আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) আমাকে তোমরা জানো? চিন ? আমি হলাম ‘সুলত্বনুন নাছীর’ মনে রেখো । পৃথিবীর কোন ক্ষমতা নেই আমার সাথে পারবে-পর্ব-৭৯

আমাকে তোমরা জানো? চিন ? আমি হলাম ‘সুলত্বনুন নাছীর’ মনে রেখো । পৃথিবীর কোন ক্ষমতা নেই আমার সাথে পারবে-পর্ব-৭৯

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই ছফর শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “চিন্তা করো না, কুদরতী ফায়ছালা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি এগুলি চিন্তা করি না। নিসবত ঠিক থাকলে, সব ঠিক হয়ে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমাকে তোমরা জানো? চিনো? আমি হলাম ‘সুলত্বনুন নাছীর’। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মনে রেখো। পৃথিবীর কোনো ক্ষমতা নেই আমার সাথে পারবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এটা মনে রেখো, মুখস্থ রেখো। যদি এটা সত্যই হয়ে থাকে, পৃথিবীর কারো কোনো ক্ষমতা নেই, আমার সাথে পারবে। ইনশাআল্লাহ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَقُلْ جَاءَ الَْقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا

অর্থ: “আপনি বলে দিন যে, সত্য এসেছেন, মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে। আর নিশ্চয়ই মিথ্যা দূরীভূত হওয়ারই যোগ্য।” সুবহানাল্লাহ!

(সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বণী ইসরাঈল শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮১)

মুজদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সময় এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা বলা হয়েছে। তাহলে উনার উস্তাদ অর্থাৎ মহাসম্মানিত শায়েখ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ কী বলা হবে? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) হ্যাঁ? এতো সোজা মনে করো না। আমি এদেরকে দুই পয়সা দিয়েও গণনা করিনা। কাপুরুষরা গণনা করে। আমি এদের দুই পয়সা দিয়েও গুণিনা।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

১ম খণ্ড এখানেই শেষ 
আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুনা  হযরত আছ ছানিয়াহ্  আলাইহাস সালাম উনার পক্ষ থেকে দাওয়াত দেয়া এবং মেহমানদারী মুবারক করানো-পর্ব-৭৮

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুনা  হযরত আছ ছানিয়াহ্  আলাইহাস সালাম উনার পক্ষ থেকে দাওয়াত দেয়া এবং মেহমানদারী মুবারক করানো-পর্ব-৭৮

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই ছফর শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “গতকাল (৫ই ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ তথা লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত্রে) একখানা ঘটনা মুবারক ঘটেছেন। ঘটনা মুবারকখানা হলেন, ৫ই ছফর শরীফ উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। এখন আগে কি হয়েছে জানি না, তবে মনে হলো যেনো উনি আমাকে উনার অনুষ্ঠানে সবসময় দাওয়াত দেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) কালকে তিনি আমাকে দাওয়াত মুবারক দিয়েছেন। আমি উনার ওখানে গেলাম। উনি আমাকে ‘হাইস্’ খাওয়ালেন আর একটা ঝাল ঝাল কি যেন খাওয়ালেন। মনে হলো, উনি যেনো সবসময় আমাকে দাওয়াত দেন। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর উনি আমাকে বললেন যে, আমাদের আলোচনা মুবারক যখন করা হয়, তখন আমাদের আলোচনা মুবারক এবং আমাদের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আলোচনা মুবারকও যেন করা হয়। অন্য আলোচনা যেন না করা হয়। দুই জনের অর্থাৎ প্রথম আর শেষে যেই দুইজন আলোচনা করেছে, তাদেরটা ঠিকই ছিলো। আর মাঝখানে যে আলোচনা করেছে, সে কিছু আনুষাঙ্গিক আলোচনা করেছে। সে প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনি বলেছেন যে, আমাদের আলোচনা করার মধ্যে অন্য আলোচনা যেন না আসে। এটা উনি আমাকে বললেন। আমি শুনলাম। ঠিক আছে। বুঝতে পারলে? উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে দাওয়াত মুবারক দিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আরজী: কোথায় দাওয়াত দেয়া হয়েছে?

জওয়াব মুবারক: উনার বাড়িতে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার বাড়িতে, যেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ। যেখানে উনারা থাকতেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ।

আরজী: আর কেউ ছিলেন?

জওয়াব মুবারক: আর কেউ ছিলেন না। উনাকেই আমি দেখেছি, আর কাউকে দেখিনি। মনে হলো যেন উনি সবসময়ই উনার অনুষ্ঠান মুবারক-এ আমাকে সম্মানিত দাওয়াত মুবারক দেন। এই বারও দাওয়াত মুবারক দিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আরজী: তাহলে উনারা খুব ভালোভাবেই বিষয়গুলি খেয়াল করেন।

জওয়াব মুবারক: নিশ্চয়ই। তা না হলে উনি এটা বললেন কেন্?

আরজী: সবই শুনেন।

জওয়াব মুবারক: না শুনার তো কিছু নেই। হাযির-নাযির হলে তো শুনা যায়ই। হাযির-নাযিরের ব্যাপার আছে, আবার অনেকগুলি বিষয় আছে মহান আল্লাহ পাক উনি কুদরতীভাবে শুনিয়ে দেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) অনেক রকম আছে।

আরজী: রাতে, না দিনে?

জওয়াব মুবারক: রাতে।

আরজি: ছোহবত মুবারক উনার পরে?

জওয়াব মুবারক: না, না, না। প্রথম জনের আলোচনা শেষ হয়ে, ২য় জন যখন আলোচনা শুরু করলো, তার একটু পরে। অর্থাৎ সোয়া ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে।

আরজী: ৮-১০ বছর আগে। প্রতিযোগীতা শরীফ মাহফিল শেষ হওয়ার পর যখন ওয়াজ শরীফ মাহফিল শুরু হলেন, সেই ওয়াজ শরীফ মাহফিল উনার ১ম দিন। মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন যে, আজকে আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নিয়ে যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মিম্বার শরীফ-এ বসলাম, তখন দেখলাম- স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ঘুরে ঘুরে দেখতেছেন, কে কে মাহফিল মুবারক-এ উপস্থিত হয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

জওয়াব মুবারক: দেখেনই তো। এটা অস্বাভাবিক কিছুই না, স্বাভাবিক। সবসময়ই দেখেন। উনি তো সব জায়গায় হাযির নাযির। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এটা তো স্বাভাবিক।

মুহাব্বতটা কি এভাবেই পাওয়া যায়? উনারা কি এমনে দাওয়াত দেন? মোফতে দাওয়াত দেন? না। হ্যাঁ; তবে সব কথা বলা যাবে না। যতোটুকু বলা যায়, এতোটুকু বলি শুধু। কোথায় আসমান- কোথায় যমীন! উনি তো আসমানে, বরং আরো উপরে। উনি দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাবেন কেন? উনার কি কোনো প্রয়োজন পড়েছে দাওয়াত দেয়ার? না; বরং মুহব্বত ও নিছবত মুবারক উনার কারণে দাওয়াত দেন।


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) সাইয়্যিদুনা হযরত যনু নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক প্রকাশ করার জন্য বলা-পর্ব-৭৭

সাইয়্যিদুনা হযরত যনু নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক প্রকাশ করার জন্য বলা-পর্ব-৭৭

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এই জুমু‘আহ শরীফ-এ যখন আলোচনা মুবারক শুরু করবো, তখন দেখি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বলতেছেন, আমি যেন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার যে নিসবত মুবারক, সেটা প্রকাশ করি।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)



আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ সমূহ প্রকাশে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অভুতর্পূব বেমেছাল বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফায়সালা মুবারক-পর্ব-৭৬


মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ সমূহ প্রকাশে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অভুতর্পূব বেমেছাল বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফায়সালা মুবারক-পর্ব-৭৬

মহা সম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَضَّرَ اللهُ امْرَءًا سَمِعَ مِنَّا حَدِيْثًا فَبَلَّغَهٗ كَمَا سَمِعَهٗ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ اَوْعٰى مِنْ سَامِعٍ

অর্থ: “ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই ব্যক্তির সম্মানিত চেহারা মুবারক সম্মুজ্জ্বল করুন, (উনাকে সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, মা’রিফাত-মুহব্বত মুবারক দান করুন,) যিনি আমার থেকে যেরূপ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ শুনবেন ঠিক হুবহু সেরূপ বর্ণনা করবেন। কেননা (পরবর্তীতে) যেই সকল সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের কাছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছানো হবে, উনারা যাঁদের থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ শুনবেন, উনাদের থেকে অধিক বেশি বুঝবেন, উপলব্ধি করবেন, অনেক বেশি সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার অধিকারী হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান, মুসনাদে বাযযার, ত্ববারনী শরীফ)

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলিম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার মালিক। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৬ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট আইয়্যামুল্লাহ শরীফগুলো পৃথিবীর কোনো কিতাবে নেই। এগুলো তো কোথাও পাওয়ার প্রশড়বই হয় না। এগুলো অনেক তাহক্বীক্ব করে বের করা হয়েছে। আমরা অনেক তাহক্বীক্ব করে বের করেছি। অনেক বৎসর যাবৎ তাহক্বীক্ব করেছি। আজ কাল থেকে না। সেই ৭২-৭৩ সাল থেকে তাহক্বীক্ব করতে করতে এই পর্যন্ত এসেছি। তারপর আইয়্যামুল্লাহ শরীফগুলো একটি একটি করে প্রকাশ করা হয়েছে। তাহলে কতো বৎসর হলো? প্রায় ৫০ বছরের কাছাকাছি।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত হাফাদাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এমন বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-কুরবত মুবারক রয়েছেন, যা কায়িনাতের কারো পক্ষে কস্মিনকালেও ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যার কারণে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম তথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত হাফাদাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এখানে ধারাবাহিকভাবে সেই বিশেষ বিশেষ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উল্লেখ করা হলো-



উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৮ মাস ১২ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমু‘য়াহ শরীফ তথা ইয়াওমুল খমীস দিবাগত বা’দ মাগরিব। তখন সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ২৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন তথা পূর্ণ ২৫ বছর এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ১৮ বছর ৩ মাস ২৫ দিন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মি নীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ:







উনাদের ধারাবাহিক ক্রম মুবারক অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নসিবতে আযীম শরীফ উনার মহাপবিত্র তারিখ মুবারক সমূহ-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতি শান মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালীশান মুবারক প্রকাশের বর্ণনা-




















আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) এক নজরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক-পর্ব-৭৫

এক নজরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক-পর্ব-৭৫

মহা সম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- اَنْسِبُوْنِىْ “আপনারা আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত করুন।” এটা ইরশাদ মুবারক করে, তিনি নিজেই উনার ২২ তম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পূর্বপুরুষ আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক বর্ণনা মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তা হচ্ছেন-

                                                                                ১

سَيِّدُ الْمُرْسَلِيْنَ اِمَامُ الْمُرْسَلِيْنَ خَاتَمُ

النبِّيِّيْنَ نوُْرُ الْمُجَسّمِ حَبِيْبُ اللهََِ

سَيِّدُنَ مَوْلَنَ رَسُوْلُ اللهِ صَلىّ اللهُ عَلَيْهِ وَسَلمَََّ

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মাওলানা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

حَضْرَتْ ذَبِيْحُ اللهِ عَلَيْهِ

السّلَمُ )حَضْرَتَْ

عَبْدُ اللهِ عَلَيْهِ السّلَمُ)َ

হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম (হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম)

اُمّ رَسُوْلِ اللهِ صَلىَُّ

اللهُ عَلَيْهِ وَسَلمََّ

حَضْرَتْ اٰمِنَةُ)

عَلَيْهَا السّلَمُ (َ

হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম)

حَضْرَتْ عَبْدُ الْمُطلِّبِ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম

حَضْرَتْ وَهْبٌ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত ওয়াহাব আলাইহিস সালাম

حَضْرَتْ هَاشِمٌ عَلَيْهِ السّلَمُ 

হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম

حَضْرَتْ عَبْدُ مَنَافٍ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত ‘আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম

حَضْرَتْ عَبْدُ مَنَافٍ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত ‘আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম

حَضْرَتْ زُهْرَةُ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত যুহ্রাহ আলাইহিস সালাম

حَضْرَتْ قُصَىٌّ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত কুছাই আলাইহিস সালাম

৭+৬

حَضْرَتْ كِلَبٌ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম

حَضْرَتْ مُرّةُ عَلَيْهِ السّلَمََُ

হযরত র্মুরাহ আলাইহিস সালাম

حَضْرَتْ كَعْبٌ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত কা’ব আলাইহিস সালাম

১০

حَضْرَتْ لُؤَىٌّ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত লুআই আলাইহিস সালাম

১১

حَضْرَتْ غَالِبٌ عَلَيْهِ السّلَمُ 

হযরত গালিব আলাইহিস সালাম

১২

حَضْرَتْ فِهْرٌ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত ফিহ্র আলাইহিস সালাম

উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক ছিলেন কুরাইশ। উনার দিকে নিসবত করেই উনার পরবর্তী বংশধর উনাদেরকে কুরাইশী তথা কুরাইশ বংশীয় বলা হয়

১৩

حَضْرَتْ مَالِكٌ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত মালিক আলাইহিস সালাম

১৪

حَضْرَتْ اَلنضّْرُ عَلَيْهِ السّلَمََُ

হযরত নদ্বর আলাইহিস সালাম

১৫

حَضْرَتْ كِنَانَةُ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত কেনানাহ্ আলাইহিস সালাম

১৬

حَضْرَتْ خُزَيْمَةُ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত খুযাইমাহ্ আলাইহিস সালাম

১৭

حَضْرَتْ مُدْرِكَةُ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত মুদরিকাহ্ আলাইহিস সালাম

১৮

حَضْرَتْ اِلْيَاسُ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত ইল্ইয়াস আলাইহিস সালাম

১৯

حَضْرَتْ مُضَرُ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত মুদ্বর আলাইহিস সালাম

২০

حَضْرَتْ نِزَارٌ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত নিযার আলাইহিস সালাম

২১

حَضْرَتْ مَعَدٌّ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত মা‘আদ আলাইহিস সালাম

২২

حَضْرَتْ عَدْنَنُ عَلَيْهِ السّلَمَُ

হযরত ‘আদনান আলাইহিস সালাম

(দলীলসমূহ: যাখায়েরুল ‘উক্ববা, শরফুল মুস্ত¡ফা, কাশফুল আসতার, তারীখে দিমাশক ইত্যাদি)

তাই উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক মুখস্ত করা সমস্ত উম্মত জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ!

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারকখানা শুনিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবে নিয়ামত, ছাহিবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে কবূল করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  সুলত্বানুন নাছীর’- যাঁকে এই মহাসম্মানিত লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়, উনার সাথে পৃথিবীর কেউ পারে না-পর্ব-৭৪

সুলত্বানুন নাছীর’- যাঁকে এই মহাসম্মানিত লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়, উনার সাথে পৃথিবীর কেউ পারে না-পর্ব-৭৪

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ শরীফ (জুমু‘আহ্ বার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এই যে বলছিলাম, তোমরা এটা বুঝো না। ‘সুলত্বানুন নাছীর’ লক্বব মুবারকখানা আমাকে সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করা হলো, তখন আমি বললাম, এটা কী? তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, এটা সময়মত প্রমাণ হবে। যাঁকে এই মহাসম্মানিত লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়, উনার সাথে পৃথিবীর কেউ পারে না। এই সম্মানিত লক্বব মুবারক উনার মূল মালিক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় করলেন, প্রবেশ করলেন, তখন

وَاجْعَلْ لِّىْ مِنْ لَّدُنْكَ سُلْطَاناً نَّصِيْرًا

অর্থ: “আর আপনি আমাকে আপনার তরফ থেকে ‘সুলত্বানুন নাছীর’ হাদিয়া মুবারক করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ তিলাওয়াত মুবারক করতেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলা হয়েছে, ‘সময় মত প্রমাণ হবে। যাকে এই সম্মানিত লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়, উনার সাথে পৃথিবীর কেউ পারে না।’ তারপর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- কাজেই, কেউ পারবে না আমাদের সাথে। ইনশাআল্লাহ! বুঝতে পারলে? বললাম, তোমাদের বুঝার জন্য। আমাদের সাথে পারে না তো কেউ। পারতেছে? পারবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একটা ঘটনা মুবারক। তোমরা তো বুঝো না। বললে কি হবে? এটা ৪৫-৪৬ বছর আগের কথা। তখন যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফে এ সমস্ত অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি আলোচনা করতেন। মাক্বাম নিয়ে এবং আরো অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হতো। কুতুবুল আলম থাকেন ৭ জন। সুলত্বানুল আরিফীন থাকেন। যেমন ফুরফুরার পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত নাজমুস সা‘আদাত ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনিও সুলত্বানুল আরিফীন ছিলেন, এরকম আরো আছেন। উনারা কারা? যা হোক; উনি একদিন আমাকে বললেন। আমি চিন্তা করলাম যে, উনারা কারা? তখন আমি একটা স্বপ্ন দেখলাম। স্বপড়বটা হলো এরকম- তখন আমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, সুলত্বানুল আরিফীন ঠিক আছে, অসুবিধা নেই। এটা তো ওলীআল্লাহ উনাদের লক্বব। আমাকে একটা লক্বব মুবারক দেওয়া হলো। এটা হলো- ‘সুলত্বানান নাছীরা’। আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে, এটা কী? তখন বললেন যে, এটা সময় মতো বুঝা যাবে। এটা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ লক্বব মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনি আরো বললেন যে, আর ক্বিয়ামত পর্যন্ত আপনার সাথে কেউ পারবে না। (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যারা বিরোধিতা করবে, তারা সব ধ্বংস হয়ে যাবে। (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আমাদের কার্যক্রম গুলো তো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক অনুযায়ী। এখন যারা বিরোধিতা করে, তারা তো টিকতে পারবে না। ধ্বংস হয়ে যাবে।

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে রহমাতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ র্পযন্ত সারা দুনিয়াব্যাপী বিশেষ প্রতিযোগীতা- মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশাপাশি , সামনা সামনি-পর্ব-৭৩


 
সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ র্পযন্ত সারা দুনিয়াব্যাপী বিশেষ প্রতিযোগীতা- মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশাপাশি , সামনা সামনি-পর্ব-৭৩

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩ই যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

فَاسْتَبِقُوْا الْخَيْرَاتِ

অর্থ: “তোমরা নেক কাজে প্রতিযোগীতা করো।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৮)

কোথায় প্রতিযোগীতা করবে বলো দেখি? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য কতো বড় কতো কিছু করা যায়, এ বিষয়ে প্রতিযোগীতা করতে হবে।

এখন যাহিরী-বাতিনী অনেক রকম প্রতিযোগীতা আছে। বললাম- বাতিনী প্রতিযোগীতা হলো, দেখলাম আমি। সারা দুনিয়ার লোক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করলো। কোথায় থেকে শুরু হয়েছে জানা নেই। শেষটা দেখা গেছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বসা আছেন এক জায়গায়। উনার সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক যে বলা হয়েছে, ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উপরে। সবার কাছে একটা করে পতাকা। প্রতিযোগীতা শুরু হলো। যখন শেষ হলো, তখন দেখলাম- সবচেয়ে সামনে আমি রয়ে গেছি। একদম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশাপাশি এরকম। (তখন মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার ডান হাত মুবারক উনার তালুতে বাম হাতের আঙ্গুলী মুবারক রেখে বাম হাতের মধ্যমা আঙ্গুল মুবারক উনাকে ডান হাতের মধ্যমা আঙ্গুলীর দ্বিতীয় গিরা পর্যন্ত নিয়ে বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশাপাশি এ রকম)। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) স্পর্শ হয়নি, পাশাপাশি। উপরে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার বরাবর আমার পতাকা মুবারকখানা। এরপর অন্যান্যরা। পিছনে তাকায় দেখলাম- অনেক লোক।

পবিত্র হিযাবে আযমত উনার মহাসম্মানিত নূরে আউওয়াল মুবারক যে বলা হয়, মহাসম্মানিত মূল নূর মুবারকখানা উপরে। খুব সুন্দর। এটা ভাষা দিয়ে বলা যাবে না। সুন্দর নূর মুবারক। সূর্যের মতো। ওখানে বসা আছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। উনার বরাবর। ওখানে পৌঁছতে হবে। কে আগে পৌঁছতে পারে। প্রত্যেকের হাতে পতাকা আছে একটা। এটা নিয়ে ঐ নূর মুবারক উনার কাছে এসে পৌঁছতে হবে। উনার পাশাপাশি স্পর্শ করে পাশাপাশি এরকম। একদম কাছাকাছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) স্পর্শ হয়নি, তবে পাশাপশি। যখন পৌঁছলাম, থামলাম, তখন পিছনে দেখলাম অনেক লোকজন। জিন-ইনসান অনেকে আছেন। লাখ-লাখ, কোটি-কোটি আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা আছেন, ওখানে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারাও আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন সবার নাম বললাম না আমি। কাজেই প্রতিযোগীতায় প্রথম হতে হলে তো প্রথম হওয়ার মত কাজ করতে হবে। ঐ রকম কাজ করতে হবে।

মহাসম্মানিত হিযাবে আযমত মুবারক-এ যে মূল মহাসম্মানিত নূর মুবারকখানা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উদাহরণ স্বরূপ- লাইটটা ধরো। এই বরাবর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। পতাকা হলো এটার পাশে আর বরাবর নূর মুবারক।

বুঝতে পারোনি এখন? মহাসম্মানিত নূর মুবারকখানা উপরে তো, এই বরাবর নিচে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বসা। এখানে পৌঁছতে হবে। আমার পতাকা মুবারক একদম মহাসম্মানিত নূর মুবারক উনার পাশাপাশি। আর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশাপাশি। উনার সামনে এসে থামলাম। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) স্পর্শ হয়নি, তবে খুব একটা পার্থক্যও ছিলো না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) খুব একটা ফাঁকাও ছিলো না। একদম স্পর্শ করলে তো আদবের খিলাফ হয় না?

(সুওয়াল: সামনাসামনি?)

জওয়াব মুবারক: হ্যাঁ, সামনাসামনি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সামনাসামনি।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে যিলক্বদ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “ঐ যে আমি বললাম যে, প্রতিযোগীতা হলো সারা দুনিয়াব্যাপী, ওখানে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন না, আর সবাই ছিলেন। আর সবাই ছিলেন। আমি বলিনি, তো আজকে বলি- আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি, আমার পরে সর্বপ্রথম রয়েছেন আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনি। (সুবহানা মামাদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এই কথা শুনে মানুষ অন্যকিছু অর্থাৎ অনেক কিছু মনে করতে পারে। এখানে অনেক কিছু মনে করার কিছুই নেই। যেটা সংঘটিত হয়েছে, সেটাই বললাম। (সুবহানা মামাদুহ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আরো অনেক বড় বড় ওয়াকেয়া আছে। সব তো বলা যায় না। সব বললে ঈমান ও আক্বীদা শুদ্ধ রাখা অনেকের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। এই যে একটা বললাম, একটুখানি। এটাই কয়জন কতটুকু বুঝলো? হ্যাঁ? এটাই কতটুকু বুঝলো?

কঠিন বিষয় এগুলি। এরকম আরো অনেক ঘটনা মুবারক আছে। সব তো আর সবাই বুঝবে না।” (সুবহানা মামাদূহ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে রহমাতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মুবারক খিদমতে হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লহি আলাইহি এবং হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-পর্ব-৭২

মুবারক খিদমতে হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লহি আলাইহি এবং হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-পর্ব-৭২

১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার জুমাদাল ঊলা শরীফ মাসের কথা। আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আপন ভাই আমাদের মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা হযরত চাচা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একখানা স্বপ্ন মুবারক দেখেন। তিনি বলেন, আমি স্বপেড়ব দেখতেছি, সম্মানিত ক্বাদেরীয়া ত্বরীক্বাহ্ উনার সম্মানিত ইমাম হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ এসেছেন। তখন আমি দরবার শরীফ প্রবেশ করলাম। তারপর জিজ্ঞাসা করলাম যে, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কোথায়? বলা হলো যে, উনি ভিতরে কাজ করতেছেন। সাইয়্যিদুনা হযরত চাচা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তখন আমি আশ্চর্য হয়ে একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম- হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভিতরে কাজ করতেছেন! তাহলে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাক্বামটা কী? সে কি জবাব দিলো সেটা স্পষ্টভাবে বুঝা যায়নি। তারপর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।

সাইয়্যিদুনা হযরত চাচা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এর কয়েক দিন পর আমি মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ যেয়ে উক্ত স্বপ্ন মুবারকখানা বললাম। মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বপড়ব মুবারকখানা শুনে বললেন, ‘আপনি সঠিকই দেখেছেন। ঠিকই আছে।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

সাইয়্যিদুনা হযরত চাচা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তখন আমি মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট জানার জন্য আরজী পেশ করলাম, আর কারা কারা আসেন? জবাবে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘আরো অনেকেই আসেন। পরে বলা হবে।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রবিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “গত ইয়াওমুল জুমু‘আহ শরীফ। জুমু‘আহর আগে হঠাৎ আমি দেখলাম- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের পর সবচেয়ে বড় ওলীআল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি আসছেন। কী ব্যাপার? কিছু খেদমত করতে আসছেন। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি বললেন যে, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি যে খেদমত করতে আসেন এখানে, আমিও কিছু খেদমত করতে এসেছি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি খেদমত করতে আসেন, আমিও এসেছি। এখন খেদমত বলতে যা বুঝায়। আমি বলেছি ঠিক আছে, খেদমত করুন।” (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মূলত, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা দু’জন ছাড়া সবার মহাসম্মানিত শায়েখ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কাজেই, সকলেই উনার খাদিম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এ প্রসঙ্গে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা জানো আমাকে? মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা দু’জন ছাড়া আমি সবার শায়েখ। এটা মনে রাখবে, এটা মনে রাখবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতো এরকম সংযোগ আর কারোই হয়নি-পর্ব-৭১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতো এরকম সংযোগ আর কারোই হয়নি-পর্ব-৭১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা যিলক্বদ শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রবিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একটা ঘটনা মুবারক। তোমরা যতটুকু বুঝো। বিশেষ একটা ঘটনা মুবারক। এই যে আমরা বলি, নিসবত কুরবতের বিষয়টা। এটা একটা পর্যায়ে যেয়ে সরাসরি সংযোগ হয়। যেমন- আজকে কী বার? সাব্ত (শনিবার) গেলো, খ¦মিসের দিন (বৃহস্পতিবার দিন)। আমি দেখতেছি যাত্রাবাড়ী পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে। আমি একজায়গায় গিয়েছি। উনিও আছেন ওখানে। একটা বড় ও উচু মাঠ। মাঠের উপর আমি আছি। উনি আসতেছেন। উনি মানুষকে কিছু ফল বিতরণ করতেছেন। উনি আমাকেও দিয়েছেন, খেলাম। উপরে কেউ নেই, আমি একাই ছিলাম। পরে উনি আসছেন। উনার সাথে আরো দুই-একজন আসছে। একটা জায়গা। ওখানে নামাজ পড়ার জন্য ঠিক করা হয়েছে। জামায়াতে নামায হবে। উনি দাঁড়িয়েছেন, আমি একটু দূরে আছি। আমি আদবের জন্য কাছে যাইনি। আদবের খিলাফ হয় কি না? উনি আমাকে কাছে যাওয়ার জন্য ডাকলেন। উনার পাশে যারা ছিলো, তাদের সরিয়ে দিলেন। বললেন, পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আচ্ছা; দাঁড়ালাম। উনি ইমাম, তাই আমাকে একটু পিছনে দাঁড়াতে হবে। উনি বললেন, না। বরাবর দাঁড়াতে হবে। আচ্ছা। সূরা ক্বিরাত পাঠ করা শুরু হলো। উনি বললেন যে, আমাকে পাঠ করার জন্য, আমি পাঠ করতে থাকলাম। করতে করতে আস্তে আস্তে দেখা গেলো- উনি আস্তে আস্তে আমার মধ্যে ফানা হয়ে মিশে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি বললেন যে, দেখেন; আপনার তো আসলে সরাসরি সংযোগ আগেই হয়ে গেছে। সিলসিলাগত সংযোগ আর প্রয়োজন নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার প্রতি ফানা বাক্বা হয়ে গেলে, এখন আপনার সরাসরি সংযোগ হয়ে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি এসে আমার মধ্যে পুরো মিশে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) পরে দেখি আমি একা।

উনি বললেন যে, সরাসরি সংযোগ তো আগেই হয়েছে। তবে এখন হাক্বীক্বত। এটা তাসাউফের উছূল রয়ে গেছে, যখন পুরা সংযোগ হয়, তখন সিলসিলার সংযোগটা আর দরকার হয় না। ঐ নিয়ামতটা আপনাকে দিয়ে দেওয়া হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

যাই হোক, সরাসরি সংযোগ হয়ে গেছে। আগে থেকেই ছিলো, এখন বাস্তবে এটা করা হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

পরে দেখি উনি নেই। আমি একা রয়েছি। আর বাকী লোকগুলো উনি সরিয়ে দিয়েছেন। এটা সরাসরি সংযোগ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে সরাসরি সংযোগ। আমার বলার বিষয় হচ্ছে, উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কার্যক্রম গুলো, উনি খুশি হলেই তো হয়ে যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি খুশি না হলে কিভাবে হবে এটা? কেউ তো এটা করতে পারবে না।

সরাসরি সংযোগ হয়; কিন্তু এরকম সংযোগ আর কারোই হয়নি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন যতো করবে, ততো ফায়দা পাবে। এখন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হোক, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হোক আর এই সুনড়বাত মুবারক প্রচার-প্রসার করা হোক। এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুশি করতে পারলেই তো কাজটা হয়ে যাবে। উনি যে মালিক; আসলে মালিক তো উনিই। আসল মালিক তো উনিই আসলে। মহান আল্লাহ পাক মালিক আছেন; ঠিকই আছেন। এখন মালিকানা তো উনার কাছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ঐটাই মীম দিয়ে যে মালিক বুঝানো হয়েছে, কিসের মখলুক্বাতের পর্দা? বলো, মীম দিয়ে মালিক। মালিক, মুরাদ, মাহবূব সব। এখন কাজগুলো করলে, কাজে বরকত হয়। ঐ উদ্দেশ্যে আমি এটা বললাম যে, বরকতটা কতোটুকু? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যতো পালন করা যাবে, ততো বরকত পাওয়া যাবে। নিসবতটা ততো সরাসরি হবে। বুঝতে পেরেছো কথাটা? সেটাই আমি বলি- নেয়ামতের অভাব নেই। কিন্তু মানুষ ধারণ করতে পারে না। যতোটুকু নিসবত করা যায়, ততো ফায়দা বেশি।

উনি আমার কাছে সব বলে, উনি পুরা গাইব হয়ে গেলেন। আবার আমার ভিতরে উনি মিশা গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন উনার কথা ছিলো, সিলসিলাগত শাজরা শরীফ অনুযায়ী যে ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ প্রয়োজন ছিলো, এটা আর প্রয়োজন নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আগেই সরাসরি ছিলো। এটা আরো সরাসরি হয়ে গেলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

কিতাবে লিখে যে, সরাসরি সংযোগ হয়, হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এরকম ঘটনা নেই। পুরা ফানা হয়ে বাকা হয়ে সংযোগ হওয়া, এটা পাওয়া যায় না।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ফায়েজ- তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক পেয়ে সক্রিয় হলেন ৪ মাযহাবের ইমামগণ-পর্ব-৭০

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ফায়েজ- তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক পেয়ে সক্রিয় হলেন ৪ মাযহাবের ইমামগণ-পর্ব-৭০

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে একটা ঘটনা ঘটেছে। তোমরা তো এটা শুনার উপযুক্ত না। (১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে শাওওয়াল শরীফ ইয়ামুল আহাদ শরীফ) সকালের দিকে, ১০-১১টার দিকে হঠাৎ আমি দেখলাম- হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি আসছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি এসে আমাকে বলতেছেন যে, এক জায়গায় যেতে হবে। কোথায় যেতে হবে? ঐ যে আপনি গিয়েছিলেন চার ইমাম উনাদের ওখানে। উনাদের অবস্থা নিষ্ক্রিয়। সক্রিয় করতে হবে।

কিভাবে করতে হবে? বললেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিতে হবে। কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে? বললেন, সেখানে গেলেই চলবে। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেসহ রওনা হলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) গেলাম সেখানে। দেখলাম যে, বিরান। আগেই বিরান দেখে এসেছি। ঐ রকমই দেখেছি। বললেন, আবাদ করতে হবে।

কিভাবে আবাদ করতে হবে? তো উনি কিছু ব্রাশ, রং নিয়ে বললেন, আমরা রং করে দেই। উনিসহ আমরা তিনজন মিলে রং করলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আবাদ হলো। উনারা চার জনই একদম পুরো সতেজ হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) গতবার তো ধারাবাহিকতাটা দেখা হয়নি। এবার দেখলাম- ইমামে আ‘যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি এক নাম্বার। তারপর ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই চারজন। উনারা উনাদের কাজ শুরু করলেন।

ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন, উনারা তো সক্রিয় নেই, সক্রিয় করতে হবে। তো সক্রিয় হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তারপর একখানে আমাদের বসার ব্যবস্থা করলেন, খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন। আচ্ছা, ঠিক আছে; বসলাম। কিছু দিলেন, খেলাম। উনাদের কাজ উনারা করতেছেন। তারপরে বললেন যে, আমাদের কাজ তো আমরা করেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে উনারা কিছু ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিবেন। ভালো কথা। উনারা বললেন যে, ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনিও আছেন। উনাকে আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উনি জামিউন নিসবত। এখন ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দেওয়া হবে। আমাকে বললেন, তাহলে আপনার পরিবারের সবাইকে আনেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হবে। তোমাদের আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনিসহ সবাইকে এনে আমি বসালাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সিরিয়াল মতো সবাইকে বসিয়েছি। যারা আছেন সবাইকে বসিয়েছি। নাকিবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনারাসহ ছোট- বড় সবাইকে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনারা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিলেন। যাই হোক, অনেকক্ষণ থাকলাম। এরপরে এসে পড়লাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা তো চারটা মাযহাবই কবুল করেছেন, তাই এই চারটা মাযহাব জারী করার দরকার আছে। নিক্রিয় থাকলে কিভাবে চলবে? তাহলে যেয়ে একটু ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিয়ে আসেন। আমরা সক্রিয় করে দেই। ওই হিসাবে গেলাম। এখন সক্রিয় হোক, তাহলে দ্বীনের খিদমতের আন্জাম হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

উনি বললেন যেটা- মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা কবুল করেছেন চার মাযহাব। এগুলি এখন নিক্রিয় হয়ে গেছে। এগুলো সক্রিয় করতে হবে। তাই ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে। কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিবো? বললেন, ওখানে গেলেই চলবে। আর কিছু লাগবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি গেলাম, সক্রিয় হলো একদম পুরো সতেজ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এগুলি বুঝবে মানুষ? কিভাবে বুঝবে? বুঝবে এরা কোনো দিন? মাযহাব তো আরো সক্রিয় হলো। উনারা উঠে বসে যার যার কাজ শুরু করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এটা এভাবে বলা হয়- হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী, মালেকী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এর মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছে। যখন আমরা ঐ ইমাম সাহেবদের পরিষ্কার করতেছিলাম। তখন হঠাৎ ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন, ‘আরে! ইবলিসটা আসতেছে।’ ইবলিসটা উড়ে আসতেছিলো।

আমি বললাম, এইটারে পাকড়াও করো। করে একদম হাজার মাইল দূরে ফেলে দাও নিয়ে। তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ধরে নিয়ে ইবলিসটাকে হাজার মাইল দূরে ফেলে দিয়ে আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সে বাধা দেওয়ার জন্য আসতে চেয়েছিলো। আমি বললাম, এটারে পাকড়াও করো। ঠিকই পাকড়াও করা হলো। আমরা প্রথমে খেয়াল করিনি। উনিই খেয়াল করছেন প্রথমে। একটা গেঞ্জির মতো পরা আর একটা লুঙ্গির মতো পরা। উড়ে আসতেছিলো। আমি বললাম, পাকড়াও করো এটারে। পাকড়াও করে হাজার মাইল দূরে ফেলে দাও। ইবলিসটাকে ধরে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সে কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার জন্য আসতে চেয়েছিলো। শয়তান তো শয়তানী করবেই। ওয়াসওয়াসা দিবে। তো ওয়াসওয়াসা দিলে, এটা ডিঙ্গিয়ে যেতে হবে। তাহলেই হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি র্অথাৎ উনারা দু-জন ছাড়া সবার মহাসম্মানিত শায়েখ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-পর্ব-৬৯

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি র্অথাৎ উনারা দু-জন ছাড়া সবার মহাসম্মানিত শায়েখ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-পর্ব-৬৯

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “ছাত্রীরা প্রশড়ব করেছে। তাদের প্রশেড়বর জওয়াবটা গতকাল আমি দেইনি। এরা লিখেছে- ‘হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনি মহিলাদের তা’লীম দেন, উনি মহিলাদের শায়েখ। আর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি পুরুষদের তা’লীম দেন, উনি পুরুষদের শায়েখ।’

তা’লীমের সাথে শায়েখের সম্পর্ক কি? হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা কি একজনের জন্য? উনারা কি শুধু পুরুষের জন্য এসেছিলেন? উনারা তো পুরুষ-মহিলা সবার জন্য। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) হযরত উম্মাহাতুল মু‘মিমীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা তো পুরুষ-মহিলা সবার জন্যই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নাকি একজনের জন্য? এরা তো কিছুই জানে না দেখা যায়। এরা আমার ওয়াজ শরীফ কিছুই শুনে না, শিখবে কোথা থেকে?

তোমরা জানো আমাকে? মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা দু’জন ছাড়া আমি সবার শায়েখ। এটা মনে রাখবে, এটা মনে রাখবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) বড়পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো- ‘আপনি কি সুলত্বানুল আরিফীন? গাউসুল আ’যম? মুজাদ্দিদুয যামান? কুতুবুল আলম? তিনি বললেন- ‘আরো উপরে, আরো উপরে, আরো উপরে।’ তোরা মনে রাখিছ- মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা ছাড়া আমি সবার শায়েখ। মনে রাখিছ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আর তোমরা যদি মনে করো- তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি আমার পরে ক্বয়িম মাক্বাম, তাহলে উনি তো পুরুষ-মহিলা সবার জন্যই শায়েখ। (সুবহানা হযরত উম্মিল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম!) উনি পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান সবার-ই শায়েখ। (সুবহানা হযরত উম্মিল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম!) মহিলারা খালি মহিলাদের শায়েখ হবে আর পুরুষরা পুরুষের শায়েখ হবে, এটা কোথায় আছে? হ্যাঁ? এরা তো পড়া-লেখা করে না। লেখা-পড়া করতে হবে।


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক বর্ণনা-পর্ব-৬৮

সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক বর্ণনা-পর্ব-৬৮

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “কুদরতের বিষয়টা জানতে চায় কে? কারা কারা জানতে চায়? হ্যাঁ? (তারপর কায়িনাতবাসীকে ইলিম মুবারক উনার গুরুত্ব অনুধাবনের লক্ষ্যে বলেন,) পয়সা জমা দিতে হবে। কয় টাকা এনেছো? তাহলে কিভাবে শুনবে? তাহলে কিভাবে হবে? ইস্তাওয়ার বিষয়টা তো সহজ ছিলো। এটা তো কঠিন। ঐটা ১৪শ’ কোটি টাকা দিতে হলে, তাহলে এটা ২৮শ’ কোটি টাকা দিতে হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) হ্যাঁ? কি বলো? কি? ইস্তাওয়াটা সহজ ছিলো, এটা তো কঠিন। ঐটা ১৪শ’ কোটি টাকা দিতে হলে, এটা ২৮শ’ কোটি টাকা দিতে হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) অন্যথায় কিভাবে হবে? এনেছো টাকা? তাহলে জানবে কিভাবে? কিভাবে জানবে? বলো দেখি- এখন কি সংক্ষেপে শুনবে, না বিস্তারিত শুনবে? কোন্টা শুনবে? সংক্ষেপে শুনতে চাইলে, এক দুই কথায় শেষ করে দিবো। আর বিস্তারিত শুনতে চাইলে, আমি বিস্তারিত বলবো। এখন কোন্টা শুনবে? বলো।

(আরজী: দুটাই শুনবো।)

অ- দুটাই শুনবে? আচ্ছা। কঠিন বিষয়। বিস্তারিত শুনলে তো সময় লাগবে।

১ নাম্বার হলো বিস্তারিত শুনতে হলে- হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার কাছে আমি আরজু করেছিলাম। উনি আমাকে প্রথমে দেখালেন কুদরতটা কি। মহান আল্লাহ পাক তিনি হাযির-নাযির কিভাবে? ইলিম আর কুদরত দ্বারা। মহান আল্লাহ পাক তিনি হাযির-নাযির হচ্ছেন ইলিম এবং কুদরতের মাধ্যমে। আর যাহির হচ্ছেন কিভাবে? আসমা’ ও ছিফতের মাধ্যমে। হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি কুদরতের একটা মেছালী ছূরত আমাকে দেখালেন। একটা গোলাকার বৃত্ত যা ধুঁয়ার মতো। প্রথম। আচ্ছা; ঠিক আছে। এরপর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে আমাকে বলা হলো যে, এটা বুঝতে হলে ‘সূরা ইখলাছ শরীফ’ আর ‘সূরা কাওছার শরীফ’ বুঝতে হবে। কিভাবে বুঝতে হবে? সূরা ইখলাছ শরীফ-এ কি বলা হয়েছে?

قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ. اَللهُ الصَّمَدُ. لَمْ يلَِدْ وَلَمْ يوُْلَدْ. وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُوًا اَحَدٌ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনি একক। মহান আল্লাহ পাক উনি বেনিয়াজ। উনি কারো কাছ থেকে না, উনার থেকে কেউ না। উনার সমকক্ষ কেউ নেই।”

এই ছমাদিয়াত আগে বুঝতে হবে। এটা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারক-এ।

আর ‘সূরা কাওছার শরীফ’ বুঝতে হবে। কিভাবে বুঝতে হবে? ‘সূরা কাওছার শরীফ’-এ বলা হচ্ছে-

اِنَّ اَعْطَيْنكَٰ الْكَوْثَرَ. فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ. اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الَْبْتَرُ

প্রথম।

اِنَّ اَعْطَيْنكَٰ الْكَوْثَرَ

‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার হাদিয়া মুবারক করেছি।’এখানে ঐ কাওছার অর্থে না। এখানে আমভাবে সমস্ত খায়ের-বরকত আপনাকে হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে। এই অর্থে। এরপর- فَصَلِّ অর্থ

এখানে কি হবে? এখানে ছলাত অন্য কিছু না। এখানে অর্থ হবে- মহান আল্লাহ পাক

اِنَّ اللهَ وَمَٰٓلئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ

“নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সকল সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দায়িমীভাবে সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করে যাচ্ছেন তথা উনার সম্মানার্থে দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন।” সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক উনি যেমন ছলাত পাঠ করেন, আপনাকেও ছলাত পাঠ করতে হবে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও ছলাত পাঠ করেন আল্লাহ পাক উনার শান মুবারক-এ।

আবার,

لِرَبِّكَ وَانْحَرْ

وَانْحَرْ অর্থ কি? কুরবানী করা। ফানা হয়ে যাওয়া। মহান আল্লাহ

পাক উনার জন্য সব ফানা-বাক্বা হয়ে যেতে হবে।

اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الَْبْتَرُ

এটার অর্থ হচ্ছে- নিশ্চয়ই আপনার শত্রুরা নির্বংশ অর্থাৎ এখানে শত্রুদের কোনো অংশ থাকবে না। শত্রুরা এখানে আর আসতে পারবে না। এটা আলাদা। এটার আরেকটা অর্থ করা হলো-

قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِىْ لَِِّ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ. لَ شَرِيْكَ لَهُ

‘আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমার ছলাত, কুরবানী, হজ্জ, ইবাদত-বন্দেগী, আমার হায়াত, আমার মউত সমস্ত কিছুই মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। উনার কোন শরীক নেই।’

সব কিছু মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য, কোনো শরীক নেই। ঠিক আছে। এখন এই জিনিসটা বুঝানোর পর বলা হলো- ৪টা জিনিস এখানে সংযুক্ত হবে। কি ৪টা জিনিস সংযুক্ত হবে? মূল জিনিসটার সাথে ৪টা জিনিস সংযুক্ত হবে। সেটা প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে-

ثمَُّ دَنَ فَتَدَلّٰى. فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ اَوْ اَدْنٰى

অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটবর্তী হলেন, ঝুঁকে গেলেন। কি পরিমাণ? ধনুকের দুই মাথা। ঐ ধনুক না। একটা ধুনুকের দুই মাথা টান দিলে যেমন মিলে যায়, এরকম। তাদের অর্থ তাদের কাছে। আর হাদীছ শরীফ-এ বলা হচ্ছে-

لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّ يَسْعٰنِىْ فِيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَ نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ

‘মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আমার এমন একটি সময় রয়েছে, অর্থাৎ দায়েমীভাবে ২৪ ঘন্টা এমন নিছবত মুবারক রয়েছেন যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এমন নিসবত, এখানে কারো কোনো সম্পর্ক নেই। ২৪ ঘন্টা উনি দীদার মুবারক-এ মশগুল আছেন। আর আরেকটা হলো-

وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوىٰ. اِنْ هُوَ اِلَّ وَحْىٌ يوُّْحٰى

‘ওহী মুবারক ছাড়া উনি কোনো কথা মুবারক বলেন না, কোনো কাজ মুবারক করেন না, কোনো সম্মতি মুবারক প্রকাশ করেন না।’

সেটা কি? সেটা হচ্ছে- ঐ হাদীছে কুদসী শরীফ-

يَ حَبِيْبْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَ وَاَنْتَ وَمَا سِوَاكَ خَلَقْتُ لَِجْلِكَ

“আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি এবং আপনি। আর আপনি ছাড়া যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু আমি আপনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন,

يَ رَبِّ اَنْتَ وَمَا اَنَ وَمَا سِوَاكَ تَرَكْتُ لَِجْلِكَ

‘আয় বারে এলাহী! শুধু আপনি, আমিও না। আপনি ছাড়া আর যা কিছু রয়েছে, সমস্ত কিছুই তরক করেছি আপনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার লক্ষ্যে। আমি তো আপনার মধ্যে ফানা-বাক্বা।’

এই পর্যন্ত আসলো। এরপরে যে বিষয়টা বুঝতে হবে- ঈমান রক্ষা করবে সবাই। ঈমানটা নষ্ট করো না কেউ। একটা কঠিন বিষয়। এরপর যেই জিনিসটা হলো, মহান আল্লাহ পাক উনি কিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করলেন, সেটা মহান আল্লাহ পাক উনি আমাকে দেখালেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) দেখলাম- আল্লাহ পাক উনি উনার পাশে নূর মুবারক স্থাপন করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) বললেন, প্রথম আয়াত শরীফ-

قَدَّرَ فَهَدٰى

মহান আল্লাহ পাক নিজে বললেন। এখানে কি এর অর্থ? মহান আল্লাহ পাক বললেন,

يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالٰى

এখানে কুদরত নাই।

يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالٰى

এর অর্থ হচ্ছে আসলে- ঘূর্ণীয়মান না, অবস্থান। ঠিক ঐ হাক্বীক্বতটা মহান আল্লাহ পাক উনি প্রকাশ করলেন, যেটা সরাসরি নূর মুবারক, যা উনার পাশে উনি বসালেন। এটা হলো-

يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالٰى

সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আর কুদরতটা কী? মহান আল্লাহ পাক উনি নিজের ভাষায় বললেন, বাংলায় এটা ‘নিয়ন্ত্রণ’। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মহান আল্লাহ পাক নিজেই বললেন উনার ভাষায়। অর্থাৎ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

একটা হচ্ছে,

] } قَدَّرَ فَهَدٰى{ ]اَلَْعْلَى: ৩

] }قَدَّرَهٗ تَقْدِيْرًا{ ]اَلْفُرْقَانُ: ২

দুই খানা আয়াত শরীফ। সমস্ত কিছু দিয়ে, আমরা যেটা বলি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক সমস্ত কিছু দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। ঐ জিনিসটাই মহান আল্লাহ পাক উনি সরাসরি আমাকে দেখিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আর কুদরত মুবারক অর্থ- কুদরত উনার সরাসরি অর্থ হচ্ছে- এক. প্রথম অর্থ হচ্ছে- নিয়ন্ত্রণ। দুই. দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে- ছোহ্বত। তিন. তৃতীয় অর্থ হচ্ছে- যিয়ারত। চার. চতুর্থ অর্থ হচ্ছে- দীদার।

এই যে তারা বলে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি দেখেননি। না‘ঊযুবিল্লাহ! একবার দেখেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! এটা শুদ্ধ না। উনি ২৪ ঘন্টাই যিয়ারত মুবারক-এ আছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এরপরে বললেন, এটা আরেকটু বুঝার জন্য সহজ। যেটা আমরা বলি সব সময়। অনেকে হয়তো বুঝেনা। যে, কালেমা শরীফখানা। আল্লাহ পাক উনার মধ্যে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি প্রবেশ করেন নি, উনিও উনার মধ্যে প্রবেশ করেন নি। দুইজন পাশাপাশি। মহান আল্লাহ পাক উনি সৃষ্টি করে রেখেছেন। এখন সেখান থেকে মহান আল্লাহ পাক উনি যখন সৃষ্টি করলেন, তখন দেখা গেলো আসলে কিছুই নেই। শুধু মহান আল্লাহ পাক উনি আর উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা। আর যা কিছু রয়েছে, সমস্ত কিছু ঐ নূর মুবারক থেকে একটা অংশ নিয়ে পরে সৃষ্টি করা হয়েছে।

এখন এক কথায় হচ্ছে-

يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالٰى

] } قَدَّرَ فَهَدٰى{ ]اَلَْعْلَى: ৩

] }قَدَّرَهٗ تَقْدِيْرًا{ ]اَلْفُرْقَانُ: ২

এটা ‘সূরা আ’লা শরীফ’ ও ‘সূরা ফুরক্বান শরীফ’ উনাদের মধ্যে আছে। আর এটা আবার সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনি বললেন যে, কুদরত উনার সরাসরি বাংলায় অর্থ হচ্ছে- ‘নিয়ন্ত্রণ’। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমার নিয়ন্ত্রণে আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এটাই হচ্ছে-

وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوىٰ. اِنْ هُوَ اِلَّ وَحْىٌ يوُّْحٰى

‘ওহী মুবারক ছাড়া উনি কোনো কথা মুবারক বলেন না, কোনো কাজ মুবারক করেন না, কোনো সম্মতি মুবারক প্রকাশ করেন না।’

আর ঐ বিষয়টা

يَ حَبِيْبْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَ وَاَنْتَ وَمَا سِوَاكَ خَلَقْتُ لَِجْلِكَ

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَ رَبِّ اَنْتَ وَمَا اَنَ وَمَا سِوَاكَ تَرَكْتُ لَِجْلِكَ

“আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি এবং আপনি। আর আপনি ছাড়া যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু আমি আপনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্যই সৃষ্টি করেছি। সুবহানাল্লাহ! জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আয় বারে এলাহী! শুধু আপনি, আমিও না। আপনি ছাড়া আর যা কিছু রয়েছে, সমস্ত কিছুই তরক করেছি আপনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার লক্ষ্যে। আমি তো আপনার মধ্যে ফানা-বাক্বা।’

আর ওখানে আরেকটা জিনিস রয়ে গেছে। সেটা হলো-

فَصَلِّ لِرَبِّكَ

এখানে একটা বিষয় রয়েছে। সেটা হলো- যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ইরশাদ মুবারক করেন,

لَ اُحْصِىْ ثَنَاءً عَلَيْكَ وَلَوْ حَرَصْتُ وَلٰكِنْ اَنْتَ كَمَا اَثْنَيْتَ عَلٰى نفَْسِكَ

“(বারে এলাহী!) আমি তো আপনার অনেক সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করতে চাই। কিন্তু আপনি তো ঐ রকমই যেমনটি আপনি আপনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করেছেন, প্রশংসা মুবারক করেছেন।”

মহান আল্লাহ পাক উনি বললেন, এই সবগুলো মিলে শেষ পর্যন্ত মূল অর্থ হচ্ছে,

يَدُوْرُ بِلْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالٰى

‘(সব মিলালে হবে-) আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত কিছু দিয়ে সৃষ্টি মুবারক করে উনাকে আমার সাথে সংযুক্ত করেছি। এবং আমার নিয়ন্ত্রণেই উনি আছেন। এটাই হলো মূল কুদরত।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বুঝতে পেরেছো কিছু? কঠিন জিনিস। এটা বুঝা কঠিন বিষয়। এখন ফিক্বির করতে হবে। এই কতোগুলো কথা মহান আল্লাহ পাক উনি সরাসরি আমাকে বলছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আর উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সমস্ত নিয়ামত মুবারক দিয়ে মহান আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন, এটা আমাকে সরাসরি দেখিয়েছন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো সংযুক্ত না, পাশাপাশি। প্রবেশও করেননি, জুদাও হননি।”

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এটা বুঝা কঠিন বিষয়। এখন ফিক্বির করতে হবে। এই কতোগুলো কথা মহান আল্লাহ পাক উনি সরাসরি আমাকে বলেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আর উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সমস্ত নিয়ামত মুবারক দিয়ে মহান আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন, এটা আমাকে সরাসরি দেখিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোনো সংযুক্ত না, পাশাপাশি। প্রবেশও করেননি, জুদাও হননি। আবার সংযুক্ত, সম্মিলিত।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এর ২ দিন পর অর্থাৎ ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ জানতে চাওয়া হয়েছিলো- ‘বিষয়টা কি রকম?’ জবাবে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার দুই হাত মুবারক উনাদের পৃষ্ঠদেশ মিলিয়ে দেখালেন, আমি যেভাবে দেখছি- একবারে এরকম, লাগানো। পাশাপাশি। মহান আল্লাহ পাক যেখানে থাকেন, একদম পাশাপাশি। (দুই হাত মুবারক উনাদের পৃষ্ঠদেশ মিলিয়ে আবার দেখালেন,) এভাবে লাগানো। কোনো ফাঁক নেই। ভিতরে প্রবেশও করেননি, আবার আলাদাও হননি। একদম লাগানো। (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরপরও হাক্বীক্বত তো আরো কিছু রয়ে গেছে।

সুওয়াল: এ ঘটনা মুবারক কি ইস্তাওয়ার পরে ঘটেছে?

জওয়াব মুবারক: হ্যাঁ, হ্যাঁ, পরে।

সুওয়াল: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিলো, নাকি একই রকম?

জওয়াব মুবারক: একই রকম। মহান আল্লাহ পাক উনি তো নূর না। মহান আল্লাহ পাক উনি তো কুদরতীভাবে। ঐটা আরেক কুদরত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর মুবারক। এক রকম-ই দেখা গেছে। পার্থক্য মেছালী ছূরত মুবারকে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বাভাবিক ভাবেই আকার মুবারকে বড়। মানে পবিত্র আকার মুবারক-এ পার্থক্য।” (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “ইস্তাওয়া হচ্ছেন এক বিষয়। আর কুদরত মুবারক হচ্ছেন সরাসরি অজুদ মুবারক উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়। আর এই কুদরত মুবারক উনার অর্থটা মহান আল্লাহ পাক উনি সরাসরি বাংলায়ই বলেছেন- নিয়ন্ত্রিত আমার দ্বারা। আর আরবীটা বলেছেন, ঐ আয়াত শরীফ-

[ }قَدَّرَ فَهَدٰى{ ]اَلَْعْلَى: ৩

‘ক্বদ্দারা’ মানি এখানে তাক্বদীর শব্দ দিয়ে হেদায়াত দিয়েছেন। অর্থাৎ সব নিয়ামত দিয়েই সৃষ্টি করেছি। অর্থাৎ নূর মুবারক উনার কোনো ছূরত মুবারক নেই। সরাসরি অজুদ মুবারক, নূর মুবারক এনে স্থাপন করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আর

] }قَدَّرَهٗ تَقْدِيْرًا{ ]اَلْفُرْقَانُ: ২

এটা একই কথা। এই আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে অনেক কিছু লেখে। আসলে এগুলো ওদের ভাষাগত দিক দিয়ে বর্ণনা। কিন্তু হাক্বীক্বত হলো- তাক্বদীরে সব ফায়ছালা করে দেয়া হয়েছে অর্থাৎ সমস্ত নেয়ামত যা কিছু আছে সমস্ত কিছুর মালিকানা সব দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে স্থাপন করেছেন। তখন কিছুই ছিলো না, ফাঁকা। তারপর ওখান থেকে নূর মুবারক নিয়ে ধাপে ধাপে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এই সৃষ্টির যে বিষয়টা, এই বিষয়টাও সরাসরি মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে দেখিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এটা তো মানুষ বুঝবে না। এখন যদি বলো মানুষের ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। (না‘ঊযু বি মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তাহলে সব বলাও মুশকিল। মহান আল্লাহ পাক উনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করলেন, আনলেন, এটা আমাকে দেখালেন। কিভাবে দেখালেন? এটা তো মানুষ বুঝবে না। উনি তো দেখিয়েছেন আমাকে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন শুনো, ফিক্বির করো। যদি কোনো প্রশড়ব থাকে, পরে করলে আমি জওয়াব দিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ। কোনো অসুবিধা নেই। এখন এগুলো মানুষের বুঝের বাহিরে। এগুলো ভাষা দিয়ে সবটা প্রকাশ করা যায় না। এই যে আমি বলেছি। যে কালিমা শরীফ লেখা আছে-

لَ اِلٰهَ اِلَّ اللهُ

এরপরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক

مَُمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

পাশাপাশি। কিন্তু একজনের ভিতরে আরেকজন না। মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে উনি জুদাও না, আবার মহান আল্লাহ পাক উনার ভিতরেও না। কিন্তু পাশাপাশি।

এগুলো তো মানুষ বুঝবে না। এখন যারা শুনছে, এদের অনেকে হয়তো বুঝে নাই। বুঝবে না। এটা ফিক্বির করতে হবে। আর যদি তোমাদের কোনো প্রশড়ব থাকে, পরে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলে দিবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু ভাষা দিয়ে বুঝানো অত্যান্ত কঠিন।

এখন শেষ যে কথাগুলো, এগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার নিজের বক্তব্য। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যখন যাহির করা হলো উনি পাশে অবস্থান করতেছেন। উনার অজুদ মুবারক, কুদরত মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

বিষয়টা মানুষের আক্বীদাহর সাথে সম্পৃক্ত। কেউ প্রশড়ব করতে পারে যে, আপনি দেখলেন কিভাবে? আমাকে দেখানো হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখানে অনেক প্রশড়ব আছে। সব প্রশড়ব দরকার নেই। এখন ফিক্বির করো সবাই কতটুকু বুঝতে পেরেছো । বুঝতে পেরেছো? হ্যাঁ? এটা ফিক্বির করতে হবে। বার বার শুনতে হবে এটা। রেকর্ডটা শুনো বার বার। এরপর যদি কোনো প্রশড়ব থাকে, প্রশড়ব করলে আমি জওয়াব দিবো। ইনশাআল্লাহ!

