আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আন নরুর রবি ‘আহ্  সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার একখানা বিশেষ খুছূছিয়াত মুবারক-পর্ব-১৭

আন নরুর রবি ‘আহ্  সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার একখানা বিশেষ খুছূছিয়াত মুবারক-পর্ব-১৭

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ উনার খুৎবা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যেটা আমি আগেও বলেছি। যিনি খালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রুবূবিয়াত মুবারক প্রকাশ করেছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে। তিনি প্রকাশ করেছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে। আর উনারা প্রকাশ করেছেন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে। এটা ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে একটা বিষয় রয়েছে। সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার যে খুছূছিয়াত মুবারক- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনি আসলে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মালাহাহ্ মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কপাল মুবারক-এ) বুছা মুবারক দিয়ে উনাকে বসাতেন। আবার তিনি গেলে সায়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘আহ্সা ইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিও অনুরূপ করতেন। আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে বিষয়টা জানতে চেয়েছিলাম যে, এটার হাক্বীক্বতটা কী? অন্যান্য যাঁরা ছিলেন উনাদের সাথে এরূপ করা হয়নি? তিনি তখন আমাকে জানালেন বিষয়টা- আসলে ৯ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন। এরপরে কেউ ছিলেন না। আর একটা মূল কারণ হলো- 

যেহেতু সায়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সিলসিলা মুবারক ক্বিয়ামত পযর্ন্ত জারী থাকবেন, এই জারী রাখার জন্য যে অতিরিক্ত ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ যা প্রয়োজন ছিলো, এর মাধ্যম দিয়ে আমি সেটা দিয়েছি।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কাউকে কম নেয়ামত দেওয়া হয়নি, সবাইকে সমান দেওয়া হয়েছে। তবে এখানে উনাকে অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে। যেহেতু উনার সিলসিলা মুবারক ক্বিয়ামত পযর্ন্ত জারী থাকতে হবে, সেজন্য রূহানী কুওওয়াত প্রয়োজন। সেই রূহানী কুওওয়াতটাই বার বার উনাকে দেওয়া হয়েছে। আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যম দিয়ে

لَوْلَكَ لَمَا اَظْهَرْتُ الرُّبوُْبِيَّةَ

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীকত্বটা যাহির করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এবং

كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْخَلْقَ لُِعْرَفَ

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ উনার হাক্বীক্বত মুবারকও একইভাবে তিনি যাহির করেছেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত) ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি আজকে তো বলেছি- ‘সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আন নূরুর রবি‘আহ্ সায়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি যে ব্যবহার মুবারক করেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আমি জানতে চাইলাম যে, এটার হাক্বীক্বত মুবারক কী?’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, ‘নেয়ামত সবাইকে সমানই দেওয়া হয়েছে। তবে উনার দ্বারা যেহেতু সিলসিলা মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবেন, সেজন্য এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক দেওয়া হয়েছে। যাতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা ক্বিয়ামত পর্যন্ত ইস্তেক্বামত থাকতে পারেন। এর মাধ্যম দিয়ে অতিরিক্ত ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হয়েছে।’ এর হাক্বীক্বতটা তো মানুষ জানে না। আন নূরুর রবি‘আহ্ সায়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এরকম ব্যবহার মুবারক করলেন কেন? অন্যদের সাথে দেখা যায় না। তার কী কারণ? কারণটাই সেটা- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি জানালেন যে, ‘আসল কারণ হচ্ছে- উনার মাধ্যমে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সিলসিলা মুবারক জারী থাকবেন। যাঁরা আসবেন উনারা যাতে দৃঢ়চিত্ত-ইস্তেক্বামত থাকতে পারেন, সেজন্য এইভাবে ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক দেওয়া হয়েছে। বার বার সেটা দেওয়া হয়েছে’।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড)  উনারা বললেন যে , ‘আমরা আরো কাছে আসবো ।’...আসতে আসতে উনারা একদম আমার কাছে এসে পড়লেন ।মনে হলো যে , উনারা আমার সাথে মিশে যাবেন ।”-পর্ব-১৬

 উনারা বললেন যে , ‘আমরা আরো কাছে আসবো ।’...আসতে আসতে উনারা একদম আমার কাছে এসে পড়লেন ।মনে হলো যে , উনারা আমার সাথে মিশে যাবেন ।”-পর্ব-১৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৯শে মুহররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল আহাদ শরীফ (রোববার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাধারণত আমি মুনাজাত করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের দিকেই রুজু হয়ে এবং উনাদেরকে দেখে দেখেই মুনাজাত করি। দেখি একটু দূরে। আজকে মুনাজাত করার সময় আমার মনে হচ্ছিল আমি নিসবত মুবারক থেকে কি অনেক দূরে! তখন আমি দেখতেছি যে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার কাছে এসে পড়েছেন। আমি মুনাজাতেই বলতেছি, ‘মহান আল্লাহ পাক! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও আমার কাছে তাহলে কোথায়?’ দেখলাম, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও আমার কাছে। তারপরে মহান আল্লাহ পাক তিনি একটু উপরে। কাছাকাছি। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন যে, ‘আমি আপনার আরো নিকটে আসবো এবং আপনাকে আরো বেশী নৈকট্য মুবারক হাদিয়া করবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা বলে মহান আল্লাহ পাক উনি একদম আমার কাছে এসে পড়লেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও একদম কাছে। হয়ত উনারা আমার সাথে মিশে যাবেন এরকম। এর মধ্যেই মুনাজাত শেষ করলাম।

এই যে বিষয়টা- উনারা আমাকে উনাদের বিশেষ ছোহবত মুবারক দিলেন। এখন এটা ভাষা দিয়ে কিভাবে বুঝানো যাবে? সাধারণত উনাদেরকে দেখি মোটামুটি একটু দূরে। কিন্তু আজকে যখন আমি চিন্তা করলাম, আমি কি নিসবত মুবারক থেকে দূরে? তখন দেখলাম যে, আসতে আসতে উনারা একদম আমার কাছে এসে পড়লেন। মনে হলো যে, উনারা আমার সাথে মিশে যাবেন। মহান আল্লাহ পাক উনাকেই দেখলাম প্রমে। তখন আমি বললাম, ‘তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতেছি না।’ উনিও আছেন, দেখতেছি উনি আমার সামনে আসলেন। মহান আল্লাহ পাক উনি একটু উপরে সাথে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে একটু উপরে। উনাদের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদেরকেও দেখেছি। উনারাও আছেন। উনারা বললেন যে, ‘আমরা আরো কাছে আসবো।’ উনারা আরো কাছে আসতেছেন, আসতে আসতে আমার সাথে মিশে যাবেন। মিশতে আমি দেখিনি। আমার একদম নিকটে এসে পড়েছেন। তাহলে এটা ভাষা দিয়ে কিভাবে প্রকাশ করা যাবে? ভাষা দিয়ে তো প্রকাশ করা যাবে না। এরকম অনেক অবস্থা আছে। সব অবস্থা তো আর বলা যায় না, প্রকাশ করা যায় না। এখন উনারা যদি দয়া করে ছোহবত মুবারক দান করেন, নিয়ামত মুবারক দান করেন, তাহলে পাওয়া যাবে; অন্যথায় পাওয়া যাবে না। উনাদের প্রতি যতো বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ পোষণ করা যায় এবং উনাদেরকে যতো মুহব্বত করা যায়, ততো ফায়দা পাওয়া যাবে। উনারা নিজ থেকে উনাদের ছোহবত মুবারক দান করেন। নিজ থেকে নৈকট্য মুবারক দান করেন। উনারা বললেন যে, ‘আমরা আরো নিকটে আসবো।’ ঠিক আছে। উনারা যদি আসেন, আমার তো আর কিছু করার নেই। আমার তো আরো ফায়দা বেশি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন এগুলো ভাষা দিয়ে কিভাবে বুঝানো যাবে?”


