আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সেই সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যাঁকে আপনি বিপদে পড়ে ডাকলে তিনি আপনার বিপদ দূর করেন



আমি সেই সম্মানীত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: 

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـي جُرَىٍّ جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ رَاَيْتُ رَجُلًا يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيِهِ لَا يَقُوْلُ شَيْئًا اِلَّا صَدَرُوْا عَنْهُ قُلْتُ مَنْ هٰذَا قَالُوْا هٰذَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ‏ قُلْتُ عَلَيْكَ السَّلَامُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ‏.‏ قَالَ‏ لَا تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلَامُ فَاِنَّ عَلَيْكَ السَّلَامُ تَـحِيَّةُ الْمَيِّتِ قُلِ السَّلَامُ عَلَيْكَ‏ قَالَ قُلْتُ اَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَنَا رَسُوْلُ اللهِ الَّذِي اِذَا اَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ وَاِنْ اَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ اَنْبَتَهَا لَكَ وَاِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرَاءَ اَوْ فَلَاةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ فَدَعَوْتَهُ رَدَّهَا عَلَيْكَ‏.‏

অর্থ : “হযরত আবু জুরায়্যি জাবির ইবনে সুলাইম হুজাইমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি এমন এক মহান ব্যক্তি উনাকে দেখেছি, যাঁর কথা সবাই মেনে চলেন এবং যা কিছু বলেন সবাই তা পালন করেন। তিনি (হযরত আবু জুরায়্যি জাবির ইবনে সুলাইম হুজাইমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বললেন, ইনি কে? উনারা বললেন, ইনি হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। হযরত আবু জুরায়্যি জাবির ইবনে সুলাইম হুজাইমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দুইবার বললেন, ‘আলাইকাস সালাম ইয়া রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্তুত্যরে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আলাইকাস সালাম বলবেন না। কেননা ‘আলাইকাস সালাম দ্বারা মৃত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া হয়। বরং আপনি বলুন, আস্সালামু ‘আলাইকা। হযরত আবু জুরায়্যি জাবির ইবনে সুলাইম হুজাইমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সুওয়াল মুবারক করেন, আপনি কি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্তুত্যরে ইরশাদ মুবারক করেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সেই সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যাঁকে আপনি বিপদে পড়ে ডাকলে তিনি আপনার বিপদ দূর করেন; দুর্ভিক্ষের সময়ে উনাকে ডাকলে তিনি আপনার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন; ঘাস-পানিহীন মরু প্রান্তরে আপনার সওয়ারী হারিয়ে গেলে উনাকে ডাকলে তিনি আপনার নিকট তা ফিরিয়ে দেন।” (আবূ দাঊদ শরীফ : কিতাবুল লিবাস : বাবু মা-জায়া ফী ইসবালিল ইযার : হাদীছ শরীফ ৪০৮৪)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে-

حَدَّثَتْنِي حَضْرَتْ مَيْمُونَةُ بِنْتُ الْـحَارِثِ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَاٰلِهِ وَسَلَّمَ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَاٰلِهِ وَسَلَّمَ بَاتَ عِنْدَهَا فِي لَيْلَتَهَا فَقَامَ يَتَوَضَّاُ لِلصَّلاةِ فَسَمِعَتْهُ يَقُوْلُ فِي مُتَوَضَّئِهِ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ ثَلاثًا نُصِرْتَ نُصِرْتَ ثَلاثًا فَلَمَّا خَرَجَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ سَـمِعْتُكَ تَقُولُ فِي مُتَوَضَّئِكَ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ ثَلاثًا نُصِرْتَ نُصِرْتَ ثَلاثًا كَاَنَّكَ تُكَلِّمُ اِنْسَانًا فَهَلْ كَانَ مَعَكَ اَحَدٌ؟ فَقَالَ هَذَا رَاجِزُ بَنِي كَعْبٍ يَسْتَصْرِخُنِي وَيَزْعُمُ اَنَّ قُرَيْشًا اَعَانَتْ عَلَيْهِمْ بَنِي بَكْرٍ

অর্থ : উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছালিছ ‘আশারা আলাইহাস সালাম বর্ণনা করেন, একরাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার হুজরা শরীফ উনার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। তিনি যথারীতি তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের জন্য উঠলেন এবং অযু করার জন্য গমন করলেন। অতঃপর আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি অযুখানায় তিনবার “লাব্বাইক” (আমি তোমার কাছে উপস্থিত) এবং তিনবার “নুছিরতা” (সাহায্য করা হল) বললেন। যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অযু করে বের হলেন তখন আমি বললাম, ইয়া রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি শুনতে পেলাম- আপনি অযুখানায় তিনবার ‘লাব্বাইকা’ এবং তিনবার ‘নুছিরতা’ বলেছেন। যেন আপনি কোন মানুষের সাথে কথা বলছিলেনআপনার কাছে আমি ব্যতীত কেউ ছিলেন কি? তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করলেন, হযরত রাজিয রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমার কাছে ফরিয়াদ করছেন। কুরাইশরা উনার উপর বনী বকর গোত্রকে লেলিয়ে দিয়েছে।” (মু’জামুছ ছগীর লি তাবারনী, ২য় খন্ড, হাদীছ শরীফ নং ৯৬৮, মু’জামুল কবীর লি তাবারনী, ২৩ খন্ড, ৪৩৩ পৃষ্ঠা, হাদীছ শরীফ নং ১০৫০)

