বাহরুল উলুম, ফখরুল
ফুক্বাহা, রঈসুল
মুহাদ্দিসীন, তাজুল
মোফাসসিরীন, হাফেযে
হাদীছ, মুফতীয়ে
আ’যম, পীরে
কামেল, মুর্শিদে
মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহিম
কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানি
রদ” কিতাবখানা
(৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ
করছি। যাতে কাদিয়ানিদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহলে
সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আকীদার হেফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক আমাদের
প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমীন)!
উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃতি করা হলো, যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা
পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
(পূর্ব
প্রকাশিতের পর)
মিশকাত ৪৮০ পৃষ্ঠা;-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تزال طائفة عن امتي يقاتلون على الحق ظاهرين الى يوم القيمة قال فينزل عيسى بن مريم فيقول اميرهم تعال صل انافيقول لا ان بعضكم على بعض امراء تكرمة الله هذه الامة. (رواه مسلم.)
“রাছুলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া ছাল্লাম বলিয়াছেন,
আমার উম্মতের মধ্যে একদল লোক সর্ব্বদা কেয়ামত পর্যন্ত সত্যের উপর থাকিয়া
প্রবল-পরাক্রান্তভাবে জেহাদ করিতে থাকিবেন, এমতাবস্থায় মরয়েমের পুত্র ইছা
আলাইহিস সালাম (আছমান হইতে) নাজিল হইবেন, ইহাতে উক্ত জেহাদকারিদলের আমির
বলিবেন, আমাদের
জন্য নামায পড়ান। তৎশ্রবণে তিনি বলিবেন, না আল্লাহ্
এই উম্মতের যে গৌরব সম্মান প্রদান করিয়াছেন, তজ্জন্য তোমাদের কতক অন্যদের আমির
হইবেন। মোস্লেম ইহা রেওয়াএত করিয়াছেন।”
এই হাদিছে
স্পষ্ট বুঝা যাইতেছে যে,
সহিহ বোখারির রেওয়াএতের অর্থ এই যে, হজরত ইছা আলাইহিস সালাম নাজিল হওয়ার সময় এই উম্মতের
মোজাহেদ আমির নামাযের এমাম হইবেন। ফৎহোল
বারি, ৬/৩১৭
পৃষ্ঠা;-
عند احمد واذاهم بعيسى فيقال تقدم يا روح الله فيقول ليتقدم امامكم فليصل بكم.
“আহমদের রেওয়াএতে আছে, হঠাৎ
তাঁহারা (হজরত) ইছা আলাইহিস সালামকে দেখিতে পাইবেন, ইহাতে বলা হইবে, যে
রুহুল্লাহ্, অগ্রে
যান, তৎশ্রবণে
তিনি বলিবেন, তোমাদের
ইমাম অগ্রে গমন করিয়া তোমাদের নামায
পড়াইবেন।” এক্ষণে
ইহাই বিচার্য্য বিষয় যে,
সেই ইমাম ও আমির কে হইবেন? কাঞ্জোল ওম্মাল, ১৯৪৯ পৃষ্ঠা;-
قال النبى صلى الله عليه وسلم منا الذى يصلى عيسى بن مريم خلفه.
নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
ছাল্লাম বলিয়াছেন,
“যে ব্যক্তির পশ্চাতে ইছা বেনে মরয়েম নামায পড়িবেন, তিনি আমার আহলে-বয়েত হইবেন।” আবু নইম
উল্লেখ করিয়াছেন;-
فاذا بعيسى ابن مريم ويقام الصلوة فيوجع امام المسلمين المهدى فيقول عيسى عليه السلام تقدم فلك اقيمت الصلوة فيصلى بهم تلك الصلوة.
“হঠাৎ
তাহারা ইছা মরয়েমকে দেখিতে পাইবেন, অথচ নামাযের একামত দেওয়া হইতেছিল, ইহাতে
মুসলমানগণের এমাম মাহ্দী পশ্চাতে হটিয়া আসিবেন। তখন ইছা আলাইহিস সালাম বলিবেন, আপনি অগ্রে
যান, আপনার
জন্য নামাযের একামত দেওয়া হইয়াছে, ইহাতে আপনি
তাহাদের সহিত উক্ত নামায পড়িবেন।”( অসমাপ্ত )
(২)
ইসলামী
শরীয়ত মোতাবেক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা!
( পূর্ব
প্রকাশিতের পর )
সৈয়দ লুৎফর
রহমান এডভোকেট
বাংলাদেশ
সুপ্রীম কোর্ট
আহমদীদের
মুসলিম হওয়ার ধারণার উপর (তাদের আইনজীবী) জনাব মুজিবুর রহমানের যুক্তি-তর্ক
(কাদিয়ানীদের অবস্থানের) এই প্রশ্ন খুঁটিয়ে ও পরীক্ষা করে দেখার জন্য এই আদালতের
নিকট একটি আহবানস্বরূপ। সুতরাং আদালত এই প্রসঙ্গে তার সিদ্ধান্ত প্রদানের কাজ
এড়িয়ে যেতে পারে না। প্রসঙ্গটির পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপকভাবে যুক্তি প্রদর্শন করা
হয়েছে এবং এই রায়ে তা একে একে আলোচনা করা হবে। অতএব শেষদিকে দাখিলকৃত লিখিত
যুক্তি-তর্কে (কাদিয়ানী) দরখাস্তকারীগণ তাদের ধর্ম বিশ্বাসের প্রশ্নটি আলোচনার
জন্য উত্থাপন করতে চাননি বলে যে উক্তি বা দাবি করেছেন, তা
কেবলমাত্র আংশিকভাবে সত্য। (কাদিয়ানীদের) এই দরখাস্তে (আর্জিতে) অন্তর্ভূক্ত
প্রসঙ্গগুলো সম্পর্কে এবং বিতর্কিত-বিরোধিত অধ্যাদেশটির বিভিন্ন বিধানাবলীর
পরিণতিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করার পূর্বে হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শেষ নবুওওয়াতের
(খতমে নবুওওয়াতের) মুসিলম ধারণা বা বিশ্বাস সম্পর্কে আলোকপাত করা অত্যন্ত
প্রাসঙ্গিক হবে; কারণ
এটাই হলো মুসলিম ও আহমদীদের মধ্যে মত-পার্থক্যের মূল বিষয়বস্তু এবং ১৯৭৪ সালের
সংবিধান (দ্বিতীয় সংশোধনী) অধ্যাইনের (১৯৭৪ সালের ৪৯নং অধ্যাইনের) ভিত্তি যার
অনুসারে আহমদীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়। সকল মাযহাবের মুসলিমগণই হযরত মুহম্মদ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
নিশ্চিত শেষ নবুওওয়াতে (খতমে নবুওওয়াতে) বিশ্বাস করে এবং এটাকে তারা তাদের ধর্ম
বিশ্বাসের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের এই সর্বসম্মত বিশ্বাস আল কুরআনুল
কারীমের ৩৩:৪০ আয়াত শরীফের উপর প্রতিষ্ঠিত। উক্ত আয়াত শরীফ এবং তার অর্থ, স্পষ্টীকরণ
ও ব্যাখ্যা নিম্নে পুনঃপ্রকাশ করা হলো-
ماكان محمد ابا احد من ردالكم ولكن رسول الله وخاتم النبين وكان الله بكل شئى عليما.