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড)  যাঁরা খালিছ ভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন , উনাদের কোন হিসাব নিকাশ হবে না । উনারা বিনা হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন- পর্ব-১৫

যাঁরা খালিছ ভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন , উনাদের কোন হিসাব নিকাশ হবে না । উনারা বিনা হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন- পর্ব-১৫

ছাহিবু সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৭ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) ইরশাদ মুবারক করেন- “মালিক তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। তাহলে মালিক উনার আলোচনা করতে বাধা দিবে কে? কারো ক্ষমতা আছে? ক্ষমতা আছে কারো কোনো? কারো কোনো ক্ষমতা নেই। কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে, পুলসিরাতে এবং জানড়বাতে যেয়েও অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কেউ যদি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে, তাহলে তাকে তা’যীম করে বেহেস্তে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হবে। কিসের হিসাব-নিকাশ? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যারা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করবে, এদের হিসাব-নিকাশ হবে কেন? হিসাব-নিকাশ হবে তো যারা ফাসিক-ফুজ্জার তাদের। যারা খালিছভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করতে পারবে, এদের হিসাব-নিকাশ হবে কেন? এদের বিনা হিসাবে বেহেস্তে যেতে হবে। এরা হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বেহেস্তে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন খালিছভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করতে হবে। এজন্য যিকিরফিকির করুক। তখন ফায়দা পাবে। নাহলে ফায়দা পাবে কোথা থেকে? ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’ উনার মালিক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। মালিক উনার কাজ বাধা দিতে পারে কে? কেউ বাধা দিতে পারবে না। তাহলে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করলে কোনো সমস্যা থাকার কথা না। এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ববূল করার মালিক। কোশেশ করতে হবে। কোশেশ না করলে কিভাবে হবে? আমি বলেছিলাম, আমি একদিন দেখলাম নূরে মুজাসাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। অনেক লম্বা ঘটনা মুবারক। আমি সংক্ষিপ্তভাবে বলবো- “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমি। উনি আসলেন। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দাঁড়িয়ে থাকবেন, এটা কেমন দেখা যায়? একটি আসন মুবারক দরকার।’ একটি কুদরতী আসন মুবারক এসে পড়লো। আমি বললাম, ‘আপনি এখানে দয়া করে তাশরীফ মুবারক রাখেন।’ উনি বসলেন। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অনেক লোক তো আসতেছে দেখা করার জন্য। তারা আপনার সাথে দেখা করবে।’ উনি বললেন, ‘ঠিক আছে আসুক।’ উনি খুব খুশি। আসলো। আমাদের অনেক লোক। চিনি অনেককে। হাজার হাজার লোক লাইন ধরে আসতেছে। আসার পর আমি বললাম, ‘কদমবুছি করো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তল দিয়ে।’ সবাই ক্বদমবুছি করতেছে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তল দিয়ে। কদমবুছি মুবারক করার পর তারা কোথায় যাবে? আমি বললাম, ‘এই যে ডান দিক দিয়ে যাও। এই যে উঁচু জায়গাটা দেখো, ডান দিক দিয়ে গেলেই সামনে বেহেস্ত। কোনো হিসাব-নিকাশ কিছুই নেই। এমনেই বেহেস্তে প্রবেশ করো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, ‘হ্যাঁ; ঠিক আছে।’ সবাই লাইন ধরে গিয়ে বেহেস্তে প্রবেশ করলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এই যে বিষয়টা। মালিক যিনি উনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে এখানে চূ-চেরা করবে কে? কার ক্ষমতা আছে? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ক্ষমতা তো কারো নেই। আমি বললাম, ‘লাইন ধরে সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করো।’ সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করলো। এরকম ভাগে ভাগে কয়েকবার দেখলাম। এখন যিকির-ফিকির তো করতে হবে এবং জারীও করতে হবে। সাথে সাথে পাছ আনফাছও জারী করতে হবে। তাহলে ফয়ছালা হয়ে যাবে। এজন্য বললাম, যারা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করবে, এদের কোনো হিসাব-নিকাশ হবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) খালিছ নিয়তে করুক, বিনা হিসাবে জানড়বাতে যাবে। ইনশাআল্লাহ।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)



আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্ব ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া -পর্ব-১৪

সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্ব ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া -পর্ব-১৪

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ ইরশাদ মুবারক করেন- “যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِىْ لِِّٰ رَبِّ العٰالَمِيْنَ

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দিচ্ছেন তিনি যেন দয়া করে সবাইকে বলে দেন যে, তাদের মূল লক্ষ্যটা কী? সেটা তিনি বলে দিচ্ছেন যে, আপনি বলে দিন তাদেরকে-

قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِىْ لِِّٰ رَبِّ العٰالَمِيْنَ

‘নিশ্চয়ই আমার ছলাত অর্থাৎ আমাদের ছলাত’ وَنُسُكِىْ এই শব্দ মুবারক উনার দ্বারা হজ্জ, কুরবানী, ইবাদত-বন্দেগী সমস্ত কিছুই বুঝানো হয়। আমার হায়াত, আমার মউত, সমস্ত কিছু একমাত্র যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখানে আরেকটা বিষয় রয়েছে, সেটা হচ্ছে- প্রথমে বলা হচ্ছে قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ اِ ছলাত অর্থ নামাজ আবার نُسُكِىْ । এই نُسُكِىْ শব্দ মুবারকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে نُسُك তিন অর্থে ব্যাবহার করা হয়েছে। একটা হচ্ছে- সাধারণভাবে হজ্জ্ব, আরেকটা কুরবানী, আরেকটা সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী বুঝানো হয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে এখানে প্রমে صَلَة শব্দটা আসলো কেন? যে, আমার ছলাত, আমার সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী, হায়াত-মউত, সব যিনি খালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা আমি একটু ফিকির করতেছিলাম- তাহলে ছলাত শব্দ মুবারকখানা কেন প্রমে আসলো? আমাকে তখন জানানো হল যে, আসলে ছলাত বলতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করা হয়, সেই ছলাত-ই বলা হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সর্বক্ষেত্রে যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই তারজীহ্ দিয়েছেন অর্থাৎ প্রাধান্য দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কাজেই উম্মতের সমস্ত কিছুই করতে হবে একমাত্র যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। তবে অবশ্যই সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া। যেহেতু স্বয়ং যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই তিনি সমস্ত হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামসহ ছলাত মুবারক পেশ করে যাচ্ছেন। যেটা মশহূর সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-এ বলা হচ্ছে-

إن الله وملائكته يصلون على النبي

‘নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করে যাচ্ছেন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

সম্মানিত ও কাজেই সকলে যেন এটা বলে যে, সকলেই তাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক, সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী, তাদের হায়াতমউত,সব কিছু একমাত্র যিনি খfলিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। তবে অবশ্যই সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অর্থাৎ নিজের জন্য কোনো আমল করা যাবে না, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যেই সব করতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড)  ‘আমি কি আলোচনা করি ,উনারা শুনেন । আমি বসার পরপর-ই দেখি উনারা উপস্থিত’-পর্ব-১৩

 ‘আমি কি আলোচনা করি ,উনারা শুনেন । আমি বসার পরপর-ই দেখি উনারা উপস্থিত’-পর্ব-১৩

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন“গালিজ যুক্ত অন্তর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কিভাবে নিসবত স্থাপন করবে? কোনো দিন সম্ভব না। কারণ অন্তর তো কিছু ইছলাহ্ হতে হবে। অন্তরটা কিছু ইছলাহ্প্রাপ্ত হলে, তখন উনার সাথে একটা নিসবত স্থাপন করা যায়। এখন ইছলাহ্ নেই, অন্তরের মধ্যে গালিজে ভরা, তাহলে উনারা তো পছন্দ করবেন না। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার জীবনী মুবারক-এ আছে- উনার এক আত্মীয় একদিন উনার কাছে আসলো। তার মুখে শরাবের গন্ধ। উনি তাকে বের করে দিলেন এবং উনি তাকে বললেন, জীবনে আর কখনও আমার এখানে আসবে না। শরাবের গন্ধবের হওয়ার কারণে তাকে বের করে দিলেন। সে গালিজযুক্ত। তাহলে যাদের অন্তর গালিজযুক্ত, তাদের সাথে কি উনারা মুহব্বত রাখবেন? কোনো দিন মুহব্বত রাখবেন না। তাহলে কিভাবে মুহব্বত হবে? এবং কিভাবে নিসবত হবে? তাহলে অন্তর ইছলাহ্ করতে হবে না? হ্যাঁ; ইছলাহ্ করতে হবে। অন্তর ইছলাহ্ করতে হলে উনাদের রহমত-বরকত দরকার, ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ্দ রকার। একদিকে যিকির-ফিকির দরকার আর অন্যদিকে উনাদের ছোহবত মুবারক দরকার। এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারকগুলোতে উনাদের ছোহবত মুবারক হাছিল করা যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মানুষ তো আর এগুলো বুঝে না। উনারা যে হাযির-নাযির, এটা বিশ্বাস করলেই হয়। না করলে- যে করে না, তারটা তার উপরে। উনারা তো হাযির-নাযির। এই যে আমি পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ-এ আলোচনা করি। আমি তো বলি না- প্রত্যেক পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ উনার দিন আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়ে আলোচনা করতে বসলেই কিছুক্ষণের মধ্যে আমি দেখি আমার সামনের দিকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সবাই উপস্থিত। আমি কি আলোচনা করি, উনারা শুনেন। আমি বসার পরপর-ই দেখি উনারা উপস্থিত হয়ে গেছেন। উনারা তো হাযির-নাযির। এখন উনারা যেখানে থাকেন, সেখানে তাহলে কত রহমত মুবারক বর্ষিত হন? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কাজেই বিষয়টা তো ফিকির করতে হবে।” আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড)  স্বয়ং নুরে মুজাসসাম  হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক  এবং খুশি মুবারক প্রকাশ-পর্ব-১২

স্বয়ং নুরে মুজাসসাম  হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক  এবং খুশি মুবারক প্রকাশ-পর্ব-১২

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র মুহাররমুল হারাম শরীফ উনার ৪ তারীখ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ শান মুবারক ৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক উদ্ভোধন উনার দিন ইরশাদ মুবারক করেন- “একখানা ঘটনা মুবারক তোমাদেরকে বলি। আসলে অনেক ঘটনা তোমাদেরকে বলা হয়েছে এবং হয়। এই ঈদের পরে অর্থাৎ পবিত্র ঈদুল আদ্বহা শরীফ উনার পর একদিন আমি দেখলাম- স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সবাই মিলে আমাকে দাওয়াত করেছেন। আমি দাওয়াতে গিয়েছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বসা আছেন। উনি খুব খুশি। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও খুব খুশি। তবে উনারা অনেকে বসা আছেন আর অনেকে দাঁড়ানো আছেন। অনেক খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। আমি দেখলাম- আমাদের দেশি খাবার সব- সেমাই, জর্দা, ফিরনি এই ধরণের মিষ্টি খাবার যা আছে অর্থাৎ অনেক প্রকার খাবার। আমি গেলাম, উনারা খুব খুশি প্রকাশ করলেন। কথা হলো। এখন শেষ পর্যন্ত আমি কি খেয়েছি বা খাইনি, এটা আমার মনে নেই। তবে উনারা দাওয়াত দিয়েছেন, আমি গিয়েছি, খুব খুশি উনারা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বসা ছিলেন মূল জায়গায়। আর খাবারগুলি সামনে বিছানো ছিলো। অপর পাশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা অনেকে বসা আছেন আবার অনেকে দাঁড়ানো আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) খুব খুশি প্রকাশ করতেছেন। মূল কথা হলো- নিসবত-কুরবত তো এভাবে হয় না। এখন যিকির-ফিকিরও করতে হবে আর এই মাহফিলের এন্তেজামও করতে হবে, আন্জাম দিতে হবে, উপস্থিত হতে হবে, শারিরীকভাবেও এবং আর্থিকভাবেও শরীক হয়ে আনজাম দিতে হবে। সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব- নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড)  ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারক হাদিয়া-পর্ব-১১

 ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারক হাদিয়া-পর্ব-১১

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্শ রীফ চর্তু তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ্ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “গত রাত্রে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) উনার ঘটনা। আমি রাত ৩টা সোয়া ৩টার দিকে মোরাকাবা অবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ আমি দেখতেছি- সারা দুনিয়ায় অনেক হৈ চৈ এবং সবাই অস্থির। আমার আত্মীয় স্বজন আছেন, অন্যান্য সারা দুনিয়ায় পৃথিবীর দূর-দূরান্তে,  দেশ-বিদেশে, অনেক লোক। হৈ চৈ। কি ব্যাপার? উনারা সবাই এসেছেন যে, ‘আমাদেরকে কিছু দেন।’ আমি বললাম, ‘আমি কি দিবো?’ উনারা বললেন, ‘কেন? আপনাকে তো যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনি এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারক উনার পূর্ণ হিস্সা হাদিয়া মুবারক করেছেন। সেখান থেকে রহমত মুবারক দেন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বললাম, ‘কোথায়?’ সবাই বললেন, ‘আপনি উপরের দিকে দৃষ্টি করেন।’ আমি উপরের দিকে দৃষ্টি করলাম। দেখলাম, সেখান থেকে অঝোর ধারায় সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষিত হচ্ছেন। নূরের মতো। সকলে বললেন, ‘আমাদেরকে দেন?’ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে; আপনারা এখান থেকে নেন।’ আমি সেখান থেকে সবাইকে দিতে থাকলাম। অনেক দেওয়ার পর যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে বলা হলো- ‘এভাবে কিভাবে হবে? এটা একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।’ সেটা কি? উনারা উনাদের তরফ থেকে একখানা সম্মানিত লিবাস মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করলেন। আর বললেন, ‘এটা আপনি পরিধান করে আপনি হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বামহন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা উনারা দিলেন। এটা হচ্ছে- ইযারের মতো অর্থাৎ লুঙ্গিরম মতো আবার লুঙ্গি না। শরীরে পরে বেঁধে রাখা যায়। সাদা রংয়ের। সেটা সাদা রং, তার মধ্যে তুলা দিয়ে ফুলানো, ফোমের মতো। সুন্দর একটা কাপড়। পরলাম। উনারা বললেন, ‘এখন থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে যে সম্মানিত রহমত মুবারক বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসান লাভ করতো, সেটা আপনার থেকে লাভ করবে।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আরো যতো লোক আসলো সারা দুনিয়াব্যাপী জিন-ইনসান যারা যা আরজী করতে থাকে, তারা সে অনুযায়ী লাভ করতে থাকে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা আমি আগে বলেছিলাম। যে, যাত্রাবাড়ীর পীর ছাহেব আলাইহিস সালাম তিনি যে এসে আমার মধ্যে ফানা হয়ে বাক্বা হয়ে গেলেন, নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে দিলেন। এভাবেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে ফানা হয়ে বাক্বা হয়ে যেতে হবে। উনার জন্য সব বিলীন করে দিতে হবে। তখন তার জন্য কামিয়াবী হাছিল করা, যতো নিয়ামত রয়েছেন তা হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব হবে।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাতে) এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রোববার রাতে) ৪র্থ তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ্ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থেই মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা আমাকে ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ এই সম্মানিত মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) দেখলাম যে, সবাই এসে  আমাকে বলতেছে, ‘আমাদেরকে কিছু সম্মানিত রহমত মুবারক দেন।’ আমি বললাম, ‘কোথা থেকে?’ সবাই বললেন, ‘আপনি উপরের দিকে দৃষ্টি করেন।’ আমি উপরের দিক দৃষ্টি মুবারক দিয়ে দেখলাম, সেখান থেকে অঝোর ধারায় সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষিত হচ্ছেন। সকলে বললো, ‘আমাদেরকে দেন?’ আমি সেখান থেকে সবাইকে দিতে থাকলাম। যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে বলা হলো- ‘এভাবে কিভাবে হবে? এটা একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।’ তারপর উনারা উনাদের তরফ থেকে একখানা সম্মানিত লিবাস মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করলেন এবং আমাকে তা পরিয়ে দিলেন। অর্থাৎ ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করে দেয়া হয়ে গেলো। লেবাস মুবারকখানা শরীরে পরে বেঁধে রাখা যায়। সাদা রংয়ের এবং তার মধ্যে তুলা দিয়ে ফুলানো, ফোমের মতো। অনেক সুন্দর। উনারা বললেন, ‘এই লিবাস মুবারক পরলে এখান থেকে কুদরতীভাবে সম্মানিত রহমত মুবারক বের হতে থাকবেন।’ দেখলাম যে, কুদরতীভাবে সম্মানিত রহমত মুবারক বের হচ্ছেন আর সমস্ত কায়িনাতের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছেন এবং সবাই সম্মানিত রহমত মুবারক গ্রহণ করছে।” (সুবহানা মামদূ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এই মাক্বাম মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিলআ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকেই হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! তাহলে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আমাকে আরো একখানা অনেক বড় মাক্বাম মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে যেটা ইতিপূর্বে কাউকে হাদিয়া মুবারক করা হয়নি। আমি যাকে ইচ্ছা তাকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিতে  পারবো ।”-পর্ব-১০

আমাকে আরো একখানা অনেক বড় মাক্বাম মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে যেটা ইতিপূর্বে কাউকে হাদিয়া মুবারক করা হয়নি। আমি যাকে ইচ্ছা তাকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিতে  পারবো ।”-পর্ব-১০

