খতমে নুবুওওয়াত
প্রচার কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত
অস্বীকারকারীরা কাফির
(
ইসলামী শরীয়তের হুকুম মোতাবেক
যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময়
৩দিন। এরপর তওবা না করলে,
তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড )
(১)
কাদিয়ানী রদ!
( চতুর্থ ভাগ )
বাহরুল উলুম,
ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মোহাদ্দেসীন,
তাজুল মোফাসসেরীন, হাফেজে হাদীস,
মুফতীয়ে আজম, পীরে কামেল, মোর্শেদে মোকাম্মেল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন
(রঃ) কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানি রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল
বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক
ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফেরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান
আকীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। ওনার
কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে
বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মির্জ্জার আকায়েদ
আরও তিনি হজরত
জিবরাইল (আঃ)এর সম্বন্ধে তওজিহোল মারাম পুস্তকের ৭৮/৭৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
وہ خدا سے سلنس کی ھوا یا انکھہ کے نور کی طرح نسبت رکھتا ھے اور خدا کی جنبش کے ساتھہ ھی وہ بھی جنبش مین اجاتا ھے جیسا اصل کی جنبس سے سایہ کا ھلنا طبعی طور پر ضروری امر ھے .... توک معا اس کی ایک عکسی تصویر جس کو روح القدس کے نام سے موسوم کرنا چاھئے محب صادق کے دل مین منقش ھو جاتی ھے-
“উক্ত
জিবরাইল খোদার নিশ্বাসের বায়ু কিম্বা চক্ষের জ্যোতি বলিয়া অভিহিত করা যাইতে পারে, খোদার আন্দোলনের সহিত উক্ত
জিবরাইল আন্দোলন করিয়া থাকেন, যেরূপ মূল বস্তুর আন্দোলনে
প্রাকৃতিক নিয়মে ছায়ার আন্দোলন জরুরি বিষয়। ইহার সঙ্গেই খোদার প্রতিচ্ছায়া যাহাকে
রুহোল-কোদছ নামে অভিহিত করা উচিৎ, সত্য পরায়ণ লোকের
অন্তরে অঙ্কিত হইয়া পড়ে।”
কোরআন শরিফে আছে ;-
ليس كمثله شيى.
“তাঁহার
(খোদার) তুল্য কোন বস্তু নাই।”
এমাম বয়হকি কেতাবোল-আছমা অছ-ছেফাতে লিখিয়াছেন ;-
فان الله- يجب علينا وعلى كل مسلم ان يعلم ان ربنا ليس بذى صورة ولا هئية.
“নিশ্চয়
আমাদের এবং প্রত্যেক মুসলমানের পক্ষে ইহা জানা ওয়াজেব যে, আমাদের প্রতিপালক আকৃতিধারী
ও আয়বধারী নহেন।”
আকায়েদে-নাছাফি ;-
ايس بجو هر ولا بعرض.
ইহা বুঝা যায় যে,
খোদা জেছম নহেন, সরকার নহেন, তবে তাহার ফটো, ছবি ও প্রতিচ্ছায়া হইবে কিরূপে?
মির্জ্জা ছাহেব নিজের ফটো উঠাইয়া মুরিদগণের নিকট হইতে অর্থ
সঙগ্রহ করিতেন, মির্জ্জা ছাহেব নিজেকে খোদা বলিয়া দাবি
করিয়াছেন, বোধহয় তাহার ছবি খোদার ফটো ধারণায় মুরিদগণকে
বন্টন করিয়া দিতেন, ইহাতে তাহার মুরিদগণেরা খোদার জিয়ারত
লাভ করিতেন কি? তিনি হযরত জিবরাইলকে খোদার নিশ্বাস,
চক্ষের জ্যোতি ও শরীরের ছায়া বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন, এইরূপ মোশরেকি আকিদা তাহার ভক্তগণের মত হইতে পারে, কিন্তু খোদাপরস্ত মুসলমানগণের এইরূপ আকিদা হইতে পারেনা।
(৭) তিনি ২ নম্বর
আরবাইনের ৩৬ পৃষ্ঠার হকিকাতোল-অহির ৮৬ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
انت مني بعنزلة تو حيدى وتفريدي.
“তুমি
আমার নিকট আমার অহদানিয়ত ও অদ্বিতীয়তার ন্যায়।”
তিনি তাজাল্লিয়াতে-এলাহিয়ার ১৩ পৃষ্ঠায়
লিখিয়াছেন ঃ-
انت مني بمنزلة بروزي.
“তুমি
আমার রূপান্তরের ন্যায়।”
তিনি হকিকাতোল-অহির
৭৯ পৃষ্ঠায় ও বারাহিনে-আহমদীয়ার ৫১৭ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;- سرك سرى
“তোমার
গুপ্ততত্ত্বই আমার গুপ্ততত্ত্ব।”
(
অসমাপ্ত )
(
৪৬) (২)
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট
কর্তৃক কাদিয়ানীদের- ‘কাফের’ ঘোষণা!
(
পূর্ব প্রকাশিতের পর )
অনুবাদক - আল্হাজ্ব মুহম্মদ হাবিবুল হক
আল মালফুজাত
পুস্তিকার ভলিউম-১০ (১৯০৭ সালের নভেম্বর থেকে ৬ই জুলাই ১৯০৮ সালের সাথে সম্পৃক্ত,
পৃষ্ঠা-২৫৭) এক প্রশ্নের উত্তরে সে বলেছিল যে, সমস্ত দৈব জ্ঞান সেই আল্লাহ্র নিকট থেকে পেয়েছে, সেগুলিকে এ রকম মনে করা যাবেনা যে, ইহা নতুন
শরীয়ত বা ইহা নতুন নুবুওওয়ত বা শরীয়তসহ নুবুওওয়ত। কিন্তু আল্লাহ্ পাক-এর সাথে
বারংবার যোগাযোগে তাকে (মির্জাকে) নবী বলা হয়েছে। এবং অভিধানে নবী অর্থ- একজন
মানুষ। যিনি আল্লাহ্ পাক-এর সংবাদ মানুষকে পরিবেশন করেন।
এখানে আবার শরীয়তসহ
নুবুওওয়ত এবং শরীয়ত বিহীন নুবুওওয়তের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে। এই দাবীও আরবাইন
(নং-৪ পৃূষ্ঠা-৭) পুস্তিাকায় উল্লেখিত সংজ্ঞার সাথে পরস্পর বিরোধী।
এক ঘালাতি-কা-
ইজালায় প্যামফ্লেটে সে (মির্জা) বলেছে যে, যেখানেই সে নুবুওওয়ত
বা রিসালাতের দাবী অস্বীকার করেছে, তিনি বুঝাতে চেয়েছেন।” সে (মির্জা) কোন স্থায়ী শরীয়ত আনেনি বা সে
(মির্জা) কোন স্থায়ী রাসূলও নয়। তবে এই দাবী অস্বীকার করা হয়েছে, জ্বিহাদকে বাতিলকরন দ্বারা যা সম্বন্ধে নির্দ্ধারিত আদেশ পবিত্র কোরআন
এবং হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীস শরীফে রয়েছে।
১৯০১ সালে প্রকাশিত
দাফীউল বালা পুস্তিকার ১১নম্বর পৃষ্ঠায় মির্জা লিখেছে, তিনিই
সত্য আল্লাহ্ যিনি তাঁর রাসূল কাদিয়ানে পাঠিয়েছেন। হাকিকাত-উল-ওহী পুস্তিকার ৩৯৭
পৃষ্ঠায় সে লিখেছে, পর্যাপ্ত পবিত্র প্রত্যাদেশ এবং গুপ্ত
জ্ঞান গ্রহণের জন্য উম্মার মধ্য থেকে তাকে (মির্জা) অনন্যভাবে নির্বাচন করেছেন এবং
আল্লাহ্ পাক এই অনুগ্রহ তার (মির্জার) পূর্বে আর কোন দরবেশ, আওলিয়া, আবদাল বা আওতার কাউকে দেননি। এ কারণে
তাকে (মির্জাকে) নবী নামে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। অন্যান্যদের কেউই এই
নামের হকদার ছিলেন না, কেননা প্রাথমিক শর্ত হিসাবে তাঁদের
মধ্যে কেউই ঐশী বাণী প্রাপ্ত এবং পর্যাপ্ত গুপ্ত জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন না।
১৯০০ইং সালে
জ্বিহাদের আদেশ রহিত করার ঘোষণা দেয়া হয়। আরবাইন (নং-৪) পুস্তিকার ১৫ পৃষ্ঠায় লেখা
হয়েছে, “প্রতিশ্রুত মসীহ হলেন পবিত্র
পয়গম্বরের (ঈেখঔ) গুপ্ত বিষয়াদি প্রকাশের সৌহার্দপূর্ণভাব।” এ কারণে এটা বলা হয়েছে- সে জ্বিহাদ পরিহার করবে
অথবা জ্বিহাদে অংশ গ্রহণ করবে না। মাযমুয়া-ই-ইশতেহারাত (গমফলবণ-৩ তরমব ১৮৯৮র্ ম
১৯০৮) পুস্তিকার ৯ পৃষ্ঠায় মির্জা লিখেছে, “আমার
অনুসারী যখন বৃদ্ধি পেতে থাকবে, তখন জ্বিহাদে বিশ্বাসীদের সংখ্যা কমে যাবে। কেননা আমাকে মসীহ হিসাবে
মানা হলো জ্বিহাদের নীতিকে অস্বিকার করা।” এটাই হলো জ্বিহাদ রহিতকরণ। “জ্বিহাদ
এবং ইংরেজ সরকার” পুস্তিকার ১৪ পৃষ্ঠায় সে