অর্থঃ- “মুহম্মদ
(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি মহান
আল্লাহ পাক উনার রসূল ও শেষ নবী; আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ”। (৩৩:৪০)
সেই প্রথম থেকেই ‘খতম-উন-নবীয়ীন’ শব্দটি
স্পষ্টীকরণের বিষয়বস্তু হয়। শব্দটি নবীয়ে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ এবং আল কুরআনুল করীমের
ভাষ্যকার বা তাফসীরকারক,
বিজ্ঞ পন্ডিতবর্গ ও প্রখ্যাত আইনজ্ঞদের দ্বারা স্পষ্ট করা হয়। এটা প্রতিষ্ঠিত
যে, এই
অভিব্যক্তিটি “খতিম-উন-নবীয়ীন” হিসেবেও
পাঠ করা যায়। “খতিম” শব্দটির
অর্থ সেই ব্যক্তি, যিনি
সমাপ্ত করেন বা শেষ করেন। এই বিষয়ে কোনই বিতর্ক নেই যে, যদি শব্দটি
“খতিম-উন-নবীয়ীন” হয়, তাহলে এর
অর্থ হবে সেই ব্যক্তি,
যাঁর নবুওওয়াতের মাধ্যমে নবী আলাইহিস সালামদের সিলসিলার সমাপ্তি ঘটে। “খতম” শব্দটির
অর্থ মোহর এবং “খতম-উন-নবীয়ীন” (অভিব্যক্তির)
অর্থ নবীদের উপর মোহর। এই অভিব্যক্তি সম্পর্কে সুপ্রতিষ্ঠিত অর্থের প্রতি ইজমা বা
সর্বসম্মত মত প্রদর্শিত হয়েছে সেটা হলো এই যে, ‘নবুওওয়াতের উপর মোহর’ অভিব্যক্তির
অর্থ নবীদের শেষ বা সর্বশেষ বা শেষতম। যাঁর দ্বারা নবুওওয়াত সীল বা খতম বা বন্ধ বা
সমাপ্ত (করা) হয়েছে এবং যাঁর পরে আর কোন নবী আসবেন না এবং নবীগণ উনাদের আগমনের
নিবৃত্তি বা অবসান চূড়ান্ত। এই অর্থ মির্জা সাহেবও গ্রহণ করেছিলেন। (ইযালা-এ-আউহাম, ২য় খন্ড, পঃ ৫১১)
কিন্তু তার নবুওওয়ত দাবির পর তিনি উক্ত অভিব্যক্তির অর্থ পরিবর্তন করেন এবং এই
মর্মে ব্যাখ্যা বা স্পষ্টীকরণ প্রদান করেন যে, পরে যে সকল নবীর আগমন পূর্ব
নির্ধারিত করা হয়েছে,
সেসব নবী বহাল রাখার জন্যই নবীয়ে করীম মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীল বা মোহর। যার অর্থ হলো, নবীদের
আগমন এমন কোন বিষয় নয়,
যা অতীত ও বন্ধ হয়ে গেছে। বরং নবীগণ উনাদের আগমন এই শর্তসাপেক্ষ যে, নবী করীম
মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার পর নবী হিসেবে যিনিই আসবেন, তিনিই নবীয়ে করীম মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীল বা মোহর অবশ্যই বহন করবেন, যার অর্থ
এই যে, তিনি
হলেন কুরআন ও সুন্নাতে নির্ধারিত শরীয়াহ্কে পুনরুজ্জীবন বা পুনরুদ্দীবন দান করার
জন্য রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার অনুমোদনের সীলযুক্ত বা মোহরযুক্ত হয়ে এই পৃথিবীতে প্রেরীত
একজন নবী। উপরের আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার
যে, মির্জা
সাহেবের এই স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা নবুওওয়াতের চূড়ান্ত অবসান সম্পর্কিত স্পষ্টীকরণ
বা ব্যাখা যার উপর সর্বসম্মত মত রয়েছে এবং যা মির্জা সাহেবের পূর্ববর্তী লেখায়ও
প্রতিফলিত রয়েছে, তার
থেকে (সুস্পষ্ট) বিচ্যুতি বা সরে আসা।
পূর্বোল্লিখিত আয়াত
