আন নরুর রবি ‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার একখানা বিশেষ খুছূছিয়াত মুবারক-পর্ব-১৭
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ উনার খুৎবা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যেটা আমি আগেও বলেছি। যিনি খালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রুবূবিয়াত মুবারক প্রকাশ করেছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে। তিনি প্রকাশ করেছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে। আর উনারা প্রকাশ করেছেন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে। এটা ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে একটা বিষয় রয়েছে। সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার যে খুছূছিয়াত মুবারক- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনি আসলে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মালাহাহ্ মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কপাল মুবারক-এ) বুছা মুবারক দিয়ে উনাকে বসাতেন। আবার তিনি গেলে সায়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘আহ্সা ইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিও অনুরূপ করতেন। আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে বিষয়টা জানতে চেয়েছিলাম যে, এটার হাক্বীক্বতটা কী? অন্যান্য যাঁরা ছিলেন উনাদের সাথে এরূপ করা হয়নি? তিনি তখন আমাকে জানালেন বিষয়টা- আসলে ৯ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন। এরপরে কেউ ছিলেন না। আর একটা মূল কারণ হলো-
যেহেতু সায়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সিলসিলা মুবারক ক্বিয়ামত পযর্ন্ত জারী থাকবেন, এই জারী রাখার জন্য যে অতিরিক্ত ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ যা প্রয়োজন ছিলো, এর মাধ্যম দিয়ে আমি সেটা দিয়েছি।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কাউকে কম নেয়ামত দেওয়া হয়নি, সবাইকে সমান দেওয়া হয়েছে। তবে এখানে উনাকে অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে। যেহেতু উনার সিলসিলা মুবারক ক্বিয়ামত পযর্ন্ত জারী থাকতে হবে, সেজন্য রূহানী কুওওয়াত প্রয়োজন। সেই রূহানী কুওওয়াতটাই বার বার উনাকে দেওয়া হয়েছে। আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যম দিয়ে
لَوْلَكَ لَمَا اَظْهَرْتُ الرُّبوُْبِيَّةَ
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীকত্বটা যাহির করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এবং
كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْخَلْقَ لُِعْرَفَ
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ উনার হাক্বীক্বত মুবারকও একইভাবে তিনি যাহির করেছেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত) ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি আজকে তো বলেছি- ‘সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আন নূরুর রবি‘আহ্ সায়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি যে ব্যবহার মুবারক করেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আমি জানতে চাইলাম যে, এটার হাক্বীক্বত মুবারক কী?’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, ‘নেয়ামত সবাইকে সমানই দেওয়া হয়েছে। তবে উনার দ্বারা যেহেতু সিলসিলা মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবেন, সেজন্য এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক দেওয়া হয়েছে। যাতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা ক্বিয়ামত পর্যন্ত ইস্তেক্বামত থাকতে পারেন। এর মাধ্যম দিয়ে অতিরিক্ত ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হয়েছে।’ এর হাক্বীক্বতটা তো মানুষ জানে না। আন নূরুর রবি‘আহ্ সায়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এরকম ব্যবহার মুবারক করলেন কেন? অন্যদের সাথে দেখা যায় না। তার কী কারণ? কারণটাই সেটা- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি জানালেন যে, ‘আসল কারণ হচ্ছে- উনার মাধ্যমে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সিলসিলা মুবারক জারী থাকবেন। যাঁরা আসবেন উনারা যাতে দৃঢ়চিত্ত-ইস্তেক্বামত থাকতে পারেন, সেজন্য এইভাবে ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক দেওয়া হয়েছে। বার বার সেটা দেওয়া হয়েছে’।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
0 Comments:
Post a Comment