পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে
কিঞ্চিৎ আলোকপাত-
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী
হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের
একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী
হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি ওলীয়ে মাদারযাদ, তিনি
আখাছছুল খাছ আওলাদে রসূল এবং তিনি মহা-সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহাস সালাম
হওয়ার কারণে পরকালেও পুলসিরাত অতিক্রম করাসহ সর্বক্ষেত্রে তিনি অনুরূপ সীমাহীন
মর্যাদা ও মাক্বামের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে
রসূল, মুজাদ্দিদে যামান,
কুতুবে রব্বানী, মাহবূবে সুবহানী, গাউছুল
আ’যম, মুহীউদ্দীন, গাউসে সামদানী হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে পবিত্র রেহেম শরীফে
ধারণকালে উনার সম্মানিত আম্মাজান রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি নিয়মিতভাবে পবিত্র
কালামুল্লাহ শরীফ তিলাওয়াত করতেন। এ কারণে সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ১৮ পারা পবিত্র কুরআন শরীফ হিফয অবস্থায় পবিত্র বিলাদতী
শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
তা হলে মুজাদ্দিদে
মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, হুজ্জাতুল ইসলাম, আওলাদে
রসূল, হাবীবুল্লাহ,
ইমামুল উমাম, জামিউন নিসবত, জামিউন
নি’মাত, জামিউল আলক্বাব,
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস
সালাম উনার যিনি মহা সম্মানিতা আম্মাজান, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে
রসূল, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম
উনার সম্মানিত শরীয়ত পালন,
সম্মানিত সুন্নত পালন এবং সম্মানিত পর্দাপালনের দায়িমী
অভ্যস্ততা কতো গভীর ও সীমাহীন ছিলো, তা বর্ণনার ভাষা সৃষ্টি হয়নি।
সুবহানাল্লাহ!
প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা
কা’বা, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যে সব কারণে
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম,
আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, ইমামুল উমাম, সুলত্বানুন
নাছীর, হাবীবুল্লাহ,
জামিউল আলক্বাব, হুজ্জাতুল ইসলাম, সুলত্বানুল
আরিফীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল
আউওয়াল হয়েছেন, সেসব কারণের মধ্যে উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার
মহা-সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনাদের শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম
মূল। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ
ওয়া তায়ালা উনার পবিত্রতম অভিপ্রায় অনুযায়ী উনার মনোনীত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল
উমাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে
আনুষ্ঠানিকভাবে যমীনে প্রেরণের মুবারক আয়োজন শুরু হয়েছে সৃষ্টির আদিকালে।
বিশেষভাবে এই পবিত্র আয়োজন সার্বিকভাবে শুরু হয়েছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন,
মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক সময় থেকে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে
রসূল, হাবীবুল্লাহ,
ইমামুল উমাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মহা-সম্মানিত আব্বাজান, উনার এবং
উনার মহা-সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার, অর্থাৎ উনাদের পবিত্রতম নিসবাতুল
আযীম মুবারক উনার মাধ্যমে উনার যমীনে পবিত্রতম তাশরীফ মুবারক গ্রহণের সূত্রপাত
ঘটে। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৬৯
0 Comments:
Post a Comment