কাদিয়ানী রদ! (১)
( পঞ্চম
ভাগ )
(কুতুবুল
ইরশাদ, মুবাহিছে
আযম, বাহরুল
উলূম, ফখরুল
ফোক্বাহা, রইছুল
মুহাদ্দিসীন, তাজুল
মুফাসসিরীন, হাফিজে
হাদীস, মুফতীয়ে
আজম, পীরে
কামিল, মুর্শিদে
মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি
আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী
রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল
ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়।
আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব
থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে
প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।
(ধারাবাহিক)
এজালায় আওহায়, ১৯৫
পৃষ্ঠা-
ان ایات کے روحانی طور پر یہ معنی بھی کر سکتے بیں کہ مٹی کی چژیوں سے مراد وہ امی اور ناد ان لوگ بیر جن کو حضرت عیسی نے اپنا رفیق بنایا.
“আমি এই আয়াতগুলির আধ্যাত্মিক
অর্থ এইরূপ করিতে পারি যে,
মৃত্তিকার পক্ষীগুলির অর্থ নিরক্ষর ও অজ্ঞ লোক সকল যাহাদিগকে (হযরত) ইছা
আলাইহিস্ সালাম নিজের সহচর বানাইয়াছিলেন।”
মির্জ্জা
ছাহিব কোন-আন শরিফের স্পষ্ট শব্দগুলির মিছমেরিজম, তালাবের মৃত্তিকা, কাষ্টের কল, সাধারণ
খেলার জিনিষ, ঘৃণার্হ
কার্য্য, সামান্য
কার্য্য, নিরক্ষর
ও অজ্ঞলোক এইরূপ বাতীল ব্যাখ্যা প্রকাশ করিয়াছেন, এরূপ ভিন্ন ভিন্ন বতীল মৃত্যুকি
আছমানি এলহাম কিম্বা মোজাদ্দেদ ও নবির মত বলিয়া গণ্য হইতে পারে?
(১০)
দাজ্জালের সম্বন্ধে তাহার বিপরীত বিপরীত মত।
ফৎহে-ইছলাম ৭ পৃষ্ঠা;-
ھر ایک حق پوش دجال دنیا پرست
“প্রত্যেক
সত্য গোপনকারী দুনিয়াদার দাজ্জাল হইবে।”
এজলায়-আওহাম, ১৩৪ পৃষ্ঠা;-
دجال سے مر اد با اقبال قومین ھون اور گدھا ان کا یھی ریل ھے.
“দাজ্জালের
অর্থ উন্নত জাতি সকল এবং তাহাদের গর্দ্দভ এই রেলগাড়ি।”
উক্ত
কেতাব, ২৮০
পৃষ্ঠা;-
اس رمانے کے پادریون کے مانند کوئی دجال پیدا قھین ھوا.
“এই
জামানার পাদরিদিগের তুল্য কোন দাজ্জাল পয়দা হয় নাই।” আরও
১৬৫ পৃষ্ঠা;-
مجھے اسمین کچھہ بھی شک نھین کہ مسیح دجال یھی ابن میاد ھے.
“আমার
ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে,
মছিহ দাজাল এই এবনো-ছাইয়াদ ছিল।”
মির্জ্জা
ছাহিব দাবি করিয়াছেন যে,
হজরত নবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দার্জ্জালের অবস্থা ভালরূপে বুঝিতে
পারেন নাই। এক্ষণে মির্জ্জা ভক্তদিগকে জিজ্ঞাসা করি, আপনাদের গুরু দার্জালের অবস্থা
ভালরূপে বুঝিয়াছিলেন কি?
এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন মর্ম্ম কি এলহামি মত? য (অসমাপ্ত)
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক
পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক কাদিয়ানীদের “কাফির” ঘোষণা! (২)
অনুবাদক- আলহাজ্ব মুহম্মদ
হাবিবুল হক
অনুচ্ছেদ-
২০ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল এবং ধর্ম প্রচারের অধিকারও এর উপর
নির্ভরশীল।
ইতোঃপূর্বেই
মির্জার নিজেকে মুজাদ্দিদ ও আল্লাহ্ পাক উনার মনোনীত ব্যক্তি দাবীর ঐতিহাসিক
পর্যালোচনা থেকে জানা যায় যে, ঐ সময় ভারত উপমহাদেশের মুসলমানরা অস্বস্তিতে ভুগছিলেন। তারা
আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে,
এটা তার নবী দাবীর প্রথাম পর্যায়। মির্জা তাৎক্ষনিকভাবে তা প্রত্যাখ্যান
করেছিলো যে রসূল মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে, শেষ নবী, তিনি এতে
দৃঢ় বিশ্বাসী এবং তার মতে কেউ নবী দাবী করলে সে কাফির।
মুসলমানদের
মধ্যে এই অস্বস্তি ও অসন্তোষ এবং বৈরিতা বৃদ্ধি পায় ১৯৮০ সালে, যখন
প্রতিশ্রুত মসীহ্ এবং মেহেদী দাবী করে। মির্জার পুস্তকাদি এবং অন্যান্য
কাদিয়ানীদের লিখা থেকে জানা যায় যে, বিভিন্ন শহরে তার (মির্জার)
উপস্থিতির সময় মুসলমানগণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। আলিম সমাজও খুবই উত্তেজিত ছিলেন।
এই উত্তেজনা চরমে উঠে যখন মির্জা ১৯০১ সালে স্পষ্টভাবে নবী দাবী করে।
পাকিস্তান
প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এই ইসূর উপর এরূপ আন্দোলন হয়েছে যে, নিয়ন্ত্রণের
জন্য ১৯৫৩ সালে সামরিক শাসন জারী করতে হয়েছিলো। যদিও উলামা সমাজ দ্বারা উপস্থাপিত
মুসলমানদের ২২ দফা কর্মসূচী সম্বলিত কাদিয়ানীদের কাফির ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়
হিসেবে সংবিধানে উল্লেখের দাবী কৃতকার্য হয়নি।
মার্শাল
“ল” জারী থাকা
সত্ত্বেও আন্দোলন চলছিলো যতক্ষণ না আইন সভায় ও জাতীয় সংসদে মুসলমান প্রতিনিধিরা
সংবিধানের ১৯৭৪ বিধি (২য় সংশোধনী) অনুমোদন করেছিলেন। কাদিয়ানীদের প্রধান মির্জা
নাসিরের মাধ্যমে তাদের সম্বন্ধে শুনানির পর
১৯৭৩ সালের সংবিধানের আর্টিকেল ২৬০-এর সাথে এক সংজ্ঞার্থ সংযুক্ত করে ঘোষণা
করা হয় যে, কাদিয়ানীদের
দুটি পরিচিত দলকেই কাফির ঘোষণা করা হয় এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের একটি সংশোধনীর
মাধ্যমে কাদিয়ানীদের পাকিস্তানের অন্যান্য সংখ্যালুঘু সম্প্রদায়ের মতই অবস্থান
নির্ধারণ করা হয়। যেমন,
খৃষ্টান, পার্শিয়ান, হিন্দু
ইত্যাদি।
এই
ঘোষণার ফলে যা ছিল মুসলমানদের ঐক্যমতের দাবীর ফল, কাদিয়ানীদের জন্য নিজেদের মুসলমান
বলা বা তাদের ধারণায় যা সঠিক ইসলাম তাপ্রচার করা সম্ভব ছিলোনা। কিন্তু তারা
সাংবিধানিক সংশোধনীর প্রতি কোন সম্মান প্রদর্শন করেনি এবং তাদের বিশ্বাসকে ইসলাম হিসেবেই
প্রচার করে যাচ্ছিল। তারা তাদের ধর্মকে স্বাধীনভাবে পুস্তক, সাময়িকী
ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করে যাচ্ছিল। তারা ব্যক্তিগতভাবেও মুসলানদের মধ্যে তাদের
