সুলতান মাহমুদ গযনবীর পীর সাহেব এর নিকট গমন


Image result for অলী আল্লাহ









সুলতান মাহমুদ গযনবীর পীর সাহেব এর নিকট গমন-
সতেরবার ভারত বিজয়ী গজনীর সুলতান মাহমুদের খেয়াল হলো তিনি ওলী আল্লাহর জিয়ারতে যাবেন। এদিকে-সেদিকে অনেক নামধারীর সাক্ষাতই হলো। তারা তাকে অনেক তাযীম-তাকরীমও করলো। কিন্তু সুলতান মাহমুদের ব্যাকুল মন তাতে শান্তি পেলনা। তিনি উজীরে আযমকে বললেন, অন্য কোথাও নিয়ে যেতে।

উজীরে আযম এবার তাকে নিয়ে আসলেন হযরত আবুল হাসান খারক্বানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর আছে। অন্যান্যদের মত ইনি, তাকে দেখে উঠে দাঁড়ালেন না, এমনকি মোসাফাহ্ করার জন্য হাতও বাড়িয়ে দিলেন না। অতঃপর সুলতান মাহমুদ নিজেই সেখানে যথা নিয়মে বসে পড়লেন। তার তাক্বওয়া, রূহানী জ্ঞান তথা ইলমে লাদুন্নী সমৃদ্ধ তত্ত্বমূলক কথা সুলতান মাহমুদকে অভিভূত করলো। এক পর্যায় হযরত আবুল হাসান খারক্বানী রমহতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় পীর ছাহেব সুলতানুল আরিফীন, হযরত বায়েযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর প্রশংসা করতে গিয়ে বললেন, “আমার পীর ছাহেব সুলতানুল আরিফীন হযরত বায়েযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে যারা দেখেছেন তারা নাযাত পেয়েছেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়েছেন।” দ্বিগ্বীজয়ী সুলতান মাহমুদ এবার আর চুপ থাকতে পারলেননা। তিনি বলে উঠলেন, “হুযূর! আপনার পীর ছাহেব কি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আ’লামীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকেও বড় হয়ে গেলেন? আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আবূ জেহেল, আবূ লাহাব সারাজীবনে লাখ-লাখ বার দেখলো এতদ্বসত্ত্বেও তারা জাহান্নামী বলে সাব্যস্ত হলো, আর আপনার পীর ছাহেবকে যেই দেখেছে সেই জামান্নাম থেকে নাযাত পেয়েছে, এটা কেমন কথা হলো?” সুলতান মাহমুদের প্রশ্ন শেষ না হতেই হযরত আবুল হাসান খারক্বানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বদনমন্ডলে ফুটে উঠলো রক্তিম আভা। তিনি জ্বালালী তবিয়তে বলে উঠলেন, “মুখ সামলে কথা বলো হে সুলতান।” আবূ জেহেল, আবূ লাহাব কখনও মহান আল্লাহ্ পাক-এর রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আ’লামীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেনি। তারা দেখেছে তাদের ভাতিজা মুহম্মদকে (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।

গাছ, পাথর, বনের হরিণী, মেঘমালা মহান আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চিনেছে। তারা ছালাম দিয়েছে, ঈমান এনেছে। কিন্তু মক্কার কাফিরদের বেলায় কি তাই হয়েছে? বরং মহান আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে তাদের জিহালতি ও গোমরাহী প্রকাশ পেয়েছে। নিন্মোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফে, “উনি কেমন রসূল, যিনি বাজারে যান, খাদ্য খান” অর্থাৎ কাফিররা মহান আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বাজার এবং খাদ্য ক্রয়ের মাঝে জ্যান্ত একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই দেখেছে। (নাউযুবিল্লাহ্)



১০০ হত্যা করেও জান্নাতী


১০০ হত্যা করেও জান্নাতী
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ ফরমান, " বনী ঈস্রাঈলে এক ব্যক্তি ছিলো, যে নিরানব্বই লোককে হত্যা করেছিল।তারপর মাসআলার সমাধান জিজ্ঞেস করার জন্য বের হলো।অতঃপর এক পাদ্রীর নিকট গিয়ে পৌঁছলো।সে জিজ্ঞেস করলো - এর তওবা হতে পারে কিনা। সে বললো, "না"।সে তাকেও মেনে ফেললো।আর মাসআলা জানার জন্য বেরিয়ে পড়লো।তাকে কেউ বললো, "অমুক বস্তিতে যাও"(ওই খানে একজন আল্লাহর অলী আছেন তোমার কি করা উচিত তিনি হয়ত সঠিক কোন সমাধান দিতে পারবেন)। এমতাবস্থায় তাকে মৃত্যু পেয়ে বসলো।তখন সে আপন বুক ওই বস্তির দিকে ফিরিয়ে নিলো।তার সম্পর্কে রহমত ও আযাবের ফিরিশতারা বদানুবাদ করলো।মহান রব ওই বস্তির দিকে নির্দেশ পাঠালেন- 'তুমি তার নিকটস্থ হয়ে যাও। আর ওই বস্তির দিকে নির্দেশ পাঠালেন- তুমি তার থেকে দূরবর্তী হয়ে যাও! তারপর এরশাদ করলেন, "ওই দুই বস্তির মধ্যে মাপো"।তখন তাকে এ বস্তি থেকে এক বিঘত পরিমাণ নিকটে পাওয়া গেল।সুতারাং তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হল। ---- সুবহানাল্লাহ
★মুসলিম শরীফঃ৮ম খন্ড,২৭৪পৃঃ
★বোখারী শরীফ
★মিশকাত শরীফঃহাদিস নংঃ২২১৮

