উপমহাদেশে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতি সাধনে  দেওবন্দীদের কার্যক্রম  এবং তাদের ভ্রান্ত ফতোয়া
পিডিএফ লিংক-https://drive.google.com/open?id=1LlETEYtU742zVZvQdLtk1CCBa_M_whff

উপমহাদেশে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতি সাধনে  র
দেওবন্দীদের কার্যক্রম  এবং তাদের ভ্রান্ত ফতোয়া

ভূমিকা-
পাক-ভারত উপমহাদেশের মুসলিম উম্মাহর দেহে মারণঘাতী ক্যান্সার হলো দেওবন্দী ফিরক্বা ও তার প্রচারিত কুফরী আক্বীদাসমূহ। সাতচল্লিশে ভারত বিভাগের বিরোধিতা করে ভারতবর্ষের মুসলমানদের যে ক্ষতি করেছিল এই দেওবন্দীরা, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভবপর নয়। এই দেওবন্দীদের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি আশরাফ আলী থানভীর কিতাবেই বর্ণিত রয়েছে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার ইলমে গইব পাগল, শিশু ও চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায়। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!

এই দেওবন্দ আজও কংগ্রেস-বিজেপির মতো তাবৎ হিন্দুত্ববাদী শক্তিসমূহের লেজুড়বৃত্তি করে, গরু কুরবানীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রাস্তা প্রশস্ত করছে। তাদের সমস্ত অপকর্মসমূহ নিয়েই আমাদের এই আয়োজন। দেওবন্দীদের অপকর্ম নিয়ে নিন্মোক্ত দলিলপ্রমাণসমূহ নেয়া হয়েছে তাদের রচিত কিতাব এবং ভারতের বিভিন্ন মিডিয়া ও পত্রপত্রিকা থেকে। শিক্ষিত পাঠকদের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ভারতীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন ওয়েব এড্রেসের শর্টলিঙ্কও দেয়া হয়েছে।

দেওবন্দী-হিন্দু ভাই-ভাই

১) অখ- ভারত তত্ত্বে বিশ্বাসী দেওবন্দ
দারুল উলুম দেওবন্দ গোষ্ঠী সর্বদাই অখ- ভারতে বিশ্বাসী। তারা মন থেকে মেনে নেয়নি মুসলিম ভূমি পাকিস্তানের সৃষ্টি। দেওবন্দ নেতা হুসাইন আহমদ মাদানি দেশভাগের সময় বাসায় বাসায় ঘুরে ঘুরে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে মিথ্যা একাত্বতার কথা বলেছিল। এই দারুল উলুমের অপপ্রচারের কারণে হিন্দুরা বড় এলাকা পেয়ে যায়, মুসলমানরা ছোট এলাকা পায়। এদের অপপ্রচারের কারণে ভারত নামক হিন্দু রাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশাল মুসলিম জনগোষ্টী আটকা পড়ে যায়। সোভিযেত ইউনিয়ন যেমনি ভাগ হয়ে ৬টি আলাদা মুসলিম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তেমনি ভারত বিভক্তের সময় বেশি কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্রের (যেমন কাশ্মীর, আসাম, হায়দারাবাদ) জন্ম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ গোষ্ঠীটির বিরোধিতা এবং ইসলামের নামে ফতওয়ার কারণে তা হতে পারেনি। যার ফল এখন ভোগ করছে ভারতের মুসলমানরা। তাদের প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কষ্ট পেতে হচ্ছে হিন্দুদের কাছ থেকে। উল্লেখ্য, সাতচল্লিশে বাংলাদেশ সিলেটকেও ভারতের অংশ করতে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো দেওবন্দীরা, কিন্তু তারা সফল হয়নি। 

২) দেওবন্দী কর্তৃক হারাম নারী নেতৃত্ব গ্রহণ-
দেওবন্দীরা রাজনৈতিকভাবে কংগ্রেসের সাথে গাঁটছড়া বাঁধে । ইসলামে তো নারী নেতৃত্ব জায়িয নেই সেখানে তারা ইসলামের নাম দিয়ে নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করলো, তাও আবার এক হিন্দু মহিলার (ইন্দিরা গান্ধী)!
পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৮২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা যেখানে নিজেই বলেছেন: নিশ্চয়ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অত:পর মুশরিক।” সেখানে সারা বছর মাদ্রাসায় পড়ে এবং পড়িয়ে সেই হিন্দু শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব করে।

৩) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরই গান্ধীর আদেশ (নাউযুবিল্লাহ!) -দেওবন্দ মালানা-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর খিলাফত আন্দোলনের সময়ে আলী ভ্রাতৃদ্বয় তথা মুহম্মদ আলী ও শওকত আলী তারাসহ দেওবন্দ মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা পাপাত্মা গান্ধীকে নিজেদের দলে নিয়ে, হিন্দুদের দ্বারা উপকৃত হওয়ার অলীক কল্পনায় বিভোর হয়েছিল। এ নিয়ে ভারতীয় ঐতিহাসিক গোলাম আহমদ মোর্তজার ‘ইতিহাসের ইতিহাস’ গ্রন্থের ৪২৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে-

“মুহম্মদ আলী বড় আলেমদের (দেওবন্দীদের) নিয়ে গোপনে পরামর্শ করলো এবং জানালো, ভারতে হিন্দুজাতি বিরাট একটি শক্তি, তাদেরকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতা আনা যায় না। যদিও তারা দূরে আছে তবুও তাদের কাজে লাগাতে এমন একজন নেতাকে সামনে রেখে জয়ঢাক বাজাতে হবে, যার ফলে হিন্দুজাতি তার আহবানে দলে দলে আসতে পারে।... শেষে গান্ধীকেই বাছাই করা হয়। তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধির পোশাক পরানো হয় এবং সারা ভারতে তার নাম প্রচার করে তার অধীনস্থের মতো মুসলিম নেতারা সভা সমিতি করে বেড়াতে থাকে।”

অর্থাৎ দেওবন্দীরাই গান্ধীকে ‘মহাত্মা’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল। শুধু তাই নয়, গান্ধীকে সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে এই মুসলমান নামধারী নেতা এবং দেওবন্দী ওলামায়ে সূ’রাই দায়ী ছিল। তারা শুধু এই পাপাত্মা গান্ধীর প্রশংসাতেই মাতেনি, তার সাথে সাথে নিজেরাও আপাদমস্তক হিন্দু হওয়া শুরু করলো গান্ধীর মন যোগাতে। এ প্রসঙ্গে পুলিৎজার প্রাইজ বিজয়ী সাংবাদিক লড়ংবঢ়য ষবষুাবষফ-এর লেখা মৎবধঃ ংড়ঁষ: সধযধঃসধ মধহফযর ধহফ যরং ংঃৎঁমমষব রিঃয ওহফরধ বইয়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে-

“অভঃবৎ ঃযব চৎড়ঢ়যবঃ, ড়হ যিড়স নব ঢ়বধপব, ও পড়হংরফবৎ রঃ সু ফঁঃু ঃড় পধৎৎু ড়ঁঃ ঃযব পড়সসধহফ ড়ভ মধহফযরলর", যব ফবপষধৎবফ. ঋড়ৎ ধ ঃরসব গঁযধসসধফ অষর মধাব ঁঢ় বধঃরহম নববভ ধং ধ মবংঃঁৎব ঃড় মধহফযর ধহফ ধষষ যরহফঁং. ঞযবহ, পধসঢ়ধরমহরহম ংরফব নু ংরফব রিঃয মধহফযর ধপৎড়ংং ওহফরধ, যব ঃড়ড়শ ঃড় বিধৎরহম শযধফর.. হড়ঃ ড়হষু বিধৎ শযধফর; যব নবপধসব ধহ বাধহমবষরংঃ ভড়ৎ ঃযব পযধৎশধ.”

অর্থাৎ মুহম্মদ আলী সে পাপাত্মা গান্ধী ও তার অনুসারী হিন্দু সম্প্রদায়কে তুষ্ট করতে গরুর গোশত খাওয়া বন্ধ রেখেছিল। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের অনুকরণে খদ্দরের পোশাক পরাও সে শুরু করলো। গান্ধীর অনুকরণে চরকার পক্ষে সে নিবেদিত প্রচারকের ভূমিকা পালন করতে শুরু করলো।

তবে তার সবচেয়ে জঘন্য ঘোষণাটি ছিল, "অভঃবৎ ঃযব চৎড়ঢ়যবঃ, ড়হ যিড়স নব ঢ়বধপব, ও পড়হংরফবৎ রঃ সু ফঁঃু ঃড় পধৎৎু ড়ঁঃ ঃযব পড়সসধহফ ড়ভ মধহফযরলর" অর্থাৎ সে এবং তার দেওবন্দী অনুসারীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই পাপাত্মা গান্ধীর আদেশ-নির্দেশকে প্রাধান্য দিয়ে সেগুলো পালন করার ঘোষণা দিয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!

৪) বাবরী মসজিদ রায় মুসলমাদের মেনে নেয়া উচিত : দেওবন্দ
মুসলমানদের মসজিদ বাবরী মসজিদ, ১৯৯২ সালে এই মসজিদকে অন্যায়ভাবে ভেঙ্গেছিলো হিন্দু সন্ত্রাসীরা। সাথে সমগ্র ভারতজুড়ে সৃষ্টি করেছিলো মুসলিম গণহত্যা । হিন্দুদের দাবি: তাদের কল্পকাহিনী রামায়নের মতে বাবরী মসজিদ নাকি রামের জন্মস্থান। এলাহাবাদের সাম্প্রদায়িক হাইকোর্টও হিন্দু পক্ষ নিয়ে রায় দিলো: বাবরি মসজিদের যায়গার তিন ভাগের মাত্র একভাগ পাবে মুসলমানরা, দুই ভাগ পাবে অন্যরা। বলাবাহুল্য এ রায়ের পর মুসলমানদের প্রতিবাদ করা ফরজ হয়ে পড়ে। কিন্তু দেওবন্দী মওলানারা তখন উল্টো ফতওয়া দেয়: “মুসলমানদের এই রায় শ্রদ্ধার সাথে মেনে নেয়া উচিত। ”

(সূত্র: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০১০, যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/অঋকলএৎ)

৫) হিন্দুদের কাফির বলা যাবে না : দেওবন্দ
মহান আল্লাহ তায়ালা হিন্দুদের কাফিরা বললেও দেওবন্দরা তাদের কাফির বলতে নারাজ। এই ফতওয়া কিন্তু তারা কোন কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ ঘেটে দেয়নি। এ ফতওয়া তারা দিয়েছে হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সন্ত্রাসী অশোক সিংহোলের অনুরোধে। (সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ২৪ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯, যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/পধশখণয়)

৬) হিন্দুদের দেবতার প্রতি সম্মান জানিয়ে গরু কুরবানী বন্ধ করুন : দেওবন্দ
ভারতে গরু কুরবানী আইন-২০০৪ অনুসারে একজন মুসলমান গরু কুরবানী করলে তার সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদ- হতে পারে, একই সাথে ১০ হাজার রুপি জরিমানা হবে। এটা অবশ্যই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং মুসলমাদের উপর ভারত হিন্দু সরকারের জুলুম। কিন্তু এখানে দেওবন্দরা এর প্রতিবাদ করতে পারত, কিংবা সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে তারা চুপ থাকত। কারণ হাদীস শরীফ অনুসারে ঈমানের স্তর তিনটি: ১) অন্যায় দেখলে হাতে বাধা দেয়া, দুই মুখে বাধা দেয়া, তিন খারাপ জেনে সরে আসা। এরপর ঈমানের আর কোন স্তর নেই। কিন্তু দেখা গেলো তারা হিন্দুদের সাথে একত্বতা প্রকাশ করে ফতওয়া দিলো: “হিন্দু রাষ্ট্রযন্ত্র গরু কুরবানী নিষিদ্ধ করলে গরুর গোশত খাওয়াও নাকি নাজায়িয হবে”। নাউযুবিল্লাহ! (সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ২৭শে এপ্রিল ২০০৮ ঈসায়ী, যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/মঠঘউগগ) 

তারা আরো বলল: হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতির কথা বিবেচনা করে আপনারা গরু কুরবানী করবেন না। 

বলাবাহুল্য হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতি সংরক্ষণের দায়িত্ব হিন্দুদের এবং মুসলমানদেরটা সংরক্ষণের দায়িত্ব মুসলমানের।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই গান্ধীর আমল থেকে হিন্দু গান্ধীর অনুরোধে দেওবন্দরা গরু কুরবানী করতে নিষেধ করে আসছে। (সূত্র: আইবিএন, ১৪ই অক্টোবর ২০১৩ ঈসায়ী, যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/ই৩শঋ২ভ) 

তাহলে দেওবন্দীরা কি হিন্দুদের অনুরোধে মুসলমানিত্ব বাদ দিয়ে হিন্দু হয়ে গেছে?

উল্লেখ্য দেওবন্দীরা ২০১১, ২০১০, ২০০৮, ২০০৭, ২০০৪ সালেও সরাসরি গরু কুরবানী করতে নিষেধ করেছে তার প্রমাণও মিডিয়াতে আছে। 

৭) দেওবন্দের বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথি হিন্দু যোগী ঠাকুর
দারুল উলুম দেওবন্দের ২৯ তম বার্ষিক সভার প্রধান অতিধি হয় মুসলিম বিদ্বেষী রবি শঙ্কর, (যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/টঐঃিাঝ)

৩০ তম সভার প্রধান অতিধি হয় ঠাকুর রামদেব। (মড়ড়.মষ/য়ডনস৫ব) 

কুরআন পাকে আছে ‘মুশরিকরা নাপাক’। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যারা কুরআনের দোহাই দিয়ে চলে তারাই হিন্দুদের প্রধান অতিথি বানায়, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে।

মনে রাখবেন প্রত্যেকে সমগোত্রীয়দের সাথে চলে, কুকুর চলে কুকুরের সাথে, ছাগল চলে ছাগলের সাথে। কুকুরকে কখন ছাগলের সাথে আর ছাগলকে কখন কুকুরের সাথে ঘুরতে দেখবেন না। তেমননি দেওবন্দের এই খাসলতের কারণ হচ্ছে তারা মুশরিকদের সমগোত্রীয় হয়ে গেছে। বলাবাহুল্য এ্টা যদি কোন সাধারণ শার্ট-প্যান্ট-দাড়িচাঁছা মুসলমান করতো তবে তাও মেনে নেয়া যেত, কিন্তু দেওবন্দীরা তো মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে দাবি করছে, তাই তাদের এ অপকর্ম কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। 

৮) রাশিয়ায় গীতাকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিলে এর প্রতিবাদ করে উঠলো দেওবন্দীরা।
 (সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ২২শে ডিসেম্বর ২০১২ ঈসায়ী, যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/ষঘঔঔ০ত) 

কিন্তু রাশিয়া যখন পবিত্র কুরআন শরীফ নিষিদ্ধ করলো, তখন এর প্রতিবাদ স্বরূপ টু শব্দটি পর্যন্ত করলো না তারা।

৯) নরখাদক নরেন্দ্র মোদির পক্ষ নিয়েছিল এ দেওবন্দীরা। দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল গুলাম মুহম্মদ বাস্তানভি গুজরাটে মুসলমানদের উপর হিন্দুদের নৃশংস আচরণকে ভুলে যেতে বলে। (সূত্র:মড়ড়.মষ/ুঙুশযঋ) এ বক্তব্যের পর মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে দেওবন্দ ভিসিকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

১০) ২০০৭ সালের কথা, তসলিমার বিতর্কিত বই ‘দ্বিখ-িত’ নিয়ে যখন কলকাতার মুসলমানরা সরব, তাকে যেন কলকাতায় স্থান না দেওয়া হয় যে জন্য চলছে তুমুল আন্দোলন। ঠিক তখন এই দেওবন্দ মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। তসলিমার পক্ষে ফতওয়া দিল। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নেতা মালানা মেহমুদ মাদানি বলেছিল, "পবিত্র ইসলামেই আছে, কোন ব্যক্তি ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়াই উচিত। তসলিমা যখন ক্ষমা চেয়েছেন, তখন তাকে ক্ষমা করে দেওয়াই ঠিক কাজ হবে। তিনি যেখানে থাকতে চান, সেখানেই তাকে থাকতে দেওয়া হোক।"

সত্যি অবাক বিষয়। তসলিমা ক্ষমা চাইল কবে!! সে তো এখন ইসলামের বিরুদ্ধে বলছে। আর নবীজি সম্পর্কে কটূক্তি করায় সে সময় মুরতাদ তসলিমাকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছিল এক আলেম (মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদ-)। কিন্তু সেই আলেম এর বিরুদ্ধে উল্টো ফতওয়া দিলেছিল দেওবন্দী জালেমরা। সে সময় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মুখপাত্র কাকি সফিউদ্দিন বলেছিল, ুকারও মুন্ডু চাওয়া বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ইসলামবিরোধী। যদি কেউ এমন দাবি করে থাকেন, প্রমাণ পেলে তাদের বহিস্কার করা হবে।” মুরতাদ তসলিমার পক্ষে সাফাই গাওয়ার অধিকার দেওবন্দীদের কে দিল??? 

(যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/তববল৪ু)

দেওবন্দীদের কিছু কুফরী আক্বীদা

(১) আল্লাহ মিথ্যা বলতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ! (রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া ১ম খ-: পৃষ্ঠা-১৯, রশিদ আহমদ গাংগুহী, তালিফাত রশিদিয়া, কিতাবুল আক্বাঈদ অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৯৮, খলীল আহমদ আম্বেঢী, তাজকিরাতুল খলীল, পৃষ্ঠা ১৩৫, মেহমুদ হাসান, আল-জিহাদুল মুগিল, পৃষ্ঠা ৪১)

(২) আল্লাহ তাঁর বান্দা ভবিষ্যতে কি করবে তা আগে থেকে বলতে পারেন না। বান্দা কর্মসম্পাদনের পর আল্লাহ তা জানতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ! (হুসাইন আলী, তাফসীরে বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮)

(৩) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জ্ঞানের চেয়ে শয়তান ও হযরত আযরাঈল আলাইহিস্ সালাম-এর জ্ঞান বেশি। নাঊযুবিল্লাহ!(খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা-৫১)

(৪) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ভাগ্য সম্পর্কে

জানতেন না। এমনকি দেয়ালের ওপাশ সম্পর্কেও না। নাঊযুবিল্লাহ! (খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা-৫১)

(৫) নবীর (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর) যদি কিছু ইলমে গায়েব থেকেও থাকে তাহলে এতে তাঁর বিশেষত্ব কী? এমন ইলমে গায়েব তো সকল চতুষ্পদ জন্তু, পাগল ও শিশুরও আছে। নাঊযুবিল্লাহ! (আশরাফ আলী থানবী, হিফজুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৭)

(৬) ‘রহমতুল্লিল আলামীন্তু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন বিশেষ লক্বব নয়। তাঁর উম্মতও ‘রহমতুল্লিল আলামীন্তু হতে পারে। নাঊযুবিল্লাহ! (রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া ২ম খ-: পৃষ্ঠা-১২)

(৭) সাধারণ মানুষের কাছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

খাতামুন নাবিয়্যীন হলেও বুযূর্গ ব্যক্তির কাছে নয়। নাঊযুবিল্লাহ! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা-৩)

(৮) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগে বা সর্বশেষে আসার মধ্যে কোন ফযীলত নেই। ফযীলত হলো মূল নবী হওয়ার মধ্যে। তাঁর পরে যদি এক হাজার নবীরও আগমন মেনে নেয়া হয় তাতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খতমে নবুয়তের কোন রূপ বেশ-কম হবে না। নাঊযুবিল্লাহ! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা-২৫)

(৯) হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেওবন্দের উলামাদের কাছ থেকে ঊর্দু ভাষা শিখেছেন। নাঊযুবিল্লাহ! (খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ২৬)




বাংলাদশেী দওেবন্দী-খারজেীদরে নারী নয়িে মাখামাখি







এদশেরে দওেবন্দীগ্রুপ কথতি হফেজতে ইসলাম এর ১৩ দফার র্৪থ দফা হচ্ছ:ে 

বহোয়া-বর্পেদা বন্ধ করতে হব,ে এবং প্রকাশ্যে নারী-পুরুষরে অবাধ মলোমশো বন্ধ করতে হব।ে কন্তিু হফোজতরে কন্দ্রেীয় নতোরা প্রকাশ্যইে বভিন্নি নারী নতেৃত্বর সাথে মটিংি করছ,ে বর্পেদা হচ্ছ।ে এক্ষত্রেে তারা নজিরোই কি নজিদেরে নীতি ভাঙ্গছে না?




১) প্রথমইে আসুন, হকোরতে ইসলামরে প্রধান আহমক শফী, যে নারীদরে ততেুল বলে আখ্যায়তি করছেে সে কি করছ:ে সে নজিইে বলছে,ে নারী মানইে ততেুল এবং ততেুল দখেলে মুখে পানি আসবইে। কন্তিু সে কভিাবে একজন নারীর সাথে তার দলবল নয়িে দড়ে ঘণ্টা মটিংি করতে পার?ে 

বর্পেদা হওয়ার শরীয়ত সে পলেো কোথায়?




২) এবার আসুন বাংলাদশেে আরকে দওেবন্দী তথা কওমী-খারজেী নতো শায়খুল হাদসরে অবস্থা ক।ি 

শাইখুল হদস আজজিুল হক ১৯৯৯ সালরে ডসিম্বেরে ‘আল কোরআনরে দৃষ্টতিে মহলিাদরে র্পদা’ র্শীষক একটি বই লখিছেলি। সইে বইতে লখো হয়:

.... রং বরেংয়রে পোশাক, লপিস্টিকি লাগানো, পুরুষরে সাথে অবধৈ মলোমশো, থয়িটোর নাটক করা, সভা সমতিি করা, রাজনতৈকি আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা সমতিতিে বক্তৃতা দয়ো আর বশ্যোবৃত্তি করা। শুধু পশোদারী বশ্যো নয় অপশোদার বশ্যোবৃত্তি করা।..” (আল কোরআনরে দৃষ্টতিে মহলিাদরে র্পদা ১৩৪ পৃষ্ঠা, লখেকঃ শাইখুল হাদীছ আজজিুল হক)

..... ধন ও ঋণ (পজটেভি ও নগেটেভি) ব্যতীত কোন বস্তুর কল্পনা করা যায়না, ধন ঋণ যমেন বদ্যিুৎ উৎপাদন কর,ে পর্দাথরে পরমাণু (এটম) পজটিভি ইলকেট্রন ও নগেটেভি প্রোটনরে সমষ্ট।ি এ থকেে ইলকেট্রন বচ্যিুত করলে আর পরমাণুর অস্তত্বিই থাকে না। মানবও তাই। স্বাভাবকিভাবে নর ও নারী (ধন ও ঋণ) পরস্পর র্দশনে যৌন আর্কষণ সৃষ্টি হয়না একথা মানুষ অস্বীকার করলওে যুক্তবিাদী বজ্ঞিান তা মানতে প্রস্তুত নয়। দহৈকি মলিনরে ফাঁক থাকুক আর না থাকুন, আর থাকলে তো কথাই নইে, আর্কষণ এতো প্রবল ও তীব্র হয় য,ে সাধারণ মানুষ তো দূররে কথা, মুনি মোহন্ত, দরবশে, কউে আত্মসংবরণ করতে পারে না। ....” (আল কোরআনরে দৃষ্টতিে মহলিাদরে র্পদা ১৩৪ পৃষ্ঠা, লখেকঃ শাইখুল হাদীছ আজজিুল হক)

অথচ এ শায়খুল হাদস নজিইে খালদো জয়িার নতেৃত্ব মনেে চার দলীয় ঐক্যজোটে যোগ দয়ে এবং বর্পেদা নারীর সাথে এক সাথে স্টজেে উঠে জনসম্মুখে মটিংি কর।ে যইে ছবি ডইেলি স্টার পত্রকিায় ২০০৩ সালরে ২০ অক্টোরব ছাপা হয়।

নজিরে বইয়ে নারী নর্তেৃতরে বরিুদ্ধে বললওে, নারীদরে সভাকে পততিাদরে সভা বললওে, নারী-পুরুষরে দখো-সাক্ষাৎকে হারাম বললওে, এ অনুষ্ঠানে গয়িে সে নজিকেে কি প্রমাণ করলো?? নজিরে ফতওয়াতইে নজিে ধরা খলেো না !!

৩) এবার আসি কওমী-দওেবন্দীদরে আরকে তালবোনী (আমার হব তালবোন, বাংলা হবে আফগান” শ্লোগানরে প্রবক্তা) নতো মুফতি কমনিি (আমনিী) এর কথায়:

১৯৯৮ সালে সাপ্তাহকি ২০০০ এর সাথে মুফতি ফজলুল হক আমনিীর সাক্ষাৎকাররে কছিু অংশ আগে পড়ুন:









২০০০: সরকার পতনরে আন্দোলন কী আপনারা এককভাকে করবনে, না বএিনপি জামাতকওে সঙ্গে নবেনে?

