একজন কুতুবুজ্জামান উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-
অপরদিকে হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহউদ্দীন রহমাতুল্লাহি
আলাইহি সোনারগাঁয় ইসলাম প্রচারে ব্যাপৃত থাকেন এবং সেখানেই ইন্তিকাল করেন। হযরত
সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহউদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক নিম্নস্থিত পুরুষেই
জন্মগ্রহণ করেন আওলাদে রাসূল, হযরত সাইয়্যিদাতুনা আহমদ জাহানারা বেগম আলাইহাস
সালাম, আল হাসানী, ওয়াল হুসাইনী, ওয়াল কুরাঈশী ।
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
সালাহউদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত উনার মুবারক উর্ধ্বতন পুরুষের অনুক্রম
নিম্নরূপঃ-
হযরত সাইয়্যিদাহ্ আহমদ
জাহানারা বেগম আলাইহাস সালাম উনার পিতা,
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
আব্দুস সবুর রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
আব্দুস সবুর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা,
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
মফিজউদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
মফিজউদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা,
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
আনিসউদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
আনিসউদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা,
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
সালাহউদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
সালাহউদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার অধস্তন ৪র্থ পুরুষ,
“বাড়ী মজলিশ” গ্রামের
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুস সবুর রহমাতুল্লাহি আলাইহি নুরানীগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) জেলার
বৈদ্যেরবাজার থানাধীন “পাকুন্দা” গ্রামের
এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিয়ে করেন। অভিজাত বংশীয় এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় শ্বশুরের নাম
হযরত মুহম্মদ আব্দুল লতিফ খান রহমাতুল্লাহি আলাইহি । তিনি ছিলেন ঐ পরিবারের প্রধান
ব্যক্তিত্ব। শরাফত,
সৌজন্য, পরোপকার, দানশীলতা, সুন্নাত পালনের অভ্যস্ততা এবং পরহেজগারীতে তিনি ও তাঁর
স্ত্রী ছিলেন অনন্য। অতুলনীয় এইসব বৈশিষ্ট্যগুণে তাঁরা উভয়েই হয়ে উঠেছিলেন সকলের
অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। দু’জন মাত্র কন্যা সন্তান তাঁদের। একজন আহমদ আয়েশা আক্তার রহমাতুল্লাহি আলাইহা এবং
অন্যজন হযরত আহমদ কাউসার আক্তার রহমাতুল্লাহি আলাইহা। দু’জনেরই বিয়ে হয়ে গেলে বয়ঃবৃদ্ধ
পিতা-মাতা একলা হয়ে পড়েন। মেয়ের ঘরে একজন পুণ্যবান সন্তানের পরম প্রত্যাশায়
আল্লাহ্ পাক-এর কাছে অহর্নিশ মুনাজাত পিতা-মাতার। প্রত্যাশা একদিন পূরণ হয়। আহমদ
আয়েশা আক্তার রহমাতুল্লাহি আলাইহা উনার কোল আলো করে ১৩২৪ সালে “পাকুন্দা” গ্রামে নানা-বাড়ীতে এক মুবারক কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁরই নাম হযরত সাইয়্যিদাতুনা আহমদ জাহানারা বেগম আলাইহাস সালাম । নানা বাড়ীর
পরিপূর্ণ এক ধর্মীয় পরিবেশে পরম মমতায় এই মোবারক সন্তানের সময় কাটতে থাকে।
হযরত সাইয়্যিদাতুনা আহমদ জাহানারা বেগম
আলাইহাস সালাম উনার পিতা-মাতা উভয়েই ছিলেন আল্লাহ্ পাক উনার খাছ ওলী। বংশ
পরস্পরায় ক্রমান্বয়ে তিনি হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম, হযরত
ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম এবং অতঃপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, রহমাতুল্লীল আ’লামীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। রক্ত মুবারকের
অনুপম ধারাবাহিকতায় হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুস সবুর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ঔরশে এবং আহমদ আয়েশা আক্তার রহমাতুল্লাহি
আলাইহা উনার নেক ঔরশে নানা বাড়ীর এমন এক পরিবেশে তিনি দুনিয়ায় আগমন করেন, যেখানে
খাছ হিদায়েতের নূরে সকলেই আল্লাহ্ পাক উনার মত এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার পথে পরিপূর্ণরূপে দায়েম ও কায়েম ছিলেন। বিশেষতঃ উনার পিতা-মাতার
বুযুর্গী ছিল সর্বজনস্বীকৃত এবং উনারা উভয়েই ছিলেন আল্লাহ্ পাক উনার খাছ
লক্ষ্যস্থল। খালিছভাবে সুন্নাতের পাবন্দ এবং ইসলাম প্রতিপালনে অভ্যস্ত এমন বুযুর্গ
পিতা-মাতার ঘরে সংগত কারণেই হযরত সাইয়্যিদাতুনা আহমদ জাহানারা বেগম আল হাসানী, ওয়াল
হুসাইনী, ওয়াল কুরাঈশী আলাইহাস সালাস মাদারজাদ ওলী হিসেবে দুনিয়ায় তাশরীফ আনেন। হযরত
সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুস সবুর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি
সকলের বড়। অন্য চারজনের অনুক্রম হলো, ভাইঃ বোনঃ বোনঃ ভাই। (অসমাপ্ত)
আবা-৬৮