ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে
আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্বরণে- একজন কুতুবুয্
যামান-উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-
খাজিনাতুর রহমত, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয়
অনুমতিতে দেশে ফেরা
সাইয়্যিদুল খলায়িক্ব,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমুদয় সৃষ্টির
উপলক্ষ এবং তিনি আল্লাহ পাককে হাছিলের মূল প্রবেশদ্বার। খালিক্ব ও মাখলুক্বের
মধ্যে পার্থক্যের এবং খালিক্ব আল্লাহ পাককে হাছিলের বোধগম্য পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা ও
পন্থা তিনিই দান করেছেন।
পরিপূর্ণ
মা’ছূম হওয়া সত্ত্বেও কান্না বিজড়িত কণ্ঠে তিনি যখন সবিনয় প্রার্থনা জানানঃ আয়
আল্লাহ পাক! আমি আপনার নিকট ইস্তেগফার করছি। অনুগ্রহ করে ইস্তেগফার কবুল করুন এবং
আমাকে ঐসব ব্যক্তির কাতারভুক্ত করুন, উনাদের উপর আপনি অনাদি-অনন্তকালের
জন্য প্রসন্ন হয়ে গেছেন,
তখন আসমানের ফেরেশতাকুল বিস্ময়াভিভূত হয়ে বিনীতভাবে জানতে
চানঃ আয় আল্লাহ পাক! আপনার প্রিয়তম হাবীব, আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো মা’ছূম। তিনি একি করছেন! জবাবে
আল্লাহ্ পাক বলেনঃ তোমরা আনুগত্য ও বিনয় প্রকাশের আদব শিক্ষা লাভ কর।
মাখলুক্ব বিরাগী অনন্য মানসে অনুপম আনুগত্য ও উনার সকাতর
প্রার্থনায় অনুক্ষণ নিমগ্ন থাকার এই অপরিসীম বিপ্লব আল্লাহ্পাক উনার মাশুক, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই
দান করেছেন। ওয়ারিশ সূত্রে আশিক ওলীআল্লাহগণ এই বিপ্লবের মিছদাক হয়েছেন। যেমন
হয়েছেন উনার প্রিয়তম আওলাদ, হযরতুল
আল্লামা, সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান, আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী, ওয়াল
কুরাঈশী আলাইহিস সালাম। নিয়ামত নয়, হাছিলকৃত ছাহিবে নিয়ামত-উনার আরো
পরম নৈকট্য সুধায় অবগাহন প্রত্যাশায় তিনি নিশিদিন প্রার্থনায় নিমগ্ন রয়েছেন পবিত্র
রওযা মুবারক সন্নিধানে।
হজ্জ সমাপন এবং রওযা মুবারক যিয়ারতের উদ্দেশ্যে
উনারা সঙ্গে গিয়েছিলেন এবং অন্য উনারা পরিচিত ছিলেন, উনারা সবাই আপন গন্তব্যে দেশে
ফিরে গেছেন। ওলীয়ে মাদারজাদ, ফখরুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, আশিকে
নবী, আওলাদে রসূল,
হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস
সালাম-উনারও কাজ শেষে সাধারণ নিয়মে অন্য সবার মতো অনেক আগেই দেশে ফেরার কথা।
কিন্তু পবিত্র মদীনা শরীফের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য আকর্ষণ, বিশেষতঃ
সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, মাশুকে
মাওলা, খাজিনাতুর রহমত,
রহমাতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার আরো নিগূঢ় সান্নিধ্যলাভ এবং পরবর্তী
কর্মপন্থা সম্পর্কে উনার সদয় নির্দেশনা লাভের পরম প্রত্যাশায় তিনি পবিত্র রওযা
মুবারক-উনার সন্নিকটে উপস্থিত রয়েছেন।
জীবনের আয়াসসাধ্য আয়োজনগুলো একটুও বিফলে যায়নি। নিয়ামতের
মুবারক উৎস ভা-ার,
ছাহিবে নিয়ামত, রসূলু রব্বিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাছিল ও উনার পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি লাভ এবং উনার
দায়িমী নিয়ন্ত্রণে জীবন যাপন ও আমরণ যাবতীয় কর্ম পরিচালনার পরম সৌভাগ্য লাভে তিনি
আশৈশব অন্তরে লালিত প্রত্যাশা পূরণের শীর্ষ সোপানে উপনীত হয়েছেন। জীবনের সকল দুঃখ
আনন্দে এবং সকল প্রশান্তি বেদনার গভীরে একাকার হয়ে গেছে। অর্থাৎ জীবনের শ্রেষ্ঠতম
নিয়ামত অর্জনে জগৎ-সংসার ও আখিরাতের ভেদ রেখা মুছে গেছে। এখন কেবল অন্তর্গূঢ় ইশক ও
মুহব্বতে আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-উনার প্রতি অনুক্ষণ বিভোর থাকা।
পূর্বের আলোচনায় জানা গেছে যে, কুতুবুয্ যামান, আওলাদে
রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার একজন
মুজাদ্দিদে আ’যম কিশোর পুত্রের পরিচর্যা করা এবং তা’লীম ও তরবিয়ত দান তাঁকে সমৃদ্ধ
করে তোলার লক্ষ্যে মদীনা শরীফে অবস্থান না করে দেশে ফিরে আসাই উনার জন্য এখন অতি
জরুরী। নিবিড় ছোহবত লাভ এবং সদয় নির্দেশনা সম্বলিত একান্ত আলাপনে তিনি ইতোমধ্যেই
জেনে গেছেন যে, রহমতে ইলাহী,
ছাহিবু লাওলাক, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় ইচ্ছাও তাই। এখন শুধু মুবারক
নির্দেশনার অপেক্ষা। (অসমাপ্ত)
আবা-১২৮