উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরিদীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, আমাদের মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র
হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস
সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বাম এই সম্পর্কে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে
হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
সুলত্বানুন
নাছীর মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের উম্মুল
উমাম, উম্মুল মুরিদীন হযরত আম্মা
হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সাল্লাম উনার নিসবত মুবারক সরাসরি সমস্ত মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে রয়েছেন। তবে বিশেষভাবে
উনার নিসবত মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, ত্বাহিরাহ, ত্বয়্যিবাহ,
উম্মুল
মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে এবং সাইয়্যিদাতুন
নিসায়ি ‘আলাল আলামীন,
ত্বাহিরা, ত্বইয়িবা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে।” সুবহানাল্লাহ!
এটা হচ্ছে উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরিদীন, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, হাবীবাতুল্লাহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা একক আখাচ্ছুল খাছ খুছূছিয়াত বা
বৈশিষ্ট্য মুবারক। এই আখাচ্ছুল খাছ খুছূছিয়াত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক অন্য কাউকে
দেওয়া হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
‘সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নিসবত
মুবারক খাছভাবে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে’ এর লক্ষ-কোটি ব্যাখ্যা
রয়েছে। তন্মধ্যে একটি ব্যাখ্যা হচ্ছে ত্বহিরাহ, ত্বয়্যিবাহ উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যম দিয়ে যেমন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ মুবারক
ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে অর্থাৎ ক্বিয়ামত পর্যন্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত
আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা,
হযরত
আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক
নিবেন তেমনিভাবে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার মাধ্যম দিয়েও সুলতা¡নুন নাছীর মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে অর্থাৎ ক্বিয়ামত
পর্যন্ত আবুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস
সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু
বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা, সম্মানিত আওলাদ
আলাইহিমুস সালাম উনারা দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক নিবেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত
হযরত আওলাদ আলাইহিমু সালাম অর্থাৎ হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে যেমন জিন-ইনসান ক্বিয়ামত পর্যন্ত নি‘য়ামত মুবারক লাভ করবে, নাজাত লাভ করবে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার যিনি মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করবে, ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী লাভ করবে
তেমনি উম্মুল মুরিদীন, উম্মুল উমাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার সম্মানিত আওলাদ
আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সুলত্বানুন নাছীর
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ পরবর্তী মুবারক
বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়েও জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলে ক্বিয়ামত পর্যন্ত নি‘য়ামত মুবারক লাভ করবে, নাজাত লাভ করবে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার যিনি মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করবে, ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবি লাভ করবে।
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ سَعِيْدِ ۨ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالـٰی عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـخْرُجُ رَجُلٌ مِّـنْ اَهْلِ بَيْتِىْ عِنْدَ اِنْقَطَاعٍ مِّـنَ الزَّمَانِ وَظُهُوْرٍ مِّنَ الْفِتَنِ رَجُلٌ يُّقَالُ لَهُ السَّفَاحُ فَيَكُوْنُ اِعْطَاؤُهُ الْمَالَ حَثْيًا.
অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, যামানার ক্রান্তিলগ্নে, যামানার শেষের দিকে যখন ফিতনা-ফাসাদ চরমভাবে
প্রকাশ পাবে তথা বেপর্দা-বেহায়া, অত্যাচার-অবিচার, যুলুম-নির্যাতনে, বেইনসাফীতে পুরো পৃথিবী ভরে যাবে, কোথাও সম্মানিত ইনসাফ উনার লেশমাত্র অবশিষ্ট
থাকবে না, তখন আমার মহাসম্মানিত ও
মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে আমার একজন খাছ
আওলাদ, একজন মহান খলীফা
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিবেন।
তিনি এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব মুবারক এমন একজন মহান খলীফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলা হবে। তিনি সমস্ত বাতিলী
শক্তি তথা কাফির-মুশরিক, ইহুদী-খ্রিস্টান, বৌদ্ধ,
মজুসী, মুনাফিক ও উলামায়ে সূ’দেরকে নিশ্চিহ্ন করে
দিয়ে, সমস্ত ফিতনা-ফাসাদ, যুলুম-নির্যাতন, অত্যাচার-অবিচার,
বেইনসাফীকে
মিটিয়ে দিয়ে দুনিয়ার যমীনে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবেন তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
খিলাফত মুবারক জারী করবেন। আর তিনি উনার দু’হাত মুবারক ভরে অঢেল, বেহিসাব ধন-সম্পদ বিলিয়ে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (দালায়িলুন
৬/৫১৪, খাছায়িছুল কুবরা ২/২০৩, আস সুনানুল ওয়ারিদা, আবু নাঈম, আল ফিতান, মাজমাউঝ ঝাওয়াইদ
৭/৬১১, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ
১০/৯২, বিদায়া-নিহায়া ৬/২৪৮
পৃষ্ঠা ইত্যাদি)
সুতরাং মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা
ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অতিশীঘ্রই
সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন।
ইনশাআল্লাহ!
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত আলা
মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারকই খলীফাতুল উমাম আল মানছূর সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা
হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস
সালাম তথা আবুল খুলাফা, মামদূহ মুর্শিদ
ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার পরবর্তী মুবারক বংশধর আলাইহিমুস সালাম (তথা সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার পরবর্তী বংশধর আলাইহিমুস সালাম) উনাদের
মাধ্যম দিয়ে সর্বশেষ ইমাম ও ১২ তম খলীফা হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার কাছে যেয়ে
পৌঁছবে। হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি এই ধারাবাহিকতায়ই খলীফা হবেন। উনাকে নতুন
করে সম্মানিত খিলাফাত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠা করতে হবে না। খলীফাতুল
উমাম, আল মানছূর সাইয়্যিদুনা
হযরত শাহযাদা ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুরু করে হযরত
ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনিসহ যত
খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনারা দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক নিবেন উনারা প্রত্যেকেই
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবুল খুলাফা
মামদূহ মুর্শিদ সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম তথা উনার মুবারক বংশধর হবেন (তথা
ক্বায়িম-মাক্বামে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন
নিসায়ি ‘আলাল আলামীন,
সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম তথা
উনার মুবারক বংশধর হবেন)। সুবহানাল্লাহ!
তাই মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উনার একখানা
বিশেষ লক্বব মুবারক হচ্ছেন, আবুল খুলাফা তথা
হযরত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের পিতা। অর্থাৎ সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত
আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বংশধর আলাইহিমুস সালাম
উনাদের মধ্য থেকে উনার সুমহান আওলাদ ১১তম খলীফা, সাইয়্যিদুল খুলাফা,
আবুল
খুলাফা, খলীফাতুল উমাম, আল মানছূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনিতো অবশ্যই; শুধু তাই নয়, ১২তম খলীফা হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম
তিনিসহ কমপক্ষে আরো পাঁচ থেকে আটজন মহান খলীফা আলাইহিস সালাম হবেন। সুবহানাল্লাহ!
তবে উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত ১২ জন আখাচ্ছুল
খাছ মহান খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত নন; কিন্তু উনারা সৎ ও ইনসাফগার খলীফা হবেন।
উনারাও যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার যিনি মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের কর্তৃক মনোনীত। সুবহানাল্লাহ!
এই বিষয়টিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ
শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!
সেটাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, যেই মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা ১০ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীদ
সুয়ূত্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার লিখিত বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘জামি‘উল আহাদীছ’ ও আরো অন্যান্য বিশ্বখ্যাত
কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে উল্লেখ করেছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا مَاتَ الْـخَامِسُ مِنْ اَهْلِ بَـيْـتِـىْ فَالْـهَرْجُ فَالْـهَرْجُ حَتّٰـى يَـمُوْتَ السَّابِعُ ثُـمَّ كَذٰلِكَ حَتّٰـى يَقُوْمَ الْـمَهْدِىُّ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস
রদ্বিয়াল্লাহ তা‘য়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খ¦াতামুন নাবিয়্যীন,
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, (আমার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে আমার একজন
আখাচ্ছুল খাছ মহান খলীফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়ার যমীনে, সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন
নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেন এবং সারা পৃথিবীব্যাপী, সারা কায়িনাতব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
খিলাফত মুবারক পরিচালনা করবেন। উনার পর উনার সুমহান আওলাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি খলীফা হবেন এবং সারা পৃথিবীব্যাপী, সারা কায়িনাতব্যাপী মহাসম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা
করবেন। অতঃপর উনার পরবর্তী মুবারক বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে একজন
খলীফা হবেন, উনার পর আবার আরো একজন
খলীফা হবেন, এরূপ ধারাবাহিকভাবে খলীফা
হতে থাকবেন এবং সম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা করতে থাকবেন। এই মুবারক
ধারাবাহিকতায়) যখন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের মধ্য থেকে পঞ্চম খলীফা আলাইহিস সালাম তিনি (খলীফা হিসেবে প্রকাশ হবেন
এবং সম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা করে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী
শান মুবারক প্রকাশ করবেন, তখন ফিতনা শুরু
হবে। অতঃপর ফিতনা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর এই ফিতনার মধ্যেই ষষ্ঠ ও সপ্তম
খলীফা আলাইহিমাস সালাম উনারা দু’জন সম্মানিত বিছালী
শান মুবারক প্রকাশ করবেন। অতঃপর ফিতনা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তারপর তা
যখন প্রকটরূপ ধারণ করবে, তখন মহান খলীফা
হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি এসে সেটাকে মিটিয়ে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী
৩৫/৪৪৯, আল হাওই লিস সুয়ূত্বী ২/৭৯, আল ‘উরফ লিস সুয়ূত্বী ১/১৪৬, আল ফিতান ১/২১৭ ইত্যাদি )
অর্থাৎ সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, খলীফাতুল মুসলিমীন,
আমীরুল
মু’মিনীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে
হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
আমাদের
প্রাণের আক্বা, মামদূহ মুর্শিদ
ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনিতো অবশ্যই অবশ্যই সারা পৃথিবীতে,
সারা
কায়িনাতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠা
করবেনই করবেন এবং সুদীর্ঘ ৩০-৪০ বৎসর যাবৎ সারা পৃথিবীব্যাপী, সারা কায়িনাতব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
খিলাফত মুবারক পরিচালনা করবেনই করবেন;
শুধু
তাই নয়, উনার পর উনার সুমহান আওলাদ
খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুল খলাফা, আবুল খুলাফা, খলীফাতুল উমাম,
আল
মানছূর সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদাহ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
খলীফা হবেন এবং তিনিও সুদীর্ঘ ৩০-৪০ বৎসর যাবৎ সারা পৃথিবীব্যাপী, সারা কায়িনাতব্যাপী সম্মানিত খিলাফত মুবারক
পরিচালনা করবেন। অতঃপর খলীফাতুল উমাম,
আল
মানছূর সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদাহ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সুমহান আওলাদ আলাইহিস সালাম যিনি হবেন,
তিনি
খলীফা হবেন। এভাবে এই সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার মুবারক ধারাবাহিকতায় পঞ্চম জন
যখন খলীফা হবেন এবং সম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা করে সম্মানিত বিছালী শান
মুবারক প্রকাশ করবেন, তখন ফিতনা দেখা
দিবে এবং ফিতনা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর এই ফিতনার মধ্যেই ষষ্ঠ ও সপ্তম
খলীফা আলাইহিমাস সালাম উনারা দুজন মহাসম্মানিত ও মহাপবত্রি বরকতময় বিছালী শান
মুবারক প্রকাশ করবেন। অতঃপর ফিতনা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তারপর যখন তা
প্রকটরূপ ধারণ করবে, তখন মহান খলীফা
হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি খলীফা হিসেবে প্রকাশ পাবেন এবং সেই ফিতনাটাকে
মিটিয়ে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! উনাকে নতুন করে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত মুবারক
কায়িম করতে হবে না। বরং সমস্ত খলীফাগণ উনাদের সাইয়্যিদ, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, খলীফাতুল মুসলিমীন,
আমীরুল
মু’মিনীন, আমাদের প্রাণের আক্বা
মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফ্ফাহ আলাইহিছ
ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি সারা পৃথিবীব্যাপী,
সারা
কায়িনাতব্যাপী যেই মহাসম্মানিত খিলাফত মুবারক জারি করবেন, সেই মহাসম্মানিত খিলাফত মুবারকই উনার সুমহান
