ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-
একজন
কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
আল্লাহ্ পাক-উনার প্রতি একান্তভাবে সমর্পিত এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার
পথে পরিপূর্ণরূপে অধিষ্ঠিত ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলার্দু রসূল, হযরতুল
আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান
আলাইহিস সালাম কামিয়াবীর পরিণত স্তরে উপরোক্ত হাদীস শরীফের মিছদাক হয়েছেন। উনার
আমল, আচরণ, বাক্যালাপ, কর্মপ্রবাহ ও জীবন-যাপন প্রণালী স্বাভাবিকতার আবরণে এতো সূক্ষ্ম যে, আশপাশের
মানুষ, পরিচিত মহল এবং জাগতিক বন্ধনে আপনজনদের পক্ষেও তাঁকে চিনে ফেলা এবং উনার অতি
মর্যাদাবান অবস্থা উপলদ্ধি করা সহজ ও সম্ভব নয়। উনার যতো আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ, অনুরাগ-বিরাগ, যন্ত্রনা-সান্তনা, প্রশান্তি
ও অন্তর্দহন কেবলই উনার নিজের। ভাব বিনিময়ের স্বজন নেই। প্রাণের আঁকা মুর্শিদ
ক্বিবলা বিদায় নিয়েছেন। সঙ্গলাভের জন্য মন চায় আবার একজন অন্তরঙ্গ মানুষ খুঁজে
পেতে। অন্তরের সবটুকু মমতা ও শ্রদ্ধায় এমন একজনকে মুহব্বত করতে, যাঁর
সান্নিধ্যে আনন্দ-বেদনার বিমিশ্র ধারায় নৈকট্যের দরজা অনুক্ষণ অবারিত থাকে। কিন্তু
তিনি কোথায়?
সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
كل شيئ يرجع الى اصله.
অর্থঃ- “ প্রত্যেক
বস্তুই তার মূলের দিকে ফিরে যায় (মূলের সঙ্গে সম্মিলিত হয়)।” এ হাদীস
শরীফের অনিবার্যতায় ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুজ্জামান, আওলাদুর
রসূল, হযরতুল আল্লামা,
শাহ্ ছূফী, আলহাজ্ব, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম যে উনার মনোবেদনা নিবারণে একজন
অন্তরঙ্গ সঙ্গী খুঁজে পাবেন, এটাইতো স্বাভাবিক ও সংগত। মাহবুব ওলীগণের পারস্পরিক যোগাযোগ, ভাব
বিনিময় ও নিয়ামতের লেনদেন আল্লাহ্ পাক-উনারই বিধান। জীবদ্দশায় অনুক্ষণ অন্তরঙ্গ
যোগাযোগ যেমন জরুরী,
ইন্তিকালের পরে ও ওলীগণের অবিরাম রূহানী মিলন ও সাক্ষাৎ
একটি স্বাভাবিক নিয়ম। জীবনে ও মরণে উনাদের পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাৎ ও সম্মিলন মহান
আল্লাহ্ পাক-উনার সদয় ইচ্ছায় সংঘটিত হয়ে থাকে।
পূর্বেই বলা হয়েছে, আমীরে
শরীয়ত, মাহতাবে ত্বরীকত,
হাজীউল হারামাইন, হাদীউস্ সাক্বালাইন, মাহিউল
বিদয়াত, মুহ্ইস্ সুন্নাতিন্ নুবুবিয়্যা, ইমামুল হুদা, ক্বাইউমুয্যামান, কুতুবুল
আলম, খলিফাতুল্লাহ,
নায়িবে মুজাদ্দিদ, আলহাজ্ব, হযরত
মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার
নিকট বাইয়াত হবার পর হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম বাইয়াত হন ওলীয়ে মাদারজাদ, সুলতানুল
আরিফীন, হযরত মাওলানা,
শাহ্ ছূফী, আবূ নজম মুহম্মদ নাজমুস্ সায়াদাত ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী
রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার নিকট। তিনি হিজরী ১৪০০ শতকের মুজাদ্দিদ, কুতুবে
রব্বানী, মাহবুবে সুবহানী,
দস্তগীর, শাইখুল মুহাক্বিকীন, ইমামুল মুসলিমীন, মাশায়িখুল
মিল্লাত ওয়াদ্দ্বীন,
ইমামুল হুদা, হাদীয়ে যামান, যুবদাতুল
আরিফীন, ইমামুত্ ত্বরীকত,
আফতাবে শরীয়ত, কুতুবুল আকতাব, আলহাজ্ব, হযরতুল
আল্লামা আবূ বকর ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সুযোগ্য সন্তান এবং
নায়িবে মুজাদ্দিদ হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী
রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার অনুজ। ঢাকাস্থ গেন্ডারিয়ায় ছিল উনার খানকা শরীফ। ওলীয়ে
মাদারজাদ, কুতুবুজ্জামান,
হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম নিয়মিতভাবে ঐ খানকা শরীফে
প্রাণের আঁকা মুর্শিদ ক্বিবলার মুবারক সান্নিধ্যে হাজির থাকতেন। (অসমাপ্ত)
আবা-১১২