সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামিন আমাদের প্রাণের আক্বা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্য; যিনি রহমত বর্ষণ করেন কুল-কায়িনাতের উপর। লক্ষ্য-কোটি পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন,নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি রহমতুল্লিল আলামীন, উনার খাছ ইহসান মুবারক উনার উসীলায় আমরা ঈমান-আক্বীদা নিয়ে বেঁচে আছি। আরো বিশুদ্ধ সলাত ও ছালাত মুবারক পেশ করছি যামানার সুমহান মুযাদ্দিদ, মুযাদ্দিদে আ’যম, আমাদের প্রাণের আক্বা, আমাদের শায়েখ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতুর রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, উম্মুল খয়ির, উম্মুল মু’মিনীন, নূরে জাহান, গুলে মুবিনা, আফদ্বালুন নিসা, উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরীদীন, আমাদের প্রাণের আক্বা মুহতারমা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পাক ক্বদম মুবারকে, উনাদের উসীলায় আমরা হক্ব মত পথের উপর ইস্তিকামত আছি।
সম্মানিত আরবি মাস উনাদের মধ্যে অধিক মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত মাস মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদুল আসইয়াদ সাইয়্যিদুশ শুহূর শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ। অফুরন্ত বারাকাত, ফুয়ুজাত ও রহমত মুবারক লাভের মাসই হচ্ছেন এই মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আসইয়াদ সাইয়্যিদুশ শুহূর শাহরুল আ’যম শরীফ মাস। এই পবিত্র ও সম্মানিত মাস উনার ১২ই শরীফ, কুল-কায়িনাতবাসীরা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে থাকে। তাছাড়া আমরা আরো খুশি প্রকাশ করে থাকি আমাদের প্রাণের আক্বা আমাদের শায়েখ হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ উপলক্ষে এই ১২ই শরীফ উনার মুবারক দিনে। শুধু তাই নয়; আমরা আরো ঈদ প্রকাশ করে থাকি আমাদের প্রাণের আক্বা, সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, হাবীবাতুল্লাহ, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে ৭ই শরীফে। আর তাই মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আসইয়াদ সাইয়্যিদুশ শুহূর শাহরুল আ’যম শরীফ মাসে আমাদের মাঝে ঈদের পর ঈদ বয়ে আনে।
“চাঁদ আকাশে উঠেছে আজ
ঘরে ঘরে আনন্দ আজ
শহরে শহরে আনন্দ আজ
পথে পথে আনন্দ আজ
সারা আলমে ঈদ আজ”
সাইয়্যিদুল আসইয়াদ সাইয়্যিদুশ শুহূর শাহরুল মহাপবিত্র রবিউল আউওয়াল শরীফ উনার সম্মানিত ৭ তারিখ- হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
প্রগাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনের দিকে ধাবমান নারী সমাজ যখন ডুকরে ডুকরে নিভৃতে কেঁদে ফিরে, যখন তাদের ইজ্জত আবরু হয় ধূলায় লুণ্ঠিত, আকাশে বাতাসে লা’নতের বোঝা নিয়ে যাদের জিন্দেগীর পথ চলা- ঠিক সে সময় কালের আবর্তে বহমান ধারায় ধরাতে তাশরীফ মুবারক নিলেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, বাহরুল আলিমা, হাবীবাতুল্লাহ আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। কালের অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যাওয়া সেই নারী জাতিদের আলোর পথে আনার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালিন, ইমামুুল মুরসালিন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সাল্লাম উনাদের আদর্শ মুবারক দ্বারা আদর্শিতা করেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে দুনিয়ার বুকে প্রেরণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ্!
