পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
একজন মানুষ তার দুনিয়াবী বিভিন্ন কাজ যেমন: বিয়ে শাদী, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি হিসেব করে পবিত্র সুন্নতী তারিখ, পবিত্র সুন্নতী দিন, পবিত্র সুন্নতী সময়ে সমাধা করতে পারে। বিষয়টি অনেকাংশে মানুষের ইখতিয়ারাধীন। কিন্তু পবিত্র রগায়িব শরীফ, পবিত্র বিলাদত শরীফ এবং পবিত্র বিছাল শরীফ উনাদের তারিখ, দিন ও সময় ইচ্ছে করলেও সম্মানিত সুন্নতী তারতীবে করা আদৌ সম্ভব নয়। মুবারক এ বিষয়গুলো মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত এবং ক্বসিমুন নিয়াম, সাইয়্যিদুল আনাম, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া-দান, ইহসান ও মু’জিযা শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
যিনি মক্ববুল, যিনি আখাছছুল খাছ, যিনি মুরাদ শ্রেণির ওলীআল্লাহ, যিনি বিলায়েতে কুবরার ধারক ও বাহক এবং যিনি পরিপূর্ণরূপে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দায়িমী নিসবতে মশগুল এবং যিনি উনাদের পক্ষে যাবতীয় কাজ সম্পাদনকারী উনার মুবারক ক্ষেত্রেই এই সম্মানিত সুন্নতসমূহ পালিত হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
একই মুবারক কারণে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখে পবিত্র লাইলাতুল মি’রাজ শরীফ রজনীতে কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ নি’মাতুল উজমা, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাবীবুুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে পবিত্রতম রেহেম শরীফে মূল নিয়ামত হিসেবে ধারণ করেছেন। অভিন্ন কারণে পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফে উনাকে কুল কায়িনাতবাসীর হিদায়েত ও নছীহতের জন্য হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত আলোচনায় যে মুবারক বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে পরিস্ফুটিত হয় তা হলো, সূক্ষ্মদর্শী মাহবুব ওলীআল্লাহ উনাদেরকে অবিচ্ছিন্ন নিগূঢ় নৈকট্যসুধায় ধন্য করার জন্য মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি উনাদেরকে আমল ও কোশেশ বহির্ভূত সাধ্যাতীত সম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ কুদরতীভাবে পালনের অনুকুল ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়ে থাকেন। ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উল্লিখিত নিয়ামত উনার ধারক ও বাহক এবং পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!চলবে
আবা-২৭৪