পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত
দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম
উনার
সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য
এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত
দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের
একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
অধিক বয়স মুবারকেও
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সর্বক্ষণ পাক-পবিত্র
থাকতেন। এক ওয়াক্তের নামায আদায়ের পর তিনি পরবর্তী ওয়াক্তের নামাযের জন্য অধিক আগ্রহে
ইন্তিজার করতেন। তিনি খাদিমাদের কাছে জানতে চাইতেন: “নামাযের সময় কী হয়েছে? আযান কী দেয়া হয়েছে? তিন সারাক্ষণ যিকির
ফিকিরে এবং পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠে মশগুল থাকতেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
عَنْ حَضْرَتْ
أَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهِ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عِنْدَ الْمَكَارِه مِنَ
الْكَفَّارَاتِ وَكَثْرَةُ الْـخُطَا اِلَـى الْمَسَاجِدِ مِنَ الْكَفَّارَاتِ
وَاِنْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ مِنَ الْكَفَّارَاتِ.
অর্থ: হযরত আবূ
হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: “কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও অযুর
সাথে থাকা বা অযু করা, মসজিদের প্রতি ঝুঁকে থাকা, এক নামাযের পরে
আরেক নামাযের অপেক্ষায় থাকা গুনাহ মাফ বা মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ।” (মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ)।
সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ
মিছদাক্ব ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি প্রতি ইয়াওমুল
জুমুয়াহ, অর্থাৎ জুমুয়াবার শরীফ নখ মুবারক কাটতেন।
গোসল মুবারক করতেন। পবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ, অর্থাৎ সোমবারেও তিনি গোসল মুবারক করতেন।
তিনি প্রতিক্ষণ কুল কায়িনাবাসীর জন্য দুআ’ মুবারক করতেন। ২৪ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৩২ হিজরী ইয়াওমুল
জুমুয়াবার তিনি যথারীতি নখ মুবারক কেটেছেন। পবিত্র যুহর, আসর ও মাগরিব নামায
আদায় করেছেন। সবার জন্য দুআ’ করেছেন। আবার কিছুক্ষণ ঘুমিয়েছেন। ঘুম থেকে জেগে তিনি
অযু করে পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ অবস্থায় পূর্ণ প্রস্তুতিসহ মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ
ওয়া তায়ালা উনার পবিত্রতম দীদারে গমন করেন। সুবহানাল্লাহ!
প্রাণের আক্বা
ক্বিবলা কা’বা, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, আন নি’মাতুল উজমা
আলাল আলাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক মাহফিল
শেষে, পবিত্র ছোহবতদান শেষে, আরশ কাঁপানো মক্ববুল দুআ মুনাযাত শেষে
যখন ভেতরে যেতেন, তখনই ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে
উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা
কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি বলতেন: “আমার মুজাদ্দিদে আ’যম বাবা এসেছেন। তোমরা উনাকে ঠাণ্ডা
পানি দাও, শরবত দাও, উনি ক্লান্ত।”
সুবহানাল্লাহ!
তিনি আরো বলতেন:
“হে মুজাদ্দিদে আ’যম বাবা আপনি এসেছেন? আমাকে আপনার মুবারক ফুঁক দিন।” সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে
হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সর্বক্ষেত্রেই সর্বক্ষণ নামায, কালাম, যিকির, ফিকির, তাসবীহ-তাহলিল, অর্থাৎ ইবাদত-বন্দেগীর
সকল স্তরে সম্মানিত শরীয়ত এবং সম্মানিত সুন্নত পরিপূর্ণরূপে পালন করতেন। চলবে
আবা-২৭১
0 Comments:
Post a Comment