আর তাই মহাপবিত্র ৭ই শরীফে উনার এই মহিমান্বিত মুবারক বিলাদতী শাান মুবারক প্রকাশ দিবসে আমরা উনাকে জানাই শত-সহস্র লক্ষ-কোটি ছলাত ও সালাম।
“নূরে আলিমা এসেছেন
ধরার বুকেতে।
নূরে হাবীবা এসেছেন ধরার বুকেতে।
কূল-ক্বায়িনাত আজ দিশেহারা
খুশিতে মাতোয়ারা
বিলাদতে আম্মাজী ক্বিবলা উনার
ধরা আত্মহারা।
রহমতী মেহরুবা, সাইয়্যিদা ত্বইয়্যিবাহ
মুর্শিদী দিলরুবা
তিনি রহমানী হাবীবা।
তিনি আলমের রহমতস্বরূপ
এসেছেন ধরার বুকে
দুরূদ শরীফ পড় আজ
সকলে মিলে মিশে।”
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اِنَّ ذِكْرَ الصَّالـحِيْنَ تَنْزِلُ الرَّحْمَةُ
অর্থ: “নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনাদের আলোচনা মুবারক করলে সম্মানিত রহমত মুবারক নাযিল হয়।” সুবহানাল্লাহ্! (ইহইয়ায়ে ‘উলূমিদ্দীন, ফাদ্বাইলে আশারাহ লিযামাখশারী, কাশফুল খফা)
এখন চিন্তা-ফিকিরে বিষয় যে, যদি ওলীআল্লাহ উনাদের আলোচনা মুবারক করলে সম্মানিত রহমত মুবারক নাযিল হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত সাওয়ানেহ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করলে, উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করলে কতটুকু রহমত বর্ষিত হবে, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার বাইরে। সুবহানাল্লাহ!
প্রকৃত কথা হলো, যারা উনাদের সম্মানিত সাওয়ানেহ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করবে, উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করবে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আখচ্ছুল খাছ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, মা’রিফাত-মুহব্বত মুবারক, তাওয়াল্লুক-নিসবত মুবারক হাছিল করবে। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মাওলানা জালালুদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মছনবী শরীফ’ উনার ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, “যারা ‘মছনবী শরীফ’ পাঠ করবে, তারা ওলীআল্লাহ না হলেও ‘মছনবী শরীফ’ পাঠ করা অবস্থায় তাদের নামগুলো ওলীআল্লাহ উনাদের দফতরে লিখা থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!
আর হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মাকতূবাত শরীফ’ উনার ব্যাপারে বর্ণিত আছে, “কেউ যদি উনার সম্মানিত ‘মাকতূবাত শরীফ’ পাঠ করে, ‘মাকতূবাত শরীফ’ পাঠ করা অবস্থায় তার নাম ‘সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক’ উনার দফতরে লিখা হয়।” সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحَبَّ سُنَّتِـىْ فَقَدْ اَحَبَّـنِـىْ وَمَنْ اَحَبَّنِـىْ كَانَ مَعِـى فِـى الْـجَنَّةِ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো একটি সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলো, সে মূলত আমাকেই মুহব্বত করলো। আর যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করলো, সে মূলত আমার সাথেই সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তুহফাতুল আহওয়াযী বিশরহি জামি‘িত তিরমিযী ৭/৩৭১, জামি‘উল উছূল ফী আহাদীছির রসূল ৯/৫৬৭, ক্বওয়া‘িয়দুত তাহদীছ ১/৫৫, তিরমিযী শরীফ, শরহুল বুখারী ১/৪০৯, মিরক্বাত শরীফ ১/২৬২, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
এখন বলার বিষয় হচ্ছে- একটি সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলে যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান করা যায়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যারা মুহব্বত করবেন, তাদের ফায়ছালা কী হবে? তারা কার সাথে, কোন্ জান্নাতে অবস্থান করবে?
মূলত, অবশ্য অবশ্যই ওই সকল ব্যক্তিরা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সর্বোচ্চ জান্নাত মুবারক-এ চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে এবং উনার ও উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক ও জিয়ারত মুবারক-এ আবাদুল-আবাদের তরে মশগূল থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَـلِـىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَرْبَعَةٌ اَنَا لَـهُمْ شَفِيْعٌ يَّوْمَ الْقِيَامَةِ الْـمُكْرِمُ لـِذُرِّيَـتِـىْ وَالْقَاضِىْ لَـهُمْ حَوَائِجَهُمْ وَالسَّاعِىْ لَـهُمْ فِـىْ اُمُوْرِهِمْ عِنْدَ مَا اضْطَرُّوْا اِلَيْهِ وَالْمُحِبُّ لَـهُمْ بِقَلْبِهٖ وَلِسَانِهٖ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন চার শ্রেণীর লোকদের সুপারিশ করবো- এক. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মান করবে। দুই. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মালী তথা আর্থিকভাবে খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিবে। তিন. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে জান দিয়ে তথা শরীরিকভাবে সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিবে। এবং চার. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অন্তরে মুহব্বত করবে এবং জবানে উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করবে। সুবহানাল্লাহ! (জামিউল আহাদীছ ৪/২২৯, জামউল জাওয়ামি’, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ৭/১১, দায়লামী শরীফ)
অতএব, আমাদের প্রাণপ্রিয় সাইয়্যিদাতুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, বুযূর্গী-সম্মান এক কথাতেই স্পষ্ট ফুটে উঠে। অধিক বর্ণনার প্রয়োজন নেই। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার পরিচয় মুবারক:
পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ এবং যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম খলিফাতুল্লাহ, খলীফাতুর রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত, ওয়াত ত্বরীকত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, গাউসুল আ’যম, আওলাদুর রসুল সাইয়্যিদুনা ইমাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী হযরত মামদূহ্ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা সঙ্গিনী তথা পবিত্রা যাওজাতুম মুকাররমাহ হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরেজাহান, হাবীবাতুল্লাহ আমাদের প্রাণের আক্বা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি।
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। এবং এ যামানার খালিছ লক্ষ্যস্থল মাহবুবা ওলী।
সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার আক্বা ও শায়েখ আওলাদে রসূল হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, উনার মুবারক রঙে রঞ্জিত। উনার সুমহান জীবন মুবারক প্রবাহের সাথে উনার তাজদীদ মুবারক এত ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে, যার কারণে এ কথা আজ প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য যে, যদি মহিলা অঙ্গনে কেউ মুজাদ্দিদ হতেন, তাহলে সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হতেন সেই মুজাদ্দিদ। সুবহানাল্লাহ্!
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনারা কোনো দিনার-দিরহাম রেখে জাননি, রেখে গেছেন নায়েবে রসূল তথা উনাদের উত্তরসূরি মহান আল্লাহ্ পাক উনার ওলী উনাদের। ঠিক তেমনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও তদ্রুপ কোনো দিনার দিরহাম রেখে যাননি, রেখে গেছেন উনাদের খাছ উত্তরসূরি এবং ক্বায়িম-মাক্বাম উনাদের মধ্যে বিশিষ্ট ও আখাছুল খাছ একজন হচ্ছেন বর্তমান যামানার খাছ মুয়াল্লিমা, আলিমাতুস্ সুন্নাহ, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, উম্মুল উমাম প্রাণপ্রিয়া হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি।
ইলম উনার যতগুলো শাখা মুবারক রয়েছে প্রতিটি শাখা মুবারক উনার মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার রয়েছে পূর্ণ বিচরণ। তিনি বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে নববী ইলম মুবারক দ্বারা খাছভাবে ঐশ্বর্যমন্ডিত। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, তাফসীর, শরাহ, ফিকাহ্, ইতিহাস ইত্যাদি সহ সমস্ত বিষয়ে এবং প্রত্যেক স্তরে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর কিবলা আলাইহাস সালাম উনার রয়েছে ব্যাপক ইলম ও প্রজ্ঞা। সর্বোপরি বেশুমার ইলমে লাদুন্নী উনার দ্বারা তিনি সুসজ্জিত। সুবহানাল্লাহ!
তিনি পথহারা নারীদের পথপ্রর্দশিকা এবং সমস্ত পথভোলা নারীদের হেদায়েতের সর্বোত্তম ও একমাত্র উসীলা। আর তাই হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নতী সীরত-ছূরত মুবারক এবং সুন্নত মুবারক উনার উপর দৃঢ়তা এবং আমল-আখলাক মুবারক উনার পূর্ণতা, ইবাদত-বন্দেগী মুবারক উনার স¦চ্ছতা, অসীম ধৈর্যশীলতা, দয়া-দানের উদারতা, নৈতিক বদান্যতা, ইস্তিকামতের ক্ষেত্রে অবিচলতা, পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ পালনে একনিষ্ঠতা ইত্যাদি সার্বিক মুবারক গুণাবলী সমৃদ্ধ চারিত্রিক আকর্ষণে প্রভাবিত হয়ে হিদায়েতশূন্য নারীরা প্রতিনিয়ত হিদায়েত হচ্ছে।
সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, হাবীবাতুল্লাহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সত্যিকার অর্থেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের ওলীআল্লাহ্। তাই তিনি উনার যাবতীয় কার্যক্রমই শুধুমাত্র মহান বারে ইলাহী, হাবীবে আ’যম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক উনার মধ্য দিয়েই করে থাকেন। যদিও তিনি সর্বক্ষণ চূড়ান্ত সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক উনার মধ্যে রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ্!
