হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার একখানা সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত উসীলা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ

 হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার একখানা সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত উসীলা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ)। সুবহানাল্লাহ! উনার সাথে সংশ্লিষ্ট এবং সম্প্রক্ত হয়াওর কারণে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বেমেছাল ফযীলতপূর্ন হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) হচ্ছেন হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার একখানা সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত উসীলা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! 

স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরয করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

 قُلْ لَّااَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِى الْقُرْبـٰى وَمَنْ يَّقْتَرِفْ حَسَنَةً نَّزِدْ لَه فِيْهَا حُسْنًا اِنَّ اللهَ غَفُوْرشَكُوْر 

অর্থ: “(আমার মাহবূব হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত বান্দাদেরকে, উম্মতদেরকে, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে) বলে দিন যে, তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় বা প্রতিদান চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। বরং তোমাদের জন্য এটা চিন্তা করাটাও কাট্টা কুফরী হবে। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে চাও, তাহলে তোমাদের জন্য ফরয হচ্ছে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া। আর যে ব্যক্তি কোনো নেক কাজ করে আমি তার সেই নেকীকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকি। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল এবং সর্বোত্তম প্রতিদান দানকারী।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা শূরা শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ২৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَحِبُّوا اللهَ لِمَا يَغْذُوْكُمْ مِّنْ نِّـعْمَةٍ وَّاَحِبُّوْنِـىْ لـِحُبِّ اللهِ وَاَحِبُّوْا اَهْلَ بَــيْـتِـىْ لِـحُبِّىْ. 

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। কেননা তিনি তোমাদেরকে খাদ্যসামগ্রীসহ সার্বিকভাবে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফাত মুবারক পেতে হলে, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক পেতে হলে আমাকে মুহব্বত করো। আর তোমরা আমার সম্মানিত মুহব্বত-মা’রিফাত মুবারক পেতে হলে, সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক পেতে হলে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরাকে হাকিম শরীফ, ত্ববারনী শরীফ, শু‘য়াবুল ঈমান শরীফ)

উপরোক্ত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা আমাদের জন্য, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরয করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি আমাদেরকে, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার প্রতি সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ মুবারক, সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম হুসনে যন মুবারক পোষণ করে খালিছভাবে উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার, সম্মানিত ত’যীম-তাকরীম মুবারক করার, সম্মানিত গোলামির আনজাম দেয়ার মাধ্যমে উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার কোশেশে দায়িমীভাবে মশগুল থাকে অনন্তকালব্যপী হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!


 রাহবারে সাইয়্যিদাহ, মাশুকায়ে ইলাহী, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক পোশাক পরিধান, উনার মুবারক চাল-চলন, উনার মুবারক কথা-বার্তা সবসময়ের জন্য সুন্নতী সাজে সজ্জিত।

 রাহবারে সাইয়্যিদাহ, মাশুকায়ে ইলাহী, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক পোশাক পরিধান, উনার মুবারক চাল-চলন, উনার মুবারক কথা-বার্তা সবসময়ের জন্য সুন্নতী সাজে সজ্জিত।

নূরে জাহান, বাহরুল আ’লিমা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি নিজে যেমন শরীয়ত মুতাবিক খাছ পর্দা করেছেন এবং করছেন, তেমনি উনার স্বীয় আওলাদ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, হযরত শাহযাদী ক্বিবলাদ্বয় আলাইহিমাস সালাম, হযরত শাহনাওয়াসী ক্বিবলাতুন আলাইহিমুস সালাম, হযরত শাহদামাদ ক্বিবলাদ্বয় আলাইহিমাস সালাম উনাদের প্রত্যেককেও সেই খাছ পর্দার মধ্যেই রেখেছেন। এবং সকল মুরীদানদের মহান আল্লাহ পাক উনার ফরয হুকুম পালন করার জন্য নছিহত মুবারক করছেন। সুবহানাল্লাহ্!  

হযরত সাইয়্যিদাতুন নিসা উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম ‘স্বাধীনা’ মহিলা এবং পরাধীন মহিলা বা দাসীদের মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন। পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবিক যারা পর্দা করবে, পর্দার মধ্যে ঘরে অবস্থান করবে এমনকি প্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে বের হবে তারাই মূলত ‘স্বাধীন’ মহিলা। এমন পর্দানশীন মহিলা যখন ঘর থেকে বের হন তখন তাকে কেউ উত্ত্যক্ত করে না বরং প্রত্যেকে উনাকে সম্মান করে।

আর যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন খতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ অমান্য করে বেপর্দা অবস্থায় থাকে অথবা ঘর থেকে বের হয়, তারাই মূলত ‘পরাধীন’ মহিলা। এমন বেপর্দা মহিলা যখন ঘরে-বাইরে, রাস্তা-ঘাটে, অফিস-আদালতে অর্থাৎ যার যার কর্মক্ষেত্রে অবস্থান করে তখনই তারা বেপর্দার কারণে উত্ত্যক্ত হয় অর্থাৎ শয়তানের উঁকিঝুঁকি দেয়ার ফলেই তারা নিজেদের অবমাননা নিজেরাই ডেকে আনে। নাউযুবিল্লাহ্!

উদাহরণস¦রূপ পেশ করা যায় যে, রাস্তার খোলা খাবার অথবা মিষ্টির দোকানের খোলা মিষ্টি সুরচিপূর্ণ ব্যক্তিরা কিনতে চান না বা খেতেও চান না। তার একটাই কারণ এসব খোলা খাবারের উপর মশা মাছি এবং ধুলোবালি পড়ে থাকে। আর সেটাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, যেসব মহিলা পর্দা করে না বা হাত, মুখ, পা খোলা অবস্থায় ঘরের বাইরে বের হয় তারা অবশ্যই পরাধীন মহিলা অথবা দাসীর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং ‘নারীর স্বাধীনতা’ নয়, বরং নারী পরাধীনতার পরিচয় এখানে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়।

শুধু তাই নয়, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম ‘নারীদের সমান অধিকারের’ বিষয় তথা সমধিকার সম্পর্কে সজাগ করে দিচ্ছেন। তথাকথিত নারীবাদীরা মনে করে, সমধিকার বলতে একজন পুরুষ যে কাজ করতে পারে একজন নারী তাদের পাশে থেকে সে কাজই করবে। নাউযুবিল্লাহ্! বরং তাদের এ ধারণাই ভুল, মিথ্যা এবং ধোঁকাপূর্ণ।

‘সমধিকার’ বলতে এটাই বুঝানো হয়, যার যা অধিকার রয়েছে সেটা পরিবারেরই হোক আর সমাজেরই হোক না কেন; তার অধিকার গুলোরই তার নিজস্ব গুণাবলীতে বা বৈশিষ্ট্যে বাস্তবায়ন করা। তার মানে এই নয় যে, নারী-পুরুষ একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রে কাজ করবে। তাদের এ কথার দাবির ফলশ্রুতিতে যা হয়-

প্রথমত: বেপর্দা হতে হয়। আর যখনই বেপর্দা হয়, পবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবিক তখন শয়তান পাপ কাজে লিপ্ত করার জন্য উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে।

দ্বিতীয়ত: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ اِلَّا كَانَ ثَالِثُهُمَا الشَّيْطَانُ

অর্থ: “যখন কোনো পুরুষ কোনো (বেগানা) মহিলার সাথে একাকী বা নিরিবিলিতে মিলিত হয়, তখন তাদের তৃতীয় সঙ্গী হয় শয়তান।”

অর্থাৎ তখন শয়তান তাদেরকে পাপ কাজে উদ্ভুদ্ধ করে, এমনকি পাপ কাজে লিপ্ত করে দেয়। ফলে শুরু হয় ফিতনা-ফাসাদ। ফলে একজন নারী নিজেই শুধু পাপে লিপ্ত হয় না অন্যকেও তার সাথে পাপিষ্ঠ করে। নিজেই পরিবারে, সমাজে হেয় ঘৃণিত হয় আবার অপরজনকেও একই অবস্থার সম্মুখীন করে। নিজেরা এই অপকর্মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং সাথে সাথে অন্যদেরকেও এই নোংরা পথে আসার জন্য প্রলুব্ধ করে ও সহায়তা করে। মাঝখান থেকে ফায়দাটা হয় কার? ফায়দা হয় খোদ ইবলিস শয়তানের এবং তার চেলা ইসলামবিদ্বেষী কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের। এরা বিভিন্নভাবে খুশি প্রকাশ করতে থাকে। নারীদের অধঃপতিত অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন দেখে শয়তান এবং বিধর্মীরা আত্মতৃপ্তি লাভ করে। কলুষিত জীবন নারীকে দুনিয়ায় যেমন লাঞ্ছিত করে পরকালেও নিজেকে এবং তার সাথে সম্পৃক্ত পুরুষ, স্বামী, মা-বাবা সবাইকে জাহান্নামী করে। আর সেজন্যই সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম কালের বিভীষিকায় অন্ধকারাচ্ছন্ন সমধিকারের উক্ত ধ্যান-ধারণাই সকলকে ত্যাগ করতে বলেছেন।

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পুরুষ তত্ত্বাবধায়ক তার পরিবারের। আর মহিলা তত্ত্বাবধায়ক তার স্বামীর ঘরের ও তার সন্তানের।” (বুখারী শরীফ)

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুরুষ জাতির কর্মপরিধিকে মহিলা জাতির কর্মপরিধি থেকে পৃথক করে দিয়েছেন। সে মুতাবিক মহিলাগণ বাড়ির ভেতরের জন্য দায়িত্বশীল। তবে শরীয়তের ফায়সালা এমন নয় যে- বিশেষ শরয়ী প্রয়োজন হলে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। অবশ্যই প্রয়োজনে আপাদমস্তক ঢেকে পর্দাসহ বের হতে পারবে। কাজেই পুরুষ এবং নারী উভয়ই যার যার অবস্থানে অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাবান। সুবহানাল্লাহ্! 

অথচ কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা দ্বীন ইসলাম প্রদত্ত নারীদের এত সম্মান-মর্যাদা দেখে হিংসাবশত তথাকথিত সমাজে প্রচলিত ‘নারী স্বাধীনতা, ‘নারী অধিকার, ‘সমধিকার’ প্রভৃতি শরীয়ত বিরোধী ধোঁকাপূর্ণ এবং মিথ্যা দাবিতে তথাকথিত নারীবাদীদের উস্কিয়ে দিয়ে তাদের পরিবারে, সমাজে ক্ষতিসাধন করছে। 

সুতরাং বিধর্মীদের এই পাতানো ফাঁদ থেকে অর্থাৎ তাদের হিংসাবশত ষড়যন্ত্র থেকে নারীসমাজ যাতে মুক্তি লাভ করে সেটারই বলিষ্ঠ আহবান জানাচ্ছেন আমাদের প্রাণ-প্রিয়া সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ্!

সাইয়্যিদাতুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম যেহেতু খাছ মুয়াল্লিমা। তাই উনার দ্বীনী শিক্ষার ব্যাপকতা সর্বত্রময়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 

اَلْعِلْمُ نُوْرٌ

অর্থ: “ইলম হচ্ছে নূর বা আলো।”

সুতরাং এই ইলমের আলো তিনি চারিদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

উনার প্রতিষ্ঠিত আদর্শ বিদ্যাপিঠ ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা মাদরাসা একটি আদর্শ দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উক্ত মাদরাসায় দ্বীনী ইলম অর্থাৎ (পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা-ক্বিয়াস শরীফ সম্বলিত বিধান) অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ, ইলমে তাছাউফসহ সমস্ত শিক্ষাই প্রদান করে থাকেন। আরবী, ইংরেজি, বাংলা, উর্দু, বিজ্ঞান, আক্বাইদ, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ও এই মাদরাসায় পড়ানো হয়ে থাকে। 

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اَلدِّيْنُ كُلُّه اَدَبٌ

অর্থ: “দ্বীন পুরোটাই হচ্ছে আদব ও শিষ্টাচারের সমন্বয়।” 

আর তাই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে শ্রদ্ধেয়া উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম এই মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ আরো যত মহিলা মুরীদান রয়েছেন প্রত্যেককে আদব, শরাফত, ভদ্রতা, শিষ্টাচার শিক্ষা প্রদান করে থাকেন। তাছাউফশূন্য মহিলাদের তাছাউফ শিক্ষা দিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মা’রিফত অর্জন করার জন্য যিকির-ফিকির উনাদের তর্য-তরীক্বা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। অন্তর পরিশুদ্ধ করার অর্থাৎ শয়তান দূর করার উক্ত শিক্ষাই উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি দিয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اُذْكُرُواْ نِعْمَةَ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ

অর্থ: “তোমাদেরকে যে নিয়ামত মুবারক দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামত মুবারক উনাকে স্মরণ করো।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَا زَيْدَنَّكُمْ

অর্থ: “তোমরা যদি নিয়ামত মুবারক উনার শুকরিয়া আদায় করো তাহলে তোমাদের প্রতি নিয়ামত মুবারক বৃদ্ধি করে দেয়া হবে।”

সুতরাং আমরা এই পরম রহমতপূর্ণ-নিয়ামতপূর্ণ ৭ই শরীফ যেমন স্মরণ রাখবো এবং সাথে সাথে পালন করবো। ঠিক তেমনি সাইয়িদাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে যে আমাদের মাঝে এত মহান নিয়ামতস্বরূপ পাঠনো হলো, সেই নিয়ামতের ক্বদর করে উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে হাক্বীক্বী দ্বীনী শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে নেক্কার পরহেযগার মু’মিনা হওয়ার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ্! তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের মহিলাদের নিয়ামত আরো বৃদ্ধি করে দিবেন। অর্থাৎ আমরা প্রত্যেক মহিলারা সবসময় খাছ নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকিনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারবো। ইনশাআল্লাহ! 


 সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামিন আমাদের প্রাণের আক্বা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম

সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামিন আমাদের প্রাণের আক্বা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্য; যিনি রহমত বর্ষণ করেন কুল-কায়িনাতের উপর। লক্ষ্য-কোটি পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন,নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি রহমতুল্লিল আলামীন, উনার খাছ ইহসান মুবারক উনার উসীলায় আমরা ঈমান-আক্বীদা নিয়ে বেঁচে আছি। আরো বিশুদ্ধ সলাত ও ছালাত মুবারক পেশ করছি যামানার সুমহান মুযাদ্দিদ, মুযাদ্দিদে আ’যম, আমাদের প্রাণের আক্বা, আমাদের শায়েখ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতুর রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, উম্মুল খয়ির, উম্মুল মু’মিনীন, নূরে জাহান, গুলে মুবিনা, আফদ্বালুন নিসা, উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরীদীন, আমাদের প্রাণের আক্বা মুহতারমা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পাক ক্বদম মুবারকে, উনাদের উসীলায় আমরা হক্ব মত পথের উপর ইস্তিকামত আছি।

সম্মানিত আরবি মাস উনাদের মধ্যে অধিক মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত মাস মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদুল আসইয়াদ সাইয়্যিদুশ শুহূর শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ। অফুরন্ত বারাকাত, ফুয়ুজাত ও রহমত মুবারক লাভের মাসই হচ্ছেন এই মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আসইয়াদ সাইয়্যিদুশ শুহূর শাহরুল আ’যম শরীফ মাস। এই পবিত্র ও সম্মানিত মাস উনার ১২ই শরীফ, কুল-কায়িনাতবাসীরা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে থাকে। তাছাড়া আমরা আরো খুশি প্রকাশ করে থাকি আমাদের প্রাণের আক্বা আমাদের শায়েখ হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ উপলক্ষে এই ১২ই শরীফ উনার মুবারক দিনে। শুধু তাই নয়; আমরা আরো ঈদ প্রকাশ করে থাকি আমাদের প্রাণের আক্বা, সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, হাবীবাতুল্লাহ, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে ৭ই শরীফে। আর তাই মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আসইয়াদ সাইয়্যিদুশ শুহূর শাহরুল আ’যম শরীফ মাসে আমাদের মাঝে ঈদের পর ঈদ বয়ে আনে।

“চাঁদ আকাশে উঠেছে আজ

ঘরে ঘরে আনন্দ আজ

শহরে শহরে আনন্দ আজ

পথে পথে আনন্দ আজ

সারা আলমে ঈদ আজ”

সাইয়্যিদুল আসইয়াদ সাইয়্যিদুশ শুহূর শাহরুল মহাপবিত্র রবিউল আউওয়াল শরীফ উনার সম্মানিত ৭ তারিখ- হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:

প্রগাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনের দিকে ধাবমান নারী সমাজ যখন ডুকরে ডুকরে নিভৃতে কেঁদে ফিরে, যখন তাদের ইজ্জত আবরু হয় ধূলায় লুণ্ঠিত, আকাশে বাতাসে লা’নতের বোঝা নিয়ে যাদের জিন্দেগীর পথ চলা- ঠিক সে সময় কালের আবর্তে বহমান ধারায় ধরাতে তাশরীফ মুবারক নিলেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, বাহরুল আলিমা, হাবীবাতুল্লাহ আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। কালের অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যাওয়া সেই নারী জাতিদের আলোর পথে আনার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালিন, ইমামুুল মুরসালিন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সাল্লাম উনাদের আদর্শ মুবারক দ্বারা আদর্শিতা করেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে দুনিয়ার বুকে প্রেরণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ্!

আর তাই মহাপবিত্র ৭ই শরীফে উনার এই মহিমান্বিত মুবারক বিলাদতী শাান মুবারক প্রকাশ দিবসে আমরা উনাকে জানাই শত-সহস্র লক্ষ-কোটি ছলাত ও সালাম। 

“নূরে আলিমা এসেছেন

ধরার বুকেতে।

নূরে হাবীবা এসেছেন ধরার বুকেতে।

কূল-ক্বায়িনাত আজ দিশেহারা

খুশিতে মাতোয়ারা

বিলাদতে আম্মাজী ক্বিবলা উনার

ধরা আত্মহারা।


রহমতী মেহরুবা, সাইয়্যিদা ত্বইয়্যিবাহ

মুর্শিদী দিলরুবা

তিনি রহমানী হাবীবা।

তিনি আলমের রহমতস্বরূপ

এসেছেন ধরার বুকে

দুরূদ শরীফ পড় আজ

সকলে মিলে মিশে।”

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

اِنَّ ذِكْرَ الصَّالـحِيْنَ تَنْزِلُ الرَّحْمَةُ

অর্থ: “নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনাদের আলোচনা মুবারক করলে সম্মানিত রহমত মুবারক নাযিল হয়।” সুবহানাল্লাহ্! (ইহইয়ায়ে ‘উলূমিদ্দীন, ফাদ্বাইলে আশারাহ লিযামাখশারী, কাশফুল খফা) 

এখন চিন্তা-ফিকিরে বিষয় যে, যদি ওলীআল্লাহ উনাদের আলোচনা মুবারক করলে সম্মানিত রহমত মুবারক নাযিল হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত সাওয়ানেহ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করলে, উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করলে কতটুকু রহমত বর্ষিত হবে, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার বাইরে। সুবহানাল্লাহ!

প্রকৃত কথা হলো, যারা উনাদের সম্মানিত সাওয়ানেহ ‘উমরী মুবারক আলোচনা করবে, উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করবে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আখচ্ছুল খাছ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, মা’রিফাত-মুহব্বত মুবারক, তাওয়াল্লুক-নিসবত মুবারক হাছিল করবে। সুবহানাল্লাহ!

হযরত মাওলানা জালালুদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মছনবী শরীফ’ উনার ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, “যারা ‘মছনবী শরীফ’ পাঠ করবে, তারা ওলীআল্লাহ না হলেও ‘মছনবী শরীফ’ পাঠ করা অবস্থায় তাদের নামগুলো ওলীআল্লাহ উনাদের দফতরে লিখা থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!

আর হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মাকতূবাত শরীফ’ উনার ব্যাপারে বর্ণিত আছে, “কেউ যদি উনার সম্মানিত ‘মাকতূবাত শরীফ’ পাঠ করে, ‘মাকতূবাত শরীফ’ পাঠ করা অবস্থায় তার নাম ‘সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক’ উনার দফতরে লিখা হয়।” সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, 

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحَبَّ سُنَّتِـىْ فَقَدْ اَحَبَّـنِـىْ وَمَنْ اَحَبَّنِـىْ كَانَ مَعِـى فِـى الْـجَنَّةِ

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো একটি সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলো, সে মূলত আমাকেই মুহব্বত করলো। আর যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করলো, সে মূলত আমার সাথেই সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তুহফাতুল আহওয়াযী বিশরহি জামি‘িত তিরমিযী ৭/৩৭১, জামি‘উল উছূল ফী আহাদীছির রসূল ৯/৫৬৭, ক্বওয়া‘িয়দুত তাহদীছ ১/৫৫, তিরমিযী শরীফ, শরহুল বুখারী ১/৪০৯, মিরক্বাত শরীফ ১/২৬২, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

এখন বলার বিষয় হচ্ছে- একটি সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলে যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান করা যায়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যারা মুহব্বত করবেন, তাদের ফায়ছালা কী হবে? তারা কার সাথে, কোন্ জান্নাতে অবস্থান করবে?

মূলত, অবশ্য অবশ্যই ওই সকল ব্যক্তিরা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সর্বোচ্চ জান্নাত মুবারক-এ চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে এবং উনার ও উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক ও জিয়ারত মুবারক-এ আবাদুল-আবাদের তরে মশগূল থাকবে। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ عَـلِـىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَرْبَعَةٌ اَنَا لَـهُمْ شَفِيْعٌ يَّوْمَ الْقِيَامَةِ الْـمُكْرِمُ لـِذُرِّيَـتِـىْ وَالْقَاضِىْ لَـهُمْ حَوَائِجَهُمْ وَالسَّاعِىْ لَـهُمْ فِـىْ اُمُوْرِهِمْ عِنْدَ مَا اضْطَرُّوْا اِلَيْهِ وَالْمُحِبُّ لَـهُمْ بِقَلْبِهٖ وَلِسَانِهٖ 

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন চার শ্রেণীর লোকদের সুপারিশ করবো- এক. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মান করবে। দুই. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মালী তথা আর্থিকভাবে খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিবে। তিন. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে জান দিয়ে তথা শরীরিকভাবে সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিবে। এবং চার. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অন্তরে মুহব্বত করবে এবং জবানে উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করবে। সুবহানাল্লাহ! (জামিউল আহাদীছ ৪/২২৯, জামউল জাওয়ামি’, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ৭/১১, দায়লামী শরীফ)

 অতএব, আমাদের প্রাণপ্রিয় সাইয়্যিদাতুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, বুযূর্গী-সম্মান এক কথাতেই স্পষ্ট ফুটে উঠে। অধিক বর্ণনার প্রয়োজন নেই। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার পরিচয় মুবারক:

পঞ্চদশ শতকের যিনি মুজাদ্দিদ এবং যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম খলিফাতুল্লাহ, খলীফাতুর রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত, ওয়াত ত্বরীকত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, গাউসুল আ’যম, আওলাদুর রসুল সাইয়্যিদুনা ইমাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী হযরত মামদূহ্ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা সঙ্গিনী তথা পবিত্রা যাওজাতুম মুকাররমাহ হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরেজাহান, হাবীবাতুল্লাহ আমাদের প্রাণের আক্বা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। 

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। এবং এ যামানার খালিছ লক্ষ্যস্থল মাহবুবা ওলী।

সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার আক্বা ও শায়েখ আওলাদে রসূল হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, উনার মুবারক রঙে রঞ্জিত। উনার সুমহান জীবন মুবারক প্রবাহের সাথে উনার তাজদীদ মুবারক এত ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে, যার কারণে এ কথা আজ প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য যে, যদি মহিলা অঙ্গনে কেউ মুজাদ্দিদ হতেন, তাহলে সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হতেন সেই মুজাদ্দিদ। সুবহানাল্লাহ্!

হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনারা কোনো দিনার-দিরহাম রেখে জাননি, রেখে গেছেন নায়েবে রসূল তথা উনাদের উত্তরসূরি মহান আল্লাহ্ পাক উনার ওলী উনাদের। ঠিক তেমনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও তদ্রুপ কোনো দিনার দিরহাম রেখে যাননি, রেখে গেছেন উনাদের খাছ উত্তরসূরি এবং ক্বায়িম-মাক্বাম উনাদের মধ্যে বিশিষ্ট ও আখাছুল খাছ একজন হচ্ছেন বর্তমান যামানার খাছ মুয়াল্লিমা, আলিমাতুস্ সুন্নাহ, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, উম্মুল উমাম প্রাণপ্রিয়া হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। 

ইলম উনার যতগুলো শাখা মুবারক রয়েছে প্রতিটি শাখা মুবারক উনার মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার রয়েছে পূর্ণ বিচরণ। তিনি বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে নববী ইলম মুবারক দ্বারা খাছভাবে ঐশ্বর্যমন্ডিত। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, তাফসীর, শরাহ, ফিকাহ্, ইতিহাস ইত্যাদি সহ সমস্ত বিষয়ে এবং প্রত্যেক স্তরে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর কিবলা আলাইহাস সালাম উনার রয়েছে ব্যাপক ইলম ও প্রজ্ঞা। সর্বোপরি বেশুমার ইলমে লাদুন্নী উনার দ্বারা তিনি সুসজ্জিত। সুবহানাল্লাহ!

তিনি পথহারা নারীদের পথপ্রর্দশিকা এবং সমস্ত পথভোলা নারীদের হেদায়েতের সর্বোত্তম ও একমাত্র উসীলা। আর তাই হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নতী সীরত-ছূরত মুবারক এবং সুন্নত মুবারক উনার উপর দৃঢ়তা এবং আমল-আখলাক মুবারক উনার পূর্ণতা, ইবাদত-বন্দেগী মুবারক উনার স¦চ্ছতা, অসীম ধৈর্যশীলতা, দয়া-দানের উদারতা, নৈতিক বদান্যতা, ইস্তিকামতের ক্ষেত্রে অবিচলতা, পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ পালনে একনিষ্ঠতা ইত্যাদি সার্বিক মুবারক গুণাবলী সমৃদ্ধ চারিত্রিক আকর্ষণে প্রভাবিত হয়ে হিদায়েতশূন্য নারীরা প্রতিনিয়ত হিদায়েত হচ্ছে।

সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, হাবীবাতুল্লাহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সত্যিকার অর্থেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের ওলীআল্লাহ্। তাই তিনি উনার যাবতীয় কার্যক্রমই শুধুমাত্র মহান বারে ইলাহী, হাবীবে আ’যম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক উনার মধ্য দিয়েই করে থাকেন। যদিও তিনি সর্বক্ষণ চূড়ান্ত সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক উনার মধ্যে রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ্!

সম্মানিত লক্বব মুবারক:

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَ لِلّٰهِ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা আহ্বান করো।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮০) 

এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বা ব্যাখ্যায় বর্ণিত রয়েছে-

وَلرسُوْلِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا

অর্থ: “এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করো।” সুবহানাল্লাহ!

এবং ঠিক একইভাবে-

وَلِاَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهم بِـهَا

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাদেরকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব দ্বারা সম্বোধন করো।” সুবহানাল্লাহ!

এই সম্মানিত আয়াত শরীফ, সম্মানিত হাদীছ শরীফ এবং ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের দ্বারা প্রমাণিত যে, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদের সম্মানিত লক্বব মুবারক দিয়ে সম্বোধন করাটাই আদব, সুন্নত এবং রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং প্রানপ্রিয় সাইয়্যিদাতুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করা দোষনীয় নয়, বরং আদব, সুন্নত এবং রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ!

প্রাণপ্রিয় আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার লক্বব মুবারক-

সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বাত, বাহরুল উলূম, নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, উম্মুল খইর, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, ত্বহিরাতুন নিসা, হামীদাতুন নিসা, মাজীদাতুন নিসা, নাজিয়াতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন, আত্বায়ে রসূল, ওলীয়ে মাদারযাদ, ছিদ্দীক্বায়ে কুবরা, ছাহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাদীয়ে যামান, মাহবুবায়ে ইলাহী, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল কায়িনাত, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী ওয়াল হানাফী ওয়াল মাতুরীদী ওয়াল ক্বাদিরী ওয়াল চীশতী ওয়াল নকশাবন্দী ওয়াল মুজাদ্দিদী ওয়াল মুহম্মদী (রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা, বাংলাদেশ)।

এত মর্যাদা-মর্তবা বুযুর্গী-সম্মান থাকার পরও যারা মানবে না, ব্যঙ্গ করবে, অনীহা প্রকাশ করবে, তারা অবশ্যই এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মেছদাক হবে, 

خَتَمَ اللَّـهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰ أَبْصَارِ‌هِمْ غِشَاوَةٌ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ ﴿٧﴾

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের অন্তর মোহরঙ্কিত করে দিয়েছেন তাদের কানে রয়েছে ঢিপা এবং তাদের দৃষ্টির উপর রয়েছে পর্দা এবং তাদের জন্য রয়েছে বড় শাস্তি।” (সম্মানিত সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭) 

অতএব, তারা বুঝেও বুঝবেনা, তারা দেখেও দেখবে না, শুনেও শুনবে না। তারা হবে পশুর মতো, ‘বালহুম আদল’। নাউযুবিল্লাহ! তারা মনে করে থাকে, তারাই হক্ব, তারাই সত্য পথে আছে কিন্তু দেখা যায় আচার-আচরণে তারা নাহক্ব। তারা মিথ্যার জালে জর্জড়িত। নাউযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে সে কথাই বলে দিয়েছেন,

وَإِذَا لَقُوا الَّذِينَ آمَنُوا قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا إِلَىٰ شَيَاطِينِهِمْ قَالُوا إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ ﴿١٤﴾

অর্থ: “যখন তারা মু’মিনদের সাথে সাক্ষাৎ করে তখন তারা বলে, আমরাও ঈমান এনেছি, আর যখন তারা একাকী বা নিরিবিলিতে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয়। তখন তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা শুধুমাত্র উপহাসকারী।” নাউযুবিল্লাহ! (সম্মানিত সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪) 

অর্থাৎ তারা শয়তানের খাছ শাগরেদ। নাউযুবিল্লাহ!

খালিছ লক্ষ্যস্থল ওলী উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি অবশ্যই অন্যতম এবং শ্রেষ্ঠা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلَا اِنَّ اَوْلِيَاءَ اللّٰهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَ لَاهُمْ يَحْزَنُوْنَ . اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَثَّقُوْنَ لَهُمُ الْبُشْرٰى فٍىْ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَ فِىْ الاٰخِرَةِ لاَ تَبْدِيْلَ لِكَلِمَاتِ اللّٰهِ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُالْعَظِيْمُ 

অর্থ: “তোমরা সকলেই সতর্ক হয়ে যাও। নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই, চিন্তা-পেরেশানী নেই। যারা ঈমান এনেছেন, মু’মিনে কামিল হয়েছেন এবং যারা দায়েমীভাবে তাক্বওয়ার উপর রয়েছেন। উনাদের জন্য ইহকাল-পরকালে সুসংবাদ রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার বাণীর কোনো পরিবর্তন নেই। এটা হচ্ছে বিরাট সফলতা, বিরাট কামিয়াবী।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২, ৬৩, ৬৪)

অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

وَلَا تَهِنُوْا وَلَا تَحْزَنُوْا وَاَنْتُمُ الْاَعْلَوْنَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيِنَ .

অর্থ: “আপনারা চিন্তিত হবেন না, পেরেশানী হবেন না। আপনারাই কামিয়াবী হাছিল করবেন। উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছতে পারবেন যদি মু’মিন হতে পারেন।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১৩৯)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের খাছ মিছদাক আমাদের প্রাণপ্রিয়া উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। তিনি অবশ্যই

(ক) পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা-কিয়াস শরীফ উনাদের অনুসারে আমল করেন।

(খ) ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব, নফল ইত্যাদি সর্ব প্রকার ইবাদত-বন্দেগী করেন।

(গ) সুন্নত উনার সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্ম পায়রবী করেন।

(ঘ) আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদায় তিনি বিশ্বাস স্থাপন করেন।

(ঙ) হালাল রিযিক গ্রহণ করেন।

(চ) হারাম এবং যেকোনো সন্দে জনক বস্তু বা খাবার ও জিনিসপত্র এবং দ্রব্যাদি থেকে বেঁচে থাকেন।

(ছ) দায়েমীভাবে তাক্বওয়ার উপর রয়েছেন।

(জ) মু’মিনে কামিল হয়েছেন।

(ঝ) ইহকাল ও পরকালের সুসংবাদ লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ্!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ يُّطْعِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَه فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمًا

অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করবে, সে বিরাট সফলতা অর্জন করবে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭১)

আমাদের প্রাণের আক্বা মাখযানুল মা’রিফা, ছহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল মাহবুবা ওলী। সেহেতু তিনি তো অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতে মত রয়েছেন এবং থাকবেন। ইনশাআল্লাহ্! সুতরাং নিশ্চয়ই ইহকালে ও পরকালে উনার সফলতা অনিবার্য। শ্রদ্ধেয়া ইমামাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সর্বক্ষণ সুন্নত উনার ইত্তেবা করে থাকেন এবং আমাদেরও তা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। ঘরে-বাইরে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানে, যার যার সংসারে প্রতিটা কাজের মধ্যেই সুন্নত উনার আমল কিভাবে করতে হবে তা উনার মুরীদানদের শিখিয়ে দিচ্ছেন এবং জানিয়ে দিচ্ছেন।

একজন গৃহিনীর ঘর-সংসারের রান্না-বান্নার কাজ থেকে শুরু করে সন্তান-সন্ততি লালন-পালন পর্যন্ত কিভাবে সুন্নত মুতাবিক করতে হবে তা তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক্ব, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর হক্ব, পিতা-মাতার হক্ব, সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার দায়িত্ব-কর্তব্য, পরিবারের অন্যান্যদের প্রতি একজন মহিলা কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে ইত্যাদি বিষয়েও তিনি মুবারক নছিহত করেন। মহিলাদের সুন্নতী পোশাক এবং বোরকা তৈরি করা শেখানো উনার মুবারক তাজদীদসমূহ উনাদের অন্যতম অনবদ্য একখানা তাজদীদ মুবারক। শ্রদ্ধেয়া হাদীউন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলা মুরীদানদের হাতে ধরে ধরে সুন্নতী জামা-সেলোয়ার কাটা এবং সেলাই করা শিখিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে এখন হাজারো হাজারো মহিলারা খাছ সুন্নতী জামা পছন্দ করছেন এবং পরছেন। কোণাফাড়া, বিদয়াত পোশাক বাদ দিয়ে সুন্নতী জামা-সেলোয়ার পরিধান করছেন। এমনকি বর্তমানে মায়েরা শিশুদের জন্মের পর থেকেই বিদয়াত অর্থাৎ বেদ্বীন-বদদ্বীনদের পোশাক না পরিয়ে সুন্নতী সেলোয়ার-ক্বামিছ পরাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! 


 সাইয়্যিদাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম- উনার মুবারক ছোহবতেই নারী জাতির মুক্তি ও কল্যাণ


 
সাইয়্যিদাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম- উনার মুবারক ছোহবতেই নারী জাতির মুক্তি ও কল্যাণ 

বর্তমান নারীদের অবস্থা অবলোকন করলে আফসুস করতে হয় যে, তারা শুধু নামেই ‘মুসলিম নারী’। কিন্তু তাদের হাল-হাক্বীক্বত, সীরত-ছূরত অন্যান্য বাতিল ধর্মাবলম্বীদের মতো। নাউযুবিল্লাহ্!

 প্রগতিশীল নারীবাদীদের দ্বারা উন্মুক্ত ‘নারী স্বাধীনতা’র আজ জয়-জয়কার। ‘নারী স্বাধীনতা’র নামে ঘর থেকে মহিলাদের বের করতে উদ্বুদ্ধ করা, বেপর্দা হওয়া, ছেলে-মেয়ে, উভয়ে বাজারে বাজারে ঘুরে বেড়ানোর প্রচলন, মহিলা পুরুষ একত্রে স্ব স্ব সহশিক্ষার স্থানে কর্মে নিয়োজিত ইত্যাদি কর্মকা-ের দাপটে আজ নারী সমাজ ডুকরে কাঁদছে। নিজেরাই বিসর্জন দিচ্ছে নিজ নিজ মান সম্ভ্রম। বিচ্যুত হচ্ছে স্বামীর সংসার, পরিবার, সমাজ থেকে। নিক্ষিপ্ত এসিডে ঝলসে যাচ্ছে, খুন হচ্ছে পরকীয়া প্রেমের কারণে। যৌতুকের কারণে একজন নারী সমাজে ঘাতক স্বামী, শ্বশুরবাড়ীর মানুষের কাছে হচ্ছে অত্যাচারিত। পাশাপশি এক মুঠো ভাতের আশায় নিজের সমস্ত ঈমান আমল নিঃশেষ করে একজন নারী বিকিয়ে দিচ্ছে তার মান-সম্মান। অথচ এই তথাকথিত নারীবাদীরা ‘মনের পর্দা’কে বড় বলে মনে করে থাকে আর বোরকার আড়ালে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখাকে ‘মূর্খ, গেঁয়ো’ মনে করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ্!

শিক্ষিত আধুনিক সমাজের জাঁকজমক সাজ-সজ্জাতে তারা বেসামাল। ঘর-সংসার ফেলে নাইটক্লাবে নাচ-গান, মদ পানে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকা, টিভি এবং মঞ্চ নাটক, সিনেমায় মত্ত থেকে জীবনটাকে উপভোগ করা, রাজনীতির নামে বেহায়াপনা, বেলাল্লাপনায় মত্ত থেকে নিজস্ব স্বকীয়তাকে বিসর্জন দিয়ে বড় বড় নেত্রী হওয়া এবং রাজপথে মিছিল-মিটিং করে অপর দলের নেতাকর্মী, পুলিশ বাহিনীর হাতে নিজেদের মান-সম্মান হারানো, নির্যাতিত হওয়া এসব হচ্ছে নারী স্বাধীনতার প্রাপ্তি। সমাজের এসব নারীরাই আবার নারী মুক্তি’র নামে অগ্রণী ভূমিকা পালনে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এরাই নারী মুক্তির পুরোধা বলে নিজেদের প্রকাশ করে।

আফসুস! কোন্ সমাজে, কোন্ দেশে, কোন্ যুগে আমরা বাস করছি। আমাদের মুসলমানিত্ব কোথায়? আমরা নারী। নারীদের সেই চিরাচরিত ‘লজ্জা’ আজ কোথায়? আমরা ‘আইয়্যামে জাহিলিয়াতের’ সেই যুগে এসে পড়েছি। ‘আইয়্যামে জাহিলিয়াতে’ মেয়েরা বেপর্দা হয়ে চলতো, বেশরা বিদয়াতে লিপ্ত থাকতো, বাজারে বাজারে ঘুরতো যা বর্তমানে দেখা যায়। ‘নারী স্বাধীনতা’র নামে, ‘নারী মুক্তি’র দিশারী নামে কলুষিত করে রেখেছে গোটা সমাজকে। অথচ কি অপমান! কি লজ্জা! নারীত্বের এই অবমাননা নারীদের দ্বারাই সংঘটিত হচ্ছে। এটা তাদেরই কর্মফল। নিজের জাত, সত্তা, বিসর্জনকারিনী অপয়ারা কিভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন, অসহায় নারীদের উদ্ধার করবে? নিজেদের মূর্খতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জাহেলীপনা আজ সত্যিই ইবলিশ শয়তানের খাস অনুচর হিসেবেই নিজেদেরকে প্রমান করেছে। এরা সত্যিই চরম লাঞ্ছিত এবং অপমানিত হচ্ছে, দুনিয়ার বুকে নিজেদের অপর্কমের ফলে ও দ্বীন ইসলাম উনার আদেশ নিষেধ না মানার কারণেই অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে না মানার কারণেই এবং যুগের ইমাম উনার ছোহবত মুবারক গ্রহণ না করার কারণে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে প্রগতিবাদী নারী সমাজের, ধোঁকা থেকে হিফাযত করে যুগের রাহবার প্রকৃত নারী মুক্তির অগ্রদূত, নারী জাতির মর্যাদার প্রতীক সাইয়্যিদাতুন নিসা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খাছ ছোহবত মুবারক উনার মাধ্যমে নারী জাতির প্রকৃত মুক্তি ও কল্যাণ নসীব করুন। (আমীন) 

“কে আছেন ধরার বুকে উনার মতো

উম্মাহাতুল মু’মিনীন উনাদের মতো

মায়া করেন পথ হারা নারীকুলের

ফেরান তিনি ঘরে সবার প্রতি জনে।”


 ফক্বীহাতুন নিসা আহলু বাইতে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, বুযূর্গী-সম্মান

ফক্বীহাতুন নিসা আহলু বাইতে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, বুযূর্গী-সম্মান 

মহান রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ لَّا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبٰى.

অর্থ: “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি জানিয়ে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। বরং এ ধরণের চিন্তা করাটাও কুফরী। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের গোলামীর আনজাম দেয়া।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩) 

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهُ صلَّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَحِبُّوْا اللّٰهَ لِمَا 

يَغْذُوْكُمْ مِّنْ نِعْمَةٍ وَاَحِبُّوْنِىْ لِحُبِّ اللّٰهِ وَاَحِبُّوْا اَهْلَ بَيْتِىْ لِحُبِّىْ

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। কেননা তিনি তোমাদের প্রতি রিযিক দানের মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে, যেহেতু আমি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব। আর আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার মুহব্বতে।”

অতএব, উম্মতের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের উসীলা হিসেবে হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা ও উনাদের গোলামী করা। 

আর সেজন্যই সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মুল মু’মিনীন, আমাদের প্রাণের আক্বা, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, গোলামী করা, ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য। কেননা তিনিও হযরত আহলে বাইতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত ও বিশেষ সম্মানিতা ব্যক্তিত্ব। তিনি যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত যাওজাতুম মুকাররমাহ। আর সে কারণেই অজস্র গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যসম্পন্না এবং যোগ্যতাসম্পন্না করেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে দুনিয়ার বুকে প্রেরণ করেছেনÑ যা কায়িনাতবাসীর জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে খাছ রহমত এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে খাছ ইহ্সান। আর তাই খালিছ লক্ষ্যস্থল ওলী উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি অবশ্যই অন্যতম এবং শ্রেষ্ঠা।

আমাদের প্রাণের আক্বা মাখযানুল মা’রিফা, ছহিবাতুল ইল্ম ওয়াল হিকাম, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম তিনি সর্বক্ষণ সুন্নত উনার ইত্তেবা করে থাকেন এবং আমাদেরও তা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। ঘরে-বাইরে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানে, যার যার সংসারে প্রতিটা কাজের মধ্যেই সুন্নত উনার আমল কিভাবে করতে হবে তা উনার মুরিদানদের শিখিয়ে দিচ্ছেন এবং জানিয়ে দিচ্ছেন। একজন গৃহিনীর ঘর-সংসারের রান্না-বান্নার কাজ থেকে শুরু করে সন্তান-সন্ততি লালন-পালন পর্যন্ত কিভাবে সুন্নত মুতাবিক করতে হবে তা তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক্ব, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর হক্ব, পিতা-মাতার হক্ব, সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার দায়িত্ব-কর্তব্য, পরিবারের অন্যান্যদের প্রতি একজন মহিলা কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে ইত্যাদি বিষয়েও তিনি মুবারক নছিহত করেন। মহিলাদের সুন্নতী পোশাক এবং বোরকা তৈরি করা শেখানো উনার মুবারক তাজদীদসমূহ উনাদের অন্যতম অনবদ্য একখানা তাজদীদ মুবারক। হাদীউন নিসা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহিলা মুরীদানদের হাতে ধরে ধরে সুন্নতী জামা-সেলোয়ার কাটা এবং সেলাই করা শিখিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে এখন হাজারো হাজারো মহিলারা খাছ সুন্নতী জামা পছন্দ করছেন এবং পরছেন। কোণাফাড়া, বিদয়াতী পোশাক বাদ দিয়ে সুন্নতী জামা-সেলোয়ার পরিধান করছেন। এমনকি বর্তমানে মায়েরা শিশুদের জন্মের পর থেকেই বিদয়াত অর্থাৎ বেদ্বীন-বদ্দ্বীনদের পোশাক না পরিয়ে সুন্নতী সেলোয়ার-ক্বামিছ পরাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে জাহান, বাহরুল আ’লিমা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি নিজে যেমন শরীয়ত মুতাবিক খাছ পর্দা করেছেন এবং করছেন তেমনি উনার স্বীয় আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রত্যেককেও সেই খাছ পর্দার মধ্যেই রেখেছেন। এবং সকল মুরীদানদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার ফরয হুকুম পালন করার জন্য নছিহত মুবারক করছেন। সুবহানাল্লাহ্!

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পুরুষ তত্ত্বাবধায়ক তার পরিবারের। আর মহিলা তত্ত্বাবধায়ক তার স্বামীর ঘরের ও তার সন্তানের।” (বুখারী শরীফ)

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুরুষ জাতির কর্মপরিধিকে মহিলা জাতির কর্মপরিধি থেকে পৃথক করে দিয়েছেন। সে মুতাবিক মহিলাগণ বাড়ির ভেতরের জন্য দায়িত্বশীল। তবে শরীয়তের ফায়সালা এমন নয় যে- বিশেষ শরয়ী প্রয়োজন হলে নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। অবশ্যই প্রয়োজনে আপাদমস্তক ঢেকে পর্দাসহ বের হতে পারবে। কাজেই পুরুষ এবং নারী উভয়ই যার যার অবস্থানে অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাবান। সুবহানাল্লাহ্! 

অথচ কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা দ্বীন ইসলাম প্রদত্ত নারীদের এত সম্মান-মর্যাদা দেখে হিংসাবশত তথাকথিত সমাজে প্রচলিত ‘নারী স্বাধীনতা’, ‘নারী অধিকার’, ‘সমধিকার’ প্রভৃতি শরীয়ত বিরোধী ধোঁকাপূর্ণ এবং মিথ্যা দাবিতে তথাকথিত নারীবাদীদের উস্কিয়ে দিয়ে তাদের পরিবারে, সমাজে ক্ষতিসাধন করছে। সুতরাং বির্ধমীদের এই পাতানো ফাঁদ থেকে অর্থাৎ তাদের হিংসাবশত ষড়যন্ত্র থেকে নারী সমাজ যাতে মুক্তি লাভ করে সেটারই বলিষ্ঠ আহবান জানাচ্ছেন আমাদের প্রাণ-প্রিয়া সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ্! 

সাইয়্যিদাতুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি যেহেতু খাছ মুয়াল্লিমা, তাই উনার দ্বীনী শিক্ষার ব্যাপকতা সর্বত্রময়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “ইল্ম হচ্ছে নূর বা আলো।”

সুতরাং এই ইল্মের আলো তিনি চারিদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার প্রতিষ্ঠিত আদর্শ বিদ্যাপিঠ ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা মাদরাসা’ একটি আদর্শ দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উক্ত মাদরাসায় দ্বীনী ইল্ম অর্থাৎ (পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা-কিয়াস শরীফ সম্বলিত বিধান) অর্থাৎ ইল্মে ফিক্বাহ, ইল্মে তাছাউফসহ সমস্ত শিক্ষাই প্রদান করে থাকেন। আরবী, ইংরেজি, বাংলা, উর্দু, বিজ্ঞান, আক্বাইদ, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ও এই মাদরাসায় পঠিত হয়ে থাকে।

শুধু তাই নয়, আজ এই ভয়াবহ ফিতনার যুগে তথাকথিত মহিলারা বেহায়া-বেলাল্লাপনার নগ্ন জীবন থেকে সাইয়্যিদাতুন নিসা, নূরে জাহান, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক নছিহত, দলিলসমৃদ্ধ আলোচনা শ্রবণ করে ফিরে আসছে দ্বীন ইসলাম উনার ছায়াতলে। যেসব নারী নিজেদের দ্বীন, নিজেদের অস্তিত্ব ভুলে হোঁচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল- সেই পথহারা নারী সমাজকে সত্যপথের দিকে আহ্বান করে যাচ্ছেন আমাদের প্রাণের আক্বা, নূরে জাহান, উম্মুল খয়ের সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

যেহেতু আমাদের প্রাণের আক্বা নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে খাছভাবে মনোনীত হয়েছেন। সেহেতু উনাকে মুহব্বত করা, তাযীম-তাকরীম করার সাথে সাথে উনাকে হাক্বীক্বীভাবে অনুসরণ করা প্রত্যেক মু’মিনা মহিলাদের জন্য ফরজ-ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা সাইয়িদাতুন নিসা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে হাক্বীক্বী দ্বীনী শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে নেক্কার পরহেযগার মু’মিনা হওয়ার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ্! তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের নিয়ামত আরো বৃদ্ধি করে দিবেন। অর্থাৎ আমরা প্রত্যেক মহিলারা সবসময় খাছ নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারবো। ইনশাআল্লাহ্!


 ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন্ নিসা, হাবীবাতুল্লাহ উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বর্তমান বিশ্বে আদর্শ নারী শিক্ষার সর্বোত্তম আলোক দিশারী

 ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন্ নিসা, হাবীবাতুল্লাহ উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বর্তমান বিশ্বে আদর্শ নারী শিক্ষার সর্বোত্তম আলোক দিশারী

যুগ থেকে যুগান্তরে, কাল থেকে কালান্তরে বিক্ষিপ্ত হৃদয়, অন্তরের অন্তর্দাহ জ্বালা-যন্ত্রণা বুকে চেপে পথভ্রান্ত পথিকের মতো পথ খুঁজে ফিরেছি মনে মনে, একান্ত নির্লিপ্তে শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে। অবশেষে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে কবুল করে নিলেন; ভুল পথ থেকে সঠিক পথের সন্ধান পেলাম এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পরম নিয়ামত মুবারক- যামানার লক্ষ্যস্থল, মুজাদ্দিদে আ’যম আমাদের প্রাণের আক্বা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারকে বাইয়াত হলাম এবং সাথে সাথেই নারীদের হিদায়েতের আলোকবর্তিকা মাখযানুল মা’রিফা, হাদীউন্ নিসা, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের সৌভাগ্য অর্জন করলাম এবং নিজেকে ধন্য মনে করলাম। কারণ তিনিই একমাত্র মা হওয়ার জন্য যত গুণ ও বৈশিষ্ট্যের দরকার তা আমলে, ইখলাছে, আক্বীদায়, ছিরতে-ছুরতে সার্বিক দিক থেকেই উনার রয়েছে এবং হাতে কলমে শিক্ষা-দীক্ষায় পরিপাটি করে উপযুক্ত করে গড়ে তুলছেন বর্তমান নারীদেরকে। বর্তমান বিশ্বে কোনো কিছুরই অভাব নেই, অভাব শুধু একজন আদর্শ, খোদাভীরু, নেককার, পরহেযগার মায়ের। যিনি একজন আদর্শ ও নেককার মা, তিনিই হচ্ছেন গোটা উম্মাহ্ তথা জাতির ইহকাল ও পরকালের সার্বিক উন্নতির চাবিকাঠি। বর্তমানে সীমাহীন অরাজকতার মূল কারণ হচ্ছে একজন আদর্শ মায়ের অভাব। আর আদর্শ মা গঠনে বর্তমান বিশ্বে একমাত্র প্রজ্ঞাসম্পন্না, অদ্বিতীয়া হিসাবে অক্লান্ত ত্যাগ-তিতীক্ষা, শ্রম-সাধনা দিয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখছেন, রাহবারে সাইয়্যিদাহ, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। উনার বরকতময় ছোহবত মুবারক উনার পরশে বর্তমান বিশ্বের মা-বোনেরা ফিরে পাচ্ছেন পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত হুবহু খাছ পর্দা-পুশিদা এবং বিশুদ্ধ ইলম, আমল-ইখলাছ। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে,

اُطْلُبُوْا اْلعِلْمَ مِنَ الْمَهْدِ اِلَى اللَّحْدِ

অর্থ: “দোলনা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম অর্জন করো।”

অথচ যে ইলম উনার কথা মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শিক্ষা দিয়েছেন সে ইলম মুবারক (ইলমে ফিক্বাহ, ইলমে তাছাউফ) সম্পর্কে আমরা একেবারেই বে-খবর। আফসুস হয় আমার জন্য এবং আমার মতো আরো সকল নারীদের জন্য। আমরা দুনিয়াবী অনেক বই-পুস্তক পড়েছি, অনেক দুনিয়াবী শিক্ষক-শিক্ষিকার ছোহবতে গিয়েছি এবং বিভিন্ন দুনিয়াবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেছি; কিন্তু সে ছোহবত ও লেখাপড়া আমাদের আদর্শ নারীতে পরিণত করতে পারেনি। যে দুনিয়াবী শিক্ষার পেছনে আমরা ছুটে বেড়িয়েছি তাকে বলা হয় - ‘হুনর’। যে শিক্ষা দ্বারা দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে বা জীবিকা নির্বাহ করতে কিছু দুনিয়াবী ফায়দা পাওয়া যায়। কিন্তু পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নিয়মনীতি, তর্য-তরীক্বা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ বা মূর্খই থেকে যায়। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক স্বামী-স্ত্রীর হক্ব, নারীর অধিকার, নারীর শিক্ষা, পরিবার এবং সমাজে কতটুকু রয়েছে, তা দুনিয়াবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দেয়া হয় না; দেয়ার কথাও নয়। উলামায়ে ‘সূ’রা পর্যন্ত তাদের ইল্্ম অর্জন করা সত্ত্বেও তার স্ত্রী-কন্যাদেরকে ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক ফরয পরিমাণ ইলম টুকুও শিক্ষা দেয়নি বা দিচ্ছে না, বরং ঘরে কোণঠাসা করে রাখে। মেয়েদের এত পড়ালেখা লাগে না, মেয়েরা শুধু রান্নাবান্নাই করবে ইত্যাদি বলে নারী সমাজটাকে আজ দ্বীনী শিক্ষা উনার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ্!

কিন্তু আজ যদি মুসলমানগণ নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতো, নিজেদের পবিত্র দ্বীন- সম্মানিত ইসলাম উনার সম্পর্কে জানতো; তবেই তারা নিজেদের হিফাযত করতে পারতো। নিজেদের দ্বীন বাদ দিয়ে অন্য ধর্মে গা ভাসিয়ে দিতো না; উলামায়ে‘ছু’দের দ্বারা বিভ্রান্ত এবং বেপর্দা হতে হতো না। ইহুদী-খ্রিস্টানরা এবং ফাসিক-ফুজ্জাররা পারত না নারীদেরকে খেল-তামাশার বস্তুতে পরিণত করতে। কিন্তু আর কতকাল এমনভাবে চলবে নারীদের প্রতি যুলুম-অত্যাচার? আমাদের সকল মুসলমান নর-নারীদের কর্তব্য হবে এই সমস্ত দুনিয়াদারদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা এবং শরঈ প্রতিরোধ গড়ে তোলা। পিতা-পুত্র, স্বামীকে বুঝাতে হবে সঠিক ইলম অর্জন করার কথা যা তাকে ‘নারীর অধিকার’, ‘নারী শিক্ষা’ সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে, নিজেদের মান-ইজ্জত হিফাজত করতে পারবে এবং নিজেদের সম্মান নিজেরাই বহাল রাখতে পারবে। তাই আমাদের নারী জাতির কাছে একান্ত আহ্বান- যে শিক্ষা আমাদেরকে ভ্রান্তপথ থেকে হক্ব পথে ফিরিয়ে এনেছে, একজন আদর্শ নারীতে পরিণত করছে, যে ইলম আমাদেরকে হাক্বীক্বী মুসলমানে পরিণত করছে, সেই ইলম অর্জনের সন্ধানে আপনারাও বেরিয়ে পড়–ন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ‘ইলম অর্জন’ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে যে,

طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلٰى كُلِّ مُسْلِمٍ وَّ مُسْلِمَةٍ

অর্থ: “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উনাদের জন্য ইলম অর্জন করা ফরয।”

অর্থাৎ একজন পুরুষের যেমন ইলম অর্জন করতে হবে, ঠিক তেমন একজন মহিলারও ইলম অর্জন করতে হবে। তাছাড়া হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “মানুষ সম্পদ হিফাযত করে, আর ইলম মানুষকে হিফাযতের বড় মাধ্যম।” সুবহানাল্লাহ্!

 অর্থাৎ ‘ইলম’ নারী-পুরুষ উভয়কে বিভিন্ন ফিতনা-ফাসাদ, শয়তানী ওয়াস্ওয়াসা, উলামায়ে ‘সূ’দের উৎপীড়ন, ইহুদী-নাছারাদের শত্রুতা থেকে হিফাযত করবে। আমাদের ইহকাল এবং পরকালেও নাজাতের পথ বাতলে দিবে। অতএব, এখনো আমাদের সময় আছে, আমরা নারীরা যদি সচেতন হই, তবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা শিক্ষা দিয়ে হক্ব পথে পরিচালিত করতে পারবো। তাই আমাদের একান্ত কর্তব্য- বর্তমানে সারাবিশ্বে নারীদের শ্রেষ্ঠা নারী ও যুগের মুজাদ্দিদুয্ যামান মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তরফ থেকে পূর্ণ নিয়ামত প্রাপ্তা, শ্রেষ্ঠা মুয়াল্লিমা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, নূরে জাহান, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুন্ নিসা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকেই উক্ত ‘ইলম অর্জন’ করা। তিনি প্রতি ইয়াওমুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার শরীফ এবং ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার মহিলাদের তা’লীম-তালক্বীন মুবারক (দ্বীনী বিষয় শিক্ষা) দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে প্রতি জুমুয়াবার উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র ‘কুরআন শরীফ’ উনার থেকে অনুবাদ-তাফসীর এবং সার্বিক বিষয়ে নছীহত মুবারক করে থাকেন। যা আমাদের জীবনের নাজাতের একমাত্র সোপান। শুধু তাই নয়; সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সম্পূর্ণ রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস এবং রমাদ্বান শরীফ মাসব্যাপী মহিলাদেরকে তা’লিম-তালক্বীন মুবারক দিয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

এছাড়াও সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে প্রতিদিন ‘ফাল ইয়াফরাহু’ শরীফ মাহফিল করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ্!


 ‘সুমহান শান ও কারামতে’ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম

 

‘সুমহান শান ও কারামতে’ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম

সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, হাবীবুল্লাহ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার লক্ষ-কোটি রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, দয়া-দান, ইহসান মুবারক যার কারণে আমরাসহ সারা কায়িনাত আমাদের দোজাহানের মমতাময়ী মাতা আদরণীয় মা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে লাভ করেছি।

আমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত তথা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আমরা যত নিয়ামত লাভ করেছি তার মাঝে অন্যতম ফযীলত এই যে, শুধুমাত্র উম্মত হিসেবে আমরাই সরাসরি আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে লাভ করেছি। অর্থাৎ এ উম্মত তথা আমরাই একমাত্র উম্মত যারা সরাসরি আলে রসূল, আওলাদে রসূল তথা আহলে বাইত উনাদের গোলামীর সুযোগ লাভে ধন্য হয়েছি, আর অন্য উম্মতরা ধন্য হতে পারেনি। 

এ কথা আজ কোনো সমঝদার মুসলমান উনাদের অজানা থাকা ঠিক হবে না, নারীদের মাঝে তথা মহিলা অঙ্গনে যত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাশরীফ এনেছেন, আছেন এবং আসবেন উনাদের সকলেরই শ্রেষ্ঠা আমাদের প্রাণপ্রিয়া সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। তিনি খাছভাবে জাত-ছিফাত, যাহির-বাতিন সবদিক থেকেই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাচ্ছুল খাছ আওলাদ পাক আলাইহাস সালাম।

বেমেছাল নববী নিসবত, প্রগাঢ় নবীপ্রেম, অতুলনীয় ইলম ও প্রজ্ঞার ধারণকারিণী, ঈমান ও আক্বীদা নবায়নকারিণী, বেশুমার কারামতসম্পন্না, লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, সুন্নতের পরিপূর্ণ পাবন্দ ও জিন্দাকারিণী, বেমেছাল আমল ও ইস্তিক্বামতের অধিকারিণী, অবর্ণনীয় রিয়াযত-মাশাক্কাতকারিণী, সমস্ত তরীক্বায় পূর্ণাঙ্গ কামিয়াবী হাছিলকারিণী, হাদীয়ে আ’যম হিসেবে মহিলা তা’লীমগাহে নছীহত ও তা’লীম প্রদানকারিণী সর্বোপরি হযরত সাইয়্যিদুনা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিবিড় সান্নিধ্য সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন উম্মুল উমাম আমাদের হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে পরিপূর্ণরূপে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের রঙে রঞ্জিত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, হযরত সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অসংখ্য অগণিত মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান-বুযুর্গী, সম্মান-ইজ্জতের মাঝে “বেহিসাব কারামত” বিশেষ একটি শান। তিনি তো এমন এক মহান লক্ষ্যস্থল ব্যক্তিত্ব যিনি দায়েমিভাবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক দীদারে, উনাদের মুহব্বতে, উনাদের আদরে মশগুল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সবচেয়ে বড় কারামত মুবারক, উনার সবচেয়ে বড় শান, উনার সবচেয়ে বড় হাক্বীক্বত এই যে, তিনি পরিপূর্ণভাবেই যিনি খলীফাতুল্লাহ, যিনি খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে হাছিল করেছেন। উনার মুহব্বত, মা’রিফাত, সন্তুষ্টি, যাহিরী-বাতিনী সব নাজ-নিয়ামত তিনি নিবিড় ও এককভাবে লাভ করছেন। যা কায়িনাতের কেউ আর কখনোই লাভ করতে পারবে না। তিনি উম্মাহকে, সারা কায়িনাতকে হাদিয়া করেছেন এমন মুবারক আহলে বাইত শরীফ, উনারা সৃষ্টির ইতিহাসে বিরল ব্যক্তিত্ব, উম্মাহর রাহবার, হিদায়েতের কা-ারী। সুবহানাল্লাহ!

উনার সুমহান জীবন মুবারক উনার মাঝে প্রত্যেক ক্ষণে ক্ষণে রয়েছে চমৎকার সব বরকতপূর্ণ কারামত; যা প্রকাশ, জানা ও আলোচনা করা সত্যিকার অর্থেই অপরিহার্য। 

কিন্তু অক্ষম, অধমা, গুনাহগার, ফাসিক, ফুজ্জারের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখা অন্ধ ব্যক্তির দৃশ্যমান বস্তুর বর্ণনা দেয়ার মতো। প্রাসঙ্গিক লেখা মূলত উনার “সুমহান জীবনী মুবারক” নয়, বরং সুমহান জীবনী মুবারক উনার মাঝে সংঘটিত কোটি কোটি মুবারক কারামত মাঝে গুটিকয়েকের প্রকাশ।

মুবারক বিলাদত শরীফ: 

মাসের মধ্যে সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুল আ’যম বা শ্রেষ্ঠ। আর দিনের মধ্যে মহিমান্বিত হলো- ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)। কারণ এ পবিত্র মাসে এবং পবিত্র দিনেই দুনিয়ায় মুবারকে তাশরীফ আনেন আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। আর সেই মহান সুন্নত আদায়ের লক্ষ্যেই, মুবারক কারামত প্রকাশ করে সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসেরই ৭ তারিখ পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) পবিত্র বাদ মাগরিব উনার সময় অর্থাৎ সুন্নতী সময় যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল খাইর, হাবীবাতুল্লাহ, আমাদের মামদূহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মুবারক শৈশব ও কৈশোর কাল: 

উনার মুবারক শৈশব ও কৈশোরকালে উনার বেমেছাল বুযুর্গী, কারামত ও সম্মানের প্রকাশ ঘটে। শিশুসুলভ চঞ্চল আচরণ, অযৌক্তিক হাস্যরস, অপ্রয়োজনীয় কাজ, অনাবশ্যক চিন্তা-খেয়াল থেকে পরিপূর্ণরূপে মুক্ত থেকে এত শিশু বয়স মুবারক থেকেই তিনি সকলের নিকট হয়ে উঠেন এক বিস্ময়কর ধৈর্য ও গাম্ভীর্যের মূর্ত প্রতীক। সুন্নত অনুসরণে উনার জীবন মুবারক-এর প্রথম আমলই ছিল চিন্তা বা মুরাকাবা। আর এখানেও উনার ক্ষণে ক্ষণে কারামত মুবারক উনার প্রকাশ ঘটে।

শিশুবেলা থেকেই সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদে রসূল, মাহবুবায়ে ইলাহী, হাবীবাতুল্লাহ আমাদের মামদূহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা প্রকাশ পেতে থাকে। তিনি যখন কোলের শিশু তখন একদা তিনি উনার সম্মানিত পিতা অর্থাৎ আমাদের হযরত নানা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক কোলে বসা ছিলেন। এমন সময় একজন বুযুর্গ ব্যক্তি সেখানে আসেন। তিনি আমাদের হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে দেখে হযরত নানা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে বলেন: “হে মাওলানা ছাহিব আলাইহিস সালাম! আপনার এ কন্যা সন্তানের চেহারা মুবারক নূরে দীপ্তিমান। উনার সুষ্ঠু তত্ত্বাবধান করবেন, খিদমত মুবারক করবেন। আপনার এই কন্যা সন্তান অনেক উঁচু স্তরের ওলীআল্লাহ হবেন। জগৎময় উনার সুখ্যাতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। উনার হিদায়েতের নূর মুবারক সমগ্র বিশ্বকে আলোকিত করবে। উনার অতুলনীয় রূহানী কুওওয়াত ও বিস্ময়কর প্রভাবে সারা দুনিয়ায় নারীদের মাঝে জাগরণ ঘটবে।” সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত মুবারক ঘটনার পরের আরেকটি ঘটনা, আমাদের হযরত নানা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বাড়িতে উপস্থিত হলেন অন্য একজন বুযুর্গ ব্যক্তি। সেদিনও ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, উম্মুল খাইর, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার মুবারক কোলেই বসা ছিলেন। সালাম বিনিময়ের পর আগন্তুক বুযুর্গ ব্যক্তি একই কথা বললেন: “হে মাওলানা ছাহিব আলাইহিস সালাম! আপনার এ শিশু কন্যা সন্তান খালিছ ওলীআল্লাহ হবেন। তিনি হবেন একজন বেমেছাল মর্যাদাসম্পন্না ওলীআল্লাহ। তিনি হবেন যামানার যিনি লক্ষ্যস্থল উনার ছাহিবাতুল মুকাররামা। অন্য কারো সঙ্গেই উনার নিসবাতুল আযীম মুবারক সংঘটিত হবে না। উনার পবিত্র রেহেম শরীফ হতে এমন একজন নেক আওলাদ পাক যমীন মাঝে তাশরীফ আনবেন যিনি হবেন বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবাসম্পন্ন ওলীআল্লাহ। এছাড়া উনার মুবারক রেহেম শরীফ হতে আগত আওলাদ পাক সকলেই হবেন যামানার লক্ষ্যস্থল খালিছ ওলীআল্লাহ।” সুবহানাল্লাহ!

অতঃপর বুযুর্গ ব্যক্তি আরো বললেন: “এমন মুবারক কন্যা সন্তান উনার সম্মানিত পিতা হয়ে আপনি তুলনাহীন সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত পাঠক-পাঠিকাগণ, আপনারা কি জানেন, উল্লেখিত দুটি ঘটনায় আগন্তুক দু’ব্যক্তি কে? মূলত বুযুর্গ ব্যক্তির ছূরতে আগন্তুক দু’ব্যক্তি ছিলেন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা। (সুবহানাল্লাহ) উনাদের ভবিষ্যদ্বাণী করা বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবাসম্পন্ন ওলীআল্লাহ যিনি, তিনিই হচ্ছেন মহান খলীফাতুল উমাম সাইয়্যিদুনা আমাদের হযরত শাহযাদা হুযূর কিবলা ক্বাবা আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ:

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে উনার বুযুর্গ পিতা আলাইহিস সালাম তিনি বার আউলিয়া উনাদের পুণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রামের একটি বালিকা মাদরাসায় প্রাতিষ্ঠানিক ইলম অর্জনের ব্যবস্থা করেন। যদিও তিনি ভরপুর ইলমে লাদুন্নীসহ জগৎ মাঝে এসেছেন, তবুও প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী সেখানে তিনি খাছ শরয়ী পর্দার সাথে অধ্যয়ন শুরু করেন। সে মাদরাসার মুয়াল্লিমা উনারা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেন যে, তীক্ষè মেধা, নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ, সূক্ষ্ম সমঝ এবং ইলম অর্জনে তিনি সত্যিই বেমেছাল। উনার সুন্নতী আচার-আচরণ মুবারক, অনন্য আদব-শরাফত, সীমাহীন ইলম উনার কারণে মাদরাসার ছাত্রীরা তো অবশ্যই মুয়াল্লিমারাও উনার থেকে অনেক কিছু শিখতে থাকেন। 

মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আখাচ্ছুল খাছভাবে সৃষ্টিলগ্ন থেকেই উনার মাঝে ছহীহ হিদায়েত, প্রগাঢ় ইলম, সূক্ষ্ম সমঝ, অনুপম চরিত্র মাধুর্য, অসীম মুহব্বত-মা’রিফাতসহ সকল গুণ-বৈশিষ্ট্যে হাদিয়া করেছেন।

হিদায়েতী কার্যক্রম: 

আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি অনবরত তাজদীদ ও হিদায়েতের নূর দ্বারা সারা দুনিয়া থেকে কুফরী-শিরকী, বিদয়াত-বেশরাকে সমূলে ধ্বংস করে হিদায়েত ও হক্ব জারি করছেন। উনার পবিত্র ছোহবতে অসহায় মেয়েরা সহায় পেয়ে ধন্য হচ্ছে, বেদিশা মহিলারা সঠিক পথের দিশা পাচ্ছেন, ইজ্জতহীনারা ইজ্জত পাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

একদা চট্টগ্রামের আমাদের একজন পীরভাই তিনি বাইয়াত হওয়ার পরে অর্থাৎ মুরীদ হওয়ার পরে উনার বাসায় যেয়ে টিভি সরানোর উদ্যোগ নেন। তিনি যখন ঘর থেকে টিভি সরাতে চেষ্টা করেন তখন সেই পীরভাইয়ের আহলিয়া পীরভাইকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, টিভি ঘর থেকে সরানো যাবে না। যদি টিভি সরানো হয়, তাহলে যেন টিভি সরানোর পূর্বে উনাকে সরানো হয়, তালাক দেয়া হয়। নাউযুবিল্লাহ!

 অবস্থা দেখে সেই পীরভাই স্তব্ধ হয়ে যান। কিছুদিন পরে চট্টগ্রামে বিশেষ সফর উপলক্ষে আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম মামদূহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি চট্টগ্রামে তাশরীফ আনেন। সেখানে তা’লীমী মজলিসে সেই পীরভাইয়ের আহলিয়া কিছুক্ষণ তা’লীম গ্রহণ করেন এবং বাইয়াত গ্রহণ করেন। তা’লীম গ্রহণ করে তিনি বাসায় ফিরে গিয়ে উনার স¦ামী অর্থাৎ আমাদের পীরভাইকে বলেন, এখনি টিভি সরাতে হবে, না সরালে আমি এ ঘরে থাকবো না। সাথে সাথেই টিভি সরানো হয়। সুবহানাল্লাহ!

আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল শান-মান লেখা দ্বারা প্রকাশ করা অসম্ভব, তিনিই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তিত্বা যিনি প্রতি সপ্তাহে উম্মাহকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বিশুদ্ধ তাফসীর হাদিয়া করেন। নিয়মিত পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষা দেন। যা অবশ্যই উনার খাছ কারামত মুবারক।

হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ক্বায়িম মক্বাম ও হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনিই দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তিত্বা যিনি দায়েমীভাবে উম্মাহ উনাদেরকে পবিত্র ইলমে তাছাউফ ও পবিত্র ইলমে ফিকাহ শিক্ষা দিচ্ছেন। যা নিঃসন্দেহে উনার খাছ কারামত মুবারক।

একটা সময় এমন ছিল যখন দুনিয়ার মাঝে শুধুমাত্র সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনিই সুন্নতী পোশাক মুবারক পরিধান করতেন এবং মেয়েদের সুন্নতী আমলসমূহ পালন করতেন। আর কেউ সুন্নতী লিবাস ও আমল সম্পর্কে জানতোও না। তিনি দয়া-দান ইহসান করেই এই উম্মাহ উনাদের মেয়েদেরকে নিজ হাত মুবারক-এ কাপড় কেটে দেখিয়ে সুন্নতী লিবাস বানাতে ও পরতে শিখিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন-দিচ্ছেন সকল সুন্নত মুবারক উনাদের জ্ঞান। যা অবশ্যই উনার খাছ কারামত মুবারক।

সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ছাহিবায়ে ইলমে গাইব: 

আমাদের জনৈকা এক পীরবোন সন্তানসম্ভাবা ছিলেন। উনার পেটে যখন দুই মাসের বাচ্চা তখন তিনি একটি মুবারক স¦প্ন দেখেন। তিনি দেখেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আমাদের পীরবোনের দিকে অত্যন্ত দয়া ও মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আদরণীয় স¦রে বললেন, “আমাদের তো একটি ছেলে দরকার (খিদমতের জন্য)।” অর্থাৎ তিনি পেটের সন্তান ‘ছেলে’ হওয়ার ইঙ্গিত প্রদান করলেন। 

উল্লেখ্য, পেটে অবস্থানরত দুই মাসের বাচ্চা ছেলে না মেয়ে তা কোনো আলামত বা প্রযুক্তির মাধ্যমে জানাও কিন্তু সম্ভব নয়। আমাদের পীরবোন মুবারক স¦প্নে মুবারক ইঙ্গিত পেয়ে নিশ্চিত ছিলেন উনার ছেলে সন্তানই হবে। কারণ এ কথা আজ কারো অজানা নেই, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন “ছাহিবায়ে ইলমে গাইব”।

  দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অতিক্রম হয়ে উক্ত পীরবোনের পেটের সন্তান পৃথিবীতে আসার সময় হয়ে গেল। যদিও আলামতসমূহ দেখে অনেক মহিলা মন্তব্য করেছিলেন ‘মেয়ে হবে।’ কিন্তু সকলের কথাকে ভুল প্রমাণিত করে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন উম্মুল উমাম হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সেই ইলহামী আসমানী কথাই সত্য হলো। সত্যিই! যথাসময়ে আমাদের পীরবোনটির একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান হলো। সুবহানাল্লাহ!

হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ছহিবায়ে ইলমে লাদুন্নী: 

আমাদের জনৈকা এক পীরবোনের একটি মেয়ে সন্তান হলো। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, বাহরুল উলূম, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি অতিশয় দয়া করে সেই পীরবোনের সদ্যজাত মেয়েটির নাম রেখে দিলেন। মেয়েটি ধীরে ধীরে একটু বড় হলো। মেয়েটি যখন হামাগুড়ি দেয়া শিখেছে এমন সময় সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, বাহরুল উলূম, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সেই পীরবোনকে দেখে বললেন, “তোমার এর পর একটি মেয়ে হবে, তার নাম -------- রাখবো।” 

সত্যিই! কিছুদিন পর সেই পীরবোনের একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নিলো এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, বাহরুল উলূম, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দেয়া নামই তার রাখা হলো। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ছাহিবাতুশ শিফা: 

আমাদের এক পীরবোনের অত্যধিক পেট ব্যথা ছিল। কষ্টের সহ্যসীমা অতিক্রম করলে তিনি ডাক্তারের নিকট যান। ডাক্তার বলেন, দ্রুত অপারেশন করতে হবে অন্যথায় তিনি মারা যাবেন। ডাক্তারের এ পরামর্শ শুনে তিনি আরো তিনজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন। প্রত্যেকেই অপারেশন করতে বলেন। অবশেষে কোনো উপায়ান্তর না দেখে আমাদের সেই পীরবোন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদে রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার দরবার শরীফ-এ দোয়া করেন, “ইয়া আম্মাজী ক্বিবলা আমাকে সুস্থ করে দিন, যেন কোন পুরুষ আমাকে না দেখে।”

এই দোয়া করার পর মুহূর্তেই ছূফী পীরবোন ঘুমিয়ে পড়েন এবং একটি মুবারক স¦প্ন দেখেন। তিনি দেখেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি একটি মাহফিলে সেই পীরবোনের নাম উল্লেখ করে দোয়া করছেন যেন আল্লাহ পাক তিনি তাকে সুস্থ করে দেন।

স¦প্নটি দেখার পর ছূফী পীরবোনের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তিনি পুরোপুরি সুস্থতা অনুভব করেন। অতঃপর তিনি ডাক্তারের নিকট যেয়ে সুস্থতার বিষয়টি জানালে ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন, “আশ্চর্য বিষয়, আপনি তো পরিপূর্ণ সুস্থ।” সুবহানাল্লাহ!

হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সরাসরি হাযির-নাযির হয়ে অর্থ দান করলেন: আমাদের একজন পীরবোন যিনি একসময় খুবই অর্থকষ্টে ছিলেন। পর্দা পালন করার জন্য নিজ বাড়ি ছেড়ে তিনি মেয়েদের মেসে থাকা শুরু করেছিলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর তিনি যখন মেসের নির্ধারিত ফি দিতে পারছিলেন না, তখন মেসের দুনিয়াদার কিছু মেয়ে ওই পীরবোনকে দিয়ে তাদের কিছু ব্যক্তিগত কাজ করানো শুরু করলো। তারা উনাকে খুব কষ্ট দিচ্ছিল। কষ্টের সীমা যখন অতিক্রম করে যায়, তখন পীরবোন একদিন বসে বসে কাঁদছিলেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন সামনে সুন্নতী বোরকা পরে একজন ব্যক্তি আসলেন। পীরবোন দাঁড়িয়ে উনার দিকে তাকিয়ে সালাম দিলেন। উনি সালাম গ্রহণ করে ডান হাত বাড়িয়ে পীরবোনকে কিছু টাকা দিলেন এবং বললেন, তোমাকে এই মেয়েগুলো খুব কষ্ট দিচ্ছে, তাই না। ওই মেয়েগুলোকে ডাক। তখন পীরবোন সেই মেয়েগুলোকে ডেকে আনলেন। আগত ব্যক্তিত্ব খুব জালালীভাবে সেই মেয়েগুলোকে বলে দিলেন যে, আর যেন কখনও সেই পীরবোনকে কষ্ট দেয়া না হয়। তারপর তিনি চলে গেলেন। তিনি যখন মেয়েগুলোকে বলছিলেন তখন মেয়েগুলো থরথর করে কাঁপছিল। আমাদের সেই পীরবোন স্পষ্ট বুঝতে পারেন আগত ব্যক্তিত্ব তিনি আমাদের উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম। যদিও পীরবোন উনার ছুরত মুবারক দেখতে পারেননি। কিন্তু উনার কন্ঠ মুবারক, বাচনভঙ্গি মুবারক, অবয়ব মুবারক ইত্যাদি দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, যিনি এসেছিলেন তিনি অবশ্য অবশ্যই আমাদের প্রাণপ্রিয়া হযরত উম্মুল উমাম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার হিদায়েত দান: 

আমাদের অপর একজন পীরভাই তিনি স¦প্নে দেখেন, গুনাহ-খাতা, বেপর্দা আর অপরাধ করতে করতে সারা দুনিয়ার সকল মহিলা পশুতে রূপান্তরিত হয়েছে। সবাই অস্থির কিভাবে তারা মানুষ হবে। একটা বিশাল ময়দানে সবাই সমবেত হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনলেন। তিনি অত্যন্ত দয়া করে ইহসান করে সকলকে পাগড়ী দিয়ে বাইয়াত করালেন। সকলেই বাইয়াত হলো। বাইয়াত হওয়া মাত্রই পশুরূপী দুনিয়ার সব মহিলা মানুষের ছুরত ধারণ করলো, হিদায়েত লাভ করলো। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদী মুবারক জবানে ছানা-ছিফত মুবারক: 

সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, হাবীবুল্লাহ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি অনেকবারই পবিত্র নছীহত মুবারক পেশকালে বলেন, “তোমাদের হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম এবং উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাদের সরাসরি দায়িমী নিসবতপ্রাপ্ত।” সুবহানাল্লাহ!

আমাদের একজন পীরবোন তিনি স¦প্নে একদা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক দীদার লাভ করেন। তিনি স¦প্নেই হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিদমতে আরজি পেশ করেন, হে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আমাকে কিছু নিয়ামত দান করুন। তখন হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “আমার সব নিয়ামত তোমাদের হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া করেছি, তোমাদের নিয়ামত পেতে হলে উনার নিকট থেকেই নিতে হবে।” সুবহানাল্লাহ!

কুবরায়ী মুবারক জবানে ছানা-ছিফত মুবারক: 

একটি ঘটনা বললে বিষয়টি সহজে বুঝা যাবে। হবিগঞ্জে বিশেষ সফর হয়েছিল, বিশেষ সফর উপলক্ষে হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার হবিগঞ্জ তাশরীফ-এর কয়েকদিন পূর্বেই আমাদের সেখানকার একজন পীরবোন তিনি স¦প্নে দেখেন, “উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি আমাদের সেই পীরবোনকে বলেন, আগত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আমার ক্বায়িম-মাক্বাম, উনার যথাযথ খিদমত করো।” সুবহানাল্লাহ! কত শান-মান বুযুর্গী সম্মান উনার, তা কোনো মাখলুকাত কখনো চিন্তাও করতে পারবে না। 

বেমেছাল মুবারক ঘটনা : 

আমাদের অপর একজন পীরবোন তিনি স¦প্নে দেখেন, একটি মজলিসে হাজার হাজার মেয়ে উপস্থিত হয়েছে। সকলেই সারিবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের সেই পীরবোনও সামনে এগিয়ে গেলেন।

দেখলেন কিছু খাদিমা উনারা শরবত তৈরি করে একজন বিশেষ নূরানী ব্যক্তিত্ব উনার হাত মুবারক-এ দিচ্ছেন, উনি আবার অপর একজন নূরানী ব্যক্তিত্ব উনার হাত মুবারক-এ দিচ্ছেন। তিনি সকল মেয়েদের মাঝে বিতরণ করছেন। আমাদের পীরবোন নিকটে যেয়ে লক্ষ্য করলেন দুজন নূরানী ব্যক্তিত্বই আমাদের হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম। কিন্তু উনার মনে হচ্ছে একজন মা ও একজন মেয়ে। তাহলে কে মা, কে মেয়ে? আর হযরত আম্মা হুযূর কিবলা আলাইহাস সালাম দুজন কেন? তিনি কাকে এ প্রশ্ন করবেন। তিনি আদবের সাথে সামনে যেয়ে একজন খাদিমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপা, আমাদের আম্মা হুযূর দুজন কেন? তখন সেই খাদিমা বললেন, আপনি চিনেননি। একজন আমাদের হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম, আরেকজন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

ভুবন বিখ্যাত বালিকা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা:

সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বালিকাদের জন্য এমন এক সুমহান মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, যে মাদরাসার তা’লীম তরবিয়ত, শিক্ষা-দীক্ষা, সিলেবাস এবং পাঠোন্নতি দুনিয়ার যেকোনো মাদরাসা এমনকি তথাকথিত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও হার মানিয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

এই মাদরাসার অসংখ্য খুছুছিয়ত রয়েছে। যেমন, প্রত্যেক ছাত্রী ও মুয়াল্লিমাকে হাক্বীক্বী শরয়ী পর্দা করতে হয়, নিয়মিত যিকির করতে হয়, তাহাজ্জুদ নামায নিয়মিত পড়তে হয়, বেশি বেশি সুন্নতের আমল করতে হয়, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের পবিত্র ইলম অর্জন করার পাশাপাশি জরুরত আন্দাজ দুনিয়াবী ইলম, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও বিভিন্ন ভাষা শিখতে হয়, নিয়মিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হয়। এছাড়াও এই মুবারক মাদরাসার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য যে, প্রতিটি শ্রেণীতে একাধিক মুয়াল্লিমা উনারা তা’লীম পরিচালনা করেন। মুয়াল্লিমাগণ উনাদের কোলের শিশুকে নিয়েই তা’লীম পরিচালনা করতে পারেন। যা বিশ্বের কোনো প্রতিষ্ঠানেই পারে না। এখানেও হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি শিশুর প্রতি মহা ইহসান প্রদর্শন করেছেন। 

রাজারবাগ শরীফ-এ প্রতিষ্ঠিত মহান আল্লাহ পাক উনার দোকান অর্থাৎ মুবারক ক্যান্টিন মূলত আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনারই অবদান। রাজারবাগ শরীফ থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে অসংখ্য প্রকাশনা; যা আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অবদান। 

আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সারা দেশব্যাপী ছাত্রী ও মহিলাদের মাঝে আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত প্রতিষ্ঠা করে তা’লীম পরিচালনা করছেন। যার কারণে দেশের আনাচে কানাচেসহ বিশ্বের বহু স্থানে প্রতিদিন হাজার হাজার মাহফিল ও মীলাদ শরীফ পাঠ হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!

এক কথায় আযীমুশ শান দরবার শরীফ, আযীমুশ পবিত্র খানকা শরীফ, আযীমুশ পবিত্র দফতর শরীফ উনাদের সকল মুবারক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যার মূল ভূমিকায়, মূল দিকনির্দেশনায় রয়েছেন হাবীবাতুল্লাহ, আমাদের হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

অবশেষে গোলাম অধম-অধমাদের আরজু আরাধনা ও ফরিয়াদ- হে হাবীবাতুল্লাহ, আমাদের প্রাণপ্রিয়া হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম, আপনি দয়া দান ইহসান করে, সম্মানিত শায়েখ মালিক হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার, হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম জান্নাতী মেহমান আলাইহিমাস সালাম উনাদের এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে আমাদেরকে মাফ করে দিন, সন্তুষ্টি ও নেকদৃষ্টি নসীব করুন এবং আজীবন খিদমত করার, গোলামী করার, মুহব্বত করার, মুহব্বত পাওয়ার তাওফীক দান করুন। (আল্লাহুম্মা আমিন)

 হযরত মুজাদ্দিদ আ’যম আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত মুবারক

হযরত মুজাদ্দিদ আ’যম আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত মুবারক

যিনি মুজাদ্দিদ উনার কাজই হচ্ছে তাজদীদ বা সংস্কার করা। বাতিল, বিদয়াত, বেশরা মূলোৎপাটনের পাশাপাশি সম্মানিত শরীয়ত ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের হুকুম ও আমল জারি করার মহান দায়িত্ব হচ্ছে মুজাদ্দিদুয যামান আলাইহিস সালাম উনার। হযরত মুজাদ্দিদুয যামান আলাইহিমুস সালাম উনারাই হলেন শতাব্দীকালের শ্রেষ্ঠতম ওলীআল্লাহ, শ্রেষ্ঠতম নায়িবে রসূল এবং ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদুয যামান আলাইহিস সালাম তিনি উনার যামানার লোকদের জন্য অনুসরণীয়-অনুকরণীয়। উনার আনুগত্য করা যামানার অধিবাসীদের জন্য ওইরূপ; যেরূপ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করেছিলেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। একইভাবে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম বা স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বর্তমান যামানার যিনি মুজাদ্দিদ আলাইহিস সালাম উনাকে সার্বিক ও কেন্দ্রীয়ভাবে অনুসরণ বা আনুগত্য করা নিঃসন্দেহে হিদায়েত, নাজাত ও জান্নাত লাভের কারণ।

স্মরণীয় যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সকলের বিরোধিতা হয়েছিলো, তদ্রƒপ উনাদের যারা প্রকৃত নায়িব হযরত মুজাদ্দিদুয যামান আলাইহিস সালাম উনাদেরও বিরোধিতা করা হয়েছিলো এবং বর্তমানেও হবে। তাই বলে হক্ব গ্রহণ করা থেকে দূরে থাকা কোনো ঈমানদারের কাজ নয়। হক্বের দাওয়াত পৌঁছে দেয়াই যামানার মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনার কাজ। যে গ্রহণ করবে সে কামিয়াবী হাছিল করবে। আর যে মুখ ফিরিয়ে নিবে তার জন্য আফসুসের সীমা থাকবে না।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান যামানার যিনি মুজাদ্দিদ আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার পূত-পবিত্রা ছহিবাতুল মুকাররমাহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম এবং সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই এ যামানার লোকদের জন্য মহান নিয়ামতস্বরূপ। উনাদের ছোহবত মুবারকে যাঁরাই এসেছেন উনারা প্রত্যেকেই সৌভাগ্যশালী হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

বিশেষ করে মুজাদ্দিদুয যামান হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে এসে পুরুষেরা যেমন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইলম অর্জন করছে এবং আক্বীদা, আমল, আখলাক শুদ্ধ করছে; তদ্রƒপ মহিলারাও সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে এসে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইলম অর্জন করছে এবং আক্বীদা, আমল, আখলাক শুদ্ধ করছে। সুবহানাল্লাহ!

অতএব, বর্তমান যামানার সকল পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হলো- কালবিলম্ব না করে হযরত মুজাদ্দিদুয যামান ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দরবার শরীফে চলে আসা। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাওফীক দানের মালিক।


 সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহিমান্বিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ পবিত্র ৭ই সাইয়্যিদুশ শুহূর রবীউল আউওয়াল শরীফ জিন্দাবাদ


 
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহিমান্বিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ পবিত্র ৭ই সাইয়্যিদুশ শুহূর রবীউল আউওয়াল শরীফ জিন্দাবাদ

পবিত্র ৭ই সাইয়্যিদুশ শুহূর রবীউল আউওয়াল শরীফ। এই মুবারকময় দিবসে আমাদের প্রাণপ্রিয় আক্বা ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত যাওজাতুম মুহতারামা সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! যিনি তামাম মহিলাকুলের মুক্তির দিশারী, নাজাতের মালিকা, হিদায়েতের উসীলা, তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় আক্বা ক্বিবলা ক্বাবা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্পর্কে সকল মুসলমান উনাদের জানা প্রয়োজন। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি বান্দা-বান্দী উনাদের হিদায়েত, নাজাত এবং জান্নাত দিয়ে পুরস্কৃত করার জন্য উসীলা তালাশ করে থাকেন। আর ওই মুবারক দিনে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি, রেযামন্দি মুবারক হাছিল করতে হলে, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ দিনে খুশি প্রকাশ করা, তা’যীম-তাকরীম করা, খিদমত করা সকল মুসলমান উনাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কেননা যিনি আমাদের প্রাণপ্রিয় আক্বা ক্বিবলা কা’বা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম এবং আখাচ্ছুল খাছ আওলাদ। সুবহানাল্লাহ! এবং হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম এবং আখাচ্ছুল খাছ আওলাদ। সুবহানাল্লাহ!

এখন বলার বিষয়: হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পুরোপুরি ক্বায়িম-মাক্বাম এবং খাছ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। 

প্রসঙ্গত, যেহেতু হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম, সেহেতু এই মহাপবিত্র ৭ই সাইয়্যিদুশ শুহূর রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসে প্রত্যেক মুসলমান উনাদের খুশি প্রকাশ করতে হবে, ঈদ পালন করতে হবে। তাহলেই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি, রেযামন্দি মুবারক পাওয়া সম্ভব হবে। অন্যথায় সম্ভব হবে না। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদের) বলুন! আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না, আর তা তোমাদের পক্ষে দেয়াও সম্ভব না, দেয়ার চিন্তা করাটাও কুফরী। তবে তোমাদের যেহেতু ফায়দা লাভ করতে হবে তাই তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে আমার নিকটজন আওলাদে রসূল তথা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের গোলামী করবে।” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

তাই বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান যামানার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাঝে লক্ষ্যস্থল হলেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, যাওজাতু মুজাদ্দিদ আ’যম, আফযালুন নিসা বা’দা উম্মাহাতিল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! এখন সুস্পষ্ট বুঝা যায় যে, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উনার কত বেশি ফযীলত। সুবহানাল্লাহ!

কেননা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেছেন, হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের শান, মান, ফাযায়িল-ফযীলত। সুবহানাল্লাহ! এবং বলার অপেক্ষা রাখে না, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কারণে আজ আমরা দেখতে পাই, পথহারা, ভ-, বেপর্দা, বেহায়া, ওই সকল মহিলারা সকল প্রকার অপকর্ম ছেড়ে পবিত্র ঈমান এনেছে। সুবহানাল্লাহ! এবং অসংখ্য মহিলারা হক্ব পথ পেয়েছে। 

বর্তমান যামানায় সকল প্রকার হারাম কাজ থেকে বাঁচতে পেয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে পেয়ে। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে পেয়ে বর্তমান নারীকুল বাঁচার উপলক্ষ খুঁজে পেয়েছে। হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান, মান বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অসংখ্য মহিলা উনারা হযরত আম্মাজী আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক পেয়ে আল্লাহওয়ালীতে পরিণত হয়েছে। অন্যথায় আমাদের পবিত্র ঈমান রাখা সম্ভব ছিলো না। বর্তমান যামানায় উলামায়ে ‘সূ’দের খপ্পড়ে পরে অনেক আগেই বেঈমান হয়ে যেতাম। এ থেকে সুস্পষ্ট হয় যে, হযরত আম্মাজী আলাইহাস সালাম তিনি উম্মাহর মাথা তথা উম্মুল উমাম। সুবহানাল্লাহ! হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান, মান এতো বেশি যে, বান্দা-বান্দীদের পক্ষে কোনো দিন আলোচনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। 

আবারো বলতে হয়, উম্মুল উমাম হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাকুলের মুক্তির দিশারী। কেননা হযরত আম্মাজী আলাইহাস সালাম উনার মুবারক তা’লীম-দীদার মুবারক পেয়ে আজ অসংখ্য মহিলারা উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। যার মূল কারণ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার তাশরীফ। সুবহানাল্লাহ! তাই বলার বিষয়, সমগ্র বিশ্বের মহিলা কুলকে জানায় ঈদ মুবারক এবং সকলের ফরয-ওয়াজিব হযরত আম্মাজী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে আসা এবং সেই সাথে দেশের সরকারসহ সকল মহিলাদের উচিত যথাযথ তা’যীম-তাকরীম সহকারে এই মবারক পবিত্র ৭ই সাইয়্যিদুশ শুহূর রবীউল আউওয়াল শরীফ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস পালন করা, উনার ছোহবত মুবারকে আসা, উনার তা’লীম মুবারক গ্রহণ করা। মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আমাদেরকে কবুল করুন। আমীন।


 শানে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম



 শানে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম

 আজ সুমহান পবিত্র ৭ই সাইয়্যিদুশ শুহূর রবীউল আউওয়াল শরীফ। এই মুবারক দিনটি হচ্ছে সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় খুশির দিন এবং ঈদের দিন। আর এই পবিত্র ৭ই সাইয়্যিদুশ শুহূর রবীউল আউওয়াল শরীফ ধরার বুকে তাশরীফ এনেছেন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা, ছাহিবাতুল কুরআন, যাওজাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, আলিমাতুস সুন্নাহ, উম্মুল উমাম আমাদের প্রাণ প্রিয় উম্মুল উমাম উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। উনার গৌরব মাখা মুবারক তাশরীফ উনার সৌরভে মুখরিত সমস্ত কুল-কায়িনাত। কারণ সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর আওলাদে রসূল সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্য ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন। আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়, তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও তাহলে তোমাদের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম তাকরীম মুবারক করা, উনাদের গোলামী মুবারক উনার আনজাম দেয়া। (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে কায়িনাতবাসী আমি তোমাদের মাঝে এমন নিয়ামত মুবারক রেখে যাচ্ছি। তোমরা যদি উক্ত নিয়ামত মুবারক অর্থাৎ উনাদেরকে শক্তভাবে ধরে রাখ তবে তোমরা কখনো গোমরাহ হবে না। উনারা হলেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব ও আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। এবং এই পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের হাক্বীক্বী মিছদাক হচ্ছেন, আমাদের প্রাণ প্রিয় সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। তাই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে এবং উনার যিনি হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবারে অসংখ্য অগনিত শুকরিয়া আদায় করছি এবং ছলাত মুবারক ও সালাম মুবারক পাঠ করছি। কারণ উনারা, উম্মুল উমাম হযরত আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে সমস্ত নারীকুলের মাঝে সবচেয়ে বড় নিয়ামত মুবারক হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আমরা যদি আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে না যেতাম তাহলে আমরা কখনো হক্ব-নাহক্ব সম্পর্কে জানতে পারতাম না, পর্দা সম্পর্কে জানতে পারতাম না, নারীদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ নিষেধ সম্পর্কে জানতে পারতাম না। তাই কথিত নারীবাদী ও অন্ধকারে থাকা নারী সমাজকে বলছি হে নারী সমাজ! তোমরা আজই পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মধ্যে এসে প্রাণ প্রিয় সাইয়্যিদাতুন নিসা, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারকে আসো। কারণ তোমাদের জন্য এখানে হক্বের দরজা মুবারক খোলা রয়েছে। তোমরা চোখ খুলে বাস্তবকে চেয়ে দেখ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সৌন্দর্য উপলবিদ্ধ করো।

তাই সমস্ত নারী সমাজকে বলতে চাই তোমরা আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র ক্বদম মুবারকে এসে নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো। কারণ দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী।

তাই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আমাদের সকলকে মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায়, আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে ও খিদমত করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত মুবারক উনার শুকরিয়া আদায় করার এবং হাক্বীক্বীভাবে পবিত্র দ্বীনী শিক্ষা অর্জন করে নেককার পরহেযগার মু’মিনা হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন!