ওলীয়েমাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশফ ওয়াল কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা
রহমতুল্লাহি আলাইহি- উনার স্মরণে-
একজনকুতুবুজ্জামান-এরদিদারেমাওলারদিকেপ্রস্থান
জন্ম মুবারক বংশ পরিচিতিঃ
কুতুবুজ্জামান,আরিফবিল্লাহ,আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা শাহ্ছূফী আলহাজ্ব
সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আল-হাসানী, ওয়াল-হুসাইনী, ওয়াল-কুরাইশী
রহমতুল্লাহি আলাইহি হিদায়েতের মশাল নিয়ে ১১০৮ ঈসায়ী শনে বর্তমান নুরানীগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
জেলার আড়াই হাজার থানার অন্তর্গত প্রভাকরদী গ্রামের পূণ্য ভুমিতে জন্ম গ্রহণ করেন।
উনার পিতা-মাতা উভয়েই ছিলেন আল্লাহ্পাক-উনার খাছ অলী।
মুবারক সিলসিলা পরস্পরায় পিতা-মাতর দিক থেকে তিনি ছিলেন যথাক্রমে হযরত ইমাম হাসান
আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম, ওয়াল কুরাঈশী এ কারণেই তিনি ছিলেন আওলদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম। আল্লাহপাক-উনার লক্ষ্যস্থল এমন মাহবুব ওলীর কামালত ও বুযুর্গী উপলদ্ধীর প্রয়োজনে
উনার বংশ পরিচয় ও পুর্ব পুরুষগণকে জানা অপরিহার্য। এ জন্য আমাদেরকে অনেক পেছনে যেতে
হবে।
অতীত ইতিহাস পথভ্রষ্ট ও
গোমরাহীতে নিমিজ্জত মানুষকে হিদায়েত দানের লক্ষ্যে সুলতানুল হিন্দ, হাবীবুল্লাহ, গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন
চিশ্তী আজমেরী সানজারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বিভিন্ন দেশ হিজরত ও সফরের শেষ পর্যায়ে
আল্লাহ্পাক-এর নির্দেশে ৫৬১ হিজরীতে আজমীর শরীফ আসেন । তাঁরই অন্তরঙ্গ সঙ্গী হিসেবে
ঐ যামানায় আল্লাহ্পাক-এর খাছ ওলী হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী রহমতুল্লাহি
আলাইহি একই লক্ষ্যে আরব থেকে আজমীর শরীফ তাশরীফ আনেন । ইসলাম প্রচারের কাজে নিমগ্ন
হয়ে তিনি আজমীর শরীফে থেকে যান এবং সেখানেই ইন্তিকাল করেন। উনারই অধস্তন পুরুষ হযরত
সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহ উদ্দিন
রহমতুল্লাহি আলাইহি এগারশত হিজরীতে শেষার্ধে হিদায়েতের আলো নিয়ে চট্টগ্রাম আগমণ করেন।
তাঁরা ছিলেন দুই ভাই । সেখানে সাময়িক অবস্থানের পর উনারা দু’জনেই বর্তমান নুরানীগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) জেলার সোনারগাঁও আসেন । হযরত সাইয়্যিদ
মুহম্মদ সালাহউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি সোনারগাঁও এ অবস্থান করেন এবং ইন্তিকাল করেন।
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি সোনারগাঁও এসে অল্প কিছুদিন অবস্থানের
পর একই জেলার আড়াই হাজার থানাধীন যেজন পদে হিদায়েতের কেন্দ্রভূমিগড়ে তোলেন, তার বর্তমান নাম প্রভাকরদী শরীফ।
সে সময়ে ধর্মীয়
পরিবেশ-
হযরত সাইয়্যিদ
মুহম্মদ আলউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি- উনার আগমণের পুর্বে প্রভাকরদী গ্রাম সহ বিস্তীর্ণ
এলাকা ছিল হিদায়েত বিবর্জিত।এ জন পদের মানুষ ছিল লক্ষ্য বিচ্যুত এবং অজ্ঞতার অন্ধকারে
নিমজ্জিত । বিদ্য়াত ও ইসলাম পরিপন্থী রসম-রেওয়াজ পালনে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল ।
মানুষের ইল্ম, প্রজ্ঞা ও সমঝের
অভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার সুন্নত মুবারক অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল
। অনুভব ও উপলব্ধির শুন্যতা, সম্প্রতি ও
শিষ্টাচারের অনুপস্থিতি, ন্যায় নীতি
প্রতিপালনরে অন্যগ্রহ এবং মানুষের স্বেচ্ছাচারী জীবনাচরণে এ পূণ্যজন পদে রসরস মাটিতে
ইসলাম ধর্ম আবাদের অনুকুল পরিবেশ ছিলেন।বিদ্য়াত পরিপূর্ণ ছিল মানুষের মন, মনন, আচারণ ও রিসালত পরিপন্থী ঈমান, আক্বিদা ও আমলে
মানুষ গোমরাহীতে লিপ্ত হয়। সময়ের অতিক্রান্তিতে ইসলাম সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত উপলব্ধি, নৈতিক অবক্ষয় ও বিরূপ জীবনা চরণে
বিদ্য়াত জন্ম নেয়। অবশেষে মানুষ র্শিক ও কুফরীতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
আজ থেকে তিনশত বছর পূর্বে এরূপ তমসাচ্ছন্ন অবস্থা প্রভাকরদীতে ও বিদ্যমান ছিল।মানুষকে
খালিছ হিদায়েত দানের উদ্দেশ্যে ঐ সময় আল্লাহপাক- উনার নির্দেশে হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
আলাউদ্দিন রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রভাকরদী তাশরীফ আনেন । তাঁর আগমণের সাথেই তিনি হিদায়েতের
কাজ আরম্ভ করেন। (অসমাপ্ত)
0 Comments:
Post a Comment