কাদিয়ানি রদ -২৯

 


কাদিয়ানী রদ! (১)

(পঞ্চম ভাগ)

          (মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজে হাদীস, মুফতীয়ে আজম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত কাদিয়ানী রদকিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।

(ধারাবাহিক)

আরও উক্ত কেতাব, ১৪৬ পৃষ্ঠা ঃ-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

          ‘‘আমি কখনও এরূপ দাবি করি নাই যে, আমিই মছিহ বেনে মরয়েম, যে ব্যক্তি এই দোষ আমার উপর আরোপ করে, সে স্পষ্ট অপবাদকারী ও মিথ্যাবাদী, বরং আমার পক্ষ হইতে সাত আট বৎসর হইতে অনবরত ইহা প্রচারিত হইতেছে যে, আমি ইছা আলাইহিস্ সালাম-এর মছিল হইতেছি- অর্থাৎ  ইছা আলাইহিস্ সালাম-এর প্রকৃতির কতক রূহানি গুণ, স্বভাব চরিত্রাবলী খোদা আমার প্রকৃতির মধ্যে স্থাপন করিয়াছেন।’’

আঞ্জামে- আথাম৫৯ পৃষ্ঠা ঃ-

الله الذى جعلك المسيح ابن مريم.

আল্লাহ তোমাকে মছিহ বেনে মরয়েম করিয়াছেন।

          হকিকাতোল-মছিহ১৭৯ পৃষ্ঠা ঃ-

 উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

          ‘‘দ্বিতীয় কাফেরী যথা-- সে ব্যক্তি প্রতিশ্রুত মছিহকে (মির্জ্জা ছাহেবকে) মান্য না করে এবং প্রমাণ পূর্ণ করার পরেও তাহাকে মিথ্যাবাদী জানে-- যাহার মান্য করা ও সত্যবাদী জানা সম্বন্ধে খোদা ও রাছুল তাকিদ করিয়াছেন।

মির্জ্জা ছাহেবের এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন মতের মধ্যে কোন্টী সত্য?

(৭) ডাক্তার আবদুল হাকিম ছাহেবের তফছিরোল- কোর-আন বেল-কোর-আন সম্বন্ধে মির্জ্জা ছাহেবের ভিন্ন ভিন্ন মতঃ (অসমাপ্ত)

 

ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক

কাদিয়ানীদের কাফিরঘোষণা! (২)

অনুবাদক- আলহাজ্ব মুহম্মদ হাবিবুল হক

 

(ধারাবাহিক)

          হাদীস শরীফে মসজিদকে মুসলমানদের এক শেয়ার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যা আযানের আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে মসজিদ ছিল সেখানে হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর কারণ মসজিদ ইসলামের একটি স্পষ্ট লক্ষণ (ংযরধধৎ- شعار) যে ব্যক্তি এখানে নামায আদায় করে তাকে মুসলমান ধরে নেয়া হয় যদি অন্য কিছু প্রমাণ না হয়।

নিম্নে উল্লেখিত আয়াতসমূহ উপরোক্ত সমস্যার সমাধানঃ সূরা-৯, আয়াত শরীফ-১৭

ما كان للمشركين ان يعمروا مسجد الله شهدين على انفسهم بالكفر اولئك حبطت اعمالهم وفى النار هم خلدون.

অর্থঃ-মুশরিকরা যোগ্যতা রাখেনা আল্লাহ্ পাক-এর মসজিদ আবাদ করার। যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরীর স্বীকৃতি দিচ্ছে। এদের আমল বরবাদ এবং এরা স্থায়ীভাবে আগুনে বসবাস করবে।

সূরা- ৯, আয়াত শরীফ নং ১৮

انما يعمر مسجد الله من امن بالله واليوم الاخر واقام الصلوة واتى الزكوة ولم يخش الا الله فعسى اولئك ان يكونوا من المهتدين.

অর্থঃ- নিঃসন্দেহে তাঁরাই আল্লাহ্ পাক-এর মসজিদ আবাদ করবেন যারা ঈমান এনেছেন আল্লাহ্ পাক-এর প্রতি এবং কায়েম করেছেন নামায ও আদায় করেছেন যাকাত। আর আল্লাহ্ পাক ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করেননি। অতএব আশা করা যায় তারা হিদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবেন।

          একটি মত পার্থক্য আছে যে, কাফির বা মূর্তিপূজকরা মসজিদ নির্মাণ করতে পারবে কিনা এবং তাতে প্রবেশ করতে পারবে কিনা? মসিজদ নির্মাণের প্রশ্নে গ্রহণীয় মত হল যদিও কাফির দ্বারা নির্মিত হয়, এটা মুসলমানদের ইবাদত করার উপযোগী করে তৈরী করতে হবে। তবে মসজিদে প্রবেশাধিকার সম্বন্ধে মত পার্থক্য রয়েছে। মালেকী এবং হাম্বলী মাযহাব মতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। শাফী মাযহাব মতে প্রবেশাধিকার আইনানুগ ব্যবস্থাপনার অনুমতি সাপেক্ষ্য তবে মসজিদুল হারাম ব্যতীত। হানাফী মাযহাব মতে, মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে।

          আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ্ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুনাফিকদের মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছিলেন।

          হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, “এক শুক্রবার আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নসীহত করছিলেন তখন কিছু লোককে তাদের নাম ধরে ডেকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে আদেশ দেন। কারণ তারা ছিল মুনাফিক।” (ঐুঢ়ড়পৎরঃবং) (রুহুল মায়ানী, আলুসি, ভলিউম-২ পৃষ্ঠা/১০)

          খ্যাতিমান কাদিয়ানী স্যার জাফরউল্লাহ্ খানের মতানুযায়ী এই আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। সে বলেছে, “যদি আহমদীরা কাফির হয় তবে মসজিদের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই।” (তাহদিস-ই-নিয়ামত/১৬২)

          সে সঠিক প্রস্তাবই পেশ করেছিলেন। অর্ডিনেন্সটিও তাদের উপাসনালয়কে মসজিদ নাম করণ বা বলা থেকে বিরত করেছে। এটা শরীয়ত অনুযায়ী অবৈধ নয়। বরং এটা শরীয়তের উদ্দেশ্যকে অগ্রসর করায়। মুসলমানদের অন্য ধর্মে পরিবর্তিত করার নীতির প্রেক্ষিতে ইসলামী রাষ্ট্রে অন্য ধর্মের প্রচারের সুযোগ সীমালঙ্ঘন করতে পারেনা। (অসমাপ্ত)

***************************************************************************************

কাদিয়ানী রদ! (১)

(পঞ্চম ভাগ)

 

(মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহ, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিযে হাদীস, মুফতীয়্যূল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত কাদিয়ানী রদ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষায়র সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।

মির্জ্জা ছাহেব প্রথমে বলিয়াছে-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

তফছির অতি উৎকৃষ্ট, ইনি মিষ্টভাষী, কুরআন শরীফ উনার নিগুঢ়তত্ত্ব খুব বর্ণনা করিয়াছেন, উহা অন্তর হইতে বাহির হইয়াছে এবং অন্তর সমূহে আছর করিয়া থেকে।

যখন ডাক্তার আব্দুল হাকিম ছাহেব মির্জ্জা ছাহেবের মছিহ হওয়ার কথা নিজের তফছিরে লিখিয়াছিলেন, তখন মির্জ্জা ছাহেব উপরোক্ত প্রকার প্রশংসা করিয়াছিলেন, কিন্তু যখন তিনি উনাকে মিথ্যাবাদী ধারণা করিয়া তাহার কথা তফছির হইতে লোপ করিয়া দিলেন, সেই সময় মির্জ্জা ছাহেব ১৯০৬ সালের ৭ই জুন তারিখের বদর পত্রিকায় লিখিয়াছেন-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

যদি আব্দুল হাকিমের পরহেজগারি টিক হইত, তবে সে কখনও তফছির লিখিবার নাম লইত না, কেননা সে উহার উপযুক্ত নহে, তাহার কুরআন শরীফ উনার তফছিরে একবিন্দু আত্মিক ভাব নাই, জাহেরি এলমে তাহার কোন অংশ নাই। আমি তাহার তফছির কখনও দর্শন করি নাই।

মির্জ্জা ছাহেব ডাক্তার ছাহেবের তফছির না দেখিয়া দুই প্রকার ভিন্ন ভিন্ন মত কিরূপে প্রকাশ করিলেন?

(৮) হযরত মছিহ আলাইহিস সালাম উনার সম্বন্ধে মতভেদ- হকিকাতোল-অহি ১৫০ পৃষ্ঠা :-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

আমি ইহাও দেখিতেছি যে, এবনো হযরত মরয়িম আলাইহাস সালাম হযরত মুছা আলাইহিস সালাম উনার শেষ খলিফা, আর আমি এই শ্রেষ্ঠতম রাসূল ও নবী উনার শেষ খলীফা,. এই হেতু খোদা ইচ্ছা করিয়াছেন যে, আমাকে তাঁহা অপেক্ষা কম না করেন।

ইহাতে মির্জ্জা ছাহেব হযরত মছিহ আলাইহিস সালাম উনার তুল্য হওয়া দাবি করিয়াছেন। (অসমাপ্ত)

 

ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক

কাদিয়ানীদের কাফির ঘোষণা! (২)

অনুবাদক- আলহাজ্জ মুহম্মদ হাবিবুল হক

 

(ধারাবাহিক)

মুসলমানদের অন্য ধর্মে পরিবর্তিত করার নীতির প্রেক্ষিতে ইসলামী রাষ্ট্রে অন্য ধর্মের প্রচারের সুযোগ সীমা লঙ্ঘন করতে পারেনা। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- পবিত্র সূরা মুবারক ৫; আয়াত শরীফ-৫৪-

يايها الذين امنوا من يرتد منكم عن دينه فسوف ياتى الله بقوم يحبهم ويحبونه اذلة على المؤمنين اعزة على الكفرين ....

