আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতো এরকম সংযোগ আর কারোই হয়নি-পর্ব-৭১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতো এরকম সংযোগ আর কারোই হয়নি-পর্ব-৭১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা যিলক্বদ শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রবিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একটা ঘটনা মুবারক। তোমরা যতটুকু বুঝো। বিশেষ একটা ঘটনা মুবারক। এই যে আমরা বলি, নিসবত কুরবতের বিষয়টা। এটা একটা পর্যায়ে যেয়ে সরাসরি সংযোগ হয়। যেমন- আজকে কী বার? সাব্ত (শনিবার) গেলো, খ¦মিসের দিন (বৃহস্পতিবার দিন)। আমি দেখতেছি যাত্রাবাড়ী পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে। আমি একজায়গায় গিয়েছি। উনিও আছেন ওখানে। একটা বড় ও উচু মাঠ। মাঠের উপর আমি আছি। উনি আসতেছেন। উনি মানুষকে কিছু ফল বিতরণ করতেছেন। উনি আমাকেও দিয়েছেন, খেলাম। উপরে কেউ নেই, আমি একাই ছিলাম। পরে উনি আসছেন। উনার সাথে আরো দুই-একজন আসছে। একটা জায়গা। ওখানে নামাজ পড়ার জন্য ঠিক করা হয়েছে। জামায়াতে নামায হবে। উনি দাঁড়িয়েছেন, আমি একটু দূরে আছি। আমি আদবের জন্য কাছে যাইনি। আদবের খিলাফ হয় কি না? উনি আমাকে কাছে যাওয়ার জন্য ডাকলেন। উনার পাশে যারা ছিলো, তাদের সরিয়ে দিলেন। বললেন, পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আচ্ছা; দাঁড়ালাম। উনি ইমাম, তাই আমাকে একটু পিছনে দাঁড়াতে হবে। উনি বললেন, না। বরাবর দাঁড়াতে হবে। আচ্ছা। সূরা ক্বিরাত পাঠ করা শুরু হলো। উনি বললেন যে, আমাকে পাঠ করার জন্য, আমি পাঠ করতে থাকলাম। করতে করতে আস্তে আস্তে দেখা গেলো- উনি আস্তে আস্তে আমার মধ্যে ফানা হয়ে মিশে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি বললেন যে, দেখেন; আপনার তো আসলে সরাসরি সংযোগ আগেই হয়ে গেছে। সিলসিলাগত সংযোগ আর প্রয়োজন নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার প্রতি ফানা বাক্বা হয়ে গেলে, এখন আপনার সরাসরি সংযোগ হয়ে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি এসে আমার মধ্যে পুরো মিশে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) পরে দেখি আমি একা।

উনি বললেন যে, সরাসরি সংযোগ তো আগেই হয়েছে। তবে এখন হাক্বীক্বত। এটা তাসাউফের উছূল রয়ে গেছে, যখন পুরা সংযোগ হয়, তখন সিলসিলার সংযোগটা আর দরকার হয় না। ঐ নিয়ামতটা আপনাকে দিয়ে দেওয়া হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

যাই হোক, সরাসরি সংযোগ হয়ে গেছে। আগে থেকেই ছিলো, এখন বাস্তবে এটা করা হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

পরে দেখি উনি নেই। আমি একা রয়েছি। আর বাকী লোকগুলো উনি সরিয়ে দিয়েছেন। এটা সরাসরি সংযোগ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে সরাসরি সংযোগ। আমার বলার বিষয় হচ্ছে, উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কার্যক্রম গুলো, উনি খুশি হলেই তো হয়ে যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি খুশি না হলে কিভাবে হবে এটা? কেউ তো এটা করতে পারবে না।

সরাসরি সংযোগ হয়; কিন্তু এরকম সংযোগ আর কারোই হয়নি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন যতো করবে, ততো ফায়দা পাবে। এখন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হোক, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হোক আর এই সুনড়বাত মুবারক প্রচার-প্রসার করা হোক। এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুশি করতে পারলেই তো কাজটা হয়ে যাবে। উনি যে মালিক; আসলে মালিক তো উনিই। আসল মালিক তো উনিই আসলে। মহান আল্লাহ পাক মালিক আছেন; ঠিকই আছেন। এখন মালিকানা তো উনার কাছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ঐটাই মীম দিয়ে যে মালিক বুঝানো হয়েছে, কিসের মখলুক্বাতের পর্দা? বলো, মীম দিয়ে মালিক। মালিক, মুরাদ, মাহবূব সব। এখন কাজগুলো করলে, কাজে বরকত হয়। ঐ উদ্দেশ্যে আমি এটা বললাম যে, বরকতটা কতোটুকু? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যতো পালন করা যাবে, ততো বরকত পাওয়া যাবে। নিসবতটা ততো সরাসরি হবে। বুঝতে পেরেছো কথাটা? সেটাই আমি বলি- নেয়ামতের অভাব নেই। কিন্তু মানুষ ধারণ করতে পারে না। যতোটুকু নিসবত করা যায়, ততো ফায়দা বেশি।

উনি আমার কাছে সব বলে, উনি পুরা গাইব হয়ে গেলেন। আবার আমার ভিতরে উনি মিশা গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন উনার কথা ছিলো, সিলসিলাগত শাজরা শরীফ অনুযায়ী যে ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ প্রয়োজন ছিলো, এটা আর প্রয়োজন নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আগেই সরাসরি ছিলো। এটা আরো সরাসরি হয়ে গেলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

কিতাবে লিখে যে, সরাসরি সংযোগ হয়, হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এরকম ঘটনা নেই। পুরা ফানা হয়ে বাকা হয়ে সংযোগ হওয়া, এটা পাওয়া যায় না।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)


0 Comments: