খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির
ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে
নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয়
(যেমন-কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি)
(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন। এরপর তওবা না করলে
তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড)
কাদিয়ানী
রদ!
( পঞ্চম
ভাগ )
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীস, মুফতীয়ুল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে
নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ইসলামী
শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে
খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর
তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড
) হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ সূফী শায়খ
মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী
রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে
সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদা হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের
প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা
হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।
(ধারাবাহিক) আরও মির্জ্জা ছাহেব ১৯০৭ সনের
১০ই এপ্রিল তারিখের আল-হাকাম পত্রিকায় লিখিয়াছেন;-
اسکے بعد اسباب طاھری کی رعایت رکھو. جسی مکان میں چوھے
مر نے شروع ھوں اسے خالی کردو ـــ اور جس محلے میں طا عون ھو اس محلہ سے نکال جاؤ
اور کسی کھلے میدان میں جا کر ڈیرا لگاؤ ــ جو تم میں سے بتقد یر الھی طا عون میں
مبتلا ھو جائے ــ اسکے علاج ومعالجہ میں کوئی دقیقہ اٹھا نہ رکھو ــ چونکہ مرنے کے
بعد میت کے جسم میں زھریلا اثر زیادہ تر قی پکڑتا ھے اس واسطے سب لوگ اسکے ارد گرد
جمع نہ ھوں حسب ضر ور ت دو تین أدمی اس کی ار پائی کو اٹھا ئیں باقی سب دور کھڑے ھوکر
مثلا ایک سو گز کے فا صلہ پر کھڑے ھوکر جنازہ پڑ ھیں ــ جو مکان بھت تنگ اور تاریفق
ھو اور ھوا اور روشنی خوب طور پر نہ اسکے اسکو بلا توقف چھوڑ دو ــ حتی المقدور مکا
نوں کی چھتون پر رھو ... نیچے کے مکا نوں سے پر ھیز کرو اور اپے کپڑ وں کو صفائے سے
رکھو نالیاں صاف کراتے رھو.
“ইহার পরে জাহেরি ছবরগুলির প্রতি লক্ষ্য রাখ, যে
বাটীতে ইন্দুর মরিতে আরম্ভ হয়, ইহা খালি করিয়া দাও। যে পল্লীতে
প্লেগ হয়,
উক্ত পল্লী হইতে বাহির হইয়া যাও, কোন খোলা
ময়দানে গিয়া তাঁবু স্থাপন কর। তোমাদের মধ্যে যে কেহ আল্লাহ্তায়ালার তকদির অনুযায়ী
প্লেগ আক্রান্ত হয়, তাহার ঔষধ ব্যবহার, সেবা শুশ্রুষাতে কোন প্রকার
ত্রুটী না কর। যেহেতু মরিবার পরে মৃতের শরীরে বিষাক্ত ক্রিয়া সমধিক উন্নতি লাভ করে, এই হেতু যেন সকল লোক তাহার চারি পার্শ্বে সমবেত না হয়। দরকার মত দুই তিনজন লোক
তাহার খাটিয়া উঠাইবে, অবশিষ্ট সমস্ত দূরে অন্ততঃ একশত গজ ব্যবধানে দাঁড়াইয়া
জানাজা পড়িবে। যে গৃহ অধিক সস্কীর্ণ ও অন্ধকারময় হয় এবং উহার মধ্যে ভালরূপে বায়ূ ও
আলোক প্রবেশ করিতে না পারে, উহা অবিলম্বে ত্যাগ কর। যথাসাধ্য
গৃহ সমূহের ছাদগুলির উপর থাক, নিম্নের গৃহ হইতে পরহেয কর, নিজের কাপড়গুলি পরিস্কৃত রাখ এবং পয়ঃ নালাগুলি পরিস্কার করাইয়া লও।” (অসমাপ্ত)
*********************************************
কাদিয়ানী
রদ!
(পঞ্চম
ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে
আযম, বাহরুল উলূম,
ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল
মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীস,
মুফতীয়ুল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে
মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি
আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ”
কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত
পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ
সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার
হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে
তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে
প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।
(ধারাবাহিক)
এক্ষণে মির্জ্জা ভক্তদিগকে জিজ্ঞাসা করি, মির্জ্জা ছাহেব জাহেরি ছবরগুলি
অবলম্বন শেরক বলিয়া আবার লোকদিগকে উহা অবলম্বন করিতে আদেশ জারি করিতেছেন, ইহাতে
তিনি লোককে মোশরেক বানাইলেন কিনা?
মির্জ্জা ছাহেব লম্বা গলায় দাবি করিয়াছেন যে, তিনি খোদা হইতে এলহাম ও অহি প্রাপ্ত
হইয়া সমস্ত কথা বলিতেন,
এক্ষণে আমরা জিজ্ঞাসা করি, তাঁহার এই সমস্ত ভিন্ন ভিন্ন মত
কি এলহাম ও অহি ছিল,
না শয়তানি অছওয়াছা ছিল?
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস তিনি শয়তানি অছওয়াছাগুলিকে অহি ও এলহাম বলিয়া প্রকাশ করিয়া
বহু লোককে ভ্রান্ত করিয়াছেন। তাঁহার এলহাম ও অহির অসারতা ক্রমান্বয়ে জানিতে
পারিবেন।
মির্জা
ছাহেবের নিজের ডিক্রির দ্বারা
তাঁহার
সত্যতা ও অসত্যতার পরীক্ষা
তিনি দাফেয়োল-আছওয়াছের ২৩২
পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
ھمارا
صدق یا کذب جانچنے کے کئے ھماری پیشگوئی سے بزھکر اوڑ کوئی محک امتحان نھیں ھو سکتا.
“আমার সত্য মিথ্যা পরীক্ষার
জন্য আমার ভবিষদ্বাণী অপেক্ষা সমধিক মাপকাঠি আর কিছুই না।”
এক্ষণে আমি মির্জ্জা
ছাহেবের কয়েকটী ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখ করিয়া তাহার সত্য মিথ্যা হওয়ার প্রমাণ লোক
সমক্ষে প্রকাশ করিব।
মির্জ্জা ছাহেব ইংরাজি : ১৮৯৩ সালের জুন মাসে খৃষ্টান পাদরি মিষ্টার আবদুল্লাহ
আথামের সহিত তর্ক বাহাছ করার পরে ‘জঙ্গে মোকাদ্দাছ’ নামক এক
খন্ড কেতাব রচনা করেন। তিনি উহার ১৮৮ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন:-
اج
رات جو مجھہ پر کہلا وہ یہ ھے کہ جب میں نے بھت تضر ع اور ابتھال سے جناب الھی میں
دعا کی کہ تر اس امر میں فیصلہ کر اور ھم عاجز بندے ھیں تیرے فیصلہ کے سوای کچھہ نھیں
کر سکتے-.
(অসমাপ্ত)
******************************************************************
কাদিয়ানী রদ!
(পঞ্চম ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে
আযম, বাহরুল উলূম,
ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল
মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীস,
মুফতীয়ুল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে
মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি
আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ”
কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত
পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ
সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার
হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে
তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে
প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)। (ধারাবাহিক)
تو
اس نے مجھے یہ نشان بشارت کے طور پر دیا ھے کہ اس بحٹ میں دونوں فریقوں مین سے جو فریق عمدا جھوث کو اختیار کر رھا ھے
اور سچے خدا کو چھوڑ رھا ھے اور عاجز
انسان کو خدا بنا رھا ھے وہ انھی دنون مباحثہ کے لحاظ سے یعنی فی دن ایک مھینہ
لے کر یعنی
ہ
ا ماہ تک ھاویہ میں گرایا جاویگا اور اس کو
صخت ذلت پھنچے گی بشر طیکہ حق کی طرف
رجوع نہ کرے اور جو شخص سج پر ھے اور سچے خدا کو مانتا ھے اس کی عزت ظاھر ھوگی
اور اس وقت جب یہ پیسگوئی ظھور میں اوے گی بعض اندھے سو جاکھے کئے جاویں گے اور
بعض لنگڑے چلنے لگیں اور بعض بھرے سننے لکین کے.