মতবাদ প্রচার করে যাচ্ছিলো। যার ফলে অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছিলো এবং আইন-শৃঙ্খলার
পরিপন্থী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো- এই অধ্যাদেশ অনুমোদন এবং প্রয়োগ না হওয়া
পর্যন্ত। এ সকল পরিস্থিতিতে প্রতীয়মান হয় যে, অধ্যাদেশটি
আর্টিকেল- ২০ ব্যতীত ঠিক আছে যেহেতু এটা আইন-শঙ্খলা রক্ষা সাপেক্ষে। উপরোক্ত কারণসমূহের জন্য দুটি আবেদনই গ্রহণীয়
নয় এবং বাতিল ঘোষণা করা হলো।
এই
রায় শেষ করার পূর্বে মিঃ মুজিবুর রহমান আবেদনকারী এবং মিঃ রিয়াজুল হাসান জ্বিলানী
এডভোকেট ফেডারেল গভর্ণমেন্টকে আমাদের বিচার কাজে সহযোগীতায় বিশেষ উপলব্ধির উল্লেখ
নথিভুক্ত করতে চাচ্ছি। মিঃ জ্বিলানীর মামলা পরিচালনা ও উপস্থাপনা ছিল প্রশংসনীয়। য
(সমাপ্ত)
{বিঃ দ্রঃ ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক
পাকিস্তানের ফেডারেল শরীয়ত ও সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক যে রায়ে কাদিয়ানীদের কাফির
হিসেবে ঘোষণা করা হয় মাসিক আল বাইয়্যিনাতের ১৩তম সংখ্যা হতে সুষ্ঠ ও সূচারুরূপে
ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আল্লাহ্ পাক উনার অসীম রহমতে বর্তমান ১০১তম
সংখ্যায় তা সমাপ্ত হলো।
-অনুবাদক}
**************************************
খতমে নুবুওওয়াত প্রচার
কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত
অস্বীকারকারীরা কাফির
ইসলামী শরীয়তের হুকুম
মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত
হয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই
ইত্যাদি)
(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময়
৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদ-) কাদিয়ানী
রদ! (১) ( পঞ্চম ভাগ )
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে
আযম, বাহরুল উলূম,
ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল
মুফাসসিরীন, হাফিজে হাদীস,
মুফতীয়ে আজম, পীরে কামিল, মুর্শিদে
মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি
আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ”
কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত
পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ
সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার
হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে
তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে
প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।
(ধারাবাহিক) যদি এবনো-ছাইয়াদ দাজ্জাল হয়, তবে দাজ্জাল গত হওয়ার ১৩শত বৎসর
পরে কিজন্য আপনাদের মছিহ আসিলেন? আর যদি পাদরিগণ দজ্জাল হয়, তবে আপনাদের মছিহ গোরবাসি হইলেন, কিন্তু
দজ্জালের বিনাশ সাধন হইয়াছে কি? (১১)
দাব্বাতোল-আরজ সম্বন্ধে মির্জ্জা ছাহেবের মতভেদ;- এজলাতোল-আওহাম,
২৮৬ পৃষ্ঠা;-
ایک
گروہ دابۃ الارض کا زمین میں سے نکالیں گے وہ گروہ متکلمین کا ھوگا جو اسلام کی
حمایت میں تمام ادیان باطلہ پر حملہ کریگا یعنے وہ علما ء ظاھر ھونگے جن کو علم کللام
اور فلسفہ مین ید طولی ھوکا وہ جابجا اسلام کی حما یت میں کھڑے ھو جائیں کے.
“একদল দাব্বাতোল-আরজ জমি হইতে বাহির হইবে, তাহারা আকায়েদ তত্ববিদ দল হইবে
যাহারা ইছলামের সহায়তা কল্পে সমস্ত বাতীল ধর্ম্মের উপর আক্রমণ করিবেন অর্থাৎ
জাহেরি এলমের আলেমগণ যাহাদের আকায়েদ ও ফিলোছোফিতে সমধিক অধিকার থাকে, তাহারা
স্থানে স্থানে ইছলামের সহায়তায় দন্ডায়মান হইবেন।” আরও ২৮৯ পৃষ্ঠা;-
ایسا
ھی دابت الارض یعنے وہ علماء واعظین جو اسمانی قوت اپنے اندر نھیں رکھتے
“এইরূপ দাব্বাতোল-আরজ ওয়াজকারী
আলেমগণ-যাহারা নিজেদের মধ্যে আছমানি শক্তিরাখেন না।” নজুলোল-মছিহ,
৩৯ পৃষ্ঠা;-
یہ
طا عون کا کیڑا ھے اور خدا تعالی نے اس کا نام دابۃ الارض رکھا
“ইহা প্লেগের কীট,
আর খোদাতায়ালা ইহার নাম “দাব্বাতোল আরজ রাখিয়াছেন।” হযরত নবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বযং
দাব্বাতোল-আরজের ব্যাখ্যা করিয়াছেন, কিন্তু মির্জ্জা ছাহেব তাহা অমান্য
করিয়া কল্পিত ব্যাখ্যা করিয়াছেন, এক্ষণে আমি মির্জ্জা ভক্তদিগকে জিজ্ঞাসা করি, ইহাত
কেয়ামতের চিহ্ন, কিন্তু আকায়েদ তত্ত্ববিদগণ ও ওয়াএজগণ ১৩শত বৎসর হইতে আছেন, প্লেগ
সেই সময় হইতে প্রকাশিত হইয়াছে, তবে দাব্বতোল-আরজের এইরূপ ব্যাখ্যা ঠিক হইবে কিরূপে? য
(অসমাপ্ত)
*******************************************
খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির
ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত
অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি)
(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি
মৃত্যুদণ্ড)
কাদিয়ানী রদ! (১)
(পঞ্চম ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে
আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল
ফুক্বাহা,
রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজুল
হাদীস, মুফতীয়ুল আযম, পীরে
কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ সূফী শায়খ
মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা
(৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ
করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে
সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের
প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা
হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা
পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।
(ধারাবাহিক)
(১২) মে’রাজ সম্বন্ধে মির্জ্জা ছাহেবের ভিন্ন ভিন্ন মত;- হামামাতোল-বোশরা;-
فقد عرج
رسول الله صلى الله عليه وسلم بجسمه الى السماء وهو يقظان لاشك فيه ولا ريب.
“নিশ্চয়
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চৈতন্যাবস্থায় সশরীরে আছমানের দিকে মে’রাজে গমণ করিয়াছিলেন, ইহাতে
কোন প্রকার সন্দেহ নাই।” এজালায়-আওহামের ৯৪ পৃষ্ঠার হাসিয়া;-
سیر
معراج اس جسم کثیف کے ساتھہ نھیں تھا بلکہ وہ نھایت اعلی درجہ کا کشف تھا.
“মেরাজের
ভ্রমণ এই অনুজ্জল শরীরের সহিত ছিল না, বরং
ইহা অতি উচ্চ ধরণের কাশফ ছিল।মির্জ্জা ছাহেব সুবিধাবাদী ছিলেন, যখন তিনি মক্কা শরিফে পত্র লিখিয়াছিলেন, তখন তথাকার লোকদের মন আকর্ষণ করার জন্য প্রথমোক্ত মত প্রকাশ
করিয়াছিলেন। আর যখন দেখিলেন যে, হযরত
নবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মে’রাজে
গমণ করিতে সক্ষম হইলে, হযরত ইছা আলাইহিস্ সাল্লাম
কেন আছমানে যাইতে পারিবেন না, ইহাতে
মির্জ্জা ছাহেবের মছিহিএত বাতীল হইয়া যায়, তখন
বলিয়াছিলেন,
হজরতের মে’রাজ কাশ্ফ ছিল। (১৩)
এমাম মাহদী সম্বন্ধে মির্জ্জা ছাহেবের ভিন্ন ভিন্ন মত। এজালায় আওহাম, ২৬৬
পৃষ্ঠা;-
لیکن
محقیقین کے نزدیک مھدی کا انا کوئی یقینی امر نھیں ھے.
