আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক এবং উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৫৪

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক এবং উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৫৪

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের শান-মান কিতাবগুলো পড়ে দেখো কি লেখা আছে। তোমাদেরকে সেই কুফরী আক্বীদাহ্ থেকে বাঁচানো হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) কুফরীতে ভরা। সেই কুফরীগুলি দূর করে দেওয়া হয়েছে। উনাদের হাক্বীক্বী শান-মান মুবারক প্রকাশ করা হয়েছে। তোমরা যদি না বুঝো, তোমাদেরটা তোমাদের। আমার তো করার কিছু নেই। একজনের বাবা থাকে ৫০ তালায় আর মা থাকে বান্দিদের সাথে! এইটাই নিয়ম নাকি? কিতাবাদিতে এটাই তো দেখা যায়। তোমাদেরকে সঠিক বিষয়টা শিখানো হলো। তোমরা কি শিখলে?

মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে এক সাথে করে দিয়েছেন। আর মানুষ এটা পার্থক্য করতে চায়। না‘ঊযুবিল্লাহ! তাহলে ঈমান কোথায়? ঈমান তো শুদ্ধ করা হলো। তোমরা কি শিখলে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আব্বা আলাইহিস সালাম, আম্মা আলাইহাস সালাম উনাদের ঈমান নিয়া টানাটানি করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারাই তো ঈমান। জান্নাত তো উনাদের জন্য কিছুই না। জান্নাত সারা দিন পিছনে ঘুরে কখন উনারা আসবেন। জান্নাত তো উনাদের উপযুক্ত না। উনারা প্রবেশ করলে, উপযুক্ত হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আক্বীদাহ্ শুদ্ধ করা হলো। তোমরা এই আক্বীদাহ্ না গ্রহণ করলে, কি করার আছে। তোমাদের আক্বীদাহ্ শুদ্ধ করা হলো। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদছী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,

خَلَقْتُكَ وَاَهْلَ بَيْتِكَ مِنَ النُّوْرِ الَْوَّلِ وَفِىْ رِوَايَةٍ اُخْرٰى مِنَ الْقِسْمِ الَْوَّلِ

অর্থ: “আমি আপনাকে এবং আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে প্রথম নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি করেছি।”

অপর বর্ণনায় রয়েছে, “প্রথম ভাগ নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি করেছি।”

যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সৃষ্টি করা হলো, তখন কিছুই ছিলো না। তাহলে উনারা কোথায় ছিলেন? সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন। এখনও কুদরত মুবারক উনার মধ্যে আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

উনাদের শান-মান তো আলাদা। উনারা কুদরতময় সৃষ্টি। আবার কুদরত মুবারক উনার মধ্যেই আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

সাধারণত ওলী আল্লাহদের ব্যাপারে বলা হয়েছে-

اِنَّ اَوْلِيَائِىْ تَحْتَ قَبَائِىْ لَ يعَْرِفُهُمْ غَيْرِىْ

অর্থ: “নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহগণ উনারা আমার ক্বাবা’ তথা কুদরতী জুব্বা মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন। আমি ব্যতীত উনাদেরকে আর কেউ চিনে না।” (তাফসীরে আলূসী)

একজন ওলী আল্লাহ যদি কুদরতী জুব্বার মধ্যে থাকেন, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা কোথায় আছেন? বুঝার জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় যেটা সেটা হলো, উনাদেরকে কখন সৃষ্টি করা হলো? যখন কিছুই ছিলো না। তাহলে বুঝা যায়, উনারা সৃষ্টির উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সৃষ্টির উর্ধ্বে অর্থ হচ্ছে- এরকম যে, অর্থাৎ যা কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে, এ সব কিছুর উর্ধ্বে উনারা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনারাই প্রথম সৃষ্টি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের থেকেই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। তাহলে উনারা নিশ্চয়ই এ সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন-

اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نوُْرِىْ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْئٍ مِّنْ نوُّْرِىْ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাকতূবাত শরীফ, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল ইনসানুল কামিল, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

তাহলে নিশ্চয়ই উনারা এই সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে। তাহলে উনাদের ফযীলত কতটুকু? উনাদের মাক্বাম মানুষ কি বর্ণনা করবে? উনাদের মাক্বামটা কোথায়? মানুষ জানে সেটা? মানুষ জানেনা। মকতুবাত শরীফে মাক্বাম বর্ণনা করা আছে। আসলে উনি যাহিরীভাবে যেটা দেখেছেন, উনি সেটাই বর্ণনা করেছেন। হাক্বীক্বত কিন্তু এ রকম না। যাহের এক রকম, বাত্বেন আরেক রকম। উনাদের বাত্বিনী যে বিষয়টা- এটা উনারা আরশে ‘আযীম তো অবশ্যই; সমস্ত সৃষ্টি জগত অর্থাৎ আলমে খলক্ব ও আলমে আমর এ সমস্ত কিছুর উর্ধ্বে উনাদের অবস্থান মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আর এখানে দুটি ত্ববক্বা আছে। একটি হলো- উনাদের ২৩ জনের অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনারা ২ জন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন এবং আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ৮ জন এই মোট ২৩ জনের যে ত্ববক্বা, একটা বেলায়েত, বেষ্টনী। এরপরে ত্বহারত ও ছমাদিয়াতের আরেকটা বেষ্টনী আছে। দুটি আছে। ওখান থেকে নিসবত প্রাপ্ত হয়ে এখানে আসে। আর এখানে যাঁরা আছেন, উনারা তো আছেনই। বিশেষ করে হাফাদাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ১০ জন নাতী-নাতনী আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সরাসরি সম্পৃক্ত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের থেকে আবার বাকিরা। এই ১০ জন আলাদা।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো আছেনই আলাদা। মহান আল্লাহ পাক তিনি আলাদা আছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনারা ২ জন আছেন। এরপর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন। তারপর উনাদের থেকে যাঁরা আসছেন অর্থাৎ আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা মোট ৮ জন। যিনি ১২তম উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার থেকে ১ জন অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি। উনার সিলসিলা ওই পর্যন্তই। এদিকে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে আসছেন ৭ জন- 

১. ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম, 

২. বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম, 

৩. ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম, ৪. ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম, 

৫. বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম, 

৬. বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম এবং 

৭. বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রাবি‘য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! 

এই ৭ জনের মধ্যে ৩ জনের আওলাদ আছেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার ৩ জন আওলাদ। আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার ১জন। আর সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রাবি‘য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ৬ জন। এই প্রথম বেষ্টনী থেকে এটা নামছে। নেমে উনারা ৬ জন, ১ জন এবং ৩ জন মোট ১০জন। এরপরের থেকে যেটা আসছে, সেটা এরপরে আবার এটা হলো একটা বেষ্টনী শেষ হয়ে গেলো। এরপরে হচ্ছে ত্বহারত, ছমাদিয়াতের মাক্বাম যেটা বলা হয়। ঐটা একই মাক্বাম; তবে ঐটা হলো উচ্চ মাক্বাম। এইটা হলো শেষ মাক্বাম। ঐটা হলো আগের মাক্বামটা। এখানে এই ১০ জন আওলাদ। মানে উনাদের ৩ জনের যে ১০ জন আওলাদ, উনারা এখানে আছেন। উনারা তো আবার বিশেষ করে সবাই ছাহাবিয়াতের মাক্বামে। এই ১০ জন। ১০ জন মানে- ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম, ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা যে ৬ জন, হযরত নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার ৩ জন, আর নূরুছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার ১ জন। উনারা আবার ছাহাবীও। যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত ইখতিয়ার করছেন উনারা। সে হিসেবে। উনারা সংশ্লিষ্ট। এরপরে যেটা আছে, সেটার মধ্যে আবার ত্বহারত এবং ছমাদিয়াতের মাক্বামটা এর আগেরটা। এরপরে দ্বিতীয় মাক্বামটা এটা। এটা খাছ উনাদের জন্য। এখন উনারা তো সৃষ্টির উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সৃষ্টির উর্ধ্বে। অর্থাৎ সমস্ত কিছু সৃষ্টি করার পূর্বে উনাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর উনাদের থেকে সব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সৃষ্টি করা হলো, তখন কিছুই ছিলো না। উনারা কুদরতময় সৃষ্টি। আবার কুদরত মুবারকের মধ্যে আছেন। তাহলে উনাদের মাক্বাম মুবারক কোথায়? সব কিছুর উর্ধ্বে। উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সব। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) কারণ উনাদের থেকেই তো সমস্ত কিছু সৃষ্টি। অন্য কারো থেকে তো সৃষ্টি করা হয়নি। উনাদের থেকে নূর মুবারকের একটা অংশ নিয়ে সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নূর মুবারক ভাগ করা হয়েছে না? প্রথম এক ভাগ। সেখান থেকে চার ভাগে। তারপরে চার ভাগ। আবার তিন ভাগ। আবার এক ভাগ চার ভাগ। আবার এক ভাগ চার ভাগ। এভাবে করতে করতে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। উনাদের থেকেই তো আনা হয়েছে। তাহলে তো উনারা সব কিছুর উর্ধ্বে। মানুষ তো এইটা বুঝেনি। এটা কি বুঝতে পেরেছে মানুষ? বুঝতে পারেনি।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

জানার জন্য আরজী- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনারা ২ জন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন এবং আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ৮ জন এই মোট ২৩ জন উনারা প্রথম। এরপরে নিচেরটা ত্বহারত, ছমাদিয়াতের মাক্বাম।

তখন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “এখানে একটা কথা আছে। যেটা আমি আজকে আর বলবো না। বললে, বুঝবে না। এখানে একটা কথা, একটা হাক্বীক্বত আছে। সব তো বুঝবে না। আজকে আর বলবো না, আরেক দিন। হ্যাঁ; ঠিকই আছে, দ্বিতীয়। এরপরে নিচে হলো বাকিটা। এই পর্যন্ত ত্বহারতের মাক্বাম শেষ হয়ে গেলো। আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যে মাক্বামটা এটা ত্বহারাত, ছমাদিয়াতের মাক্বাম শেষ। এরপরে অন্য মাক্বাম। উনারা হলেন সৃষ্টির উর্ধ্বে। দশজন তো; এখানে একটা কথা আছে। এটা আজকে আমি আর বলবো না। এটা বললে, বুঝবে না। পরে বলবো এক সময়। এখন এটাই বুঝে না, বাকিটা বুঝবে কিভাবে?”

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী সহীহ সমঝ এবং সর্বোচ্চ হুসনেযন মুবারক দান করুন। আমীন!


0 Comments: