সালাফীরা ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ নিয়ে প্রতারণা













সালাফীরা ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ নিয়ে প্রতারণা 
চুরি বাটপারী করতে করতে তারা এতই নিচে নেমেছে যেটা বলার ভাষা নাই। তারাবীহর নামাযকে তারা কোন ভাবেই ২০ রাকাত মানতে পারছে না। কিন্তু তারা না চাইলে কি হবে ২০ রাকাততো সহীহ সনদে প্রমানিত। সালাফীদের যেহেতু একটা মুখস্ত অভ্যাস শিখিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের মতের খিলাফ হলেই সেটা জাল, এবং সেই সনদের সবাই মিথ্যাবাদী হয়ে যায়।

তারাবীর নামাজকে অস্বীকার করতে গিয়ে এমনই একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে সালাফীরা । কিন্তু ভুল জায়গায় হাত পড়ে গেছে, স্বয়ং বুখারী শরীফের প্রথম হাদীস শরীফে। মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বার একটা হাদীস যেখানে ২০ রাকাত তারাবীহর পক্ষে মুরসাল সনদ বর্ণিত আছে। এই হাদীস শরীফের একজন রাবী হচ্ছেন হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যাকে তাওহীদ পাবলিকেশনস এর প্রকাশিত বুখারীর টিকায় এক সালাফী মিথ্যাবাদী বলেছে। এবং বলেছে তার বর্ণনা প্রত্যাখ্যাত, অর্থাৎ উনার কোন বর্ণনা গ্রহন করা যাবে না। (তাওহীদ প্রকাশনির সম্পাদনায় বুখারী শরীফের ২য় খন্ড ৩৪৩ পৃষ্ঠা)

কিন্তু বাংলায় প্রবাদ আছে চোরের দশ দিন আর গৃহের মালিকের একদিন। সূতরাং চোর ধরা পরে গেলো। এবং গনধোলাইয়ের দায়িত্ব জনগনের হাতে ন্যাস্ত করা হলো। সেই তাওহীদ প্রকাশনির সম্পাদনায় বুখারী শরীফের ১ম খন্ড ২য় পৃষ্ঠা ১ নং হাদীস শরীফ এর সনদটা একটু পড়ুন। যারা আরবী পড়তে পারেন না তারা কাউকে দিয়ে পড়িয়ে নিন। আমি লাল কালিতে আন্ডারলাইন করে দিয়েছি। বুখারী শরীফের ১ম হাদীস “ইন্নামা আ’মালু বিন্নিয়াত” এই মশহুর হাদীস শরীফের রাবী হচ্ছেন হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহি। 

সালাফীরা তারাবীহকে অস্বীকার করতে নফসের দ্বারা প্রতারিত হয়ে হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে মিথ্যাবাদী বলতেও কুন্ঠাবোধ করে নাই। অথচ ১ নং হাদীস শরীফে কিন্তু হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহি সালাফীদের কাছে চরম সত্যবাদীই আছেন। যেই তিনি অন্য কিতাবে তারাবীর নামাজ ২০ রাকাত বলে ফেললেন সাথে সাথে মিথ্যাবাদী হয়ে গেলেন। আল্লাহ পাক ক্ষমা করুন।
এখন বলুন ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কি জাল হাদীস বর্ণনা করতেন?

ভয়ানক বিষয় হচ্ছে এই অপবাদ দিতে গিয়ে সালাফী তাহকীক কারী হযরত ইবনে হাতীম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতিও মিথ্যারোপ করেছে। কারন হযরত ইবনে হাতীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কিতাব জরাহ ওয়াত তাদীল কিতাবে হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে মিথ্যাবাদী বলেন নাই, বরং সিক্বাহ ও চরম সত্যাবাদী হাদীস শরীফের শায়েখ বলেছেন। যা আমি পরবর্তীতে স্ক্যান করে দেখাবো ইনশা আল্লাহ।

এখন আপনারাই বিচার করেন । এই হলো নামাজ চোর সালাফীদের হাক্বীকত। এরা হাদীস শরীফ নিয়েও মিথ্যাচার করতে পিছুপা হয় না। হাদীস শরীফে আছে, যে আমার নামে মিথ্যাচার করলো সে যেন দুনিয়া থাকতেই তার স্থান জাহান্নামে নির্ধারন করে নিল। (বুখারী শরীফ ১১০)

আল্লাহ পাক এই মিথ্যাবাদীদের হাত থেকে সহজ সরল মুসলমানদের হিফাজত করুন। আর এদের লাঞ্ছিত করে সঠিক বিষয় দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।

তাওহীদ পাবলিকেশন থেকে সম্পাদিত বুখারী শরীফের ডাউনলোড লিংক (http://bit.ly/1X4bZvv)
অনাগত সন্তান ছেলে না মেয়ে জানুন শরীয়তসম্মত পন্থায়

অনাগত সন্তান ছেলে না মেয়ে জানুন শরীয়তসম্মত পন্থায়

****************************
ছেলে মেয়ে তথা সন্তান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। এটার ক্ষেত্রে নারী পুরুষের কারো এখতিয়ার নেই। অনেকে অনাগত সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে সেটা পরীক্ষা করার জন্য আল্ট্রাস্নোগ্রাম, টেস্ট ও পরীক্ষা করে থাকে। 

কিন্তু এটা শরীয়ত পরীপন্থী না হলেও কাছাকাছি। কারন অনেকে ছেলে না চাইলে বা মেয়ে না চাইলে বীপরিত হলে দুনিয়ায় আসার আগেই মেরে ফেলে। এটা হারাম। 

তবে পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সময় বেপর্দা হতে হয়। এসব কারনে পরীক্ষা করার চেয়ে শরীয়তসম্বমত পদ্ধতি বুজুর্গগন বর্ণনা করেছেন।
তাফসীরে উল্লেখ রয়েছে


-قال الجاحظ :وإذا أردت أن تعلم هل المرأة حامل بذكر أو أنثى فخذ قملة واحلب عليها من لبنها في كف إنسان فإن خرجت من اللبن فهي جارية وإن لم تخرج فهو ذكر-বিশিষ্ট মুফাসসির হযরত জাহিয রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- আর তা হলো- যদি তোমাদের জানার ইচ্ছা জাগে যে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তাহলে নিন্মের কাজ করতে হবে-

কোন মহিলা হামেলা অবস্থায় তার স্তনের থেকে কয়েক ফোটা দুধ নিয়ে হাতের তালুতে নিয়ে সেই দুধের মধ্যে একটা উকুন ছেড়ে দিতে হবে। যদি উকুনটি বের হয়ে তাহলে কন্যা সন্তান হবে আর বের হতে না পারলে বুঝে নিতে হবে ছেলে সন্তান। বর্ননাটি রয়েছে- (তাফসীরে রুহুল বায়ান/সুরা আরাফ/২৩৪, তাফসীরে হাক্কী, হায়াতুল হাইওয়ান- ইবনে সিনা)


কাজেই বর্তমান শরীয়তবহির্ভুত নামে ডিজিটাল বেপর্দা পন্থায় পরীক্ষা না করে শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে পরীক্ষা করুন। আর ছেলে বা মেয়ে সন্তান হলে শুকরিয়া আদায় করুন।