*
“অদ্যরাত্রে আমার উপর কাশফ হইয়াছে যে, যখন আমি অতি বিনয় সহকারে রোদন পূর্বক আল্লাহ্ তায়ালার নিকট দোয়া করিলাম, (খোদা), তুমি এই বিষয়ে মীমাংসা কর এবং আমি অক্ষম বান্দা, তোমার মীমাংসা ব্যতীত কিছুই করিতে পারি না। তখন তিনি সুসংবাদরূপে আমাকে এই নিদর্শন প্রদান করিলেন যে, এই তর্ক বাহাছে উভয় দলের মধ্যে যে দল জ্ঞাতসরে মিথ্যা অবলম্বন করিতেছে, সত্য খোদাকে ত্যাগ করিয়া অক্ষম মনুষ্যকে খোদা বানাইতেছে, সে এই বাহাছের দিবসগুলির অনুপাতে অর্থাৎ প্রত্যেক দিবস একমাস ধরিয়া ১৫ মাসের মধ্যে হাবিয়াতে নিক্ষিপ্ত হইবে এবং সে কঠিন লাঞ্ছিত হইবে, কিন্তু শর্ত্ত এই- যদি সে সত্যের দিকে রুজু (প্রত্যাবর্ত্তন) না করে। আর যে ব্যক্তি সত্যের উপর আছে এবং সত্য খোদাকে মান্য করে, তাহার পক্ষে এই বাহাছে সম্মান প্রকাশ হইবে। আর যে সময় এই ভবিষ্যদ্বানী প্রকাশিত হইবে, তখন কতক অন্ধ চক্ষুষ্মান হইবে, কতক খঞ্জ চলৎশক্তি প্রাপ্ত হইবে এবং কতক বধির শ্রবণশক্তি পাইবে। (অসমাপ্ত)
**************************************************
খতমে নুবুওওয়াত প্রচার
কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত
অস্বীকারকারীরা কাফির
ইসলামী শরীয়তের হুকুম
মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে
নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই
ইত্যাদি)
(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময়
৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদ-)
কাদিয়ানী রদ!
(পঞ্চম ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে
আযম, বাহরুল উলূম,
ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল
মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীছ,
মুফতীয়ূল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে
মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি
আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ”
কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত
পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ
সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার
হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে
উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে
প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
(ধারাবাহিক)
এক্ষণে আমি
মির্জ্জায়িদিগকে জিজ্ঞাসা করি, যদি মিষ্টার আথাম সত্যের দিকে রুজু করিয়া থাকেন, তবে তিনি
প্রকাশ্য ভাবে তাহার সম্বন্ধে কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করিলেন কেন? তৎপরে
মিষ্টার আথাম মির্জ্জা ছাহেবের নির্ধারিত তারিখের ২৩ মাস পরে প্রায় ৭০ বৎসর বয়সে
মৃত্যুমুখে পতিত হন। অমনি মির্জ্জা ছাহেব ‘এস্তেহার এনয়ামি পানছত্ত রুপিয়া, ৭
পৃষ্ঠায়, আরবাইন ৩ নম্বর ১৩ পৃষ্ঠায় ও কিস্তিয়ে- নূহ, ৬ পৃষ্ঠায় প্রচার করিলেন-
উর্দূ কম্পোজ করতে হবে
“আমি তর্কের সময় প্রায় ৬০ জন লোকের
সাক্ষাতে বলিয়া ছিলাম যে,
আমাদের উভয়ের মধ্যে যে ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হয়, সে
প্রথমে মরিবে, কাজেই আথাম নিজের মৃত্যুর দ্বারা আমার সত্যতার প্রমাণ দিয়া গিয়াছেন।”
পাঠক, মির্জ্জা
ছাহেব ১৭ মাসের মধ্যে মরিবে স্থলে প্রথমে মরিবে লিখিলো, ইহা
জ্বলন্ত মিথ্যা কথা নহে কি?
মির্জ্জা ছাহেব একটি
মিথ্যা কথাকে এলহাম বলিয়া প্রকাশ করিয়া যখন উহা মিথ্যা দাবীতে পরিণত হয়, তখন
এইরূপ মিথ্যা কথা যো করিয়া লোকের চক্ষে ধুলি নিক্ষেপ করিয়া থাকেন।
(২) মির্জ্জা ছাহেব জমিমায়-আঞ্জামে
আথামের ৫৪ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন-
উর্দূ কম্পোজ করতে হবে
“স্মরণ রাখ, যদি এই
ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিতীয় অংশ (অর্থাৎ আহমদ বেগের জামতার মৃত্যু এবং মুহম্মদী বেগমের
সহিত মিজ্জ্র্া ছাহেবের নেকাহ) পূর্ন না হয়, তবে আমি (মির্জ্জা ছাহেব) সমস্ত
মন্দ লোক অপেক্ষা সমধিক মন্দ স্থিরীকৃত হইবে।” (অসমাপ্ত)
***************************************************
খতমে নুবুওওয়াত প্রচার
কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত
অস্বীকারকারীরা কাফির
ইসলামী শরীয়তের হুকুম
মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে
নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি)
(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময়
৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদ-)
কাদিয়ানী রদ!
(পঞ্চম ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে
আযম, বাহরুল উলূম,
ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল
মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীছ,
মুফতীয়ূল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে
মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি
আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ”
কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত
পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত
বাতিল ফিরকা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে উনার
কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য
লক্ষ্যণীয়।
(ধারাবাহিক)
আরও তিনি আঞ্জামে-আথামের
২২৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন,
উর্দূ কম্পোজ করতে হবে
“আমি ইহাকে (আহমদ বেগের মৃত্যু ও
মোহম্মদী বেগমের নেকাহকে) নিজের সত্য ও মিথ্যার মাপকাটি স্থির করিয়াছি, আমি
নিজের প্রতিপালক (খোদা) হইতে সংবাদ প্রদত্ত হওয়া ব্যতীত ইহা বলি নাই।”
মূলকথা. মির্জ্জা ছাহেব
আহমদ বেগের কন্যা মোহাম্মদী বেগমের প্রেমে মাতোয়ারা হইয়া মিথ্যা করিয়া এলহাম বলিয়া
প্রচার করেন যে, আছমানে খোদা তাহার সহিত আমার বিবাহ কার্য্য সম্পাদন করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে
দুনইয়ায় এই বিবাহের সম্বন্ধ করিতে বলিয়াছেন।
আরও আমার উপর এলহাম হইয়াছে
যে, যদি আহমদ বেগ তাহার কন্যাটি অন্যের সহিত বিবাহ দেয়, তবে
তাহার জামাতা আড়াই বৎসরের মধ্যে মরিয়া যাইবে এবং উক্ত কন্যা পুনরায় আমার সহিত
বিবাহিত হইবে। যদি এই দুই বিষয় সংঘটিত না হয়, তবে আমি সকল অপেক্ষা সমধিক মন্দ
এবং মিথ্যাবাদী। কিন্তু আহমদ বেগের জামাতা মরিল না, মোহম্মদী বেগম তাহার সহিত বিবাহিত
হইল না। মির্জ্জা ছাহেব মরিয়া গেলেন, কিন্তু আহমদ বেগের জামাতা ও কন্যা
সন্তান-সন্ততি সহ দীর্ঘকাল পর্যন্ত শান্তির সহিত জীবিত ছিলেন।
এক্ষণে মির্জ্জা ছাহেবের
নিজের মুখের দাবিতে তিনি সর্ব্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ও মিথ্যা-মছিহ প্রমাণিত হইলেন।
(৩) তিনি উক্ত আছমানি নেকাহ
সম্বন্ধে আঞ্জামে-আথামের ৫৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছে;
উর্দূ কম্পোজ করতে হবে
(অসমাপ্ত)
*****************************************
আবা-১১,১১২,১১৩,১২০, ১২১