অর্থ: হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে যে নিজ ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে মহান আল্লাহ পাক তিনি এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি মুহব্বত করবেন এবং উনারা উনাকে মুহব্বত করবেন। উনারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-ন¤্র হবেন এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর হবেন। উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে জিহাদ করবেন এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবেননা। এটি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্য দানকারী মহাজ্ঞানী...।

পবিত্র সূরা মুবারক ২; আয়াত শরীফ-২১৭-

ومن يرتدد منكم عن دينه فيمت وهو كافر فاولئك حبطت اعمالهم فى الدنيا والاخرة واولئك اصحب النار هم فيها خلدون.

অর্থ: তোমাদের মধ্যে যারা নিজের ধর্ম থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সকল আমল নষ্ট হয়ে যাবে। আর তারা হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।

এই প্রশ্নের দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন নেই। কারণ এটা প্রত্যেক ধর্মেরই একটি প্রতিষ্ঠিত বিষয় যে, কোন ব্যক্তির ধর্ম পরিবর্তন করাকে সমধর্মীরা কখনও শত্রুতা ছাড়া কিছু মনে করেনি।

এই বিষয়ে একটি নজীর হলো- নি¤œবর্ণ হিন্দুদের সম্মিলিতভাবে ইসলাম গ্রহণে হিন্দু ও তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ক্ষমতাধরদের বিরোধীতা। এটা যুক্তিসংগত কারণ যে, এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে অপসারণ, সেই ধর্মীয় সমাজ নানা অংশে বিভক্ত করার একটি শক্তি। কাদিয়ানীদের প্রচারমূলক বর্ণনায়ও উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম থেকে কাদিয়ানী ধর্ম গ্রহণ করলো এবং পুনরায় ইসলাম ধর্মে ফিরে গেল উনাকে মুরতাদ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এটাই বিশ্বাস করতে হবে যে, অমুসলিমদের মত তাকেও জাহান্নামের আযাব ভোগ করতে হবে। নাউযুবিল্লাহ!

এই অবস্থার প্রেক্ষিতে এটা বলা মুশকিল যে, ইসলাম অমুসলিমদের মৌলিক অধিকার হিসেবে মুসলমানদের মধ্যে নিঃশর্তে তাদের ধর্ম প্রচারে কতটুকু ছাড় দেয়। ইসলামের ইতিহাসে এরকম নজির উল্লেখ করা হয়েছে যে, খলীফা বা বাদশাহদের দরবারে কোন ধর্ম অধিকতর ভাল তা ধর্মীয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে। মুসলিম এবং অমুসলিম ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা উক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু ঐ উদাহরণ সমূহদ্বারা মুসলমানকে অন্য ধর্মে পরিবর্তনের প্রচার অতীতের নজীর থেকে কার্যকর করা যাবেনা।

ইসলামী রাষ্ট্রে মুসলমানদের মধ্যে অমুসলিমদের ধর্ম প্রচার বাস্তবায়নে যুক্তি বলিষ্ঠ করার প্রেক্ষিতে মিঃ মুজিবুর রহমান সরাসরি কুরআন শরীফ উনার আয়াত শরীফ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ বা ফতওয়ার উপর আস্থা সহকারে নির্ভর করেনি।

তিনি বলেন, কুরআন শরীফ অনুযায়ী ধর্ম প্রচার অবশ্য কর্তব্য এবং যা দ্বারা বুঝা যায় যে, অমুসলিমদেরও তাদের ধর্ম প্রচার অবশ্য কর্তব্য।

তিনি পবিত্র সূরা মুবারক ২ উনার ১৭০ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,

واذا قيل لهم اتبعوا ما انزل الله قالوا بل نتبع ما الفينا عليه اباءنا اولو كان اباؤهم لايعقلون شيئا ولايهتدون.

