সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত-বুযূর্গী-সম্মান মুবারক
সম্মানিত ও পবিত্র নাম মুবারক: সাইয়্যিদুনা হযরত জা’ফর আলাইহিস সালাম; এর অর্থ- নদী, খাল, সাগর ইত্যাদি। মূল অর্থ হলো- জামিউন নিয়ামত তথা সমস্ত নিয়ামত মুবারক উনাদের অধিকারী এবং জামিউন নিসবত অর্থাৎ সমস্ত নিসবত মুবারক উনার অধিকারী। যেহেতু সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে বিশেষ নিয়ামত ও নিসবত মুবারক উনার অধিকারী, উম্মত হিসেবে মূল নিয়ামত ও নিসবত মুবারক উনার অধিকারী এবং যাহিরী, বাতিনী সমস্ত নিয়ামত ও নিসবত মুবারক উনার অধিকারী ছিলেন, তাই তিনি হচ্ছে জামিউন নিয়ামত বা সমস্ত নিয়ামত রাজির অধিকারী এবং জামিউন নিসবত অর্থাৎ সমস্ত নিসবতের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত লক্বব মুবারক: ‘ছাদিক্ব’ হচ্ছেন, উনার একটি বিশেষ লক্বব মুবারক। তিনি হচ্ছেন সমস্ত ছাদিক্বীন উনাদের ইমাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ছাদিক্বীন উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও।”
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন- এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক। এছাড়াও ফাদ্বিল, ত্বাহির উনার বিশেষ লক্বব মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। মূলত, তিনি সমস্ত উত্তম ছিফত মুবারক উনারই অধিকারী ছিলেন। তাই সেই দিক থেকে তিনি হচ্ছেন, জামিউল আলক্বাব বা সমস্ত লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ও পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি ৯৬ হিজরী সনের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৭ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইছনানিল আযীম শরীফ (সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত ও পবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর উনার সম্মানিত ও পবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ হচ্ছেন- ১৪৮ হিজরী শরীফ উনার পবিত্র ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) বাদ-ইশা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে ৫২ বছর ৩ মাস ২৭ দিন অবস্থান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক পরিচিত: তিনি হচ্ছেন সম্মানিত পিতা উনার দিক থেকে- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম ইবনে মুহম্মদ বাকির আলাইহিস সালাম ইবনে যাইনুল আবেদীন আলী আওসাত আলাইহিস সালাম ইবনে সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ইবনে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আর নসবনামা হিসেবে তিনি হচ্ছেন যিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার বংশধর তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। উনার ধমনী মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন নাজাত মুবারক প্রবাহিত। সুবহানাল্লাহ!
তিনি সম্মানিত মাতা উনার দিক থেকে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
উনার সম্মানিত মাতা উনার নাম মুবারক হচ্ছেন- হযরত উম্মে ফারওয়া আলাইহাস সালাম। উনার সম্মানিতা মাতা উনার নসবনামা মুবারক হচ্ছেন হযরত উম্মে ফারওয়া বিনতে হযরত ক্বাসিম ইবনে হযরত মুহম্মদ ইবনে সাইয়্যদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিমুস সালাম। সম্মানিত মাতা উনার দিক থেকে হযরত উম্মে ফারওয়া বিনতে হযরত আসমা বিনতে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে সাইয়্যদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে¡ আকবর আলাইহিমুস সালাম। তিনি হচ্ছেন ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বারো (১২) ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে সাদিস বা ষষ্ঠ ইমাম। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত বারো ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের নাম মুবারক উনাদের তালিকা মুবারক নিম্নরূপ:
১. ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম।
২. ইমামুছ ছানী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম।
৩. ইমামুছ ছালিছ সাইয়্যিদুশ শুহাদা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম।
৪. ইমামুর রাবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী আওসাত্ব জয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম।
৫. ইমামুল খামিস সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মুহম্মদ বাকির আলাইহিস সালাম।
৬. ইমামুস সাদিস সাইয়্যিদুনা হযরত জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম।
৭. ইমামুস সাবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম।
৮. ইমামুছ ছামিন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী রেযা আলাইহিস সালাম।
৯. ইমামুত তাসি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মুহম্মদ ত্বক্বী আলাইহিস সালাম,
১০. ইমামুল আ’শির সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী নক্বী আলাইহিস সালাম।
১১. ইমামুল হাদি আ’শার সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আসাকারী আলাইহিস সালাম, এবং
১২. ইমামুছ ছানি আ’শার সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মুহম্মদ মাহদী আলাইহিস সালাম। (যিনি শেষ যামানায় আসবেন এবং হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাদের সঙ্গী হয়ে দাজ্জালারের বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন।) সুবহানাল্লাহ!
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের যেমন আলাদা মাক্বাম তেমনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বারো (১২) ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাক্বামও আলাদা। সুবহানাল্লাহ!
সেই হিসেবে ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি কতটুকু বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার অধিকারী সেটা বলার অপেক্ষাই রাখে না। সুবহানাল্লাহ!
জামিউন নিয়ামত: ক্বাদেরীয়া তরীক্বার সিলসিলা অনুযায়ী ইমামুস সাদিস সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক সাত নম্বরে। আর নকশবন্দিয়া মুজাদ্দিদীয়া তরীক্বার সিলসিলা অনুযায়ী উনার নাম মুবারক পঞ্চম নম্বরে। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে মূল নিয়ামত মুবারকপ্রাপ্ত হয়েছিলেনই, তথাপি তিনি উম্মত হিসেবে মূল নিয়ামত হাছিল করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, একজন উম্মত হিসেবে যতটুকু নিয়ামত ধারণ করা সম্ভব আমি আমার সমস্ত নিয়ামতটুকুই সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে¡ আকবর আলাইহিস সালাম উনার বক্ষ মুবারক-এ ঢেলে দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ!
আর সেই নিয়ামতটুকুই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি উনার নানা হযরত ক্বাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাধ্যম দিয়ে হযরত সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে¡ আকবর আলাইহিস সালাম উনার থেকে হাছিল করেন। সুবহানাল্লাহ!
সেই দিক থেকে তিনি হচ্ছেন জামিউন নিয়ামত ও নিসবত তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে মূল নিয়ামত ও নিসবত এবং উম্মত হিসেবে যে বিশেষ নিয়ামত ও নিসবত রয়েছে, সেই দুই নিয়ামত ও নিসবতকে একত্রকারী। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়াও তিনি যাহিরী-বাতিনী সমস্ত নিয়ামত ও নিসবত মুবারক উনার অধিকারী ছিলেন। মূলত, তিনি হচ্ছেন, সেই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মিছদাক। যেই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে, “আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে কাউছার তথা সমস্ত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। এক কথায় তিনি শুধু নবী-রসূল নন; এছাড়া সমস্ত মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান ও নিয়ামতের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
আ’লামুন নাস: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন সমস্ত মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ও পবিত্র ইলিম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
একবার উনার যামানায় এক ব্যক্তি দাবি করলো যে, সে সমস্ত কিছু জানে, সে সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। তাকে উনার কাছে নিয়ে আসা হলো। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নাকি সমস্ত কিছু জানো, বলে দাবি করো? সে বললো, হ্যাঁ। না‘ঊযুবিল্লাহ!
তখন তিনি যমীন থেকে একটা দুর্বাঘাস তুলে তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে তুমি বলো তো দেখি, পৃথিবীতে এই দুর্বাঘাসের সংখ্যা জোড় না বেজোড়? সে বললো, আমি জানি না। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আমার তো জানা রয়েছে, পৃথিবীতে যতো দুর্বাঘাস রয়েছে, তার সংখ্যা জোড়। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি।”
তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি সমস্ত কিছুই জোড় সংখ্যক সৃষ্টি করেছি।” তখন উক্ত ব্যক্তি লা-জাওয়াব হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!
মুরীদ এবং খলীফা: সেই যামানার প্রায় সমস্ত লোকই উনার মুরীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। হানাফী মাযহাবের ইমাম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং সুলত্বানুল আরেফীন হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনার খলীফা ছিলেন। এছাড়া হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম দাঊদ তায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা উনার মুরীদ ছিলেন। অন্যদিকে রসায়ন বিজ্ঞানের জনক হযরত জা’বির ইবনে হাইয়্যান তিনিও উনার মুরীদ ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম তিনি কিরূপ বেমেছাল ইলিম ও মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনাদের অধিকারী ছিলেন। যেটা সমস্ত মাখলুকাতের চিন্তা, কল্পনা ও ইলিমের বাইরে। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করা হচ্ছে ঈমান এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা হচ্ছে কুফরী। তাই উনাকে মুহব্বত করা এবং উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে জানা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য ফরয।
আর উনাকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করতে হলে, উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান সম্পর্কে জানতে হলে, মুত্বহহার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আস সাফফাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক-এ) জমায়েত হওয়া এবং উনার মুবারক হাতে বাইয়াত গ্রহণ করা, উনার ইতায়াত তথা অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জ্বিন-ইনসান সকলের জন্য ফরয। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমীন!
0 Comments:
Post a Comment