ইতিহাসের পাতায় ওলীআল্লাহগণ উনাদের অঢেল অর্থ খরচের উদাহরণ এবং সেই অর্থের প্রতি হিন্দুদের লোলুপ মনোবৃত্তি
Related image











ইতিহাসের পাতায় ওলীআল্লাহগণ উনাদের অঢেল অর্থ খরচের
উদাহরণ এবং সেই অর্থের প্রতি হিন্দুদের লোলুপ মনোবৃত্তি
চিশতীয়া তরীক্বা উনার একজন প্রধান ওলীআল্লাহ হযরত নিযামউদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি। দিল্লীতে ছিল উনার খানকা শরীফ। ইতিহাসে লেখা রয়েছে, খানকা শরীফ ও লঙ্গরখানার খরচ বহনের জন্য তিনি উনার খাদিমকে নির্দেশ মুবারক দিয়ে রেখেছিলেন, যদি কখনো অর্থের দরকার হয় অমুক তাকের মধ্যে হাত দিতে। প্রয়োজনীয় অর্থ সেখানেই কুদরতীভাবে পাওয়া যেতো।
শুধু হযরত নিযামউদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নন, বরং গোটা ইতিহাসেই ওলীআল্লাহগণ উনাদের অঢেল অর্থ খরচের ইতিহাস পাওয়া যায়। চিশতীয়া তরীক্বা উনার অন্যতম আরো একজন ওলীআল্লাহ হলেন হযরত আলাউল হক রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার খানকা শরীফ ছিল তৎকালীন বাংলার রাজধানী পান্ডুয়ায়। তিনি উনার খানকা শরীফে এতো অর্থ খরচ করতেন যে, তৎকালীন বাংলার বাদশাহ সিকান্দার শাহও তার রাজকোষ থেকে এতো অর্থ খরচ করতে পারতেন না।

সিকান্দার শাহ যদিও কোনো বদকার রাজা ছিলেন না, কিন্তু হযরত আলাউল হক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সিকান্দার শাহ পান্ডুয়া থেকে সোনারগাঁয়ে পাঠিয়ে দেন। সোনারগাঁয়ে গিয়ে হযরত আলাউল হক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পূর্বের তুলনায় আরো দ্বিগুণ খরচ করা শুরু করেন। কিন্তু কেউ বলতে পারতো না, তিনি এতো অর্থসম্পদ কোথা থেকে পান।

সিকান্দার শাহের পর বাংলার রাজা হন তাঁর পুত্র হযরত গিয়াসউদ্দীন আযমশাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। সাথে সাথে হযরত আলাউল হক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার স্থানে গদীনশীন হন উনার আওলাদ হযরত নূর কুতুবে আলম রহমতুল্লাহি আলাইহি। হযরত গিয়াসউদ্দীন আযমশাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সময়ে গণেশ নামক এক বিশ্বাসঘাতক হিন্দুর উত্থান ঘটে, যার ষড়যন্ত্রে তিনি শহীদ হন।

এই বিশ্বাসঘাতক গণেশ বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে ওলীআল্লাহগণ উনাদের শহীদ করা শুরু করে। তখন হযরত নূর কুতুবে আলম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উত্তরপ্রদেশের শাসক ইবরাহীম শর্কীকে নির্দেশ দেন গণেশকে আক্রমণ করে উৎখাত করতে।

গণেশ তখন হযরত নূর কুতুবে আলম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বদম মুবারকে পড়ে ক্ষমা চায় এবং নিজের ছেলে যদু’কে ধর্মান্তরিত করে জালালউদ্দীন নাম দিয়ে বাংলার সিংহাসনে বসায়। তখন হযরত নূর কুতুবে আলম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইবরাহীম শর্কীকে নির্দেশ দেন সৈন্য নিয়ে ফিরে যেতে।

ইবরাহীম শর্কী ফিরে যাওয়ার সাথে সাথেই গণেশ ফের তার পূর্বের রূপে আবির্ভূত হয়। গণেশ জালালউদ্দীনকে সিংহাসন থেকে সরিয়ে ফের নিজে ক্ষমতা দখল করে এবং জালালউদ্দীনকে ফের হিন্দুধর্মে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চালায়। শুধু তাই নয়, যেই হযরত নূর কুতুবে আলম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দয়ার কারণে গণেশ প্রাণভিক্ষা পেয়েছিল, সেই হযরত নূর কুতুবে আলম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আওলাদ হযরত আনোয়ার রহমতুল্লাহি আলাইহি ও নাতি হযরত জাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে গণেশ আটক করে সোনারগাঁয়ে নিয়ে আসে। গণেশের উদ্দেশ্য ছিল, উনাদেরকে সে নির্যাতন করে সে উনাদের পূর্বপুরুষ হযরত আলাউল হক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ধনসম্পদের খোঁজ বের করবে। গণেশের নির্যাতনে হযরত আনোয়ার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শহীদ হন। নাউযুবিল্লাহ!

ইতিহাসের এই দিকটি সম্পর্কে অনেকেই জানে না। মুসলমান ওলীআল্লাহ ও ছূফী-দরবেশগণ সব সময়েই অঢেল অর্থসম্পদের অধিকারী ছিলেন, বিপরীতে মুশরিক হিন্দুরা সবসময় উনাদের ধনসম্পদ কেড়ে নিতে তৎপর থাকতো। গণেশ তার উদ্দেশ্যে সফল হতে পারেনি, কারণ হযরত আনোয়ার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাহাদাতী শান মুবারক গ্রহণের পরই গণেশ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং জালালউদ্দীন বাংলার সিংহাসনে আরোহন করে বাংলায় ফের মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত করেন।

গণেশ মারা গিয়েছিল, কিন্তু গণেশের উত্তরসূরিদের উপর থেকে মুসলমান শাসক, ব্যবসায়ী ও জমিদারেরা তাদের আস্থা ও বিশ্বাস ত্যাগ করেনি। নাউযুবিল্লাহ! যার অবশ্যম্ভাবী ফল পাওয়া গিয়েছিল ব্রিটিশ আমলে, যখন গণেশের মতোই মুসলমানদের অধীনস্থ হিন্দুরা বিশ্বাসঘাতকতা করে মুসলমানদের জমিদারী ও অর্থসম্পদ দখল করেছিল। ব্রিটিশ আমলে গণেশের উত্তরসূরিরা আর ছোবল দিতে ব্যর্থ হয়নি, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন করে ব্রিটিশ আমলে হিন্দু আর ব্রিটিশরা মিলে ছূফী দরবেশ ও ওলীআল্লাহগণ উনাদের থেকে সমস্ত লাখেরাজ সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছিল। এর ফলশ্রুতিতে বাংলায় ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার ধারা অস্তমিত হয়ে বাংলায় মুসলমানদের প্রভাব প্রতিপত্তি সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গিয়েছিল, যার জের বাঙালি মুসলমান আজও বহন করে চলেছে। নাউযুবিল্লাহ!

ইলমে তাসাউফ অর্জন করা এবং একজন হক্কানী শায়েখের কাছে বাইয়াত।














ইলমে তাসাউফ অর্জন করা এবং একজন হক্কানী শায়েখের কাছে বাইয়াত।
আজকের এই অতি আধুনিক জুগে মানুষ খাটি ইসলাম থেকে সরে যাওয়ার পেছনে একমাত্র কারন তাঁর মাঝে ইসলামের মুলনিতি গুলা নাই এবং সমাজে যারা ইসলাম কে মানুষের কাছে পৌঁছাইতেছে তাদের ডিজিটাল ইসলামিক সিস্টেম অথছ ইলমে তাসাউফ এর জ্ঞান অর্জন করা এবং একজন হক্কানী শায়েখের কাছে বাইয়াত হওয়ার জন্যে স্বয়ং রাব্বুল আলামিন নির্দেশ করেছেন উনার কালামুল্লাহ শরিফে কিন্তু কিছু দুষ্কৃতিকারী এই বিষয়টাকে মানুষের মাঝে এমন খারাপভাবে ভুল উপস্থাপন করে মানুষকে ইলমে তাসাউফ থেকে দূরে সরিয়েছে যে এখন কেঁউ ইলমে তাসাউফ এর নাম শুনলে মনে করে ইলমে তাসাউফ মানে মাজারে সেজদাহ করা, মাজারে ভণ্ড পিরের সাথে বসে গাঞ্জার কল্কিতে টান দেওয়া, হারাম গান বাজনা করে মাজার এবং অলির বাড়ির পরিবেশ অপবিত্র কর, (নাউজুবিল্লাহ) অথছ ইলমে তাসাউফ হল সেই গোপন বিষয় যা একমাত্র কুফরি, শিরিক, হারাম মুক্ত জিসিম মুবারাক ছাড়া ধারন করা যায়না, যদি এই হয় ইলমে তাসাউফ তাহলে সেই পবিত্র মানুষ কি মানুষকে হারাম কুফরি আর শিরিকপূর্ণ আমল শিক্ষা দেবে? আসুন তাহলে দেখি কুরআন উল কারিম এবং হাদিস শরিফ ইলমে তাসাউফ সম্পর্কে কি বলে,


১। কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার রহমত মুহসিন বা আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের নিকটে।” (সূরা আ’রাফ : আয়াত শরীফ ৫৬)

২। পবিত্র কুরআন শরীফ এর ‘সূরা কাহাফ’-এর ১৭ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ রয়েছে, কামিল মুর্শিদের গুরুত্ব সম্পর্কে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক যাঁকে হিদায়েত দান করেন, সেই হিদায়েত পায়। আর যে ব্যক্তি গুমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে, সে কোন ওলীয়ে মুর্শিদ (কামিল শায়খ বা পীর) উনার ছোহবত লাভ করতে পারে না।

৩। আল্লাহ পাক বলেন, “তোমরা সব আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও”। (সূরা ইমরান-৭৯)

৪। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালাম পাক-এর সূরা তওবার ১১৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ পাককে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন বা সত্যবাদীগণের সঙ্গী হও। এখানে ছাদিক্বীন বলতে ওলী-আল্লাহ গণকেই বুঝান হয়েছে।

৫। আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেন, “আল্লাহ পাক এর ও উনার রাসুলের ইত্বায়াত কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা (উলিল আমর) আদেশদাতা, তাদের অনুসরণ কর”।

৬। আল্লাহ পাক বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমাকে পাওয়ার জন্য উসিলা তালাশ কর”। (সূরা মায়িদা,আয়াত ৩৫)