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) চর্তু তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ্ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি মুবারক নিচ্ছিলেন, তখন উনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্আ লাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, ‘আপনার কাছে আমি ৬/৭ দিরহাম রেখেছিলাম দান করে দেওয়ার জন্য- আপনি সেটা কি দান করে দিয়েছেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি ব্যস্ততার কারণে দান করতে পারিনি।’ তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘তাড়াতাড়ি দান করে দিন।’ তিনি দান করে দিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘আমি চাই না যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাৎ করি, আর আমার কাছে দুনিয়ার কিছু সম্পদ থাকুক। এটা আমার পছন্দ না। কাজেই আপনি দান করে দিন।’ তিনি দান করে দিলেন। এখন উম্মতের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- দুনিয়ার কোনো বস্তু, ধন-দৌলত, টাকাপয়সা, গাড়ি-বাড়ি যেন তাকে হাক্বীক্বী নিসবত-কুরবত ও যিয়ারতে বাধা সৃষ্টি না করে। এখন কে কি করেছে আর কে কি করবে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমাদের দেখার বিষয় হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। কাজেই সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। আর এই লক্ষ্যেই কিন্তু আমরা বলেছি যে, ‘আমরা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে আমাদের সব কিছু দিয়ে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমরা সকলেই সব দিয়ে দিয়েছি। আমি যেমন দিয়েছি, তোমাদের আম্মা হুযূর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনিও দিয়েছেন, সকলেই দিয়েছেন। আমরা ঠিক ওইভাবে সাক্ষাৎ করতে চাই, যেভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন।’ সেইজন্য প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ-এ খরচ করার জন্য বলা হয়েছে। আর এখন যে যতো করবে, সে ততো পাবে। যেমন- আরেকটা বিষয়, মাক্বামের কোনো অভাব নেই। তোমাদেরকে বলা হয়, তোমাদের বুঝার জন্য। তোমরা তোমাদের আক্বল-বুদ্ধি, সমঝ অনুযায়ী বুঝে থাকো। যেমন- আরেকটা বড় মাক্বাম। মানুষ তো মাক্বাম সম্পর্কে জানে না। আর কিতাবাদীতে সব মাক্বামের বর্ণনাও নেই। একটা বিশেষ মাক্বাম আছে। এটা গত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে জুমাদাল উখরা শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার) আমাকে জানানো হলো, উনাদের তরফ থেকে একখানা সম্মানিত মাক্বাম মুবারক উনারা আমাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। এটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে তলব করার কারণে, উনাদেরকে হাছিলের কোশেশে মশগুল থাকার কারণে, আসল হচ্ছে উনারা খুশি হওয়ার কারণে। উনারা বললেন, ‘একটা অনেক বড় মাক্বাম মুবারক আপনাকে হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে। এই মাক্বাম মুবারক পৃথিবীর ইতিহাসে আর কাউকে দেওয়া হয়নি।’ সেটা হচ্ছে- ‘আমি যদি সুপারিশ করি, তাহলে যে কোনো লোককে, পুরুষ হোক মহিলা হোক, তাকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীতে কেউ আহলু বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত হতে হলে আমার অনুমোদন প্রয়োজন অর্থাৎ আমার অনুমোদন ব্যতীত কেউ আহলু বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কেন? উনারা সন্তুষ্ট হলেই তো উনারা দিবেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ চতুর্থ তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ্ শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমরা তো গত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের পর ঘোষণা দিয়েছি। আসলে এটাতো অনন্তকালের জন্য জারী করেছি। তার মধ্যে বিশেষ মাহফিল ছিলো ৬৩ দিন। সেটা আমরা করেছি ৯০ দিন। যেটা আমি আগেও ঘোষণা দিয়েছি, গতকালও বলেছি। আমার, তোমাদের আম্মা হুযূর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ আমরা সকলেই আমাদের সমস্ত সময়, সমস্ত মাল, জান সবই আমরা হাদিয়া দিয়ে দিয়েছি। এতে যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি, যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি সেটা বলেছি, এই বৎসর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই জুমাদাল ঊলা শরীফ (১৪৪৩ হিজরী শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ) আমি উনাদের প্রত্যেককেই অত্যন্ত সন্তুষ্টচিত্ত, অত্যন্ত খুশি মুবারক অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যিনি খলিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে আমি বলেছিলাম, আপনারা আমাদেরকে কিছু নিয়ামত দান করুন। তখন উনাদের তরফ থেকে বলা হয়েছিলো- নিয়ামত তো দেওয়া হচ্ছে, দেওয়া হবে। তবে সবচেয়ে বড় নিয়ামত মুবারক আমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক সেটা তো দেওয়া হচ্ছে। আমি আর কিছু বললাম না, চুপ থাকলাম। এখানে আরো কিছু ঘটেছে, যেটা আমি ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে পারবো না, সেজন্য বলতে পারবো না। তার পরবর্তী সময় যেটা ঘটলো, যেটা গতকাল আমি বলেছি, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে জুমাদাল উখরা শরীফ (১৪৪৩ হিজরী শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ অর্থাৎ মঙ্গলবার) উনারা সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে আরো একটা বিশেষ মাক্বাম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। মাক্বামের তো কোনো শেষ নেই, নিয়ামতেরও কোনো শেষ নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মহান আল্লাহ পাক উনি দেওয়ার জন্য কোনো শর্ত খোঁজেন না। উনি দিলেই উপযুক্ত হয়ে যায়। কাউকে উপযুক্ত হিসাবে উনি দেন না, আবার উনি দিলেই উপযুক্ত হয়ে যায়। উনারা যে মাক্বাম মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন, সেটা অনেক বড় একটা মাক্বাম মুবারক। আমার ইখতিয়ার দিয়েছেন, আমি ইচ্ছা করলে যে কোনো লোককে সুপারিশ করলে, সে যেই হোক তাকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) অর্থাৎ একজন লোক হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হলে তার যতো ফযীলত, সবটাই সে লাভ করবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) গতকাল এই ঘটনা মুবারক বলেছি। বলার পর উনারা আরো সন্তুষ্ট হয়েছেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাতে) চর্তু তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ্ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমাকে আরো একখানা অনেক বড় মাক্বাম মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে, যেটা ইতিপূর্বে কাউকে হাদিয়া মুবারক করা হয়নি। আমি যাকে ইচ্ছা তাকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারবো।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!তাহলে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, তা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) হযরত শাহনাওয়াসা-শাহনাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল খুছুছিয়াত মুবারক-পর্ব-৯

হযরত শাহনাওয়াসা-শাহনাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল খুছুছিয়াত মুবারক-পর্ব-৯

রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ২৯শে যিলক্বদ শরীফ লাইলাতুল খামীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) ৪র্থ তলা মহাসম্মানিত খানকাহ্ শরীফ-এ বা’দ ছোহবত ইরশাদ মুবারক করেন, “(মহাসম্মানিত ৮ই যিলক্বদ শরীফ ইয়াওমুল খামীস শরীফ) দেখলাম- ইবলীস আর ইবলীসের সাথে তার একটা শাগরেদ, চেলা আসলো। ওরা আসলে লাঠি নিয়ে মারামারি করতে এসেছে। আমিও একটা বড় বাঁশ নিয়েছি। যা হোক; আমি পরে কিভাবে যেন এদেরকে ধরে ফেলেছি। এরপর আমার পাশে ছিলেন হযরত শাহ্নাওয়াসা-শাহ্নাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা সবাই। যখন ধরে ফেলেছি, তখন হযরত শাহ্নাওয়াসা-শাহ্নাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনারা আমাকে বললেন যে, ‘নানা! আমাদেরকে ছোট শয়তানটাকে দিয়ে দিন।’ (মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি এই সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বরীর মুবারক অর্থাৎ তাবাস্সুমী শান মুবারক প্রকাশ করে অর্থাৎ মুচকী হাসি মুবারক দিয়ে বলেন-) ঠিক আছে। আমি দিয়ে দিলাম। উনারা ছোট শয়তানটাকে শাস্তি দিতে দিতে ওটাকে একবারে শেষ করে ফেলেছেন। আর বড়টাকে আমি ধরেছি। আমি এটাকে ধরে মাটিতে ফেলে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পা মুবারক) দিয়ে এটার মাথায় পারা দিয়ে ধরে রেখেছি। এটা উপুর হয়ে পড়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে আমাকে সিজদাহ্ দিচ্ছে। আমি বললাম‘ তাকে শেষ করে দিবো।’ ইবলীস তখন বলতেছে যে, ‘ইবলিছকে তো কেউ মারতে পারবে না।’ কেনো? সে বললো- ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি ইবলীসকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত হায়াত দিয়েছেন।’ আচ্ছা ঠিক আছে; তাহলে তওবা কর। সেবললো- ‘আরে ইবলীস তো তওবা করতে পারবে না।’ আমি বললাম- ‘কেন?’ সে বললো- ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি যে তাকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত লা’নত দিয়ে দিয়েছেন, এজন্য ইবলীস তওবা করতে পারবে না।’ আমি বললাম- ‘তাহলে কি করতে হবে?’ সে বললো- ‘ইবলীসকে শাস্তি দেয়া যাবে; কিন্তু ইবলীস মরবেও না, তওবাও করতে পারবে না।’ তাকে পারা দিয়ে রেখেছি। অনেক্ষণ পরে দেখি- ইবলীস রক্ত বমি করা শুরু করেছে, রক্ত বমি। রক্ত বমি করতেছে।পরে আমি দেখলাম যে, তাহলে তো এটা মরবেও না, এটা তাওবাও করবে না। এটাকে শাস্তি দিয়ে আমি বললাম- তাহলে ঠিক আছে; তাড়াতাড়ী যা এখান থেকে। ভাগ এখান থেকে। পালা। বলার সাথে সাথে চোখের পলকে এটা পালিয়ে গেছে।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

এই ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক থেকে হযরত শাহনাওয়াসা -শাহনাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল শান-মান ও বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছেন। উনারা হচ্ছেন হযরত হাফাদাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত নাতি-নাতনী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম) উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! মূলত সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দ্বিতীয় কোনো মেছাল কায়িনাতে নেই। উনারা অনন্য, বেমছাল। উনারা নিজেরাই নিজেদের মেছাল। কারণ উনারা সৃষ্টির শুরু থেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে একই সাথে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। উনাদের মাঝে কোনো জুদায়ী নেই এবং হারানোরও কোনো ভয় নেই, নতুন প্রাপ্তি ও নেই। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

বিস্তারিত জানতে পাঠ করুন- দুরারুল মুখতারাহ্ শরীফ ১ম খণ্ড- ৯৭-১০২ পৃ.


