জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি ও কাশি হওয়া খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। কাজেই, জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হলেই করোনা নয়










জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি ও কাশি হওয়া খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। কাজেই, জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হলেই করোনা নয়
জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হলেই করোনা নয়। জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি ও কাশি হওয়া খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عن حضرت أَبِىْ عَسِيبٍ رضى الله تعالى عنه مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَنِي جِبْرِيلُ بِالْحُمَّى وَالطَّاعُونِ فَأَمْسَكْتُ الْحُمَّى وَأَرْسَلْتُ الطَّاعُونَ إِلَى الشَّامِ فَالطَّاعُونُ شَهَادَةٌ لِأُمَّتِي وَرَحْمَةٌ لَهُمْ وَرِجْزٌ عَلَى الْكَافِرِينَ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযাদকৃত গোলাম হযরত আবূ ‘আসীব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, একদা হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ দুটি বিষয়- ১. জ্বর এবং ২. মহামারী নিয়ে আসলেন। আমি জ্বর (জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি, হালকা মাথা ব্যাথা) গ্রহণ করলাম। আর ১. মহামারী (কলেরা, বসন্ত ইত্যাদি) শাম দেশে প্রেরণ করলাম। কাজেই, মহামারি হচ্ছে আমার উম্মতের জন্য শাহাদাত এবং রহমত স্বরূপ। আর কাফিরদের জন্য শাস্তি বা গযব স্বরূপ।” (আল কুনা ওয়াল আসমা লিদ দূলাবী ১/১৩১, মুসনাদে আহমদ ৩৪/৩৬৬, আল আহাদ ওয়াল মাছানী ১/৩৪২, ফাইদ্বুল ক্বদীর ১/৯৪ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক রয়েছে,
عن عبد الله بن مسعود قال دخلت على النبي صلى الله عليه وسلم وهو يوعك فمسسته بيدي فقلت يا رسول الله إنك لتوعك وعكا شديدا فقال النبي صلى الله عليه وسلم أجل إني أوعك كما يوعك رجلان منكم قال فقلت ذلك لأن لك أجرين فقال أجل ثم قال ما من مسلم يصيبه أذى من مرض فما سواه إلا حط الله تعالى به سيئاته كما تحط الشجرة ورقها
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গেলাম, তখন তিনি (মহাসম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক) জ্বর গ্রহণ করেছিলেন। আমি আমার হাত দ্বারা উনাকে স্পর্শ করলাম এবং বললাম- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তো প্রবল (মহাসম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক) জ্বর মুবারক গ্রহণ করেছেন! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হ্যাঁ, আপনাদের দুজনে যা ভোগ করেন, আমি তা গ্রহণ করেছি। হযরত ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি বললাম- এটা এই কারণে যে, আপনার জন্য দুই গুণ পুরুস্কার রয়েছে। (অর্থাৎ কোনো ব্যাক্তি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যদি খেয়াল করেন যে, এটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক, তাহলে তিনি দুই গুণ ফযীলত লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোনো মুসলমানের প্রতি যেকোনো কষ্ট পৌঁছুক না কেনো, হোক সেটা রোগ-বালা বা অন্য কোনো কিছু, মহান আল্লাহ পাক তিনি তা দ্বারা ঐ ব্যক্তি উনার গুনাহ্সমূহ এমনভাবে ঝেড়ে দেন, যেভাবে গাছ তার পাতা ঝাড়ে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক রয়েছে,
وعن جابر قال دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم على أم السائب فقال مالك تزفزفين قالت الحمى لا بارك الله فيها فقال لا تسبي الحمى فإنها تذهب خطايا بني آدم كما يذهب الكير خبث الحديد
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মুস সায়িব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার নিকট সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়ে ইরশাদ মুবারক করেন, আপনার কি হয়েছে? কান্না করছেন কেনো? তিনি জবাব দিলেন, জ্বর। মহান আল্লাহ পাক তিনি জ্বরের ভালো না করুন! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনি জ্বরকে গালি দিবেন না। কেননা, এটা মানুষের গুনাহ্সমূহকে এমনভাবে দূর করে, যেভাবে হাপর লোহার মরিচা দূর করে।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আরো ইরশাদ মুবারক রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হাঁচি পছন্দ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আরো ইরশাদ মুবারক রয়েছে,
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشَمَّتُ الْعَاطِسُ ثَلَاثًا فَمَا زَادَ فَهُوَ مَزْكُومٌ
অর্থ: “হযরত সালামাহ ইবনে আকওয়া’ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হাঁচি দাতা ৩ বার হাঁচি দিবে। কেউ যদি এর বেশি হাঁচি দেয়, তাহলে সে সর্দিগ্রস্ত।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে মাজাহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৭১৪)
কাজেই জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হওয়া এটা একটা খাছ সুন্নাত উনার অন্তর্ভূক্ত। এটাকে খারাপ বলা কাট্টা কুফরী। কেননা আকাইদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اِهَانَةُ السُّنَّةِ كُفْرٌ
অর্থ: “সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইহানত করা কুফরী।”
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ১০ম খলীফা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হওয়া এটা একটা খাছ সুন্নাত উনার অন্তর্ভূক্ত। এখন এর মধ্যে এরা করোনা ভাইরাসকে প্রবেশ করায়ে বলতেছে, এটা করোনা ভাইরাসের রোগীদের হয়ে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ! এটাতো আলাদা একটা জিবানু। যেটা হাদীছ শরীফে রয়েছে, প্রত্যেকটা রোগের একটা আকৃতি রয়েছে। রোগগুলো তো এভাবে আসে না। আসমান থেকে নাযিল হয়। নাযিল হয়ে রোগ যখন চলাচল শুরু করে, যেই যেই এলাকা দিয়ে যায়, যাকে সে স্পর্শ করে, তারই এই রোগ হবে। আর যাকে স্পর্শ করবে না, তার মধ্যে রোগ হবে না। আর সে তো সবাইকে স্পর্শ করবে না। যিনি খালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাদের জন্য পাঠিয়েছেন, তাদেরকেই স্পর্শ করবে, তাদেরই এই রোগ হবে। অন্য কারো হবে না। আর এই করোনা ভাইরাস যেটা, এটা কাট্টা একটা গযব। এটা মহামারী না। এটা কাফেরদের প্রতি কঠিন একটা গযব। আর জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশির নাম দিয়ে তারা করোনা ভাইরাসের কথা বলে থাকে। এটা আরেকটা কুফরী। এরা বাল্যবিবাহ নিয়ে যেমন কুফরী করে থাকে, ঠিক একইভাবে জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি নিয়েও কুফরী করে যাচ্ছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! আমাদের দেশে মুসলমানদের সারা বছরই ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হয়ে থাকে। সে জন্য তার তো সেই অসুখ হয়নি। এটা আলাদা একটা জিবানু। এটা গযব। সেই গযবটা যার ভিতর প্রবেশ করবে, সে অবশ্যই মারা যাবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আলোচনা মুবারক থেকে সংকলিত)
ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই ।বিশ্বাস করা কুফরি ও হারাম

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নে

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলতে কোনো রোগই নেই। কোনো রোগের কোনো ক্ষমতা নেই যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা ব্যতীত কারো উপর আক্রমণ করে। আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত জিন-ইনসান ও প্রাণী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের হায়াত-মাওত, বালা-মুছীবত, বিপদ-আপদ, রোগ-বালাই এবং রিযিক্বসমূহ সবকিছুই পূর্ব থেকে নির্ধারণ করে রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে অসংখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ রয়েছেন। যেমন-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَليْهِ وسَلَّمَ لَا عَدْوٰى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে মাজাহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৫৩৯, হাশিয়াতুস সিন্দী ২/৩৬৩)
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ.