৭। পবিত্র কুরআন শরীফ এর ‘সূরা কাহাফ’-এর ২৮ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ রয়েছে, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আপনি নিজেকে উনাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন, যাঁরা সকাল-সন্ধ্যায় উনাদের রবকে ডাকে উনার সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য। অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ পাক, উনার সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য ক্বল্বী যিকির করেন, উনার অনুসরণ ও ছোহ্বত (সাক্ষাত) এখতিয়ার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৮। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আদম সন্তানের শরীরে এক টুকরা গোস্ত আছে যদি সেটা শুদ্ধ হয়ে যায় তবে সমস্ত শরীর শুদ্ধ হয়ে যায়। আর যদি সেটা অশুদ্ধ হয় তাহলে সমস্ত শরীর বরবাদ হয়ে যায়, সাবধান ওটা হচ্ছে কলব”। (বুখারী শরীফ)

৯। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যার ক্বলবে আমার যিকির জারি নেই সে নফসের অনুসরণ করে এবং তার আমলগুলো হয় শরীয়তের খিলাফ”।

১০। আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেন, “সাবধান! আল্লাহ পাকের যিকির দ্বারা দিল ইতমিনান হয়”। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “শয়তান আদম সন্তানের কলবের উপর বসে, যখন আল্লাহ পাকের যিকির করে তখন পালিয়ে যায়, আর যখন আল্লাহ পাকের যিকির থেকে গাফিল হয় তখন শয়তান ওসওয়াসা দেয়”।

১১। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য (জরুরত আন্দাজ) ইল্ম অর্জন করা ফরয। (বায়হাক্বী, মিশকাত, মিরকাত, লুময়াত, তা’লীকুছ্ ছবীহ্, শরহুত্ ত্বীবী, মোযাহেরে হক্ব, আশয়াতুল লুময়াত)

১২। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “ইল্ম দু’প্রকার- (১) ক্বল্বী ইল্ম অর্থাৎ ইল্মে তাছাউফ। আর এটাই মূলতঃ উপকারী ইল্ম। (২) যবানী ইল্ম অর্থাৎ ইল্মে ফিক্বাহ্, যা আল্লাহ্ পাক, উনার পক্ষ হতে বান্দার জন্য দলীল। (দারিমী, তারগীব ওয়াত তারহীব, তারীখ, আব্দুল বার, দাইলামী, বায়হাক্বী, মিশকাত, মিরকাত, শরহুত্ ত্বীবী, তা’লীকুছ্ ছবীহ্, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, মুযাহিরে হক্ব)

সকলেই একমত যে, ইল্মে তাছাউফ অর্জন করার মাধ্যমে অন্তর পরিশুদ্ধ করতঃ হুযূরী ক্বল্ব হাছিল করা তথা অন্ততঃপক্ষে বিলায়েতে আম হাছিল করা ফরয। এ ফরয ততক্ষণ পর্যন্ত আদায় করা সম্ভব হবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত একজন কামিল মুর্শিদ, উনার নিকট বাইয়াত না হবে।

উল্লিখিত উছুলের ভিত্তিতে সুস্পষ্টভাবে এটিই প্রমাণিত হয় যে, ফরয পরিমাণ ইল্মে তাছাউফ যেহেতু অর্জন করা ফরয, আর তা যেহেতু কামিল মুর্শিদ বা পীর ছাহেব, উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ব্যতীত অর্জন করা সম্ভব নয়, সেহেতু একজন কামিল মুর্শিদ অর্থাৎ যিনি সর্বদা আল্লাহ্ পাক, উনার যিকিরে মশগুল, উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করাও ফরয।

১৩। সুলতানুল আরিফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সাইয়্যিদুত্ ত্বায়িফা হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ আরো অনেকেই বলেন যে, “যার কোন পীর বা মুর্শিদ নেই তার মুর্শিদ বা পথ প্রদর্শক হলো শয়তান”। (ক্বওলুল জামীল, নুরুন আলা নূর, তাছাউফ তত্ত্ব)

১৪। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা কার নিকট থেকে দ্বীন শিক্ষা করছ, তাকে দেখে নাও”। (মুসলিম শরীফ)। তাই, ইসলাম কখনও বলে না যে তোমরা কোন ওলী-আল্লাহর কাছে যেও না, বরং উনাদের কাছে যাওয়ার জন্যই নির্দেশ করা হয়েছে।

১৫। আল্লাহ পাক বলেন, “যদি তোমরা না জান, তবে আহলে যিকির বা আল্লাহওয়ালাগণকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও”। (সূরা নহল ৪৩ ও সূরা আম্বিয়া-৭)

১৬) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাইযা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]

এরপরেও যারা ইলমে তাছাউফ ও হক্কানী শায়েখের ব্যাপারে চু-চেরা করে তারা গন্ডমুর্খ , গোমরাহ, পথভ্রষ্ট, বকলম ও বাতিল ফিরকার অনুসারী এবং শয়তানের কাছে সে মুরিদ নিসন্দেহে।
হক্ব -নাহক্ব চিনবেন কি করে ?



