সবচেয়ে বড় নাফরমান সর্বোচ্চ জান্নাতী
 
সবচেয়ে বড় নাফরমান সর্বোচ্চ জান্নাতী

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন

إن رجلا عصى الله مائتي سنة يتمرد ويجترئ عليه فيها كلها فلما مات أخذ بنو إسرائيل برجله والقوه على مزبلة فأوحى الله إلى حضرت موسى عليه الصلوة والسلام أن غسله وكفنه وصلى عليه في جمع بني إسرائيل ففعل ما أمره الله تعالى به فتعجب بنو إسرائيل من ذلك فأخبروه انه لم يكن في بني إسرائيل أغنى منه ولا أكثر معاصي منه فقال قد علمت ولكن الله أمرني بذلك فقالوا سل ربك فسال حضرت موسى عليه السلام ربه عز وجل فقال يا رب قد علمت ما قالوا فأوحى الله إليه أن صدقوا ما


قالوا إنه عصاني مائتي سنة إلا أن يوما من الأيام فتح التوراة فنظر إلى اسم سيدنا مؤلنا محمد صلى الله عليه وسلم مكتوبا فقبله ووضعه بين عينيه وفي رواية أخرى وصلى

عليه فشكرت له ذلك فغفرت له ذنوب مائتي سنة وزوجته سبعين حوراء অর্থ: “নিশ্চয়ই (বনী ইসরাঈলে) এক ব্যক্তি (যে দুই শত বছর হায়াত পেয়েছিলো এবং) দুই শত বছর মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করেছিলো। সে তার সম্পূর্ণ হায়াতে মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অবাধ্য ও নাফরমানীতে মশগূল ছিলো, বেপরওয়া ছিলো। (যার কারণে কেউ তাকে পছন্দ করতো না এবং সকলে চরম ঘৃণা করতো।) ফলে সে যখন ইন্তেকাল করল, তখন বনী ইসরাঈলরা তার পায়ে ধরে তাকে টেনে হেঁচড়ে গোবর পূর্ণ স্থানে, গোবরের স্তূপে নিক্ষেপ করল। তারপর যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করেন যে, তিনি যেন বণী ইসরাঈলের সমস্ত লোকজন নিয়ে ঐ ব্যক্তির গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করেন এবং তার জানাযার নামায পড়েন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যা নির্দেশ মুবারক করলেন, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি তাই করলেন। এই কারণে বনী ইসরাঈলরা আশ্চর্য হলো। তারা বললো, সে এমন এক ব্যক্তি- যার মতো অত্যধিক সীমালঙ্গনকারী, চরম অবাধ্য, অত্যন্ত কঠিন হৃদয়ের অধিকারী, চরম বেপরওয়া, কর্কশভাষী, বড় যালিম, চরম বেআদব, সেরকাশী (অবাধ্য ) এবং অত্যধিক পাপীষ্ঠ, গুণাহগার আর কেউ ছিলো না। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নি:সন্দেহে আমি তা জানি। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এরূপ করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন তারা সবাই বললো, আপনি (দয়া করে) আপনার রব তা'য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করুন (যে, এর হাক্বীক্বত কী?)। তারপর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার রব তা'য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে সুওয়াল করলেন। তিনি বললেন, আয় বারে এলাহী! বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে আপনি অবশ্যই তা জানেন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করলেন যে, বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে তা সত্যই বলেছে। নিশ্চয়ই সে দুই শত বছর আমার নাফরমাণী করেছে। তবে সে একদিন সম্মানিত ও পবিত্র তাওরাত শরীফ খুলে দেখতে পেলো যে, সেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক লিখিত রয়েছেন।


