আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সেই সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যাঁকে আপনি বিপদে পড়ে ডাকলে তিনি আপনার বিপদ দূর করেন



আমি সেই সম্মানীত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: 

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـي جُرَىٍّ جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ رَاَيْتُ رَجُلًا يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيِهِ لَا يَقُوْلُ شَيْئًا اِلَّا صَدَرُوْا عَنْهُ قُلْتُ مَنْ هٰذَا قَالُوْا هٰذَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ‏ قُلْتُ عَلَيْكَ السَّلَامُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ‏.‏ قَالَ‏ لَا تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلَامُ فَاِنَّ عَلَيْكَ السَّلَامُ تَـحِيَّةُ الْمَيِّتِ قُلِ السَّلَامُ عَلَيْكَ‏ قَالَ قُلْتُ اَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَنَا رَسُوْلُ اللهِ الَّذِي اِذَا اَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ وَاِنْ اَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ اَنْبَتَهَا لَكَ وَاِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرَاءَ اَوْ فَلَاةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ فَدَعَوْتَهُ رَدَّهَا عَلَيْكَ‏.‏

অর্থ : “হযরত আবু জুরায়্যি জাবির ইবনে সুলাইম হুজাইমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি এমন এক মহান ব্যক্তি উনাকে দেখেছি, যাঁর কথা সবাই মেনে চলেন এবং যা কিছু বলেন সবাই তা পালন করেন। তিনি (হযরত আবু জুরায়্যি জাবির ইবনে সুলাইম হুজাইমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বললেন, ইনি কে? উনারা বললেন, ইনি হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। হযরত আবু জুরায়্যি জাবির ইবনে সুলাইম হুজাইমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দুইবার বললেন, ‘আলাইকাস সালাম ইয়া রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্তুত্যরে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আলাইকাস সালাম বলবেন না। কেননা ‘আলাইকাস সালাম দ্বারা মৃত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া হয়। বরং আপনি বলুন, আস্সালামু ‘আলাইকা। হযরত আবু জুরায়্যি জাবির ইবনে সুলাইম হুজাইমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সুওয়াল মুবারক করেন, আপনি কি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্তুত্যরে ইরশাদ মুবারক করেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সেই সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যাঁকে আপনি বিপদে পড়ে ডাকলে তিনি আপনার বিপদ দূর করেন; দুর্ভিক্ষের সময়ে উনাকে ডাকলে তিনি আপনার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন; ঘাস-পানিহীন মরু প্রান্তরে আপনার সওয়ারী হারিয়ে গেলে উনাকে ডাকলে তিনি আপনার নিকট তা ফিরিয়ে দেন।” (আবূ দাঊদ শরীফ : কিতাবুল লিবাস : বাবু মা-জায়া ফী ইসবালিল ইযার : হাদীছ শরীফ ৪০৮৪)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে-

حَدَّثَتْنِي حَضْرَتْ مَيْمُونَةُ بِنْتُ الْـحَارِثِ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَاٰلِهِ وَسَلَّمَ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَاٰلِهِ وَسَلَّمَ بَاتَ عِنْدَهَا فِي لَيْلَتَهَا فَقَامَ يَتَوَضَّاُ لِلصَّلاةِ فَسَمِعَتْهُ يَقُوْلُ فِي مُتَوَضَّئِهِ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ ثَلاثًا نُصِرْتَ نُصِرْتَ ثَلاثًا فَلَمَّا خَرَجَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ سَـمِعْتُكَ تَقُولُ فِي مُتَوَضَّئِكَ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ ثَلاثًا نُصِرْتَ نُصِرْتَ ثَلاثًا كَاَنَّكَ تُكَلِّمُ اِنْسَانًا فَهَلْ كَانَ مَعَكَ اَحَدٌ؟ فَقَالَ هَذَا رَاجِزُ بَنِي كَعْبٍ يَسْتَصْرِخُنِي وَيَزْعُمُ اَنَّ قُرَيْشًا اَعَانَتْ عَلَيْهِمْ بَنِي بَكْرٍ

অর্থ : উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছালিছ ‘আশারা আলাইহাস সালাম বর্ণনা করেন, একরাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার হুজরা শরীফ উনার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। তিনি যথারীতি তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের জন্য উঠলেন এবং অযু করার জন্য গমন করলেন। অতঃপর আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি অযুখানায় তিনবার “লাব্বাইক” (আমি তোমার কাছে উপস্থিত) এবং তিনবার “নুছিরতা” (সাহায্য করা হল) বললেন। যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অযু করে বের হলেন তখন আমি বললাম, ইয়া রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি শুনতে পেলাম- আপনি অযুখানায় তিনবার ‘লাব্বাইকা’ এবং তিনবার ‘নুছিরতা’ বলেছেন। যেন আপনি কোন মানুষের সাথে কথা বলছিলেনআপনার কাছে আমি ব্যতীত কেউ ছিলেন কি? তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করলেন, হযরত রাজিয রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমার কাছে ফরিয়াদ করছেন। কুরাইশরা উনার উপর বনী বকর গোত্রকে লেলিয়ে দিয়েছে।” (মু’জামুছ ছগীর লি তাবারনী, ২য় খন্ড, হাদীছ শরীফ নং ৯৬৮, মু’জামুল কবীর লি তাবারনী, ২৩ খন্ড, ৪৩৩ পৃষ্ঠা, হাদীছ শরীফ নং ১০৫০)