীরত মুবারক, ছূরত মুবারক, ইলম, আমল, আক্বীদা এবং সার্বিক আদর্শ মুবারক অনুসরণে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী নায়িব তথা ক্বায়িম-মাক্বাম ও পরিপূর্ণ মিছদাক হিসেবে ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম লক্বব মুবারকে ভূষিত হয়ে যমীনে মুবারক তাশরীফ নেন। যিনি বিশ্ব সংসারের মহান অভিভাবকত্বের মহা আসনে সমাসীন হয়ে আছেন! উনার নূরানী বদন মুবারকে পবিত্র নববী নূর চমকাচ্ছেন! উনার সুদর্শন মুবারক সমগ্র বিশ্ব সন্তানের দৃষ্টিকে হরণ করছেন! এমনকি পূর্ণচাঁদও উনার দিকে উঁকি দিচ্ছেন! উনি মহান আরবী, মদীনা মুনাওওয়ারার প্রতিচ্ছবি! উনার পবিত্রতম বাম হস্ত মুবারক-এ খিলাফতের ঝা-া আসন গ্রহণ করার জন্য পতপত করে উড়ছেন। উনার পবিত্রতম ডান হস্ত মুবারক-এ খিলাফতের চাবুক ঝিলমিল করছেন। পবিত্রতম দ্বীন ইসলাম, নির্যাতিত ও নিপিড়িত মুসলিম উম্মাহসহ সকল কায়িনাতবাসী উনাকে মহান ধারক-বাহক ও অভিভাবক হিসেবে পাওয়ার জন্য ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন। হাক্বীক্বী দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ উনাদেরকে হাক্বীক্বী নববী নকশায় গড়তেই কুল-কায়িনাতবাসীর মাঝে উনার মহান বিলাদত শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তিনি সমস্ত তাগূতী অপশক্তিকে মূলোৎপাটন করার জন্য আসাদুল্লাহিল গালিব উনার পবিত্র রঙে রঙিন। অসীম উনার হিম্মত ও কুওওয়াত। তিনি শহীদে কারবালা উনাদের বদলা নিতে বদ্ধপরিকর। তিনি হিমাদ্রির চেয়েও মহান কঠিনতম। তিনি বাধা বন্ধনহীন মুক্ত স্বাধীন। উনাকে রুখবার নেই কেউই। অসীম উনার ইলম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তিনি কুদরতে ইলাহী। তিনি মু’জিযায়ে রসূল। সুবহানাল্লাহ! সমস্ত পবিত্র কারামত উনার মুবারক ইচ্ছা ও ইরাদাধীন। উনার সীমাহীন শান-শুয়ূনাত, বুযুর্গী-কারামত ও মাকামাত। যার কারণে সমস্ত আনুগত্যশীল সৃষ্টিকুল উনার পাক ক্বদম মুবারকে ক্বদমবুছীতে মশগুল। সুবহানাল্লাহ! তিনি মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্রতম ছিফত মুবারকে মহান মাউছুফ। সুবহানাল্লাহ! উনার পবিত্রতম মুহব্বতই হচ্ছে পবিত্রতম ঈমান। এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, احبوا اهل بيتى لحبى অর্থাৎ: “হে কায়িনাতবাসী! তোমরা আমার পবিত্রতম মুহব্বতের জন্যে আমার পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো।” সুবহানাল্লাহ! কাজেই উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছুল খাছ আওলাদ হচ্ছেন, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনিই।
তাই উনার খাছ মুহব্বত, মা’রিফত, তায়াল্লুক, নিসবত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে উনার ‘পবিত্রতম বিলাদত শরীফ’ তথা ‘পবিত্রতম ৯ই রমাদ্বান শরীফ’ উনাকে যথাযথ ইজ্জত, সম্মান, তা’যীম-তাকরীম, ও বিশেষ শান-শওকতের সাথে স্মরণ ও পালন করা মুসলিম উম্মাহ উনাদের ঈমানী দায়িত্ব এবং কর্তব্য। যা আইয়্যামিল্লাহ উনার অন্তর্ভুক্ত। এই জন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ذكرهم بايام الله অর্থাৎ “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কায়িনতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিবস মুবারক তথা উনার মাহবুব বান্দা-বান্দী উনাদের পবিত্রতম বিলাদত শরীফ ও তৎসংশ্লিষ্ট দিবসগুলোতে শোকরগুজারী ও ধৈর্যশীল বান্দা-বান্দীদের জন্য রয়েছে লক্ষ-কোটি নিদর্শন তথা রহমত-বরকত, মুহব্বত, মা’রিফাত, সাকীনা, নাজাত, খাছ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি।’
অতএব, খালিক্ব মালিক রব তায়ালা উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে একইভাবে ক্বায়িম-মাক্বামে রহমাতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম এবং জান্নাতী নূরী ফুল হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম আলাইহিমাস সালাম, অনুরূপভাবে ত্বাহিরা, ত্বাইয়্যিবা, নকশায়ে যাহরা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম ও ত্বাহিরা, ত্বাইয়্যিবা, নকশায়ে যাহরা সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম ঠিক অনুরূপভাবে ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম এবং বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম ও বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাদের সকলেরই খাছ তাওয়াজ্জুহ-ফায়িয, খাছ মুহব্বত, মা’রিফাত, গভীর তায়াল্লুক-নিসবত লাভের লক্ষ্যে পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ অত্যন্ত ধ্যানে-খেয়ালে, চিন্তা-ফিকিরের সাথে জান-মাল উজাড় করে সর্বসেরা ঈদ হিসেবে খুশি প্রকাশ করা মুসলিম উম্মাহ উনাদের সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব উনার অন্তর্ভুক্ত।
আয় আল্লাহ পাক! আমাদের সবাইকে তা পালন করার তাওফীক দান করুন। আমীন