 

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬৩টি মহাসম্মানিত শান মর্যাদা উনার তালিকা মুবারক-

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬৩টি মহাসম্মানিত শান মর্যাদা উনার তালিকা মুবারক- 

1.  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুল-কায়িনাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি, সৃষ্টির সূচনা ও সৃষ্টির মূল

2.  উনাকে লাভ করার কারণে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করতে সরাসরি নির্দেশ

3.  তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব

4.  তিনি রহমতুল্লিল আলামীন

5.  তিনি উসওয়াতুন হাসানাহ অর্থাৎ সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক

6.  তিনি ক্বছীম অর্থাৎ সমস্ত কিছু বন্টনকারী

7.  মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে দরূদ শরীফ পাঠ করেন।

8.  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নুর মুবারক: নুরময় সিরাজ

9.  নূর মুবারক কুদরত মুবারকে অবস্হান- বেনিয়াজ

10.  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “শাহিদ”

11.  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাযির-নাযীর

12.  ইশারা মুবারকে চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়া

13.  মাকামে মাহমুদা- প্রশংসার ঝান্ডা 

14.  শাফায়াতে কুবরা: আযানের দোয়াতে দরূদ শরীফ পাঠ, শাফায়াত ওয়াজীব

15.  মু’ত্বালা আলাল গইব- সমস্ত গায়েবের ব্যাপারে ক্ষমতাবান

16.   হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

17.   সকলের কালিমা শরীফ

18.   সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ‘উম্মত’ হওয়ার জন্য দোয়া করেছেন

19.  ১বার চুম্বন ২০০ বছরের গুনাহখতা ক্ষমা

20.  ১বার দর্শন- জাহান্নামের আগুন হারাম

21.  ১ দিরহাম খরচ- উনার সাথে জান্নাতে অবস্থান

22.   উনার শানে ১ দিরহাম খরচ করলে উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করার চেয়ে অধিক ফযীলত মুবারক লাভ

23.   পবিত্র নালাইন শরীফ উনার ধুলা-বালির স্পর্শ মুবারকে আরশে আযীম সম্মানীত, মর্যাদাবান এবং অন্যদের মধ্যে ফখর করেন

24.   সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইলম হাদিয়া করা হয়েছে

25.   রোব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, অর্থাৎ মহাসম্মানীত নাম মুবারক শুনলেই কাফির মুশরিকরা দূর থেকে ভয়ে কাঁপতে থাকে।

26.   গণীমতের মাল হালাল করা হয়েছে

27.   সমস্ত জমীনকে মসজিদ তথা নামাযের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং পবিত্র করে দেয়া হয়েছে

28.   সমস্ত কায়িনাতের জন্য রসূল হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে

29.   নবী-রসূল আগমনের ধারাকে বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনিই শেষ নবী ও রসূল

30.   সর্বপ্রথম রওযা শরীফ হতে উঠবেন

31.   কঠিন সময়ে তিনিই সবার সুপারিশকারী

32.   ক্বিয়ামতের দিন প্রশংসার পতাকা মুবারক উনার নুরুল মাগফিরাত মুবারকে থাকবে আর সে পতাকার নিচে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি সহ অন্যান্য সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান করবেন

33.  তিনিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজায় খটখটি দিবেন, স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি জান্নাতের দরজা খুলে দিবেন এবং উনাকে  প্রবেশ করাবেন

34.   সমস্ত মর্যাদা ও কল্যাণের চাবিসমূহ কেবলমাত্র উনার হাত মুবারকেই

35.   পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের চেয়ে সম্মানিত

36.   পুনরুত্থান দিবসে হাজার-হাজার খাদিম উনার চতুর্পাশ্বে ঘোরাফেরা করবে, যেন তারা সুরক্ষিত ডিম কিংবা বিক্ষিপ্ত মুক্তা

37.   মহাসম্মানীত আলোচনা মুবারক তথা মর্যাদা-মর্তবা উনাকে বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করা হয়েছে

38.   হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্মরণ করা মানেই মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করা

39.  আরশে মুয়াল্লার খুঁটিতে, কক্ষে, প্রসাধে, বৃক্ষের পাতায় পাতায়, হুর বক্ষে, ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম কপালে, তুবা বৃক্ষে, সিদরাতুল-মুনাতাহা সমস্ত পর্দায় নাম মুবারক লিপিবদ্ধ রয়েছে

40.   উনার সামনে উঁচু স্বরে কথা বলা যাবে না

41.   উনার আগে আগে হাটা নিষেধ

42.   পবিত্র বিলাদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশের ফলাফল চিরস্থায়ী: আবু লাহাবের ঘটনা

43.   হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওহী ব্যতীত নিজের থেকে কোন কথা বলেননা

44.  পবিত্র মীরাজ শরীফ তথা পবিত্র দীদার মুবারকে গমন

45.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূত:পবিত্র জিসীম মুবারক উনার সাথে যে মাটি স্পর্শ করে আছে তা আসমান-যমীন, আরশ-কুরসী, লওহো, কলম তথা সকল কিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ

46.   উনার সম্মানীত নাম মুবারক অনুযাযী যাদের নাম রাখা হবে তাদের কাউকেই দোযখে শাস্তি দেয়া হবে না।

47.   উনার দ্বারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমনের ধারাকে বন্ধ করা হয়েছে

48.   যখন হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি রূহ ও শরীর মুবারক-এ ছিলেন, তখন থেকেই তিনি নবী

49.   মহান আল্লাহ পাক হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যদি সৃষ্টি না করতেন তাহলে উনার রুবুবয়িতই প্রকাশ করতেন না

50.   উনাকে সৃষ্টি মুবারক না করা হলে আসমান-জমীন, বেহেশত-দোযখ অর্থাৎ কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতো না

51.   উনার নূর মুবারক থেকেই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে

52.   “খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিটি মুহূর্ত বা সময় এমনভাবে অতিবাহিত হয়, যেখানে কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ও কোনো নৈকট্যশীল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও স্থান নেই।”

53.   উনার শানে দরূদ শরীফ পাঠে করলে- চার জন প্রধান হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা যথাক্রমে- নিজ হাতে তাকে “পুলছিরাত” পার, হাশরের ময়দানে হাওজে কাওছারের পানি পান, হাশরের ময়দানে সেজদায় পরে তাঁর সমস্ত গুণাহ্-খাতা ক্ষমা করিয়ে দেয়া এবং হযরত নবী-রাসূল আলাহিমুস সালামগণ উনাদের অনুরূপ রূহ মুবারক কবয

54.   ফরযগুলিকে সুন্নত মুবারক দ্বারা আচ্ছাদিত ও সৌন্দর্যমন্তিত করা হয়েছে। তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ছাড়া কেউ কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক পর্যন্ত পৌছুতে পারবেনা

55.   দরূদ শরীফ না পড়ার কারণে ফেরাশতা উনার পরিণতি

56.   নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছীলায়ি সাহায্য পার্থনা সাথে সাথে কবুল

57.   পবিত্র মীলাদ শরীফ উপলক্ষে মানুষকে খাদ্য খাওয়ালে শাফায়াত ওয়জীব

58.   তিনি সেই সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যাঁকে আপনি বিপদে পড়ে ডাকলে তিনি আপনার বিপদ দূর করেন; দুর্ভিক্ষের সময়ে উনাকে ডাকলে তিনি আপনার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন; ঘাস-পানিহীন মরু প্রান্তরে আপনার সওয়ারী হারিয়ে গেলে উনাকে ডাকলে তিনি আপনার নিকট তা ফিরিয়ে দেন।

59.   হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি চলাচলের সময় মেঘ ছাঁয়া দিতো

60.   গাছ-পালা উনাকে সিজদা করতো

61.   মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্যই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি

62.  হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ‘মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ দায়েমীভাবে পালন করেছেন

63.  সকল হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা সারা জীবন ‘পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পালন করেছেন।

64.   ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার জন্য মাত্র এক মুহূর্ত সময় ব্যয় করা সকলের জিন্দিগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম ইবাদত

65.   নূর মুবারক হিসেবে পবিত্র রেহেম শরীফ-এ অবস্থান করলে হযরত উম্মু রসূলীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোন প্রকার ব্যাথা বা অন্য কিছু অনুভব করেননি

66.   বিলাদতী নূরে হযরত উম্মু রসূলীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাম দেশের প্রাসাদ সমূহ দেখেছেন

67.   স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারকের সাথে যুক্ত

68.  মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি নাম মুবারক ধরে ডাকেননি

69.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সামনে ও পিছনে সবদিকে সমান দেখেন

70.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা কিছু দেখেন ও শুনেন অন্যরা কেউ তেমন নয়

71.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখনো হাই তুলতেন না

72.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঘাম মুবারক মেশক আম্বর থেকেও সুঘ্রাণময়

73.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিল না

74.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক -এ মাছি-মশা বসতো না

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আ’মাম (চাচা) আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ‘আম্মাত (ফুফু) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক

  নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আ’মাম (চাচা) আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ‘আম্মাত (ফুফু) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক

সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম) উনার মহাসম্মানিতা আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত (আহলিয়া) আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ছিলেন সর্বমোট ৬ জন। উনাদের মাধ্যমে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মোট ১৩ জন মহাসম্মানিত ছেলে আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং ৬ জন মেয়ে আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! নিম্নে উনাদের প্রত্যেকের তালিকা উল্লেখ করা হলো-

১. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ্ বিনতে আমর ইবনে ‘আয়িয আলাইহাস সালাম :

উনার ছেলে আওলাদ ছিলেন ৪ জন এবং মেয়ে আওলাদ ছিলেন ৫ জন।

ছেলে আওলাদ উনারা হলেন-

১.আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম,

২.সাইয়্যিদুনা হযরত যুবাইর আলাইহিস সালাম,

৩. সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল কা’বাহ্ আলাইহিস সালাম,

৪. খাজা আবূ ত্বালিব,

মেয়ে আওলাদ উনারা হলেন-

১. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ‘আতিকাহ্ আলাইহাস সালাম,

২. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্ আলাইহাস সালাম,

৩. সাইয়্যিদাতুনা হযরত বাইদ্বা’ আলাইহাস সালাম,

৪. সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্বারাহ আলাইহাস সালাম এবং

৫. সাইয়্যিদাতুনা হযরত আরওয়া আলাইহাস সালাম,

২.সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ বিনতে জুনদুব আলাইহাস সালাম। উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত ক্বায়লা আলাইহাস সালাম:

উনার ছেলে আওলাদ ২ জন-

১ সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম,

২. সাইয়্যিদুনা হযরত কুছাম আলাইহিস সালাম,

৩. সাইয়্যিদাতুনা হযরত হালাহ বিনতে ওয়াহাইব আলাইহাস সালাম। তিনি ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আপন চাচাতো বোন।

উনার ছেলে আওলাদ ছিলেন ৩ জন এবং মেয়ে আওলাদ ছিলেন ১ জন।

ছেলে আওলাদ উনারা হলেন-

১.সাইয়্যিদুনা হযরত মুক্বওওইম আলাইহিস সালাম,

২.সাইয়্যিদুনা হযরত হাজ্ল আলাইহিস সালাম,

৩.সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা আলাইহিস সালাম,

মেয়ে আওলাদ হলেন-

১. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম,

৪. সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুতাইলাহ্ বিনতে জানাব আলাইহাস সালাম :

উনার ছেলে আওলাদ ২ জন-

১. সাইয়্যিদুনা হযরত দ্বিরার আলাইহিস সালাম,

২. সাইয়্যিদুনা হযরত খ্বতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম,

৫. সাইয়্যিদাতুনা হযরত লুব্না বিনতে হাজার আলাইহাস সালাম :

উনার ছেলে আওলাদ ১ জন-

১. আবূ লাহাব,

৬. সাইয়্যিদাতুনা হযরত মুমান্না‘আহ্ বিনতে ‘আমর আলাইহাস সালাম:

উনার ছেলে আওলাদ ১ জন-

১. সাইয়্যিদুনা হযরত গাইদাক্ব আলাইহিস সালাম।

কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আ’মাম (চাচা) আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন মোট ১২ জন। অর্থাৎ আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিসহ উনারা ছিলেন মোট ১৩ ভাই। নিম্নে উনাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো-

১. সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম: তিনি মহাসম্মানিত ভাই আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনি সম্মানিত যমযম কূপ মুবারক খননের সময় সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সহযোগিতা করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইহ্সান মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মারীদ্বী শান মুবারক) প্রকাশ করেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার অবস্থা মুবারক জানার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ প্রেরণ করেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার যুগ পাননি। উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত ‘উবাইদাহ্ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরাহ্ ইবনে নাওফেল ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু  তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম উনার নাতী। ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পর সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরাহ্ ইবনে নাওফেল ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু  উনার সাথেই সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমামা বিনতে যুন নূর আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন হন। সুবহানাল্লাহ!

২. সাইয়্যিদুনা হযরত যুবাইর আলাইহিস সালাম: উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ ত্বাহির আলাইহিস সালাম। তিনি ‘হারবুল ফিজারে’ বনূ হাশিম গোত্রের নেতৃত্ব দেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন হিলফুল ফুযূলের প্রতিষ্ঠাতা। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর তিনিও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক করতেন এবং তিনি উনার সম্মানিত মুহ্ববত মুবারক-এ সম্মানিত না’ত শরীফও পাঠ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এক বর্ণনা মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক যখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে ১৪ বছর, তখন তিনি উনার মহাসম্মানিত চাচা সাইয়্যিদুনা হযরত যুবাইর আলাইহিস সালাম উনার সাথে ইয়ামেনে সফর মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ!

৩. সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল কা’বাহ্ আলাইহিস সালাম: তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রসালাত মুবারক প্রকাশের পূর্বেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার কোনো আওলাদ ছিলেন না।

৪. সাইয়্যিদুনা হযরত মুক্বওওইম আলাইহিস সালাম: উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক ছিলেন আবূ বকর। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ২৫ বছর। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রসালাত মুবারক প্রকাশের ৬ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট মহিলা ছাহাবী সাইয়্যিদাতুনা হযরত হিন্দ বিনতে মুক্বওওইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। সুবহানাল্লাহ!

৫. সাইয়্যিদুনা হযরত হাজ্ল আলাইহিস সালাম: উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরাহ আলাইহিস সালাম’। ‘হাজল’ উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

৬. সাইয়্যিদুনা হযরত দ্বিরার আলাইহিস সালাম: তিনি কুরাইশদের মধ্যে অত্যন্ত সুদর্শন এবং বেমেছাল দানশীল ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রসালাত মুবারক প্রকাশের পূর্বেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

৭. সাইয়্যিদুনা হযরত কুছাম আলাইহিস সালাম: তিনি দুনিয়াবী দৃষ্টিতে অল্প বয়স মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

৮. সাইয়্যিদুনা হযরত গাইদাক্ব আলাইহিস সালাম: উনার সম্মানিত নাম মুবারক ‘সাইয়্যিদুনা হযরত মুছ‘আব আলাইহিস সালাম’। তিনি অধিক দান করতেন, এজন্য উনাকে ‘গাইদাক্ব’ বলা হতো। সুবহানাল্লাহ! তিনি প্রচুর সম্পদের অধিকারী এবং বেমেছাল দানশীল ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

৯. খাজা আবূ ত্বালিব: তিনি একাধারে প্রায় ৪২ বছর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! ক্বিয়ামতের পূর্বে শেষ যামানায় হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আসমান থেকে নাযিল হওয়ার পর তিনি যে জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল এই বিষয় প্রমাণ বা তাছদীক্ব করার জন্য খাজা আবূ ত্বালিব তিনি কবর থেকে জীবিতাবস্থায় উঠবেন। তখন তিনি প্রকাশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করতে থাকবেন এবং তা সত্যায়ন মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর ঈমান প্রকাশ করে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সহযোগী হিসেবে দ্বীনি খেদমতের আনজাম দিবেন। আনজাম দিয়ে ঈমানের সাথে বিছাল শরীফ লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