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) সবাই উপস্থিত হওয়ার পরে উনি খুব খুশি হলেন , খুব সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন-পর্ব-৮

সবাই উপস্থিত হওয়ার পরে উনি খুব খুশি হলেন , খুব সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন-পর্ব-৮

রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রবীউছ ছানী শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একদিন আমি মুনাজাতের মধ্যে দেখতেছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো আছেন, মহান আল্লাহ পাক উনিও আছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সবাই আছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বললেন যে, আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য। আমি আস্তে আস্তে সবাইকে অর্থাৎ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত হাদীউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে এবং হযরত শাহনাওয়াসী আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদেরকে ও হযরত শাহনাওয়াসা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অর্থাৎ উনাদের সবাইকে এনে উপস্থিত করলাম। উপস্থিত করতে করতে মুনাজাতের সময় শেষ। সবাই উপস্থিত হওয়ার পরে উনি খুব খুশি হলেন, খুব সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এই যে বিষয়গুলি- এখন উনাদের খুশি মুবারকই তো আমাদের দরকার। উনি খুশি হলেই তো সব দিয়ে দিবেন। তাহলে খুশিটা কোথায়? উনাকে খুশি করতে হবে না? উনাকে খুশি করতে হবে। সেজন্য বললাম যে, এগুলো বলা ফরয। আরেকটা হচ্ছে-

مَنْ اَحَبَّ شَيْئًا اكَْثَرَ ذِكْرَهٗ

‘যে যাকে মুহব্বত করে, সে তার কথা বেশি বলে।’ আমরা যদি বেশি মুহব্বতের দাবিদার হয়ে থাকি, তাহলে উনার কথা আমাদেরকে বেশি বলতে হবে। এটা ফরযে আইন। আর উনার কথা বেশি বললে, উনার মুহব্বত মুবারক অন্তরে প্রবেশ করবে। সে জন্য আমরা প্রতিদিন বলি। সব সময় বলি। কাজেই এটা বলতেই হবে। এটা ফরযে আইন। উনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে। সেজন্য তোমাদরেকে বলতেছি যে, উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো, উনার জন্য সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল করো। ব্যাপক প্রচার-প্রসার করো। উনার ছানা-ছিফত মুবারক সম্বলিত, বুলন্দী শান মুবারক সম্বলিত রেসালা শরীফগুলি ব্যাপক প্রচার করো। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ছানা-ছিফত মুবারকগুলি প্রচার করো। উনাদেরকে বাদ দিয়ে চলবে না। শুধু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক করলে হবে না, কোনো দিন হবে না; যতক্ষণ পযর্ন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক না করবে। এটা মনে রাখতে হবে। এটা খুব ভালো করে মনে রাখতে হবে। এটা মনে না রাখলে তো কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে না। উনাদেরসহ ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশি হবেন। আর উনার খুশিটাই আমাদের দরকার।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহল বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ শান মুবারক-পর্ব-৭

সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহল বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ শান মুবারক-পর্ব-৭

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যেমন একটা ঘটনা। এটা আসলে তোমাদের আক্বীদাহ্শু দ্ধ রাখবে। বেশ কিছু দিন আগের কথা। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে এক স্থানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। একটি বড় বিল্ডিং। অনেক বড় বিল্ডিং! সেখানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। ওখানে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দেখি, সেখানে চার মাযহাবের চারজন ইমাম উনারা আছেন। চারজন চারটা বিছানায় শুয়ে আছেন। প্রম ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, দ্বিতীয় হযরত শাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। এরপর উনারা বাকীরা। সবাই তো মনে হয় মৃতপ্রায়। ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিষয়টা একটা বাচ্চা শিশুর মতো। প্রম উনি। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে বাচ্চা শিশুর কাপড়-চোপড় যেভাবে পাল্টায়, ঠিকঠাক করে, তেমন সব ঠিকঠাক করে দিলে উনি যুবক খুব সুন্দর হয়ে গেলেন।

দ্বিতীয় ইমাম শাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি শোয়া আছেন। উনি সেলোয়ার কামীছ পরে শোয়া। গায়ে কোনো চাদর পরা নেই। উনি অনেক শুকনা মনে হলো। স্যালাইনের রোগী যেমন শুকনা থাকে। উনাদের বাকীরাও ওরকম অনেকটা। এরপর উনাদেরকেও ঠিকঠাক করা হলো। মোটামুটি একটা অবস্থায় পৌঁছে দেয়া হলো। এরমধ্যে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। মূল ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি সবচেয়ে শক্তিশালী যুবক হলেন। আর উনারা মোটামুটি একটা অবস্থায় আসলেন। (সুবহানা মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) দেখা গেলো উনাদের কোনো খাদিম- খুদ্দাম কেউ নেই। আর শারীরিক দিক থেকে শরীর অনেক শুকনা ও দূর্বল। স্যালাইনের রোগী না বললেও কাছাকাছি। পরে মোটামুটি একটা অবস্থায় পৌঁছেছেন। এরকম অনেক ঘটনা আছে। একখানা ঘটনা মুবারক বললাম।” (সুবহানা মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে একটা ঘটনা মুবারক ঘটেছেন। তোমরা তো এটা শুনার উপযুক্ত না। (১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে শাওওয়াল শরীফ ইয়ামুল আহাদ অর্থাৎ রোববার) সকালের দিকে, ১০-১১টার দিকে হঠাৎ আমি দেখলাম- হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি এসেছেন। উনি এসে আমাকে বলতেছেন যে, এক জায়গায় যেতে হবে। কোথায় যেতে হবে? ঐ যে আপনি গিয়েছিলেন চার ইমাম উনাদের ওখানে। উনাদের অবস্থা নিক্রিয়। সক্রিয় করতে হবে। কিভাবে করতে হবে? বললেন, ‘ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিতে হবে।’ কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে? বললেন, ‘সেখানে গেলেই চলবে।’ আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে সহ রওনা হলাম। গেলাম সেখানে। দেখলাম যে, বিরান। আগেই বিরান দেখে এসেছি। ঐরকমই দেখেছি। বললেন, আবাদ করতে হবে। কিভাবে আবাদ করতে হবে? তো উনি কিছু ব্রাশ ও রং নিয়ে বললেন, আমরা রং করে দেই। উনিসহ আমরা তিনজন মিলে রং করলাম। আবাদ হলো। উনারা চারজনই একদম পুরো সতেজ হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) গতবার তো ধারাবাহিকতাটা দেখা হয়নি। এবার দেখলাম- ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি এক নাম্বার। তারপর ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই চারজন। উনারা উনাদের কাজ শুরু করলেন। ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন- উনারা তো সক্রিয় নেই, সক্রিয় করতে হবে। তো সক্রিয় হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

তারপর ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি একখানে আমাদের বসার ব্যবস্থা করলেন, খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন। আচ্ছা, ঠিক আছে; বসলাম। কিছু দিলেন, খেলাম। তারপরে উনি বললেন যে, ‘আমাদের কাজ তো আমরা করেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে উনারা কিছু ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিবেন।’ ভালো কথা। আমাকে বললেন, ‘তাহলে আপনার পরিবারের সবাইকে আনেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হবে।’ তোমাদের আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনিসহ সবাইকে এনে আমি বসালাম। সিরিয়াল মতো সবাইকে বসিয়েছি। যারা আছেন সবাইকে বসিয়েছি। নাকীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনারাসহ ছোট-বড় সবাইকে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি অর্থাৎ উনারা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিলেন। যাই হোক, অনেকক্ষণ থাকলাম। এরপরে এসে পড়লাম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল ম’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক-পর্ব-৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল ম’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক-পর্ব-৬

সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের যতো শান-মান, খুছূছিয়াত মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, খুছূছিয়াত মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, খুছূছিয়াত মুবারক বুঝার জন্য স্বাভাবিকভাবে যেই বিষয়টি বলা হয়, তা হচ্ছেন- মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন,

لَيْسَ الذَّكَرُ كَالُْنْثٰى

অর্থ: “তিনি এমন একজন সম্মানিতা মহিলা যে, উনার সমকক্ষ কোনো পুরুষও নেই অর্থাৎ কোনো পুরুষও উনার সমকক্ষ নয়।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)

অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম (হযরত মারইয়াম আলাইহাস সালাম) উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এতো বেমেছাল যে, তিনি পূর্ববর্তী সমস্ত মহিলা উনাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী তো অবশ্যই, শুধু তাই নয়; বরং উনার সমকক্ষ কোনো পুরুষও নেই। সুবহানাল্লাহ! উনার শান মুবারক-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

وَاِذْ قَالَتِ الْمَلٰٓئِكَةُ يٰمَرْيَمُ اِنَّ اللهَ اصْطَفٰىكِ وَطَهَّرَكِ وَاصْطَفٰىكِ عَلٰى نِسَآءِ الْعٰلَمِيْنَ

