সুওয়াল: কতিপয় উলামায়ে সূ’ এবং তাদের অনুসারীরা বলে থাকে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয নেই এবং ইতিপূর্বে কেউই নাকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করেনি বা কারো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি। জানার বিষয় হচ্ছে- তাদের উপরোক্ত বক্তব্য কতোটুকু সঠিক? প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয আছে কিনা এবং অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? দলীলভিত্তিক জওয়াব দিয়ে বাধিত করবেন।

সুওয়াল: কতিপয় উলামায়ে সূ’ এবং তাদের অনুসারীরা বলে থাকে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয নেই এবং ইতিপূর্বে কেউই নাকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করেনি বা কারো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি। জানার বিষয় হচ্ছে- তাদের উপরোক্ত বক্তব্য কতোটুকু সঠিক? প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয আছে কিনা এবং অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? দলীলভিত্তিক জওয়াব দিয়ে বাধিত করবেন।


সুওয়াল: কতিপয় উলামায়ে সূ’ এবং তাদের অনুসারীরা বলে থাকে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয নেই এবং ইতিপূর্বে কেউই নাকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করেনি বা কারো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি। জানার বিষয় হচ্ছে- তাদের উপরোক্ত বক্তব্য কতোটুকু সঠিক? প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয আছে কিনা এবং অন্য কারো ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? দলীলভিত্তিক জওয়াব দিয়ে বাধিত করবেন।

 

জাওয়াব: বিশুদ্ধ ফতওয়া মতে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রেও ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয রয়েছে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

 

هُوَ الَّذِىْ يُصَلِّىْ عَلَيْكُمْ وَمَلآئِكَتُهٗ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তোমাদের প্রতি ছলাত পাঠ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ : (সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৩)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهٗ وَاَهْلَ السَّمَوَاتِ وَالْاَرَضِيْـنَ حَتَّـى النَّمْلَةَ فِـىْ جُحْرِهَا وَحَتَّـى الْـحُوْتَ لَيُصَلُّوْنَ عَلـٰى مُعَلِّمِ النَّاسِ الْـخَيْـرَ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সমস্তÍ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা, সমস্ত আসমানবাসী ও যমীনবাসী এমনকি গর্তের পিপিলিকা এবং সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত সকলেই মানুষের মু‘আল্লিম বা ইলমে দ্বীন শিক্ষাদানকারী উনার প্রতি ছলাত পাঠ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রেও যে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে অসংখ্য দলীল-আদিল্লাহ মওজূদ রয়েছে। নি¤œ অতি সংক্ষেপে কিছু দলীল-আদিল্লাহ পেশ করা হলো-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ছলাত পাঠ এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক উনাদের শেষে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার

আল্লামা মাহমূদ বিন উমর জারুল্লাহ যামাখশারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৫৩৮ হিজরী শরীফ) তিনি উনার কিতাবে উল্লেখ করেন,

اَنَّ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اٰمِنَةَ اُمَّهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِمَا وَسَلَّمَ

 

অর্থ: “নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিমা ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম।” (আল ফাওয়াইক্ব ফী গরীবিল হাদীছ ৩/২০৮)

আল্লামা হযরত ইমাম আলী ইবনে হুসাইন ইবনে মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে হাইছাম কুরাইশী আবুল ফারজ ইস্পাহানী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৩৫৬ হিজরী শরীফ) তিনি উনার কিতাবে উল্লেখ করেন,

وَتَزَوَجَّتْ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ خَدِيْـجَةُ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهَا قَبْلَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّـى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلَيْـنِ.

