মানুষ নাকি ধর্মান্ধ হয়ে গেছে ,তারা বলছে মক্কা-মদিনায় জামাত নেই , বাংলাদেশে কেন?
এ যাবত জেনে শুনে আসছি যে,
ধর্ম মানুষকে জাতি দেশ তথা সারা বিশ্বকে মুক্তি দেয়।
কিন্তু আজকাল কিছু টিভি টক-শোতে দেখা যাচ্ছে কিছু মৌলুবি আর তথাকথিত ধর্মপ্রেমিক ব্যক্তিরা বলছে – ধর্মান্ধতা নাকি মানুষকে অপরাধী করে তুলছে ।
যেমন ধরুন, মানুষ করোনার কথা নাকি না ভেবে মসজিদে নামায পড়তে যাচ্ছে ,আবার অন্য ধর্মের লোকেরা তাদের ধর্মীয় কাজ করছে ।
মানুষ নাকি ধর্মান্ধ হয়ে গেছে –
১.তারা বলছে মক্কা-মদিনায় জামাত নেই । বাংলাদেশে কেন?
আসলেই কি সত্যি মক্কা-মদিনায় জামাত নেই । না জামাতের নামাজ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে । না সত্যিই কোন কিছূ হয়নি।
ডেইলি স্টার বাংলা ভূল তথ্য দেয়ার পর ক্ষমা প্রার্থনা –এরা কতটা প্রতারক দেখলেই বুঝবেন আর এদেরকে নিয়ে নাচানাচি করছে টিভি চ্যানেল ও মৌলুবি রা
- https://tinyurl.com/vq2al3y
তার মানে মক্কা-মদিনাতে জামাত ছিলো । তাদের এটা ভূল প্রামাণিত হলো ।
২.ডিবিসি টিভির উপস্থাপিকা শারমিন চৌধুরী প্রশ্ন করছে সবাই আলাদা আলাদা থাকলে ও মসজিদে জামাত অনড় কেন? যদি তাই হয় । তাহলে এগুলো কি
? এখানে কোন মসজিদে নামাজ আদায় হচ্ছে ? কারো উত্তর জানা আছে কি
?
শুধু মসজিদে নয় সারা দেশেই মানুষ করনোর ভয়ে নয় খাদ্যাভাবে মারা যাবে এই আতঙ্কই বিরাজ করছে । তাদরে ও এটা ভূল প্রমাণিত হলো ।
৩.মৌলুবি মাযহারুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন কোন হাদীস শরীফে বলা আছে যে, ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়ানোর।
জামাতে নামাযে ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়ানোর কোন হাদীস শরীফ তো নাই ববংচাপাচাপি করে গায়ে গা ঘেঁসে দাঁড়াতে হবে এমন অনেক হাদীস শরীফ রয়েছে । আমি আপনারদেকে অনেক হাদীস শরীফ ই দিতে পারেব । তার আগে এই খবরটুকু পরলেই আপনি বুঝতে পারেবেন কাঁতারে ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়ানো যাবে কি না ? না কখনই ফাঁকা রাখা যাবে না ।
‘আব্দুল্লাহ্
ইবনু ‘উমার রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীছে রয়েছে, তিনি বলেন-
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَقِيمُوا الصُّفُوفَ، وَحَاذُوا بَيْنَ الْمنَاكِبِ، وَسُدُّوا الْخلَلَ، وَلِينُوا بِأَيْدِي إِخْوَانِكُمْ، وَلا تَذَرُوا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ، وَمَنْ وَصلَ صَفّاً وَصَلَهُ الله، وَمَنْ قَطَعَ صَفّاً قَطَعَهُ الله.২৬
অর্থ- রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:- তোমরা সফগুলো সোজা-সঠিক করো, পরস্পরের কাঁধ
সমান্তরাল রেখো, ফাঁক-ফোঁকর বন্ধ করো, তোমাদের ভাইদের জন্য হাত নরম করো (কেউ যদি ক্বাতারে প্রবেশ
করতে চায় তাহলে হাত শক্ত করে রেখোনা যাতে সে ঢুকতে না পারে বরং হাত নরম করে তাকে
সফের ফাঁকে প্রবেশের সুযোগ দাও) এবং শয়তানের জন্য ছোট ছোট ফাঁকা জায়গা ছেড়ে দিও
না। যে ব্যক্তি (নামাযে) ক্বাতার মিলিয়ে রাখে (ক্বাতারের ফাঁকা জায়গায় প্রবেশ করে
ফাঁক বন্ধ করে ক্বাতার মিলিয়ে রাখে) আল্লাহ 0 তাকে তাঁর (রাহ্মাতের) সাথে মিলিয়ে রাখেন, আর যে ব্যক্তি ক্বাতার বিচ্ছিন্ন করে (সফের মধ্যে ফাঁকা
জায়গা রেখে দেয়, যদ্দরুন দু’জন মুসাল্লী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং
তদ্বারা সফও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়) আল্লাহ 7 তাকে তাঁর (রাহ্মাত) থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ধারাবাহিক ,,,,