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৭৫৭, ৫৩১৬, এবং ৫৪২৫, তাহ্যীবুল আছার লিত্ ত্ববারী ৩/৪৩২, মুসনাদে ইসহাক্ব ইবনে রাহওয়াইহ্ ১/২৩৫, উমদাতুল ক্বারী ৩১/৩৮২, আত্ তাওদ্বীহ্ লি ইবনে মুলক্বিন ২৭/৫২১, আত্ তাওশীহ্ ৮/৩৫৪২, আল কাওয়াকিবুদ্ দুরারী ২১/৩৩, ইরশাদুস সারী ৮/৩৯৮, ফাইদ্বুল বারী ৬/৬৩, আল কাওছারুল জারী ৯/২৯১, আল লামি‘উছ ছবীহ্ ১৪/৩৬০, মিনহাতুল বারী ৯/৪৭, কাশফুল খাফা ২/৪৫০, নুযহাতুল আলবাব ৪/২৪০৯ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا عَدْوٰى وَلَا هَامَةَ وَلَا نَوْءَ وَلَا صَفَرَ.
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই, তারকার (উদয় বা অস্ত যাওয়ার) দ্বারা ভাগ্য নির্ধারণ ও বৃষ্টি হওয়া বা না হওয়া ভিত্তিহীন এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে অশুভ বলতে কিছুই নেই।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৯২৬ এবং ৪১১৮, আবূ দাঊদ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৯১৪ এবং ৩৯১২, আহাদীছু ইসমা‘ঈল ইবনে জা’ফর ১/৩৪০, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ৬/৭৬, জামি‘উল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী ১৬/৪৩৯, আল ফাতহুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ৩/৩৩২, জাম‘উল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূত্বী ১১/৫৫৯, জামি‘উল উছূল লি ইবনে আছীর ৭/৫৮০৯, কানযুল ‘উম্মাল ১০/১১৮, আল জাম‘উ বাইনাছ ছহীহাইন ৩/৭৮, মুসতাখরজে আবী ‘আওয়ানাহ্ ১৭/৫০৬, আল আহ্কামুশ শর‘ইয়্যাহ্ লিল ইশবীলী ৩/৫৯, শরহুস সুন্নাহ্ লিল বাগবী ১২/১৭৪, মিশকাত শরীফ ৩৯১, মিরক্বাতুল মাফাতীহ্ ৭/২৮৯৫, শরহুত্ ত্বীবী ৯/২৯৮০, তুহফাতুল আশরাফ ১০/২৩৪, ইকমালুল মু’লিম ৭/১৪৫, ফাতহুল মুন‘ইম ৮/৬১১, আল কাওকাবুল ওয়াহ্হাজ ২২/৩০৪, বযলুল মাজহূদ ১১/৬৪৩, আল বাহ্রুল মুহীত্বুছ ছাজ্জাজ ৩৬/৩৭৪, মিন্নাতুল মুন‘ইম ৩/৪৬৯, আল মুসনাদুল মাওদ্বূ‘য়ী ৩/৪৫৯ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلاَ طِيَرَةَ وَيُعْجِبُنِـى الفَأْلُ قَالُوْا وَمَا الْفَأْلُ قَالَ كَلِمَةٌ طَيِّبَةٌ.
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই এবং অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে কিছুই নেই। শুভ লক্ষণ আমাকে আশ্চার্যান্তিত করে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনারা বললেন, শুভ লক্ষণ কী? জবাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, উত্তম কথা।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৭৭৬, ৫৩৩১, এবং ৫৪৪০, মুসলিম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২২২৪, মুসনাদে আহমদ ২০/৩১, মুসনাদে আবী দাঊদ ত্বয়ালসী ৩/৪৬৭, মুসনাদে বায্যার ১৩/৪১৯, আল জাম‘উ বাইনাছ ছহীহাইন ২/৫৭০, আত্ তাওশীহ্ লিস সুয়ূত্বী ৮/৩৫৫৪, আত্ তাওদ্বীহ্ ২৭/৫৫৬, জামি‘উল উছূল লি ইবনে আছীর ৭/৫৮০৩, লুম‘আতুত্ তানক্বীহ্ ৭/৫২১, আল কাওকাবুদ্ দুরারী ২১/৪৬, ইরশাদুস সারী ৮/৪১২, উমদাতুল ক্বারী ৩১/৪১৭, ফাইদ্বুল বারী ৬/৬৯, আল কাওছারুল জারী ৯/৩০১, মিনহাতুল বারী ৯/৫৮, শরহুত্ ত্বীবী ৯/২৯৭৮, আল লামি‘উছ ছবীহ্ ১৪/৩৮২, মিরক্বাতুল মাফাতীহ্ ৭/২৮৯২, আল মাত্বালিবুল ‘আলিয়াহ্ ১১/১৭৪ ইত্যাদি)
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ وَاُحِبُّ الْفَأْلَ الصَّالِحَ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নেই এবং অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে কিছুই নেই। আর আমি শুভ লক্ষণকে পছন্দ করি।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৯৩৫, ইবনে মাজাহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৫৩৭, মুসনাদে আহমদ ১৬/৩৪২, সহীহ ইবনে হিব্বান ১৩/১৪১, আল আদব লিইবনে আবী শায়বাহ্ ১/২১২, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ্ ৫/৩১০, হাশিয়াতুস সিন্দী ২/৩৬২)
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ وَاُحِبُّ الْفَأْلَ الصَّالِـحَ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নেই এবং অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে কিছুই নেই। আর আমি শুভ লক্ষণকে পছন্দ করি।” (মুসলিম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৯৩৫, আত্ তুয়ূরিয়াত ১/৭, আত্ তামহীদ ২৪/১৯৩, ইকমালুল মু’লিম ৭/১৪৭, ফাতহুল মুন‘ইম ৮/৬১২, আল কাওকাবুল ওয়াহ্হাজ ২২/৩১২, মিন্নাতুল মুন‘ইম ৩/৪৭১, ছহীহ ইবনে হিব্বন ১৩/১৪১, মুস্তাখ্রাজে আবী ‘আওয়ানাহ্ ১৭/৫১৫, মুসনাদে আহমদ ২/৫০৭, আল মাত্বালিবুল ‘আলিয়াহ ১১/১৬৯, আল জাম‘উ বাইনাছ্ ছহীহাইন ৩/৩৮২ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ وَعَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ لَا هَامَةَ وَلَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ اِنْ تَكُنِ الطِّيَرَةُ فِـىْ شَىْءٍ فَفِى الْفَرَسِ وَالْمَرْاَةِ وَالدَّارِ.