 

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্বে সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদীজাহ্ ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইহা উনার দুটি সম্মানিত শাদী মুবারক হয়।” (মাক্বাতিলুত্ ত্বালিবীন পৃষ্ঠা নং ১২)

আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে আসাকির দিমাশকী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৬২০ হিজরী শরীফ) তিনি উনার কিতাবে উল্লেখ করেন,

عَنْ حَدِيْثِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهَا وَسَلَّمَ حِيْـنَ قَاَل فِيْهَا اَهْلَ الْاِفْكِ مَا قَالُوْا فَبَرَّاَهَا اللهُ

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছলিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার ব্যাপারে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ- যখন অপবাদ প্রদানকারীরা উনার সম্পর্কে অপবাদ রটনা করলো, তখন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করেন।” সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুল আরবা‘ঈন ফী মানাক্বিবে উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম পৃষ্ঠা নং ৬০-৬১)

কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,

عَنْ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهَا وَسَلَّمَ اَنَّـهَا قَالَتْ مَا رَاَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلّٰى فِـىْ سَبْحَتِهٖ نَافِلَتَهٗ قَاعِدًا قَطُّ

 

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাফছাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি কখনো চামড়ার জায়নামাযে বসে সম্মানিত নফল নামায মুবারক আদায় করতে দেখিনি।” সুবহানাল্লাহ! (শরহুল মুওয়াত্বা’ ২২/২৭)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মুসনাদে বায্যার’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,

وَكَانَا نَـخَسَا بِسَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ بِنْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِمَا حِيْـنَ خَرَجَتْ مِنْ مَكَّةَ اِلَـى النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত যায়নাব বিনতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিমা ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেওয়ার জন্য বের হন, তখন তারা উনাকে কষ্ট দিয়েছিলো।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (মুসনাদে বায্যার ১৪/৩৬২)

আল্লামা হযরত ইমাম শিহাবুদ্দীন আবূ আব্দুল্লাহ ইয়াকূত ইবনে আব্দুল্লাহ হামাওয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫৭৪ হিজরী : বিছাল শরীফ ৬২৬ হিজরী) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মু’জামুল উদাবা’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেছেন,

سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِمَا وَسَلَّمَ

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ বিনতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিমা ওয়া সাল্লাম।” সুবহানাল্লাহ! (মু’জামুল উদাবা’ ৪/১৮১১)

হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইস্ম বা নাম মুবারক উনাদের শেষে সরাসরি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম:

এ বিষয়ে অসংখ্য দলীল রয়েছে। নিম্নে কিছু দলীল-আদিল্লাহ পেশ করা হলো,

 

هٰذَا حَضْرَتْ اٰدَمُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “ইনি হচ্ছেন হযরত আদম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” (মুসলিম শরীফ)

كَقَوْلِ حَضْرَتْ نُوْحٍ صَلَّى اللهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “যেমন হযরত নূহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মুবারক।” (তাফসীরে মাতুরীদী ৩/৪২৭)

هٰذَا حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “ইনি হযরত ইবরাহীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। (বুখারী শরীফ)

وَكَانَ حَضْرَتْ مُوْسٰى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْتَسِلُ وَحْدَهٗ

অর্থ: “হযরত মূসা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একাকী গোসল করছিলেন।” (বুখারী শরীফ)

سُـمِّـىَ حَضْرَتْ عِيْسٰى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَةً

অর্থ:  “হযরত ঈসা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘কালিমা তথা কালিমাতুল্লাহ’ লক্বব মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে।” (শারহুস সুন্নাহ শরীফ ১/১০১)

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক উনাদের শেষে সরাসরি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার:

حَجَّ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَبُوْ بَكْرٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَنَةَ تِسْعٍ

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ বকর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৯ম হিজরী শরীফ-এ সম্মানিত হজ্জ্ব মুবারক সম্পন্ন করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আদ্ দীবাজ ‘আলা মুসলিম ১/২০৪)

قَوْلُ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عُمَرَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বওল শরীফ।” সুবহানাল্লাহ! (ফাতহুল বারী লি ইবনে রজব ৩/১৭৮)

وَمَاتَ فِـىْ خِلَافَةِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عُثْمَانَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِـمِصْرَ.