অর্থ: “আর যখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে মনোনীত করেছেন, আপনাকে পবিত্রা করেছেন। শুধু এতটুকু নয়; বরং সমস্ত আলমের সকল মহিলা উনাদের উপর আপনাকে মনোনীত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪২) অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনি পূর্ববর্তী পুরুষ-মহিলা উনাদের সকলের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

لَسْتُنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ يٰنِسَآءَ النَّبِىّ

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম! আপনারা কোনো পুরুষ-মহিলা অর্থাৎ সৃষ্টির কারো মতো নন। অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকেও শ্রেষ্ঠ।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২) সুতরাং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনি পূর্ববর্তী পুরুষ-মহিলা উনাদের সকলের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন। আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনিসহ সৃষ্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত যতো মহিলা তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যতো মহিলা তাশরীফ মুবারক আনবেন উনাদের সকলের উপরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী সম্মান মুবারক তো অবশ্যই; সাথে সাথে সমস্ত পুরুষ যাঁরা রয়েছেন উনাদের থেকেও উনারা শ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ! যা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সমস্ত সৃষ্টিকে জানিয়ে দিয়েছেন। কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কোনো পুরুষ-মহিলা অর্থাৎ সৃষ্টির কারো মতো নন, সে যেই হোক না কেন। সুবহানাল্লাহ! আর উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম। এই সম্পর্কে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার নিসবত মুবারক সরাসরি সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে। তবে বিশেষভাবে উনার নিসবত মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে এবং সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সাথে।” সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম হওয়ার জন্য যতো ইলিম-কালাম, আক্বল-সমঝ এবং নিসবত মুবারক যা কিছু প্রয়োজন যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল উমাম তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে সমস্ত কিছুই হাদিয়া মুবারক করেছেন।” সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার পবিত্র ৬ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সকালে ছাত্রীদের ক্লাস করিয়ে পবিত্র হুজরা শরীফে এসে বিশ্রাম মুবারক নিচ্ছিলেন। তখন তিনি স্বপড়ব মুবারক-এ দেখেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সাল্লাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা উনাদের পক্ষ থেকে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক হাদিয়া করেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ অর্থাৎ উনারা যে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন, তার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ একটি স্টীলের চাবি মুবারক কুদরতীভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) এসে পৌঁছেছেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!) তিনি বলেন- ‘তখন মনে হচ্ছিল লোকেরা জানতে চাচ্ছে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক যে লাভ করলেন, তার নিদর্শন মুবারক কী?’ তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ চাবিখানা দেখিয়ে বলেন, ‘এই যে দেখ- আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক রয়েছেন।’ এটা বলে তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে রাখা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ সেই চাবিখানা দেখালেন। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! এরপর তিনি বলেন- ‘আমি উক্ত স্বপড়ব মুবারক উনার মধ্যেই দেখতেছি যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে একখানা আসন মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করা হলো এবং আসন মুবারক-এ বসিয়ে দেয়া হলো। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনারা বললেন, আপনি এখন থেকে এই আসন মুবারকে বসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক পরিচালনা করবেন।” সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! (পক্ষিক আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত)

তাহলে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল তা ভাষায় প্রকাশ করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) উম্মু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল নিসবত মুবারক প্রকাশ -পর্ব-৫

উম্মু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল নিসবত মুবারক প্রকাশ -পর্ব-৫

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ১৪ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “কালকে একটা ঘটনা মুবারক ঘটেছেন। বুঝতে পারলে? বললে ঈমান থাকবে তোমাদের? বলো দেখি। হ্যাঁ? ঈমান থাকবে? 

(আরজী: অবশ্যই থাকবে।)

আমি দেখতেছি এটা ১২ তারীখে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই মুহররমুল হারাম শরীফ-এ। একটা দোতালা বাড়ী। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম যিনি উনি আছেন ওখানে। উনি কি একটা কাজ করতেছেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। আমি গেলাম। উনার বাম পাশে একটা বাচ্চা মেয়ে। মেয়েটিকে আমি দেখিনি। আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কে এইটা?’ উনি বললেন, ‘খাদিমা।’ আচ্ছা; ঠিক আছে। উনার ডান দিকে ফকীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি। উনার বয়স সাত-আট বছর। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনি আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন যে, ‘উনি হচ্ছেন ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু।’ আমি খুব খুশি হলাম। ভালো। আমি বললাম, ‘ভালো হয়েছে।’ আমি ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে বললাম, ‘আপনি তো আপনার হাত মুবারক দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্পর্শ করেছেন, তাই আপনার হাত মুবারক-এ বুছা দেয়া দরকার। আপনার হাতটা দেখি।’ উনি বললেন, ‘না।’ হাত মুবারক দিলেন না বুছা দিতে। তারপর আমি বললাম, ‘আপনি তো ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ শিখেছেন। তাহলে এখান থেকে আমাকে কিছু জানান। আমি বুঝতে না বুঝতেই উনি এসে আমার ক্বদম বুছি মুবারক করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনার কাছে একটা কি জিনিস ছিলো। উনি ঐটা রেখে এসে এই কাজ করেছেন। আমি বাধা দিয়েছিলাম। উনি বললেন, ‘না; আমার করতে হবে।’ উনি জোর করেই করলেন। পরে বসলাম। আলাপ করতেছিলাম। আমি বললাম, ‘আপনি তো ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার কাছ থেকে পুরো তফসীর পড়েছেন। আমাকে কিছু তফসীর বলেন।’ উনি বললেন, ‘আচ্ছা; বলবো।’ এমন সময় দেখি আবার হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি আসছেন। উনার বয়স ৯-১০ হবে। উনি একটু দূরে। একটা কল আছে ওখানে হাত পা মুবারক ধুইতেছেন। এই অবস্থাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি হালকা-পাতলাই ছিলেন, হালকা-পাতলা, ৭-৮ বছর বয়স। বললাম- ‘আপনি শিখেছেন ওখান থেকে।’ উনি বললেন- ‘হ্যাঁ; শিখেছি তো।’ আমাদেরকে বলেন কিছু। আমি বললাম- ‘আমরা তো মহাসমস্যায় আছি। কোন সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ কখন নাযিল হয়েছেন, কি নাযিল হয়েছে, কোনো কিতাবে পাওয়া যায় না। তাফসীরটা কি বলেন।’ উনি বললেন- ‘হ্যাঁ; বলবো।’ পরে আর বলার সময় হয়নি। তখন ঘুম ভেঙ্গে গেলো। উনি নিজেই বলেছেন যে, উনি ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার কাছে পুরা তফসীর পড়েছেন। বলেছিলাম- ‘আপনার হাত মুবারকটা একটু দেন, আমি বুছা দেই। যেহেতু এই হাত মুবারক দিয়ে আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্পর্শ মুবারক করেছেন।’ বুছা আর দেওয়া হয়নি পরে। এখন নিসবত-কুরবত ছাড়া তো হয় না। হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনি এবং হযরত ফক্বীহুল উম্মত রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি অর্থাৎ উনারা দুইজন। আর ঐদিকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনি। উনারা এই তিনজন সরাসরি বলেছেন, ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ কোথায়, কখন, কি নাযিল হয়েছেন, সব আমরা জানি।’ উনাদের তিনজনের থেকে এই বক্তব্য মুবারক আছে। অন্যান্যদেরও আছে। উনারা ৩ জন সরাসরি বলেছেন। 

(আরজী: দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বয়স মুবারক তো অনেক ছিলেন। কেমন দেখেছেন?) 

জবাব মুবারক: স্বাভাবিকই দেখেছি। স্বাভাবিক মানে পঞ্চাশ-ষাট বছর এই রকম।

(আরজী: দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনি পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন?)

জবাব মুবারক: হ্যাঁ; পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আমি গেলাম, দেখলাম।

বললাম, ‘কে?’ উনি বললেন যে, ‘উনি ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন  মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু।’ এইভাবে বলেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি দেখলাম, খুশি হলাম। উনিও খুশি হলেন। খুব ভালো। উনার বয়স ৭-৮ বছর হবে।

(আরজী: মেয়েটা তো দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খেদমত করতে এসেছেন। উনি কে?)

জবাব মুবারক: উনি দেখা করতে এসেছেন। ঐ যে বাচ্চা মেয়াটাকে আমি দেখিনি। মহাসম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম উনি বলেছেন, ‘খাদেমা।’

বাড়িটা অনেক বড়। বারান্দাটাও বেশ বড়, খোলামেলা মোটামুটি। সামনে হাত-মুখ ধোওয়ার জন্য জায়গা আছে। মানুষের বাড়ি-ঘরে যেরকম থাকে না?

