মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবীতে উনার নির্ধারিত পরিমাণ বৃষ্টিপাত ঘটান। যখন যেখানে যেভাবে ইচ্ছা মুবারক করেন তখন সেখানে সেভাবে বৃষ্টিপাত ঘটান। ফলে কোথাও বন্যা হতে পারে কিংবা কোথাও খরা হতে পারে কিংবা কোথাও স্বাভাবিক থাকতে পারে। এমনকি মরু অঞ্চলেও বন্যা হতে পারে।
নাস্তিকদের আপত্তি ১৩ : Quran 43:11 অনুসারে আল্লাহ পৃথিবিতে পরিমিত পরিমান বৃষ্টিপাত ঘটান! তাহলে আপনি কিভাবে বন্যা হওয়ার বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করবেন? এটা কি এই নয় যে, বৃষ্টিপাত বিহিন মরু অঞ্চলে থাকার ফলে কুরান রচয়িতার প্রবল ধরনের ধ্বংসাত্মক বৃষ্টিপাত সম্বন্ধে কোন ধারনাই ছিলো না?
খণ্ডণ : নাস্তিকদের আপত্তি থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, উল্লেখিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে “পরিমিত পরিমাণ” অর্থবোধক আরবী قَدَرٍ শব্দ মুবারক ব্যবহৃত হলেও উক্ত আরবী শব্দ মুবারক ব্যাপক অর্থজ্ঞাপক। কেননা “পরিমিত পরিমাণ” বিষয়টিই ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। কোন বিষয়ের প্রকৃত “পরিমিত পরিমাণ” কতটুকু? সেটা কে নির্ধারণ করে বা করা হয়েছে? সেটা সর্বাবস্থায় আদর্শ কিনা? কিংবা অবস্থার প্রেক্ষিতে পরিবর্তনশীল কিনা? ইত্যাদি নানান ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের অবকাশ রয়েছে।
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالَّذِي نَزَّلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً بِقَدَرٍ فَاَنْشَرْنَا بِهِ بَلْدَةً مَّيْتًا ۚ كَذٰلِكَ تُـخْرَجُوْنَ.
অর্থ : “আর যিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন নির্ধারিত পরিমাণ, তারপর তদ্দারা মৃত ভূখ-কে সঞ্জীবিত করি। তোমরা এভাবে উত্থিত হবে।” (পবিত্র সূরা যুখরূফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً بِقَدَرٍ فَأَسْكَنَّاهُ فِى الْاَرْضِ ۖ وَاِنَّا عَلٰى ذَهَابٍ بِهٖ لَقَادِرُوْنَ.
অর্থ : “আর আমি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করে থাকি নির্ধারিত পরিমাণ, তারপর আমি তাকে মাটিতে সংরক্ষণ করি। আর নিঃসন্দেহে আমি তা সরিয়ে নিতেও সক্ষম।” (পবিত্র সূরা মু’মিনূন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)
অত্র আয়াত শরীফদ্বয় উনাদের মধ্যে বর্ণিত قَدَرٍ শব্দ মুবারক পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আরো ৫ খানা আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, উক্ত শব্দ মুবারক উনার অর্থ “পরিমিত পরিমাণ” গ্রহণ করে নাস্তিকরা নিজেরাই বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে। এখানে মুসলমানদের বিভ্রান্ত হওয়ার কিছুই নেই। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন আবার তিনিই বন্যা/খরা প্রদান করেন।
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَفَرَاَيْتُمُ الْمَاءَ الَّذِىْ تَشْرَبُوْنَ. اَاَنْتُمْ اَنْزَلْتُمُوْهُ مِنَ الْمُزْنِ اَمْ نَـحْنُ الْمُنْزِلُوْنَ.
অর্থ : “তোমরা যে পানি পান করো, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? তোমরাই কি তা মেঘ থেকে নামিয়ে আনো, না আমি বর্ষণ করি?” (পবিত্র সূরা ওয়াক্বিয়াহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৮-৬৯)
وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا اِلٰى قَوْمِهٖ فَلَبِثَ فِيْهِمْ اَلْفَ سَنَةٍ اِلَّا خَـمْسِيْنَ عَامًا فَاَخَذَهُمُ الطُّوْفَانُ وَهُمْ ظَالِمُوْنَ.
অর্থ : “আমি হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। তিনি তাদের মধ্যে ৯৫০ বছর অবস্থান মুবারক করেছিলেন। অতঃপর তাদেরকে মহাপ্লাবণ গ্রাস করেছিল। তারা ছিল পাপী।” (পবিত্র সূরা আনকাবূত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪)
قَدْ كَانَ لِسَبَإٍ فِىْ مَسْكَنِهِمْ اٰيَةٌ ۖ جَنَّتَانِ عَنْ يَّـمِيْنٍ وَشِـمَالٍ ۖ كُلُوْا مِن رِّزْقِ رَبِّكُمْ وَاشْكُرُوْا لَهٗ ۚ بَلْدَةٌ طَيِّبَةٌ وَرَبٌّ غَفُوْرٌ. فَاَعْرَضُوْا فَاَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ سَيْلَ الْعَرِمِ وَبَدَّلْنَاهُم بِـجَنَّتَيْهِمْ جَنَّتَيْنِ ذَوَاتَـىْ اُكُلٍ خَـمْطٍ وَاَثْلٍ وَشَيْءٍ مِّنْ سِدْرٍ قَلِيْلٍ. ذٰلِكَ جَزَيْنَاهُمْ بِـمَا كَفَرُوْا ۖ وَهَلْ نُـجَازِىْ اِلَّا الْكَفُوْرَ.
অর্থ : “সাবার অধিবাসীদের জন্যে তাদের বাসভূমিতে ছিল এক নিদর্শন-দুটি উদ্যান, একটি ডানদিকে, একটি বামদিকে। তোমরা তোমাদের মহান রব তায়ালা উনার রিযিক খাও এবং উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। স্বাস্থ্যকর শহর এবং ক্ষমাশীল মহান রব তায়ালা। অতঃপর তারা অবাধ্যতা করলো ফলে আমি তাদের উপর প্রেরণ করলাম প্রবল বন্যা। আর তাদের উদ্যানদ্বয়কে পরিবর্তন করে দিলাম এমন দুই উদ্যানে, যাতে উদগত হয় বিস্বাদ ফলমূল, ঝাউ গাছ এবং সামান্য কুলবৃক্ষ। এটা ছিল কুফরীর কারণে তাদের প্রতি আমার শাস্তি। আমি অকৃতজ্ঞ ব্যতীত কাউকে শাস্তি দেই না।” (পবিত্র সূরা সাবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫-১৭)
আবার পাপীদের শাস্তি দেয়ার বিষয়টির ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا اَصَابَكُمْ مِّنْ مُّصِيْبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ اَيْدِيْكُمْ وَيَعْفُوْ عَنْ كَثِيْرٍ.
অর্থ : “তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গুনাহ ক্ষমা করে দেন।” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
ظَهَرَ الْفَسَادُ فِى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِـمَا كَسَبَتْ اَيْدِى النَّاسِ لِيُذِيْقَهُمْ بَعْضَ الَّذِىْ عَمِلُوْا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُوْنَ
অর্থ : “যমীনে ও পানিতে মানুষের কৃতকর্মের দরুণ বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।” (পবিত্র সূরা রূম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪১)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি পাপীদেরকে শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে যেমন বিভিন্ন বিপদ-আপদের অন্যতম বন্যা প্রদান করে থাকেন। তেমনি মানুষকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যেও নানান বিপদ-আপদের সম্মুখিন করে দেন।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِّنَ الْـخَوْفِ وَالْـجُوْعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْاَمْوَالِ وَالْاَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِيْنَ
অর্থ : “আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো ভয়, ক্ষুধা, মাল-জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে ছবরকারীদের জন্য সুসংবাদ।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৫)
সুতরাং বৃষ্টি, বন্যা বা খরা ইত্যাদি সব কিছুই কখনো পরীক্ষা করার জন্য কখনোবা পাপীদের কৃতকর্মের শাস্তি স্বরূপ। তাই কখনো কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে কম বৃষ্টি হতে পারে ফলে খরা দেখা দিতে পারে আবার বেশি বৃষ্টিও হতে পারে ফলে বন্যা দেখা দিতে পারে। আর এই বিষয়গুলো একচ্ছত্রভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনিই নির্ধারণ করে থাকেন।
এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاِنْ مِّنْ شَيْءٍ اِلَّا عِنْدَنَا خَزَائِنُهٗ وَمَا نُنَزِّلُهٗ اِلَّا بِقَدَرٍ مَّعْلُوْمٍ.
অর্থ : “আর আমার নিকট প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার রয়েছে। আমি নির্ধারিত পরিমাণেই তা নাযিল করি। ” (পবিত্র সূরা হিজর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
এই নির্ধারিত পরিমাণ হচ্ছে “মহান আল্লাহ পাক উনার যতটুকু ইচ্ছা মুবারক ততটুকু”। আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَوْ بَسَطَ اللهُ الرِّزْقَ لِعِبَادِهٖ لَبَغَوْا فِى الْاَرْضِ وَلٰكِنْ يُّنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَّا يَشَاءُ ۚ اِنَّهُ بِعِبَادِهٖ خَبِيْرٌ بَصِيْرٌ.
অর্থ : “যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দাদেরকে রিযিক বাড়িয়ে দিতেন তাহলে তারা পৃথিবীতে বিদ্রোহ করতো। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয়ই তিনি উনার বান্দাদের প্রতি পূর্ণ ওয়াকিফহাল ও সবকিছু দেখেন।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭)
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, পবিত্র সূরা যুখরূফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১ কিংবা পবিত্র সূরা মু’মিনূন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮ উনাদের মধ্যে বর্ণিত-
نَزَّلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً بِقَدَرٍ/ اَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً بِقَدَرٍ
অর্থাৎ “আর যিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন নির্ধারিত পরিমাণ/ আর আমি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করে থাকি নির্ধারিত পরিমাণ” দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার যতটুকু ইচ্ছা মুবারক ততটুকু বৃষ্টি বর্ষণ করে থাকেন। তাই যখন যেখানে যেভাবে ইচ্ছা মুবারক করেন সেখানে সেভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করে থাকেন। কোথাও খরা সৃষ্টি করতে চাইলে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন কিংবা কোথাও বন্যা সৃষ্টি করেন অথবা কোথাও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ঘটান।
যদি পবিত্র আয়াত শরীফদ্বয় দ্বারা “পরিমিত পরিমাণ” বুঝানো হতো তাহলে পৃথিবীতে আলাদাভাবে বৃষ্টির মৌসুম বা বর্ষাকাল (rainy season) নামীয় কোন শব্দের বা মৌসুমের উদ্ভব ঘটতো না। ফলে প্রতিটি মৌসুমই হতো বৃষ্টির মৌসুম বা বর্ষাকাল। গ্রীষ্ককাল বা শীতকাল বলে কোন ঋতুই থাকতো না। যেহেতু প্রতিদিনই বাষ্পীভবনের মাধ্যমে যমীন/পানিপৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে পানি উড়ে যাচ্ছে, তাই যমীনে প্রতিদিনই পানির প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। তাই প্রতিদিনই বৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে না। বরং বর্ষাকালে বেশি বৃষ্টি হয়, এমনকি অনেক সময় চারপাশ পানিতে তলিয়ে যায়। আবার অনেক সময় বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেলেও বৃষ্টির নাম-নিশানাও খুঁজে পাওয়া যায়। সে তুলনায় শীতকাল একেবারেই বৃষ্টিহীন থাকে। আবার মরু অঞ্চলেও প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়, যেমনটি ১৯৪১ সালে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল।
যেহেতু পবিত্র সূরা মু’মিনূন শরীফ উনার ১৮ নং পবিত্র আয়াত শরীফ মোট বৃষ্টিপাতকে উপস্থাপন করছে তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে বহুবচন اَنْزَلْنَا ‘মোট নাযিলকৃত’ শব্দ মুবারক ব্যবহার করেছেন। সুতরাং পৃথিবীতে যতবার বৃষ্টিপাত ঘটে তত বারই কিছু পানি ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে চলে যায়। পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা যুখরূফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১ উনার মধ্যে একবচন نَزَّلَ ‘বার বার নাযিলকৃত’ শব্দ মুবারক ব্যবহার করেছেন এবং অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শেষাংশে كَذٰلِكَ تُـخْرَجُوْنَ ‘তোমরা এভাবে উত্থিত হবে’ উল্লেখ করেছেন। যাদ্বারা বৃষ্টিপাতের সাথে বাষ্পীভবনের সমানুপাতিক সর্ম্পকের ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে।
কথিত বিজ্ঞান বৃষ্টিপাতের সাথে বাষ্পীভবনের এই সম্পর্ককে স্বীকার করে নিয়েছে। যেহেতু বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় পানি অণু শক্তি শোষণ করে তরল অবস্থা থেকে বায়বীয় অবস্থায় পরিবর্তীত হয়। অন্য দিকে বায়ুম-ল থেকে যমীনে পানি পতিত হওয়া হলো বৃষ্টিপাত। ফলে পৃথিবীর মোট বৃষ্টিপাত ও মোট বাষ্পীভবন সমান। কেননা সময়ের সাথে সাথে, গড় আদ্রতা স্থির থাকে। তাই পানিচক্র (বাষ্পীভবন হওয়া ও পরে বৃষ্টিপাত ঘটা) সবসময় চলমান ও ভারসাম্যপূর্ণ। ফলশ্রুতিতে বৃষ্টিপাতের সময় ও বাষ্পীভবনের সময় কোন অতিরিক্ত পানির আবির্ভাব ঘটে না বা পানির ঘাটতিও হয় না। ফলে পৃথিবীর মোট বৃষ্টিপাত ও মোট বাষ্পীভবন সমান থাকে।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র সূরা যুখরূফ শরীফ উনার ১১ নং পবিত্র আয়াত শরীফ (Quran 43:11) অনুসারে মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবীতে উনার নির্ধারিত পরিমাণ বৃষ্টিপাত ঘটান। যখন যেখানে যেভাবে ইচ্ছা মুবারক করেন তখন সেখানে সেভাবে বৃষ্টিপাত ঘটান। ফলে কোথাও বন্যা হতে পারে কিংবা কোথাও খরা হতে পারে কিংবা কোথাও স্বাভাবিক থাকতে পারে। এমনকি মরু অঞ্চলেও বন্যা হতে পারে। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, পৃথিবীতে যে পরিমাণ পানি বাষ্পীভূত হয়, সে পরিমাণ পানি বৃষ্টি আকারে নিচে নেমে আসে।