অর্থ: “(হযরত হুযাফাহ্ রদ্বিয়াল্লাহ তা‘য়ালা আনহু) তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ‘উছমান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক কালে মিছরে মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল লামি‘উছ ছবীহ ১১/৩৬৫)

وَرُوِىَ عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عَلِىِّ بْنِ اَبِـىْ طَالِبٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “আর সাইয়্যিদুনা হযরত আলী ইবনে আবী ত্বলিব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহ্ ১/৪৪)

سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عَبَّاسٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمُّهٗ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত চাচা হযরত আব্বাস ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” সুবহানাল্লাহ! (ইরশাদুস সারী ৮/৩৭৭)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَّهٗ قِيْلَ لَهٗ اَبَلَغَكَ اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا حِلْفَ فِـى الْاِسْلَامِ

অর্থ: “হযরত আনাস বিন মালিক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, উনাকে বলা হলো, আপনার নিকট কি এই সংবাদ পৌঁছেছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কোনো প্রতিজ্ঞা নেই।” (আত্ তাজরীদুছ ছরীহ্ পৃষ্ঠা নং ২৯৯)

بَعْثُ حَضْرَتْ اَبِـىْ مُوْسَى الْاَشْعَرِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلَـى الْيَمَنِ

অর্থ: “হযরত আবূ মূসা আশ‘আরী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়ামানে প্রেরণ।” (আল লু’লুউল মাকনূন ৪/৪৩৬)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَّ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصِنِـىْ

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরজী পেশ করেন, আমাকে ওছীয়ত মুবারক করুন, নছীহত মুবারক করুন।” সুবহানাল্লাহ! (আল লামি‘উছ ছবীহ্ ১৫/১৫০)

قَالَ حَضْرَتْ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَىُّ الذَّنْۢبِ اَكْبَـرُ عِنْدَ اللهِ

অর্থ: “হযরত ইবনে মাস‘ঊদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি আরজী পেশ করেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কোন্ গুনাহ্ সবচেয়ে বড়?” (তুহ্ফাতুল আব্রার)

بِـمَا رَوٰى حَضْرَتْ اِبْنُ عُمَرَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “হযরত ইবনে উমর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা বর্ণনা করেছেন।” (আত্ তা’লীক্বতুল কুবরা ১/২৭৭)

হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইস্ম বা নাম মুবারক উনাদের শেষে সরাসরি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার:

رَجَفَتِ الشَّامُ بَعْدَ حَضْرَتْ عِيْسَى ابْنِ مَرْيَـمَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِمَا وَسَلَّمَ ثَلَاثِيْـنَ رَجْفَةً

অর্থ: “হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম ছল্লাল্লাহু আলাইহিমা ওয়া সাল্লাম উনার পর শাম দেশ ৩০ বার অত্যন্ত কঠিনভাবে কেঁপে উঠে।” (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ২/১৮৯)

وَقَبْـرُ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اِسْـمَاعِيْلَ وَاُمِّهٖ هَاجَرَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِمَا وَسَلَّمَ

অর্থ: “হযরত ইসমাঈল এবং উনার মহাসম্মানিত আম্মা হযরত হাজেরা ছল্লাল্লাহু আলাইহিমা ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ।” (ফাদ্বাইলু মাক্কাহ্ পৃষ্ঠা নং ২০)

فَاَخْبَـرَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ) بِهٖ فَقَالَ لَعَلَّهٗ حَضْرَتْ اَلْـخَضِرُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট ঐ ব্যক্তির সম্পর্কে সংবাদ দেওয়া হলো। তখন তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ঐ ব্যক্তি ছিলেন হযরত খিযির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।” (ফাদ্বাইহুল বাত্বিনিয়্যাহ্ লিল গায্যালী-২১০)

ذَكَرَ حَضْرَتْ اَبُو الْقَاسِمِ الرَّافِعِىُّ الشَّافِعِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “হযরত ইমাম আবুল ক্বাসিম রফি‘য়ী শাফি‘য়ী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আলোচনা করেছেন।” (শারহুল ইল্মাম বিআহাদীছিল আহ্কাম ৪/৩০২)

মাযহাবের ইমাম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইস্ম বা নাম মুবারক উনাদের শেষে সরাসরি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার:

আল্লামা হযরত ইমাম ছায়িদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে আহমদ আস্তাওয়াঈ নীশাপূরী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৪৩২ হিজরী শরীফ) তিনি উনার কিতাবে উল্লেখ করেন,