বেসিন, কল থাকে যেরকম। একটা খোলা বারান্দা। ওখানে কোনো লোকজন নেই। উনি সেখানে দাঁড়ানো। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনি পরিচয় করিয়ে দিলেন, উনি ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু। দেখলাম, উনি আমার দিকে তাকালেন। উনি খুশি হলেন। আমি খুশি হলাম। সব ঠিক আছে। খুব ভলো হয়েছে। উনার কাছে একটা কি জিনিস ছিলো। উনি ঐটা রেখে এসে এই কাজ করেছেন। আমি বাধা দিয়েছিলাম। পরে উনাকে নিয়ে এক জায়গায় বসলাম। বসে আলাপ করতেছিলাম। এর মধ্যে দেখি সামনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি আসছেন। ওখানে সামনে গিয়ে একটা কল আছে। ওখানে উনি হাত-পা ধুইতেছেন। এরপর ঘুম ভেঙ্গে গেছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বয়স ৯-১০ বছর। মূলত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার সম্পর্কে জানা এবং সেই অনুযায়ী উনার তা’যীম-তাকরীম মুবারক, ছানা-ছিফত মুবারক করা এবং গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার প্রতি হাক্বীক্বী বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক পোষণ করার, উনার যথাযথ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার, ছানা-ছিফত মুবারক করার এবং গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আবু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার একখানা মহাসম্মানিত বড় মাক্বাম মুবারক প্রকাশ-পর্ব-৪

আবু সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার একখানা মহাসম্মানিত বড় মাক্বাম মুবারক প্রকাশ-পর্ব-৪

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি ওই দিন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনাকে স্বপ্ন মুবারক-এ দেখলাম। দেখলাম, উনি এখানে এসেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে উনাকে একখানা বড় মাক্বাম মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে।(সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) একখানা বড় দায়িত্ব মুবারক দেওয়া হয়েছে। উনি খুব দামী কাপড় পরিধান মুবারক করে এসেছেন। অনেক গাড়ি এসেছে। উনাকে গার্ড অব অনার অর্থাৎ অত্যন্ত সম্মানের সাথে পাহাড়া দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে উনাকে একটা বড় দায়িত্ব মুবারক দেওয়া হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি খুব দামী কাপড় মুবারক পরিধান করে আছেন। উনি যাচ্ছেন, সামনে গাড়ি আছে। অনেক হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং জিন-ইনসান সবাই উনাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে পাহাড়া দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি দূরে থেকে দেখতেছি। তখন রাস্তা থেকে একজন লোক আসলো, উনি ঐ লোককে বাই‘আত করালেন। তারপর গাড়িতে গিয়ে উঠতেছেন। আমি বললাম- ‘ব্যাপার কী?’ বলা হলো যে, ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে উনাকে একটা বিশেষ দায়িত্ব মুবারক দেওয়া হয়েছে। ওই দায়িত্ব মুবারক পালন করার জন্য উনি যাচ্ছেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি অনেক দামী কাপড় মুবারক পরিধান করে আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এমনে কোর্তা মুবারক, নিচে সম্ভবত সেলোয়ার হতে পারে, আমি যতোটুক বুঝেছি। কোর্তা মুবারক লম্বা হওয়ার কারণে বুঝা যায় না। উপরে অনেক দামী একটা জুব্বা মুবারক। অনেক সোনালী কারুকার্য করা। আর উনার দুই পাশে অত্যন্ত সম্মানের সাথে পাহাড়া দিয়ে বিরাট একটা গাড়িতে করে উনাকে নিয়ে যাচ্ছে। খুব ভালো। দেখলাম- উনাকে বিরাট একটা মাক্বাম মুবারক দেয়া হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি তো সেটাই বলে থাকি যে, মানুষ তো আর মাক্বাম সম্পর্কে বুঝে না। অনেক দামী কাপড়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উপরে যে জুব্বা মুবারক পরা, অনেক দামী জুব্বা মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সোনালী কারুকার্য করা। আর অনেক ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা, জিন-ইনসান সবাই দাঁড়িয়ে রয়েছে। অত্যন্ত সম্মানের সাথে পাহাড়া যেরকম দেয়া হয়, ঐ রকম অত্যন্ত সম্মানের সাথে পাহাড়া দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সামনে গাড়িটা আমি দেখলাম- অনেক বড় একটা গাড়ি। ঐটা দিয়ে নিয়ে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বললাম- ‘কি ব্যাপার?’ বলা হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি উনাকে একটা দায়িত্ব মুবারক দিয়েছেন, একখানা সম্মানিত বড় মাক্বাম মুবারক দিয়েছেন, সেই সম্মানিত মাক্বাম মুবারক-এ গিয়ে উনি উনার দায়িত্ব মুবারক পালন করবেন, সেজন্য যাচ্ছেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সেজন্যই বলে থাকি যে, নিসবত-কুরবত তো অন্য বিষয়।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! মূলত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার সম্পর্কে জানা এবং সেই অনুযায়ী উনার তা’যীম-তাকরীম মুবারক, ছানা-ছিফত মুবারক করা এবং গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ সুলত্বানিন নাছীর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি হাক্বীক্বী বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনেযন মুবারক পোষণ করার, উনার যথাযথ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার, ছানা-ছিফত মুবারক করার এবং গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আমার সম্মানার্থে সারা পৃথিবী, সমস্ত কায়িনাতকে মসজিদ এবং পবিত্র করা হয়েছে ’-পর্ব-৩

 আমার সম্মানার্থে সারা পৃথিবী, সমস্ত কায়িনাতকে মসজিদ এবং পবিত্র করা হয়েছে ’-পর্ব-৩

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ১লা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الَّلُ عَلَيْهِ بِيَاءِ بِسِتٍّ اُعْطِيْتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ وَسَلَّمَ قَالَ فُضِّلْتُ عَلَى الَْنْ بِلرُّعْبِ وَاُحِلَّتْ لِىَ الْغَنَائِمُ وَجُعِلَتْ لِىَ الَْرْضُ مَسْجِدًا وَّطَهُوْرًا وَاُرْسِلْتُ اِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِىَ النَّبِيُّوْنَ

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অন্যান্য হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর আমাকে বিশেষ করে ৬টি বিশেষ খুছূছিয়াত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে। 

যথা: (১) আমাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইলিম মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে, 

(২) আমাকে সম্মানিত রো’ব মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে, 

(৩) আমার জন্য গণীমতের মালকে হালাল করা হয়েছে, 

(৪) আমার জন্য, আমার সম্মানার্থে সারা পৃথিবী, সমস্ত কায়িনাতকে মসজিদ এবং পবিত্র করা হয়েছে, (৫) আমি সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে প্রেরিত হয়েছি এবং 

(৬) আমার দ্বারা হযরত নবীরসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমনের ধারা বন্ধ করা হয়েছে।

অর্থাৎ আমার পরে নতুন করে কোনো নবী-রসূল আগমন করবেন না।”

সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ)

আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনেই বসা ছিলাম। তিনি বললেন,

وَجُعِلَتْ لِىَ الَْرْضُ مَسْجِدًا وَّطَهُوْرًا

“আমার জন্য, আমার সম্মানার্থে সারা পৃথিবী, সমস্ত কায়িনাতকে মসজিদ এবং পবিত্র করা হয়েছে।”

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘আমার সম্মানার্থেই এটা করা হয়েছে। আমার সম্মানার্থে এটা করা হয়েছে।’

এখন ‘মুত্বহ্হির বা পবিত্রতাদানকারী’ এটা তো স্বাভাবিক একটা কথা। উনি তো এর চেয়ে কোটিগুণ উর্ধ্বে। প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের যামানায় তরতীব ছিলো- উনারা ইবাদত খানায় ইবাদত করলে ক্ববূল হতো। কিন্তু একমাত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি যখন যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনলেন, উনার সম্মানার্থে আপসেআপ সব পবিত্র হয়ে গেলো। যমীন সব মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক হয়ে গেছেন। বিশেষ মাহফিল তো হচ্ছেই। আমি মাহফিলের সময় তো সব খোঁজ নেই। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি কতটুকু খুশি হলেন। উনি খুশি হন। কারণ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান-মান মুবারক যত প্রকাশ করা যায়, উনি তত খুশি হন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) . ‘২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে আমার দুটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবত মুবারক রয়েছেন ’-পর্ব-২

‘২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে আমার দুটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবত মুবারক রয়েছেন ’-পর্ব-২

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “অনেকগুলো বিষয় আমি বলেছি। অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা ভাষা দিয়ে বুঝানো যায় না। যতটুকু বুঝানো যায় ততটুকু বলা হয়। তাহলে সেটা শুনে মনে রেখো। তোমাদের ঈমানী কুওয়াত বৃদ্ধির জন্য বলা। তোমরা বাই‘আত হয়েছো কোথায়? কার কাছে বাই‘আত হলে? শুনো, জানো। ঈমানী কুওয়াত বৃদ্ধি হবে। এই জন্য বলা। না বললে জানবে কিভাবে? যেমন- একখানা ঘটনা বললাম যে, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি বলেছেন যে, ‘আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) উনার নিচে উনার মাথা মুবারক রেখেছেন। আর আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক উনার নিচে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মাথা মুবারক রেখেছেন।’ ঠিক আছে। অনেক ফযীলত। এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক-এ উনাকে আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাহলে সরাসরি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার মাথা মুবারক-এ তুলে দিন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনি সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক আমার মাথা মুবারক-এ তুলে দিলেন। এভাবে অনেকদিন অতিবাহিত হলো অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে অতিবাহিত হলো। কিছু দিন পর মাথা ব্যাথা শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে তা প্রচণ্ড আকার ধারণ করলো। তখন আমি মাথা ব্যাথার কারণে হাজার হাজার ওষুধ খেয়েছি; কিন্তু মাথা ব্যাথা সারেনি। নাপা ট্যাবলেট মনে হয় কয়েক হাজার খেয়েছি আমি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বললেন যে, ‘আরে এটা সারবে না; কোনো দিন সারবে না কারণ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক উনার তাছীর মুবারক-এ আপনার এই মাথা ব্যাথা। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক মাথা থেকে আপনার কোল মুবারক-এ নিলে সেরে যাবে।’ আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার সরাসরি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক আমার কোল মুবারক-এ নিলাম। সাথে সাথে আমার মাথা ব্যাথা সেরে গেলো। এখন তো ওষুধ খাই না। এখন এটার ফায়ছালা মুবারক কী? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক নাযিল হলে সমস্ত শরীর জর্জরিত হয়ে যেতো। মনে হয় যে, চুরমার হয়ে যাচ্ছে। সেই রকম হয়েছিলো। এখন তো আমার ওষুধ খেতে হয় না। এই বিষয়গুলি মানুষ কি বুঝবে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনি সরাসরি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক আমার মাথা মুবারক-এ তুলে দিলেন। আমার অনেক দিন মাথা ব্যাথা ছিলো। উনি বললেন, ‘কোনো দিন সারবে না মাথা ব্যাথা। কোল মুবারক-এ নিতে হবে।’ আমি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক আমার কোল মুবারক-এ নিলাম। নেওয়ার সাথে সাথে আমার মাথা ব্যথা সেরে গেলো। এখন আর ওষুধ খাই না আমি। মনে হয় কয়েক বান্ডেল বা প্যাকেট নাপা খেয়েছি। এরকম বড় বড় প্যাকেট শেষ হয়ে গেছে। দিনে ৬টা-৮টা করে নাপা খেয়েছি। এখন তো আর ব্যাথা নেই। এখন এটার কী ফায়ছালা? এটা কী বুঝবে তোমরা? কি বুঝেছো বলো দেখি? ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে আমার দুটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবত মুবারক রয়েছেন- (১) একটা হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সারাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ), আর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ) ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে। (২) আর দ্বিতীয় হচ্ছে যে, সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) আমার কোল মুবারক-এ। এই দুইটা দায়ীমী। এছাড়া আরো অতিরিক্ত নিসবত মুবারক আছে। অবস্থা অনুযায়ী। এখন এটা মানুষ কি ব্যাখ্যা করবে? এরা কোনো দিন আমার সাথে পারবে না।ইনশাআল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক আমার কোল মুবারক-এ এটা হচ্ছে ২৩ জনের যেই বেষ্টনী মুবারক রয়েছেন, সেই বেষ্টনী মুবারক উনার ভিতরে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ), আর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলিম মুবারক-এ (সিনা মুবারক-এ) ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে। এটা হচ্ছে ২৩ জনের বেষ্টনী মুবারক উনার অনেক উপরে। অর্থাৎ দুইটা দুই দিকে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ছাহিবে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বলেছেন, উনি আমাকে উনার সবচেয়ে বেশি নৈকট্য মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

 

আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে , আরো বেশি খুশি হবো -পর্ব-১

আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে , আরো বেশি খুশি হবো -পর্ব-১

পৃথিবীর ইতিহাসে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই একমাত্র সেই সুমহান মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক, যিনি অনন্তকালের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক জারী করেছেন এবং লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে বেমেছালভাবে পালন করে যাচ্ছেন। উনার এই বেমেছালভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে খুশি হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলেছেন, ‘আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে, আরো বেশি খুশি হবো।’ সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! এ প্রসঙ্গে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল খামীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশী হয়েছেন, নাকি নাখুশী হয়েছেন, কোনো দলীল আছে? দলীল তো নেই। তাহলে বুঝবে কিভাবে? হ্যাঁ? কি বুঝতে পেরেছো কেউ? উনি খুশী হয়েছেন, নাকি নাখুশী হয়েছেন, কোন্টা? বলো তো দেখি? আমি তো (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ) সারা দিন অপেক্ষায় ছিলাম, দেখি উনি কি বলেন। উনি তো কিছু বলেন না। যখন ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- ‘আমি খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যখন দিন শেষ হয়ে গেলো, আযান হলো, তখন আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, উনি বলেছেন- ‘হ্যাঁ; খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বললাম- ‘আমি কি এটা বলে দিবো?’ উনি বললেন- ‘হ্যাঁ; বলে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ, ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- ‘আরো করলে, আরো বেশী খুশী হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)উনি সারা দিন কিছু বলেননি। আমি দেখলাম সারা দিন। আমি তো চিন্তিত ছিলাম। যখন ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হয়ে গেলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন যে, ‘হ্যাঁ; আমি খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বললাম- ‘জানিয়ে দেই।’ বললেন- ‘হ্যাঁ; জানিয়ে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি বললেন‘আরো বেশী করলে, আরো বেশী খুশী হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে আরো বেশী করো। সামনে আমরা আরো বেশী করবো। এখন ৯০ দিনের প্রস্তুতি নিতে হবে। ১ লক্ষ ১২ হাজার প্যাকেটের প্রস্তুতি নিতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশশুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সেদিন দেখলাম মাগরিবের আযানের সময় উনি খুশী হয়েছেন। ঐ দিনই (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম লাইলাতুল খামীস শরীফ) ভোর রাত্রে দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অনেক খুশী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ভোর রাত্রে উনি বললেন যে, ‘আমি অনেক খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সন্ধ্যার চেয়ে অনেক বেশী হাসি-খুশী, হাস্যোজ্জ্বল। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি বললেন, ‘আরো বেশী করলে, আরো বেশী খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন যতো করা যায়। নূরুত তাক্বরীর, নূরুশ শাহাদাত, দুইটা তো। নূরুত তাক্বরীর মানে তাবাস্সুম (মুচকি হাসি)। এটা সন্ধ্যার সময়। আর ভোর রাত্রে এর চেয়ে বেশী, অনেক, অনেক বেশী হাসি-খুশি মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যতো করা যায়, ততো বেশী খুশি হবেন। সময়সীমা তো দেড়গুণ বাড়ানো হচ্ছে। আর তাবারুক ডাবলের কাছাকাছি।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ অতিবাহিত হলো, বললে মানুষ তো সব বুঝবে না। আমি পুরোটা সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওখানে ছিলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি একটু খুশি হন, খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান হয়ে গেলো। তখন তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বরীর মুবারক (তাবাস্সুম বা মুচকি হাসি মুবারক) দিয়ে বললেন যে, ‘আমি খুশি হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) রাত্র গভীর হলো। ভোর রাত্রে তিনি অনেক খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন। উনি বললেন, ‘আরো করলে, আমি আরো খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বলেছিলাম, ‘আমি কি এটা বলে দিবো?’ উনি বললেন, ‘হ্যাঁ; বলে দিন।’ উনি সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন, আমি জানিয়ে দিলাম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সন্তুষ্টি মুবারক ছাড়া আর কিছু আছে? কিছু নেই। আমি তো সেটাই বললাম যে, আমি সারা দিন ফিকির করলাম যে, কি বলেন। ঠিক পবিত্র ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হলো, তিনি খুশি প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যে খুশি হয়েছেন এটা কি আমি বলে দিবো? উনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আবার ঠিক ভোর রাতে দেখলাম, উনি অনেক বেশি খুশি। উনি বললেন, ‘আমার জন্য আরো করলে, আমি আরো বেশি খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যে, আরো বেশি করলে আরো বেশি খুশি হবেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে আরো করতে হবে। সেটাই বললাম, আমরা দেড় গুণ করতেছি। দেড় গুণের প্রস্তুতি গ্রহণ করো। সবাই কোশেশ করো। এখন তোমরা শত শত, হাজার হাজার গাড়ীর ব্যবস্থা করো।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি এই ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন যে, তিনি এক সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে সারা ঢাকা শহর, সারা দেশ, সারা পৃথিবী; এমনকি সম্মানিত জানড়বাত মুবারকসহ সারা কায়িনাত সাজাবেন এবং এ দেশবাসী ও পৃথিবীর সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে মেহমানদারী করে খাওয়াবেন; এমনকি জানড়বাতবাসী উনাদেরকেও খাওয়াবেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “পৃথিবীতে ৬০০ কোটি মানুষ রয়েছে। যেদিন আমরা শুধু কোটি কোটি কন্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল মুবারক উপলক্ষে ১২০০ কোটি তাবারুকের প্যাকেট করবো, সেদিন থেকে হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা শুরুহবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)