অর্থ: আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সেই হুকুমেরই আনুগত্য কর যা মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে, কখনো নয় আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করবো যাতে আমাদের বাবা-দাদাদের দেখেছি, যদিও তাদের বাপ-দাদারা কিছুই জানতোনা, জানতোনা সরল পথও। (অসমাপ্ত)

******************************************************

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র

খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির

ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়

(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি)

(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদ-)

 

কাদিয়ানী রদ! (১)

 

(পঞ্চম ভাগ)

(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিযে হাদীছ, মুফতীয়্যূল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কর্তৃক প্রণীত কাদিয়ানী রদকিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমীন) এক্ষেত্রে উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।

(ধারাবাহিক)

তিরইয়াকোল-কুলুব ৩৮ পৃষ্ঠা :

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

এস্থলে কাহারও যেন এইরূপ ধারণা না হয় যে, আমি এই বক্তৃতায় নিজের আত্মাকে হযরত মছিহ আলাইহিস সালাম উনার উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করিয়াছি, কেননা ইহা একটি আংশিক ফযীলত- যাহা গরনবি ব্যক্তির নবীর উপর হইতে পারে।

এস্থলে মিজ্জা ছাহেব নিজেকে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম অপেক্ষা আংশিক শ্রেষ্ঠ বলিয়া দাবি করিয়াছেন।

হকিকাতোল-অহি১৪৮ পৃষ্ঠা :

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

খোদা এই উম্মতের মধ্যে প্রতিশ্রুত মাহদি প্রেরণ করিয়াছেন, যিনি উক্ত প্রথম মছিহ অপেক্ষা নিজের সমস্ত বিষয়ে সমধিক শ্রেষ্ঠ। যদি মছিহ বেনে- মরইয়াম আমার যামানায় হইতেন, তবে যে কার্য্য আমি করিতেছি, তিনি কখনও উহা করিতে পারিতেন না এবং যে নির্দশন আমা কর্তৃক প্রকাশিত হইতেছে, তিনি কিছুতেই উহা প্রদর্শন করিতে সক্ষম হইতেন না।

যখন লোকে মিজ্জা ছাহেবকে এইরূপ অনৈক্যের কারণ জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, তখন তিনি বলিয়াছিলেন যে, ইহার কারণ খোদার নিকট জিজ্ঞাসা কর। হকিকাতোল-অহির১৪৮ হইতে ১৫০ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।

মির্জ্জা ছাহেব নিজের সুবিধা মত ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করিবেন, আর খোদা ইহার উত্তর দিবেন, ইহা কি আশ্চর্য্যজনক কথা! খোদা তায়ালা কুরআন শরীফ উনাকে বলিয়াছেন, এলহামি কথাগুলির মধ্যে অনৈক্য ভাব থাকিতে পারেনা। (অসমাপ্ত)

 

ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক

কাদিয়ানীদের কাফিরঘোষণা! (২)

অনুবাদক- আলহাজ্জ মুহম্মদ হাবিবুল হক

 

(ধারাবাহিক)

এবং তিনি বলেন, আয়াত শরীফ উনাকে অন্ধ অনুসরণের নিন্দা করা হয়েছে। তিনি নজির হিসেবে সূরা: ২, ১১২ নং আয়াত শরীফ, ৫তম সূরার ১০৫ নং আয়াত শরীফ, ২৬তম সূরার ৭১ ও ৭৫ নং আয়াত শরীফ এবং ৪৩ নং সূরার ২১ থেকে ২৫ নং আয়াত শরীফ উনার উল্লেখ করেন এবং যুক্তি পেশ করেন যে, ঐ আয়াত শরীফসমূহ এক সাথে পাঠ করলে দেখা যায় যে, রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখনই অবিশ্বাসীদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার কথা বলেছেন, তাদের একটি মাত্র জাওয়াবই ছিল যে, তাদের পূর্বপুরুষদেরই তারা অনুসরণ করবে, যদিও তাদের পূর্বপুরুষদের কোন ইলমই ছিলনা।এটাই ইসলামের তেজস্বিতা যে একটা আফাকী (افاقى) এবং আনফুসী যুক্তি অবলম্বনের তকলিদের মতবাদ খ-ন করতে পারে। আফাকী যুক্তিসমূহ সরবরাহ করে প্রকৃতির নিয়মসমূহ যেমন, কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে। পৃথিবী এবং আকাশের সৃষ্টি সম্বন্ধে, দিন এবং রাতের পরিবর্তন ইত্যাদি, তাদের বুঝতে হবে যে যদি দুজন ঈশ্বর হত তবে এই প্রক্রিয়া এরূপ সুষ্ঠ নিয়মে চলত না। আনফুসী যুক্তি অর্থ- সৃষ্টির বিভিন্ন অবস্থার কথা তাদের ফিকির করা উচিত এবং তাদের বুঝা উচিত যে, “এক মহান আল্লাহ পাক তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন।

এটাই পদ্ধতি যা সম্বন্ধে কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে- (পবিত্র সূরা ১৬, আয়াত শরীফ ১২৫)

ادع الى سبيل ربك بالحكمة والموعظة الحسنة وجادلهم بالتى هى احسن.

অর্থ: আপন পালন কর্তার পথের প্রতি আহবান করুন, ইলমের কথা দ্বারা ও উত্তম নছীহতের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে বাহাছ করুন পছন্দমত পন্থায়।

তিনি (মুজিবুর রহমান) জোর দিয়ে বলেন, আসল বিষয় হল গুরুত্বর মতের অমিল। (পবিত্র সূরা-৮, আয়াত শরীফ-৪২)

ولكن ليقضى الله امرا كان مفعولا ليهلك من هلك عن بينة ويحيى من حى عن بينة.

অর্থ: কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা এমন এক কাজ করতে চেয়েছিলেন, যা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিলো যাতে সেসব লোক নিহত হওয়ার ছিল, প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর এবং যাদের বাঁচার ছিল তারা বেঁচে থাকে প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর।

সবশেষে তিনি যে সকল আয়াত শরীফ উনার যে অংশ উদ্ধৃতি দিয়েছেন তার উল্লেখ করা হলো, (পবিত্র সূরা-৬; আয়াত শরীফ ১৪৯)

هل عندكم من علم فتخرجوه لنا.

অর্থ: তোমাদের কি কোন ইরম আছে, যা আমাদের জন্য দাখিল করতে পার?” (পবিত্র সূরা ৩৭; আয়াত শরীফ-১৫৬)

ام لكم سلطن مبين.

অর্থ: তোমাদের নিকট কি পরিস্কার কর্তৃত্ব রয়েছে?” (পবিত্র সূরা-৩৭; আয়াত শরীফ-১৫৭)

فاتوا بكتبكم ان كنتم صدقين.

অর্থ: তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন?” (পবিত্র সূরা ২৮; আয়াত শরীফ-৭৫)

فقلنا هاتوا برهانكم.

অর্থ: আমরা বলবো, তোমাদের দলীল পেশ কর।” (পবিত্র সূরা ২১; আয়াত শরীফ-২৪)

قل هاتوا برهانكم.

অর্থ: বল, তোমাদের দলীল পেশ কর।” (পবিত্র সূরা ২৭; আয়াত শরীফ-৬৪)

قل هاتوا برهانكم.

অর্থ: বল, তোমাদের দলীল পেশ কর।

এই সকল আয়াত শরীফ উনার তাফসীরের উপর অনেকগুলো মন্তব্য তিনি উল্লেখ করেছেন। ওগুলো পুনঃউল্লেখের প্রয়োজন নেই কেননা ওগুলোর অর্থ পরিস্কার। মুসলমানগণ বহু ঈশ্বরবাদীদের এবং কাফিরদের কঠিন বিশ্বাসের যুক্তি প্রদর্শনের প্রশ্ন করতেই পারে।

কিন্তু মিঃ মুজিবুর রহমানের যুক্তি; এই আয়াত শরীফই কাফিরদের ধর্ম প্রচারের অধিকার; তারা অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মান্তরিত করতে পারবে।

আমরা এর সাথে একমত নই, যদিও ঐ সম্ভাবনা খুবই সুদূর পরাহত।” (অসমাপ্ত)

**************************************************

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র

খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির

ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়

(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি)

(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদ-)

 

কাদিয়ানী রদ! (১)

(পঞ্চম ভাগ)

 

(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজে হাদীছ, মুফতীয়ে আজম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লাম শাহ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কর্তৃক প্রণীত কাদিয়ানী রদকিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমীন) এক্ষেত্রে উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষায় সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।

 

(ধারাবাহিক)

(৯) হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার একটি মোজেজা সম্বন্ধে মির্জা ছাহেবের ভিন্ন ভিন্ন মত।

কুরআন শরীফ উনার সূরা মায়েদার ১৫ রুকুতে আছে;

واذ تخلق من الطين كهيئة الطير باذنى فتنفخ فيها فتكون طيرا باذنى-

খোদা কেয়ামত দিবসে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার উপর যে নেয়ামতগুলি প্রদান করিয়াছিলেন, তৎসমুদয়ের আলোচনা প্রসঙ্গে বলিবেন-

যখন তুমি আমার হুকুমে মৃত্তিকা হইতে পক্ষীর আকৃতি প্রস্তুত করিতে পরে উহাতে ফুৎকার করিতে, ইহাতে উহা আমার আদেশে পক্ষী হইয়া যাইত।এজালায় আওহাম, ২০৩ পৃষ্ঠা-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

ইহা সম্পূর্ণ ভ্রান্তিমূলক, ফাছেদ ও মোশরেকানা মত যে, মছিহ মৃত্তিকার পক্ষীসমূহ বানাইয়া এবং তৎসমূদয়ে ফুক দিয়া তৎসমস্তকে সত্য সত্যই পক্ষী প্রস্তুত করে দিতেন বরং ইহা মিছমেরিজম ছিল।