অর্থ: “হযরত সা’দ ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করতেন, “পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই, ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই এবং অশুভ বলতে কিছু নেই। যদি কোন কিছুর মধ্যে অশুভ বা কুলক্ষণে কিছু থাকতো, তাহলে ঘোড়া, মহিলা এবং ঘর-বাড়ির মধ্যে থাকতো।” (আবূ দাউদ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৯২১ এবং ৩৯২৩, ইবনে মাজাহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৫৩৯, আল ফাতহুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ৩/৩৩৫, জামি‘উল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী ১৬/৪৭০, জাম‘উল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূত্বী ১/১৮৯৪৭, জামি‘উল উছূল লি ইবনে আছীর ৭/৫৮১১, নাইলুল আওত্বার ৭/২১৮, নাখবুল আফকার ১৪/৭৬, বাযলুল মাজহূদ ১১/৬৪৯, কানযুল উম্মাল ১০/১১৬ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا عَدْوٰى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ فَقَالَ اَعْرَابِـىٌّ يَا رَسُوْلَ اللَّهِ فَمَا بَالُ اِبِلِىْ تَكُوْنُ فِـى الرَّمْلِ كَاَنَّـهَا الظِّبَاءُ فَيَأْتِـى البَعِيْـرُ الاَجْرَبُ فَيَدْخُلُ بَيْنَهَا فَيُجْرِبُـهَا فَقَالَ فَمَنْ اَعْدَى الاَوَّلَ.
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই এবং পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছুই নেই। তখন একজন বেদুঈন ছাহাবী বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমার উটের এ অবস্থা হলো কেন? যে উটগুলো হরিণের মতো তরুতাজা ছিল, যেগুলো ময়দানে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতো। এমতাবস্থায় কোথা থেকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত একটি উট এসে সে উটের পালে মিলিত হলো এবং উটগুলোকে খুঁজলি-পাঁচড়ায় আক্রান্ত করে দিলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তাহলে প্রথম উটটিকে কে সংক্রামিত করলো? (বুখারী শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫২৭৮, ৫৩৮৭ এবং ৫৭১৭, মুসলিম শরীফ হাদীছ শরীফ নং ২২২০, জামি‘উ মা’মার ইবনে রশিদ ১০/৪০৪, আবূ দাঊদ শরীফ ৪/১৭, মুসনাদে বায্যার ১৪/২৮০, শরহু ইবনে বাত্ত্বাল ৯৪১৭, আত্ তাওদ্বীহ্ ২৭/৪৪৪, আত্ তাওশীহ্ ৮/৩৫২৪, আল কাওকাবুদ দুরারী ২১/৯, ইরশাদুস সারী ৮/৩৭৮, আল কাওছারুল জারী ৯/২৭২, মিনহাতুল বারী ৯/২৭, আল লামি‘উছ ছবীহ্ ১৪/৩২১, নাখবুল আফকার ১৪/৮৫, ফাইদ্বুল বারী ৬/৫৪, আল মাত্বালিবুল ‘আলিয়াহ্ ১/১১৬৭ ইত্যাদি)
অর্থাৎ প্রথমটি যেভাবে খুজলিযুক্ত হয়েছিলো ঠিক পরবর্তী উটগুলোও সেভাবেই খুজলিযুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নেই।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ ثَعْلَبَةَ بْنِ يَزيْدَ الْـحِمَّانِـىِّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ سَـمعْتُ سَيدَنَا حَضْرَتْ اَلْامَامَ الْاَوَّلَ منْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيدَنَا حَضْرَتْ عَلِيًا عَلَيْه السلَامُ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا صَفَرَ وَلَا هَامَةَ وَلَا يُعْدِىْ سَقيْمٌ صَحِيْحًا قُلْتُ اَنْتَ سَـمِعْتَ هٰذَا مِنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ سَـمِعْتُ اُذْنِـىْ وَبَصَرْتُ عَيْنِـىْ. اِبْنُ جَرِيْرٍ وَصَحَّحَهٗ.