হক্ব -নাহক্ব চিনবেন কি করে ?
ফিতনা ফ্যাসাদের বর্তমান এই যামানায় হাজারে হাজারে ভ্রান্ত ইসলামিক গ্রুপ এবং ভণ্ড পিরদের ভিড়ে আহলে সুন্নাতুয়াল জামাত এর সঠিক আক্বিদার অনুসারী হাক্কানি পির, মাশায়েখ, আলেম উলামাদের কিভাবে চিনবেন এবং একজন সঠিক ইমাম এবং হাক্কানি পিরের সন্ধান পাবেন তার কিছু বর্ণনা নিছে দেওয়া হলো। আর ইলমে তাসাউফ সম্পর্কে জানতে এই পোষ্ট টি পড়ুন ইলমে তাসাউফ অর্জন করা এবং একজন হক্কানী শায়েখের কাছে বাইয়াত।
জামানার একজন হাক্কানি পির উনার সাথে অন্যান্য মাওলানা ও পীর সাহেবদের পার্থক্য কোথায়?————
মানুষের সাথে মানুষের মতের পার্থক্য সর্বকালেই রয়েছে। আর মতপার্থক্যই অনেকক্ষেত্রে বিরোধ সৃষ্টি করে থাকে। তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে তিনিই সঠিক হবেন যিনি কুরআন শরীফ, হাদিছ শরীফ থেকে সঠিক ফায়সালা তুলে ধরেন। আমি বলববনা অমুক ভালো তমুক ভালো আমি শুধু কুরআন শরীফ এবং সুন্নাহ শরীফ অনুসারে যে জীবন যাপন করবে তাকেই বলবো এবং যিনি সম্পূর্ণরূপে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফের অনুসরণ করে থাকেন একমাত্র তিনিই হক্ব পথে আছেন। আর এটাই হচ্ছে অন্যান্য সকল দল-উপদল থেকে হাক্কানি পির মাশায়েখ দের একমাত্র পার্থক্য।
কিন্তু আজকে অমুক আশিকে রাসুল, তমুক বাতিলের হুংকার বলে লাভ নাই কারন মুখের কথায় তো আর চিড়া ভেজে না। তাই কথাগুলোর প্রমাণ থাকতে হবে কুরআন শরীফ এবং সুন্নাহ শরীফ দ্বারা। ইনশাআল্লাহ প্রমাণ দেওয়া হবে। যারা সঠিক পথের সন্ধান চায়, তারা পার্থক্য দিয়েই সহজে চিনতে পারবে কে হক্ব পথে আছে আর কে ভুল পথে। তাহলে আসুন দেখি, হাক্কানি পির/মাশায়েখ উনাদের সাথে অন্যান্য মাওলানা, পীর সাহেব, মুফতি ও হুযুরদের পার্থক্য কোথায়ঃ
[বিঃদ্রঃ যারা আমার প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে একমত হতে পারছেন না বা মেনে নিতে পারছেন না, তারা দয়া করে প্রত্যেক্টা বিষয়ের নিছে যে দলিল এর লিঙ্ক দেওয়া আছে দলীলগুলো ভালভাবে পড়বেন এবং চিন্তা করবেন।]
১) ছবি তোলাঃ ইসলামিক শরিয়তে কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে প্রাণীর ছবি আঁকা, তোলা, ক্যামেরাবন্দী করা, ভিডিও করা ইত্যদিকে হারাম ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।
লিংক- ছবি ফতোয়া –
১. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_24.html
২. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_64.html
৩. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_68.html
৪. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_77.html
{যারা এই হারাম কাজে জড়িতঃ ইসলামিক টিভি, পিস টিভি, মওদুদী জামাত-শিবির, দেওয়ানবাগী পীর, চরমোনাই পীর, কওমী-খারিজী, হেফাজতে ইসলাম, অতি সুন্নী-রেজাখানীর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, আহলে হাদিছ-লামাযহাবী, জাকির নায়েক, ওহাবী, হিজবুত তাহরীর, এবং মাযার ব্যবসায়ী অধিকাংশ পির ইত্যাদি}
২) বেপর্দা হওয়াঃ ইসলামিক শরিয়তে কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে হুকুম হলো এই যে, পুরুষদের পর্দা হচ্ছে তারা কোন পর্দানশীন মহিলার বোরকার দিকেও স্বেচ্ছায় দৃষ্টি দিতে পারবে না। আবার মহিলারা গায়রে মাহরাম পুরুষদের সাথে কথা বলতে পারবে না এবং শরীরের একটি পশমও দেখাতে পারবে না। পরপুরুষের সামনে তাদেরকে মুখ খোলা রাখা যাবে না।
লিংক- হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ। বিস্তারিত পড়ুন।
১. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_15.html
২. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_0.html
৩. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_61.html
৪. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_54.html
৫. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_3.html
৬. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_5.html
৭. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_14.html
৮. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_43.html
৯. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_89.html
১০. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_2.html
১১. ক) https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_77.html
১১. খ) https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_12.html
১২. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_31.html
১৩. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_78.html
১৪. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_30.html
১৫. ক) https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_96.html
১৫. খ) https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_16.html
১৬. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_93.html
১৭. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_81.html
১৮. ক) https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_60.html
১৮. খ) https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_85.html
১৮. গ) https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_32.html
১৯. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_42.html
২০. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/11/blog-post_34.html
{যারা এই হারাম কাজে জড়িতঃ মওদুদী জামাত-শিবির, দেওয়ানবাগী পীর, অতি সুন্নী-রেজাখানী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, আহলে হাদিছ-লামাযহাবী, জাকির নায়েক, ওহাবী এবং মাযার ব্যবসায়ী অধিকাংশ পির}
৩) গণতন্ত্র করা ও নারী নেতৃত্ব করাঃ ইসলামিক শরিয়তে কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে হুকুম হলো এই যে, ইসলামী শরীয়ত ব্যতীত মানবরচিত কোন গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র করা জায়িজ নেই।
লিংক- গণতন্ত্র করা হারাম ফতোয়া । লিংক- ১. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post.html ২. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_2.html ৩. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_36.html. ৪. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_83.html ৫. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_85.html ৬. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_8.html ৭. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_1.html ৮. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_87.html ৯. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_14.html ১০. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_4.html ১১. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_98.html ১২. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_52.html ১৩. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_42.html ১৪. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_18.html ১৫. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_45.html

{যে সকল নামধারী ইসলামি দল এই হারাম কাজে জড়িতঃ মওদুদী জামাত-শিবির, চরমোনাই পীর, কওমী-খারিজী, হেফাজতে ইসলাম, জাকের-পার্টি এবং মাযার ব্যবসায়ী অধিকাংশ পির}
৪) খেলাধুলা করাঃ ইসলামিক শরিয়তে কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে হুকুম হলো এই যে, ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, কেরাম, টেবিল-টেনিস ইত্যাদি সহ যাবতীয় সকল খেলাধুলা হারাম এবং হাদিছ শরীফ মুতাবিক যে তিনটি বিষয় যায়েজ তা এই খেলাধুলার অন্তর্ভুক্ত নয়।
লিংক- ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- ১. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_57.html ২. https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_7.html

{যে সকল নামধারী ইসলামি দল এই হারাম কাজে জড়িতঃ ইলিয়াসী তাবলীগী, মওদুদী জামাত-শিবির, কওমী-খারিজী, অতি সুন্নী-রেজাখানী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, আহলে হাদিছ-লামাযহাবী, জাকির নায়েক, ওহাবী, হিজবুত তাহরীর}
৫) মীলাদ শরীফঃ ইসলামিক শরিয়তে কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে হুকুম হলো এই যে, ঈদে মীলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা এবং মীলাদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। ।
লিংক- আমরা কেন মিলাদ শরীফ ক্বিয়াম শরীফ করবো? আসসালামুআলাইকুম।।আপনার মতামত জানতে চাই।।।সকল ঈদের সেরা ঈদ - সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ ঈদে মিলাদুন্নবী - ১. আল্লাহ পাক কি বলেছেন ?- https://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_9.html ২. নবিজি কি পালন করেছেন ? - https://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_41.html ৩. নবি-রাসুলগন কি পালন করেছেন ? - https://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_32.html ৪. খোলাফায়ে রাশেদীন কি পালন করেছেন?- https://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_80.html ৫. ছাহাবাগন কি পালন করেছেন ? - https://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_22.html ৬. তাবেয়ী-তাবেতাবেঈন কি পালন করেছেন ? - https://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_49.html ৭. ইমাম-মুজতাহিদগন কি পালন করেছেন ? - https://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_24.html ৮. মক্কা-মদীনা শরীফে কি পালন হয়? - https://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_15.html ৯. দেওবন্দী - কওমীদের গুরুরা কি বলেছে?- https://khawajarazi.blogspot.com/2022/10/blog-post_89.html
১০.বাদশাহ মুজাফর রহমতুল্লাহি আলাইহি এর পুর্ব থেকেই ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রচলন ছিল- http://khawajarazi.blogspot.com/2018/09/blog-post_10.html?m=1
১১.আমরা যেভাবে সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করি-http://khawajarazi.blogspot.com/2018/09/blog-post_49.html?m=1
১২.জন্মদিন পালন করা সম্মানিত সুন্নাহ শরীফ উনার অন্তভূক্ত- http://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_44.html?m=1
১৩.২৪ ঘন্টা সদা সর্বদা নবীজীর ধ্যানে খেয়ালে স্মরনে থাকতে হবে-http://khawajarazi.blogspot.com/2022/11/blog-post_4.html?m=1
১৪.অ্যাস্ট্রোনমারদের গবেষণায় নির্ভুলভাবে প্রমাণ হয় ১২ই রবিউল আউয়াল-ই হচ্ছে নবীজির আগমণ (জন্ম) এর দিন-https://noorejulfikar12.blogspot.com/2016/11/blog-post_60.html
১৫.ওহাবী সালাফীদের গুরু ইবনে তাইমিয়া ও আব্দুল ওহাব নজদীর ঈদে মীলাদুন্নবীর পক্ষে ফতোয়া- http://khawajarazi.blogspot.com/2023/09/blog-post.html?m=1

১৬.সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ সোমবার শরীফ- হচ্ছে ঈদে মীলাদুন্নবী—https://khawajarazi.blogspot.com/2023/10/blog-post_12.html
তাহলে যারা তোতা পাখির মত মুখস্থ কথা বলে " ইহা বিদয়াত" তারা কি কোরান - হাদীস -ইজমা ক্বিয়াসকে অস্বীকারকারী নয় ? এমন ব্যক্তি মুসলমান থাকবে কি ?