এখানে আগেই আমি একটা প্রশড়ব বলতে পারি এবং জওয়াবও দিতে পারি। সেটা হলো- অনেকে বলতে পারে- তখন কিছু ছিলো না, তাহলে আপনি ছিলেন কোথায়? আপনি দেখলেন কিভাবে?

এক গোলামের উক্তি: ‘মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন।’ এটা আমি আগেই বলে দিলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি দেখিয়েছেন। দেখা তো সম্ভব ছিলো না। এটা একটা কঠিন বিষয়। কুদরত তো আর মানুষ বুঝে নি। তবে শেষের বক্তব্য-কথাগুলি, হুবহু মহান আল্লাহ পাক উনার। উনি সরাসরি স্পষ্টভাবে বলেছেন। সমস্ত নেয়ামত মুবারকসহ যে নূর মুবারক যাহির করলেন, সেই বিষয়টা বা হাক্বীক্বতটা আমাকে স্পষ্ট দেখিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংযুক্ত করার কিছু নেই। মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে যেমন সংযুক্ত করার কিছু নেই, একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেও সংযুক্ত করার মতো কিছু নেই। সর্বপ্রকার নিয়ামত মুবারক দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। এবং সেখান থেকে নূর মুবারক নিয়েই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আর মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা এখানে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ সম্পৃক্ত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি মহান আল্লাহ পাক উনার দ্বারাই পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) অন্য ভাষায় হচ্ছে- উনার থেকে হিস্সা নিয়ে বাকি সবাইকে সৃষ্টি করা হয়েছে। নবী হন, রসূল হন বা অন্যকেহ হন, ওখান থেকে হিস্সা নিয়েই অর্থাৎ নূর মুবারক নিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

দুইটা আয়াত শরীফ। সূরা আ’লা শরীফে

[ }قَدَّرَ فَهَدٰى{ ]اَلَْعْلَى: ৩

আর সূরা ফুরক্বান শরীফে

] }قَدَّرَهٗ تَقْدِيْرًا{ ]اَلْفُرْقَانُ: ২

সুওয়াল: কতদিন আগের ঘটনা মুবারক?

জওয়াব মুবারক: ঘটনা তো কয়েক দিন আগের।

প্রথম সূত্রপাত করেছেন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি। উনিই একদিন কোনো এক প্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলেন যে, ‘আমার কাছে আসতে হবে না?’ আমি বলেছি, ‘আসতে হবে’। তারপর উনি বলেছেন, ‘ইলিম শিখতে হলে তো আমার থেকে শিখতে হবে।’ আমি বলেছি, ‘হ্যাঁ’। তো প্রাথমিকটা উনি দেখিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

সুওয়াল: কুদরত মুবারকটা কেমন ছিলো?

জওয়াব মুবারক: এটা গোল, একটা বলের মতো। (উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি কুদরতের মেছালী ছূরতটা) দেখিয়ে বললেন যে, কুদরতের মেছালী ছূরত হলো এটা। উনি কুদরত মুবারকের মেছালী ছূরতটা দেখিয়েছেন। এরপর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে আমাকে বলা হলো যে, এটা বুঝতে হলে মহান আল্লাহ পাক উনার ছমাদিয়াতটা বুঝতে হবে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছমাদিয়াতটা বুঝতে হবে, উনার শানটা বুঝতে হবে। উনাকে যে মহান আল্লাহ পাক উনি সব হাদিয়া করেছেন, এটা বুঝতে হবে। আর মহান আল্লাহ পাক উনি যেমন ছলাত পাঠ করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও ছলাত পাঠ করেন মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি। যাহিরীভাবে মানুষ দেখে না, বুঝে না।

এর পরবর্তী সময় মূল জিনিসটা প্রকাশ করলেন। এখন এগুলি ইলমী বিষয়, ফিক্বিরের বিষয়। যারা ফিক্বির করবে, তারা হয়তো বুঝতে পারে।

সবাই তো বুঝবে না। কারণ পবিত্র কুদরত মুবারক তো পবিত্র কুদরত মুবারকই।

এখন আবার পবিত্র কুদরত মুবারক উনার মধ্যেও পার্থক্য আছে। স্বাভাবিকভাবে পবিত্র কুদরত মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার একটা জাতী ছিফত। যা সৃষ্টি নয়। আবার মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে অলৌকিক কোনো জিনিস বের হলে সেটাকেও পবিত্র কুদরত মুবারক বলা হয়। যেমন- নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে অলৌকিক বিষয়কে ‘মু’জিযা শরীফ’ বলা হয়, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অলৌকিক বিষয়কে ‘কারামত’ বলা হয়।

এখন যারা আছে তারা বুঝেছে কি না? বুঝতে হবে, ফিক্বির করতে হবে। আর ইল্মের বিষয়টা তো কঠিন। পবিত্র ইল্ম মুবারক তো মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে আসে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

} [ اِنمََّا الْعِلْمُ عِنْدَ اللهِ{ ]اَلْمُلْكُ: ২৬

‘নিশ্চয়ই ইল্ম মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে।’

এজন্য বলেছিলাম যে, এটা ভাষা দিয়ে মিলানো বা বুঝানো খুব কঠিন। প্রকাশ করাটাও কঠিন। আবার বুঝানোও কঠিন। এখন কেউ যদি ফিক্বির না করে, সে বুঝবে না। এটা ফিক্বির করতে হবে বুঝতে হলে। আর বিষয়গুলিতো এক সাথে ফিকির করতে হবে, তখন বুঝা যাবে। বিচ্ছিনড়ব বিষয়। ইস্তাওয়াটা বুঝা গেছে সহজে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইস্তাওয়া করিয়েছেন, পার্থক্য সূচনা করেছেন। এটা তুলনামূলক সহজ বিষয় ছিলো। কিন্তু পবিত্র কুদরত মুবারক তো কঠিন বিষয়। এটা একদম বা একেবারে সরাসরি ওজুদ মুবারক উনার সাথে সংশ্লিষ্ট। এটার ব্যাখ্যা মানুষ করবে কিভাবে? আর এ বিষয়গুলো যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি না বলেন, তাহলে বুঝার তো কোনো কিছু পাওয়া যাবে না আগে বা পরে।

يَدُوْرُ بِلْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالٰى

এখন يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالٰى এখানে يَدُوْرُ বলতে আসলে

ঘুর্ণয়মান না, অবস্থান মুবারক। মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি সৃষ্টি করে অবস্থান করালেন উনার নিয়ন্ত্রণে। ওটাই

] } قَدَّرَ فَهَدٰى{ ]اَلَْعْلَى: ৩

] }قَدَّرَهٗ تَقْدِيْرًا{ ]اَلْفُرْقَانُ: ২

সব দিলেন।

আর এরপরে بِلْقُدْرَةِ (বিল কুদরত)। আসলে بِلْقُدْرَةِ (বিল কুদরত)

অর্থ নিয়ন্ত্রন অর্থাৎ এখানে অন্য কোনো বিষয় নয়। কুদরত মুবারক। এটা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে একটা নিসবত। মহান আল্লাহ পাক উনি নিয়ন্ত্রণকারী। এটা আর কারো সাথে নেই। একমাত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে, আর কারো সাথে না। আবার ঠিক ওই ওজুদ মুবারক থেকে নূর মুবারক নিয়েই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে কারো সম্পর্ক নেই। একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের নিসবত মুবারক।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)