১০. আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম: উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন- তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! তিনি ‘সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম’ এই মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র লক্বব মুবারক-এ মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৭৮ বছর ৮ মাস ১০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র কুরাইশ বংশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৮ মাস ১২ দিন পূর্বে সম্মানিত ও পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র ১লা তারীখ মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র লাইলাতুল জুমুয়াহ শরীফ তথা ইয়াওমুল খমীস দিবাগত বা’দ মাগরিব। সুবহানাল্লাহ! তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার ২ মাস ১০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র ২রা মুহাররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ সকালে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে ২৫ বছর ৬ মাস অবস্থান মুবারক করেন। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ ‘মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র আবওয়া শরীফ’ উনার মধ্যে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!

১১. আবূ লাহাব: তার অপর নাম আব্দুল উয্যা। সে বেআদবী করার কারণে তার ধ্বংস ঘোষণা করে পবিত্র সূরা মাসাদ শরীফ নাযিল হন। তারপরও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সংবাদ মুবারক শুনে ঐ সময় খুশি প্রকাশ করার কারণে সে প্রতি সাইয়্যদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ তথা ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) কুদরতী শীতল ঠা-া পানি লাভ করে থাকে। সুবহানাল্লাহ! যা চুষে চুষে পান করার কারণে তার বিগত এক সাপ্তাহের আযব-গযব অনুভব হয় না। সুবহানাল্লাহ!

১২. আসাদুল্লাহ ওয়া আসাদু রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা আলাইহিস সালাম: উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ্ আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ ইয়া’লা আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ ‘আম্মারাহ্ আলাইহিস সালাম’। উনাকেও সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছুওয়াইবাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত দুধ মুবারক পান করিয়েছিলেন। সেই দিক থেকে তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র দুধ ভাই উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৫ম বছর মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!  আর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সম্মানিত উহুদ জিহাদ মুবারক-এ। উনার জন্য স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করেন (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কান্না মুবারক করেন)। সুবহানাল্লাহ!

১৩. সাইয়্যিদুনা হযরত খ্বতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম: উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম’। উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল ফযল আলাইহিস সালাম’। তিনি প্রথম যামানায়ই ঈমান আনেন ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহন করেন। তবে প্রকাশ্যে প্রকাশ করেননি। পরবর্তীতে অর্থাৎ সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক উনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আম্মাত (ফুফু) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আম্মাত (ফুফু) আলাইহিন্নাস সালাম। উনারা হলেন,

১. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ‘আতিকাহ্ আলাইহাস সালাম: তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার পূর্বেই সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। তারপর সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার দুইজন আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবী উমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুরাইবাহ্ কুবরা বিনতে আবী উমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি অর্থাৎ উনারাও মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!

২. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্ আলাইহাস সালাম: তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ হন সাইয়্যিদুনা হযরত জাহাশ ইবনে রিআব আসাদী আলাইহিস সালাম উনার সাথে। উনাদের মোট ৬ জন আওলাদ ছিলেন। উনাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন- বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার পূর্বেই সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। তারপর সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

৩. সাইয়্যিদাতুনা হযরত বাইদ্বা’ আলাইহাস সালাম: উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র কুনিয়াত মুবারক- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাকীম আলাইহাস সালাম’। উনার প্রথম মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ হন সাইয়্যিদুনা হযরত কুরাইয ইবনে রবী‘আহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আরওয়া বিনতে কুরাইয রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আরওয়া বিনতে কুরাইয রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন তৃতীয় খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

৪. সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্বারাহ আলাইহাস সালাম: তিনি মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার যুগ পাননি। উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ ইবনে আব্দুল আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ফুফাতো ভাই এবং মহাসম্মানিত দুধ ভাই উনাদের অন্তর্ভুক্ত। বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী সাইয়্যিদুনা আবূ সাব্রাহ্ ইবনে আবূ রুহ্ম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনিও সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্বারাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ। তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক-এ শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

৫. সাইয়্যিদাতুনা হযরত আরওয়া আলাইহাস সালাম: তিনি মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নেই সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ! উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত তুলাইব ইবনে ‘উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ!

৬. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম: তিনি মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নে সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। উনারই মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র আওলাদ হচ্ছেন আশারায়ে মুবাশ্শারা উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত যুবাইর ইবনুল ‘আওওয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত উহুদ জিহাদ মুবারক-এ বেমেছাল সাহসিকতার পরিচয় মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটান। এছাড়াও তিনি প্রায় প্রত্যেকটি সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত খন্দক জিহাদ মুবারক উনার সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার অভ্যন্তরে ইহুদীরা বিদ্রোহ করার চক্রান্ত করে এবং গোপনে কিছু ইহুদীকে পাঠায়। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম তিনি এক ইহুদীকে হত্যা করে তার গর্দান কেটে ইহুদীদের মধ্যে ছুঁড়ে মারেন। তখন ইহুদীরা ভয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!

তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র খিলাফত মুবারককালে ২০ হিজরী শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!

 আবা-২৮৪তম 


নবীজীর এক ইশারায় ডুবন্ত সূর্য আবার ফিরে এলো।


নবীজীর এক ইশারায় ডুবন্ত সূর্য আবার ফিরে এলো।

হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,

عن أسماء بنت عميس رضي الله عنه قالت كان رسول الله عليه وسلم يوحي اليه ورأسه حجر علي عليه وسلم فلم يصل العصر حتي غربت الشمس، فقال رسول الله صلي الله عليه وسلم اللهم إن عليا كان في طاعتك وطاعة رسولك، فاردد عليه الشمس، قالت أسماء رضي الله عنه فرأيتها غربت ورأيتها طلعت بعد ما غربت

হযরত আসমা বিনতে উমাইস রদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ওহী নাযিল হচ্ছিলো। উনার মাথা মুবারক হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম কোল মুবারকে ছিলো। এ অবস্থায় হযরত আলী কাররামালাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম আছরের নামায আদায় করতে পারেন নাই। আর সূর্যও ডুবে গিয়েছিলো। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া মুবারক করলেন, আয় আল্লাহ পাক হযরত আলী আলাইহিস সালাম আপনার এবং আপনার রসূলের আনুগত্যে ব্যস্ত ছিলেন, সূর্যকে পূর্বেরস্থানে ফিরিয়ে দিন। হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি সূর্যকে অস্তমিত হতেও দেখেছি আবার পূনরায় উদিত হতেও দেখেছি।"

(দলীল: মুজামুল কবীর তাবরানী ২৪/১৪৭ : হাদীছ ৩৯০, মাযমাউজ যাওয়ায়েদ ৮/২৯৭, বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৬/৮৩, আশ শিফা ১/৪০০)

ইমাম তাবরানী রহমতুল্লাহি আলাইহি একাধিক সনদে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ইমাম শায়বানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাদায়েকুল আনোয়ার কিতাবে ১/১৯৩  বলেন, ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুশকিলুল আছার কিতাবে সংকলন করেছেন। তিনি দুটো সনদে উল্লেখ করেছেন, দুটোই সহীহ। 
ইমাম জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর সনদ নিয়ে আপত্তি করেছিলেন। কিন্তু ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি সকল আপত্তি খন্ডন করে ডুবন্ত সূর্যকে ফিরিয়ে আনার বিষয় প্রমাণ করতে  كشف اللبس عن حديث الشمس নামক সতন্ত্র কিতাব রচনা করেন। তিনি একাধিক সনদে বিষয়টি প্রমাণ করেন। 

আমাদের নবীজীর মুজেজা পৃথিবীর কোন ফিজিক্স, কোন সূত্রের মূখাপেক্ষি না। সূর্য যদি উল্টা দিকে ঘোরা শুরু করে কিয়ামত হয়ে যাওয়ার কথা। এরপরও সময় সংশ্লিষ্ট আরো অনেক বিষয় থাকে।

কিন্তু নবীজীর এক ইশারায় ডুবন্ত সূর্য আবার ফিরে আসলো। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মত মানুষ নন

 

নূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মত মানুষ নন

পিডিএফ লিংক-https://drive.google.com/open?id=19mTw2LZtH7Apiy3M4twSKRG2s6tPQrfO

 হযরত আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে আমর রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলনেহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করনেআমি তোমাদরে কারো মত নই। (বুখারী ১/২৬৩ আবূ দাউদ/১৩৭)

 হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলনেহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করনেনশ্চিয়ই আমি তোমাদরে অনুরূপ নই। (বুখারী ১/২৬৩ফতহুল বারী ৪/১৬৪)

হযরত আবূ সাঈদ খুদুরী রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলনেহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করনেনশ্চিয়ই আমি আকৃতগিতভাবে তোমাদরে মত নই। (বুখারী ১/২৬৩ফতহুল বারী ৪/১৬৫)

হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলনেহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করনেতোমাদরে মধ্যে আমার অনুরূপ কে রয়েছে? (বুখারী ১/২৬৩ফতহুল বারী ৪/১৬৭) র্অথাৎ তোমাদরে মধ্যে কউেই আমার মত নয়। বা আমি তোমাদরে কারো মত নই। তাই জনকৈ কবি বলছেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাশারতবে তিনি অন্যান্য বাশাররে মত নন। যরেূপ ইয়াকুত পাথর অন্যান্য পাথররে মত নয়।

বাহ্‌রুল উলুম হযরত মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল আলী লখনবী রহ্‌মতুল্লাহি আলাইহি মীর যাহিদ কতিাবে উল্লখে করছেনে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সমস্ত বিষয়রেই ইল্‌ম দান করছেনেযা মহান আল্লাহ পাক-এর মহান কুদরতী কলম বা কলমে আলার আওতায়ও আসেন নি যা লাওহে মাহ্‌ফুজও আয়ত্ব করতে পারনে। কস্মনিকালওে সৃষ্টরি শুরু থেকে অনন্তকাল র্পযন্ত উনার মত কউে পয়দা হয়ন,কেউ উনার সমকক্ষ হবে না। সমস্ত কায়িনাতে উনার সমকক্ষ কউে নইে।

উল্লখ্যে যে, সাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো অনকে দূররে কথাউনার পুত-পবিত্রা আহলিয়াগণ র্অথাৎ হযরত উম্মুল মুমনিীন রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণরে শানইে আল্লাহ পাক ইরশাদ করনে, হে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আহলিয়াগণ! আপনারা অন্যান্য মহিলাদের মত নন। (সূরা আহযাব/৩২)

সুতরাং যইে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আহলিয়া হওয়ার কারণে উনারা দুনয়িার সকল মহিলাদের থেকে তুলনাহীন হলনেসইে মহান ব্যক্তত্বি যিনি একমাত্র আল্লাহ পাক-এর পরইে সমস্ত প্রকার শ্রষ্ঠেত্বভালাই ও কল্যাণরে একচ্ছত্র অধকিারীতিনি আমাদরে মত মানুষ হন কি কর?

মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করনে, (হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুননশ্চিয়ই আমি তোমাদরে মত একজন বাশারতবে আমার প্রতি ওহী নাযলি হয়। (সূরা কাহ্‌ফ/১১০)

এ আয়াতে কারমিা-এর প্রেক্ষিতে অনেকে সাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনখাতামুন্‌ নাবয়্যিীনহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদরে মতই মানুষ বলে থাক।ে (নাউজুবল্লিাহ)

প্রকৃতপক্ষে এটা সর্ম্পূণরূপে অশুদ্ধ ও ভুল। কারণ আমাদরে মধ্যে এমন কউে নইেযার প্রতি ওহী নাযলি হয়। বরং আমাদরে মধ্যে কউে যদি নজিরে প্রতি ওহী নাযলিরে দাবী কর,ে তবে সে কাট্টা কাফরি ও চরি জাহান্নামী হবে যেমন কাদয়িানীবাহাই ইত্যাদি সম্প্রদায়।

মূলতঃ উপরোক্ত আয়াত শরীফরে সঠকি ও নর্ভিরযোগ্য ব্যাখ্যা হলোসাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনখাতামুন্‌ নাবয়্যিীনহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধুমাত্র আদম সন্তান হিসেবে মছোল বাশার বা মানুষরে অনুরূপ। সজেন্যই বনী আদমকে আশরাফুল মাখলুকাত করা হয়ছে,ে র্অথাৎ আল্লাহ্‌ পাক মানুষকে আশরাফয়িাত দান করছেনে বা সৃষ্টরি সরো করছেনে। হাক্বীক্বত তিনি আমাদরে মত মানুষ নন।

লক্ষ-কোটি দকি বা বিষয় রয়েছে, যার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীবসাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনখাতামুন্‌ নাবয়্যিীনহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদরে মত মানুষ ননবরং তিনি নূরে মুজাস্‌সাম বা নূরের সৃষ্টি হযরত আদম আলাইহস্‌ি সালাম থেকে শুরু করে হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহসি সালাম র্পযন্ত যে সকল পুতঃপবত্রি মহলিা ও পুরুষ আলাইহমিুস সালামগণরে মধ্যে স্থানান্তরতি হয়ছেনেতাঁদরে সকলরে মধ্যইে তিনি সরাসরি নূর আকারে স্থানান্তরতি হয়ছেনে এবং সবশেষে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম-এর রহেমে শরীফ হতে নূর হসিবেইে যমীনে তাশরীফ এনছেনে। সে কারণে উনার শরীর মুবারকরে কোন ছায়া ছিল না। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শরীর মুবারকে যা কছিু ছিলতা সবই ছিল পবত্রি থেকে পবত্রিতম। এমনকি উনার প্রস্রাব ও ইস্তঞ্জিা মুবারকও ছিল পাক ও পবত্রি। যা পান করার কারণে জাহান্নামী লোকরে জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে জান্নাত ওয়াজবি হয়ে যায়। তিনি যে হাযত পুরা করতনে তাও কোন মানুষ দখেতে পতে না। যমনি তা সাথে সাথইে গ্রাস করে ফেলত বা খেয়ে ফেলত। উনার শরীর মুবারকে কশ্মনিকালওে মশা-মাছি বসতো না।

উম্মতরে জন্য চারটরি বশেী ববিাহ করা হারাম। কিন্তু আল্লাহ পাক এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য তা ছিল না। তিনি স্বয়ং নজিইে শারে বা শরীয়ত প্রণতোতিনি যা করছেনেবলছেনে ও সম্মতি দয়িছেনে তাই শরীয়ত। পক্ষান্তরে সাধারণ মানুষরে ক্ষেত্রে তা নয়। সাধারণ মানুষ পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে ডেকে থাকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সভোবে ডাকলে কুফরী হবে

সাধারণ মানুষরে কলমো শরীফ হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসুলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পক্ষান্তরে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কলমো শরীফ হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইন্নি রসুলুল্লাহ যা সাধারণ মানুষ দাবী করলে কাফরি হবে সাধারণ মানুষরে আহলিয়াকে তালাক দিলে বা স্বামী মারা গেলে আহলিয়াকে অন্য কউে ববিাহ করতে পারে । কিন্তু আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বদিায়রে পরে হযরত উম্মুল মুমনিীন রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণকে অন্য কোন মানুষরে জন্য ববিাহ করার চন্তিা করাটাও হারাম! সাধারণ মানুষরে মৃত্যূর পরে তার মীরাছ (পরত্যিাক্ত সম্পদ বণ্টন করতে হয়। কিন্তু আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ক্ষেত্রে সরেূপ নয়। কারণ তিনি হায়াতুন্‌নবী।

এমনভিাবে অসংখ্যঅগণিত বশৈষ্ট্যি রয়েছে, যা একমাত্র হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য খাছ। যা অন্য কোন মানুষ তো দূররে কথা অন্য কোন নবী-রসূল আলাইহমিুস্‌ সালামগণকওে দান করা হয়নি কাজইে তিনি কোন দকি থকেইে আমাদরে মত নন।

নূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদরে ন্যায় স্বাভাবকিভাবে দুনয়িাতে তাশরীফ আনেননি।  তাহলে তিনি কভিাবে আমাদরে ন্যায় সাধারণ মানুষ হতে পারনে ?