সম্মানিত লক্বব মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَ لِلّٰهِ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা আহ্বান করো।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮০)
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বা ব্যাখ্যায় বর্ণিত রয়েছে-
وَلرسُوْلِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا
অর্থ: “এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করো।” সুবহানাল্লাহ!
এবং ঠিক একইভাবে-
وَلِاَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهم بِـهَا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাদেরকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব দ্বারা সম্বোধন করো।” সুবহানাল্লাহ!
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ, সম্মানিত হাদীছ শরীফ এবং ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের দ্বারা প্রমাণিত যে, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদের সম্মানিত লক্বব মুবারক দিয়ে সম্বোধন করাটাই আদব, সুন্নত এবং রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং প্রানপ্রিয় সাইয়্যিদাতুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করা দোষনীয় নয়, বরং আদব, সুন্নত এবং রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ!
প্রাণপ্রিয় আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার লক্বব মুবারক-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বাত, বাহরুল উলূম, নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, উম্মুল খইর, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, ত্বহিরাতুন নিসা, হামীদাতুন নিসা, মাজীদাতুন নিসা, নাজিয়াতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন, আত্বায়ে রসূল, ওলীয়ে মাদারযাদ, ছিদ্দীক্বায়ে কুবরা, ছাহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাদীয়ে যামান, মাহবুবায়ে ইলাহী, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল কায়িনাত, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী ওয়াল হানাফী ওয়াল মাতুরীদী ওয়াল ক্বাদিরী ওয়াল চীশতী ওয়াল নকশাবন্দী ওয়াল মুজাদ্দিদী ওয়াল মুহম্মদী (রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা, বাংলাদেশ)।
এত মর্যাদা-মর্তবা বুযুর্গী-সম্মান থাকার পরও যারা মানবে না, ব্যঙ্গ করবে, অনীহা প্রকাশ করবে, তারা অবশ্যই এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মেছদাক হবে,
خَتَمَ اللَّـهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰ أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ ﴿٧﴾
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের অন্তর মোহরঙ্কিত করে দিয়েছেন তাদের কানে রয়েছে ঢিপা এবং তাদের দৃষ্টির উপর রয়েছে পর্দা এবং তাদের জন্য রয়েছে বড় শাস্তি।” (সম্মানিত সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
অতএব, তারা বুঝেও বুঝবেনা, তারা দেখেও দেখবে না, শুনেও শুনবে না। তারা হবে পশুর মতো, ‘বালহুম আদল’। নাউযুবিল্লাহ! তারা মনে করে থাকে, তারাই হক্ব, তারাই সত্য পথে আছে কিন্তু দেখা যায় আচার-আচরণে তারা নাহক্ব। তারা মিথ্যার জালে জর্জড়িত। নাউযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে সে কথাই বলে দিয়েছেন,
وَإِذَا لَقُوا الَّذِينَ آمَنُوا قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا إِلَىٰ شَيَاطِينِهِمْ قَالُوا إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ ﴿١٤﴾
অর্থ: “যখন তারা মু’মিনদের সাথে সাক্ষাৎ করে তখন তারা বলে, আমরাও ঈমান এনেছি, আর যখন তারা একাকী বা নিরিবিলিতে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয়। তখন তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা শুধুমাত্র উপহাসকারী।” নাউযুবিল্লাহ! (সম্মানিত সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪)
অর্থাৎ তারা শয়তানের খাছ শাগরেদ। নাউযুবিল্লাহ!
খালিছ লক্ষ্যস্থল ওলী উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি অবশ্যই অন্যতম এবং শ্রেষ্ঠা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلَا اِنَّ اَوْلِيَاءَ اللّٰهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَ لَاهُمْ يَحْزَنُوْنَ . اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَثَّقُوْنَ لَهُمُ الْبُشْرٰى فٍىْ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَ فِىْ الاٰخِرَةِ لاَ تَبْدِيْلَ لِكَلِمَاتِ اللّٰهِ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُالْعَظِيْمُ
অর্থ: “তোমরা সকলেই সতর্ক হয়ে যাও। নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই, চিন্তা-পেরেশানী নেই। যারা ঈমান এনেছেন, মু’মিনে কামিল হয়েছেন এবং যারা দায়েমীভাবে তাক্বওয়ার উপর রয়েছেন। উনাদের জন্য ইহকাল-পরকালে সুসংবাদ রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার বাণীর কোনো পরিবর্তন নেই। এটা হচ্ছে বিরাট সফলতা, বিরাট কামিয়াবী।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২, ৬৩, ৬৪)
অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَا تَهِنُوْا وَلَا تَحْزَنُوْا وَاَنْتُمُ الْاَعْلَوْنَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيِنَ .
অর্থ: “আপনারা চিন্তিত হবেন না, পেরেশানী হবেন না। আপনারাই কামিয়াবী হাছিল করবেন। উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছতে পারবেন যদি মু’মিন হতে পারেন।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১৩৯)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের খাছ মিছদাক আমাদের প্রাণপ্রিয়া উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। তিনি অবশ্যই
(ক) পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা-কিয়াস শরীফ উনাদের অনুসারে আমল করেন।
(খ) ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব, নফল ইত্যাদি সর্ব প্রকার ইবাদত-বন্দেগী করেন।
(গ) সুন্নত উনার সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্ম পায়রবী করেন।
(ঘ) আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদায় তিনি বিশ্বাস স্থাপন করেন।
(ঙ) হালাল রিযিক গ্রহণ করেন।
(চ) হারাম এবং যেকোনো সন্দে জনক বস্তু বা খাবার ও জিনিসপত্র এবং দ্রব্যাদি থেকে বেঁচে থাকেন।
(ছ) দায়েমীভাবে তাক্বওয়ার উপর রয়েছেন।
(জ) মু’মিনে কামিল হয়েছেন।
(ঝ) ইহকাল ও পরকালের সুসংবাদ লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ্!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ يُّطْعِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَه فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمًا
অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করবে, সে বিরাট সফলতা অর্জন করবে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭১)
আমাদের প্রাণের আক্বা মাখযানুল মা’রিফা, ছহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল মাহবুবা ওলী। সেহেতু তিনি তো অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতে মত রয়েছেন এবং থাকবেন। ইনশাআল্লাহ্! সুতরাং নিশ্চয়ই ইহকালে ও পরকালে উনার সফলতা অনিবার্য। শ্রদ্ধেয়া ইমামাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সর্বক্ষণ সুন্নত উনার ইত্তেবা করে থাকেন এবং আমাদেরও তা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। ঘরে-বাইরে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানে, যার যার সংসারে প্রতিটা কাজের মধ্যেই সুন্নত উনার আমল কিভাবে করতে হবে তা উনার মুরীদানদের শিখিয়ে দিচ্ছেন এবং জানিয়ে দিচ্ছেন।
একজন গৃহিনীর ঘর-সংসারের রান্না-বান্নার কাজ থেকে শুরু করে সন্তান-সন্ততি লালন-পালন পর্যন্ত কিভাবে সুন্নত মুতাবিক করতে হবে তা তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক্ব, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর হক্ব, পিতা-মাতার হক্ব, সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার দায়িত্ব-কর্তব্য, পরিবারের অন্যান্যদের প্রতি একজন মহিলা কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে ইত্যাদি বিষয়েও তিনি মুবারক নছিহত করেন। মহিলাদের সুন্নতী পোশাক এবং বোরকা তৈরি করা শেখানো উনার মুবারক তাজদীদসমূহ উনাদের অন্যতম অনবদ্য একখানা তাজদীদ মুবারক। শ্রদ্ধেয়া হাদীউন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলা মুরীদানদের হাতে ধরে ধরে সুন্নতী জামা-সেলোয়ার কাটা এবং সেলাই করা শিখিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে এখন হাজারো হাজারো মহিলারা খাছ সুন্নতী জামা পছন্দ করছেন এবং পরছেন। কোণাফাড়া, বিদয়াত পোশাক বাদ দিয়ে সুন্নতী জামা-সেলোয়ার পরিধান করছেন। এমনকি বর্তমানে মায়েরা শিশুদের জন্মের পর থেকেই বিদয়াত অর্থাৎ বেদ্বীন-বদদ্বীনদের পোশাক না পরিয়ে সুন্নতী সেলোয়ার-ক্বামিছ পরাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!