“কিন্তু সূক্ষ্মতত্ত্ববিদ বিদ্বানগণের মতে মাহদীর আগমণ কোন
নিশ্চিত বিষয় নহে।” হকিকাতোল-মাহদী, ২০
পৃষ্ঠা;-
ان
الاحاديث التى جائت فى المهدى الغازى المحارب من نسل الفاطمة الزهراء كلها ضعيفة
مجروحة.
“নিশ্চয় যোদ্ধা, গাজী ফাতিমি বংশধর মাহদীর সম্বন্ধে যে হাদিছগুলি আসিয়াছে, তৎসমূদয় জইফ দোষাম্বিত।” যে সময় হাদিছ উল্লিখিত লক্ষণগুলি মির্জ্জা ছাহেবের মধ্যে না পাওয়ার প্রশ্ন হইতেছিল, সেই সময় তিনি উক্ত ছহিহ হাদিছ গুলি জইফ বলিয়া ঘোষণা করিয়াছিলেন। য (অসমাপ্ত)
**************************************************
খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির
ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়
(যেমন- কাদিয়ানী,
বাহাই ইত্যাদি)
(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি
মৃত্যুদ-) কাদিয়ানী রদ! (১) ( পঞ্চম ভাগ )
(কুতুবুল ইরশাদ,
মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল
ফোক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন,
তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজে হাদীস, মুফতীয়ে
আজম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন
রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা
(৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ
করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে
সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের
প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা
হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।
(ধারাবাহিক)
আবার যখন নিজে মাহদী হওয়ার দাবি করিলেন, তখন ‘মজুলোল-মছিহ’ কেতাবের
৭ পৃষ্ঠায় লিখিলেন;-
یہ گواھی زہ صرف سنیوں کی
کتاب دار قطنی میں درج ھے بلکہ شیعوھ کی کتاب اکمال الدین نے بھی جو نھایت معتبر
سمجھی جاتی ھے. یھی حدیث کسوف وخسوف کی مھدی علامت لکھی ھے مگر پھر ان لوگوں نے صریح
بی ایمانی سے اس کو بھی رد کر دیا. کیا با وجود اتفاق دو فرقرں کے پھر یہ حدیث صحیح نھیں؟
এই প্রমাণ কেবল ছুন্নিদিগের দারকুৎনি কেতাবে সন্নিবেশিত আছে, তাহা নহে, বরং
শিয়াদের অতি বিশ্বাসযোগ্য একমালোদ্দীন কেতাবে এই সূর্য্য ও চন্দ্রগ্রহণের হাদিছটা
মাহদীর চিহ্ন বলিয়া লিখিত আছে, কিন্তু ইহা সত্ত্বেও ইহারা স্পষ্ট বে-ইমানি করিয়া এই
হাদিছটা রদ করিয়া দিয়াছে,
উভয় সম্প্রদায়ের একমতে গৃহীত হওয়ার সত্ত্বেও এই হাদিছটা
ছহিহ নহে কি?
এক্ষণে মির্জ্জা ভক্তদিগকে জিজ্ঞাসা করি, যে মুখে মাহদী সংক্রান্ত
হাদিছগুলি জইফ বলিয়া প্রচারিত হলি, আবার সেই মুখে উক্ত হাদিছ ছহিহ
হলি, বরং যে ব্যক্তি ইহা জইফ বলিবে, সেই বে-ইমান হইবে, এক্ষণে
াপনাদের মির্জ্জা ছাহেবের উপর কি ফৎওয়া জারি করিবেন?
(১৪) হযরত ইছা আলাইহিস সালাম-এর পয়দা এশের সম্বন্ধে মির্জ্জা ছাহেবের ভিন্ন
ভিন্ন মত;-
মাওয়াহেবোর রহমান,
৭৬ পৃষ্ঠা;-
وكذك تود عيسى من دون الاب.
“এইরূপ ইছা আলাইহিস সালাম বিনা পিতা পয়দা হইয়াছিলেন।”
এজালায়-আওহাম,
১৯৫ পৃষ্ঠা;-
حضرت مسیح ابن مریم اپنے
باپ یوسف کے ساتم نجاری کا گام بھی کرتے تھے.
“হযরত মছিহন বেনে মরয়েম নিজের পিতা ইউছফের সহিত করাতিগিরি করিতেন”
কাদিয়ানিদিগকে জিজ্ঞাস করি, এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন মত কি এলকামি হইতে পারে? (অসমাপ্ত)
******************************************
খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির
ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি)
(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি
মৃত্যুদণ্ড)
কাদিয়ানী রদ! (১)
(পঞ্চম ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীস, মুফতীয়ুল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল
আল্লামা মাওলানা শাহ্ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক
প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল
ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়।
আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব
থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার
ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)। (ধারাবাহিক)
(১৫)
কিস্তিয়ে-নূহ, ৭৫ পৃষ্ঠা;-
قران شریف نے عیسائیت کی ضلالت کو دنیا کی ضلالتون م اول درجہ
پر شمارکیا ھے اور فرمایا ھے کہ قریب ھے کہ
اسمان وزمین پوٹ جائین اور ٹکرے ٹکرے ھوجائین کہ زمین پر ایک بڑا گناہ کیا گیا کہ
انسان کو خدا اور خدا کا بیٹا بنایا.
“কোর-আন শরিফ দুনইয়ার পথভ্রম সমূহের মধ্য হইতে খৃষ্টানদিগের পথভ্রমকে প্রথম
শ্রেণী গণনা করিয়াছে এবং এরশাদ করিয়াছে যে, আছমান ও জমি বিদীর্ণ ও খন্ড খন্ড হওয়ার উপক্রম হইয়াছে, যেহেতু জমিনের উপর এই বৃহৎ গোণাহ অনুষ্ঠিত হইয়াছে যে, মনুষ্যকে খোদা ও খোদার পুত্র বানাইয়া লইয়াছে।” আইনায়-কামালাতে
ইছলাম,
৪৪৯ পৃষ্ঠ;-
رايتنى فى المنام عين الله وتيقنت انى هو
“আমি স্বপ্নযোগে নিজেকে স্বয়ং খোদা দেখিলাম এবং বিশ্বাস করিলাম যে, নিশ্চয় আমি উক্ত খোদা।” হকিকাতোল-অহি, ৮৬ পৃষ্ঠা;- انت منى بمنزله ولدى “তুমি আমার পুত্রের তুল্য।” আলবোশরা ১ম খন্ড, ৪৯ পৃষ্ঠা;- اسمع ولدى “তুমি শুন, হে আমার পুত্র।” মির্জ্জা
ছাহেব খোদা ও খোদার পুত্র হওয়ার দাবি শ্রেষ্ঠতম গোমরাহি ও খ্রীষ্টানদিগের মত বলিয়া
উল্লেখ করিয়াছেন, আবার তিনি নিজে
খোদা ও খোদার পুত্র হওয়ার দাবি করিয়াছেন। ১৬। সৎবচন, ৫৮ পৃষ্ঠা;-
عيسائيور كى انجيل محرف مخرب مين.
“খ্রীষ্টানদিগের
পরিবর্ত্তিত ও বিনষ্ট ইঞ্জিলে।” চশমায়-মছিহি, ১২।১৩ পৃষ্ঠা;-
جن کتابوں کا نام عیسائی لوگ
تاریخی کتاب یا اسما نی وحی کھتے ھین
یہ تما م بے بنیاد باتیں ھیں جن کا کو ئی ثبوت نھیں.
“খ্রীষ্টানেরা যে কেতাবগুলিকে ঐতিহাসিক কেতাব কিম্বা আছমানি অহি বলিয়া থাকেন, এই সমস্ত অমূলক কথা, তৎসমস্তের কোন প্রমাণ নাই।” য (অসমাপ্ত)
আবা-১০১,১০২,১০৩,১০৪,১০৫
0 Comments:
Post a Comment