আওলাদ, খলীফাতুল উমাম, আল মানছূর হযরত শাহযাদাহ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম উনার এবং উনার পরবর্তী মুবারক বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে
হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত যেয়ে পৌঁছবে। সুবহানাল্লাহ! হযরত
ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি সেই মুবারক ধারাবাহিকতায়ই খলীফা হবেন এবং উনার সময়
যেই ফিতনাটা থাকবে সেই ফিতনাটাকে তিনি মিটিয়ে দিবেন। উনাকে নতুন করে সম্মানিত
খিলাফত মুবারক জারি করতে হবে না। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ
উনাদের থেকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, খলীফাতুল মুসলিমীন,
আমীরুল
মু’মিনীন, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম, আমাদের প্রাণের আক্বা, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো অবশ্যই
অবশ্যই সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই এবং সুদীর্ঘ
৩০-৪০ বৎসর যাবৎ সারা পৃথিবীব্যাপী,
সারা
কায়িনাতব্যাপী সম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা করবেনই; শুধু তাই নয়, উনার পর উনার সুমহান আওলাদ (তথা যিনি সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম, উম্মুল মু’মিনীন, উম্মুল মুরিদীন, উম্মুল উমাম,
হাবীবাতুল্লাহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার সুমহান আওলাদ) খলীফাতুল
মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, খলীফাতুল উমাম,
আল
মানছূর হযরত শাহযাদাহ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি খলীফা হবেন এবং তিনিও সুদীর্ঘ
৩০-৪০ বৎসর যাবৎ সারা পৃথিবীব্যাপী,
সারা
কায়িনাতব্যাপী সম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা করবেন। অতঃপর উনার পরবর্তী মুবারক
বংশধর (তথা যিনি সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম, উম্মুল মু’মিনীন, উম্মুল মুরিদীন, উম্মুল উমাম,
হাবীবাতুল্লাহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার পরবর্তী বংশধর)
আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে সেই সম্মানিত খিলাফত মুবারকই ১২তম খলীফা হযরত
ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছবে। আর তিনিও সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার (তথা যিনি সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম, উম্মুল মু’মিনীন, উম্মুল মুরিদীন, উম্মুল উমাম,
হাবীবাতুল্লাহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার) মুবারক বংশধর হবেন।
সুবহানাল্লাহ!
এই সকল আলোচনা থেকে এই বিষয়টি দিবালোকের ন্যায়
অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হলো যে,
ত্বহিরাহ, ত্বয়্যিবাহ উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যম দিয়ে যেমন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ মুবারক
ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে তথা ক্বিয়ামত পর্যন্ত হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনারা, মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক
নিবেন, তেমনিভাবে ত্বাহিরহ, ত্বয়্যিবাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার মাধ্যম দিয়েও সুলত্বনুন নাছির, আবুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে
তথা ক্বিয়ামত পর্যন্ত আবুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ
আলাইহিমুস সালাম উনারা দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক নিবেন। সুবহানাল্লাহ! আর
উম্মুল খুলাফা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার (তথা
আবুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার) মুবারক বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য
থেকে উনার সুমহান আওলাদ ১১তম খলীফা,
সাইয়্যিদুল
খুলাফা, আবুল খুলাফা, খলীফাতুল উমাম, আল মানছূর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিতো
অবশ্যই; শুধু তাই নয়, ১২ তম খলীফা হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম
তিনিসহ কমপক্ষে আরো ৫ থেকে ৮ জন মহান খলীফা আলাইহিমুস সালাম হবেন। সুবহানাল্লাহ!
তবে উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত ১২জন আখাচ্ছুল
খাছ মহান খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত নন; কিন্তু উনারা সৎ ও ইনসাফগার খলীফা হবেন।
উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের কর্তৃক মনোনীত।
সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত হযরত আওলাদ আলাইহিমু সালাম তথা হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে যেমন জিন-ইনসান ক্বিয়ামত পর্যন্ত নিয়ামত লাভ করবে, নাজাত লাভ করবে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করবে, ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করবে তেমনি উম্মুল মুরিদীন, উম্মুল উমাম, উম্মুল খুলাফা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামউনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম (তথা আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সুলত্বানুন নাছীর মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম) তথা উনার পরবর্তী মুবারক বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়েও জিন-ইনসান ক্বিয়ামত পর্যন্ত নি‘য়ামত লাভ করবে, নাজাত লাভ করবে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করবে, ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করবে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
0 Comments:
Post a Comment