সাইয়্যিদাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম- উনার মুবারক ছোহবতেই নারী জাতির মুক্তি ও কল্যাণ
বর্তমান নারীদের অবস্থা অবলোকন করলে আফসুস করতে হয় যে, তারা শুধু নামেই ‘মুসলিম নারী’। কিন্তু তাদের হাল-হাক্বীক্বত, সীরত-ছূরত অন্যান্য বাতিল ধর্মাবলম্বীদের মতো। নাউযুবিল্লাহ্!
প্রগতিশীল নারীবাদীদের দ্বারা উন্মুক্ত ‘নারী স্বাধীনতা’র আজ জয়-জয়কার। ‘নারী স্বাধীনতা’র নামে ঘর থেকে মহিলাদের বের করতে উদ্বুদ্ধ করা, বেপর্দা হওয়া, ছেলে-মেয়ে, উভয়ে বাজারে বাজারে ঘুরে বেড়ানোর প্রচলন, মহিলা পুরুষ একত্রে স্ব স্ব সহশিক্ষার স্থানে কর্মে নিয়োজিত ইত্যাদি কর্মকা-ের দাপটে আজ নারী সমাজ ডুকরে কাঁদছে। নিজেরাই বিসর্জন দিচ্ছে নিজ নিজ মান সম্ভ্রম। বিচ্যুত হচ্ছে স্বামীর সংসার, পরিবার, সমাজ থেকে। নিক্ষিপ্ত এসিডে ঝলসে যাচ্ছে, খুন হচ্ছে পরকীয়া প্রেমের কারণে। যৌতুকের কারণে একজন নারী সমাজে ঘাতক স্বামী, শ্বশুরবাড়ীর মানুষের কাছে হচ্ছে অত্যাচারিত। পাশাপশি এক মুঠো ভাতের আশায় নিজের সমস্ত ঈমান আমল নিঃশেষ করে একজন নারী বিকিয়ে দিচ্ছে তার মান-সম্মান। অথচ এই তথাকথিত নারীবাদীরা ‘মনের পর্দা’কে বড় বলে মনে করে থাকে আর বোরকার আড়ালে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখাকে ‘মূর্খ, গেঁয়ো’ মনে করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ্!
শিক্ষিত আধুনিক সমাজের জাঁকজমক সাজ-সজ্জাতে তারা বেসামাল। ঘর-সংসার ফেলে নাইটক্লাবে নাচ-গান, মদ পানে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকা, টিভি এবং মঞ্চ নাটক, সিনেমায় মত্ত থেকে জীবনটাকে উপভোগ করা, রাজনীতির নামে বেহায়াপনা, বেলাল্লাপনায় মত্ত থেকে নিজস্ব স্বকীয়তাকে বিসর্জন দিয়ে বড় বড় নেত্রী হওয়া এবং রাজপথে মিছিল-মিটিং করে অপর দলের নেতাকর্মী, পুলিশ বাহিনীর হাতে নিজেদের মান-সম্মান হারানো, নির্যাতিত হওয়া এসব হচ্ছে নারী স্বাধীনতার প্রাপ্তি। সমাজের এসব নারীরাই আবার নারী মুক্তি’র নামে অগ্রণী ভূমিকা পালনে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এরাই নারী মুক্তির পুরোধা বলে নিজেদের প্রকাশ করে।
আফসুস! কোন্ সমাজে, কোন্ দেশে, কোন্ যুগে আমরা বাস করছি। আমাদের মুসলমানিত্ব কোথায়? আমরা নারী। নারীদের সেই চিরাচরিত ‘লজ্জা’ আজ কোথায়? আমরা ‘আইয়্যামে জাহিলিয়াতের’ সেই যুগে এসে পড়েছি। ‘আইয়্যামে জাহিলিয়াতে’ মেয়েরা বেপর্দা হয়ে চলতো, বেশরা বিদয়াতে লিপ্ত থাকতো, বাজারে বাজারে ঘুরতো যা বর্তমানে দেখা যায়। ‘নারী স্বাধীনতা’র নামে, ‘নারী মুক্তি’র দিশারী নামে কলুষিত করে রেখেছে গোটা সমাজকে। অথচ কি অপমান! কি লজ্জা! নারীত্বের এই অবমাননা নারীদের দ্বারাই সংঘটিত হচ্ছে। এটা তাদেরই কর্মফল। নিজের জাত, সত্তা, বিসর্জনকারিনী অপয়ারা কিভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন, অসহায় নারীদের উদ্ধার করবে? নিজেদের মূর্খতা, স্বেচ্ছাচারিতা, জাহেলীপনা আজ সত্যিই ইবলিশ শয়তানের খাস অনুচর হিসেবেই নিজেদেরকে প্রমান করেছে। এরা সত্যিই চরম লাঞ্ছিত এবং অপমানিত হচ্ছে, দুনিয়ার বুকে নিজেদের অপর্কমের ফলে ও দ্বীন ইসলাম উনার আদেশ নিষেধ না মানার কারণেই অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে না মানার কারণেই এবং যুগের ইমাম উনার ছোহবত মুবারক গ্রহণ না করার কারণে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে প্রগতিবাদী নারী সমাজের, ধোঁকা থেকে হিফাযত করে যুগের রাহবার প্রকৃত নারী মুক্তির অগ্রদূত, নারী জাতির মর্যাদার প্রতীক সাইয়্যিদাতুন নিসা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খাছ ছোহবত মুবারক উনার মাধ্যমে নারী জাতির প্রকৃত মুক্তি ও কল্যাণ নসীব করুন। (আমীন)
“কে আছেন ধরার বুকে উনার মতো
উম্মাহাতুল মু’মিনীন উনাদের মতো
মায়া করেন পথ হারা নারীকুলের
ফেরান তিনি ঘরে সবার প্রতি জনে।”
0 Comments:
Post a Comment