লিখেছে, “দেখ, আমি তোমাদের কাছে একটি প্রত্যাদেশ নিয়ে এসেছি,
যার অর্থ- এখন থেকে তরবারির যুদ্ধ শেষ। একমাত্র জ্বিহাদ হলো-
নিজেকে রিশুদ্ধ করা (টফ্রম ্রণণ পদর্লঠট-ণ-ধফফদমবধট, যটথণ-২৯,
কলদতট-ণ-ঐলফটরশধট (্রলযযফণবণর্ভ), যটথণ-৪১,
কটুটফফধর্ট-ণ-ধফটদধট, যটথণ-৪, কটরহট্যলফ লৈফলঠ যটথণ-৩৩২)
আরবাইন পুস্তিকার
(৪নং) ৭ পৃষ্ঠায় মির্জা নবীর (রেমযদর্ণ) যে সংজ্ঞা দিয়েছে, তা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ পুস্তিকাটি রচনা করা হয়েছিল- ১৯০০
সালে। ঐ পুস্তিকায় জ্বিহাদ রহিত করার অধ্যাদেশটিও উল্লেখ করা হয়েছে। জ্বিহাদ
কোরআনের অধ্যাদেশ দ্বারা প্রমাণিত, কিন্তু তথাকথিত নবী
মির্জা তাতে হস্তক্ষেপ করে জ্বিহাদ রহিত করার উল্লেখ করেছে। এভাবে সে অভিযোগে
বর্ণিত শরীয়ত বাতিল করে এবং কথিত নুবুওওয়ত-ই-তম্মাহ (ণেরতণর্ড রেমযদর্ণদমমঢ)-এর
দাবী করে। কালিমাত-উললফছল-এর ১২২-১১৩ পৃষ্ঠায় মির্জা বশির আহমেদ উক্ত
নুবুওওয়ত-ই-তম্মাহ সম্বন্ধে আলোচনা করেন। তিনি নুবুওওয়াতকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করে
আলোচনা করেন- (১) আসল নুবুওওয়াত, যাতে নবী নতূন শরীয়ত
নিয়ে আমগন করনে। (২) নুবুওওয়াত যাতে নবী কোন নতুন শরীয়ত প্রণয়ন করেন না। (৩) ছায়া
নুবুওওয়াত, কাদিয়ানীদের মতে ছায়া নুবুওওয়াত পাওয়া যায়-
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণের দ্বারা। ছায়া
নুবুওওয়াত নিম্নতর নুবুওওয়াত। এই উক্তির প্রতিবাদের ব্যাখ্যায় মির্জা বশির আহমেদ
বলেন, “এটা নিজেকে প্রতারণা করা, যার কোন সত্যতা নেই, কারণ ছায়া নুবুওওয়াত অর্জন করতে হলে অনুসরণ এমন পর্যায়ের হতে হবে যে,
একজন অনুসরণ করতে করতে মনে করবে।” ” অ দটশণ ঠণডমবণ হমল টভঢ হমল
দটশণ ঠণডমবণ অ” অর্থাৎ বিলীন হয়ে যাওয়া। এই পরিস্থিতিতে তিনি
অনুভব করবেন যে, তিনি পবিত্র নবীর (ঈেখঔ) প্রতিবিম্বে
পরিবর্তিত হচ্ছেন। উভয়ে এত নিকটবর্তী হবেন যে, নবী
আচ্ছাদন তার উপর প্রতিফলিত হবে এবং তাঁকে তখন ছায়া নবী বলা হবে।
সুতরাং ছায়া হওয়ার জন্য এটাই যখন শর্ত, যে তাঁকে নবীর নক্শা হতে হবে এবং এটাই সকল নবীদের মত। তখন যে সকল বোকারা মনে করে, প্রতিশ্রুত মসীহর ছায়া (ছায়া নুবুওওয়াত) নিম্নতর এবং অপূর্ণ, তাদের জ্ঞান ফিরে পাওয়া উচিত এবং তার ইসলাম (ঈমান) সম্বন্ধে চিন্তা করা উচিত। কেননা সে নিজেই সেই নুবুওওয়াতের গৌরবকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে, যা হলো শ্রেষ্ঠতম নুবুওওয়াত। আমি বুঝতে পারি না, কেন কিছু লোকে প্রতিশ্রুত মসীহর নুবুওওয়াতকে অস্বীকার করছে এবং কিছু লোক এটাকে ক্রটিপূর্ণ মনে করছে, যদিও আমি দেখছি- তিনি একজন ছায়া নবী (পবিত্র রাসূল (ঈেখঔ)-এর নক্শা) পূর্ণবাবির্ভাবের হিসাবে এবং এই নুবুওওয়াতের মর্যাদা ও অবস্থান অনেক উচ্চে। এটাও স্পষ্ট যে, বৃদ্ধ বয়সেও নবীর মধ্যে পবিত্র নবীর (ঈেখঔ) সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান নাও থাকতে পারে।
(অসমাপ্ত)
**************************************************************
খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ( ইসলামী শরীয়তের হুকুম মোতাবেক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই
ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময়
৩দিন। এরপর তওবা না করলে, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড ) (১) কাদিয়ানী রদ! ( চতুর্থ ভাগ )
বাহরুল উলুম, ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মোহাদ্দেসীন, তাজুল মোফাসসেরীন, হাফেজে হাদীস, মুফতীয়ে আজম, পীরে কামেল, মোর্শেদে মোকাম্মেল হযরত মাওলানা
আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন (রঃ) কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানি রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফেরকা
থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আকীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের
প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। ওনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে
প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। (পূর্ব প্রকাশিতের পর) মির্জ্জার আকায়েদ আলবোশরা, ২/১২৬ পৃষ্ঠা ;-
ظهورك ظهوري.
“খোদা বলেন, তোমার বিকাশ আমারই
বিকাশ।”
হকিকাতোল-অহি ৭৪, দাফেয়োল-বালা, ৬ পৃষ্ঠা ও তাজাল্লিয়াতে-এলাহিয়া ৪ পৃষ্ঠা ;-
انت منى وانا
منك.
“তুমি আমা হইতে এবং আমি তোমা হইতে।” উপরোক্ত বিবরণে বুঝা
যায় যে, মির্জ্জা ছাহেব খোদার
ন্যায় অদ্বিতীয়, খোদার অংশ, তাঁহার অবতার ও পূর্ণ খোদা
হওয়ার দাবি করিয়াছেন, ইহা কি কাফেরিমূলক
মত নহে? (৮) তিনি হকিকাতোল-অহির ১০৫/১০৬ পৃষ্ঠায় এই এলহাম
প্রকাশ করিয়াছেন ;-
اريد ماتريدون
انما امرك اذا اردت
شيأ ان تقول له
كن فيكون.
“তোমরা যাহা ইচ্ছা কর, আমি তাহাই ইচ্ছা করি। তোমার
কার্য্য ইহা ব্যতীত নহে যে,
যখন তুমি
কোন বিষয় ইচ্ছা করিবে, তুমি উহাকে বল, হইয়া যাও, ইহাতে সেই বস্তু হইয়া যাইবে।” তিনি ১৯০৭ সালের ২য় মার্চ্চের বদর পত্রিকায় এই
এলহাম প্রকাশ করিয়াছিলেন ;-
كل لك ولا
مرك.
“সমস্তই তোমার জন্য
এবং তোমার হুকুমের জন্য।” উপরোক্ত বিবরণে বুঝা
যায় যে, মির্জ্জা ছাহেবের মতে
খোদা অকর্ম্মণ্য বয়োবৃদ্ধ হইয়া গিয়াছেন, এই হেতু তিনি দুনইয়া চালাইবার সমস্ত খোদায়িশক্তি মির্জ্জা ছাহেবের
হস্তে অর্পন করিয়াছেন। এইরূপ আকিদা শেরক নহে কি? যদি ইহা প্রকৃতপক্ষে
খোদায়ি এলহাম হইত, তবে মির্জ্জা ছাহেব
এক কথাতেই তাহার প্রবল শত্রু ডাক্তার আবদুল হাকিম, মৌলবী ছানাউল্লাহ্, আহমদ বেগের জামাতা প্রভৃতিকে ধ্বংস করিয়া দিতে
পারিতেন। যখন মির্জ্জা বহু দোয়া রোদন ক্রন্দন করাতে তাঁহাদের কেশাগ্র কম্পিত হইল না, তখন স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে
যে, উহা শয়তানি এলহাম।
(৯) তিনি জমিমায় আঞ্জামে আথামের ১৭ পৃষ্ঠায়
লিখিয়াছেন ;-
ان الله معك
ان الله يقوم اين
ماقمت.
“নিশ্চয় খোদার তোমার সঙ্গী,
নিশ্চয়
আল্লাহ্ তুমি যেস্থানে দন্ডায়মান থাক, তথায় দন্ডায়মান থাকেন।” তিনি আঞ্জামে আথামের
৫৫ পৃষ্ঠায় এই এলহামটি লিখিয়াছেন ;-
يحمدك الله من
عرشه ويمشى اليك.
“খোদা আরশ হইতে তোমার প্রশংসা করিয়া থাকেন এবং তোমার দিকে আগমন করেন।” জনাব, খোদা কি মির্জ্জা ছাহেবের নিয়োজিত আর্দ্দালি যে, মির্জ্জা ছাহেব দাঁড়াইলে তিনিও
দাঁড়াইতে বাধ্য হইবেন। দাঁড়ান ও চলিয়া আসা মানবীয় গুণ, খোদা এইরূপ গুণ বিশেষ হইতে পাক। এমাম বয়হকি কেতাবোল আছম অছছেফাতের ৩১৬ পৃষ্ঠায়
লিখিয়াছেন ;-
فان الحركة
والسكون والانتقال و الا
ستفرار من صفات الاجسام والله تعالى احد صمد
ايس كمثله شى.
“যাতায়াত করা ও স্থিতিশীল
হওয়া জেছমগুলির গুণ, আল্লাহ্তায়ালা অংশবিহীন
এক, অভাব রহিত, তাঁহার তুল্য কোন বস্তু নাই।” কোরআন শরিফে আছে ;-
الحمد لله رب
العالمين.
“জগদ্বাসিদিগের প্রতিপালক আল্লাহ্রই জন্য সমস্ত প্রকার হাম্দ।” সমস্ত লোককে এস্থলে খোদার হাম্দ করিতে আদেশ করা
হইয়াছে। এদিকে সৃষ্টি শ্রেষ্ঠ হজরত মোহম্মদ
(ছাঃ) এর উপর আদেশ হইয়াছে ;-
فسبح بحمد ربك.
“অনন্তর তুমি তোমার প্রতিপালকের হাম্দের সহিত তছবিহ্ পাঠ কর।” কোন স্থলে এরূপ নাই যে, খোদা হজরত মোহাম্মদ (ছাঃ)এর
হাম্দ করেন। ইহাতে মির্জ্জা ছাহেব, হজরত (ছাঃ) অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর হওয়ার দাবি করিয়াছেন। (১০) আইনায়-কামালাতে-ইছলাম, ৪৪৯/৪৫০ পৃষ্ঠা ;-
رايتنيى فى المنام عين الله وتيقنت
اننى هو دخل ربي
على وحودى وكان كل
غضبى وحلمي وحلوى ومرى
وحركتى وسكونى له ومنه
وصرت من نفسي كالحا لين وبينما انا فيي
هذه الحالة كنت اقول
انا نريد نظاما جديدا سماء جديدة وارضا جديدة فخلقت السموات والارض
اولا تصورة اجمالية
لا تفريق فيها ولا
تر تيب ثم فرقتها ورتبتها بوضع هو مراد
الحق وكنت اجد نفسى
على خلقها كالقادرين
ثم خلقت السماء
الدنيا وقلت انا زينا
السماء الدنيا بمصا بيح
ثم قلت الان نخلق
الانسان من سلالة من
طين.
“আমি স্বপে¦ দেখিলাম যে, আমি নিজেই খোদা এবং বিশ্বাস
করিলাম যে, আমি খোদাই হইতেছি।
খোদা আমার দেহের মধ্যে প্রবেশ করিলেন, আমার রাগ, আমার ধৈর্য্য, তিক্তভাব, মিষ্টতা, গমনাগমন ও স্থিরতা সমস্তই তাঁহার
হইয়া গিয়াছে, এমতাবস্থায় আমি বলিতেছিলাম, আমি এক নূতন বন্দোবস্ত, নূতন আছমান ও নূতন দুনইয়া ইচ্ছা
করি, ইহাতে আমি প্রথমে এজমালিভাবে
আছমান ও জমি সৃষ্টি করিলাম যাহাতে কোন প্রকার তরতিব ও পার্থক্য ছিলনা। তৎপরে আমি খোদার
উদ্দেশ্য অনুসারে তৎসমস্তকে নিয়মিত ও বিভিন্ন করিলাম এবং আমি ধারনা করিলাম যে, আমি উহা সৃষ্টি করিতে সক্ষম।
তৎপরে আমি প্রথম আছমানকে পয়দা করিলাম এবং বলিলাম, আমি প্রথম আছমানকে প্রদীপ-সমূহ দ্বারা সুসজ্জিত
করিলাম। তৎপরে আমি বলিলাম,
আমি কর্দ্দমের
সারাংশ হইতে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিব।” উপরোক্ত বিবরণে বুঝা
গেল যে, মির্জ্জা ছাহেব খোদা
হওয়ার, আছমান, জমি ও মনুষ্যজাতির সৃষ্ঠি কর্ত্তা
হওয়ার দাবি করিয়াছেন। ফেরয়াওন খোদাই দাবি করিয়াছিল, ইনিও তাহাই করিলেন, এতদুভয়ের মধ্যে প্রভেদ কি? (১১) তিনি হকিকাতোল-অহির ২৫৫
পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেনঃ-
مجھے خدا تعالی کی زیارت ھوئی اور
مین نے اپنے ھاتھہ سے کئی پیشکوئیان
لکھین- جن کا یہ
مطلب تھا کہ ایسے
ایسے و اقعات ھونے
جاقئین- تب مین نے
وہ کاغذات دستخط کرانے کے لئے خدا تعالی کے سامنے پیش کئے
اور اللہ تعالی نے
بغیر کسی قامل کے
سرخی کے قلم سے
اس پر دستخط کئے
اور دستخط کرتے و
قت قلم کو چھزگا جیسا کہ قلم پر
زیادہ سیاھی اجاتی ھے
تو اسی طرح پر
جھار دیتے ھین اور پھر دستخط کردئے – جو گچھہ مین
نے چاھا بلا توقف
اللہ تعالی نے اسپر
دستخط کردئے اور اسی
وقت میری انکھہ کھل
گئی اور اس وقت
میان عبد اللہ سنوری مسجد کے حجرے مین
میرے پیر دبا رھا
تھا کہ اس کے
روبرو غیب سے سرخی
کے قطرے میرے کرتے
اور اس کی توپی
پر بھی کرے-
“খোদাতায়ালার সহিত আমার (মির্জ্জা ছাহেবের) সাক্ষাৎ হইয়াছিল, আমি স্বহস্তে কয়েকটী ভবিষ্যদ্বাণী
লিখিলাম, উহার মর্ম্ম এই ছিল
যে, এইরূপ ঘটনা সংঘটিত
হওয়া চাই। তখন আমি দস্তখত করাইবার জন্য উক্ত কাগজগুলি খোদার সম্মুখে পেশ করিলাম। আল্লাহ্তায়ালা
বিনা দ্বিধা লাল মসির কলম দ্বারা উহার উপর দস্তখত করিলেন এবং দস্তখত করার সময় কলম ঝাড়িয়া
লইলেন, যেরূপ কলমে অধিক কালি
আসিলে, ঐরূপ ঝাড়িয়া ফেলিয়া
থাকেন, তৎপরে দস্তখত করিলেন।
আমি যাহা ইচ্ছা করিলাম,
আল্লাহ্
অবিলম্বে উহার উপর দস্তখত করিলেন। এমতাবস্থায় আমার চক্ষু খুলিয়া গেল। সেই সময় মছজিদের
হোজরাতে মিয়া আবদুল্লাহ্ দুনওয়ারি আমার পা দাবাইতে ছিলেন, তাহার সমক্ষে অদৃশ্য স্থান হইতে লাল মসির বিন্দু
সকল আমার পিরহানে ও তাহার টুপিতে পড়িল।” (
অসমাপ্ত
) (২) ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক কাদিয়ানীদের- ‘কাফের’ ঘোষণা! ( পূর্ব প্রকাশিতের পর ) অনুবাদক - আল্হাজ্ব মুহম্মদ হাবিবুল হক অপরদিকে, প্রত্যেক পয়গম্বর (আঃ) তাঁর মর্যাদা এবং যোগ্যতানুযায়ী
পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়েছেন। কেউবা তুলনামূলক কিছু বেশী পেয়েছেন। কিন্তু প্রতিশ্রুত মসীহ্কে
নুবুওওয়াত দেয়া হয়েছে, যখন সে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুরূপ পূর্ণতা অর্জন করেছে। এটা লক্ষণীয় যে, মরিয়ম (আঃ)-এর পুত্র হযরত ঈসা (আঃ)-এর দ্বিতীয় আগমন অস্বীকার
করার একটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি একজন নবী। নুবুওওয়াতের আগমন ৩০০ বছর পূর্বে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
মির্জা এ নীতিকে দু’ভাবে অর্থ করেছে। ইজালা-ই-আউহাম
পুস্তিকায় (পৃষ্ঠাা৪০৯ ৪১০) সে বলেছে, এটা সত্য যে, প্রতিশ্রুত মসীহ্কে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
উম্মতের জন্য নবী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। কিন্তু এই নুবুওওয়াত পূর্ণ নুবুওওয়াত নয়।
এটাকেই মির্জা পরবর্তীকালে পূর্ণ নুবুওওয়াত হিসাবে দাবী করেছে। যেটা তাশরী নুবুওওয়াত
এবং এই নুবুওওয়াত অন্যান্য নবী (আঃ)-এর চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। মির্জা কোন পরিবর্তনশীলতার শর্ত ছাড়াই বলেছে
যে, ওহী নিয়ে হযরত জীব্রাঈল
(আঃ)-এর আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে (ইজালা-ই-আওহাম পৃষ্ঠা-৭৬১)। কিন্তু এটা তার (মির্জার)
পরিকল্পনা বা কার্যক্রমকে ব্যাহত করেনি। সে দাবী করেছে যে, আল্লাহ্ পাক-এর সাথে তার (মির্জার) সরাসরি যোগাযোগ
আছে এবং সেই (মির্জা) আল্লাহ্ পাক-এর খাছ। সুতরাং হযরত জীব্রাঈল (আঃ))এর আসার প্রয়োজনয়ীতা
নেই। কিন্তু তার এই ব্যাখ্যাও সন্তোষজনক হয়নি এবং তাকে নবী মর্যাদার স্বীকার করা হয়নি।
তারপরই আবার মির্জা বলেছে,
“জীব্রাঈল (আঃ) তার (মির্জার) কাছে এসেছিলেন।” হাক্বীকাতুল ওহী পুস্তিকায়
(পৃষ্ঠা-১০৩) মির্জা বলেছে,
“এবং তারা বলবে- কোথা থেকে তুমি এই মর্যাদা অর্জন করেছ? বল, আল্লাহ্ পাক-এর অনেক আশ্চর্য্যজনক
ঘটনা আছে। জীব্রাঈল (আঃ) আমার নিকট এসেছিলেন এবং আমাকে মনোনীত করেছিলেন। তিনি তাঁর
আঙ্গুল নাড়ালেন এবং উল্লেখ করলেন যে, আল্লাহ্ পাক-এর প্রতিশ্রুতি এসেছে। যারা এটা বিশ্বাস করবে, তারাই রহ্মত প্রাপ্ত, নানা রোগ বিস্তার পাবে এবং
অনেক দূর্যোগ জীবন সংহার পাবে।” তার নিকট হযরত জীব্রাঈল
(আঃ)-এর আগমন উল্লেখ করে সে প্রমাণ করলো যে, সে (মির্জা) একজন পূর্ণ পয়গম্বর। এই অনুচ্ছেদ স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, মির্জাকে অপূর্ণ নবী হিসাবে
গণ্য করা যাবেনা, বরং তাকে পরিপূর্ণ
নবীই মনে করতে হবে। যেমন ছিলেন,
হুজুর
পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটা মির্জার ঐ বক্তব্য দ্বারাও প্রমাণিত যে, মির্জার মর্যাদা অন্য সকল নবী-রাসূল
(আঃ)গণের উপরে। বরাহিন-ই-আহমদীয়া পুস্তিকার
৪নং ভলিউমে মির্জা তার নিজের সম্বন্ধে যা লিখেছে, তাতেই তার গুণ বা উচ্চ মর্যাদা সম্বন্ধে ধারণা
করা যায়। অভিযোগে বর্ণিত বিভিন্ন ঐশী বাণীর উল্লেখ করে সে বলেছে, এগুলোতে আব্রাহাম, ডেভিড, যোসেফ, জেসাস ইত্যাদি নাম এসেছে। এবং
এগুলো সে পুণরায় লিখেছে এবং ব্যাখ্যা করেছে যে, এগুলো তাকে (মির্জাকে) লক্ষ্য করে বলা হয়েছে। দেখুন
পৃষ্ঠা- ৫৫৫-৫৫৭) মলফুজাত-ই-আহমদীয়া পুস্তিকার
ভলিউম-৪, ১৪২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ
আছে যে, নবী (আঃ)গণের পূর্ণতা
সম্বন্ধে মির্জা বলেছে,
“অন্যান্য নবীদের মধ্যে পূর্ণতা প্রাপ্তির বিভিন্ন স্তর ছিল, কিন্তু আমাদের রাসূল, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এদিক থেকে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। পবিত্র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) এখন ঐ সকল পরিপূর্ণতা প্রতিবিম্বের মত আমাদের প্রদান করেছেন। (এটার অর্থ হতে
পারে ঐ সকল পরিপূর্ণতা মির্জার মধ্যে প্রতিমিম্বিত হয়েছে) যেজন্য আমাদের নাম করা হয়েছে, এ্যাডাম, আব্রাহাম, মোসেস, নূহ, ডেভিড, জোসেফ, সোলমন, জন (ইয়াহ্ইয়া) এবং জেসাস। অন্যত্র সে বলেছে, “পূর্বে সকল নবী-রাসূল
(আঃ) ছিলেন, পবিত্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষ গুণসমূহের প্রতিচ্ছায়া। এখন আমরা পবিত্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সকল গুণসমূহের প্রতিচ্ছায়া (ছধফফ)। প্রতিচ্ছায়া (ছধফফ) এবং মূল, এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, এটাই মির্জার বক্তব্য। সে বলেছে, বস্তুতঃ একজন অন্যজনের দ্বিতীয়
বা জোড়। মির্জার দাবীতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সে পবিত্র নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর
পরিপূর্ণ প্রতিচ্ছায়া এবং অন্যান্য নবী (আঃ)গণ তুলনামূলকভাবে পূর্ণতা প্রাপ্তিতে নিম্ন
স্তরের ছিলেন। মির্জার ব্যাখ্যা অনুযায়ী এটা পরিস্কার যে, পূর্ণতা প্রাপ্তি এবং মর্যাদার দিক থেকে সে (মির্জা)
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সমকক্ষই ছিল এবং অন্যান্য নবী (আঃ)গণের
চেয়ে অনেক উচ্চ মর্যাদার অধিকারী ছিল। (
অসমাপ্ত )
*************************************************************
নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ( ইসলামী শরীয়তের হুকুম মোতাবেক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই
ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময়
৩দিন। এরপর তওবা না করলে, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড ) (১) কাদিয়ানী রদ! ( চতুর্থ ভাগ )
বাহরুল উলুম, ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মোহাদ্দেসীন, তাজুল মোফাসসেরীন, হাফেজে হাদীস, মুফতীয়ে আজম, পীরে কামেল, মোর্শেদে মোকাম্মেল হযরত মাওলানা
আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন (রঃ) কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানি রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফেরকা
থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আকীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের
প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। ওনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে
প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। (পূর্ব প্রকাশিতের পর) মির্জ্জার আকায়েদ জনাব, খোদা কি কাষ্ঠ পুত্তলির ন্যায়
যে, মির্জ্জা ছাহেব যাহাই
পেশ করিবেন, তাহাতেই দস্তখত করিবেন? মির্জ্জা ছাহেবের খোদা কি পরিমাণ
কালির দরকার তাহা কি অবগত নহেন,
এমন কি
দরকারের বেশী কালি লইয়া অপব্যয় করিলেন? তিনি কি অন্ধ যে, নিকটস্থ লোকের পিরাহান ও টুপি নষ্ট করিয়া দিলেন? জনাব, মুছলমানদিগের খোদা এরূপ সাকার
নহেন, ইহা শয়তানি কান্ড ব্যতীত
আর কিছুই নহে। মির্জ্জা ছাহেব শয়তানকে খোদা ধারণা করিয়া এইরূপ ভ্রমে পতিত হইয়াছেন।
(১২) মির্জ্জা ছাহেব তোহকায় গোলাজরিয়ার
১৩০ পৃষ্ঠায় এবং আল-বোশরার ৭৬ পৃষ্ঠায় এই এলহামটী লিখিয়াছেন-
ھے رودر کوپال تیری استت کیتا مین
ھے-
তিনি ‘লেক্চারে সিয়ালকোট’-এর ৩৩ পৃষ্ঠায় উহার এইরূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন ;-
ایساھی مین راجہ کرشن
کے رنگ مین بھی
ھون جو ھندو مذھب
کے تمام اوتا رون
مین بزاتھا- یا یون
کھنا چاھئے کہ حقیقت روحائی کی روسے مین
و ھی ھون- یہ
میرے قیاس سے نھین
بلکہ وہ خدا جو
زمین و اسمان کا
خدا ھے اس نے
یہ میرےپر ظاھر کیا- خدا
کا و عدہ تھا
کہ اخر زمانہ مین
اس کا یعنے کرشن
کا بروز یعنے اوتار پیدا کرے سویہ و
عدہ میرے ظھور سے
پورا ھوا
“এইরূপ আমি রাজা কৃষ্ণের রূপে হইয়াছি যিনি হিন্দু মতের সমস্ত অবতারের মধ্যে বড়, কিম্বা এরূপ বলা উচিত যে, প্রকৃত আত্মিকরূপে আমি ঐ কৃষ্ণ, ইহা আমার আনুমানিক কথা নহে।
বরং আছমান ও জমিনের খোদা ইহা আমার নিকট প্রকাশ করিয়াছেন। খোদার ইহা প্রতিশ্রুতি ছিল
যে, (তিনি) শেষ জামানায়
কৃষ্ণের অবতার পয়দা করিবেন,
উক্ত
প্রতিশ্রুতি আমার প্রকাশে পূর্ণ হইল।” এইরূপ তাতেম্মায়-হাকিকাতোল
অহির ৮৫ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে। হিন্দুরা কৃষ্ণকে পরমেশ্বরের অবতার বলিয়া থাকেন, এই কৃষ্ণজি জন্মান্তর বাদের
মতাবলম্বী ছিল, গীতার ২ অধ্যায় ১২/১৩/২২
শ্লোক দ্রষ্টব্য। মির্জ্জা ছাহেব যখন কৃষ্ণের
অবতার হওয়ার দাবি করিয়াছেন,
তখন তাহার
ন্যায় জন্মান্তর বাদের মত ধারণ করিয়াছেন। মির্জ্জা
ছাহেব এস্তেহারে-একগলতিকা এজালা’তে লিখিয়াছেন ;-
بروزی طور و
ھی خاتم الانبیاء
ھون اور خدا نے
میرا نام محمد اور
احمد رکھا ھے اور
مجھے انحضرت صلی اللہ
علیہ وسلم کا ھے
وجود قرار دیا ھے-
আত্মিকভাবে আমি ঐ খাতেমোল আম্বিয়া হইতেছি, খোদা আমার নাম মোহাম্মদ ও আহমদ
রাখিয়াছেন এবং আমাকে আঁহজরত (ছাঃ)এর ওজুদ স্থির করিয়াছেন।” হাকিকাতোন্নবুয়ত ২৬৫ পৃষ্ঠা
দ্রষ্টব্য। তিনি আইনায়-কামালাতে ইছলামের
৩৫৮ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
وظهر المسيح
فيى مرأتى وتجلي حتى
تخيلت ان قلبى وكبدي وعروقى واوتارى ممتلئة
من وجوده ووحودى
قطعة من جوهر وحوده.
“মছিহ আমার দেহে প্রকাশিত
হইয়া জ্যোতিঃ বির্কর্ণ করিলেন,
এমন কি
আমি ধারণা করিলাম যে, আমার অন্তর হৃৎপিন্ড, শীরা ও স্নায়ু সকল তাঁহার ওজুদ
দ্বারা পূর্ণ হইয়া গিয়াছে এবং আমার দেহ তাহার মূল দেহের একাংশ।” তিনি ‘আলবোশরা’র ১/৫৬ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
اربون كا بادشاه ايا
“আর্য্যদিগের বাদশাহ
আসিয়াছেন।” তিনি ‘হকিকাতোল-অহি’র ৯৭ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
برھمن اوتارسے
مقابلہ اچھا نھین-
“ব্রাক্ষ্মণ অবতারের
সহিত সংগ্রাম করা উত্তম নহে।” মির্জ্জা ছাহেব নিজেই
এজালাতোল-আওহামের ৪৭৫/৪৭৮ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, লোক মরিয়া কেয়ামতের পূর্ব্বে দুন্ইয়ায় আসিতে পারে
না। আবার তিনি হজরত মোহাম্মদ (ছাঃ), হজরত ইছা (আঃ) ও কৃষ্ণের রুহ ও ওজুদ কিরূপে নিজের মধ্যে আনয়ন
করিলেন? জন্মান্তরবাদ ও অবতারবাদ
খাঁটি হিন্দুয়ানি মত, মির্জ্জা ছাহেব কোরআন
ও হাদিছের শিক্ষা ত্যাগ করিয়া ও ইছলামের নির্ম্মল ঝরণা হইতে মুখ ফিরাইয়া জন্মান্তর-বাদিদিগের
পদানুসরণ করিতে গেলেন এবং মক্কা শরিফ ত্যাগ করিয়া মথুরার দিকে মুখ করিলেন। (১৩) মির্জ্জা ছাহেব ফেরেশতাগণের খারিজি ওজুদের
(বাস্তব অস্তিত্বের) কথা অস্বীকার করেন, তাঁহাদিগকে নক্ষত্ররাজির আত্মা বলিয়া ধারণা করেন এবং বলিয়া থাকেন
যে, ফেরেশতাগণ কখনও জমিনে
আগমন করেন না। তিনি তওজিহোল-মারামের ৫৩ পৃষ্ঠায়
লিখিয়াছেন ;-
جص طرح افتاب اپنے مقام پرھے اور
اس کی گرمی اور
راوشنی زمین پر پھیل
کر اپنے خواص کے
موافق زمین کے ھر
ایک جیز کو فائدہ پھنجاتی ھے- اسی طرح
روحانیت سماویہ خواہ ان
کو یونانیون کے خیال
کے موافق نفوس فلکیہ کھین یا دساتیر
اور وید کی اصطلاحات کے موافق ارواح کواکب سے ان کو نامزد کرین یا نھایت سیدھے اور موحدانہ طریق سے
ملائکۃ اللہ کا ان
کو لقب دین در
حقیقت یہ عجیت مخلوقات اپنے اپنے مقام مین
مستقر اور قرار گیرھے-
“যেরূপ সূর্য্য নিজের স্থানে এবং উহার তাপ ও আলোক জমিতে ছড়াইয়া পড়িয়া নিজের খাছিয়তগুলির
অনুপাতে জমির প্রত্যেক বস্তুর উপকার করিয়া থাকে, এইরূপ আছমানি রুহগুলি হয় ইহাদিগকে ইউনিয়ানদিগের
ধারণা অনুসারে আছমানি জীবাত্মা বলেন, হয় দাছাতির ও বেদের ব্যবহার অনুসারে নক্ষত্রগুলির আত্মা নামে
অভিহিত করেন, কিম্বা নিতান্ত সোজা
ও মোয়াহে¡দানা ভাবে ‘মালায়েকাতোল্লাহ’ উপাধিতে বিভূষিত করেন, প্রকৃতপক্ষে এই বিস্ময়কর সৃষ্ট বস্তুগুলি নিজ নিজ
স্থানে স্থিতিশীল আছে।” তওজিহোল-মারাম, ৫৩/৫৫ পৃষ্ঠা ;-
وہ نفوس نورانیہ کواکب اور سیارات
کے لئے جان کا
ھی حکم رکھتے ھین
اور ان سے ایک
لحظہ کے لئے جدا
نھین ھو سکتے ان
کو نفوس کواکب سے
بھی نامزد کرسکتے
ھین-
“উক্ত নুরাণি নাফ্ছগুলি নক্ষত্রগুলির প্রাণ-স্বরূপ এবং এই নফছগুলি উক্ত নক্ষত্রগুলি
হইতে এক নিমেষের জন্য বিচ্ছিন্ন হয় না। ইহাদিগকে নক্ষত্রগুলির আত্মা নামে অভিহিত করিতে
পারি। উক্ত কেতাব, ৫২ পৃষ্ঠা ;-
ملائکہ اپنے وجود
کے ساتھہ کبھی زمین
پر نھین اتبرتے-
ملک الموت زمین پر
نھین اترا- فرشتے اپنے
مقررہ مقام سے ایک
ذرہ کے برابر بھی
اگے پیچھے نھین ھوتے-
“ফেরেশতাগণ নিজের ওজুদের সহিত কখনও জমিতে নামিয়া আসেন না। মালাকোল-মওত জমিতে নামিয়া
আসেন না। ফেরেশতাগণ নিজেদের নির্দ্দিষ্ট স্থান হইতে এক বিন্দু পরিমাণ অগ্র-পশ্চাতে
যাননা।”
( অসমাপ্ত
) (২) ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক কাদিয়ানীদের- ‘কাফের’ ঘোষণা! ( পূর্ব প্রকাশিতের পর ) অনুবাদক - আল্হাজ্ব মুহম্মদ হাবিবুল হক বরাহিন-ই-আহমদীয়া পুস্তিকায় অনেক ঐশী বাণীর উল্লেখ
করা হয়েছে কোরআন শরীফের আয়াতের অনুরূপ। যেগুলো হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
নিকট নাযিল হয়েছে। মির্জা দাবী করেছে, ঐ সকল ঐশী বাণী তার নিকটও নাযিল করা হয়েছে এবং সেই (মির্জা)
এই ঐশী বাণীগুলোর লক্ষ্য। উদাহরণ স্বরূপ আয়াত ৪৮ঃ২৮-
هو الذى ارسل
رسوله بالهدى ودين الحق. অন্যান্য আয়াত শরীফের উদাহরণ আয়াত শরীফ ৮ঃ৭, ৬৮ঃ২, ৩ঃ৩১, ২৬ঃ৬২ ইত্যাদি। এভাবে বরাহিন-ই-আহমদীয়া
পুস্তিকায় সে (মির্জা) ভিত্তি স্থাপন করেছিল যে, সে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
সম-মর্যাদার। সে দাবী করেছে যে, সে ৩,০০,০০০ ঐশী বাণী পেয়েছে।
তন্মধ্যে ৫০,০০০টি বিভিন্ন উপায়ে
অর্থ প্রাপ্তির উৎস সম্বন্ধীয়। অন্যান্য অনেক স্থানে মির্জা বুঝাতে চেয়েছে, অন্যান্য অনেক নবী যেমন- হযরত
নূহ্ (আঃ), যোসেফ এবং জেসাসকে
যে পরিমাণ ঐশী বাণী প্রেরণ করা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশী সে পেয়েছে। কালিমাতু ফসল পুস্তিকায় (ৗণশধণষ মত ৗণফধথধমভ্র ূম.৩, গমফ-১৪, টেথণ-৪৭) মির্জা বশীর আহ্মদ
বলেছে, এটা সম্ভব নয়, যে হজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামকে অস্বীকার করলো,
সে অবিশ্বাসী
হবে। কিন্তু যে প্রতিশ্রুত মসীহ্কে অস্বীকার করে, সে নাস্তিক নাও হতে পারে। যদি প্রথম আগমন অগ্রাহ্য
করে অবিশ্বাসী হয়, দ্বিতীয় আগমন অগ্রাহ্য
ধর্মে অবিশ্বাসী বলা যাবেনা। প্রতিশ্রুত মসীহ্র (মির্জার) মতানুযায়ী এটাতে সে আধ্যাত্মিকভাবে, অধিক শক্তিসম্পন্ন, পূর্ণতা প্রাপ্ত এবং সফলকাম
ছিল। কালিমাতুল ফসলে (ৗণশধণষ মত ৗণফধথধমল্র
ূম. ৩, গমফলবণ- ১৪, টেথণ ভম: ১৪৭) মির্জা বশির
আহ্মেদ বলেছেন, “ইহা সম্ভব নয় যে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অস্বীকার করে, সে অবিশ্বাসী হবে, কিন্তু যে প্রতিশ্রুত মসীহকে
অস্বীকার করে নাস্তিক নাও হতে পারে।” যদি প্রথম আবির্ভাব অগ্রাহ্যতে
অবিশ্বাসী হয়, তবে দ্বিতীয় আবির্ভাব
অগ্রাহ্যতে ধর্মে অবিশ্বাস বলা যাবেনা। প্রতিশ্রুত মসীহ্র (মির্জার) মত অনুযায়ী সে
(মির্জা) আধ্যাত্মিকভাবে অধিক শক্তিশালী। অধিক পূর্ণতা প্রাপ্ত এবং অধিক সফলকাম। মির্জার
দাবী দ্বিতীয় আগমন হলো- মির্জার নুবুওওয়াত। মির্জা নিজেকে পবিত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে তুলনা করে বলেছে, সে (মির্জা) আধ্যাত্মিকভাবে বেশী শক্তিশালী। বেশী
পূর্ণতা প্রাপ্ত এবং বেশী সফলতাপূর্ণ, যা পবিত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের
মাপকাঠিও। মির্জার জীবদ্দশায়ই একটি কবিতার অন্তর্গত ছোট্ট, উপাখ্যানে তার এ দাবী প্রমাণিত হয়েছে। মির্জার
অনুসারী কাজী আকমল নামে এক কবি মির্জার প্রশংসায় একটি কবিতা লিখেছে, তাতে মির্জার রেসালত দাবীর
উল্লেখ ছিল। ঐ কবিতাটি কাদীয়ানিদের “আল বদর” পত্রিকায় ১৯০২ সালের
২৫ শে অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছিল। ঐ কবিতার একটি লাইন নিম্নরূপ ছিল-
محمد پھر اتر
ائے ھین ھم میی
اور اگے سے ھین
بژھکر اپنی شان میی-
অর্থঃ- মুহম্মদ পুণরায় আমাদের মধ্যে অবতরণ করেছেন, উৎকৃষ্টতর বৈশিষ্ট্য এবং মহিমায়। (ওণণ টেথদটবণ - ণ - ওলফণদ, ীটদমরণ ূম. ৪৭, গমফলবণ -৩২ ঊর্টণঢ ৩র্০দ ূমশণবঠণর ১৯৪৪ লৈটঢধটভধ ুটড়দটঠ, টেথণ্র- ২৬০ - ২৬১) তার কবিতায় মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দ্বিতীয় আগমনের উল্লেখের অর্থ মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মির্জা সাহেব হিসাবে পুণরায় আবির্ভূত হয়েছেন। তার (মির্জার) যাত্রা এবং মহিমা হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য এবং মহত্বকে ছাড়িয়ে গেছে (দির্লঠট - ণ - অফদটবধট)। পরবর্তী পদক্ষেপে তার নিজের নুবুওওয়াত দাবীর চুড়ান্ত অবস্থার বিষয়। নিম্নের বর্ণনা থেকে স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান হয়- “মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নুবুওওয়াতের চূড়ান্ত অবস্থার সঠিক মূল্যায়ন শেষ নবীর মত কেউ ছাড়া উপলব্ধি করতে পারবে না। কারণ কোন জিনিসের সঠিক মূল্যায়ন নির্ভর করে ঐ জিনিসটি যার অধিকারভূক্ত তার উপর। ইহা একটি প্রমাণিত বিষয় যে, চূড়ান্ত অবস্থা হয়তো পবিত্র পয়গম্বর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অথবা প্রতিশ্রুত মসীহ্র আওতাভূক্ত (কট্রদদণণড় - লফ - ইড়দটভ লৈটঢধটভ, ূম. ৮, গমফ - ১২, র্অ্র টভঢ ২ভঢ ইলথর্ল্র, ১৯১৭/ লৈটঢধটভধ ুটড়দটঠ) (অসমাপ্ত)
**************************************************************************************
খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ( ইসলামী শরীয়তের হুকুম মোতাবেক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই
ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময়
৩দিন। এরপর তওবা না করলে, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড ) (১) কাদিয়ানী রদ! ( চতুর্থ ভাগ )
বাহরুল উলুম, ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মোহাদ্দেসীন, তাজুল মোফাসসেরীন, হাফেজে হাদীস, মুফতীয়ে আজম, পীরে কামেল, মোর্শেদে মোকাম্মেল হযরত মাওলানা
আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন (রঃ) কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানি রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফেরকা
থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আকীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের
প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। ওনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে
প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। (পূর্ব প্রকাশিতের পর) মির্জ্জার আকায়েদ উক্ত
কেতাব, ৬৫ পৃষ্ঠা ;-
دنیا مین جس
قدر تم تغیرات
و انقلابات دیکھتے
ھو یا جو کچھہ
ممکن قوۃ سے حیز
فعل مین اتا ھے
یا جس قدر ارواح و اجسام اپنے کمالات مطلوب تک
پھنچتے ھین ان سب
پر تاثیرات سماویہ
کام کر رھی ھے-
جبرئیل کا تعلق اسمان کے ایک نھایت روشن
نبر (افتاب) سے ھے-
“দুন্ইয়াতে তোমরা যে পরিমাণ পরিবর্ত্তন ও অবস্থার বিপর্য্যয় দেখিতেছ, কিম্বা যে কোন সম্ভব বিষয় অনস্তিত্ব
হইতে অস্তিত্ব বিশিষ্ট হয়,
অথবা
যে পরিমাণ আত্মা ও জেছম (আকারধারী) বিষয়) নিজের বাঞ্ছিত লেয়াকাতের (যোগ্যতার) নিকট
উপস্থিত হয়, এই সমস্তের উপর আছমানি
তাছিরাত কার্য্য করিয়া থাকে। জিবরাইলের সম্বন্ধ আছমানেও এক অত্যুজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের
(সূর্য্যরে) সহিত রহিয়াছে।” মির্জ্জা ছাহেব জ্ঞানের
বহির্ভূত কোন বিষয় দেখিলেই আতঙ্কিত হইয়া থাকেন, এই হেতু তিনি ইছলামের সমস্ত জরুরি বিষয় অসম্পূর্ণ
জ্ঞানের সহিত সামঞ্জস্য করিয়া লইতে চাহেন, কাজেই নক্ষত্রোপাসকদিগের ও পৌত্তলিকদিগের কেতাবের
জ্ঞানানুমোদিত মত গ্রহণ করিয়াছেন। এস্থলে
বর্ত্তমান দর্শন ও বিজ্ঞানের মতটী উদ্ধৃত করিয়া মির্জ্জা ছাহেবের মতের অসারতা প্রকাশ
করা আবশ্যক মনে করি। বর্ত্তমান যুগের জার্ম্মান, ফ্রান্স ও আমেরিকা ইত্যাদির
জ্যোতিষ তত্ত্ববিদ্গণ দূরবীনের সাহায্যে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন যে, চন্দ্র, সূর্য্য ও অন্যান্য নক্ষত্রগুলি
আছমান ও জমিনের ন্যায় কতকগুলি স্তররূপে রহিয়াছে, উহাদের কতকের মধ্যে আবাদিও আছে। বৃহস্পতি গ্রহের
মধ্যে আবাদি থাকার কথা তাহাদের নিকট প্রায় সপ্রমাণ হইয়াছে, বরং মির্জ্জা ছাহেব ছোরমায় ছশমে-আরিয়ার ১৭৩ পৃষ্ঠায়
চন্দ্র ও সূর্য্যরে মধ্যে আবাদি থাকার কথা স্বীকার করিয়াছেন। এই নূতন দর্শন ও বিজ্ঞানের এবং মির্জ্জা ছাহেবের নিজের
স্বীকারোক্তির বিরুদ্ধে ফেরেশ্তাদিগকে নক্ষত্রমালার আত্মা বলা হাস্যজনক বিষয় নহে কি? ইউরোপের বিদ্বান্গণ
ও প্রফেছারগণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন যে, গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্রমালা, উল্কাপিন্ড ইত্যাদি আছমানী জ্যোতিষ্কমন্ডলী লৌহ, কাঁসা, গন্ধক, মগনিশিয়া, চূর্ণ, এলোমনিয়াম, পোটাশ, ছোডা, তাঁবা, কার্বন ইত্যাদি বিষয় হইতে নির্ম্মিত
হইয়াছে। ডাক্তার ছিরিপকনেশ প্রণীত মোর্রানিয়া জিয়ালোজি দ্রষ্টব্য। ইহাতেও বুঝা যাইতেছে
যে, উপরোক্ত জড় পদার্থগুলির
কোন আত্মা নাই- যাহা ফেরেশ্তাগণ নামে অবিহিত হইতে পারে। (অসমাপ্ত)
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট
কর্তৃক কাদিয়ানীদের- ‘কাফের’ ঘোষণা! ( পূর্ব প্রকাশিতের
পর ) অনুবাদক - আল্হাজ্ব মুহম্মদ হাবিবুল হক
“সংক্ষেপে বলতে হয়, এই উম্মাহ্র মধ্যে আমিই একমাত্র
ব্যক্তি, যে প্রচুর ইল্হাম প্রাপ্ত
এবং গোপন তথ্যের জ্ঞানে জ্ঞানী বিধায় (নুবুওওয়াতের জন্য) নির্দ্ধারিত। এই উম্মাহ্র
অন্য কোন ওলী আল্লাহ্কে কুতুব বা আব্দাল শ্রেণীর কাউকেই এরূপ উচ্চ পর্যায়ের ঐশ্বরিক
করুণা দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র আমিই পয়গম্বর নাম ধারণে বিশেষভাবে সম্মানিত। পূর্ব নির্ধারিত
মাপকাঠি অনুযায়ী প্রাচুর্যপূর্ণ ইল্হাম এবং গোপন তথ্যের জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতেন, তবে তারাও পয়গম্বর সম্বোধন
পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতেন। ঐ পরিস্থিতিতে পবিত্র পয়গম্বর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর ভবিষ্যদ্বাণী একটি সমালোচনার সম্মুখীন হতেন। এ কারণে দৈব ঐ সকল ন্যায়পরায়ণ
এবং ধার্মিক ব্যক্তিদের ইল্হাম প্রাপ্তিতে পূর্ণতা অর্জনে বাঁধা দেন। কেননা পুরুষানুক্রমিকভাবে
বিশুদ্ধতা প্রমাণিত গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ঐ রকম একজনই হবেন।
ايساشخص ايك هى
هو كا.
(ঔট্যধ্যর্ট- লফ - ষটদধ
- টেথণ - ৩৯১) উপরোক্ত বক্তব্য থেকে এটাই
প্রতীয়মান হয় যে, মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরে মির্জাই একমাত্র পয়গম্বর, যদিও সে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
অনুসারী, তথাপি সে পয়গম্বর নামে
ডাকার যোগ্য। সুতরাং ইহাই প্রমাণিত হয় যে, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ
পয়গম্বর নয়, বরং মির্জাই শেষ পয়গম্বর।
নিম্নলিখিত উদ্ধৃতিগুলি দ্বারা উহা
আরো স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে,
“কোরআন শরীফের আয়াত নং ৈ : ৬২-এর
(واخرين منهم لم
يلحقوا بهم.)
অর্থঃ- অনুযায়ী আমি অনেকবার বলেছি যে, আমিই ঐ খাতামুল আম্বিয়া (শেষ নবী) গোপন তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে” (ইধপ ঐদটফর্টধ টি ঋড়টফট যটথণ- ৫) “আল্লাহ্ পাক-এর মতে হওয়ার আমিই শেষ অবলম্বন। তাঁহার নূরের আমিই শেষ আলো।” (ট্রির্দধণ - ূটদ টেথণ - ৫৬)। (ولكن رسول الله وخاتم النبيين) (কিন্তু তিনি আল্লাহ্ পাক-এর রাসূল এবং আল্লাহ্ পাক-এর শেষ এবং রাসূলদের শেষ) মির্জা বলে, এই আয়াতে একটি গুপ্ত ভবিষ্যদ্বাণী আছে, শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত রেসালত ও নুবুওওয়াত বন্ধ করা হয়েছে, তবে রাসূলাল্লাহ্র প্রতিবিম্বিত ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য নহে। ইহা পবিত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এখতিয়ার। অন্য কেহই আল্লাহ্ পাক-এর নিকট থেকে প্রকাশ্যে গোপনীয় বিষয় জানার যোগ্যতা রাখেনা। যেহেতু আমি মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতিবিম্ব, আমাকে ঐভাবে (بروزمحمدى) রেসালত দেয়া হয়েছে। সমস্ত পৃথিবী এখন ক্ষমতাহীন যেহেতু রেসালতের উপর সীল মোহর করা হয়েছে। মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল যোগ্যতাসহ একজন মহাপুরুষের আবির্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী কার্যে পরিণত হয়েছে, এখন তিনি (মির্জা) আবির্ভূত হয়েছেন। (ইঅি ঐঔইীইকঅ- ইি - অছইীই) মনে রাখতে হবে যে, মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্পূর্ণতা দেয়া হয়েছিল চিরসত্য আল্লাহ্ পাক-এর দ্বারা। পরে তা একজনকে অর্পন করা হয়েছিল, যাকে তাঁর আত্মা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং তাঁর প্রতিচ্ছায়ায় পরিণত করেছেন” (ুটফ এটর্যলতধ ইঢটবটষটফ ুট্রণণদ-ধফ-ুটলমমঢ, ছটবণণবট দির্লঠট-ধ-অফদটবধট টেথণ)” । আল্লাহ্ পাক এটা নির্ধারণ করেছিলেন যে, একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে, যা প্রত্যাবর্তনের (رجعت) সময় হিসাবে গণ্য, যাতে এই উম্মাহ্ অন্যান্য উম্মাহ্র তুলনায় নিম্নমানের না হয়। প্রসঙ্গতঃ আমাকে সৃষ্টিতে তিনি আমার মধ্যে পূর্ববর্তী সকল নবী (আঃ)গণের সদৃশ সৃষ্টি করেন এবং সকল নবী (আঃ)গণের নাম আমাকে জানান। সেহেতু বরাহিন-ই-আহ্মদীয়ায় আমার নামকরণ করা হয়েছে, আদম (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ), মুসা (আঃ), নূহ্ (আঃ), ডেভিড, সুলাইমান (আঃ), াম্রণযদ, ামদভর্ দণ ঈটর্যর্ধ্র, াণ্রল্র ইত্যাদি। মনে হয়, এভাবেই সকল নবী এই উম্মায় পূণঃ জন্ম গ্রহণ করেন, সর্বশেষ মসীহ্ জন্ম গ্রহণ না করা পর্যন্ত। আমার প্রতিপক্ষীয়দের নামকরণ করা হয়েছিল, (াণ্রল্র) খৃষ্টান এবং বহু ঈশ্বরবাদী (ূলড়লফ-লফ-ুট্রণণদ-৪, টিফধবর্ট-লফ-এট্রফ টেথণ-১৩৩)) ( অসমাপ্ত )
**********************************************************************************************************
খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফের
(
ইসলামী
শরীয়তের হুকুম মোতাবেক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের
অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড
) (১) কাদিয়ানী রদ! ( চতুর্থ ভাগ )
বাহরুল উলুম, ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মোহাদ্দেসীন,
তাজুল
মোফাসসেরীন, হাফেজে হাদীস, মুফতীয়ে আজম, পীরে কামেল,
মোর্শেদে
মোকাম্মেল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন (রঃ) কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানি রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফেরকা
থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আকীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের
প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। ওনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার
কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। (পূর্ব প্রকাশিতের পর) মির্জ্জার আকায়েদ মির্জ্জা ছাহেব বারাহিনে আহমদীয়ার ৩৯২/৩৯৩ পৃষ্ঠায়
হিন্দুদিগের উপর এই প্রশ্ন করিয়াছেন যে,
তাহারা
৩৩ কোটী দেবতাকে উপাসনা কার্য্যে খোদার শরিক স্থির করিয়া থাকেন, কিন্তু তিনি ফেরেশ্তাগণকে নক্ষত্রগুলির আত্মা ধারণা
করিয়া বলিতেছেন, দুনইয়ার সমস্ত কার্য্যই
নক্ষত্রমালার তাছিরে ঘটিয়া থাকে। হিন্দুরা
৩৩ কোটী দেবতাকে উপাসনা কার্য্যে খোদার শরিক করিয়াছেন, আর মির্জ্জা ছাহেব অসংখ্য নক্ষত্রগুলিকে সৃষ্টিকার্য্যে
তাঁহার শরিক করিয়াছেন। ইহাতে বুঝা যায় যে,
মির্জ্জা
ছাহেবের মোশরেকি শিক্ষা জ্ঞান ও প্রকৃত ঘটনার বিপরীত। মির্জ্জা ছাহেব কোরআন ও হাদিছ মান্য করিয়া থাকেন, কাজেই এস্থলে কয়েকটী আয়ত ও হাদিছ পেশ করিতেছি ;- কোরআন ছূরা-মূলক,
ولقد زيتا السماء الدنيا بمصا بيح. “নিশ্চয়ই আমি নিম্ন আছমানকে প্রদীপসমূহ (নক্ষত্রমালা)
দ্বারা সজ্জিত করিয়াছি।” আরও কোরআন,
وبا لنجم هم
يهتدون. “লোকে নক্ষত্রের দ্বারা পথ প্রাপ্ত হইয়া থাকে।” আরও কোরআন ছুরা মোলক ;-
وحعلنا ها رحو
ما للشيطين. “আমি নক্ষত্রগুলিকে শয়তানগুলির আঘাতস্বরূপ স্থির
করিয়াছি।” খোদাতায়ালা নক্ষত্রগুলির সৃষ্টির উপরোক্ত তিনটী কারণ উল্লেখ
করিয়াছেন, ইহাতে বুঝা গেল যে, দুনইয়ার সমস্ত কার্য্য নক্ষত্রমালার তাছিরে হওয়ার
দাবি মোশরেকি আকিদা। কোরআন ছুরা হুদ,
৭ রুকু
;-
ولما جاعت رسلنا لوطا ...... سجيل منصور. “এবং যে সময় আমার রাছূলগণ (ফেরেশতাগণ) লুতের নিকট
উপস্থিত হইলেন, তখন তিনি তাঁহাদের
জন্য দুঃখিত হইলেন এবং তাঁহাদের জন্য ক্ষুব্ধমনা হইলেন এবং বলিলেন, এই দিবস সুকঠিন। এবং তাহার নিকট তাহার সম্প্রদায়
তৎপ্রতি ধাবমান হইয়া উপস্থিত হইল এবং পূর্ব্বে তাহারা দুষ্কর্ম্ম সকল করিত। তিনি বলিলেন, হে আমার সম্প্রদায়, ইহারা আমার কন্যাগণ, ইহারা তোমাদের জন্য বিশুদ্ধ, অতএব আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার অভ্যাগতদিগের সম্বন্ধে
আমাকে লাঞ্ছিত করিও না। তোমাদের মধ্যে কি কোন সুপদগামী পুরুষ নাই? তাহারা বলিল, সত্যই তুমি জানিয়াছ যে, তোমার কন্যাগণের প্রতি আমাদিগের কোন স্বত্ত্ব নাই এবং আমরা যাহা
চাহিতেছি, নিশ্চয় তুমি তাহা অবগত আছ।
তিনি বলিলেন, যদি তোমাদের প্রতি
আমার ক্ষমতা থাকিত, কিম্বা কোন দৃঢ় স্তম্ভের
আশ্রয় গ্রহণ করিতে পারিতাম, (তবে আমি তোমাদিগকে
বিতাড়িত করিতাম)। ফেরেশ্তাগণ বলিলেন,
হে লুত, নিশ্চয় আমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রেরিত, কখনও তাহারা তোমার নিকট পৌঁছিতে পারিবে না। তুমি
রাত্রির একভাবে নিজের পরিজনদিগকে লইয়া চলিয়া যাও এবং তোমার স্ত্রী ব্যতীত তোমাদের মধ্যে
কেহ যেন পশ্চাতের দিকে না দেখে, নিশ্চয় উক্ত সম্প্রদায়ের
প্রতি যাহা ঘটিবে, ঐ স্ত্রীর প্রতি তাহা
ঘটিবে। তাহাদের নির্দ্ধারিত কাল প্রাতঃকাল,
প্রাতঃকাল
কি নিকটে নয়? তৎপরে যখন আমার আদেশ
উপস্থিত হইল, আমি উক্ত শহরের উপরি
অংশকে নিম্নে করিলাম এবং আমি উহার উপর মৃত্তিকাজাত অগ্নি পরিপক্ক প্রস্তর সকল বর্ষণ
করিলাম। (অসমাপ্ত)
(২) ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক কাদিয়ানীদের-
‘কাফের’ ঘোষণা! ( পূর্ব প্রকাশিতের পর ) অনুবাদক - আল্হাজ্ব মুহম্মদ
হাবিবুল হক কালিমাত-উল-ফসল যে (পৃষ্ঠা-১১৬)
মির্জার স্থলাভিষিক্ত, মির্জা বশির আহ্মদ
উপরোক্ত বিষয় বিশ্লেষণ করে বলেন, নবী (আঃ)-এর (একমাত্র
রাসূল) পর কয়েকজন নবী (আঃ)-এর আগমনের অর্থ হয়- (আল্লাহ্ না করুন) পবিত্র নবী (আঃ)-এর
(তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক) তুলনা হয় অতি সাধারণ অনেকেই আল্লাহ্র রাসূল মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে পারবে, যদি সে রাসূল ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল পূর্ণতা আয়ত্তে এনে পবিত্র আল্লাহ্র রাসূল-এর (তাঁর উপর
শান্তি বর্শিত হোক) প্রতিচ্ছবি হয়। সেহেতু এক ব্যক্তিই রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর সমমর্যাদা অর্জনে সাফল্য লাভ করে। ইহাই
ব্যাপারটি মীমাংসা করেছে। মির্জার জন্যই শুধু নুবুওওয়াতের দরজা খোলার পরিকল্পনা করা
হয়েছিল। একটি বিশেষ ব্যবস্থা হিসাবে মির্জার পক্ষে নুবুওওয়াত উন্মোচনের বিরুদ্ধের যুক্তি
চূড়ান্তভাবে অবলম্বন করা হয়। “ইজাজুল মসীহতে ব্যাখ্যা দেয়া
হয়েছে যে, পবিত্র নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম-এর দু’বার আবির্ভাব হবে। প্রথম আবির্ভাব হয়েছে- মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামের প্রকাশ এবং দ্বিতীয় আবির্ভাব (মির্জার বরুজ হিসাবে আবির্ভাবে)
হবে- আহ্মদ নামের প্রকাশের জন্য (টিফধবর্ট-লফ-এট্রফ টেথণ-১৪০)। তৃতীয় আবির্ভাব অস্বীকার
করা হয়। কাদিয়ানে প্রকাশিত তাশখিজুল
আযান (ূম:৮, গমফলবণ-১২ টেথণ-১১ ঢর্টণঢ ইলথর্ল্র-১৯১৭), উল্লেখ করা হয়েছে যে, একজন রাসূলের নাম পবিত্র রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম-এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে এবং অনেক নবী (আঃ)-এর আবির্ভাব অর্থ আল্লাহ্র
সরকারে এবং বিচক্ষণতায় দোষ ধরা (লৈটঢধটভ ুটড়দটঠ, টেথণ-১৯৬)। ঐ জার্নালে
মার্চ ১৯১৪ সালে আরো বলা হয়েছে- (ূম-২ গমফলবণ-৯ টেথণ:- ৩০৭, ৩২) কালিমাত-উল-ফসল
যে (পৃষ্ঠা-১১৬) মির্জার স্থলাভিষিক্ত,
মির্জা
বশির আহ্মদ উপরোক্ত বিষয় বিশ্লেষণ করে বলেন,
নবী
(আঃ)-এর (একমাত্র রাসূল) পর কয়েকজন নবী (আঃ)-এর আগমনের অর্থ হয়- (আল্লাহ্ না করুন)
পবিত্র নবী (আঃ)-এর (তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক) তুলনা হয় অতি সাধারণ অনেকেই আল্লাহ্র
রাসূল মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে পারবে, যদি সে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
সকল পূর্ণতা আয়ত্তে এনে পবিত্র আল্লাহ্র রাসূল-এর (তাঁর উপর শান্তি বর্শিত হোক) প্রতিচ্ছবি
হয়। সেহেতু এক ব্যক্তিই রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সমমর্যাদা অর্জনে
সাফল্য লাভ করে। ইহাই ব্যাপারটি মীমাংসা করেছে।
মির্জার জন্যই শুধু নুবুওওয়াতের দরজা খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। একটি বিশেষ ব্যবস্থা
হিসাবে মির্জার পক্ষে নুবুওওয়াত উন্মোচনের বিরুদ্ধের যুক্তি চূড়ান্তভাবে অবলম্বন করা
হয়। “ইজাজুল মসীহতে ব্যাখ্যা
দেয়া হয়েছে যে, পবিত্র নবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দু’বার আবির্ভাব হবে। প্রথম আবির্ভাব হয়েছে- মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামের প্রকাশ এবং দ্বিতীয় আবির্ভাব (মির্জার বরুজ হিসাবে আবির্ভাবে)
হবে- আহ্মদ নামের প্রকাশের জন্য (কালিমাতুল ফজল পৃষ্ঠা-১৪০)। তৃতীয় আবির্ভাব অস্বীকার
করা হয়। কাদিয়ানে প্রকাশিত তাশখিজুল
আযান (নং-৮, ভলিউম-১২, পৃষ্ঠা-১১, তারিখ আগষ্ট-১৯১৭) উল্লেখ করা হয়েছে যে, একজন রাসূলের নাম পবিত্র রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম-এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে এবং অনেক নবী (আঃ)-এর আবির্ভাব অর্থ আল্লাহ্র
সরকারে এবং বিচক্ষণতায় দোষ ধরা (কাদিয়ান মায্হাব, পৃষ্ঠা-১৯৬) ঐ জার্নালে মার্চ ১৯১৪ সালে আরো বলা হয়েছে-(নং-২, ভলিউম-৯,
পৃষ্ঠা-৩০৭,৩২) “সুতরাং ইহা প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মাহ্ থেকে একজনের বেশী নবী আসতে পারেনা। এ কারণে
তিনি (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন, “উনার (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মত থেকে একজনই আল্লাহ্
পাক-এর রাসূল আসবেন, তিনি হলেন- প্রতিশ্রুত
মসীহ্ (আঃ)। তাকে (মির্জা) ছাড়া আর কাউকে রাসল বা নবী নামে সম্বোধন করা হয়নি এবং অন্য
কোন রাসূলের আগমনের সংবাদও দেয়া হয়নি। অপরপক্ষে অন্য নবীর আগমন নিষেধ করা হয়েছে
(لانبى بعدى)
(আমার (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর কোন নবী নেই) এবং প্রকাশ্যে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, আমার (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর কোন নবী/রাসূল আসতে পারেনা। (কাদিয়ানী মায্হাব, পৃষ্ঠা-১৯৭) এখন উপরোক্ত উদ্ধৃতিসমূহ তুলনা করলে দেখা যায়, মির্জার বক্তব্য এবং তার খলীফার (স্থলাভিষিক্ত) বক্তব্য পরস্পর বিরোধী। এক মালাতি-কা-ইজালাতে (পৃষ্ঠা-৭) মির্জা বলেছে, যদিও নুবুওওয়তের সীল ভাঙ্গা হবেনা, তবে পবিত্র রাসূল (তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক)-এর মানুষ হিসাবে আগমন সম্ভব এবং একবার নয়, হাজারবার মানুষ হিসাবে আসতে পারেন এবং তাঁর নুবুওওয়াত প্রকাশ করতেও পারেন। শিয়ালকোটের বক্তৃতায় (পৃঃ২২) মির্জা বলে- “ইহা প্রয়োজন যে, আল্লাহ্র প্রতি ভালবাসা এবং দৃঢ় হওয়ার পর্য্যায়ে আপনাদের উন্নিত না করা পর্যন্ত আল্লাহ্ পাক-এর রাসূল হয়ত আসতেই থাকবেন। মিয়া বশির উদ্দিন মাহ্মুদ বলে যে, হাজার হাজার নবী আসতেও পারেন। (আনোয়ার খেলাফত, পৃঃ-৬২, কাদিয়ানী মাযহাব পৃঃ-১৮০) তাঁরা আসতেই থাকবেন শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত (আল ফজল কাদিয়ান তারিখ ২৭শে ফেব্রুয়ারী,১৯২৭, নং-৬৮, ভলিউম-১৪, মির্জা বশীর উদ্দীন মাহমুদ সি,এফ, কাদিয়ানী মাযহাব পৃষ্ঠা-১৮১) (অসমাপ্ত)
আবা-৪৬,৪৭,৪৮,৪৯,৫০
0 Comments:
Post a Comment