{ যে সকল নামধারী ইসলামি দল এই খাস সুন্নাহ কে বিদাত বলে উড়িয়ে দেয়ঃ ইলিয়াসী তাবলীগী, মওদুদী জামাত-শিবির, চরমোনাই পীর, কওমী-খারিজী, হেফাজতে ইসলাম, আহলে হাদিছ-লামাযহাবী, জাকির নায়েক, ওহাবী, হিজবুত তাহরীর ইত্যাদি}
এছাড়া আরো অসংখ্য আকিদা ও আমলগত পার্থক্য রয়েছে অন্যান্যদের সাথে। যদি সম্ভব হয় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
# অনেকেই দেখি হাক্কানি পির, মাশায়েখ, আলেম উলামাদের বিরোধিতা করে থাকে, কিন্তু কেন? এক্ষেত্রে আমাদের কি করণীয়?
- অনেক কারণেই কিছু নির্দিষ্ট দলের লোক উনাদের বিরোধিতা করে থাকে। মনে রাখবেন, নির্দিষ্ট কিছু দলের লোক। তন্মধ্যে কিছু কারণ নিম্নে দেওয়া হলঃ
১) আহলে সুন্নাতুয়াল জামাত এর সঠিক আক্বিদার অনুসারী হাক্কানি পির, মাশায়েখ, আলেম উলামারা যখন কুরআন শরীফ, হাদিছ শরীফ, ইজমা ও কিয়াস শরীফ থেকে যে সকল সঠিক ফায়সালা দেন, তা তাদের মনঃপূত হয় না, ফলে তারা উনাদের বিরোধিতা করে থাকে। (নাউযুবিল্লাহ)
২) আহলে সুন্নাতুয়াল জামাত এর সঠিক আক্বিদার অনুসারী হাক্কানি পির, মাশায়েখ, আলেম উলামাদের সঠিক ফায়সালার কারণে বাতিলেরা ধর্মব্যবসা করতে পারে না, ফলে তারা উনাদেরর বিরোধিতা করে থাকে।
৩) পথভ্রষ্ট দলের বিরুদ্ধে কুরআন শরীফেই আয়াত শরীফ রয়েছে। আর আহলে সুন্নাতুয়াল জামাত এর সঠিক আক্বিদার অনুসারী হাক্কানি পির, মাশায়েখ, আলেম উলামারা সেই সুন্নত মুবারক আদায় করে বাতিল দলের বিরুদ্ধে বলে থাকেন। আর কারও বিরুদ্ধে বলা হলে, সে সংশোধনের চাইতে পুনঃবিরোধিতা করে থাকে, এটাই নফসের টান। আর এ কারণেই তারা উনাদের বিরোধিতা করে থাকে।
এক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে, যেহেতু আহলে সুন্নাতুয়াল জামাত এর সঠিক আক্বিদার অনুসারী হাক্কানি পির, মাশায়েখ, আলেম উলামারা যখন হক্ব পথে আছেন তাই উনাদের প্রদত্ত ফতোয়াগুলো একবারের জন্য হলেও দলীল সহকারে পড়ুন। বুঝতে না পারলে বারবার পড়ুন। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সহীহ সমঝ দান করুন। আমিন।


যাদের উছিলায় বৃষ্টি হবে ,নাযাত পাবে















যাদের উছিলায় বৃষ্টি হবে ,নাযাত পাবে
* হাদীস শরীফ উনার মধ্যে আছে প্রত্যেক যামানায় ৭ জন ওলী আল্লাহ থাকবেন, “নিশ্চয়ই প্রত্যেক জামানায় ৭ জন আল্লাহ পাক উনার ওলী থাকবেন, উনাদের উছিলায় ঐ যামানা রহমতপ্রাপ্ত হবে, বৃষ্টি প্রাপ্ত হবে, রিজিকপ্রাপ্ত হবে, বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাবে।” (আবু দাউদ শরীফ)
* “নিশ্চয়ই প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুযাদ্দিদ (সংস্কারক) আসবেন, তিনি ঐ যামানায় সকল বিদআত বেশরা তাজদীদের মাধ্যমে মিটিয়ে দিবেন” (আবু দাউদ শরীফ)
* যারা হাদীস শরীফ অস্বীকার করে এবং বিশেষ করে মূর্খরাই এই ওলী আল্লাহগণ উনাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়। এই সকল মূর্খদের জন্য হাদীসে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে আছে, “যারা আমার ওলী (বন্ধু) উনার বিরুদ্ধাচারণ করে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি।
ইলমে তাসাউফ অর্জন করা এবং একজন হক্কানী শায়েখের কাছে বাইয়াত হওয়া ফরজ


















ইলমে তাসাউফ অর্জন করা এবং একজন হক্কানী শায়েখের কাছে বাইয়াত হওয়া ফরজ
১। কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার রহমত মুহসিন বা আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের নিকটে।” (সূরা আ’রাফ : আয়াত শরীফ ৫৬)
২। পবিত্র কুরআন শরীফ এর ‘সূরা কাহাফ’-এর ১৭ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ রয়েছে, কামিল মুর্শিদের গুরুত্ব সম্পর্কে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক যাঁকে হিদায়েত দান করেন, সেই হিদায়েত পায়। আর যে ব্যক্তি গুমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে, সে কোন ওলীয়ে মুর্শিদ (কামিল শায়খ বা পীর) উনার ছোহবত লাভ করতে পারে না।

৩। আল্লাহ পাক বলেন, “তোমরা সব আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও”। (সূরা ইমরান-৭৯)

৪। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালাম পাক-এর সূরা তওবার ১১৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ পাককে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন বা সত্যবাদীগণের সঙ্গী হও। এখানে ছাদিক্বীন বলতে ওলী-আল্লাহ গণকেই বুঝান হয়েছে।

৫। আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেন, “আল্লাহ পাক এর ও উনার রাসুলের ইত্বায়াত কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা (উলিল আমর) আদেশদাতা, তাদের অনুসরণ কর”।

৬। আল্লাহ পাক বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমাকে পাওয়ার জন্য উসিলা তালাশ কর”।( সুরা মায়িদা ৩৫)