سَاَلْتُ حَضْرَتْ اَبَا حَنِيْفَةَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَهْلُ الْقِبْلَةِ وَالْـجَمَاعَةِ

অর্থ: “আমি হযরত আবূ হানীফাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম- ‘আহলে ক্বিবলা এবং আহলে (সুন্নাত ওয়াল) জামা‘আত কারা?” (আল ই’তিক্বাদ পৃষ্ঠা নং ৯৭)

قَالَ حَضْرَتْ اَلشَّافِعِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا اثْبِتُوا الْعِلْمَ فَقَدْ حَجُّوْا اَنْفُسُهُمْ

অর্থ: “হযরত ইমাম শাফি‘য়ী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যখন তারা সম্মানিত ‘ইল্ম উনার বিষয়ে জোর দিবে, তখন তারা নিজেরা সম্মানিত ‘ইল্মী জিহাদে বিজয়ী হবে।” সুবহানাল্লাহ! (আত্ তানবীর শরহুল জামি‘য়িছ ছগীর ১/৩৩৭)

وَحَكٰى حَضْرَتْ اَلنَّقَّاشِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ اَحْـمَدَ بْنِ حَنْبَلِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “আর হযরত নাক্কাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে বর্ণনা করেন।” (মিরআতুয যামান ৩/১৪৬)

হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইস্ম বা নাম মুবারক উনাদের শেষে সরাসরি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার:

فَنَزَلَ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “অতঃপর হযরত জিবরীল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নাযিল হলেন।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ وَحَضْرَتْ مِيْكَائِيْلُ وَحَضْرَتْ اِسْرَافِيْلُ وَحَضْرَتْ مَلَكُ الْـمَوْتِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِمْ وَسَلَّمَ.

র্অথ: “অতঃপর হযরত জবিরীল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নাযিল হলনে।” (বুখারী শরীফ, মুসলমি শরীফ)অর্থ: “হযরত জিবরীল, মীকাঈল, ইসরাফীল এবং মালাকুল মাউত ছল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম।” (্আল হিদায়াহ্ ইলা বুলূগিন্ নিহায়াহ্ ৯/৫৯৪৭)

উপরোক্ত দলীল-আদিল্লাহ ভিত্তিক আলোচনা থেকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রেও ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয রয়েছে এবং এর বহু প্রমাণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের মধ্যে রয়েছে। তবে শুধু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার সাথে সংযুক্ত ও সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারকেই ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলা এবং লিখা হবে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারক-এ ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলা এবং লিখা ক্ষেত্র বিশেষ সম্মানিত ফরয উনার অন্তর্ভুক্ত। কেননা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে ব্যক্তি নামায পড়বে, কিন্তু নামাযে আমার এবং  আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সম্মানিত ছলাত পাঠ করবে না, তার নামায কবূল হবে না।” (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৯, সুনানুদ দারাকুত্বনী ২/১৭১)

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো তুলনা করা যাবে না।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী ৪/২৮৩, জামি‘উল আহাদীছ ২২/২১৯)

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খ¦মিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না। সুবহানাল্লাহ! যে ব্যক্তি আমাদের সাথে অন্য কাউকে তুলনা করবে, অবশ্যই সে কুফরী করবে।” সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য সাধারণভাবে ছলাত, ছালাম ইত্যাদি লেখার ক্ষেত্রে প্রত্যেকের শান মান ও অবস্থান মুবারক বুঝার জন্য যেমন হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে আলাইহিস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের ক্ষেত্রে রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়লা আনহু এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ক্ষেত্রে রহমতুল্লাহি আলাইহি  বলা ও লেখা হবে। সুবহানাল্লাহ!

অতিশীঘ্রই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিতাব বের হবে। ইনশাআল্লাহ! (অপেক্ষায় থাকুন...)

 পিডিএফ লিংক-

 https://drive.google.com/file/d/1wJXfj31h9HZ44WolPu35jkgynrHMF6I9/view?usp=sharing