ফজলুল হক: আমরা সরকার পতনরে ডাক দলিে বএিনপি জামাত সবাই আমাদরে সাথে যোগ দবে।ে আমরা একত্রতি হয়ইে আন্দোলন করব।

২০০০: নারী নতেৃত্বরে বষিয়টি আপনারা কভিাবে দখেনে?

ফজলুল হক: ......এটা নয়িে এখন কথা বলতে চাই না। এ বষিয়ে এখন কথা না বলাই ভাল।

২০০০: ইসলামে নারী নতেৃত্বরে বষিয়.......

ফজলুল হক: ইসলামে নারী নতেৃত্ব নাজায়জে। হারাম। নারী নতেৃত্ব থাকলে দশেরে উন্নতি হবে না। আমরা নারী নতেৃত্ব সর্মথন করি না।

২০০০: বএিনপরি নতেৃত্বে রয়ছেনে একজন মহলিা। তাহলে বএিনপরি সঙ্গে একত্রতি হয়ে আন্দোলন করছনে কনে?

ফজলুল হক: এগুলো নয়িে কোন কথা বলতে চাই না। ইসলামে আছে নজিরে র্স্বাথে কখনো কখনো তাদরে সঙ্গে থকেে আন্দোলন করা যায়। সরকাররে বরিুদ্ধে এখন আন্দোলনই আমাদরে মূল লক্ষ্য। তবে আমরা এটা সর্মথন করি না।




কি বুজলনে?? নারী নতেৃত্ব হারাম, কন্তিু নজিরে র্স্বাথে তা হালাল (!!) করা যায়।




এবার আসুন, প্রথম আলোতে তারখি: ২৬-০৮-২০১০ প্রকাশতি খবরে কি বলা হলো:




ইফতাররে আগে আমনিীর দোয়া

‘হে আল্লাহ, খালদো জয়িাকে ক্ষমতায় যাওয়ার তৌফকি দান করো।’ ইসলামী ঐক্যজোটরে চয়োরম্যান মুফতি ফজুলল হক আমনিী ইফতাররে আগে এই দোয়া করলনে। 

গতকাল বুধবার রাজধানীর র্পূবাণী হোটলেে রাজনীতবিদিদরে সম্মানে এ ইফতাররে আয়োজন করে ইসলামী ঐক্যজোট।




ইফতারে কোনো বক্তব্য দনেনি মুফতি আমনিী। তবে বএিনপরি চয়োরপারসন বগেম খালদো জয়িা যাওয়ার পর মোনাজাত করনে তনি।ি

মোনাজাতে মুফতি আমনিী বলনে, ‘হে আল্লাহ, খালদো জয়িাকে দশেকে খদেমত করার ক্ষমতা দান করো। সরকাররে পৃষ্ঠপোষকতায় র্ধম ও ইসলামরে বরিুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছ,ে তা থকেে দশেকে হফোজত করো।’ মোনাজাতে বলা হয়, ‘হে আল্লাহ, তুমি চারদলীয় জোটকে শক্তশিালী করো। খালদো জয়িাকে ক্ষমতায় যাওয়ার তৌফকি দান করো। খালদো জয়িা ওমরাহ করতে যাচ্ছনে, তাঁর ওমরাহ কবুল করো’]

কি বুঝলনে: নত্রেীর মুহব্বতে হারাম-হালাল একাকার হয়ে গছে.ে...............

পবত্রি কুরআন পাকে মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা নূর, সূরা নসিা, সূরা আহযাবরে দ্বারা ‘র্পদা’কে ফজর করছেনে। এই সূরা সমূহে শুধু মহলিাদরে র্পদাকে ফরজ করা হয়ন,ি পুরুষদরে র্পদাকওে ফরজ করা হয়ছে।ে একজন বগোনা পুরুষ র্কতৃক একজন বগোনা মহলিাকে দখো যমেন হারাম, তমেনি একজন বগোনা মহলিা র্কতৃক একজন বগোনা পুরুষকে দখো হারাম করা হয়ছে।ে হাদীস শরীফে আছ,ে ‘অনচ্ছিাকৃত প্রথম দৃষ্টি ক্ষমা করা হব,ে কন্তিু তার পর প্রতি দৃষ্টতিে একটি করে কবরিা গুনাহ লখো হব’ে।

অথচ দওেবন্দী তথা কওমী-খারজেীরা অপরকে র্পদার কথা বললওে নজিরো র্পদা করে না।

(বজ্ঞিানরে দৃষ্টতিে প্রতি সকেন্ডেে দৃষ্টি বা পলক পড়ে ২.৫ট।ি তাহলে ১ ঘণ্টা বা ৩৬০০ সকেন্ডে মটিংি করলে কবরিা গুনাহ হবে ৯ হাজার। ৬ ঘন্টা মটিংি করলে গুনাহ হবে ৫৪ হাজার। এটা একজন পুরুষ-একজন মহলিার হসিবে। কন্তিু একশ” পুরুষ একশ’ মহলিা হলে তা ঐ সংখ্যা দ্বারা গুন হব)ে

মহান আল্লাহ তায়ালা বলনে: র্

অথঃ হে মুমনিগণ! তোমরা নজিে যা করোনা তা অপরকে বলো কনে? তোমরা যা করো না তা তোমাদরে জন্য বলা আল্লাহর নকিট অতশিয় অসন্তোষজনক” (সূরা আস্ সাফ, আয়াত ২-৩)।

মূলত এই ততেুল হুজুররা রাজনীততিে এসে সামান্য ক্ষমতা আর র্অথরে মোহে হারাম হালাল আর হালালকে হারাম করে ফলেছে।ে প্রকৃতপক্ষে এরাই হচ্ছে র্ধমব্যবসায়ী।




যাদরে সর্ম্পকে পবত্রি হাদীস শরীফে বলা হয়ছে:ে

আমার উম্মতরে মধ্যে র্ধমব্যবসায়ীদরে জন্য জাহান্নাম; যারা ইলমকে ব্যবসা হসিবেে গ্রহণ করে তাদরে জামানার আমীর-উমরা বা রাজা-বাদশাহদরে কাছে র্অথ ও পদ লাভরে জন্য তা বক্রিি করে থাক।ে” (নাউযুবল্লিাহ)







দেওবন্দী-খারিজীরা হচ্ছে ‘হিন্দু মার্কা মুসলমান’!




যোগ (সংস্কৃত, পালি: योग ুষ্টমধ) ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভুত একপ্রকার শারীরবৃত্তীয় ও মানসিক সাধনপ্রণালী। “যোগ” শব্দটির দ্বারা হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের ধ্যানপ্রণালীকেও বোঝায়। হিন্দুধর্মে এটি হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রাচীনতম (আস্তিক) শাখার অন্যতম। জৈনধর্মে যোগ মানসিক, বাচিক ও শারীরবৃত্তীয় কিছু প্রক্রিয়ার সমষ্টি।

হিন্দুধর্মে যোগের প্রধান শাখাগুলি হলো: রাজযোগ, কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও হঠযোগ। ভারতীয় দার্শনিক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের মতে, পতঞ্জলির যোগসূত্রে যে যোগের উল্লেখ আছে, তা হিন্দুধর্মের ছয়টি প্রধান শাখার অন্যতম। অন্যান্য যেসব হিন্দুশাস্ত্র গ্রন্থে যোগের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো হলো উপনিষদ্, ভগব˜ গীতা, হঠযোগ প্রদীপিকা, শিব সংহিতা ও বিভিন্ন তন্ত্র গ্রন্থ।

হিন্দু সাহিত্যে “যোগ” শব্দটি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে কঠোপনিষদে। যোগ ধারণার বিবর্তন যে সব গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে, সেগুলি হলো মধ্যকালীন উপনিষদসমূহ, মহাভারত (ভগবদ্গীতা সহ) ও পতঞ্জলির যোগসূত্র।

হিন্দুধর্মে যোগ ছয়টি মূল দার্শনিক শাখার একটি। যোগ শাখাটি সাংখ্য শাখাটির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)

কথিত ‘যোগব্যায়াম’ যে হিন্দুদের খাঁটি ধর্মীয় অনুসঙ্গ তা বুঝতে কারোই কোনো সমস্যা হওয়া কথা নয়। কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে যখন ভারতের ধর্মব্যবসায়ী দেওবন্দীরা এটাকে জায়িয বলে বিভ্রান্তিকর ফতওয়া দেয়। (নাউযুবিল্লাহ)