তখন সে খুশি মুবারক প্রকাশ করে অত্যন্ত মুহব্বতে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবুব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম মুবারক 'সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে (একবার মাত্র) বুছা দিয়েছিলো এবং খুশি মুবারক প্রকাশ করে অত্যন্ত মুহব্বতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম মুবারক তার দুই চোখে লাগিয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! অপর বর্ণনায় রয়েছেন, এবং সে উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করেছিলো অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করেছিলো। সুবহানাল্লাহ! এই কারণে আমি তাকে উত্তম প্রতিদান দান করেছি। সুবহানাল্লাহ! তার দুই শত বছরের (জীবনের) সমস্ত গুণাহ-খতাগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তার সাথে সত্তর জন হুরের বিবাহ দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দিয়েছি এবং আপনার মতো একজন জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল উনার জন্য তার গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করা এবং তার জানাযার নামায পড়া ফরয করে দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছল কুবরা ১/২৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৪১২, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/১৩৬, তাফসীরে দুররে মানছুর ৩/৫৭৯, শরহুল বুখারী ২/১১৯ ইত্যাদি)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক মাত্র একবার বুছা দিলে, চোখে স্পর্শ মুবারক করলে অথবা উনার প্রতি একবার সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করলে অর্থাৎ উনার সম্মানার্থে সামান্য সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করলে যদি দুইশত বছরের সমস্ত গুনাহ্-খতা মাফ করে দেয়া হয়, ঐ ব্যক্তি উনার উপর জহান্নাম হারাম করে দিয়ে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দেয়া হয়, ৭০ জন হুরের সাথে বিবাহ দেওয়া হয় এবং ঐ ব্যক্তি উনার গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করা এবং তার জানাযার নামায পড়া জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উপর ফরয করে দেয়া হয়, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করার ফযীলত মুবারক কতো বেমেছাল এটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! আর এই উম্মত যদি খালিছ নিয়তে দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করে, তাহলে কতো বেমেছাল নিয়ামত মুবারক লাভ করবে, সেটা বলার অপেক্ষাই রাখেনা। সুবহানাল্লাহ!


সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে এই সীমাহীন নিয়ামত ও ফযীলত মুবারক থেকে মাহরূম করার জন্য বাতিল ৭২ ফিরক্বার লোকেরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকে, নানা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! সারা দুনিয়ার সমস্ত সম্মানিত মুসলমান উনাদের জন্য ফরয হচ্ছেন বাতিল ৭২ ফিরক্বার লোকদের সর্বপ্রকার বিভ্রান্তি ও চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বালের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া এবং যথাযথ তা'যীম-তাকরীম এবং সীমাহীন আদব-শরাফত ও মুহব্বতের সাথে, সাখাওয়াতির সাথে, অত্যন্ত জাকযমকের সাথে দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করা। সুবহানাল্লাহ!

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে, উনারই জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করে ইতিহাসে নযীরবিহীন অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক জারী করেছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! এরপরেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ'যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাস উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ'দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ) উনার সম্মানার্থে ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উপলক্ষে বিশেষভাবে ৯০ দিনব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তেজাম মুবারক করেছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! তাই সকলের জন্য ফরয হচ্ছেন- জান-মাল সমস্ত কিছু দিয়ে হাক্বীক্বীভাবে উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মুতুহ্হার, মুত্বাহির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমীন!
যাত্রাবাড়ী উনার দাদা হুযুর কিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ কিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে কতো মুহব্বত মুবারক করতেন-সুবহানাল্লাহ


চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না🏵️❤️🌻🌻💐
🌺🌺🌺এমন শায়েখ উনার মুরিদ আমরা🌸🌸🌸
====≠============================
মুরিদের জন্য পীর সাহেব দাঁড়িয়ে যেতেন✓✓ বিশেষ নাম মুবারকে ডাকতেন✓✓আসার আগের থেকে জায়গা মুবারক করে রাখতেন✓✓ হুশিয়ার সাবধান করে দিতেন✓✓মুরিদের শরীর মুবারক থেকে নবীজি উনার সুঘ্রাণ পেতেন,✓✓(সুবহানা সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম)
ঢাকা যাত্রাবাড়ি দরবার শরীফ উনার মহাসম্মানিত আমাদের হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিও বিভিন্নভাবে সুলত্বানুন নাছীর, রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল ফাযায়েল-ফযীলত এবং তায়াল্লুক-নিসবত মুবারকের বিষয়টি উম্মাহকে জানিয়েছেন। পাশাপাশি উনার প্রতি আদব রক্ষার তারতীব তিনি উম্মাহকে শিক্ষা দিয়েছেন।
ঢাকা যাত্রাবাড়ি দরবার শরীফ উনার মহাসম্মানিত আমাদের হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উনার ছোহবত ইখতিয়ারকারী, খিদমতে আনযাম প্রদানকারী এবং উনার দরবার শরীফে যাতায়াতকারী বর্তমানে হায়াতে রয়েছেন এমন অনেকের কাছ থেকে সরাসরি শুনা
যা সকলের জানা দরকার
(১নং)✓✓✓
যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের মহাসম্মানিত আমাদের হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উনার সর্বাধিক মুহব্বতের ব্যক্তিত্ব এবং উনার মহাসম্মানিত প্রধান খলীফা, সুলত্বানুন নাছীর রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক কখনো কোনভাবেই উল্লেখ করতেননা। বরং সবসময় অত্যধিক মুহব্বতের সাথে উনাকে ‘শাহ ছাহেব’ লক্বব মুবারকে সম্মোধন করতেন এবং উল্লেখ করতেন। সুবহানাল্লাহ!
(২নং)✓✓✓
প্রায়ই দেখা যেত, যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের মহাসম্মানিত হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উনার খানকা শরীফে লোকজনকে একদিকে সরিয়ে দিয়ে ঠিক উনার বরাবর সামনে জায়গা করে বসে থাকতেন। তখন খালিকৃত জায়গায় বা উনার বরাবর সামনে কেউ বসতে চাইলে তিনি জালালী শান মুবারক প্রকাশ করতেন। সে সময় মনে হতো তিনি দাওয়াতকৃত কোন বিশেষ মেহমান উনার ইন্তিজারে রয়েছেন। পরক্ষণে দেখা যেত সুলত্বানুন নাছীর, রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। আর উনার জন্যই আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল।
(৩নং )✓✓✓
সুবহানাল্লাহ! সুলত্বানুন নাছীর, রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যখন উনার সম্মানিত শায়েখ যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের মহাসম্মানিত হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার খানকা শরীফে তাশরীফ মুবারক রাখতেন,
তখন মহাসম্মানিত হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অত্যধিক মুহব্বত প্রকাশ করে দাড়িয়ে যেতেন এবং সুলত্বানুন নাছীর, রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে মুসাফাহা করতেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে মুয়ানাকা করতেন। সুবহানাল্লাহ!
(৪ নং)✓✓✓
সুলত্বানুন নাছীর, রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি এমন বেমেছাল মুহব্বত প্রকাশের বিষয়ে
ফাসিক শ্রেণীর কতিপয় কিছু লোক হিংসা পোষণ করতো। তাদেরকে হুশিয়ার করে যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের মহাসম্মানিতহযরত দাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনেকবার ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা সাবধান হও, সতর্ক হও। আমার শাহ ছাহেব উনার শান মুবারকের খিলাফ কোন কিছু করার কল্পনাও করবেনা। উনার প্রতি বিন্দু পরিমাণ বিদ্বেষ পোষণ করবেনা। আমার শাহ ছাহেব তিনি আওলাদে রসূল। আমি দেখতে পাই, স্বয়ং নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ হাত মুবারকে ধরে আমার শাহ ছাহেব উনাকে আমার খানকা শরীফ পর্যন্ত পৌছে দেন। আমি আমার শাহ ছাহেব উনার কাছে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঘ্রাণ মুবারক পাই। সুবহানাল্লাহ!
(৫ নং)✓✓✓
যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের মহাসম্মানিত হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট অসংখ্য লোক ক্বলবী যিকির জারী করে দেয়ার জন্য আরজী করতো। তাদের মধ্যে অনেককে তিনি সুলত্বানুন নাছীর রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট পাঠিয়ে দিতেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, আমার ছোহবত ইখতিয়ার করে যে নিয়ামত দশ বছরে হাছিল হবেনা, তার চেয়েও অনেক বেশি নিয়ামত সুলত্বানুন নাছীর, রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দশ দিনের ছোহবতে হাছিল হবে। সুবহানাল্লাহ!
(৬ নং)✓✓✓
যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের মহাসম্মানিত হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনেকবার বলেছেন, আমার শাহ ছাহেব উনার সম্পর্কে তোমাদের জানা নেই। মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনাদের মনোনীত যে কারো সাথে যে কোন সাক্ষাত করা অথবা যে কোন জায়গায় যে কোন ব্যক্তিকে উনাদের সাথে সাক্ষাত করিয়ে দেয়া উনার জন্য নিতান্ত মামূলী ব্যাপার। এ ব্যাপারে উনাকে সামান্য চিন্তাও করতে হবেনা।সুবহানাল্লাহ!
(৭ নং )✓✓✓✓
যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের কিছুদিন পূর্বের ঘটনা। তৎকালীন নামধারী কতিপয় মালানা, মুফতি ও খতীব যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফে যায়। যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের মহাসম্মানিত হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট সুলত্বানুন নাছীর,রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নামে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত কতগুলো অভিযোগ পেশ। তারা সুলত্বানুন নাছীর, রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত কেটে দেয়ার বদ আকাঙ্খা ব্যক্ত করে। নাউজুবিল্লাহ
তখন যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের মহাসম্মানিত হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অত্যধিক জ্বালালী হয়ে যান। তিনি তাদেরকে সম্বধোন করে অত্যন্ত দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “সাবধান! আমার শাহ ছাহেব উনার ব্যাপারে তোমরা সর্বাধিক সাবধানতা অবলম্বন করো। স্বয়ং নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার শাহ ছাহেব উনাকে খিলাফত মুবারক প্রদান করেছেন। মনে রাখবে, প্রয়োজনে লিখে রাখো। সাধারণ অলীআল্লাহ উনাদের সাথে বেয়াদবী করলে অন্ধ, বোবা, বধির হয়ে যায় বা দুনিয়াবী যে কোন শাস্তির কারণে নাজাত পেয়ে যায়। কিন্তু আমার শাহ ছাহেব উনার প্রতি বিন্দু পরিমাণ বিদ্বেষ পোষণকারী বা উনার সাথে বেয়াদবীকারী নিঃসন্দেহে বেঈমান ও মুরতাদ হয়ে মারা যাবে। কাজেই, সময় থাকতে তওবা করো নতুবা তোমাদের কঠিন পরিণতি হবে।” তখন ষড়যন্ত্রকারীদের সেই দল কালবিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যায়।
মূলকথা হচ্ছে, যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফের সম্মানিত হযরত দাদা পীর ছাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সুলত্বানুল আরেফীন। অপরদিকে সুলত্বানুন নাছীর, রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব। কাজেই, উনাদের মুবারক শানে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ এবং সর্বাধিক আদব রক্ষা করার আপ্রাণ কোশেশ করতে হবে। অন্যথায় বেঈমান হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প থাকবেনা।
মহান আল্লাহ পাক কুল উম্মাহকে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ এবং সর্বাধিক আদব রক্ষা করার দায়েমী তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করার নিয়ত করার কারণে মৃত্যুদণ্ড থেকে মুক্তিলাভ


মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করার নিয়ত করার কারণে মৃত্যুদণ্ড থেকে মুক্তিলাভ

কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন

إنه كان في زمان الخليفة عبد الملك بن مروان شاب حسن الصورة في الشام وكان يلهو بركوب الخيل فبينما هو ذات يوم على ظهر حضانه إذ أجمل الحصان وحمله في سكك الشام ولم يكن له قدرة على منعه فوقع طريقه على باب الخليفة فصادف ولده ولم يقدر الولد على رد الحصان فصدمة بالفرس وقتله فوصل الخبر إلى الخليفة فأمر بإحضاره فلما أن أشرف إليه خطر على باله أن قال إن خلصنى الله تعالى من هذه الواقعة أعمل وليمة عظيمة واستقرى فيها مولد النبي صلى الله عليه وسلم فلما حضر قدامه ونظر إليه ضحك بعد ما كان يخلفه الغضب فقال يا لهذا أتحسن السخر قال لا والله يا أمير المؤمنين فقال عفوت عنك ولكن قل لي ماذا قلت قال قلت إن خلصنى الله تعالى من هذه الواقعة الجسيمة أعمل له وليمة لأجل مولد النبي صلى الله عليه وسلم فقال الخليفة قد عفوت عنك وهذه ألف دينار لأجل مولد النبي صلى الله عليه وسلم وأنت في حل من دم ولدي فخرج الشاب وغفى عن القصاص وأخذ ألف دينار ببركة مولد النبي صلى الله عليه وسلم

অর্থ: “কথিত উমাইয়্যা খলীফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান (ইবনে হাকাম ইবনে আবুল আছ আমর ইবনে উমাইয়্যাহ্) এর শাসনামলে শামদেশে একজন সুদর্শন যুবক ছিলেন। তিনি অশ্বারোহন খুব পছন্দ করতেন। একদিনের কথা যখন তিনি উনার একটি উন্নত জাতের ঘোড়ার পিঠে আরোহন করেন, তখন হঠাৎ ঘোড়াটি ভয় পেয়ে উনাকে নিয়ে শামদেশের রাস্তাসমূহে চলতে থাকে। কিন্তু ঘোড়াটিকে নিয়ন্ত্রণ করার উনার কোনো ক্ষমতা ছিলো না। ফলে ঘোড়াটি কথিত খলীফা আব্দুল মালিকের (রাজপ্রাসাদের) দরজায় গিয়ে উপনীত হয় । তখন কথিত খলীফা আব্দুল মালিকের এক ছেলে আকস্মিকভাবে ঘোড়ার সামনে এসে পড়ে, আর সেও ঘোড়াটিকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হলো না। তখন ঘোড়াটি কথিত


খলীফার ছেলেকে আঘাত করে হত্যা করে ফেলে। এই সংবাদ কথিত খলীফার নিকট পৌঁছলে সে যুবক ছেলেটিকে তার সামনে উপস্থিত করার জন্য আদেশ করে। অতঃপর যখন কথিত খলীফা (রাজপ্রাসাদের) উপর থেকে উনার দিকে দৃষ্টি দেয়, তখন উনার অন্তরে এই কথার উদয় হয় যে, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি আমাকে এই কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে আমি একটি বড় ওলীমা বা খাবারের মজলিসের ব্যবস্থা করে সেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মু'জিযাহ্ শরীফসমূহ, ঘটনা মুবারকসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করবো, বিশ্লেষণ করবো। অতঃপর যখন সেই যুবক কথিত খলীফার সামনে উপস্থিত হন, তখন কথিত খলীফার সেই যুবক উনাকে গলা টিপে হত্যা করার মত গোস্বা থাকা সত্ত্বেও উনাকে দেখে হেসে দিয়ে বললো- 'হে যুবক! আপনি কি নিখুঁত জাদু করেন?' জবাবে যুবক বললেন- 'হে আমীরুল মু'মিনীন! মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমি জাদু করিনা।' অতঃপর কথিত খলীফা বললো, “আমি আপনার অপরাধ ক্ষমা করে দিলাম; কিন্তু আপনি কি বলেছেন, তা আমাকে বলুন।' যুবক ছেলেটি বললেন, 'আমি বলেছিলাম- 'মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি আমাকে এই কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে আমি একটি বড় ওলীমা বা খাবারের মজলিসের ব্যবস্থা করবো।' তখন কথিত খলীফা বললো, 'আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আর এই নিন ১ হাজার দীনার (স্বর্ণমুদ্রা), মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে আপনাকে আমি এটা হাদিয়া করলাম এবং আপনি আমার ছেলের হত্যার অপরাধ থেকেও মুক্ত।' অতঃপর যুবক ছেলেটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি থেকে ক্ষমা পেয়ে এবং এক হাজার স্বর্ণ মুদ্রা গ্রহণ করে বের হয়ে গেলেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইয়ানাতুত ত্বালিবীন ৩/৪১৫)

অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করা এবং উনার সম্মানার্থে খরচ করার নিয়ত করলেই মৃত্যুদণ্ডসহ ইহকালীন-পরকালীন সমস্ত প্রকার বিপদ-আপদ, বালা-মুসীবত থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত ঘটনা মুবারক বর্ণনা করার পর ‘ইয়ানাতুত ত্বালিবীন' কিতাবের



লেখক আল্লামা সাইয়্যিদ আবূ বকর মক্কী দিমইয়াতী শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

وإنما أطلت الكلام في ذلك لأجل أن يعتني ويرغب جميع الإخوان في قراءة مولد سيد ولد عدنان صلى الله عليه وسلم لأن من لأجله خلقت الأرواح والأجسام بحق أن يهدي له الروح والمال والطعام وفقنا الله وإياكم لقراءة مولد نبيه الكريم صلى الله عليه وسلم على الدوام وإنفاق المال لأجله في سائر الأوقات والأيام. أمين

অর্থ: “প্রকৃতপক্ষে আমি এই বিষয়ে কথা দীর্ঘায়িত করেছি এই কারণে যে, যাতে সমস্ত মুসলমান উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালনে মনযোগী এবং আগ্রহী হন। কেননা তিনিই সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজুদ পাক মুবারক যে, উনার সম্মানার্থেই সমস্ত রূহ এবং জিসিম সৃষ্টি করা হয়েছে অর্থাৎ সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করা হয়েছে। উনার সম্মানার্থেই জান, মাল, খাদ্য-দ্রব্য সমস্ত কিছু হাদিয়া পেশ করা সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য অর্থাৎ ফরয। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে দায়িমীভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করার এবং উনার সম্মানার্থে, উনার জন্যই সর্বকালে এবং সবসময় সমস্ত ধন-সম্পদ ব্যয় করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!” (ই—য়ানাতুত ত্বালিবীন ৩/৪১৫)