সুমহান ১৪ ই যিলক্বদ শরীফ











মুবারক হো! সুমহান ১৪ই যিলক্বদ শরীফ;
মুবারক হো! ঈদে বিলাদতে হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম
ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!! ঈদ মুবারক!!! ঈদে বিলাদতে হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উপলক্ষে কুল-কায়িনাতবাসীকে জানাই ঈদ মুবারক।
আজ সুমহান ১৪ই যিলক্বদ শরীফ। শাফিউল উমাম, কুতুবুল আলম, মাহিউল বিদয়াত, মুহইউস সুন্নাহ, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদ। বর্তমান যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম এবং ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম, হাবীবাতুল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের প্রথমা আওলাদ ত্বাহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, ফক্বিয়াহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার জাওযুল মুকাররম। সুবহান্নাল্লাহ!
জান্নাতী বাগানের তিন জন মালিকা, ত্বাহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, রহীমাহ, মাশুকাহ, মাহবুবাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহ নাওয়াসী ক্বিবলা আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত ওয়ালিদ তথা আব্বাজান। সুবহান্নাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা ওয়ারাউল ওয়ারা হিসেবে কবুল করেছেন। উনাকে দিয়েছেন অসংখ্য-অগণিত নিয়ামত। তামাম দুনিয়ার কুতুব করে উনাকে যমীনে প্রেরণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসলীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদ হিসেবে কবুল করেছেন তথা আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক বংশ পরিচয় এবং মুবারক সহধর্মিনী এবং আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর দ্বারা শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান সুস্পষ্টত প্রকাশিত। কিন্তু বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসানদের পক্ষে উনার হাক্বীক্বী মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উপলব্ধি করা তো কখনো সম্ভব হবে না। তথাপিও সীমিত জ্ঞানের দ্বারা উনাদের যতটুকু শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উপলব্ধি করা যায়, তার যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা সকলেরই কর্তব্য।
আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি তো বান্দাদের বলেছেন- বান্দারা যেন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে। নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করলেই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামত আরো বাড়িয়ে দেন। কাজেই আমাদের উচিত হবে- সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের মাঝে রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন, এর জন্য শুকরিয়া আদায় করা, উনাকে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম এবং খিদমত মুবারক করা তথা নিয়ামতের যথাযথ হক্ব আদায় করার কোশেশ করা; যদিও বান্দাদের পক্ষে হাক্বীক্বী হক্ব আদায় করা কখনোই সম্ভব নয়।
সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের মাঝে নাজাতী তরীস্বরূপ। উনাকে যে অনুসরণ-অনুকরণ করবে, মুহব্বত করবে, তা’যীম-তাকরীম করবে, খিদমত করবে সে অবশ্যই নাজাত পেয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছি, তিনি (বিদায়) পবিত্র হজ্জ উনার সময় পবিত্র আরাফাতের দিন উনার ‘কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর সওয়ার অবস্থায় খুতবা মুবারক দান করছেন। আমি শুনেছি, তিনি খুতবা মুবারক উনায় বলেছেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তাকে শক্তভাবে ধরে রাখো, তবে কখনো গুমরাহ হবে না। তা হলো খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব ও আমার ইতরাত বা আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম।”
অন্যত্র আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার যামানার কিসতীস্বরূপ। যারা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করবে তারা সকলেই নাজাত পেয়ে যাবে।”
এজন্য আমাদের সকলেরই উচিত হবে- আখাছছুল খাছ আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করা, খিদমত করা। আর উনারই সুমহান পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস ১৪ই যিলক্বদ শরীফ যথাযথভাবে পালন করা। আর এ লক্ষ্যে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ, ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা। উনার ছানা-ছিফতে মশগুল থাকা এবং হাক্বীকী মুহব্বত এবং খিদমতে নিয়োজিত থাকা।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকল মাখলুকাতকে যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার উসীলায় শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস যথাযথভাবে পালন করে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ সন্তুষ্টি, রেযামন্দি মুবারক হাছিল করার তাওফীক দান করেন। আমীন।
******************
2.সুমহান ১৪ই যিলক্বদ শরীফ-
যেদিন তাশরীফ এনেছেন শেরে খোদা সাইয়্যিদুনা
হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম
পবিত্র ১৪ই যিলক্বদ শরীফ কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল শেরে খোদা শাহদামাদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি প্রতি যামানায় অসংখ্য-অগণিত ওলীআল্লাহ উনাদেরকে জিন ও বিশেষ করে ইনসানের (মানুষের) হিদায়েত দানের লক্ষ্যে প্রেরণ করেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত প্রেরণ করতে থাকবেন।
যে সম্পর্কে স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি যমীনে খলীফা প্রেরণ করবো।”
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে হাক্বীক্বী মিছদাক্ব খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার আখাছছুল খাছ ওলী এবং বিশেষভাবে খলীফা হিসেবে মনোনীত শাফিউল উমাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার সাথে বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার প্রথমা আওলাদ- যিনি আফযালুন নিসা, ফক্বিহাতুন নিসা, ত্বাহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, আলিমা, আবিদাহ, হাফিযাহ, বিনতে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক আক্বদ সুসম্পন্ন হয় এবং উনাদের মাধ্যমেই দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ নিয়েছেন তিন নববী নূরী ফুল তথা সাইয়্যিদাতুল উমাম হযরত শাহ নাওয়াসী ক্বিবলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা।
কুতুবুল আলম, শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদে আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হলেন খাছ আওলাদে রসূল; যাঁদের সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক ফরমান, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। (আর তোমাদের পক্ষে তা দেয়াও সম্ভব নয়) তবে যেহেতু তোমাদের ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভ করতে হবে, মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি মুবারক হাছিল করতে হবে; সেহেতু তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- আমার নিকটজন তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচারণ করবে।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
আওলাদে রসূল উনাদের শান, মান, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা, বুযূর্গী-সম্মান আলোচনা করে তো শেষ করা যাবে না। কাজেই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কুতুবুল আলম, শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদে আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী ও সম্মান কতটুকু তা চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদে আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক ১৪ই যিলক্বদ শরীফ।
উনার মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-তাওয়াল্লুক, সন্তুষ্টি ও রেযামন্দি পেতে সকল বান্দা-বান্দী অর্থাৎ সকল মু’মিন-মু’মিনা মুসলমানদের দায়িত্ব-কর্তব্য হবে- উনাকে অনুসরণ করা, মুহব্বত করা এবং উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার দিবসে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ওয়াজ শরীফ ও সামা শরীফ মাহফিলের আয়োজন করা তথা ১৪ যিলক্বদ শরীফকে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আমাদের সকলকে সেই তাওফীক দান করুন। আমীন!
*****************
3.
আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম
উনার পবিত্রতম হুলিয়া মুবারক
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার বেশুমার শুকরিয়া যিনি আমাকে আমাদেরকে ও বিশ্ববাসীকে এক মহান নিয়ামত মুবারক দান করেছেন। আল-হামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন।
সেই নিয়ামত মুবারক কি? সেই মহান নিয়ামত মুবারক হচ্ছেন যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ আল মুজাদ্দিদুল আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত ওয়াশ শিরক, মুস্তাজাবুদ দাওয়াত আওলাদুর রসূল সাইয়্যদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
এই মহান মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার শাহযাদীয়ে ঊলা আলাইহাস সালাম উনার জীবনসঙ্গী হিসেবে যিনি সম্পৃক্ত হন, তিনিই হচ্ছেন শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
উনারা উভয়েই পবিত্রা ও পবিত্র। এমনটি নয় যে, উনারা পরে পবিত্র হয়েছেন। বরং পূর্ব থেকেই পবিত্রা, পবিত্র। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ২৬ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “পবিত্র পুরুষগণ উনাদের জন্য পবিত্রা নারীগণ আর পবিত্রা নারীগণ উনাদের জন্য পবিত্র পুরুষগণ উনাদেরকে তৈরি করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে যা নিশ্চিত বুঝা যায় তা হচ্ছে, যিনি বা যাঁরা মুজাদ্দিদ আ’যম আওলাদুর রসূল আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ ও খাতান হবেন উনারা তো পূর্ব থেকে পবিত্রা, পবিত্র ও মনোনীত। যেমনটি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা উনার রহমত দ্বারা খাছ করে নেন।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনি মশহুর হয়েছেন ‘শাহদামাদ আউওয়াল’ হিসেবে। তিনি এই পৃথিবীতে আগমন করেন তথা উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন ১৪ই যিলক্বদ শরীফ-এ। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হজ্জ সম্পাদনের মাস হচ্ছে তিনটি- শাওওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জ। তিনি পবিত্র হজ্জ সম্পাদনের মাসসমূহের মধ্যে অন্যতম পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাসেই পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। এছাড়াও এ মাসটি হচ্ছে বছরে চারটি হারাম বা পবিত্র মাসের একটি অন্যতম মাস। অর্থাৎ সাইয়্যদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম একদিক থেকে হারাম বা পবিত্র মাসে, অন্যদিক থেকে সম্মানিত পবিত্র হজ্জ সম্পাদনের মাসে দুনিয়ায় তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন।
বংশ মুবারক: তিনি সাইয়্যিদ বংশোদ্ভূত তথা আওলাদুর রসূল। অর্থাৎ কায়িনাত মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ বংশোদ্ভূত তিনি। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র ইলম মুবারক ও প্রজ্ঞা: তিনি ইলমুশ শরীয়ত ও ইলমুল মা’রিফত-এ পূর্ণ মুহাক্কিক। কারণ উনি তো সাইয়্যিদুনা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার দামাদ এবং একই সাথে নাক্বীবাতুল উমাম, নূরে মুকাররমাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ঊলা আলাইহাস সালাম উনার যাওজুল মুকাররম। সুবহানাল্লাহ!
উনার প্রজ্ঞা, মেধা, তীক্ষ্মতা, বিচক্ষণতা সীমানা ছাড়িয়ে এক সুউচ্চ আসনে সমাসীন। সর্বশ্রেষ্ঠতম ছুহবতে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ, হিকমত ইত্যাদি যাবতীয় জ্ঞান বিজ্ঞানে মুহাক্কিক আলিম। সুবহানাল্লাহ!
চরিত্র মুবারক: তিনি উন্নত ও উত্তম চরিত্র মুবারক উনার অধিকারী। কথা-বার্তায়, কাজে-কর্মে, পারস্পরিক আচার আচরণে অত্যন্ত শরীফ স্বভাবের। কোমল, নরম ও দয়ার্দ্র ভাবাপন্ন উনার চিত্ত মুবারক।
জিসমী অবয়ব: তিনি জিসমী অবয়বে আওলাদুর রসূল মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার চেহারা মুবারক উনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। উন্নত ও মানানসই দাড়ি মুবারক উনার নূরানী বদন মুবারকে শোভা পাচ্ছে। উনার হাসির মুহূর্তে মুক্তাসম দাঁত মুবারকগুলো যেন আকাশের তারকাকে মøান করে দেয়। ক্ষণে ক্ষণে উনার মুচকি হাসি মুবারককে মনে হয় এ যেন আকাশে রহমতী বৃষ্টির মেঘের ফাঁকে পড়েছি যে বছর যত বেশি আকাশে বিজলি চমকাবে, সে বছর ফসল তত ভালো হবে। এ হাসি নিশ্চিত আমাদের জন্য এমনই। আলহামদুলিল্লাহ!
পরহেযগারিতা: শাহদামাদ আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি আ’লা দরজার মুত্তাকী, ওলীউল্লাহ, তাহাজ্জুদ গুজারী, সাদাসর্বদায় যিকির-আযকার, দুরূদ-সালাম, শানে মুজাদ্দিদে আ’যম উনার ইশকে ও ইত্তিবায় ফানা ও বাক্বা। সুবহানাল্লাহ! উনার সবচে’ শ্রেষ্ঠ তাক্বওয়া উনার প্রতিফলন হচ্ছে তিনি নিজেই আওলাদুর রসূল এবং মুজাদ্দিদী আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কর্তৃক নূরানী প্রাচীরে পরিবেষ্টিত। সুবহানাল্লাহ!
উনি পবিত্র ১৪ যিলক্বদ শরীফ-এ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। এজন্য এ মহান দিন মুবারকে উনাকে লক্ষ-কোটি মুবারকবাদ ও আহলান সাহলান।
মুজাদ্দিদ আ’যম উনার শাহখাতান মশহুর শাহদামাদ নামে
শাহযাদী ঊলা উনার মহান যাওজ, শাহ নাওয়াসীগণ এ বাগের রায়হান।
**************
আহলান-সাহলান
ঈদে বিলাদতে সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম।
আরবী বারো মাস উনাদের মধ্যে এগারতম মাস হচ্ছেন পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস। চারটি হারাম মাস উনাদের একটি অন্যতম হারাম মাস হচ্ছেন পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস। সুবহানাল্লাহ!
সেই মহাপবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস উনার সুমহান ১৪ই শরীফ তারিখে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার লখতে জিগার, নাক্বীবাতুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ঊলা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার যাওযুল মুকাররম। অর্থাৎ তিনিই কুতুবুল আলম, শাফীউল উমাম, আওলাদে রসূল হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
তাই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সুমহান ১৪ই যিলক্বদ শরীফ সকলের জন্যই একটি বরকত, রহমত ও নিয়ামতপূর্ণ দিন ও রাত।
অতএব, সকলের উচিত সেই মুবারক দিনটি উনার ছানা-ছিফত ও মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ উনার মাধ্যমে কাটানো, যা আমাদের সকলের জন্যই নাজাতের কারণ হবে। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عند ذكر الصالحين تنزل الرحمة
অর্থ: “নিশ্চয়ই আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের আলোচনা রহমত লাভের কারণ।”
*************
আসুন, সবাই মিলে পালন করি-
বিশেষ দিবস সুমহান ১৪ই যিলক্বদ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اذكروا نعمة الله علبكم .
অর্থ: “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে নিয়ামত দিয়েছেন তা স্মরণ করো।”
সুমহান পবিত্র ১৪ই যিলক্বদ শরীফ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে নিয়ামত প্রাপ্তির একটি অন্যতম স্মরণীয় দিন। যেদিন এ ধরার বুকে তাশরীফ মুবারক নেন অর্থাৎ পবিত্র বিলাদতী শান মুবরক প্রকাশ করেন কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম, শাফিউল উমাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কর্তৃক মনোনীত এবং উনাদের থেকে সর্বপ্রকার নিয়ামত পেয়ে পূর্ণতাপ্রাপ্ত।
হবেন না-ই বা কেন? খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যে উনাকে মনোনীত করেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার লখতে জিগার সাইয়্যিদাতুন নিসা, নাক্বীবাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, হযরত শাহযাদী ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত যাওযুল মুকাররম হিসেবে। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার আহাল পাক উনাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে তিনি আরো বেমেছালভাবে পূর্ণতায় পৌঁছেছেন। সুবহানাল্লাহ!
তাই আসুন, আমরা সকলেই উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিনকে স্মরণ করে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করি, উনার ছানা-সিফত বর্ণনায় মশগুল থাকি। যা আমাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে বিশাল কামিয়াবীর কারণ হবে।
************
শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একজন খাছ আওলাদে রসূল। উনাকে সম্মান, মুহব্বত ও অনুসরণ করা সকলের জন্য ফরয
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
ان اولادى كسفينة نوح عليه السلام من دخلها نجا .
অর্থ: “আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা হচ্ছেন হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। যারা তাতে প্রবেশ করেছে তারা নাজাত পেয়েছে।” (মিশকাত শরীফ)
অনুরূপ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকেও যারা সম্মান, মুহব্বত ও অনুসরণ করবে তারাও দুনিয়া ও আখিরাতে বালা-মুছীবত ও আযাব-গযব থেকে নাজাত পাবে।
কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম, শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একজন খাছ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাই উনাকে যারা সম্মান করবে, মুহব্বত করবে, অনুসরণ করবে তারা নিঃসন্দেহে হক্বের উপর থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
******************************
শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার
সুমহান বিলাদত শরীফ অত্যন্ত জওক-শওকের সাথে পালন করা এবং
এ উসীলায় খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হাবীবে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা সবার জন্য ফরয
চন্দ্র মাসের এগারতম মাসটির নাম যিলক্বদ শরীফ। আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ঘোষণাকৃত চারটি হারাম বা সম্মানিত মাসের প্রথম মাসটিই হচ্ছে পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস। তাই এ মাসের ফযীলত-বুযূর্গীর কথা নতুন করে বর্ণনার অবকাশ নেই। এ ব্যাপারে স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা যিলক্বদ শরীফ মাসকে সম্মান করো। কেননা এটি হারাম বা সম্মানিত মাসসমূহের মধ্যে প্রথম মাস।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, এ মাসের ফযীলতসমূহের মধ্যে একটি বিশেষ ফযীলত হচ্ছে- আমাদের প্রাণের আক্বা, মাথার তাজ, কুতুবুল আলম, লখতে জিগারে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শেরে খোদা, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, শাফিউল উমাম হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এ পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাসের ১৪ তারিখ পৃথিবীর বুকে তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সুমহান দিনটিকে যথাযথভাবে পালন করা পৃথিবীর প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি মুসলমানের জন্য ফরয। কারণ তিনি হচ্ছেন জাহির বাতিনের আলোক বর্তিকা, ক্বায়িম-মাক্বামে ইলমি দ্বার; সর্বোপরি মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার খাছ আহলু বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, সবারই উচিত কুতুবুল আলম, লখতে জিগারে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শেরে খোদা, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদে আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস অত্যন্ত জওক ও শওকের সাথে পালন করা।
সর্বোপরি এ উসীলায় মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়িদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সর্বোপরি সাইয়িদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছে খাছ দোয়া, দয়া ও ইহসান ভিক্ষা করছি।
************************************
সুমহান পবিত্র ১৪ই যিলক্বদ শরীফে:
এক মহান নূর মুবারক উনার তাশরীফ
১৪ই যিলক্বদ শরীফ সেই মহান নূরে মুবারক উনার তাশরীফ; যেই নূর মুবারক ছিলেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে। যেই নূর মুবারক রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বংশ মুবারক থেকে প্রকাশিত। সেই নূর মুবারক হলেন, শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি। তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন চারটি হারাম বা সম্মানিত মাসের মধ্যে একটিতে। আর সেটা হলো পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস। আর এই সম্মানিত যিলক্বদ শরীফ মাসের ১৪ তারিখ শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার সেই সুমহান পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উপলক্ষে সবাইকে জানাই- ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!
শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা অনেক, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি একদিক থেকে আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং অন্যদিকে উনার মাধ্যমেই আমরা সাইয়্যিদাতাল উমাম হযরত শাহ নাওয়াসী ক্বিবলা আলাইহিন্নাস সালামগণ উনাদেরকে পেয়েছি। তাই শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার শুকরিয়া করে শেষ করা যাবে না। এজন্য আমাদের উচিত- উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং সকল জিন-ইনসানের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা।
*********************************************
নক্বশায়ে হায়দার, মিছদাক্বে বাবুল ইলম, ক্বায়িম-মাক্বামে ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত ইলমে লাদুন্নী মুবারক উনার সাক্ষাৎ উদাহরণ! সুবহানাল্লাহ!
হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার উৎস হচ্ছেন সম্মানিত ওহী মুবারক। আর হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ইলম মুবারক উনার উৎস হচ্ছেন ইলহাম-ইলক্বা বা ইলমে লাদুন্নী মুবারক।
সম্মানিত ওহী বা ইলমে লাদুন্নী অর্জিত ইলম মুবারকের নাম নয়, বরং প্রদত্ত ইলিম মুবারকের নাম। মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে উনার মনোনীত হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারদেরকে প্রদত্ত সম্মানিত ইলম মুবারকের নাম ওহী। আর হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের নায়িব বা স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মনোনীত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদেরকে প্রদত্ত সম্মানিত ইলম মুবারকের নাম ইলমে লাদুন্নী। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, সম্মানিত ওহী মুবারক শুধুমাত্র যিনি খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এসে থাকে বা প্রদত্ত হয়ে থাকে। আর সম্মানিত ইলমে লাদুন্নী মুবারক তিনভাবে এসে থাকে বা প্রদত্ত হয়ে থাকে। (এক). মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে; (দুই). নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে কিংবা হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের তরফ থেকে; (তিন). হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের তরফ থেকে। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। অনুরূপভাবে বর্তমান যামানায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিনি পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বাম, সাইয়্যিদু আওলাদে রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল আউলিয়া ওয়াল মুজাদ্দিদীন, সুলত্বানুন নাছীর, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, নূরে মুকাররম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিজ সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। সুবহানাল্লাহ!
বলার অপেক্ষা রাখে না, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যেরূপ মুহব্বত, তায়াল্লুক, নিসবত স্থাপিত হয়েছে। তদ্রƒপ নূরে মুকাররম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুহব্বত, তায়াল্লুক-নিসবত স্থাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার শহর আর হযরত ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন উক্ত সম্মানিত শহর মুবারক উনার দরজা।
এই সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার বাস্তবতা আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যিনি নক্বশায়ে হায়দার, মিছদাক্বে বাবুল ইলিম, ক্বায়িম-মাক্বামে ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ, শাহদামাদে আউওয়াল, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মধ্যে। সুবহানাল্লাহ!
উনার মধ্যে অজস্র ধারায় যেমনিভাবে প্রবেশ করছে ইলমে লাদুন্নী মুবারক ঠিক তেমনিভাবে তা কায়িনাত মাঝে বিকশিত ও প্রকাশিত হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, কায়িনাতবাসীকে আহ্বান জানাবো, উক্ত ইলমে লাদুন্নী মুবারক উনার হিসসা মুবারক পেতে শিগগিরই চলে আসুন পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ। প্রতিনিয়ত সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি নছীহত মুবারক উনার মাধ্যমে উক্ত নিয়ামত মুবারক বিতরণ করে যাচ্ছেন।
*****************************************
কুতুবুল আলম, বাবুল ইলমি ওয়াল হিকাম আওলাদে রসূল, শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার শান, মান, বুযূর্গী, সম্মান মুবারক
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِن دِيَارِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ اللَّـهِ وَرِضْوَانًا وَيَنصُرُونَ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ ۚ أُولَـٰئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ ﴿٨﴾
অর্থ:- যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি, রেযামন্দি ও অনুগ্রহ তালাশ করেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়ার জন্য উনাদের বাড়ি-ঘর, ও ধন-সম্পদ হতে বের হয়ে এসেছেন বা ত্যাগ করে এসেছেন উনারাই হচ্ছেন- সদিকীন বা সত্যবাদীগণের অন্তর্ভুক্ত। (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ০৮)
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّـهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ ﴿١١٩﴾
অর্থ:- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। আর সদিকীন তথা ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
ছদিকীনগণের অন্তর বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা ধন-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি মুক্ত। উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক, রেযামন্দি মুবারক, তাওয়াল্লুক মুবারক, নিসবত মুবারক হাছিলের জন্য সব কিছুই বিসর্জন দিয়ে থাকেন। কোনো কিছুর প্রতি উনাদের আকর্ষণ নেই। উপরোক্ত উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খিদমত মুবারকে সদাসর্বদা আঞ্জাম দানকারী। মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের শান, মান, বুযূর্গী, সম্মান প্রভাব প্রতিপত্তির বর্ণনা দিয়েছেন। একইভাবে উনাদের অনুসরণের যারা অনুরূপ করবেন তারাও সেই ছদিকীন বা সত্যবাদীগণের মাক্বাম হাছিল করতে পারবেন। অতীতে যত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উক্ত মাক্বাম হাছিল করেছেন প্রত্যেকের হাল বা অবস্থা অনুরূপই ছিল।
কুতুবুল আলম, বাবুল ইলমি ওয়াল হিকাম আওলাদের রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ঐ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিসদাক হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের কাউকে কাউকে বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে মাহরুম বা বঞ্চিত করা হয়েছে। আবার কোনো কোনো হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা স্বেচ্ছায় সেগুলো ত্যাগ করেছেন। কুতুবুল আলম, বাবুল ইলমি ওয়াল হিকাম, নকশায়ে হায়দার সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ও দুনিয়াবী প্রভাব প্রতিপত্তি, দুনিয়াবী মর্যাদা-মর্তবা, ধন-সম্পদ ইত্যাদিকে স্বেচ্ছায় ত্যাগকারীগণের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমাস সালাম উনাদের খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দেয়ার জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিলিয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
ফলে তিনি সেই সকল মহান ব্যক্তিত্বগণের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, যাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি খাছ বা বিশেষ নিয়ামতরাজি হাদিয়া করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَنْعَمَ اللَّـهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ
অর্থ:- নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি খাছ (বিশেষ) নিয়ামত দিয়েছেন, হযরত নবী আলাইহিস সালামগণ উনাদেরকে। আরো দিয়েছেন ছিদ্দিক্ব, শহীদ ও ছলিহীন তথা ওলীআল্লাহগণ উনাদেরকে।”
কুতুবুল আলম বাবুল ইলমি ওয়াল হিকাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন চূড়ান্ত মর্যাদা মুবারকের অধিকারী তথা ছিদ্দিক্ব তবকার ওলীআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা উনাকে খাছভাবে মনোনীত বা কবুল করেছেন। তিনি হচ্ছেন উনাদের মাহবুব।
উল্লেখ্য পবিত্র ১৪ই যিলক্বদ শরীফ উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন। আমরা কুল-কায়িনাতের সবাই খুশি প্রকাশ করছি। উনার
হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি-রেযামন্দি, তাওয়াল্লুক মুবারক, নিসবত মুবারক পাওয়ার আশা করছি। আবাদুল আবাদ গোলামীতে ইস্তিকামাত থাকার তাওফীক চাচ্ছি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, গাউসুল আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা তিনি কবুল করুন। আমীন! আমীন! আমীন!
******************************************************
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল হিদায়েত, নছীহত ও দুর্বার তাজদীদ উনাদের নানাবিধ অনুষঙ্গে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার অনন্য অবদান
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন: “তোমরা সকলেই আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হয়ে যাও।”
পবিত্র এ আয়াত শরীফ উনার অর্থে বুঝা যায়, সবারই আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। মুবারক স¦ভাব-সঞ্জাত গুণ-বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে অনাবিল কোশেশ যুক্ত করে আল্লাহওয়ালা হওয়া এবং কেবল আপেক্ষিক যোগ্যতায় আপন কোশেশে আল্লাহওয়ালা হওয়ার মধ্যে বিস্তর তফাৎ।
সম্মানিত শরীয়ত উনার বিধানে জীবনের শতমুখী কর্মধারায় মানুষের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণসাধনে যাঁরা কামিয়াব, উনারা উনাদের মুবারক বিলাদত শরীফ সূত্রেই তীক্ষè মেধা, অনন্য প্রতিভা, গভীর অন্তর্দৃষ্টি, অনুপম চরিত্র মাধুর্য, অতুলনীয় সাহসিকতা, দুর্বার স¦াধীনতা, বেমেছাল তাক্বওয়া ও পরহেযগারির ধারক ও বাহক। আপন স¦ভাবে প্রচ্ছন্নভাবে মিশে থাকা এসব বৈশিষ্ট্যের উন্মেষ ঘটে একজন শায়েখ উনার মুবারক সান্নিধ্যে। উনার শিক্ষা ও দীক্ষায় এবং উনার ফায়িজ ও তাওয়াজ্জুতে। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী সন্তুষ্টিলাভে কামিয়াবী অর্জনের ক্ষেত্রে পূর্বকাল থেকে চলে আসা এটিই সম্মানিত শরীয়ত সমর্থিত পদ্ধতি। এ পদ্ধতির ব্যত্যয়ে জীবনের যে তথাকথিত অগ্রগতি, তা মেকী এবং পরিণতিতে দুর্ভাগ্য ও দুর্ভোগের কারণ। দুনিয়ায় এমন সুমহান ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব বিরল। কামিয়াবীর বিজয় মুকুট মাথা মুবারকে নিয়ে এমন এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব তিনি দুনিয়ায় মুবারক তাশরীফ গ্রহণ করেন। খালিছ আল্লাহওয়ালা, অভিজাত, সম্ভ্রান্ত ও শরীফ বংশীয় সাইয়্যিদ পরিবারে উনার মুবারক বিলাদত শরীফ। তিনি হলেন নকশায়ে কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, বাহরুল উলুম, কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, শাফিউল উমাম, হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
বুযুর্গ পরিবারের সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মুবারক আবহেই সযতœ লালন-পালন, প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং উনার বেড়ে উঠা। বুযুর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা উভয়েই সাইয়্যিদ, অর্থাৎ আওলাদে রসূল। মুবারক বংশ গৌরব, শরাফত, আচার-আচরণ ও কর্মে উনারা সর্বজন শ্রদ্ধেয়। উনারা খালিছ আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, শাফিউল উমাম, হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার ঊর্ধ্বতন বুযুর্গ পুরুষ উনারা আরব দেশের অধিবাসী। হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের পবিত্রতম মাধ্যম হয়ে ঊর্ধ্বতন বুযুর্গ পুরুষ উনাদের মুবারক সংযুক্তি ঘটেছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে। সুবহানাল্লাহ! হযরত শাহদামাদ হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ঊর্ধ্বতন বুযুর্গ পুরুষ উনাদের এক জামায়াত প্রায় তিনশত বছরেরও অধিককাল পূর্বে এদেশে আগমন করেন। বর্তমান গাজীপুর জেলাধীন কাপাসিয়া ও মনোহরদী থানার সংযোগস্থল ‘হাতিরদিয়া’তে সাময়িক অবস্থানের পর তরগাঁও ইউনিয়নের ‘উত্তর খামের’ গ্রামে উনারা স্থায়ী বসতি নির্মাণ করেন এবং সেখানেই হিদায়েত ও নছীহতের কাজে নিয়োজিত থাকেন। বাড়ির আঙ্গিনায় একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়, যা আজও বিদ্যমান। বাড়ির অদূরে উনাদের প্রতিষ্ঠিত একটি মাদরাসাও চালু ছিলো।
১৩৯৫ হিজরী সনের মুবারক ১৪ যিলক্বদ শরীফ মুতাবিক ১৯৭৫ ঈসায়ী সনের ১৯ নভেম্বর ঢাকায় শাফিউল উমাম, হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ। বুযুর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা উনাদের লখতে জিগার আওলাদ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার মুবারক কৈশোরেই আদব, শরাফত, প্রশিক্ষণ ও পর্যায়ক্রমিক ইলম দানে সমৃদ্ধ করে তোলেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য যাবতীয় ইলম ও প্রজ্ঞায় ব্যুৎপত্তি হাছিল করেন শাফিউল উমাম, হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি। মুবারক বিলাদত শরীফ সূত্রেই তীক্ষè মেধা ও মননের অধিকারী হওয়ায় শ্রেণী বিন্যাসকৃত পরীক্ষার সকল ধাপেই তিনি কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বুয়েট থেকে ঈর্ষণীয় ফলাফলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হন। এ.আই.ইউ.বিতে তিনি ফ্যাকাল্টি মেম্বার নির্বাচিত হয়ে কিছুদিন সেখানে অবস্থান করেন। অতঃপর প্লানিং ডিপার্টমেন্টে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সাত বছর কাজে নিয়োজিত থাকেন।
মাহবুব ওলীগণ উনারা আবাল্য স¦াধীন। পরাধীনতা ওলীত্বের অন্তরায়। মহান পারিবারিক ঐতিহ্য, অন্তরে লালিত স¦প্ন, অনুভবে মধুর যন্ত্রণা কাতরতা অনুক্ষণ একজন শায়েখ উনার ক্বদম মুবারকে ঠাঁই নিতে হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। প্রত্যাশা পূরণের মহান লক্ষ্যে ১৪২১ হিজরী সনের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মুতাবিক ২০০০ ঈসায়ী সনে তিনি মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হয়ে গন্তব্য মঞ্জিলে পৌঁছার পথ অবারিত করেন। সুবহানাল্লাহ! নিয়মিত মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করে, যিকির ও ফিকিরে অভ্যস্ত হয়ে এবং মুরাক্বাবা, মুশাহাদা ও ইবাদত-বন্দেগীতে নিবিষ্ট হয়ে তিনি কামিয়াবীর চূড়ান্ত সোপানে উপনীত হন। তিনি অল্প সময়ে সকল সম্মানিত তরীক্বার ছবক সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ!
পাশাপাশি নিয়মিতভাবে তিনি মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, খলীফাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, কুতুবুল আলম, খাজিনাতুর রহমাহ, মাখযানুল মারিফাহ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল মুসলিমীন, নকশায়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, সুলত্বানুল আরিফীন, নূরে খাজীনা, নূরে মুকাররম, বাহরুল উলূম, গাউছূল আ’যম, মাহবূবে রব্বানী, আল মানছূর, ছানিয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, কুদরতে ইলাহী, মুজিযায়ে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবত হাছিলে ধন্য হন। এতে সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কামিয়াবীর অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
ইমামুল উমাম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম এবং খলীফাতুল উমাম, ছানিয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের অবিরাম ধ্যান-খেয়াল, মুহব্বত, মা’রিফাত, তায়াল্লুক-নিসবতে মশগুল থাকায় টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পদবির লোভনীয় চাকরিটি শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে ধরে রাখতে পারে না। ২০০৯ ঈসায়ী সনে চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে পরিপূর্ণরূপে তিনি দুনিয়া বিরাগী মানসিকতায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। শুরু হয় ক্রমবর্ধিষ্ণুরূপে একের পর আরেক মাক্বাম উত্তরণে গন্তব্য অভিমুখে উনার অগ্রযাত্রা। সুবহানাল্লাহ! এখন আর কোনো পিছুটান নেই। কেবলই আপন মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে ও খিদমতে নিয়োজিত থেকে মুহব্বত ও মারিফাতের অথৈ পারাবারে অনুক্ষণ অবগাহন। সুবহানাল্লাহ!
মাহবুব ওলীআল্লাহ উনাদের নিসবাতুল আযীম মুবারক উনার বিষয়টি আসমানী ফায়ছালার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে কোনো পক্ষেরই কালক্ষেপণ হয়না। সহজেই অনুমেয় যে, ইমামুল উমাম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং উনার মহা-সম্মানিতা ছাহিবাতুল মুকাররামা, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাদের লখতে জিগার, নূরে চশম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, নাক্বীবাতুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ঊলা ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাকে পাত্রস্থ করার জন্য বেমেছাল মর্যাদা ও যোগ্যতাসম্পন্ন একজন সুমহান ব্যক্তিত্ব প্রয়োজন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, ত্বহিরা ওয়াত ত্বইয়্যিবা, ফক্বীহা, নূরে হাবীবা, নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, রাহনুমায়ে দ্বীন, ছিদ্দীক্বায়ে কুবরা, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, মাহবুবায়ে ইলাহী, উম্মু আবীহা, আহলুল বাইতি, মুহসানাতুল উম্মাহ, ফাদ্বীলাতুন নিসা, কামিলাতুন নিসা, খাইরে নিসায়িল আলামীন, ছাহিবাতুল হুসনা, ওয়ারিছাতুন নাবিয়্যী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল, ওলীয়ে মাদারযাদ, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নাক্বীবাতুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী উলা ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাকে পাত্রস্থ করতে যে সুমহান ব্যক্তিত্ব দরকার, সে বুযূর্গ ব্যক্তিত্ব উনার মান, শান, মর্যাদা, মর্তবা, মাক্বাম, বংশ কৌলীন্য, ইজ্জত-ঐতিহ্য প্রয়োজন, তা আমাদের আক্বল, সমঝ, উপলব্ধি ও অনুভূতির সীমাহীন ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
সে পাত্র তিনিই হলেন নকশায়ে কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, বাহরুল উলুম, কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, মাহবুবে ইলাহী, মাহিউল বিদয়াত, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি। উনার মান, শান, মর্যাদা ও মাক্বামাত বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। তবে একথা সত্য যে, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, নাক্বীবাতুল উমাম হযরত শাহযাদী উলা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক সান্নিধ্যে আসার কারণেই শাফিউল উমাম, হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার মান, শান, মর্যাদা, মহিমা ও মাক্বাম উনাদের পরিবৃদ্ধি ঘটেছে সীমাহীন মাত্রায়। সুবহানাল্লাহ!
১৪৩০ হিজরী সনের সুমহান ২২ শাওওয়াল শরীফ উনার পবিত্রতম নিসবাতুল আযীম মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার মুবারক নির্দেশে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদয় উপস্থিতিতে মূলত এ পবিত্রতম নিসবাতুল আযীম মুবারক অনুষ্ঠিত হয় জান্নাতে। মুবারক ওই অনুষ্ঠানের একই আদলে রাজারবাগ পাক দরবার শরীফস্থ সুন্নতী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় নিসবাতুল আযীম মুবারক উনার মাহফিল। সুবহানাল্লাহ! ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, নাক্বীবাতুল উমাম, হযরত শাহযাদী উলা ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক উসীলায় কায়িনাতবাসী পেলো একজন শাফিউল উমাম, হযরত শাহদামাদ আউওয়াল হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে। তিনি হলেন উনার যাওজুল মুহতারাম। সুবহানাল্লাহ!
ক্বিয়ামতব্যাপী হক্ব মত ও পথ প্রদর্শন ও বাস্তবায়নের অমিয় ধারা অনুক্ষণ অক্ষুণœ রাখার মহান লক্ষ্যে নাক্বীবাতুল উমাম, হযরত শাহযাদী উলা ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার যাওজুল মুহতারাম শাফিউল উমাম, হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনারা কায়িনাতবাসীকে হাদিয়া করেন সাইয়্যিদাতুল উমাম আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে। সুবহানাল্লাহ!
হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার ইলম, প্রজ্ঞা, তাক্বওয়া, পরহেযগারী, তা’য়াল্লুক, নিসবত, মুহব্বত ও মারিফাতের পরিধি বেমেছাল। মান, শান, ইজ্জত ও ঐতিহ্যে তিনি অতুলনীয়। প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্ব, শৌর্য, কৌলীন্য, গাম্ভীর্য, সূক্ষ্ম মনন, তীক্ষè মেধা, ধৈর্য, স্থৈর্য, আদব, শরাফত, আন্তরিকতা, অমায়িকতা, সময়ানুবর্তিতা এবং যিকির-ফিকির ও ইবাদত-বন্দিগীর নিবিষ্টতায় তিনি অনন্য। সুবহানাল্লাহ! সর্বোপরি তিনি আওলাদে রসূল, ওলীয়ে মাদারযাদ, নাক্বীবাতুল উমাম, হযরত শাহযাদী উলা ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার যাওজুল মুহতারাম। এটি উনার সীমাহীন মর্যাদা ও মাক্বাম। উনার যতো লক্বব মুবারক, সে সবের মধ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম মর্যাদার লক্বব মুবারক হলো ‘হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম কর্তৃক কুল-কায়িনাতব্যাপী খিলাফত আলা মিন হাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার মজবুত ভিত রচনা এবং উনার অপ্রতিরোধ্য তাজদীদ বাস্তবায়নের আঞ্জামদানে শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি নিরন্তর নিয়োজিত। এছাড়া দরবার শরীফ উনার যাবতীয় জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ সুন্নতী তর্জ-তরীক্বায় পরিচালনা ও সমাধানে উনার সর্বক্ষণের সম্পৃক্তি। বিশাল কর্মকা- তত্ত্বাবধান ও নির্বাহে উনার সার্বক্ষণিক ব্যস্ততা। শত ব্যবস্ততার মাঝেও প্রার্থীর প্রার্থনা পূরণে, বিভিন্ন অভিযোগ শ্রবণ ও সমাধানে, বিপন্ন মানুষের দুঃখ মোচনে এবং প্রজ্ঞাময় উপদেশদানের আন্তরিকতায় তিনি ক্লান্তিহীন ও অনন্য। সুবহানাল্লাহ!
উনার মুবারক অবয়বে মাদানী নূর। মুবারক মন ও মননে খিলাফত প্রতিষ্ঠার স¦প্ন। অনুপম ব্যক্তিত্বে, মুবারক আচার-আচরণ ও বাক্যালাপে, গাম্ভীর্যপূর্ণ অমায়িকতায়, সুন্নত পালনের দায়িমী অভ্যস্ততায় এবং তুলনাহীন চরিত্র মাধুর্যে তিনি সুমহান। খাছ আওলাদে রসূল হিসেবে তিনি পূত-পবিত্র। তিনি মহা-সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার সীমাহীন ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী, সম্মান ও মাক্বাম সম্পর্কে আমরা একান্তই অজ্ঞ। সুমহান ১৪ যিলক্বদ শরীফ উনার মুবারক ঈদে বিলাদত শরীফ। পবিত্রতম ও সীমাহীন নিয়ামতপূর্ণ এ উপলক্ষে কেবল ইমামুল উমাম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম, মহা-সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি হাছিলই আমাদের বিনীত লক্ষ্য।
*****************************************
সুমহান ১৪ই যিলক্বদ শরীফ:
পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে
মুহব্বত করা, খিদমত করা ফরয ঘোষণা করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قل لا اسئلكم عليه اجرا الا الـمودة فى القربى
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মতদেরকে বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান বা বিনিময় চাই না, আর তোমরা তা দিতেও পারবে না, তবে তোমাদের নিজেদের ফায়দা হাছিলের জন্যে আমার যাঁরা আপনজন অর্থাৎ আমার আহলু বাইত ও আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত ও সম্মান করবে।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
এ পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার পর রঈসুল মুফাসসিরীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে আরজ করলেন-
يا رسول الله صلى الله عليه و سلم من قرابتك هؤلاء الذين وحبت علينا مودتهم قال على عليه السلام وفاطمة عليها السلام وولدهما عليها السلام.
অর্থ: “ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার আপনজন কারা, যাঁদের ভালোবাসা আমাদের উপর ওয়াজিব করা হয়েছে? জাওয়াবে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম এবং উনাদের দু’সন্তান সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস।” (তাফসীরে মাযহারী, তবরানী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, রঈসুল মুফাসসিরীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
احبوا اهل بيتى
অর্থ : “তোমরা আমার আহলু বাইত অর্থাৎ আল-আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো।” (মিশকাত শরীফ)
আর তেমনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম হচ্ছেন কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম। যিনি সুমহান পবিত্র ১৪ই যিলক্বদ শরীফ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব ও শান-শওক্বত উনার সাথে উদযাপন করা। পাশাপাশি উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করা, উনাদেরকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনাদের যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া। যা সকলের জন্যই রহমত, বরকত, নিয়ামত, সাকীনা ও নাজাত লাভের কারণ হবে।
************************************************************
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনার মুহব্বতকারীগণ জান্নাতী এবং বিদ্বেষকারীরা জাহান্নামী
কুল-মাখলুক্বাতের নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম, সম্মানিত, নূরানী আহাল-ইয়াল, পরিবার-পরিজন উনারাই হচ্ছেন ‘আহলু বাইত’ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রথম সারির অন্তর্ভুক্ত হলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা সম্মানিত হযরত আব্বাও হযরত আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা আর তৃতীয় সাবির অন্তর্ভুক্ত হলেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম এবং দ্বিতীয় সারির অন্তর্ভুক্ত হলেন আওলাদু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা।
স্মরণীয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন শারি’ বা শরীয়ত উনার প্রবর্তক অর্থাৎ তিনি যা বলেন তাই শরীয়ত। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
الشريعة اقوالى
অর্থ: “আমার কথা মুবারকই শরীয়ত।”
উল্লেখ্য, সাধারণত মানুষের বংশ সাব্যস্ত ও জারি হয় ছেলে সন্তানের মাধ্যমে। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরানী বংশ মুবারক সাব্যস্ত ও জারি হয়েছেন উনার চতুর্থ বানাত সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত দুই ছাহিবযাদাহ হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মাধ্যমে।
যেমন এ প্রসঙ্গে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لكل بنى اب عصبة الا ابنى حضرت فاطمة عليها السلام فانا وليهما و عصبتهما
অর্থ: “প্রত্যেক সন্তানের বংশীয় নিসবত পিতার দিক দিয়ে হয়। তবে সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার দুই ছাহিবযাদাহ উনারা ব্যতীত। কেননা আমি উনাদের অভিভাবক এবং উনাদের বংশীয় নিসবত হবে আমার মাধ্যমেই।” (কাওছারুল খইরাত শরীফ, তবারানী শরীফ)
অর্থাৎ জান্নাতের যুবকগণ উনাদের সাইয়্যিদ হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনাদের বংশদ্ভূত সন্তানগণ উনারাই আওলাদে রসূল নামে পরিচিত। হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার তৃতীয় ছেলে হযরত ইমাম মুহসিন আলাইহিস সালাম তিনি অল্প বয়স মুবারকেই পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন। আর উনার বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের দ্বারা যে বংশ মুবারক জারি রয়েছে, উনারা ফাতিমী নামে পরিচিত। আর সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার অন্যান্য আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সন্তানগণ উনাদের মাধ্যমে যে বংশ জারি রয়েছে, উনারা আলূবী নামে পরিচিত।
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে অসংখ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে এবং অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার ৩৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اِنَّـمَا يُرِ‌يْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الر‌جْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهّرَ‌كُمْ تَطْهِيْرً‌ا
অর্থ: “হে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা হলো যে, আপনাদের থেকে সকল অপবিত্রতা দূরীভূত করবেন এবং আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করবেন।” অর্থাৎ পবিত্র আয়াত শরীফখানা উনার প্রকৃত অর্থ হলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পূত-পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
انا واهل بيتى مطهرون من الذنوب
অর্থ: “আমি এবং আমার আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই পাপ থেকে পবিত্র।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
قُل لَّا اَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرً‌ا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْ‌بٰى ۗ
অর্থ: “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি জানিয়ে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه قل قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احبوا الله لـما يعذوكم من نعمة واحبونى لـحب الله واحبوا اهل بيتى لـحبى.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে তোমরা মুহব্বত করো; কেননা তিনি খাওয়া-পরার মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর আমাকে তোমরা মুহব্বত করো, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিলের জন্য। আর আমার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তোমরা মুহব্বত করো আমার মুহব্বত হাছিলের জন্য।” (তিরমিযী শরীফ)
এ পবিত্র হাদীছ শরীফ হতে প্রতিভাত যে, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে হলে মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে হবে। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে হলে উনার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করতে হবে ও সন্তুষ্ট করতে হবে।
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের একটি মর্যাদা মুবারক হলো উনাদের উপর ছলাত ও সালাম পাঠ করা ওয়াজিব। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيّ ۚ يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلّمُوْا تَسْلِيْمًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার প্রতি ছলাত পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! আপনারাও উনার প্রতি ছলাত পাঠ করুন এবং সালাম পেশ করুন যথাযথ সম্মানের সাথে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
ছাহাবী হযরত কা’বা ইবনে উজরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, উদ্ধৃত পবিত্র আয়াত শরীফখানা নাযিল হওয়ার পর আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সমীপে আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি আমরা কিভাবে ছলাত পাঠ করবো তা আমাদেরকে শিক্ষা দিন, তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-
اللهم صل على سيدنا مـحمد وعلى ال سيدنا مـحمد كما صليت على سيدنا ابراهيم وعلى ال سيدنا ابرا هيم انك حـميد مـجيد. اللهم بارك على سيدنا مـحمد وعلى ال سيذنا مـحمد كما باركت على سيدنا ابراهم وعلى ال سيدنا ابراهيم انك حـميد مـجيد.
অর্থ: “হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং উনার সম্মানিত পরিবার-পরিজন উনাদের প্রতি রহমত মুবারক নাযিল করুন, যেভাবে রহমত নাযিল করেছেন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার প্রতি এবং উনার পরিবার-পরিজন উনাদের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি পরম প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি বরকত নাযিল করুন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং উনার সম্মানিত পরিবার-পরিজন উনাদের প্রতি, যেভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছেন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার প্রতি এবং উনার সম্মানিত পরিবার-পরিজন উনাদের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি পরম প্রশংসিত ও সম্মানিত।”
স্মরণীয় যে, এ পবিত্র দুরূদ শরীফখানা নামাযে তাশাহ্হুদের পর পড়ার জন্য সাব্যস্ত হয়েছে। তাশাহ্হুদের সালামের কারণে এ পবিত্র দুরূদ শরীফখানা উনার মধ্যে সালামের বিষয়টি উল্লেখ নেই। তাই নামাযের বাইরে এ দুরূদখানা পড়া মাকরূহ। মূল কথা হলো, বর্ণিত পবিত্র দুরূদ শরীফখানা উনার মধ্যে ال سيدنا مـحمد দ্বারা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা হযরত আযওয়াজ- আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম এবং সম্মানিত আল-আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ না করা পর্যন্ত নামাযও পরিপূর্ণরূপে আদায় হবে না।
প্রতীয়মান হলো যে, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে এত উর্ধ্বে যে, উনাদের উপর দুরূদ শরীফ পাঠই বান্দার ইবাদত পরিপূর্ণ ও কবুল হওয়ার জন্য একমাত্র উসীলা।
ছাহাবী হযরত যায়িদ ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের মধ্যবর্তী খোম নামক পানির নালার নিকট দাঁড়িয়ে আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। প্রথমে মহান আল্লাহ পাক উনার হামদ ও ছানা বর্ণনা করলেন, এরপর ওয়াজ ও নছীহত মুবারক করলেন অতঃপর বললেন, সাবধান! হে মানুষেরা! নিশ্চয়ই আমি হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অতিসত্বর আমার নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার দূত (হযরত মালাকুল মউত আলাইহিস সালাম) আসবেন, তখন আমি আমার রব তায়ালা উনার আহ্বানে সাড়া দিব। আমি তোমাদের মাঝে দু’টি মূল্যবান নিয়ামত রেখে যাচ্ছি। তন্মধ্যে প্রথমটি হলো, মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব, উনার মধ্যে রয়েছে হিদায়েত ও নূর। অতএব তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব মুবারক উনাকে মুজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দৃঢ়তার সাথে উনার বিধি-বিধান মেনে চলো। (বর্ণনাকারী বলেন,) মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব মুবাকর উনার নির্দেশাবলী কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য তিনি খুব বেশি উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করলেন। অতঃপর বললেন, দ্বিতীয়টি হলো, আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমি তোমাদেরকে আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে বিশেষভাবে নছীহত মুবারক করছি। আমি তোমাদেরকে আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে বিশেষভাবে নছীহত মুবারক করছি। (মুসলিম শরীফ)
ছাহাবী হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছি, তিনি (বিদায়) হজ্জে সম্মানিত আরাফার দিন উনার কাছওয়া নামক উষ্ট্রীর উপর সাওয়ার অবস্থায় খুতবা মুবারক প্রদান করছেন। তিনি খুতবায় বলছেন, হে মানুষেরা! আমি তোমাদের মাঝে এমন নিয়ামত রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি উহাকে মজবুতভাবে ধরে রাখ তাহলে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তাহলো কিতাবুল্লাহ বা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং আমার ইতরাত, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। (তিরমিযী শরীফ)
হযরত আবু যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কা’বা শরীফ উনার দরজা মুবারক ধরে বলতে শুনেছি যে, সাবধান! আমার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতীর ন্যায়। যে তাতে আরোহন করবে, সে রক্ষা পাবে আর যে তা হতে পশ্চাতে থাকবে, সেই ধ্বংস হয়ে যাবে। (আহমদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বতকারীগণ সকলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীরা জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
******************************************************
নকশায় হায়দার, শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন ‘যুন নূরীল মুজাদ্দিদীল আযীম’। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যাঁকে ইচ্ছ উনাকেই উনার জন্য মনোনীত করেন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত করার বিষয় সম্পর্কে তিনিই সর্বাধিক জ্ঞাত। আমরা আমাদের যাহিরী দৃষ্টিতে দেখতে পাই- আমাদের সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছছুল খাছ আওলাদ তথা আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই উনাদের সম্মান, মর্যাদা, মর্তবা ফাযায়িল, ফযীলত মুবারক কতটা উচ্চ পর্যায়ে- সেটা চিন্তা-ফিকিরেরও ঊর্ধ্বে। আর তাই একথাও উপলব্ধি করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা তনয়া আলাইহাস সালাম উনাদেরকে যাঁরা ধারণ করবেন অর্থাৎ উনাদের সাথে যাঁরা সম্পৃক্ত হবেন উনাদের শান-শওকতও কতটা সমুন্নত ও বুলন্দকৃত! সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি যে ব্যক্তি যেমন মর্যাদার অধিকারী সেই ব্যক্তির সাথে উনার সমপর্যায়ের মাক্বামে উপনীত ব্যক্তিকেই সম্পৃক্ত করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! নকশায়ে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, নাক্বীবাতুল উমাম সাইয়্যদাতুনা হযরত শাহযাদী ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে ধারণ করার কারণে হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ‘যুন নূরীল মুজাদ্দিদীল আযীম’ লক্বব মুবারকে ভূষিত হন। সুবহানাল্লাহ!
*************************************************
পবিত্র ১৪ই যিলক্বদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে-
সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার তোহফায় মামদূহজী ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করা সম্ভব
দুর্বল, অযোগ্য, অথর্ব, নির্জীব ও বারবার হোঁচট খাওয়া সালিকের প্রতি সীমাহীন রহমতী নজর মুবারক দিয়ে যিনি অনায়াসে মামদূহজী ক্বিবলা ও সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছে সুপারিশ করে দুর্বল থেকে সবল, অযোগ্য থেকে যোগ্য, অথর্ব থেকে সচল, নির্জীব থেকে সজীব বানিয়ে দেন; তিনি তো আমাদের প্রাণপ্রিয় হায়দারী নকশা, বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, ফকরে মামদূহ, ফকরে আম্মাজী, সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম। সুবাহানাল্লাহ!
তিনি এমন এক অযুদ পাক, যিনি মামদূহজী ও সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করে আছেন। শুধু তাই নয়, উনার অভিপ্রায় এমন যে- আমরা সকলে যেন মামদূহজী ক্বিবলা ও সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করি। সুবাহানাল্লাহ! শয়তানী কব্জা থেকে বের করে তিনি মুর্শিদী কব্জায় টেনে নিয়ে আসেন। মালাউন ইবলিস ও তার দোসর কাফির, মুশরিক, মুনাফিক, উলামায়ে সূ’রা আমাদেরকে বিভ্রান্ত করে মামদূহজী ক্বিবলা উনাকে কষ্ট দিবে; আবার শান-মানের খিলাফ করে কষ্ট দিবে- এটা তিনি বরদাশত করতে পারেন না। তাই তো তিনি আমাদের পরিশুদ্ধ করে দিবেনই দিবেন- এটাই উনার পণ। সেই লক্ষ্যেই উনার রাত দিন পরিশ্রম।
একদিকে উনার মুর্দা জিন্দা হওয়ার ন্যায় শক্ত তালীম-তালক্বীন, অন্যদিকে আমাদের জন্য মামদূহজী ক্বিবলা ও আহলু সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছে সুপারিশ করে দোয়া করা। আমাদের দুঃখ-কষ্টগুলো উনার কাছে বেদনাদায়ক। তিনি আমাদের চরম পরম হিতাকাঙ্খী।
হে প্রাণের আক্বা ক্বিবলা কা’বা! সুলত্বানিন নাছির, আহলু বাইতে আকবর, আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! আমরা সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার শুকরিয়া আদায় করতে অক্ষম। আমরা উনার ক্বদর করতে পারতেছি না! সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে তওবা করে শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দান করুন এবং আপনাদেরকে পরিপূর্ণ ধারণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
******************************************
ইমামুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার জান্নাতী বাগান মুবারক উনার অন্যতম সুবাসিত ফুল হচ্ছেন শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اطيعوا الله و اطيعوا الرسول و اولى الامر منكم-
অর্থ: তোমরা খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং তোমাদের মধ্যে যাঁরা উলিল আমর তথা ‘নায়িবে নবী’ ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অনুসরণ করো। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯)
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ক্রমানুযায়ী পবিত্রতম মুরাদ হচ্ছেন তিন উজুদ পাক (১) প্রথম উজুদ পাক হচ্ছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি (২) দ্বিতীয় উজুদ পাক হচ্ছেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (৩) তৃতীয় উজুদ পাক হচ্ছেন, উলিল আমর তথা হাকীকী নায়েবে নবী, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা, অর্থাৎ হক্কানী-রব্বানী শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনারা। এই আলোকে উলিল আমর দ্বারা খাছভাবে মুরাদ বা উদ্দেশ্য হচ্ছেন- সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, গাউছুল আ’যম, ইমামে আযম, মুজতাহিদে আযম, খলীফায়ে আ’যম,ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, আন নিমাতুল উযমা আলাল আলাম, কুদরতে ইলাহী, মু’জিযায়ে রসূল, রসূলে নোমা, জামিউন নি’য়ামত, জামিউন নিসবত, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, আল মুত্বহিহর, আল মুতাহহার, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম রাজারবাগ শরীফ ঢাকা তিনিই। সুবহানাল্লাহ! আর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার প্রকৃত ইতায়াতকারী তথা হাকীকী মুরীদ হচ্ছেন অর্থাৎ বর্তমানে যে মহান উজুদ পাক উনাকে আমরা হাক্বীক্বীভাবে লক্ষ্য করতে পারছি, তিনি হচ্ছেন- বাবুল ইলমি ওয়াল হিকাম, আল মুতীউল খাইর, আতায়ে রাসূল, আশিকে ইলাহী, যুর রহমাহ ওয়াল কারাম, ছাহিবুল হাসানাহ, ছাহিবু হুসনিল খুলুক, ছহিবু মাকারিমিল আখলাক, ছাহিবুল কাশফ ওয়াল কারামাত, ছাহিবু উসওয়াতিল হাসানাহ, আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার, ছাহিবুশ শুজায়াত, নকশায়ে আসাদিল্লাহিল গালিব, রেযায়ে মুর্শিদ, আওলাদুর রাসূল, শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনিই। সুবহানাল্লাহ! তিনি একদিক থেকে আওলাদুর রসূল আর অপর দিক থেকে বর্তমান যামানার যিনি পবিত্র হিদায়াত উনার একমাত্র ঠিকানা, মানব মুক্তির একমাত্র নাজাতী তরী, কুল-কায়িনাতের মহান ধারক-বাহক ও অভিভাবক, দুনিয়া ও আখিরাতের নাজাতের একমাত্র মূল উসীলা, যিনি যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আল গাউছুল আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আ’লাম, নকশায়ে নবী, নববী নূর, নূরে মদীনা, নূরে মুকাররাম, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, আহলু বাইতি রসূল্লিাহ,আল মুত্বাহিহর,আল মুতাহহার, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এবং আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আ’লাম, উম্মুল খাইর, তহিরা, তইয়িবা, ছহিবাতুল কাশফ ওয়াল কারামাত কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত, বিশেষ করে নারী জাতির মুক্তির একমাত্র সোপান, নূরে মুকাররাম, নূরে মদীনা, গুলে মদীনা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আখাচ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম (রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা) উনাদের হযরত “শাহদামাদ আউওয়াল আলাইহিস সালাম”। সুবহানাল্লাহ!
এই পবিত্রতম লকব মুবারকই উনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ মাক্বামে অধিষ্ঠিত ও সমাসীন করেছেন। যার পবিত্রতম পরিধি ও পরিসীমা অনন্ত অসীম খালিক্ব, মালিক রব উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অসীম কুদরত মুবারক উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট। সুবহানাল্লাহ!
সমগ্র কায়িনাতবাসীর কাছে এই পবিত্রতম লক্বব মুবারক-ই সর্বশ্রেষ্ঠ- সুপ্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত। যা কেবলমাত্র সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ছাহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম, ছাহিবাতুল কাশফ ওয়াল কারামাত, ছাহিবাতুত তাকওয়া, ছাহিবাতুল উসওয়াতিল হাসানহ, ছাহিবাতুল হুসনিল খুলুক, খাযিনাতুর রহমাহ, মাহবুবায়ে ইলাহী, আশিকায়ে রাসূল, নূরে মদীনা, মেছালে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, ছাহিবাতু মাকারিমিল আখলাক, তহিরা, তইয়িবা, ছাহিবাতু জামিয়িল আলক্বাব, পবিত্রতম লখতে যিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম এবং পবিত্রতম লখতে জিগারে হযরত উম্মুল উমাম ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ আল মতাহিহর, আল মুতাহহার,আওলাদুর রাসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার যাওজুল মুকাররম-এ সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এমন সীমাহীন শান-মান, বুযুর্গী, মর্যাদা-মর্তবা ও ফাযায়িল-ফযীলত উনার অধিকারী হেেয়ছেন, তা সমস্ত জিন-ইনসানসহ সমগ্র সৃষ্টি জগতের- সাধারণ -চিন্তা-ফিকির, ধ্যান-ধারণার সব কিছুরই সীমাহীন ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ نور على نور (নূরুন আলা নূর) উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!
আমার জীবনে যেদিন থেকে উনাকে দেখেছি, মুবারক ছুহবত উনার পরশ মুবারক পেয়েছি সেদিন থেকে লক্ষ্য করেছি, উনার পবিত্রতম আচার-ব্যবহার মুবারক, চাল-চলন মুবারক, কথা-বার্তা মুবারক, বিনয়-নম্রতা মুবারক, উদারতা-নিপুণতা মুবারক, সহিষ্ণুতা মুবারক, কর্মদক্ষতা মুবারক, দয়ার্দ্রতা মুবারক, ধর্মপরায়ণতা মুবারক, খোদাভীরুতা মুবারক, লজ্জাশীলতা মুবারক, শালীনতা মুবারক, সহযোগিতা-সহমর্মিতা মুবারক, মহত্ত্বতা-মমত্বতা মুবারক, পরোপকারিতা মুবারক, জ্ঞান-গরীমা মুবারক, দূরদর্শিতা মুবারক, সূক্ষ্মদর্শিতা মুবারক, বিচক্ষণতা মুবারক, জ্ঞান পিপাসা মুবারক, চিন্তাশীলতা মুবারক, আদর্শতা মুবারক এক কথায় উনার পবিত্রতম সার্বিক আদব-আখলাক-শরাফত ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মুবারকে ছিলেন সকলের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও স্বতন্ত্র, যা আমাকে বিমুগ্ধ ও বিভোরে আচ্ছন্ন করে রেখেছেন এবং এখনো রাখছেন। যা ভাষায় প্রকাশ বা বর্ণনা করা কস্মিনকালেও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে সকল কিছুর অবসান ঘটল যখন উনি প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এবং প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম হযরত আম্মাজী ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাদের পবিত্রতম হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ!
মিশে গেলেন গভীর তায়াল্লুক-নিসবতের সীমাহীন খাযিনায়-পবিত্রতম আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম জান্নাতী পরিবেশে। গভীর তায়াল্লুক-নিসবতে আরো একাকার হয়ে গেলেন খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একই ধারায় সংযুক্ত হয়েছেন আওলাদুর রসূল, বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, মেছালে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাবীবুল্লাহ হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনিও। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার সবচেয়ে বড় কুদরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যে কুদরতী নূরানী, জান্নাতী বাগান মুবারক সাজিয়েছেন সেই জান্নাতী বাগানোর সুবাসিত ফুল হিসেবে অতি আদর ও মুহব্বতে সৃষ্টি করেছেন হযরত শাফিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনাকে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ এই ১৪ই যিলক্বদ শরীফ আমাদের কয়িনাতবাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ তথা সাইয়িদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। কেননা তিনি আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَ‌حْمَتِهِ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَ‌حُوْا هُوَ خَيْرٌ‌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ.
অর্থ : “হে আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে ঈদ উদযাপন অর্থাৎ খুশি প্রকাশ করো। উনার মুবারক শানে এ খুশী প্রকাশ করাটাই হচ্ছে তোমাদের জীবনের সমস্ত আমল থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম।।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইউনূস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
উনার পবিত্র জীবন মুবারক-এ সবচেয়ে বড় কারামত মুবারক হল, তিনি নিজের জান-মাল সব কিছু কুরবান করে নিজের অস্তিত্ব মুবারক বিলীন করে অতি অল্প সময়ে পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম রঙে-রঙ্গীন হয়ে হাক্বীক্বীভাবে ফানা থেকে পবিত্রতম বাক্বার সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
একজন শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী মুরীদ বা গোলাম হওয়ার এবং হাক্বীক্বী রেযামন্দি, সন্তুষ্টি পরিপূর্ণভাবে লাভ করার পরিপূর্ণ আদর্শ মুবারক উনার আদর্শ মাপকাঠি ও নিজেকে বিলীন করার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হচ্ছেন- সাইয়্যিদুনা শাফিউল উমাম হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! একজন মুরীদ বা গোলাম কিভাবে সাইয়িদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার গোলামী করবেন, কিভাবে নিজেকে বিলীন করবেন, কিভাবে জান-মাল কুরবান করে পবিত্রতম খিদমত মুবারক করবেন, কিভাবে হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিল করবেন, কিভাবে মুহব্বত-মা’রিফাত হাছিল করবেন, কিভাবে গভীর থেকে গভীরতম তায়াল্লুক-নিছবত হাছিল করবেন, কিভাবে পবিত্র ইলমে শরীয়ত ও মা’রিফত হাছিল করবেন, কিভাবে পবিত্র তাছাউফ উনার নিগূঢ় তথ্য, তত্ত্ব ও হাক্বীক্বী স্বাদ উপভোগ করে মাক্বামের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হবেন, কিভাবে হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম ইশারা মুবারক অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করে তা অতি সূক্ষèাতী-সূক্ষèরূপে অতি মুহব্বত ও যতœ সহকারে প্রতিপালন করবেন তার পবিত্রতম অনুপম এক উজ্জল দৃষ্টান্ত ও আদর্শ মুবারক হচ্ছেন সাইয়িদুনা শাফিউল উমাম হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি। এককথায় সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এবং পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী রঙে রঙ্গীন হওয়ার একমাত্র সুমহান পবিত্রতম আদর্শ হচ্ছেন সাইয়িদুনা শাফিউল উমাম হযরত শাহদামাদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম। অর্থাৎ তিনি ঐ পবিত্রতম আয়াত শরীফ-
و اتبع سبيل من اناب الى-
উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!
অর্থ: যিনি আমার দিকে রুজু হয়েছেন, তোমরা উনাকে অনুসরন করো।
প্রাণের আক্বা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম তাজদীদী কাজ মুবারক-এ আঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে যে অনবদ্য অবদান রেখে যাচ্ছেন, যা সীমাহীন ও কল্পনাতীত। যেমন- সারা বিশ্বব্যাপী পবিত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াত উনার প্রচার-প্রসার কাজে ব্যাপকভাবে আঞ্জাম, পবিত্র যাকাত-উশর, মসিজদ-মাদরাসা, ইয়াতীমখানা, লঙ্গরখানা প্রতিষ্ঠায় আঞ্জাম, তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ, দৈনিক আল ইহসান শরীফ বিশ্বব্যাপী প্রচার-প্রসারে আঞ্জাম, সারা বিশ্বব্যাপী আনজুমানে আলবাইয়্যিনাত গঠনে আঞ্জাম, ইয়াহুদী-নাছারা, বেদীন-বদদীন, হিন্দু-বৌদ্ধ, কাফির-মুশরিক এদের বিরুদ্ধে এদের কুষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জাগিয়ে তোলার কাজে আঞ্জাম এক কথায় সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার পবিতত্রম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের গভীর তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত, মা’রিফত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি হাছিলের সর্বোত্তম আদর্শের উজ্জল প্রতীক হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা শাফিউল উমাম হযরত শাহদামাদ আউওয়াল ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আয় আল্লাহ পাক! উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ উনার উসীলায় সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এবং পবিত্রতম নূরানী আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ দয়া-দান, ইহসান, গভীর তায়াল্লুক, নিসবত, মুহব্বত, মা’রিফত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি আবাদুল আবাদের জন্য নছীব করুন। আমীন!