উল্লেখ্য, গত ২০০৯ সালে নভেম্বর মাসে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসায় এক অনুষ্ঠানে যায় হিন্দুদের কথিত যোগী ঠাকুর রামদেব। সেখানে রামদেবের থেকে কয়েক হাজার দেওবন্দী ছাত্র-শিক্ষক হিন্দুয়ানী যোগব্যায়াম সম্পর্কে তালিম নেয়। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

সেই সময় এই হিন্দুয়ানী যোগব্যায়াম পবিত্র দ্বীন ইসলামে জায়িয রয়েছে বলেও ফতওয়া দেয় তারা। (সূত্র: যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/তরলওর,ি যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/ুংাগতি, যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/৮ঙুণভয)

শুধু তাই নয়, দেওবন্দীদের পক্ষ থেকে এই হিন্দুয়ানী যোগব্যায়ামকে মুসলমানদের পবিত্র নামায উনার সাথেও তুলনা করার মতো ধৃষ্টতা দেখানো হয়। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

(সূত্র: যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/অ৩য়৯ঞ৪)

প্রসঙ্গক্রমে বলছি, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালামের নাম অনেকেরই জানা। অনেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে একজন মুসলমানকে দেখে গর্বও বোধ করতে পারেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, নামে মুসলমান হলেও এপিজে আবুল কালামের জীবনকর্ম বেশিরভাগই মজুসীদের (অগ্নি উপাসক) মতো। যেমন: পবিত্র দ্বীন ইসলামে গোশত খাওয়া জায়িয এবং সুন্নত আমল, কিন্তু আবুল কালাম হচ্ছে নিরামিষভোজী। সে নিয়মিত হিন্দুধর্মীয় গীতা পাঠ করে। সে হিন্দুদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে সর্বদা হিন্দুধর্ম সম্পর্কে প্রশংসা সূচক বক্তব্য দেয়। যার কারণে, মুসলমানদের থেকে হিন্দুরা এপিজে আবুল কালামকে বেশি সাপোর্ট দেয়, এমনকি কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএস পর্যন্ত দাবি করে ‘এপিজে হচ্ছে হিন্দু’। একইভাবে আবুল কালামের ন্যায় মজুসীদের অনুরূপ জীবন নির্বাহ করতো ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক জাহাঙ্গীর এবং মনসুর আলী খান পাতৌদী (অভিনেতা সাঈফ আলী খানের বাবা)। যার কারণে অনেকেই এদের প্রকৃত মুসলমান বলতে নারাজ, তাদের বলা হয় মুসলমান পরিচয়দানকারী মজুসী।

অনুরূপ দেওবন্দীর সার্বিক কার্যক্রম দেখেও বোঝার উপায় নেই, তারা প্রকৃত মুসলমান কিনা। বরং মনে হয়, তারা নতুন এক বাতিল ফিরকা তা হলো ‘হিন্দু মার্কা মুসলমান’।













কাশ্মীরের পরাধীনতার কষ্ট এবং দেওবন্দী রাজাকারদের মুখোশ উন্মোচন

কাশ্মীর নিয়ে আমি ইতিহাস লিখতে বসিনি, ইতিহাস বললে বহু বলা যাবে। এ যাবত এ নিয়ে অনেক ইতিহাস গ্রন্থও রচনা হয়েছে গেছে। আমরা অনেক চোখের পানিও ফেলেছি এই কাশ্মীরকে নিয়ে। কিন্তু আমরা যারা এই কাশ্মীর নিয়ে চোখের পানি ফেলি তারা কি কখন অনুধাবন করেছি, কাশ্মীরিদের পরাধীনতার পেছনে কারণটা কি???

আমরা নিজেরাই কি চেয়েছি, কাশ্মীরের মুসলমানরা স্বাধীন হোক? নাকি নিজ স্বার্থের জন্য মুসলিম ভাইদের ঠেলে দিয়েছি হিন্দু হায়েনাদের মুখে?

তাই কাশ্মীরি মুসলমানদের স্বাধীনতা ও সেই কুখ্যাত রাজাকারদের নিয়ে আমার এই পঞ্চম নোট।




গণভোট ও স্বায়ত্ত্বশাসনের মিথ্যা আশ্বাস হিন্দুত্ববাদী ভারতের, অতঃপর ওয়াদা ভঙ্গ

১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর রাজা হরি সিং এর থেকে কাশ্মীরের ক্ষমতা নিয়েছিল ধোকাবাজ ভারত। হরি সিংকে দেখিয়েছিল স্বায়ত্বশাসনের মুলো আর পাকিস্তানকে দেখিয়েছিল গণভোটের মুলো। কিন্তু কোনটাই বাস্তবায়ন করেনি ভারত।

১৯৪৭ সালে ৩১শে অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে পাঠানো এক বার্তায় মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বলেছিল, “আমরা আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি কাশ্মীরে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসা মাত্র আমার সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করব এবং কাশ্মীরের ভবিষ্যত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার আমারা কাশ্মীরীদের উপর দেব। আমারা এ প্রতিশ্রুতি শুধু আপনার সরকারকেই নয়, কাশ্মীরী জনগণ ও বিশ্বের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

১৯৪৮ সালের ১৩ই আগস্ট এবং ১৯৪৯ সালের ৫ই জানুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভারতের অনুরোধে কাশ্মীর নিয়ে দুটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। এই প্রস্তাবের একটিতে বলা হয় “কাশ্মীরের জনগণের মতামত যাচাইয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গণভোটের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে তারা ভারতে থাকবে, না পাকিস্তানে যাবে।”

কিন্তু এই গণভোটের প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত রাজী হয়নি বিশ্বাসঘাতক ভারত। ১৯৫২ সালে ভারত এই গণভোটকে নাকচ করে দেয়। কারণ তারা জানত যে কাশ্মীরের ৯৩ শতাংশ জনগণ মুসলমান (১৯৪৭ সালের আদমশুমারি অনুযায়ি) সেখানে গণভোটে জনগণের রায় অবশ্যই ভারতের বিপক্ষেই যাবে।

কাশ্মীরীরা স্বাধীনতা চায়, স্বায়ত্বশাসন চায় না। কিন্তু স্বায়ত্বশাসন নামক সেই দু’টাকার ভাগও মুসলমানদের দিতে নারাজ ছিল হিন্দুত্ববাদী ভারত।

গণভোট বাতিলের পর স্বায়ত্বশাসনের ওয়াদা করেছিল তারা। এজন্য ১৯৫২ সালের সংবিধানে ৩৭০ অনুচ্ছেদ সংযোজন করে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয় তারা। তখন কাশ্মীরের একটি সংবিধান এবং একটি স্বতন্ত্র পতাকা ছিল। ছিল একজন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু তাতেও সহ্য হলো না হিন্দুদের। মাত্র ১ বছরের মাথায় বিলুপ্ত করা হয় এই বিশেষ মর্যাদার, সংশোধন করা সেই ৩৭০ ধারার। এরপর থেকে জম্মু কাশ্মীর পরিণত হয় খাচায় বন্দী ভারতীয় অঙ্গরাজ্যে। (উল্লেখ্য মোদির নির্বাচনী ওয়াদা হচ্ছে সংবিধানের উক্ত ৩৭০ ধারা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা)

মুসলমান দমন করতে হিন্দুত্ববাদী ভারত কত সেনা নিয়োগ করেছে:

জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলমানদের দমন করতে সামরিক-আধা সামরিক সব হিন্দুদের হাতেই অস্ত্র তুলে দিয়েছিল ভারত।

উল্লেখ্য, কাশ্মিরের জনসংখ্যা মাত্র এক কোটি। সেখানে ভারত নিয়োজিত করেছে প্রায় ৫ লক্ষ সেনা। অর্থাৎ প্রতি একলাখ মানুষের জন্য ইরাকে যেখানে ৫৪৫ জন এবং আফগানিস্তানে যেখানে ৩১২ জন দখলদার সেনা রয়েছে, সেখানে কাশ্মিরে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার সেনা!!! 




