আর রাহীকুল মাখতূম কিতাবে মাহমুদ পাশা নামক এক ব্যক্তির রেফারেন্স দিয়ে বলা হচ্ছে নবীজি ৯ই রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেছেন।
আর সেটাই ঈদে মিলাদুন্নবীর বিরোধীরা দলিল হিসেবে প্রচার করছে, বলছে নবীজির জন্ম তারিখ ১২ নয়, ৯ তারিখ। নাউযুবিল্লাহ।
অথচ জোতির্বিজ্ঞানী মাহমুদ পাশা আল ফালাকি (১৮১৫-১৮৮৫ ঈসায়ী) ছিলো একজন ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক ঘরোনার লোক। সে সেই সময়কার তথাকথিত মিশরীয় রেনেসাঁয় সম্পৃক্ত ছিলো। এই মিশরীয় রেনেসাঁকে আরবীতে বলা হয় ‘আন-নাহদা’। এর মূল তত্ত্ব ছিলো মুসলমানদের দ্বীন ইসলাম থেকে সরিয়ে পশ্চিমা অপসংস্কৃতিতে বাধ্য করা। নাউযুবিল্লাহ। (https://en.wikipedia.org/wiki/User:Dave_Light/Al-Faliki)
অপরদিকে সহিহ হাদীস শরীফে আছে নবীজি ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন।
قَالَ مُـحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وُلِدَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ، عَامَ الْفِيْلِ لِاِثْنَتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةٍ مَضَتْ مِنْ شَهْرِ رَبِيْعٍ الاَوَّلِ
অর্থ : “হযরত মুহম্মদ ইবনে ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার হস্তীর বছর, রাত্রির শেষভাগে দুনিয়ায় আগমন করেন। (দালায়িলুন নুবুওওয়াত লি ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি : হাদীছ শরীফ নং ২৩; কিতাবুল ওয়াফা লি আহওয়ালিল মুস্তফা লি আল্লামা ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি, পৃষ্ঠা ৮৭; প্রকাশনা : দারূল কুতুব ইসলামিয়া, বৈরূত, লেবানন)
এ প্রসঙ্গে হাফিজুল হাদিস ইমাম হযরত কুস্তালানি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
هُوَ الْـمَشْهُوْرُ اَنَّهٗ وُلِدَ ثَانِـيْ عَشَرَ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَهُوَ قَوْلُ اِبْنِ اِسْحَاقَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَغَيْرِهٖ
অর্থ : “প্রসিদ্ধ মত অনুসারে নিশ্চয়ই আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার দুনিয়ায় তাশরীফ মুবারক নেন। যা ইবনে ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি ও অন্যান্যদের এটাই মত।” (শরহুল মাওয়াহিব ১ম খ- ২৪৮ পৃষ্ঠা)
যারা সহিহ হাদীস শরীফ রেখে যারা নাস্তিকের রেফারেন্স দিয়ে নবীজির জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, তাদের সম্পর্কে হাদীস শরীফেই বলা হয়েছে- “যে আমার উপর মিথ্যারোপ করবে; সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেবে।’ (মুসলিম মুকাদ্দামা, বুখারি)