অর্থ: “হযরত ছা’লাবাহ্ ইবনে ইয়াযীদ হিম্মানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে বলতে শুনেছি, নূরে মুজাসমাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে অশুভ বলতে কিছুই নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ ব্যক্তি সংক্রামিত করতে পারে না। (রাবী বলেন,) আমি বললাম, আপনি কি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে শুনেছেন? জবাবে সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি আমার নিজ কান মুবারক-এ শুনেছি এবং নিজ চোখ মুবারক-এ দেখেছি। ইবনে জারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছেন এবং ছহীহ বলেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (কানযুল উম্মাল ১০/১২৬ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২৮৬৩৬, তাহ্যীবুল আছার লিত ত্ববারী ৩/৪২৪, আল মাক্বছাদুল ‘আলী ৪/২৯৮, নাখবুল আফকার ফী তানক্বীহি মাবানিইল আখবার ফী শারহি মা‘আনিইল আছার লিবাদরিদ্দীন আইনী হানাফী ১৪/৭৮, আল ঈমা’ ৫/১২১ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَامَ فِيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَا يُعْدِىْ شَىْءٌ شَيْئًا لَا يُعْدِىْ شَىْءٌ شَيْئًا لاَ يُعْدِىْ شَىْءٌ شَيْئًا فَقَامَ اَعْرَابِـىٌّ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّقْبَةُ مِنَ الْـجَرَبِ تَكُوْنُ بِـمِشْفَرِ الْبَعِيْـرِ اَوْ بِذَنَبِهٖ فِـى الْاِبِلِ الْعَظِيْمَةِ فَتَجْرَبُ كُلُّهَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا اَجْرَبَ الْاَوَّلَ لَا عَدْوٰى وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ خَلَقَ اللهُ كُلَّ نَفْسٍ فَكَتَبَ حَيَاتَـهَا وَمُصِيْبَاتِـهَا وَرِزْقَهَا.
অর্থ: “ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের সামনে দন্ডায়মান হয়ে ইরশাদ মুবারক করেন, “কোন কিছু কোন কিছুকে সংক্রামিত করতে পারে না। কোন কিছু কোন কিছুকে সংক্রামিত করতে পারে না। কোন কিছু কোন কিছুকে সংক্রামিত করতে পারে না (অর্থাৎ তিন বার বললেন)। তখন একজন বেদুঈন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এক বিশাল উট পালের মধ্যে প্রথমে একটি উটের ঠোঁট বা চোয়ালে অথবা লেজে খুঁজলি-পাঁচড়ার সূচনা হলো। তারপর উক্ত বিশাল উট পালের সমস্ত উটগুলো খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হয়ে গেলো। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তাহলে প্রথম উটটিকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত করলো কে? ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে অশুভ বলতে কিছুই নেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। তারপর তার হায়াত, তার বালা-মুছীবত, বিপদ-আপদ, রোগ-বালাইসমূহ এবং তার রিযিক্ব নির্ধারণ করে দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ১/৪৪০, হাদীছ ৪১৯৮, ত্বহাবী ২/৩৭৮ ইত্যাদি)
ওহাবীদের গুরু আলবানী তার ‘ছহীহুল জামিয়িছ ছগীর’-এ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনাকে ছহীহ বলেছে। (ছহীহুল জামিয়িছ ছগীর ২/১২৭৮)
আর সে তার ‘সিলসিলাতুল আহাদীছিছ ছহীহাহ’-এ মধ্যে বলেছে,
وَهٰذَا اسْنَادٌ صَحيْحٌ عَلـٰى شَرْطِ مُسْلمَ.
অর্থ: “এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনার সনদ ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শর্ত অনুযায়ী ছহীহ।” (সিলসিলাতুল আহাদীছিছ ছহীহাহ ৩/১৪৩ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ১১৫২)
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ اَعْرَابـِىٌ اِلَـى النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّقْبَةُ تَكُوْنُ بِـمِشْفَرِ الْبَعيْـرِ اَوْ بِعَجْبِهٖ فَتَشْتَمِلُ الْاِبِلَ كُلَّهَا جَرْبًا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا اَعْدَى الْاَوَّلَ لَا عَدْوٰى وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ خَلَقَ اللهُ كُلَّ نَفْسٍ فَكَتَبَ حَيَاتَـهَا وَمُصِيْبَاتِـهَا وَرِزْقَهَا.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা একজন বেদুঈন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! একটি উটের ঠোঁট বা চোয়ালে অথবা লেজের গোড়ায় খুঁজলি-পাঁচড়ার সূচনা হলো। তারপর উক্ত উটটি উট পালের সমস্ত উটগুলোকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত করে দিলো। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তাহলে প্রথম উটটিকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত করলো কে? ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে অশুভ বলতে কিছুই নেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। তারপর তার হায়াত, তার বালা-মুছীবত, বিপদ-আপদ, রোগ-বালাইসমূহ এবং তার রিযিক্ব নির্ধারণ করে দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাহ্যীবুল আছার লিত ত্ববারী ৩/৪৩১, মুসনাদে আহমদ ২/৩২৭ ইত্যাদি)
শু‘আইব আরনাঊত বলেছে, এটা ছহীহ হাদীছ।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَرْبَعٌ فِـىْ اُمَّتِـىْ مِنْ اَمْرِ الْـجَاهِلِيَّةِ لَنْ يَدَعَهُنَّ النَّاسُ النِّيَاحَةُ وَالطَّعْنُ فِـى الْاَحْسَابِ وَالْعَدْوٰى اَجْرَبَ بَعِيْـرٍ فَاَجْرَبَ مِائَةَ بَعِيْـرٍ مَنْ اَجْرَبَ الْبَعِيْـرَ الْاَوَّلَ وَالْاَنْوَاءُ مُطِرْنَا بِنَوْءِ كَذَا وَكَذَا
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু অলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, আমার উম্মতের মাঝে জাহিলী যুগের (মুশরিকদের) চারটি বিষয় রয়েছে, যেগুলো মানুষ কখনও সম্পূর্ণরূপে ছাড়তে পারবে না। (অথচ সেগুলো মুনাষের জন্য ছেড়ে দেয়া অত্যাবশ্যক)- ১. মৃত ব্যক্তির জন্য (উচ্চ স্বরে) বিলাপ করা, ২. বংশ তুলে গালি দেয়া, ৩. ছোঁয়াচে রোগে বিশ্বাসী হওয়া, যেমন- একটি উট খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হলে, সেটি আবার একশত উটকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত করে। এরূপ বিশ্বাস করা। (যারা এরূপ বলে থাকে, তাদের ব্যাপারে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি বলেন,) তাহলে প্রথম উটটিকে কে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত করলো? ৪. এবং তারকার (উদয় বা অস্ত যাওয়ার) দ্বারা ভাগ্য নির্ধারণ করা এবং বলা অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টি হয়েছে।” না‘উযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ ১০০১, শারহু মা‘আনিয়িল আছার ৪/৩০৯, মুসনাদে আহমদ ২/৪৫৫, মুসনাদের ত্বয়ালসী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নঅং ২৩৯৫, আহকামুশ শার‘ইয়্যাহ্ লিল ইশবিলী ১/১৬৬, ছহীহ ইবনে হিব্বান ৭/৪১২, আল মাত্বালিবুল ‘আলিয়্যাহ্ ৫/৩৭৯, মুসনাদে বায্যার ১৭/১১৯, তাহযীবুল আছার লিত ত্ববারী ৩/৪৩৪, ফাওয়াইদু আবী মুহম্মদ ফাকিহী ১/৩৫৫, ইত্যাদি)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা ছহীহ। আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে হাজার হাইছামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনার প্রত্যেক রাবী ছিক্বাহ। মুসনাদে আহমাদের তা’লীক্বে শু‘আইব আরনাঊত বলেছে, এটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ। ওহাবীদের গুরু আলবানী তার ‘আস সিলসিলাতুছ ছহীহা’র মধ্যে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা উল্লেখ করেছে।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَـرَةَ وَلَا هَامَةَ فَقَامَ اِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ الْبَعِيْـرُ يَكُوْنُ بِهِ الْـجَرَبُ فَيُجْرِبُ بِهِ الْاِبِلُ قَالَ ذٰلِكَ الْقَدَرُ فَمَنْ اَجْرَبَ الْاَوَّلَ.
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই এবং পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই। তখন একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! প্রথমে একটি উট খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হয়, তারপর তার দ্বারা উট পালের সমস্ত উটগুলো খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হয়ে যায়। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এটা হচ্ছে তকদীর। তাহলে প্রথম উটটিকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত করলো কে?” (ইবনে মাজাহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ ৩৫৩৯, আদাব লিইবনে আবী শায়বাহ্ ১/২০৭, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ্ ৫/৩১০)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلَا طَيْرَةَ جَرِبَ بَعِيْـرٌ فَاَجْرَبَ مِائَةً وَّمَنْ اَعْدَى الْاَوَّلَ.
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই এবং অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই। (তখন একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) একটি উট খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হলো, তারপর সেই উটটি ১০০টি উটকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত করে ফেললো। (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এটা হচ্ছে তকদীর।) তাহলে প্রথম উটটিকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত করলো কে?” (মুসনাদুল হুমাইদী ২/২৭০)
অপর বর্ণনায় রয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا عَدْوٰى وَلَا صَفَرَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّا لَنَاْخُذُ الشَّاةَ الْـجَرْبَاءَ فَنَطْرَحُهَا فِـى الْغَنَمِ فَتَجْرَبُ الْغَنَمُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَنْ اَعْدَى الْاَوَّلَ.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই, ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই। তখন একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিঃসন্দেহে অবশ্যই আমরা খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত একটি বকরী এনে আমাদের ছাগল পালের মধ্যে ছেড়ে দেই। তারপর আমাদের ছাগলগুলো খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হয়ে যায়। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তাহলে প্রথম বকরীটিকে সংক্রামিত করলো কে? (মুসনাদে আহমদ ৫/১৫৯, আস সুন্নাহ্ লিইবনে আবী ‘আছিম ১/১২২, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ৪/২২১, ছহীহ ইবনে হিব্বান ১৩/৪৮৬, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী ১১/২৮৮, আল আহাদীছুল মুখতারাহ্ ১২/৬১, যাওয়াইদে ইবনে হিব্বান ১/৩৪৬, মাওয়ারিদুয য¦মআন ২/৪০ ইত্যাদি)
‘আবূ দাঊদ শরীফ’ উনার বিশ্বখ্যাত ব্যখ্যাগ্রন্থ ‘মু‘আমিলুস সুনান’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
قَوْلُهٗ لَا عَدْوٰى يُرِيْدُ اَنَّ شَيْئًا لَا يُعْدِىْ شيئاً حَتّٰـى يَكُوْنَ الضَّرَرُ مِنْ قِبَلِهٖ وَاِنَّـمَا هُوَ تَقْدِيْرُ اللهِ جَلَّ وَعَزَّ وَسَابِقُ قَضَائِهٖ فِيْهِ وَلِذٰلِكَ قَالَ فَمَنْ اَعْدَى الْاَوَّلَ يَقُوْلُ اِنَّ اَوَّلَ بَعِيْـرٍ جَرِبَ مِنَ الْاِبِلِ لَـمْ يَكُنْ قَبْلَهٗ بَعِيْـرٌ اَجْرَبٌ فَيُعْدِيْهٖ وَاِنَّـمَا كَانَ اَوَّلُ مَا ظَهَرَ الْـجَرَبُ فِـىْ اَوَّلِ بَعِيْـرٍ مِّنْهَا بِقَضَاءِ اللهِ وَقَدَرِهٖ فَكَذٰلِكَ مَا ظَهَرَ مِنْهُ فِـىْ سَائِرِ الْاِبِلِ بَعْدُ .
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক ‘ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই’ উনার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোন কিছুই কোন কিছুকে সংক্রামিত করতে পারে না। ক্ষতি (রোগ) যেটা হয়, সেটা তার থেকেই হয়। আর নিঃসন্দেহে এটা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত এবং পূর্বফায়ছালাকৃত। এ কারণে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, প্রথম উটটিকে কে সংক্রামিত করলো? তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই উট পালে হতে যেই উটটি প্রথম খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হলো, তার পূর্বে তো কোন উট খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হয়নি, যেটা তাকে সংক্রামিত করবে। আর নিশ্চয়ই উট পালের মধ্য হতে প্রথম উটের মধ্যে যে খুঁজলি-পাঁচড়া প্রকাশ পেয়েছে, এটা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ফায়ছালাকৃত, যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। অনুরূপভাবে প্রথম উটটির পর বাকি যেই উটগুলোর মধ্যে খুঁজলি-পাঁচড়া প্রকাশ পেয়েছে, সেটাও মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত ও পূর্বফায়ছালাকৃত।” সুবহানাল্লাহ! (মু‘আমিলুস সুনান ৪/২৩৩)
হযরত ইমাম বাগভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘শারহুস সুন্নাহ শরীফ’ উনার মধ্যে রয়েছে,
قَوْلُهٗ لَا عَدْوٰى يُرِيْدُ اَنَّ شَيْئًا لَا يُعْدِىْ شَيْئًا بِطَبْعِهٖ اِنَّـمَا هُوَ بِتَقْدِيْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَسَابِقِ قَضَائِهٖ بِدَلِيْلِ قَوْلِهٖ لِلْاَعْرَابِـىِّ فَمَنْ اَعْدَى الْاَوَّلَ يُرِيُد اَنَّ اَوَّلَ بَعِيْـرٍ جَرِبَ مِنْهَا كَانَ جَرَبُهٗ بِقَضَاءِ اللهِ وَقَدَرِهٖ لَا بِالْعَدْوٰى فَكَذٰلِكَ مَا ظَهَرَ بِسَائِرِ الْاِبِلِ مِنْ بَعْدُ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক ‘ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই’ উনার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোন কিছুরই এমন কোন শক্তি নেই যে, সে অন্য কিছুকে সংক্রামিত করতে পারে। অর্থাৎ কোন কিছুই কোন কিছুকে সংক্রামিত করতে পারে না। নিশ্চয়ই রোগ যেটা হয়, সেটা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত এবং পূর্বফায়ছালাকৃত। এ বিষয়ে বেদুঈন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে বলা ‘প্রথম উটটিকে কে সংক্রামিত করলো?’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক দ্বারা দলীল সাব্যস্ত হয়েছে। তিনি উদ্দেশ্য করেছেন, নিশ্চয়ই উটের পাল হতে যে উটটি প্রথম খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হলো, তার পূর্বে তো কোন উট খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হয়নি যে, তাকে সংক্রামিত করবে। আর উটের পাল হতে প্রথম উটের মধ্যে যে খুঁজলি-পাঁচড়া প্রকাশ পেয়েছে, এটা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ফায়ছালাকৃত, যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। এটা ছোঁয়াচের কারণে হয়নি। অনুরূপভাবে প্রথম উটটির পর বাকি যেই উটগুলোর মধ্যে খুঁজলি-পাঁচড়া প্রকাশ পেয়েছে, সেটাও মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত এবং ফায়ছালাকৃত।” সুবহানাল্লাহ! (শারহুস সুন্নাহ শরীফ ১২/১৬৯)
আল্লামা ইবনে আব্দুল বার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
اَمَّا قَوْلُهٗ لَا عَدْوٰى فَمَعْنَاهُ اَنَّهٗ لَا يُعْدِىْ شَىْءٌ شَيْئًا وَلَا يُعْدِىْ سَقِيْمٌ صَحِيْحًا وَاللهُ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ لَا شَىْءَ اِلَّا مَا شَاءَ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মুবারক ‘ছোঁয়াচে বা সংক্রামিত রোগ বলে কিছুই নেই’ উনার অর্থ হচ্ছে, কোন কিছুই কোন কিছুকে সংক্রামিত করতে পারে না এবং কোন রোগী কোন সুস্থ ব্যক্তিকে সংক্রামিত করতে পারে। অর্থাৎ কোন রোগী কোন সুস্থ ব্যক্তিকে রোগী বানাতে পারে না। বরং মহান আল্লাহ পাক তিনি যা ইচ্ছা তাই করেন। উনার ইচ্ছার বাইরে কোন কিছু হয় না।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইস্তিযকার ৯/৩৮৫)
মুয়াত্ত্বা শরীফ উনার ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘আল মুন্তাক্বা শরীফ’ উনার মধ্যে রয়েছে,
قَوْلُهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَا عَدْوٰى قَالَ حَضْرَتْ عِيْسَى بْنُ دِيْنَارٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَعْنَاهُ لَا يُعْدِىْ شَىْءٌ شَيْئًا اَىْ لَا يَتَحَوَّلُ شَىْءٌ مِّنَ الْمَرَضِ اِلـٰى غَيْـرِ الَّذِىْ هُوَ بِهٖ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক ‘ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই’। হযরত ঈসা ইবনে দীনার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনার অর্থ হচ্ছে, কোন কিছুই কোন কিছুকে সংক্রামিত করতে পারে না অর্থাৎ রোগী যেই রোগে ভুগছে, সেই রোগ থেকে কোনো কিছুই অন্যের নিকট স্থানান্তরিত হয় না।” সুবহানাল্লাহ! (আল মুন্তাক্বা ৭/২৬৩, তানওইরুল হাওলিক ২/২৩১)
‘মুসলিম শরীফ’ উনার বিশ্বখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘আল মু’লিম বিফাওয়াইদিল মুসলিম’ উনার মধ্যে রয়েছে,
قَوْلُهٗ لَا عَدْوٰى تَفْسِيْـرُهٗ اَنَّ الْعَرَبَ كَانَتْ تَعْتَقِدُ اَنَّ الْمَرَضَ يُعْدِىْ وَيَنْتَقِلُ اِلَـى الصَّحِيْحِ فَاَنْكَرَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِعْتِقَادِهِمْ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক ‘ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই’। উনার ব্যাখ্যা হচ্ছেন- নিশ্চয়ই জাহিলী যুগে আরবরা এটা বিশ্বাস করতো যে, রোগ অসুস্থ ব্যক্তির থেকে সুস্থ ব্যক্তির দিকে সংক্রামিত হয়, স্থানান্তরিত হয়। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের এই বিশ্বাসকে প্রত্যাখান করেছেন, বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’লিম বিফাওয়াইদিল মুসলিম ৩/১৭৭)
মুসলিম শরীফ উনার বিশ্বখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘আল কাওকাবুল ওয়াহ্হাজ’ উনার মধ্যে রয়েছে,
لَا عَدْوٰى اَىْ لَا سِرَايَةَ لِمَرَضٍ عَنْ صَاحِبِهٖ اِلـٰى غَيْـرِهٖ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক ‘ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই’। অর্থাৎ রোগ তার ছাহিব তথা রোগীর থেকে অন্যের দিকে কখনোই স্থানান্তরিত হয় না।” সুবহানাল্লাহ! (আল কাওকাবুল ওয়াহ্হাজ ২২/২৯৮)
এ জন্যই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَخَذَ بِيَدِ مَـجْذُوْمٍ فَاَدْخَلَهٗ مَعَهٗ فِـى الْقَصْعَةِ ثُـمَّ قَالَ كُلْ بِسْمِ اللهِ ثِقَةً بِاللهِ وَتَوَكُّلًا عَلَيْهِ.
অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একজন কুষ্ঠরোগীর হাত ধরলেন। অতঃপর তার হাতকে উনার সাথে (খাবার খাওয়ানোর জন্য) উনার পাত্র মুবারক-এ প্রবেশ করালেন। তারপর ইরশাদ মুবারক করলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক নিয়ে উনার উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে এবং পূর্ণ ভরসা করে খাবার গ্রহণ করুন।” (তিরমিযী শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ১৮১৭/ আবূ দাউদ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৯২৫, সুনানে ইবনে মাজাহ্ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৫৪২, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ৩/৩৫৪, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ শরীফ ৫/১৪১, আল মুন্তাখাব মিন মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমাইদ ১/৩২৯, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাতি ১/৪১২, আল আদাবু লিল বাইহাক্বী ১/১৪৬, শু‘আবুল ঈমান ২/৪৮৮, শারহু সুনানি ইবনে মাজাহ লিস সুয়ূত্বী ১/২৭১, বাযলু মাজহূদ ফী হাল্লি সুনানি আবী দাঊদ ১১/৬৫৩, আনীসুস সারী, আওনুল মা’বূদ ২১/২৪৭, আল মাসালিক ফী শারহি মুয়াত্ত্বাই মালিক ৭/৪৭১ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) قَالَتْ كَانَ لَنَا مَوْلـٰى مَـجْذُوْمٌ فَكَانَ يَأْكُلُ فِـىْ صِحَافِـىْ وَيَشْرَبُ فِـىْ اَقْدَاحِىْ وَيَنَامُ عَلـٰى فِرَاشِىْ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের একজন কুষ্ঠরোগী গোলাম ছিলেন। তিনি আমার পাত্র মুবারক-এ খাবার খেতেন, আমার বাটি মুবারক-এ পানি পান করতেন এবং আমার বিছানা মুবারক-এ ঘুমাতেন।” (শারহুন নববী, তুহফাতুল আহওয়যী ৫/২০, আওনুল মা’বূদ, নাইলুল আওত্বার ৭/২২০, কাশফুল মানাহিজ ৪/১১৭ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلْ مَعَ صَاحِبِ الْبَلَاءِ تَوَاضُعًا لِرَبِّكَ وَاِيْـمَانًا.
অর্থ: “হযরত আবূ যর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তুমি তোমার রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিনয়ী হয়ে এবং পূর্ণ বিশ্বাস রেখে রোগ-মুছীবতগ্রস্ত ব্যক্তির সাথে খাদ্য গ্রহণ করো।” সুবহানাল্লাহ! (নাখবুল আফকার ফী তানক্বীহি মাবানিইল আখবার ফী শারহি মা‘আনিইল আছার লিবাদরিদ্দীন আইনী হানাফী ১৪/৯৪, আওনুল মা’বূদ ১০/৩০০, আত তানওইর ৮/২২১, আল ফাতহুল কাবীর ২/৩০০, জাম‘উল জাওয়ামি’ ৬/৪৪৩, ফাইযুল ক্বাদীর, আল জামিউছ ছগীর ২/১৬৬, তুহ্ফাতুল আহ্ওয়াজী ৫/২০, মিরক্বাতুল মাফাতীহ্ ৭/২৮৯৮, জামি‘উল আহাদীছ ১৫/৩৬৬ ইত্যাদি)
‘মুয়াত্ত শরীফ’ উনার বিশ্বখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘শারহুয যারক্বানী’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى اَىْ لَا يُعْدِىْ شَىْءٌ شَيْئًا اَىْ لَا يَسْرِىْ وَلَا يَتَجَاوَزُ شَىْءٌ مِّنَ الْمَرَضِ اِلـٰى غَيْـرِ مَنْ هُوَ بِهٖ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই’। অর্থাৎ কোন কিছুই কোন কিছুকে সংক্রামিত করতে পারে না অর্থাৎ রোগী যেই রোগে ভুগছে, সেই রোগ থেকে কোনো কিছুই অন্যের নিকট ভ্রমণ করে না এবং যায় না।” সুবহানাল্লাহ! (শারহুয যারক্বানী ‘আলাল মুওয়াত্ত্বা ৪/৪২৪)
‘মুয়াত্ত শরীফ’ উনার বিশ্বখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘আল মুন্তাক্বা’ উনার মধ্যে রয়েছে,
اَنَّ الْعَرَبَ كَانَتْ تَعْتَقِدُ اَنَّ الصَّحِيْحَ اِذَا جَاوَرَ الْمَرِيْضَ اِعْدَاهُ مَرَضُهٗ اَىْ تَعَلَّقَ بِهٖ اَوْ اِنْتَقَلَ اِلَيْهِ.
অর্থ: “জাহিলী যুগে আরবরা এটা বিশ্বাস করতো যে, কোন সুস্থ ব্যক্তি যখন কোন রোগীকে দেখতে যায়, তখন অসুস্থ ব্যক্তির রোগ সুস্থ ব্যক্তিকে সংক্রামিত করে। অর্থাৎ সুস্থ ব্যক্তির সাথে ঐ রোগটা সংগযুক্ত হয় অথবা রোগীর রোগটা সুস্থ ব্যক্তির নিকট স্থানান্তরিত হয়।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আল মুনতাক্বা ৭/২৬৩)
‘আবূ দাঊদ শরীফ’ উনার ব্যখ্যাগ্রন্থ ‘আউনুল মা’বূদ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
لَا عَدْوٰى نَفْىٌ لِمَا كَانُوْا يَعْتَقِدُوْنَهٗ مِنْ سِرَايَةِ الْمَرَضِ مِنْ صَاحِبِهٖ اِلـٰى غَيْـرِهٖ.
অর্থ: “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই’। এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে যারা এই আকীদা পোষণ করে থাকে যে, রুগ্ন ব্যক্তির রোগ তার থেকে অন্যের উপর যায়। তার আক্বীদাকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (আওনুল মা’বূদ শারহু সুনানি আবী দাঊদ ৯/৮৫৯)
‘ফাইযুল ক্বাদীরে’ বর্ণিত রয়েছে
لَا عَدْوٰى اَىْ لَا سرَايَةَ لِعِلَّةِ مِنْ صَاحِبِهَا لِغَيْـرِهٖ يَعْنِـىْ اَنَّ مَا يَعْتَقِدُهُ الطَّبَائِعِيُّوْنَ مَنْ اَنَّ الْعِلَلَ الْمُعْدِيَةَ مُؤَثَّرَةٌ لَا مَـحَالَةَ بَاطِلٌ بَلْ هُوَ مُتَعَلَّقٌ بِالْمَشِيْئَةِ الرَّبَّانِيَّةِ.
অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,) ‘ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছুই নেই’। অর্থাৎ রোগ তার ছাহিব তথা রোগীর থেকে অন্যের দিকে স্থানান্তরিত হয় না। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ প্রকৃতিবাদী বা নাস্তিকরা যেটা বিশ্বাস করে যে, ‘সংক্রামক রোগসমূহ হচ্ছে ক্রিয়াশীল।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! তাদের এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে ভিত্তিহীন, বাতিল। বরং রোগের বিষয়টি খোদায়ী ইচ্ছা তথা মহান আল্লাহ পাক উনার ইরাদার সাথে সম্পৃক্ত।” সুবহানাল্লাহ! (ফাইযুল ক্বাদীর ৬/৫৬১, মাছাবীহুত তানওইর ২/৯৬)
সুতরাং করোনা কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটা হচ্ছে- কাফিরদের উপর নিপতিত এক মহা গযব। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। যা অসংখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে ছহীহ সমঝ দান করুন এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর অবিচল থাকার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
মানুষ নাকি ধর্মান্ধ  হয়ে গেছে ,তারা বলছে মক্কা-মদিনায় জামাত নেই , বাংলাদেশে কেন?

মানুষ নাকি ধর্মান্ধ  হয়ে গেছে ,তারা বলছে মক্কা-মদিনায় জামাত নেই , বাংলাদেশে কেন?

যাবত জেনে শুনে আসছি যে, ধর্ম মানুষকে জাতি দেশ তথা সারা বিশ্বকে মুক্তি দেয়
কিন্তু আজকাল কিছু টিভি টক-শোতে দেখা যাচ্ছে কিছু মৌলুবি আর তথাকথিত ধর্মপ্রেমিক ব্যক্তিরা বলছেধর্মান্ধতা নাকি মানুষকে অপরাধী করে তুলছে
যেমন ধরুন, মানুষ করোনার কথা নাকি না ভেবে মসজিদে নামায পড়তে যাচ্ছে ,আবার অন্য ধর্মের লোকেরা তাদের ধর্মীয় কাজ করছে
মানুষ নাকি ধর্মান্ধ  হয়ে গেছে
.তারা বলছে মক্কা-মদিনায় জামাত নেই বাংলাদেশে কেন?
আসলেই কি সত্যি মক্কা-মদিনায় জামাত নেই না জামাতের নামাজ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে  না সত্যিই কোন কিছূ হয়নি
ডেইলি স্টার বাংলা ভূল তথ্য দেয়ার পর ক্ষমা প্রার্থনাএরা কতটা প্রতারক দেখলেই বুঝবেন আর এদেরকে নিয়ে নাচানাচি করছে টিভি চ্যানেল মৌলুবি রা - https://tinyurl.com/vq2al3y
তার মানে মক্কা-মদিনাতে জামাত ছিলো তাদের এটা ভূল প্রামাণিত হলো
.ডিবিসি টিভির উপস্থাপিকা শারমিন চৌধুরী প্রশ্ন করছে সবাই আলাদা আলাদা থাকলে মসজিদে জামাত অনড় কেন? যদি তাই হয় তাহলে এগুলো কি ? এখানে কোন মসজিদে নামাজ আদায় হচ্ছে ? কারো উত্তর জানা আছে কি ?
শুধু মসজিদে নয় সারা দেশেই মানুষ করনোর ভয়ে নয় খাদ্যাভাবে মারা যাবে এই আতঙ্কই বিরাজ করছে   তাদরে এটা ভূল প্রমাণিত হলো
.মৌলুবি মাযহারুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন কোন হাদীস শরীফে বলা আছে যে, ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়ানোর
জামাতে নামাযে ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়ানোর কোন হাদীস শরীফ তো নাই ববংচাপাচাপি করে গায়ে গা ঘেঁসে দাঁড়াতে হবে এমন অনেক হাদীস শরীফ রয়েছে আমি আপনারদেকে অনেক হাদীস শরীফ দিতে পারেব তার আগে এই খবরটুকু পরলেই আপনি বুঝতে পারেবেন কাঁতারে ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়ানো যাবে কি না ? না কখনই ফাঁকা রাখা যাবে না
আব্দুল্লাহ্‌ ইবনু ‘উমার রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীছে রয়েছে, তিনি বলেন-
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَقِيمُوا الصُّفُوفَ، وَحَاذُوا بَيْنَ الْمنَاكِبِ، وَسُدُّوا الْخلَلَ، وَلِينُوا بِأَيْدِي إِخْوَانِكُمْ، وَلا تَذَرُوا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ، وَمَنْ وَصلَ صَفّاً وَصَلَهُ الله، وَمَنْ قَطَعَ صَفّاً قَطَعَهُ الله.২৬
অর্থ- রাছূলুল্লাহ 1 বলেছেন:- তোমরা সফগুলো সোজা-সঠিক করো, পরস্পরের কাঁধ সমান্তরাল রেখো, ফাঁক-ফোঁকর বন্ধ করো, তোমাদের ভাইদের জন্য হাত নরম করো (কেউ যদি ক্বাতারে প্রবেশ করতে চায় তাহলে হাত শক্ত করে রেখোনা যাতে সে ঢুকতে না পারে বরং হাত নরম করে তাকে সফের ফাঁকে প্রবেশের সুযোগ দাও) এবং শয়তানের জন্য ছোট ছোট ফাঁকা জায়গা ছেড়ে দিও না। যে ব্যক্তি (নামাযে) ক্বাতার মিলিয়ে রাখে (ক্বাতারের ফাঁকা জায়গায় প্রবেশ করে ফাঁক বন্ধ করে ক্বাতার মিলিয়ে রাখে) আল্লাহ 0 তাকে তাঁর (রাহ্‌মাতের) সাথে মিলিয়ে রাখেন, আর যে ব্যক্তি ক্বাতার বিচ্ছিন্ন করে (সফের মধ্যে ফাঁকা জায়গা রেখে দেয়, যদ্দরুন দু’জন মুসাল্লী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং তদ্বারা সফও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়) আল্লাহ 7 তাকে তাঁর (রাহ্‌মাত) থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন।

যে ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে - https://www.youtube.com/watch?v=fx1xrrxmSRU
ধারাবাহিক ,,,,