যুলুম-নির্যাতনের সংক্ষিপ্ত হিসেব:




জম্মু ও কাশ্মীরে মুসলমানদের উপর ভারতীয় দখলদার বাহিনীর যুলুম নিপীড়নের একটি হিসাব (জানুয়ারি ১৯৮৯ থেকে জুলাই ২০১৩ পর্যন্ত)

১) সর্বমোট হত্যা : ৯৩, ৯১০ জন

২) কারাগারে হত্যা : ৭,০০৩ জন

৩) সাধারণ মানুষ গ্রেফতার : ১,২১,৭৩৯ জন

৪) বাড়িঘর ও স্থাপনা ধ্বংস : ১,০৫,৯৮২টি

৫) মুসলিম নারী বিধবা হন : ২২,৭৭০ জন

৬) মুসলিম শিশু এতিম হয় : ১,০৭,৪৫৭ জন

৭) মুসলিম নারী গণসম্ভ্রহানীর শিকার হন : ১০,০৬২ জন

২৪ বছরে এই হিসেব হলে, ৬৬ বছরের হিসেব কত আপনারাই বলুন???




হিন্দু সন্ত্রাসীদের খাচায় বন্দি পাখি ‘কাশ্মীর’

কাশ্মিরীদের স্বাধীনতা আন্দোলন কতটা তীব্র আকার ধারণ করেছে সেটা বুঝানোর জন্য ভারতীয় সাহিত্যিক অরুণদ্ধুতি রায় লন্ডনের দৈনিক গার্ডিয়ানে কয়েক বছর আগে একটা নিবন্ধ লিখেছিল।

অরুন্ধতি রায় লিখেছে: গত ১৫ই আগষ্ট ছিল ভারতের স্বাধীনতা দিবস। সেদিন শ্রীনগরের কেন্দ্রস্থল লালা চক দখলে নিয়েছিল বিশাল জনসমুদ্র। তারা আওয়াজ তুলছিল ‘জিয়ে জিয়ে পাকিস্তান’। অর্থাৎ পাকিস্তান জিন্দাবাদ। স্লোগান তুলছিল, ‘হাম কিয়া চাহতে হেঁ?’ (আমরা কি চাই?) জনতার মুখে জবাব ছিল ‘আযাদী’ (স্বাধীনতা)। জিজ্ঞাসার সুরে স্লোগান উঠছিল, “আযাদী কা মতলিব কিয়া (অর্থঃ স্বাধীনতার লক্ষ্য কি?) জনতা সমস্বরে জবার দিচ্ছিল- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। আওয়াজ উঠছিল, পাকিস্তান সে রিশতা কিয়া? (অর্থঃ পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক কি?) জনতা জবাব দিচ্ছিল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। তারা বলেছে, ‘এ্যায় জাবেরো, এ্যায় জালেমো! কাশ্মির হামারা ছোড় দো’’ অর্থঃ “হে অত্যাচারি, হে জালেম! আমাদের কাশ্মির ছেড়ে দাও।’’ অরুন্ধতি রায় আরো লিখেছে, তারা আরো বলেছে, ‘‘নাঙ্গাভূখা হিন্দুস্তান, জান সে পেয়ারা পাকিস্তান।’’

১৫ই আগষ্টে সবুজ পতাকা ছেয়ে ফেলেছিল শ্রীনগর শহর। অথচ ভারতের স্বাধীনতার এ দিনটিতে ভারতের পতাকা শোভা পাওয়াই স্বাভাবিক ছিল। ঐ দিনকে ‘গোলামীর দিন’ রূপে ধ্বণিত করছিল। জনতার ঢল নেমেছিল শুধু শ্রীনগরে নয়, শহরতলীর গ্রামগুলোতেও। যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/ক১ঝঘপট




কাশ্মীরী মুসলমানদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকের ভূমিকায় দেওবন্দীরা

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় হিন্দুদের সাথেই থাকতে চেয়েছিল এই দেওবন্দরা। কথিত অখ- ভারত নীতির নামে হিন্দুদের পক্ষালম্বন করে হিন্দুদের সীমনাবৃদ্ধিতে তারা রেখেছিল কার্যকর ভূমিকা। (দেখবেন বাংলাদেশের দেওবন্দী-কওমীরাও বলে অখ- ভারত থাকলে খুব ভালো হতো এবং সে সিদ্ধান্ত খুবই সঠিক ছিল)

বহু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা দেওবন্দীদের বেঈমানির কারণে চলে যায় হিন্দুদের ক্ষমতায়। সেই ধারাবাহিকতায় ওয়াদা ভঙ্গকারী ভারতের পক্ষ নিয়ে কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে যায় এই দেওবন্দীরা।

গত ৬৬ বছর ধরে নির্যাতিত কাশ্মীরীরা যে স্বাধীনতা চেয়েছে তা কখনই মেনে নিতে পারেনি তারা। হিন্দুত্ববাদী কংগ্রেস আর বিজেপির মত তারাও কাশ্মীরের মুসলমানদের পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমনকি ভারতে মুসলমানরা যেন জিহাদ না করতে পারে সে জন্যও ইসলামের নাম দিয়ে ফতওয়া বুক কাপেনি এই দেওবন্দীদের। 

এনডিটিভি এই খবরটি দেখুন যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/ঃিঙলঁ০)

সেখানে মুসলমানদের জন্য বুক ভাসিয়ে দিচ্ছে দেওবন্দে হুসেন মদনীর নাতি আর আসাদ মদনীর ছেলে মেহমুদ মদনী। কিন্তু তার মূল কথার সার কথা হচ্ছে, কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবেই থাকতে হবে, ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংবিধান মেনে চলতে হবে, তাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম কিছুতেই মেনে নেয়া নেয়া যাবে না।

হিন্দুত্ববাদীদের এত জুলুম নির্যাতনের পর ভারতে জিহাদ করার কোন দরকার নেই বলে বক্তব্য দিয়েছে দেওবন্দ। তারা বলেছে ভারত হচ্ছে মুসলিম বান্ধব এলাকা বা ‘দারুল আল আমান’, তাই এখানে জিহাদ অপ্রয়োজনীয়। আবার লক্ষ্য করুন এই বক্তব্য তারা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘ধর্ম রক্ষা মঞ্চ’র অনুরোধের, যারা চায় ভারতের মুসলমানদের স্বাধীনতা সংগ্রাম বন্ধ হোক।

সূত্র: যঃঃঢ়://মড়ড়.মষ/ুপহঔ৬ঢ়




উপসংহার

আসলে দেওবন্দীরা কথিত ‘অখ- ভারতে বিশ্বাসী’ এই অতিভদ্র শব্দ দ্বারা তাদের আখ্যায়িত করা কখনই উচিত নয়। যারা বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরোধী ছিলো তাদেরকে যদি ‘রাজাকার’ নামে ডাকা হয়, তবে ’৪৭ এ যারা মুসলমান দেশ সৃষ্টির বিরুদ্ধে ছিল এবং এখনো মুসলমানদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধতা করে যাচ্ছে তাদেরকেও রাজাকার নামে ডাকা উচিত।

সময় এসেছে এই ঘৃণ্য রাজাকারদের চিহ্নিত করার এবং বর্জন করার। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। (আমিন)




-০-







বিরোধীতাকারীদের মুরুব্বীদের কিতাব থেকে ঈদে মীলাদুন্নবীর দলীল

বিরোধীতাকারীদের মুরুব্বীদের কিতাব থেকে ঈদে মীলাদুন্নবীর দলীল


দেওবন্দী, তাবলীগি কওমীদের  চাইতে বড় ভন্ড মুনাফিক দুনিয়ায় আছে কিনা সন্দেহ আছে। আমারা যে আমল গুলো করলে তারা শিরক- বিদয়াতের গরম ফতোয়া দেয়, সে কাজগুলো তাদের মুরুব্বীরা করলো সম্পূর্ণ নিশ্চুপ থাকে। নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আশেকগনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, উনারা মীলাদ শরীফ এবং ক্বিয়াম শরীফ করে থাকেন। অথচ দেওবন্দী – তাবলীগি- কওমী খারেজীরা এইটাকে সরাসরি বিদয়াত, কুফরী, শিরিক ফতোয়া দিয়ে থাকে।

অথচ, এই দেওবন্দী তাবলীগি দের মুরুব্বীরা ও মান্যবররা এই মীলাদ শরীফ এবং ক্বিয়াম শরীফকে জায়েজ বলেই ফতোয়া প্রদান করেছে এবং পালনও করেছে । তাদের ব্যাপারে দেওবন্দীদের ফতোয়ার ছুরি চলে না কেন?
আসুন তাদের কিতাব থেকেই দলীল প্রদান করি —

ইবনে তাইমিয়ার “ইক্বতিদ্বাউছ্ ছিরাতিল মুস্তাক্বিম” নামক কিতাবে উল্লেখ আছে,
وكذلك ما يحدثه بعض الناس اما مضاهاة للنصارى فى ميلاد عيسى عليهالسلام واما محبة للنبى صلى الله عليه وسلم وتعظيما له والله قد يثيبهم علىهذه المحبة والاجتهاد.
অর্থাৎ- “কতক লোকের (অশুদ্ধ) বর্ণনা হচ্ছে যে, নাছারাদের দ্বারা হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত দিবস পালনের অনুসরণে পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য পবিত্র মীলাদ শরীফ করা হয়ে থাকে। আর এ মুহব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই ছওয়াব প্রদান করবেন।” 

উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ আছে,
فتعظيم المولد واتخاذه موسما قد يفعله بعض الناس ويكون له فيه اجرعظيم لحسن قصدة وتعظيمة لرسول الله صلى الله عليه وسلم.

অর্থ: “বরং ঐ দিনে (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আগমনের দিনে) পরিপূর্ণরূপে অনুষ্ঠান করা এবং এ দিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, উত্তম নিয়ত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার কারণে বিরাট প্রতিদান লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! 

আশরাফ আলী থানবী , রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী, সহ সকল উলামায়ে দেওবন্দীদের পীর শায়েখে আরব ওয়াল আযম ,হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে বর্ননা করেন –
مولود شريف كو ذريعه بركلت سمجه كر هر سال منعقد كرتاهون اورقيامكے وقت بے حد لطف ولذت پاتاهوی
অর্থ- মীলাদ শরীফের মাহফিলকে বরকত লাভের উসিলা মনে করে আমি প্রতি বছর মীলাদ শরীফ এর মজলিস করি এবং মীলাদ মাহফিলে ক্বিয়াম শরীফ করার সময় আমি অশেষ আনন্দ ও স্বাদ উপভোগ করি।”(দলীল  ফয়সালায়ে হাফতে মাসায়লা পৃষ্ঠা ৫)

হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার অন্য কিতাবে বলেন —
” আমাদের আলেমগন (দেওবন্দী) মীলাদ শরীফের বিষয়ে খুবই বিরোধ করছে। তবু আমি ক্বিয়াম শরীফ জায়েজ পন্থি আলেমগনের পক্ষেই গেলাম। যখন ক্বিয়াম শরীফ জায়েজ হওয়ার দলীল মওজুদ আছে , তখন কেন এতো বাড়াবড়ি করা হচ্ছে ? আমাদের জন্য তো মক্কা শরীফ মদীনা শরীফের অনুকরনই যথেষ্ট।অবশ্য ক্বিয়ামের সময় জন্মের এতেকাদ না রাখা চাই। যদি ( মাহফিলে) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের বিষয়ে বিশ্বাস করা হয় , এতে কোন অসুবিধা নাই। কেননা আলমে খালক এবং কালের সাথে সম্পৃক্ত , এবং আলমে আমর উভয়বিধ অবস্থা থেকে পবিত্র । সূতরাং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ মাহফিলে আগমন করা উনার পবিত্র জাত মুবরকের জন্য অসম্ভব নয় !” (শামায়েলে এমদাদীয়া ৮ পৃষ্ঠা)


হযরত মাওলানা আব্দুল হাই লাখনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “মাজমুয়ায়ে ফতওয়া” কিতাবের মধ্যে লিখেন-


جو لوگ میلاد کی محفل کو بدعت مذ مومہ کھتے ہے خلاف شرعکہتے ہے جس زمانہ میں بطرز مندوب محفل میلاد  کی جائے باعثثواب ہے اور حرمیں بصرہ سشام یمن اور دوسرے ممالک کے لوگبہی ربیع الاول کا چاند دیکہ کر خوشی اور محفل میلاد اور کار خیرکرتے ہیں قرائت اور سماعت میلاد میں اہتمام کرتے ہیں اور ربیعالاول کے علاوہ دوسرے مھینوں میں بہی ان ممالک میں محفل میلادہوتی ہیں  اور یہ اعتقاد نہ کرنا چاہئے  کہ ربیع الاول میں میلاد شریفکیا جائیگا تو ثواب ملیگا ورنہ نہیں.



অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলকে নিন্দনীয় বিদয়াত বললো, সে নিশ্চয়ই সম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী কথাই বললো। যে যুগে উত্তম তরতীব অনুযায়ী পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল অনুষ্ঠান করা হবে, তা পুণ্যের মাধ্যম নিশ্চয়ই। পবিত্র হারামাইন শরীফাইন অর্থাৎ পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ, বছরা, সিরিয়া ইয়ামেনসহ অন্যান্য দেশসমূহে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখে আনন্দ প্রকাশে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য পুণ্যময় কাজকর্ম সম্পাদন করে থাকেন, পবিত্র মীলাদ শরীফ পড়া ও ঐ সব ঘটনাবলীর শ্রবণকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এসব দেশে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ ছাড়া অন্যান্য মাসেও পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শুধু পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করলে ছাওয়াব মিলে, অন্যথায় ছওয়াব মিলে না- একরম বিশ্বাস রাখা ঠিক নয়।”


দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা কাসেম নানুতবী-এর জামাতা মালানা আব্দুল্লাহ ছাহেব “দুররুল মুনাজ্জাম” কিতাবের উপর অভিমত লিখতে গিয়ে কাসেম নানুতবী ও মালানা ইয়াকুব নানুতুবী (দেওবন্দের হেড মুহাদ্দিছ) সম্পর্কে লিখেছে,


زبۃ الفضلاء استاذ العلماء مولانا محمد یعقوب صاحب مرحوم مدرساعلی مدرسہ عربیہ دیوبند خاص  دیوبند میں بارھا محفل میلاد میںشریک ہوئے اور بحالت قیام قاری وسامعین قیام بھی کیا اور فرمایا کہ...جبکہ تمام مجلس ذکر ولادت کی تعظیم کو اٹھ کھڑی ہو ایسی حالتمیں قیام نہ کرنا سوء ادبی سے خالی نہیں چنانچہ مولانا ومخدومنا کےاس قول وفعل پر بہت سے شاگرت رشید اور باشندگا شہر شاہد ہں ماسوا اسکے سلسلہء خواندان مصطفی جامع الشریعہ والطر یقہ جاجیسید محمد عابد مہتمم مدرسہ دیوبند نے خاص مولانا ممدوح سے اپنےمکان پر ذکر ولادت شریف بطریق وعظ کرایا اور شیرنی بھی تقسیمفرمائی اور  کھف الفضلاء مولانا محمد قاسم صاحب ناظم مدرسہمذکور کی کثرۃ مرۃ سنا گیا ہے ذکر ولادت با اسعادت موجب خیروبرکت اور خاص مولانا بھی بعض جگہ مجلس میلاد میں شریک ہوئےچنانچہ پیر جی واجد علی صاحب جو مولانا کے مرید اور میلاد خواںہیں اس امرکے شاہد ہیں.
অর্থ: “আলিমকুল শ্রেষ্ঠ, উস্তাযুল আসাতিযা মালানা মুহম্মদ ইয়াকুব ছাহেব (প্রধান শিক্ষক মাদরাসায়ে আরাবিয়া দেওবন্দ) স্বয়ং দেওবন্দে বহুবার পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে শরীক হয়েছে। সবাই পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করার সময় তিনিও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করেছেন এবং বলেছেন, ..... নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন আলোচনার সম্মানার্থে পুরো মজলিস যখন দাঁড়িয়ে যাবে, তখন না দাঁড়িয়ে বসে থাকা বেয়াদবী। মালানার এ উক্তি ও আমলের উপর তার অনেক প্রিয় শাগরেদ এবং শহরের অনেক বাসিন্দা সাক্ষী রয়েছেন।
তাছাড়াও হাজী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবিদ (মুহতামিম মাদরাসায়ে দেওবন্দ)ও মালানাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন বৃত্তান্ত আলোচনা ওয়াযের মধ্যে করেছেন এবং শিরনীও বিতরণ করেছেন। মালানা কাসেম ছাহেবের (নাজেম উক্ত মাদরাসা) মুখ থেকেও এ কথাটি বহুবার শুনা গেছে যে- নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন-বৃত্তান্ত আলোচনা হচ্ছে খায়ের ও বরকত লাভের মাধ্যম। মালানাও কোনো কোনো জায়গায় পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে শরীক হয়েছে। পীর ওয়াজেদ আলী ছাহেব দেওবন্দী (যিনি মালানার মুরীদ এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারী ছিলেন) এ কথার সাক্ষী।”


মালানা আশরাফ আলী থানভী বলেছে,
ذکر ولادت شریف نبوی صلی اللہ علیہ مثل دیگر اذ کار خیر کے ثؤاباور افضل ھے اگر بدعات وقبائح سے خالی ھو تو اس سے بہتر کیاھے؟ قال الشاعر:
ذکرک للمشتاق خیر شراب + وکل شراب دونہ کسراب.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল অনুষ্ঠান অন্যান্য উত্তম কার্যাবলীর মতো ছওয়াব ও উত্তম কাজ। যদি তা খারাপ বিদয়াত থেকে মুক্ত হয়, তবে এর চেয়ে ভালো ও উত্তম কাজ আর কীইবা হতে পারে? এ আলোচনার মাহফিল যে উত্তম এর সমর্থনে সে একজন কবির কবিতা আবৃত্তি করে। আশিকের তরে আপনার আলোচনাই অমৃত,
সে আলোচনাহীন স্থানেই আছে মরীচিকা মূর্ত।” (ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪র্থ খ- পৃষ্ঠা ৫৩)

দেওবন্দী সর্বোচ্চ গুরু আশরাফ আলী থানবী তার কিতাবে লিখেছে —
ولاحتفال بذكر الودة ان كان خاليا حن البدعات المروجة جاءز بل مندوبكساءر اذكاره صلي الله عليه و سلم – والقيم عند ذكر ولادته الشريفة حاشاالله ان يكون كفرا
অর্থ– ” হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের বর্ননা করার জন্য মাহফিল করা জায়েজ বরং মুস্তাহাব , যখন উহা (হিন্দুস্থনের) প্রচলিত বিদয়াত হতে পবিত্র হবে এবং ( মীলাদ শরীফে) তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ করার সময় ক্বিয়ম করা কখনোই কুফরী নয় !”(ইমদাদুল ফতোয়া ৪ র্থ খন্ড ৩২০ পৃষ্ঠা)

আশরাফ আলী থানবী অপর এক কিতাবে লিখেছে —
” ঐ সকল কার্যাবলী ( অর্থাৎ শিরনী, ক্বিয়াম ইত্যাদি) প্রকৃত পক্ষে মুবাহ কাজ সমূহের অন্তর্ভুক্ত। তাতে কোন ক্ষতি নেই এবং সেজন্য প্রকৃত মীলাদ শরীফ এর ব্যাপারে কোন প্রকার নিষেধ আসতে পারে না।” (তরীকায়ে মীলাদ ৮ পৃষ্ঠা )

দেওবন্দী ইমাম মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী রচিত “আল মুহান্নাদ আ’লাল মুফান্নাদ” কিতাবে পবিত্র মক্কা শরীফ এবং মদীনা শরীফ এর আলেমদের মীলাদ শরীফ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাব দেওবন্দী খলীল আহমদ সাহারানপুরী লিখেন-
“সূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুবারক বেলাদতের আলোচনা বা মীলাদ শরীফ পাঠ এমন কি তাঁর পাদুকা সংশ্লিষ্ট ধূলি অথবা তাঁর বাহন গাধাটির প্রশ্রাব-পায়খানা মুবারক আলোচনাকে আমরা কেন কোন সাধারণ মুসলমান বেদআতে মুহররমা বা হারাম বলতে পারে না। না আমরা কখনো বলিনি বলিও না।
ঐ অবস্থা যার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক হযরত রসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে রয়েছে তার আলোচনা আমাদের মতে অধিকতর পছন্দনীয় ও উন্নতমানের মুস্তাহাব।” (আল মহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ ২১ তম প্রশ্নের জবাব লেখক- মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী দেওবন্দী।,প্রকাশনা-ইত্তেহাদ বুক ডিপো, দেওবন্দ (ইউ পি)


খলীল আহমদ সাহারানপুরী এই বইতে লিখেছে এটাই দেওবন্দী আকাবিরদের আক্বীদা। এর বিপরীত আক্বীদা পোষনকারীরা দেওবন্দী গ্রুপের নয়।

মৌলভী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী ছাহেবের ওস্তাদ শাহ আব্দুল গণী দেহ্লভী ছাহেব মন্তব্য করেছে,

وحق انست كه نفس ذكر ولادت انحضرت صلى الله عليه وسلم وسرورفاتحة نمودن يعنى ايصال ثواب بروح پر فتوح سيد الثقلين كمال سعادتانسان است.
অর্থ: “সঠিক মতামত হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠে এবং পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করে ঈছালে ছাওয়াব করার এবং পবিত্র মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খুশি উদ্যাপনে মানবজাতির জন্য পূর্ণ সৌভাগ্য অবধারিত।” (শিফউস্ সা-ইল)

সকল দেওবন্দী ও বাংলাদেশর কওমীদের অন্যতম গর্ব আশরাফ আলী থানবীর খলীফা , শামছুল হক ফরিদপুরী তার ” তাছাউফ তত্ত্ব” কিতাবে মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এর ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে লিখে —
“ক্বিয়াম জিনিসটা আসলে ফিকাহের অন্তর্ভুক্ত নাহে – ইহা তাছাউফের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ মুহব্বত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হযরত রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তারিফের কাসীদা পড়া হয় তাহা দ্বারা মুহব্বত বাড়ে এবং লোকজন মুহব্বতের জোশে খাড়া হইয়া যায় । মুহব্বতের জোশে খাড়া হইলে তাহাকে বিদয়াত বলা যায় না। তাহা ছাড়া হযরত নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সালাম করার সময় বসিয়া বসিয়া সালাম করা শরীফ তবিয়তের লোকের কাছে বড়ই বেয়াদবী লাগে। ( তাছাউফ তত্ত্ব ৪১ পৃষ্ঠা)

শুধু তাই নয়, দেওবন্দী সিলসিলার প্রতিষ্ঠিাতা সহ সকল দেওবন্দীদের পীর সাহেব হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিজের ত্বরীকা সম্পর্কে সকল অনুসারি দের মধ্যে কিছু উপদেশ লিখিত আকারে রেখে গিয়েছিলেন ! আসুন দেখা যাক উপদেশগুলা কি ছিলো –
 গৌরব করবে না।
 নিজেকে বড় মনে করবে না।
 খায়ের ও বরকতের জন্য মীলাদ মাহফিলের আঞ্জাম করবে এবং ক্বিয়াম করবে।
 পীর আওলিয়া গনের ঈসালে সাওয়াব মাহফিলে যোগদান করবে।
 ফাতেহাখানীতে যোগদান করবে।
 মাশায়েখ ও পীর আওলিয়াগনের মাযার শরীফ যিয়ারত করবে।
 অবসর সময় তাঁদের মাযার শরীফের পার্শ্বে এসে রূহানীয়ত সহ মুতাওজ্জুহ হবে এবং স্বীয় মুর্শিদের সুরতে তাদের ধ্যান করবে ও ফয়েজ হাসিলের চেষ্টা করবে। কারন তাঁরা আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্থলাভিষিক্ত বলে গন্য।
 এগুলোই আমার ত্বরীকা।
আর এসবই বরকতময় কর্ম। আমার লেখা “ফায়সালায়ে হাফতে মাসায়লা” কিতাবে এসকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”(যিয়াউল কুলুব- কতিপয় বিশেষ উপদেশ পরিচ্ছেদ ,লেখক- হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

মুসলমান ভাইগন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে-দেওবন্দী সিলসিলায় কয়জন এই উপদেশ মান্যকরে ?
দেওবন্দী দের কাছে এই আমাল গুলাতো শিরিক আর বিদয়াত !!
তবে তারা কি উনাকে মুশরিক/বিদয়াতি বলবে ?

পীরের ত্বরীকা অস্বীকার করে কি তারা পীরের সিলসিলায় থাকতে পারে ?
জবাব পেলে ভালো হতো।

এবার একটু চিন্তা করুন দেওবন্দীরা কত নিকৃষ্ট। নিজেদের সিলসিলার সবাই মীলাদ -ক্বিয়ামে পক্ষে ফতোয়া দিয়ে গেছে সেটা দেখে না। আমরা সুন্নী মুসলমানরা মীলাদ ক্বিয়াম করলে সেটা তাদের কাছে শিরক-বিদায়াত হয়ে যায়। যদি আমাদেরকে শিরকি- বিদয়াতি ফতোয়া দিতে চায় তাহলে সর্বপ্রথম যেন নিজেদের মুরুব্বী দের মুশরিক আর বেদাতী ফতোয়া দিয়ে নেয় । নচেত আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার অধিকার তাদের নাই।