আরও উক্ত পৃষ্ঠা-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

মছিহ এইরূপ কার্য্য করিতে (পক্ষী বানাইতে) উক্ত তালাবের মৃত্তিকা আনয়ন করিতেন- যাহাতে হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম উনার তাছির নিহিত ছিল।

আরও ১৯৪/১৯৫ পৃষ্ঠা-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

হযরত মছিহ মৃত্তিকার খেলার জিনিস কোন কল দ্বারা দাবাইতেন কিম্বা ফুক দিতেন, ইহাতে উহা পক্ষীর ন্যায় উড়িয়া যাইত, কেননা তিনি নিজের পিতা ইউছুফ উনার সহিত ২২ বৎসর পর্যন্ত করাতির কার্য্য করিতেন।” (অসমাপ্ত)

 

 

ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক

কাদিয়ানীদের কাফিরঘোষণা! (২)

 

(ধারাবাহিক)

এ সকল আয়াত শরীফ তাবলীগ বা ইসলাম প্রচারের সাথে সম্পৃক্ত। যখন কোন কাফিরের সাথে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে কথা বলবে, তখন তাকে খুবই ভদ্রতা ও শিষ্টাচারের সাথে কথা বলতে হবে। শুধু ইসলামের সকল ভাল দিক সম্বন্ধে যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করলেই চলবে না; সেই কাফির ব্যক্তিকেও তার ধর্মের ভাল দিক গুলো উত্থাপনের সুযোগ দিতে হবে। এটা জরুরী যে কাফিরদের মতবাদকে খুব সহজভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে একজন মুসলমান সহজেই তাকে খন্ডন করতে পারে এবং অন্য ধর্মের কল্পনা প্রসূত দর্শনের উপর ইসলামের শ্রেষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে। প্রকৃত সত্য এই যে, কুরআন শরীফ উনার মধ্যে শুধু দুজনের মধ্যে আলোচনার নির্দেশই নেই বরং মুসলমানদের প্রতি আদেশ রয়েছে কাফিরদের নিকট তাদের ধর্মে বিশ্বাসের দলীল পেশ করতে বলা। যা যদি সত্যবাদী হও দলীল পেশ কর।এই আয়াত শরীফ দ্বারা পরিস্কার বুঝা যায় এবং এটাই ইংগিত বহন করে যে কাফিরদের জন্য এরূপ কোন দলীল দেয়া কখনও সম্ভব নয়। এটা বলা হয়েছে-

........

(এটা মিথ্যা বর্ণনাকারীকে সম্বোধনের একটি সাধারণ ভাষা) একটি উপসংহারমূলক সিদ্ধান্ত এই যে, কুরআন শরীফ উনার যুক্তি খ-ন করা যাবেনা। অবিশ্বাস করার অনুকূলে কোন যুক্তি সম্ভব নয়।

এটা অমুসলিমদের ধর্মীয় আলোচনা দ্বারা মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করার সম্ভাবনা বাতিল করে দেয়। আয়াত শরীফগুলোতে কেবল এটাই উল্লেখ করা হয়েছে, অবিশ্বাসীদেরকে কিভাবে ইসলঅম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করা যাবে; এই আয়াত শরীফগুলো অমুসলিমদের ধর্ম প্রচারের (ক্ষেত্রে) সহায়তাক হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা।

কুরআন শরীফ, পবিত্র রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ বা তাফসীরের কোথাও উল্লেখ নেই যে অমুসলিমরা মুসলমানদের মধ্যে তাদের (কাফিরদের) ধর্ম প্রচার করতে পারবে।

এ সকল আয়াত শরীফ এবং তাফসীর সমূহ মুসলমানদের মধ্যে অমুসলিমদের ধর্ম প্রচারর মৌলিক অধিকারের যুক্তি যথেষ্ট নয়। তবে এটা ইসলামী রাষ্ট্রের অধিকারভুক্ত অমুসলিমদের (কাফির) ধর্ম প্রচারের অনুমোদন দিবে কিনা। যে সংবিধানের ২০ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কিন্তু এটাও গ্রহণীয় যদি কাফিররা অমুসলিম হিসেবে ধর্ম প্রচার করে এবং মুসলমান নামে করা চলবে না। সংসদ অন্যান্য শর্তসমূহও জারী করতে পারবে।

মৌলানা মওদুদী তার ইসলামী রিয়াসাতপুস্তকের ৫৮২ থেকে ৬০২ পৃষ্ঠায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আইনানুগ অধিকারের বিশদ আলোচনা করেন এবং সেখানে তিনি ইসলামী রাষ্ট্রে কাফিরদের ধর্মীয় পুস্তক প্রকাশের পক্ষ সমর্থন করেন, যেন তারা তাদের ধর্মের উৎকৃষ্টতা প্রমাণ করতে পারে। কিন্তু তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্য ধর্মাবলম্বীর (কাফিরের) কোন মুসলমানের নিকট তার ধর্ম প্রচার গ্রহণীয় নয়। তিনি আরও বলেন যে, কোন মুসলমানদের ধর্ম পরিবর্তনের অনুমোদন নেই।

মিঃ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ অনুমোদিত মানবাধিকার সনদ থেকে উদ্ধৃতি দেন। অনুচ্ছেদটি তিনি উল্লেক করেন নি¤œরূপ ঃ

অনুচ্ছেদ ১৮- প্রত্যেক মানুষ মুক্ত চিন্তা, চেতনা ও ধর্মীয় অধিকার (ভোগ) করবে। এই অধিকারের বলে সে তার ধর্ম বা বিশ্বাস পরিবর্তনে ক্ষমতাবান। তা সে একা বা অন্যান্যদের সাথে সমাজবদ্ধভাবে এবং প্রকাশ্যে বা গোপনে করতে পারবে। তার ধর্ম প্রকাশে, বিশ্বাসে অনুশীলনে, ইবাদতে এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনেও ক্ষমতাবান।

এ ধর্মে কোন দেশের অধিবাসীদের দেয়ার মত কিছুই নেই যে তার ধর্ম প্রচারের অধিকার দেয়া যাবে।

সবশেষে ইসলামিক কাউন্সিলের প্রকাশিত দুটি সম-সাময়িক সমস্যা নিয়ে লেখা বাঁধাইহীন পুস্তিকার উল্লেখ করা যেতে পারে। একটি, “মানবাধিকার ঘোষণাএবং অন্যটি ইসলামিক সংবিধানের রূপরেখাপুস্তিকা দুটিতে মানবাধিকার বর্ণনা প্রধানতঃ কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফ উনাদের আদেশ অনুযায়ী করা হয়েছে এবং জাতি সংঘে এটাই অনুমোদিত হয়েছে। অতিরিক্ত কিছু অধিকারের উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন- বিচার অধিকার, ক্ষমতা অপব্যবহারের প্রতিবাদ ব্যবস্থা সংরক্ষণ, নিরাপত্তা অধিকার, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিজস্ব ব্যাপারে সর্বসাধারণের সম্পৃক্ত বিষয়ে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, অবস্থান এবং শ্রমিকদের মর্যাদা, সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত হবে তাদের ধর্মীয় আইন ও আচার অনুযায়ী। (অসমাপ্ত)

********************************************************************

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র

খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির

ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়

(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি)

(তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড)

 

কাদিয়ানী রদ! (১)

 

(পঞ্চম ভাগ)

 

(কুতুবুল ইরশাদ মুবারক, মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিযে হাদীছ, মুফতীয়ে আজম, পীর কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কর্তৃক প্রণীত কাদিয়ানী রদকিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো- তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।

(ধারাবাহিক)

আরও ১৯৫ পৃষ্ঠা-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

বর্তমান যামানায় দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে যে, অনেক কারিগর এরূপ পক্ষীসমূহ বানাইয়া থাকে যে, তৎসমূদয় কথা বলিয়া থাকে, নড়িয়া থাকে, লেজ নাড়াইয়া থাকে, আর আমি শুনিয়াছি যে, কতক পক্ষী কলের দ্বারা উড়িয়া থাকে। বোম্বাই এবং কলিকাতায় এইরূপ খেলার জিনিস বিস্তর প্রস্তত হইয়া থাকে।

আরোও ১৯৭ পৃষ্ঠা-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

যদিও এই অক্ষম (মির্জা) এই কার্য্যটা মকরূহ ও ঘৃর্ণাহ না বুঝিত তবে খোদার মেহেরবানি ও শক্তিতে দৃঢ় আশা রাখিত যে, এইরূপ অলৌকিক কার্য্য প্রকাশ করিতে হজরত এবনো-মরয়েম অপেক্ষা কম হইতাম না।

হাকিকাতোল-অহির ৩৯০ পৃষ্ঠার হাশিয়া-

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

এই ঘটনা (পক্ষী বানান) যাহা কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লিখিত হইয়াছে, প্রকাশ্য অর্থে কথিত হয় নাই, বরং এইরূফ সামান্য বিষয়ের জন্য কথিত হইয়াছে- যাহার বড় একটা গুরুত্ব নাই।” (অসমাপ্ত)

 

ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক

কাদিয়ানীদের কাফিরঘোষণা! (২)

অনুবাদক- আলহাজ্জ মুহম্মদ হাবিবুল হক

 

(ধারাবাহিক)

হিউম্যান রাইটসনামে একটি প্যামফ্লেটের অনুচ্ছেদ ১২ এবং ১৩ তে ধর্ম বিশ্বাস, চেতনা এবং মতামতের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করেছে। নি¤œ তা উল্লেখ করা গেল-

অনুচ্ছেদ ১২ (ক) আইনের আওতার মধ্যে থেকে প্রত্যেক মানুষে নিজস্ব চিন্তা-চেতনা প্রকাশের অধিকার রয়েছে। কিন্তু কাউকেই মিথ্যা বা জন সাধারণ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী সংবাদ প্রচারের বা মিথ্যা অপবাদ লেপন, কটাক্ষ বা অন্যের প্রতি মানহানিকর পরিকল্পনার ব্যাকুল বাসনার অধিকার দেয়া হয়নি।

(খ) জ্ঞান অন্বেষণ এবং সত্য সন্ধান মুসলমানদের জন্য শুধু অধিকারই নয় অবশ্য কর্তব্য।

(গ) নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিরোধীতা (আইনানুগ) করা প্রত্যেক মুসলমানের অধিকার এবং কর্তব্য। যদি তা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ধরকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়।

(ঘ) তথ্য প্রচারে কোনরূপ বাধা থাকবে না, যদি এতে সমাজ বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কোন বিপদের আশঙ্কা না থাকে এবং তা আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যেই থাকে।

(ঙ) অন্যের ধর্ম বিশ্বাসকে ঘৃণিত হওয়ার অবস্থা বা বিদ্রুপ করা যাবে না বা তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে খেপানো যাবে না। অন্যের ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি সম্মান করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য।

অনুচ্ছেদ ১৩ঃ প্রত্যেক ব্যক্তির চেতনা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী উপসনার স্বাধীনতা রয়েছে।

একইভাবে ইসলামী সংবিধানের একটি রূপ রেখাপ্যামফ্লেটের অনুচ্ছেদ ৮ এবং ১৬ তে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অধিকার সম্বন্ধে যা বলা হয়েছে তা নি¤œরূপ-

অনুচ্ছেদ ৮ঃ প্রত্যেক ব্যক্তির চিন্তা, মতামত প্রকাশ এবং বিশ্বাসের অধিকার রয়েছে। তিনি আইনের সীমা লঙ্ঘন না করা পর্যন্ত তা প্রকাশ করতে পারবেন।

অনুচ্ছেদ ১৬ঃ (ক) ধর্মে কোন জবর দস্তি নেই। (খ) অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচার পালনের অধিকার থাকবে। (গ) সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজস্ব বিষয়ে নিজেদের প্রথা দ্বারা পরিচালিত হবে, যদি না তারা শরীয়ত অনুযায়ী পরিচালিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। যদি দলের প্রযোজ্য হবে।

এটা লক্ষ্যণীয় যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার সনদে তাদের ধর্ম প্রচারের কোন উল্লেখ নেই। উপরে যা বর্ণনা করা হয়েছে তা এরূপ।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০-এ পাকিস্তানের সকল নাগরিকদের নিজস্ব ধর্ম প্রকাশ্যে ঘোষণা করার, অনুশীলন এবং জনে জনে প্রচার করার অধিকার প্রদান করেছে, কিন্তু এই অধিকার আইনানুগ এবং নৈতিকতা সম্পন্ন হতে হবে। এটা এরূপ আইন, গণ আচরণ বিধি এবং নৈতিকতা সাপেক্ষে-

(ক) প্রত্যেক নাগরিকদের তার ধর্ম প্রকাশ্যে ঘোষণা করার, অনুশীলন করার এবং জনে জনে প্রচার করার অধিকার থাকবে।

(খ) সুতরাং প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের এবং প্রত্যেক উপদলের ধর্মীয় ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠা করার, রক্ষণাবেক্ষণ করার এবং চালিয়ে নেয়ার অধিকার থাকবে।

জাবিনদার কেশোরের মামলায় (চখউ ১৯৫৭, ঝ. ঈ. চধমব ৯) সুপ্রীম কোর্ট ১৯৫৬ সালের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮এর অনুরূপ ব্যাখ্যাপ্রদান করে ছিল। এতে বলা হয়েছে যে, “আইন সাপেক্ষেউক্তিটি আইন প্রণয়নকারী সংস্থাকে সংবিধানে যা বর্ণনা করা হয়েছে, তা পরিবর্তন অনুমোদন করে না। মিঃ জাস্টিস মুহম্মদ মুনির, প্রধান বিচারক (অবঃ) এ প্রসঙ্গে নি¤œ উল্লেখিত মন্তব্য করেন-

কিন্তু যখন কোন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, তখন আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রনের সুযোগ কাটছাট করা যাবে না।” (অসমাপ্ত)

আবা-৯৬,৯৭,৯৮,৯৯,১০০

 

0 Comments: