মুসলিমা মহিলাদের একমাত্র রাহগীর আলিমাতুল আলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার তাজদীদ মুবারকের দাপটে বাতিলপন্থীরা শঙ্কিত
বর্তমান মুসলিমারা যখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক তাজদীদী কাফিলায় দাখিল হচ্ছে, উনার পবিত্র ছোহবতে তেজোদ্দীপ্ত কণ্ঠে নূরানী মুবারক বয়ান শুনে বদ আক্বীদাসম্পন্নদের আক্বীদা শুদ্ধ হচ্ছে, বেনামাযী নামাযী হচ্ছে, বেপর্দা পর্দানশীন হচ্ছে, বেহায়া হায়া পাচ্ছে, বেআমল আমলদার হচ্ছে, একজন সাধারণ শিক্ষিতা মহিলাও আলিমাতে পরিণত হচ্ছে, এক কথায় উনার মুবারক ছোহবতে মহিলারা যখন হাক্বীক্বী আল্লাহওয়ালীতে পরিণত হচ্ছে, সাথে সাথে উনার তাজদীদী কাজে শরীক হয়ে সমস্ত মুসলিমা মা-বোনদের হক্বের দাওয়াত দিচ্ছে; আমাদের তথা মুসলিমাদের রাহগীর, মুসলিমাদের হাদী হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে মা-বোনদের অবহিত করছে, বাতিলপন্থী তথা ইবলিসের অনুসারীদেরকে চিহ্নিত করে দিচ্ছে। তখন ইবলিশ ও ইবলিসের অনুসারী উলামায়ে ‘সূ’ তথা বাতিলপন্থীদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সর্বনাশ! পুরুষের সাথে সাথে আজ মহিলারাও বুঝি ইবলিসের শয়তানী জাল থেকে ছুটে যাচ্ছে। মহিলারাও আজ ওলীআল্লাহ হয়ে যাচ্ছে, ইবলিস ও তার অনুসারীদের এতদিনের পরিশ্রম যেন প-শ্রম হতে যাচ্ছে। তাই কিভাবে উনার অনিষ্ট সাধন করা যায়, কিভাবে মহিলাদের কাছে উনার কুৎসা রটনা করে উনার কাছ থেকে হটানো যায়, সেই কুচিন্তা-ফিকিরে ইবলিসেরও বড় ইবলিস দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী তথা উলামায়ে ‘সূ’দের আর ঘুম হচ্ছে না। দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী তথা উলামায়ে ‘সূ’দের কার্যকলাপ দেখে হঠাৎ একটি প্রবাদ মনে পড়লো। প্রবাদটি হচ্ছে,
‘পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা,
জানে না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা।’
দিবসের প্রখর সূর্যালোক কোঁরবাসী পেঁচার কাছে অসহ্য। তাই সে দিবালোকে কোঁরের অন্ধকার গুহায় আত্মগোপন করার জন্য সে সোচ্চার কণ্ঠে প্রচার করে যে, সূর্যের সঙ্গে তার চিরশত্রুতা। মূলত, এই সমস্ত পেঁচুক স্বভাবের উলামায়ে ‘সূ’রা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার এমন আলীশান মুবারক তাজদীদ, উনার এই শ্রেষ্ঠত্ব সহ্য করতে পারে না। সেজন্য উনার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠছে। উনার কুৎসা রটনায় মেতে উঠছে। হিংসাকাতর এই সমস্ত নাদান-আহমকের দল নিজেদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অচেতন। ইহুদীদের পাচাঁটা গোলাম এই সমস্ত উলামায়ে ‘সূ’রা জানে তারা কোনোদিনই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন মর্যাদার লেশমাত্রও কমাতে পারবে না। এরপরেও তারা উনার মর্যাদা তথা শ্রেষ্ঠত্ব ভূলুণ্ঠিত করতে চায়। তবে এই সমস্ত নিন্দুকের দল, গুমরাহর দল, ভ-ের দল উলামায়ে ‘সূ’দের জেনে রাখা দরকার, তারা তাদের এ ব্যর্থ লম্ফ-ঝম্প আর হুঙ্কার দিয়ে কোনোদিনই উনার সুমহান শান-মান, মর্যাদা আর মুবারক তাজদীদ মুবারকের জ্যোতিকে ম্লান করতে পারবে না। তাদের এই ব্যর্থ প্রচেষ্টায় তারা কস্মিনকালেও সফল হতে পারবে না। বরং তারা নিজেরাই কলঙ্কিত হবে। এই সমস্ত পেঁচুক স্বভাবের উলামায়ে ‘সূ’রা চিরকালই অন্ধকারে তথা কুফরী-শিরকীতে লিপ্ত থাকবে। চিরকালই এরা হবে লা’নতগ্রস্ত, লাঞ্ছিত, অপমানিত, ধিকৃত। কেননা স্বয়ং মহান রব্বুল ইজ্জত মহান রব্বুল আলামীন, মহাপরাক্রমশালী মহান আল্লাহ পাক জাল্লা শানূহু তিনি এবং উনার রসূল, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, দো’জাহানের সর্দার, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে শ্রেষ্ঠ মাক্বামিয়াতে উপনীত করে লব্ধ নিয়ামতে ভরপুর করেন। মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় হাবীবা করে, দো’জাহানের সুলত্বানা করে, বর্তমান মুসলিমা মহিলাদের রাহগীর তথা হাদী হিসেবে এবং হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পরম পবিত্রা যাওাতু মুকাররমাহ তথা সঙ্গিনী হিসেবে মনোনীত করেছেন। বর্তমানে তিনি-ই হচ্ছেন উম্মুল মু’মিনীন আল উলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম এবং উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম তথা উত্তরসূরী।
অতএব, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উত্তরসূরী হয়ে তিনি উনার তাজদীদী কাজ বহাল তবিয়তে করে যাচ্ছেন এবং করেই যাবেন। তিনিই মহিলা জাতির মর্যাদার প্রতীক।
উল্লেখ্য, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফযালুন নিসা, আলিমাতুল আলম, দোজাহানের সুলত্বানা, মুসলিমাদের রাহগীর, মহিলাকুলের আলোকবর্তিকা, বীর মুজাহিদা, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর আলাইহাস সালাম তিনি প্রতি ইয়াওমুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার ও ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার মহিলাদের তালীম-তালক্বীন দিয়ে থাকেন। জুমুয়াবার বাদ- জুমুয়াহ থেকে মাগরিব পর্যন্ত এবং সোমবার সকাল বাদ- যোহর থেকে আছর পর্যন্ত তালীমী মজলিশ চলতে থাকে। এতে পবিত্র কুরআন শরীফ ছহীহ শুদ্ধভাবে শিক্ষা দেয়া হয়, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তাফসীর ব্যাখ্যা করা হয়, পবিত্র কুরআন ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফভিত্তিক ওয়াজ-নছীহত এবং বিভিন্ন মাসায়ালা-মাসায়িল আলোচনা করা হয়। সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মা’রিফাত, মুহব্বত হাছিলের তর্জ-তরীক্বা শিক্ষা দেয়া হয়। যামানার হক্ব তালাশী মা-বোনদের প্রতি রইল আমন্ত্রণ।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মুসলিমাদেরকে বর্তমান যামানার মুসলিমাদের রাহগীর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে হাক্বীক্বী ইছলাহ হাছিল করে খালিছ মু’মিনা হওয়ার এবং হক্বের উপর ইস্তিকামত থাকার তাওফীক ইনায়েত করুন। (আমীন) (ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ)
0 Comments:
Post a Comment