শরীফে ‘খতম’ শব্দটি দু’ভাবে পড়া
হয়েছে। অর্থাৎ ‘ত’ অক্ষরের পর
(১) বাংলা স্বরধ্বনি ‘অ’ যুক্ত করে (খত+অম=খতম) এবং
(২) বাংলা
কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা (
১৮ পৃষ্ঠার পর ) স্বরধ্বনি ‘ই’
()ি যুক্ত করে (খত+ইম=খতিম)। ইবনে আমীর ও আসীমের মতে সেটা প্রথমোক্ত
অর্থাৎ ‘খতম’ রূপে পড়া হয়। ত্মণ্ডত্র হরফের উপর ফাত্হা বা যবর ত্মতব্দ-ত্র যুক্ত করে অর্থাৎ
বাংলা ‘ত’ অক্ষরের সাথে ‘অ’ স্বরধ্বনি যুক্ত করে)। সেক্ষেত্রে শব্দটি একটি বিশেষ্য (পদ) যার অর্থ ‘শেষতম’ বা ‘সর্বশেষ’।
ঠিক তদ্রুপ ‘খতম-উন-নবীয়ীন’ অর্থ
নবীগণের শেষ বা সর্বশেষ বা শেষতম। অন্যদের মতে, এটা পড়া হয় ‘খতিম’ রূপে
হরফের নীচে কাস্রা বা যের যুক্ত করে অর্থাৎ বাংলা ‘ত’ অক্ষরের
সাথে ‘ই’ ()ি স্বরধ্বনি যুক্ত করে) যা শব্দটিকে কর্তা ত্মল্পব্জম্লত্রৈ রূপে গঠন করে এবং
যার অর্থ ‘তিনি যিনি শেষ বা সমাপ্ত করেন’ অর্থাৎ যে ব্যক্তি শেষ বা সমাপ্ত
করেন)। ঠিক তেমনই খতিমমইন-নবীয়ীন
অর্থ- তিনি যিনি নবীগণ (এর
সিলসিলা বা পরস্পরা) সমাপ্ত করেন অর্থাৎ উনার (আগমনের) সাথে সাথে নবুওওয়াতের অবসান
বা নিবৃত্তি ঘটে। (ইমাম বাঘ্য়ৈ, মালিমাত তানযিল, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ২১৮) ‘লিসানুল আরব’ অভিধানের
বর্ণনা মতে, ‘খতমা’ (خاتم النبين) অর্থ শেষ
বা সমাপ্ত করা, যেমন বলা হয়ে থাকে,
ختم الله امره با لخير(অর্থঃ-
আল্লাহ্ তাঁর ব্যাপারটিকে যেন
মঙ্গলজনকভাবে সমাধা (শেষ) করে দেন)। প্রত্যেক জিনিসের সমাপ্তি বা শেষকে (আরবীতে)
বলা হয় ‘খতম’ (خاتم)এবং এর
বহুবচন হলো ‘খাওয়াতিম’ (خواتم) যার অর্থ
‘সমাপ্তিগুলো’
বা ‘শেষগুলো’। র্ফারা বলেন যে, ‘খতম’ )(خاتم) ও ‘খতিম’ (خاتم) শব্দ দু’টি
সমার্থক শব্দ। তবে উভয়ের মধ্যে একমাত্র ভিন্নতা হলো, ব্যাকরণগতভাবে প্রথমটি হলো
বিশেষ্য ত্মব্জঃহৃত্র এবং দ্বিতীয়টি হলো সামান্যরূপী ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
(ধভতধভর্ধধশণ শণরঠটফ ভমলভ -الاسم الفعيه المصدرى)। ‘খতম’ ও ‘খতিম’ হলো নবীয়ে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার নাম মোবারক, যেমন আল্লাহ্ পাক ৩৩ঃ৪০নং আয়াত শরীফে বলেন যে, “তিনি
(রসূল) হলেন, ‘খতম-উন-নবীয়ীন’
ত্মম্পব্জঞ্জণ্ডহৃঞ্জব্জশৈুব্দƒ“শুত্র যার
অর্থ নবীগণের শেষ বা শেষতম (নবী)। ‘খতম’ ত্মম্পব্জঞ্জণ্ডহৃত্র
শব্দের আরো অর্থ হলো- নিবৃত্ত বা নিবারণ
করা। সাধারণতঃ এর অর্থ হলো কোন একটি জিনিসকে অন্যান্য জিনিসের সাথে সংমিশ্রণ থেকে
নিরাপদ রাখা। ‘খতম’ শব্দের অর্থ সীল বা মোহরও যার অর্থ সীলযুক্ত বা মোহরযুক্ত কোন জিনিসের সাথে
সংমিশ্রণ থেকে আরেকটি জিনিসকে নিবৃত্ত বা প্রতিরোধ করা। ‘খতম’ শব্দের
আরেকটি অর্থ হলো আংটি বা চক্র (লিসানুল আরব, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ
২৪-২৬)।
( অসমাপ্ত )
......................