সাইয়্যদিুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনখাতামুন নাবইিয়ীনহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাধারণ মানুষরে ন্যায় মায়রে রহেমে শরীফ থেকে পৃথবিীতে তাশরীফ আননেন।ি শুধু তাই নয় নবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনাদরে কউেই সাধারণ মানুষরে মতো ভূমষ্টি হনন।ি কারণ হলোনবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনাদরেকে আল্লাহ পাক খাছ বা বশিষেভাবে মনোনীত করইে সৃষ্টি করছেনে।

এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়ছে-ে

الله يجتبى اليه من يشاء        

র্অথ: মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান উনাকে খাছভাবে মনোনতি করনে। র্অথাৎ নবী-রসূলরূপে মনোনীত করনে। (সূরা শূরা: আয়াত শরীফ ১৩)

উল্লখ্যেনবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনারা যহেতেু মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে খাছভাবে মনোনীত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার র্বাতা বা ওহীর ধারক ও বাহক সহেতেু আল্লাহ পাক উনাদরে সাথে সংশ্লষ্টি বিষয়গুলোর মধ্যে র্পাথক্য সৃষ্টি করে দয়িছেনে। র্অথাৎ উনাদরে বিষয়গুলো আর অন্য সব মানুষরে বিষয়গুলো একরকম নয়। উনাদরে চলা-ফরোআচার-ব্যবহারকথা-র্বাতাআহার-নদ্রিা ইত্যাদি সবকছিুই অন্য মানুষ হতে ব্যতক্রিম। আর ব্যতক্রিম হবইেনা বা কনেযহেতেু উনারা র্সাবকি ও পরপর ওহীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

কাজইেনবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনারা যমীনে আগমন করছেনে। উনাদরে যমীনে আগমন আর অন্যান্য মানুষরে যমীনে আগমনরে মধ্যে র্পাথক্য রয়ছে।ে অন্যান্য মানুষ সাধারণত স্বাভাবকি পথইে ভূমষ্টি বা জন্মগ্রহণ করনে। কিন্তু নবী-রসূল আলাইহমিুস্ সালাম উনারা কউেই স্বাভাবকি পথে যমীনে আগমন করেননি বরং বশিষে পথে যমীনে আগমন করনে।

যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-

كل مولود غير الانبياء يولد من الفرج وكل الانبياء غير نبينا مولود من فوق الفرج وتحت السرة.  

র্অথ: নবী-রসূল আলাইহমিুস্ সালাম উনারা ব্যতীত সমস্ত মানুষই স্বাভাবকি পথইে আগমন করনে। আর সমস্ত নবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনারা স্বাভাবকি পথরে উপর ও নাভি মুবারক-এর নচি থেকে বলিাদত শরীফ লাভ করনে। (উমদাতুন নুকুল ফী কাইফয়িাতে ওয়ালাদাতরি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

যখোনে নবী-রসূল আলাইহমিুস সালাম উনাদরে যমীনে আগমনরে বিষয়টি সাধারণ মানুষরে মত নয় সখোনে যিনি নবী আলাইহমিুস সালাম উনাদরে নবীরসূল আলাইহমিুস সালাম উনাদরে রসূলহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টি তো আরো র্ঊধ্বরে আরো স্বতন্ত্র। তা বলার অপক্ষো রাখে না। তাই উনার যমীনে আগমন বা তাশরীফ নয়ো সর্ম্পকে কতিাবে যে নর্ভিরযোগ্য মতটি বর্ণিত রয়ছেে তাহলো-

واما نبينا صلى الله عليه وسلم فمولود من الخاصرة اليسرى تحت الضلوع.

র্অথ: আমাদরে নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানতিা আম্মা সাইয়্যদিাতু নসিায়লি আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম-উনার বাম র্পাশ্বরে পাঁজর মুবারক-এর নচি থেকে বলিাদত শরীফ লাভ করনে। (উমদাতুন নুকুল ফী কাইফয়িাতে ওয়ালাদাতরি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

প্রতভিাত হলোনূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্যান্য মানুষরে মতো বলিাদত শরীফ লাভ করনেনি বা যমীনে তাশরীফ আননেন।ি বরং আল্লাহ পাক উনাকে কুদরতভিাবে উনার আম্মা আলাইহাস সালাম উনার বাম পাঁজর মুবারক-এর নচি দয়িে যমীনে প্ররেণ করনে। সুবহানাল্লাহ!

আর এ বিষয়টি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতরে আক্বীদার অর্ন্তভুক্ত যে, নূরে মুজাস্সামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তনিসিহ কোন নবী-রসূল আলাইহমিুস সালামই অন্য মানুষরে মতো স্বাভাবকি পথে যমীনে আগমন করেননি বরং উনারা প্রত্যকেইে কুদরতভিাবে কুদরতি পদ্ধততিে যমীনে আগমন করনে বা তাশরীফ ননে।  -০-

 বি:দ্র-কিছু লেখা এলোমেলো আছে-দুখিত