৭। পবিত্র কুরআন শরীফ এর ‘সূরা কাহাফ’-এর ২৮ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ রয়েছে, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “আপনি নিজেকে উনাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন, যাঁরা সকাল-সন্ধ্যায় উনাদের রবকে ডাকে উনার সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য। অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ পাক, উনার সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য ক্বল্বী যিকির করেন, উনার অনুসরণ ও ছোহ্বত (সাক্ষাত) এখতিয়ার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৮। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আদম সন্তানের শরীরে এক টুকরা গোস্ত আছে যদি সেটা শুদ্ধ হয়ে যায় তবে সমস্ত শরীর শুদ্ধ হয়ে যায়। আর যদি সেটা অশুদ্ধ হয় তাহলে সমস্ত শরীর বরবাদ হয়ে যায়, সাবধান ওটা হচ্ছে কলব”। (বুখারী শরীফ)

৯। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যার ক্বলবে আমার যিকির জারি নেই সে নফসের অনুসরণ করে এবং তার আমলগুলো হয় শরীয়তের খিলাফ”।( সুরা কাহফ ২৮)

১০। আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেন, “সাবধান! আল্লাহ পাকের যিকির দ্বারা দিল ইতমিনান হয়”।সুরা রাদ ২৮) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “শয়তান আদম সন্তানের কলবের উপর বসে, যখন আল্লাহ পাকের যিকির করে তখন পালিয়ে যায়, আর যখন আল্লাহ পাকের যিকির থেকে গাফিল হয় তখন শয়তান ওসওয়াসা দেয়”।

১১। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য (জরুরত আন্দাজ) ইল্ম অর্জন করা ফরয। (বায়হাক্বী, মিশকাত, মিরকাত, লুময়াত, তা’লীকুছ্ ছবীহ্, শরহুত্ ত্বীবী, মোযাহেরে হক্ব, আশয়াতুল লুময়াত)

১২। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “ইল্ম দু’প্রকার- (১) ক্বল্বী ইল্ম অর্থাৎ ইল্মে তাছাউফ। আর এটাই মূলতঃ উপকারী ইল্ম। (২) যবানী ইল্ম অর্থাৎ ইল্মে ফিক্বাহ্, যা আল্লাহ্ পাক, উনার পক্ষ হতে বান্দার জন্য দলীল। (দারিমী, তারগীব ওয়াত তারহীব, তারীখ, আব্দুল বার, দাইলামী, বায়হাক্বী, মিশকাত, মিরকাত, শরহুত্ ত্বীবী, তা’লীকুছ্ ছবীহ্, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, মুযাহিরে হক্ব)
সকলেই একমত যে, ইল্মে তাছাউফ অর্জন করার মাধ্যমে অন্তর পরিশুদ্ধ করতঃ হুযূরী ক্বল্ব হাছিল করা তথা অন্ততঃপক্ষে বিলায়েতে আম হাছিল করা ফরয। এ ফরয ততক্ষণ পর্যন্ত আদায় করা সম্ভব হবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত একজন কামিল মুর্শিদ, উনার নিকট বাইয়াত না হবে। তাই বাইয়াত গ্রহণ করাও ফরয।

১৩। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে মাযহারীতে উল্লেখ আছে যে, “যে কাজ বা আমল ব্যতীত ফরযসমূহ আদায় করা সম্ভব হয়না, উক্ত ফরযগুলোকে আদায় করার জন্য সে কাজ বা আমল করাও ফরয”।

১৪। হানাফী মায্হাবের মশহুর ফিক্বাহর কিতাব “দুররুল মুখ্তারে উল্লেখ আছে, “যে আমল ব্যতীত কোন ফরয পূর্ণ হয়না; উক্ত ফরয পূর্ণ করার জন্য ঐ আমল করাটাও ফরয”।

উল্লিখিত উছুলের ভিত্তিতে সুস্পষ্টভাবে এটিই প্রমাণিত হয় যে, ফরয পরিমাণ ইল্মে তাছাউফ যেহেতু অর্জন করা ফরয, আর তা যেহেতু কামিল মুর্শিদ বা পীর ছাহেব, উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ব্যতীত অর্জন করা সম্ভব নয়, সেহেতু একজন কামিল মুর্শিদ অর্থাৎ যিনি সর্বদা আল্লাহ্ পাক, উনার যিকিরে মশগুল, উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করাও ফরয।

১৫। সুলতানুল আরিফীন, হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সাইয়্যিদুত্ ত্বায়িফা হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ আরো অনেকেই বলেন যে, “যার কোন পীর বা মুর্শিদ নেই তার মুর্শিদ বা পথ প্রদর্শক হলো শয়তান”। (ক্বওলুল জামীল, নুরুন আলা নূর, তাছাউফ তত্ত্ব)

১৬। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা কার নিকট থেকে দ্বীন শিক্ষা করছ, তাকে দেখে নাও”। (মুসলিম শরীফ)। তাই, ইসলাম কখনও বলে না যে তোমরা কোন ওলী-আল্লাহর কাছে যেও না, বরং উনাদের কাছে যাওয়ার জন্যই নির্দেশ করা হয়েছে।

১৭। আল্লাহ পাক বলেন, “যদি তোমরা না জান, তবে আহলে যিকির বা আল্লাহওয়ালাগণকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও”। (সূরা নহল ৪৩ ও সূরা আম্বিয়া-৭)